এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ভ্রমণ  দেখেছি পথে যেতে

  • দার্জিলিং ব্লুজ - পর্ব ৫। ৯ই মার্চ, ২০২১

    রৌহিন লেখকের গ্রাহক হোন
    ভ্রমণ | দেখেছি পথে যেতে | ১০ এপ্রিল ২০২১ | ১৯৪১ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • বড়া মাঙ্গোয়ার পথে
    ----------------------
    মঙ্গলবার আমাদের দার্জিলিং ছেড়ে যাবার দিন। একটুও ইচ্ছে করছিল না কারোই। কাঞ্চনজঙ্ঘার দেখা পাইনি এক মুহুর্তের জন্যও - কিন্তু তা বাদে দার্জিলিং বড়ই মোহময়ী। একটা মায়ায় জড়িয়ে ফেলে। সকালে ফাইনালি আরেকবার ম্যালে যাওয়া গেল - দু তিনটে টুকিটাকি জিনিষ কেনা বাকি ছিল। সবে খুলছে দোকানগুলো - বউনি করিয়ে এলাম। এরপরে যেসব জায়গায় যাব, আর কেনাকাটা করার উপায় থাকবে না - তাই বাদবাকি উপহার ইত্যাদি সেরে ফেললাম। ব্রেকফাস্ট সেরে চেক আউট। মেঘ তার সব বন্ধুদের ন্যাপকিন দিয়ে গোলাপ বানিয়ে উপহার দিয়ে এল।
    বড়া মাঙ্গোয়া জায়গাটার নাম আগে সেভাবে শুনিনি। দেবা বলেছিল, তোমাকে আমি যতটুকু চিনি, জায়গাটা তোমার পছন্দ হবে। কন্ট্রাক্ট পার্সনের নাম সন্দীপন দত্ত। বুকিং এর সময়ে ওনার সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল। বলেছিলেন দার্জিলিং থেকে আমাদের পিক আপ করতে ওঁদের একটা গাড়ি আসবে। কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল সন্দীপন নিজেই গাড়ি নিয়ে হাজির হয়েছেন। তাঁর গাড়িতে বসে চলতে চলতে আলাপ জমে উঠল ভদ্রলোকের সঙ্গে।
    সন্দীপন বড়া মাঙ্গোয়া ফার্ম হাউসের ম্যানেজার কাম জুনিয়র পার্টনার। প্রায় কুড়ি বছর আগে ওঁরা কিনেছিলেন একটা পাহাড়ের ঢাল। শিলিগুড়ির ছেলে সন্দীপন সেই থেকে এখানেই থাকেন বেশীরভাগ সময়ে। সেই পাহাড়ে এখন গ্রামবাসীরা চাষ করেন বহু ধরণের আনাজ - জুম পদ্ধতিতে। আছে নিজস্ব কিছু গরু, মুরগি। গেস্ট হাউসটি ওদের টিকে থাকার উৎস, কারণ উৎপাদিত ফসল থেকে লাভ এখনো কিছু দূরের লক্ষ্য। এই ফার্ম হাউসের রান্নাঘরে যা রান্না হয় তার একটা বড় অংশই ওঁদের নিজেদের উৎপাদন। কাছাকাছি একটি গ্রামে একটা প্রাইমারি স্কুলও ওঁরা চালান, লক ডাউনের সময়ে সেটি বন্ধ ছিল - কিন্তু সম্প্রতি ওই স্কুলের জন্য একটা বড়সড় অনুদান পাওয়ায় ওঁরা স্কুল বাড়িটি পাকা করছেন - কাজ প্রায় ৮০% সারা। যাবার পথে আমরা স্কুলবাড়িটা দেখেও গেলাম - কিন্তু তার আগে পথের কথা।
    ঘুম ছাড়িয়ে জোড়বাংলো থেকে তিন রাস্তা তিনদিকে যায় - ডানদিকে নেমে যাচ্ছে হিলকার্ট রোড - যে রাস্তায় আমরা এসেছি। মাঝের সরু রাস্তাটা ধরে উঠে গেলে পৌঁছে যাব টাইগার হিল। কিন্তু এসব ছেড়ে আমাদের গন্তব্য বাঁ দিকে - পেশক রোড। যে রাস্তা লামাহাটা হয়ে চলে গেছে সোজা তিস্তা বাজার। এই পেশক রোড দিয়ে যাবার সময়ে আরো একবার উদগ্রীব হয়ে তাকিয়েছিলাম, যদি কাঞ্চনজঙ্ঘার দেখা মেলে অন্ততঃ একবার - কিন্তু এ যাত্রা সে আমাদের ধরা দেবে না পণ করেছে। অগত্যা তাকে ছাড়াই, ছ মাইল থেকে পেশক রোড ছেড়ে আবার ডানদিকে বাঁক। আমরা তাকদা ফরেস্টে প্রবেশ করেছি।
    ঘুম, দার্জিলিং এর জঙ্গলের সঙ্গে এই জঙ্গলের প্রধান ফারাক হল, ওদিককার শঙ্কু আকৃতির চিরহরিৎ অরণ্যের বদলে এই বনে পর্ণমোচী গাছেরই সংখ্যাধিক্য। মোটা মোটা কাণ্ড, ছড়ানো ডালপালা, ছড়ানো পাতা। রাস্তা বেশ নির্জন, রাস্তার অবস্থা খুব ভাল নয়, জায়গায় জায়গায় মেরামতির কাজ চলছে বটে। এই জঙ্গল পেরিয়ে তাকদা শহরে ঢোকার আগে একটা বাঁক ঘুরে গাড়ি দাঁড়াল। ডানহাতে তাকদার বিখ্যাত অর্কিড হাউস। এখন অবশ্য খুব বেশী ভ্যারাইটি পাওয়া যায় না তেমন। শোনা যায় গোর্খাল্যান্ড আন্দোলন শুরুর সময়ের অরাজকতার সুযোগে এখান থেকে প্রচুর অর্কিড চুরি হয়ে গেছিল। এখন বেশ কিছু প্রজাতি দেখলাম বটে, কিন্তু বেশীরভাগেরই এখন সীজন না। জায়গাটা বেশ সুন্দর করে সাজানো।
    এরপর তাকদা শহর পেরিয়ে কিছুটা এগোতে দেখা গেল তিনচুলে। এখানে আমরা এর পর আসব। সন্দীপন দেখিয়ে দিলেন, গুরুং গেস্ট হাউসের রাস্তা বাঁ দিকে ঢুকে গেছে। আমরা চললাম ঢালু পথ বেয়ে। কিছুটা এগিয়ে আবার একটা ফর্কের বাঁ দিকে ছোটা মাঙ্গোয়ার রাস্তা। সেসব ছেড়ে আমরা নামতে নামতে প্রথমে এলাম সন্দীপনদের স্কুলবাড়িতে - যেটার কথা শুরুতেই বলেছি। পাহাড়ের ধাপ কেটে ছোট্ট বাড়ি - ইনফ্যান্ট থেকে ক্লাস ফাইভ অবধি আলাদা আলাদা ক্লাসঘর, একটা অফিস, একটা স্টোররুম, এক চিলতে মাঠ। আড়ম্বরহীন কিন্তু যা দরকার সবই আছে।
    ইস্কুল ছাড়িয়ে আরো প্রায় তিন কিলোমিটার গিয়ে পৌঁছানো গেল বড়া মাঙ্গোয়া গ্রামে। পথে আরো তিন চারখানা হোম স্টে দেখতে পেলাম। ততক্ষণে আমাদের গরম লাগতে শুরু করেছে। বড়া মাঙ্গোয়ার উচ্চতা মাত্র সাড়ে তিন হাজার ফিট। যেখানে গাড়ি দাঁড়ায় তার সামনে একটা সুইমিং পুল সহ গেস্ট হাউস - কিন্তু সেটা সন্দীপনদের ফার্ম হাউস নয়। সন্দীপন জানালেন ওটা স্থানীয় নেতা প্রধানজীর গেস্ট হাউস। আর গাড়ি স্ট্যান্ডের পাশেই একটা ছোট্ট চা জলখাবারের দোকান কাম ট্যুরিস্ট ইনফরমেশন সেন্টার - ওপেন টেরেস। এটা সন্দীপনরাই সদ্য বানিয়েছে। টেরেসে বসলে অনেক দূর অবধি ওদের ফার্মিং, জুম এর ধাপ দেখা যায়। এখানে দীর্ঘ যাত্রার ক্লান্তি কাটাতে এককাপ করে চা খাওয়া হল।
    এক দাজু ইতিমধ্যে আমাদের ভারী ভারী মালগুলি আমাদের তীব্র প্রতিবাদ উপেক্ষা করে একটা ঝুড়িতে ভরে টিপিকাল নেপালী কায়দায় কপালে ঝুলিয়ে রওনা দিয়েছেন - এখান থেকে ফার্ম হাউস প্রায় তিনশো মিটার - পাহাড়ের গা দিয়ে সরু একফালি সিমেন্ট বাঁধাই রাস্তা - আঁকাবাঁকা। চা খেয়ে আমরাও সেই রাস্তা ধরে এগোলাম। ফার্ম হাউসটা একটা বাঁক ঘুরে - সেখান থেকে পাহাড়ের অন্য দিক দেখা যায়। মেইন বিল্ডিং থেকে এক পাশে অ্যানেক্স বিল্ডিং এ আমাদের রুম। ব্যবস্থা সবকিছুই আছে, পরিষ্কার কার্পেট দেওয়া মেঝে, একটা ডাবল একটা সিঙ্গল খাট, স্যানিটাইজ করা বিছানা, পরিষ্কার বাথরুম। চারিদিকে ফুলের সমারোহ - তার মধ্যে ফায়ারবলের ছড়াছড়ি - যেন আগুন লেগেছে। আর ব্যালকনিতে গেলে কিম্বা জানলা খুললেই - তিস্তা! অনেক নীচে তাকালে তিস্তা বাজার দেখা যায়, ওপরে তাকালে কালিম্পং শহর। আর ব্যালকনি থেকে নীচে খাড়া নেমে গেছে পাহাড়ের ঢাল।
    মেইন বিল্ডিংয়ে ডাইনিং হল - খোলামেলা। লাঞ্চে আজ ডিম। তার আগে ডাল, ভাজি, ফুলকপি, পাঁপড়। আর শেষ পাতে চাটনি। ফুল্টু বাঙালি লাঞ্চ। রান্না একদম স্বর্গীয়। ফলে একটু বেশীই হয়ে গেল আর কি। তারপর হালকা বিশ্রাম। মেঘ ইতিমধ্যে একজন চারপেয়ে জুটিয়ে নিয়েছে - তার নাম ঢোলু। সে দিব্যি আমাদের ঘরে এসে মেঘের পাশে শুয়ে পড়ল। তারপর বিকালের দিকে একটু জায়গাটা দেখব বলে বেরোলাম - পায়ে হেঁটেই। তখন দেখা গেল ঢোলুর আরো দুই সঙ্গী আছে - একজনের নাম ক্যামব্রে, আরেকজন টাইসন। এরা অবশ্য অন্য ব্রীড। যাবার পথে তিনজনেই আমাদের সঙ্গ নিল, কখনো দৌড়ে এগিয়ে যায়, কখনো পাহাড় ঘুরে পিছন দিয়ে আসে, কখনো পায়ে পায়ে।
    তিনজনের মধ্যে ঢোলু হল বয়সে সবচেয়ে বড় এবং আকারে সবচেয়ে ছোট। ভুটিয়া এবং অন্য কোন প্রজাতির হাইব্রিড। স্বভাবে শান্তশিষ্ট এবং আদুরে, কখনো ঝগড়া করে না (এসব তথ্য তখন জানা ছিল না, পরে গ্রামবাসীরা মেঘকে তিনজনের ঠিকুজি কুলুজি শুনিয়েছেন, সেই সাথে আমাদেরও)। মাঝারি সাইজটি কালো রঙের পাহাড়ি নেড়ি। নাম ক্যামব্রে। এর মহা বদনাম। সুযোগ পেলেই গ্রামবাসীদের মুরগিছানা চুরি করে খেয়ে নেয়। আর সবার সাথে (অন্য পাড়ার কুকুর) ঝগড়া লাগায়, তারপর মারামারির সময়ে টাইসনকে সামনে ঠেলে দিয়ে পিছন থেকে আস্ফালন করে। আর তৃতীয় জন টাইসন - বিশাল কেঁদো চেহারা, কালোর ওপর লাল ডোরাকাটা চামড়া দেখলে বাঘের মতই লাগে। মোটা মোটা থাবা। এটি আলফা। এর ভয়ে গোটা এলাকার কুকুরেরা থরহরি থাকত। কিন্তু এখন সে একটু অসুস্থ - ফলে ক্ষিপ্রতা কমে গেছে। শক্তিও কমেছে। কিছু কিছু কুকুর এই সুযোগে মাস্তান হবার চেষ্টায় আছে। ক্যামব্রের সাথে টাইসনের খুব ভাব। ক্যামব্রে ঝামেলা লাগায় আর টাইসন বিপক্ষকে ঠান্ডা করে। এর নামটা জানার আগেই মেঘ একটা নাম দিয়েছিল - শেরদিল বা সংক্ষেপে শেরু।
    এই তিন সঙ্গীকে নিয়ে আমাদের বড়া মাঙ্গোয়া পরিদর্শন চলল। অন্য কুকুরেরা টাইসনের সামনাসামনি কিছু বলার সাহস পায় না, তবু মাঝে মধ্যেই লেগে যাচ্ছিল। পাহাড়ি কুকুরেরা মনে হয় এলাকা নিয়ে অতটাও পজেসিভ নয় আমাদের সমতলের কুকুরদের মত। এই নিয়ে পরেও অভিজ্ঞতা হয়েছে। যাই হোক, গ্রামটা হেঁটে হেঁটে দেখছিলাম - পাহাড়ের বাঁকে বাঁকে এদিকে সেদিকে ছড়ানো ছেটানো বাড়ি। জুমের ধাপ, বাঁশঝাড়, বাড়ির লাগোয়া ফুলের বাগান - সব মিলিয়ে বেশ একটা স্বপ্ন স্বপ্ন ব্যাপার। দূরে পেশক রোডের বাঁক দেখা যাচ্ছে, মাঝে জঙ্গল। ঢোলু দুষ্টুমি করে কাদাজলে বসে পড়ল একবার, খুশীর বকা খেয়ে আবার সুড়সুড় করে উঠে আমাদের সঙ্গে। ক্যামব্রে বেপাড়ার বন্ধুদের সাথে খানিক ছ্যাবলামো করে এল। গম্ভীর টাইসন আমাদের কাছাকাছিই ছিল। ফেরার পথে লাগল ঝামেলা।
    এক জায়গায় একটা দোকান কাম বাড়ির সামনে অনেকগুলো কুকুর, তারা চেঁচাচ্ছিল। টাইসন আর ক্যামব্রেও এদের ভয় দেখাচ্ছিল। এমন সময়ে অন্য বাড়ির এক উঠতি মস্তান হঠাৎ পিছন থেকে এসে টাইসনের পায়ে জোরে দিল কামড়। ব্যাস - লেগে গেল প্রবল ঝটাপটি। চোখের সামনে দেখলাম টাইসন প্রায় চার পাঁচজনের সাথে একা লড়ে যাচ্ছে আর ক্যামব্রে ফাঁকা আওয়াজ করছে, মাঝে মধ্যে একটু তেড়ে যাচ্ছে। টাইসনের ব্যাথা পায়ে কামড় খাওয়ায় একটু দুর্বল ছিল, বিপদ হতে পারত, কিন্তু দোকানের থেকে একজন এক বালতি জল এনে এদের গায়ে ঢালতে সবাই ছত্রভঙ্গ হয়ে গেল। এই সুযোগে আমরা টাইসনকে নিয়ে তড়িঘড়ি সরে পড়লাম। বাকি রাস্তাটুকু বেচারা খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়েই হাঁটল, তারপর আমরা যখন গাড়ি পার্কিং এর ওখানে টেরেসে চা খেতে বসলাম, তখন সে শুয়ে শুয়ে ক্ষতস্থান চাটতে লাগল। এই চায়ের আসরে যোগ দিলেন সন্দীপনও। কেমন ঘুরলাম, ঘর কেমন লাগল, লাঞ্চ কেমন লাগল, খুঁটিনাটি খবরাখবর নিলেন।
    রুমে ফিরে সন্ধেবেলা জুটল চিকেন পকোড়া। আর খোলা ব্যালকনির সামনে অন্ধকারের মধ্যে গাঢ়তর কালো পাহাড় - তার মাথায় তারার মত অজস্র আলোর ঝিকিমিকি - কালিম্পং শহরে রাত্রি নেমেছে। পাহাড়ের অন্যদিকের ঢালে দাবানল জ্বলছে। নীচে তিস্তা বাজারেও জোর আলো - বাদবাকি সব ঘুটঘুটে অন্ধকার। একেবারে নিশ্ছিদ্র নয় - মাঝে মাঝেই কোন গাড়ির হেডলাইট চিরে দিচ্ছে সেই অন্ধকারকে। অন্ধকার আমার বড় প্রিয় - বড় আপনজনের মত জড়িয়ে থাকে।

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ভ্রমণ | ১০ এপ্রিল ২০২১ | ১৯৪১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই প্রতিক্রিয়া দিন