একদিন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে তিতির খুব মন খারাপ লাগছিল। ইচ্ছে হল জানালার কাছে গিয়ে একটু বসতে। তিতিদের জানালার কাছে ছিল এক বড়ো জাম গাছ। তিতি দেখল একজোড়া শালিক পাখি সেই গাছে বসে জাম খাচ্ছে। ওই গাছেই বোধহয় ওদের বাসা। হঠাৎ তিতির মনে হল, " আচ্ছা খাবার পর ওরা জল খায় না ! দেখি তো একটু জল দিয়ে .." । একটা বড়ো বাটিতে করে জল এনে তিতি রেখে দিল তার ঘরের জানালার বাইরের দিকটায়। বেশ কিছুক্ষণ পর তিতি লক্ষ্য করল শালিক পাখি দুটি এসে সেই বাটি থেকে জল খাচ্ছে।ওদের দেখে তিতির ভারি মজা হল। সেদিন থেকে তিতি রোজ বাটিতে করে জল রেখে দিত আর শালিক পাখিরা এসে সেখান থেকে জল খেয়ে যেত।ধীরে ধীরে ওরা তিতির বন্ধু হয়ে গেল।
একদিন হঠাৎ তিতি জানালা দিয়ে দেখতে পেল ওদের পাশের বাড়ির বাগানের গাছপালা কাটার তোড়জোড় চলছে। তিতি খুব ভয় পেয়ে গেল...."জাম গাছটা কেটে ফেলা হবে না তো, ওখানে যে আমার পাখি বন্ধুরা থাকে।" এক ছুটে ও বাবার কাছে গিয়ে বলল, সেন কাকুদের বাড়ির বাগানের গাছ কাটা বন্ধ করতে বলার জন্য। বাবা তিতিকে অনেক বোঝালেন, কিন্তু কিছুতেই তিতির কান্না থামানো গেল না। শেষে তিতিকে নিয়ে বাবা গেলেন সেন বাবুদের বাড়িতে। ওনাদের সব কথা খুলে বললেন। সব শুনে সেন বাবুর মনে হল, একটা ছোট্ট মেয়ে যেভাবে ভাবছে, কই বড়োরা তো সেভাবে ভেবে দেখেনি কখনো। শুধু পাখিদের বাসা তো নয়, গাছ তো আমাদের সকলের পরম বন্ধু । অথচ তাকে কত সহজেই আমরা কেটে ফেলি। তিনি তিতির চোখের জল মুছিয়ে দিয়ে ওকে কথা দিলেন যে ওই জাম গাছটা কোনদিনও কাটা হবে না। তিতি আনন্দে নচতে নাচতে বাবার হাত ধরে বাড়ি ফিরল।
অসাধারন গল্প
তিতিরাই আমাদের ভবিষ্যৎ
ওরা যত মহীরুহের মত ছেয়ে থাকবে, ততই সবার ভাল
স্বপ্নজা, খুব ভালো লেখা হয়েছে। গাছটা কাটা হলে আমারও খুব মন খারাপ হয়ে যেতো! ভাগ্যিস সেনবাবু তিতির মনের কথা বুঝতে পারলেন!
শরণ্যার আঁকাও সুন্দর হয়েছে।
খুব সুন্দর