“আমরা প্যারা মিলিটারি। গেরিলা যোদ্ধাদের খুঁজে বের করতে এসেছি”- একথা চিৎকার করে বলছিল ওরা। সকালের সময়টায় মারামারির শব্দে ঘুম ভেঙে গেছিল রোসার। সাবধানে উঠে বসল যাতে বাচ্চারা জেগে না যায়। এই ঘরটায় এক মাস আগে তার স্বামী খুন হয়েছিল, এখানেই বাচ্চারা ঘুমোচ্ছে।
দরজার উল্টোপ্রান্তে দাঁড়িয়ে ওর নাম ধরে ওরা ডাকছিল। “দরজা খুলে দে আমাদেরর না হলে ওটা ভেঙে ফেলব আমরা”। সে দরজা খুলেছিল। অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অনেক লোকজন ঘরে ঢুকে পড়েছিল। ওদের মাথা ঢাকা। বাচ্চারা ভয়ে জেগে উঠতেই চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করেছিল। রোসা বাচ্চাকে এক হাতে নিয়েছিল আর মেয়েটাকে দু পায়ের ফাঁকে।
যে লোকটা আলো জ্বালিয়েছিল তার পরনে অন্যদের মতই কালো পোশাক। বুট জুতো পরা। কারো কারো মুখে লাল রঙের রুমাল বাঁধা আর কালো টুপি দিয়ে মুখ ঢাকা।
লোকটা তাকে স্বামীর কথা জিজ্ঞেস করেছিল। এক মাস আগে এই ওরাই এসেছিল তাকে মেরে ফেলতে। “আহ সেজন্যই সে ভয় পেয়েছে”। রাগী ষাঁড়ের মত ফুঁসে উঠল মেয়েটা। দাঁতের ফাঁক দিয়ে ঘন লালা বেরিয়ে এল। লোকটার মুখ তাক করে থুতু ছুঁড়ল। তারপর রোসা যখন মাথা নিচু করল ওরা তখন ওর মাথায় বন্দুক ঠেকিয়েছিল। গায়ে রগড়াচ্ছিল ওটা। মেয়েটার পায়ের নখ পর্যন্ত ভয়ে হিম শীতল হয়ে গিয়েছিল।
কান্না না থামিয়েই বাচ্চারা খাটের নিচে গিয়ে লুকিয়ে পড়েছিল। “বাচ্চাগুলোকে চুপ করা। হয় ওরা থামবে নাহলে আমরা ওগুলোকে মারব”। মেয়েটা ওদের কাছে কাকুতিমিনতি করেছিল যাতে বাচ্চাদের কোন ক্ষতি তারা না করে। ওদের একজন বাচ্চার দিকে তাক করে রেখেছিল বন্দুক, সে তখন বলল “ঠিক আছে, তাহলে আমার সঙ্গে তোকে কথা বলতে লাগবে”।
লোকটা রোসাকে খাটের ওপর বসাল। “সত্যি করে বল নইলে তোকে এক গুলিতে খতম করে দেব”। ওকে জিজ্ঞেস করেছিল সে কোথায় কাজ করে। মেয়েটার হাসপাতালের নার্স ছিল। “মিথ্যে কথা, তুই অন্য কোন চাকরি করিস। ড্রাগ আর অস্ত্রগুলো সব কোথায় গেল?” মেয়েটা উত্তর দিল তার কাছে কোনটাই নেই। অনুভব করল বন্দুকের লোহা তার মাথায় ঠেকে আছে আর ওরা চিৎকার করছে। বিছানার নিচে থাকা বাচ্চাগুলো তখন কান্না থামিয়ে দিয়েছিল।
যতবার ওরা মাথায় আরো শক্ত করে বন্দুক ঠেকাচ্ছিল অন্য লোকগুলো গোটা বাড়ি তছনছ করে দেখছিল। কাপড় চোপড় ছিঁড়ে ফেলছিল। “নড়বি না, নড়লেই মেরে ফেলব” ওর স্কার্ট ছিঁড়ছিল তারা। পতাকা আঁকা তিনরঙ্গা ব্লাউজের নিচে ওর স্তন দুটির মধ্যে বন্দুক গুঁজে দিয়েছিল। বন্দুক গুঁজে ছিঁড়ে ফেলেছিল ব্লাউজ।
“সত্যি কথা বল, নাহলে তোকে আর তোর বাচ্চাদের সবাইকে মারব”। ওরা কী নিয়ে কথা বলছে সে সম্বন্ধে মেয়েটার কিছু জানা ছিল না। ওরা চিৎকার করে তাকে মিথ্যেবাদী বলছিল। তার স্বামীর মত গেরিলা সৈন্যের সাহায্যকারীনী ভাবছিল তাকে। “আমরা প্যারা মিলিটারির লোক। গেরিলা যোদ্ধাদের মারতে এসেছি। তুই জানিস অস্ত্রগুলো সব কোথায় আছে। কথায় দক্ষিণী টান। লোকটা মেয়েটার চাইতে বিশাল বড় চেহারা। মোটা হাতে কালো গ্লাভস পরে, সরাতে গিয়ে তার বাদামী আঙুলের দিকে তাকাল। “কেমন করে আমায় না বলে থাকিস, দেখব। তোকে চুদব”। ডাক্তারদের ব্যবহার করার সাদা গ্লাভস পরল। জিজ্ঞেস করল কতদিন সে সহবাস করে নি।
ব্লাউজ খুলে ফেলতে বলল। রোসা মিনতি করল তাকে থামার জন্য। চিৎকার না করে নিঃশব্দে কাঁদতে শুরু করল, যাতে খাটের নিচে থাকা বাচ্চাদের কানে না যায়। লোকটা জোর করে যাচ্ছিল হয় সে বলুক না হলে ওকে মেরে ফেলবে। আর যদি চেঁচায় তাহলে বাচ্চাদের সামনে ওকে উলঙ্গ করে দেবে। খাটের ওপর শোয়াল তাকে। এক থাপ্পড় দিয়ে অন্তর্বাস টেনে খুলে ফেলল। পা ফাঁক করে দিল। এক হাতে বন্দুক, অন্য হাতে সার্জেন্টের গ্লাভস পরা।
প্রসব করার সময় যেমন থাকে সেরকম ভাবে রাখল মেয়েটাকে। “যদি এতেও না ভাঙে তাহলে মেরে ফেলব”। লোকটা তার আঙুল ওর যোনিতে ঢোকাল। ওকে কঠোর ভাবে পিষ্ট করে ফেলতে ফেলতে অস্ত্র কোথায় সেকথা জিজ্ঞেস করছিল বারবার। ড্রাগ কোথায় যা ও লুকিয়ে রেখেছে। মেয়েটি বারবার মিনতি করছিল তার বাড়িতে ওসব কিচ্ছু নেই। ভগবানের দিব্যি কাটছিল সে। “ঠিক আছে, এই যদি তুই চাস” তাকে উঁচুতে তুলে ধরল। পুরুসাঙ্গ ঠেসে ধরল। পুরো বীর্যের থলি উপুড় করে দিল ওর যোনিতে।
অন্য পুরুষেরা তাকে তাড়া দিচ্ছিল।“ চল চল, আরো অনেকে অপেক্ষা করছে সঙ্গমের জন্য। মেয়েটা পক্ষাঘাতগ্রস্তের মত পড়ে রইল। কিছু বলল না। চিৎকারও করল না, নিঃশব্দে কাঁদছিল। বাচ্চার কথা ভাবছিল, খাটের নিচে থাকা ওর বাচ্চা। তাকে সান্ত্বনা দিতে চাইছিল। শেষ সময় তো আসবারই ছিল।
কী ভয়ানক কাহিনি ! কিন্তু সর্বত্র বাস্তব। এই ভয়াবহতা বাস্তবতা দুইই অনুবাদের গা থেকে চুইয়ে পড়ছে।
Thanks