

শিক্ষানীতির লক্ষ্য
এবারের চমকের বিষয় রাষ্ট্রীয় শিক্ষানীতি। চারদিকে হইচই, খবরের কাগজের হেডলাইন, "এবার প্রাথমিক স্তরে শিক্ষাদানের মাধ্যম হতে চলেছে স্থানীয় ভাষা"। শিক্ষানীতির পরিমার্জিত খসড়ায় (আপাতত যেটি সরকারি সাইটে আছে) দ্ব্যর্থহীন ভাষায় ঘোষণা করা হয়েছে, যে, বহুভাষিকতাই ভারতবর্ষের শক্তি। ভারতীয় ভাষাগুলি গভীর, অভিব্যক্তিসম্পন্ন এবং বৈজ্ঞানিক, তবুও সমাজ এবং শিক্ষায় কথোপকথনের এবং শিক্ষাদানের মাধ্যম হিসেবে ইংরিজিকে ব্যবহার করার এক দুর্ভাগ্যজনক প্রবণতা দেখা যায়। যুক্তি দিয়ে বললে, অবশ্যই, ইংরিজির আলাদা করে ভাবপ্রকাশ করার বিশেষ কোনো ক্ষমতা নেই। বরং ঠিক উল্টো। ভারতীয় ভাষাগুলি শতাব্দীর পর শতাব্দী এবং প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বিশেষ করে ভারতীয় প্রেক্ষিতে, জলহাওয়ায়, সংস্কৃতিতে ভাবপ্রকাশের জন্যই বিকশিত হয়েছে। ("Despite the rich, expressive and scientific nature of Indian languages, there has been an unfortunate trend in schools and society towards English as a medium of instruction and as a medium of conversation. Logically speaking, of course, English has no advantage over other languages in expressing thoughts; on the contrary, Indian languages have been specifically developed over centuries and generations to express thoughts in the Indian scenario, climate, and culture." -- পাতা ৮১। )
তাহলে ইংরিজির বিশেষ মর্যাদা এতদিন কেন দেওয়া হয়েছে? কারণ খুব পরিষ্কার। তাও খসড়ায় স্পষ্ট করেই বলা আছে। ভারতীয় এলিটরা ঐতিহাসিকভাবেই ইংরিজি ব্যবহার করেন। তাঁরা ওতেই পোক্ত। যদিও ভারতে ইংরিজি বলতে পারেন মাত্র ১৫% মানুষ, কিন্তু তাঁরাই ভারতের চাকরির এবং কাজকর্মের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখেন। রাখতে চান। এমনকি ইংরিজি জানাকে অনেক সময়ই "শিক্ষা"র প্রতিশব্দ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। যেন ইংরিজি শিক্ষাই হল শিক্ষার পরাকাষ্ঠা। এবং এতে করে ভারতের বিপুল সংখ্যক জনসমষ্টিকে প্রান্তিক করে রাখা হয়েছে। (পাতা ৮২। আলাদা করে আর ইংরিজি উদ্ধৃতিটা টুকে দেওয়া হলনা। ভাবানুবাদ লেখকের, কিন্তু "এলিট" শব্দটা খসড়াতেই আছে)।
অতঃপর ভাষাগতভাবে এই শিক্ষানীতির উদ্দেশ্য কী? এলিটদের এই বঞ্চনার বিরুদ্ধে চণ্ডাল ভারতবাসী, দরিদ্র ভারতবাসী, নেটিভ ভারতবাসীকে ন্যায়বিচার দেওয়া। যে ব্যবস্থা তাদের এতদিন ধরে বঞ্চিত করে রেখেছে সেটাকে পাল্টানো। যদি সমাজে সত্যিকারের সমতা এবং সকলের সর্বাঙ্গীণ উন্নতি চাওয়া হয়, তাহলে ভাষাকে কেন্দ্র করে গোটা দেশজুড়ে শিক্ষা এবং চাকরির জগতে যে ক্ষমতাচক্র তৈরি হয়েছে, তাকে যত শীঘ্র সম্ভব, থামানো দরকার। ভারতের ভূমিজ ভাষাকে ফিরিয়ে দেওয়া দরকার তাদের হারিয়ে যাওয়া সম্মান, প্রাপ্য পরিসর। ("For true equity and inclusion in society, and in the education and employment systems across the country, this power structure of language must be stopped at the earliest. A major effort in this direction must be taken by the elite and the educated to make increased use of languages native to India, and give these languages the space and respect that they deserve" -- পাতা ৮২)
এই ঘোষণার পর আর কোনো সন্দেহ থাকেনা, যে, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এলিট ও ভদ্রজনদের আধিপত্য রুখে দিতে দৃঢ়্প্রতিজ্ঞ। এবার "ছোটোলোক"দের জয় হবেই। ভাষাগতভাবে। আর উঁচুনিচু কিছু থাকবেনা। আমরা করব জয়। নিশ্চয়।
অ-এলিট ভারতে কেমন ভারতবাসী চাই?
এই শিক্ষাব্যবস্থায় "ছোটোলোক"দের জয় হবে, তা না হয় বোঝা গেল। কিন্তু শিক্ষার ফল হিসেবে বেরিয়ে আসবে যে ভারতবাসী, ভাষাগতভাবে সে কেমন হবে? শিক্ষানীতি একদম গোড়াতেই সেটাও স্পষ্ট করে দিয়েছে। বহুভাষিকতাই ভারতের শক্তি। তার অর্থ খুবই সোজা। অর্থাৎ, লোকে বহুভাষিক হবে। অর্থাৎ কিনা, নানা এলাকায় আলাদা আলাদা একটি ভাষার চর্চাই আর হবেনা। সবাই একাধিক ভাষা বলতে, পড়তে ও বুঝতে পারবে। এবং সেটা শেখানো হবে একদম কচি বয়স থেকে, অর্থাৎ ইশকুলের প্রথম দিন থেকেই। কারণ কী? কারণ, কচি বেলায় ভাষা শেখানো শুধু সহজ, তাইই নয়। সঙ্গে এও ঠিক, যে দুনিয়াজোড়া অধ্যয়নে দেখা গেছে, যে, যে বাচ্চারা একটিমাত্র ভাষা শেখে, তাদের চেয়ে যারা একাধিক ভাষা শেখে, তারা অনেক তাড়াতাড়ি শেখে। জীবনে অনেক বেশি উন্নতি করে। সংস্কৃতি, অভিব্যক্তি, ভাবপ্রকাশ, সব কিছুতেই এগিয়ে থাকে। বহুভাষিক এক ভারতবর্ষ তাই হবে, বেশি শিক্ষিত এবং জাতীয় সংহতিতে বেশি ঐক্যবদ্ধ। ("Children learn languages extremely quickly when immersed early, and multilingual children in studies around the world have also been found to learn faster and be placed better later in life than those who are unilingual. It enriches them intellectually and culturally, and allows them, throughout their lives, to think in more than one way, by being equipped with the structures of expression, vocabulary, idioms, and literature of more than one language. A multilingual India is better educated and also better nationally integrated." -- পাতা ৮১)। কোন অধ্যয়নের কথা এখানে বলা হচ্ছে, তার কোনো সূত্রোল্লেখ এখানে নেই।
ব্যাপারটা সোজা কথায় একটু ভালো করে বুঝে নেওয়া যাক। নতুন শিক্ষানীতিতে বিদ্যালয় শিক্ষাকে চার ভাগে ভাগ করা হয়েছেঃ
১। প্রথম পাঁচ বছরের বুনিয়াদি স্তর : ৩ বছর প্রাক প্রাথমিক এবং প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণী।
২। প্রস্তুতি স্তর : ক্লাস ৩, ৪ ও ৫।
৩। মধ্য বিদ্যালয় : ক্লাস ৬, ৭, ৮।
৪। উচ্চ বিদ্যালয় : ক্লাস ৯, ১০, ১১, ১২।
(পাতা ৭৫)
এর মধ্যে কচি বয়সে (বুনিয়াদি এবং প্রস্তুতি স্তরে, পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত) শিক্ষাদানের মাধ্যম মূলত স্থানীয় বা মাতৃভাষাই হবে (যদিও সেখানে কিছু অস্পষ্টতা আছে, কিন্তু তা এখন থাক)। এর বাইরে ওই বয়স থেকেই বাচ্চাদের করে তোলা হবে বহুভাষিক। তারা একাধিক ভাষা শিখবে। এই ভাষাশিক্ষা চলবে শিক্ষার পরবর্তী স্তরেও। এতে বাচ্চাদের শিক্ষায় উন্নতি হবে। একই সঙ্গে জাতীয় সংহতিও বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হবে।
কী ভাষা শেখা হবে
বহুভাষিকতা ব্যাপারটা বোঝা গেল, কিন্তু বহুভাষিকতা মানে ঠিক কী? বাচ্চারা ঠিক কী ভাষা শিখবে? তার অভিমুখও খসড়ায় স্পষ্ট করেই বলা আছে। এক্ষেত্রে কচি বয়স থেকেই অনুসরণ করা হবে ত্রিভাষা সূত্র। এই ত্রিভাষা সূত্রটা কী জিনিস? খুব নতুন কিছু নয়। ভারতে ভাষা বিতর্ক পুরোনো। ত্রিভাষা সূত্রও। এর নানারকম বিবর্তন হয়েছে, নানারকম আঞ্চলিক পার্থক্যও আছে। গুজরাল এবং জাফরি কমিটি এ ব্যাপারে যা সূত্র দিয়েছিল, তা হল এইঃ
হিন্দিভাষী রাজ্যে শিখতে হবে তিনটি ভাষাঃ ১। হিন্দি (সংস্কৃত সমেত), ২। উর্দু বা অন্য কোনো আঞ্চলিক ভাষা, ৩। ইংরিজি বা অন্য কোনো ইউরোপীয় ভাষা।
অ-হিন্দিভাষী রাজ্যে যে ভাষাগুলি শিখতে হবেঃ ১। আঞ্চলিক বা স্থানীয় ভাষা। ২। হিন্দি। ৩। উর্দু বা অন্য কোনো আঞ্চলিক ভাষা। ৪। ইংরিজি বা অন্য কোনো ইউরোপীয় ভাষা।
অর্থাৎ, কার্যত, হিন্দি এবং ইংরিজি শেখাটা প্রতিটি ভারতীয় শিক্ষার্থীর জন্য বাধ্যতামূলক। এই সূত্র অবশ্য কোথাওই হুবহু অনুসরণ করা হয়না। তৃতীয় ভাষা সেভাবে জোর দিয়ে পড়ানোও হয়না। কিন্তু নতুন শিক্ষানীতি এই সূত্রকেই ব্যাপকভাবে অনুসরণ করার কথা বলছে। একদম প্রাক-প্রাথমিক স্তর থেকে। অর্থাৎ, কার্যত হিন্দি ও ইংরিজিকে প্রতিটি রাজ্যের প্রতিটি মানুষের জন্য বাধ্যতামূলক করার সম্ভাবনা প্রবল। এতে করে, নতুন শিক্ষানীতি দাবী করছে, ইংরিজির এলিটীয় আধিপত্য কমে আসবে। এবং জাতীয় সংহতি স্থাপিত হবে।
হিন্দির আধিপত্য
হিন্দির আধিপত্যের এই সম্ভাবনা নিয়ে নতুন নীতির খসড়ায় কিছু ভাবা হয়নি এমন না। বরং উল্টোটাই। নীতিপ্রণয়নকারীরা এই নিয়ে প্রচুর ভাবনাচিন্তার স্বাক্ষর রেখেছেন পরিমার্জিত খসড়ায়। বলা হয়েছে হিন্দি এলাকার বিদ্যালয়গুলিরও অন্যান্য জায়গার ভাষা পড়ানো উচিত ( "schools in Hindispeaking areas should also offer and teach Indian languages from other parts of India." -- পাতা ৮৭)। এ ব্যাপারটা অবশ্য তাদের ঔচিত্যের উপরেই ছেড়ে রাখা হয়েছে। অর্থাৎ, অ-হিন্দিভাষী এলাকায় বিদ্যালয়ে ৩ বছর বয়স থেকে হিন্দি শেখাতেই হবে। উল্টোদিকে হিন্দিভাষী এলাকায় হিন্দি-উর্দুও পড়ানো যেতে পারে, বা হিন্দি-তামিল। অবশ্যই তামিল পড়ালে ভালো হয়, কমিটির এই মত। কিন্তু বাধ্যতার কোনো জায়গা নেই। ফলে প্রকৃত প্রস্তাবে এই শিক্ষানীতি হুবহু অনুসরণ করলে ভাষাগতভাবে ব্যাপারটা দাঁড়াবে এই, যে, গোটা দেশের প্রতিটি বাচ্চাকে কচি বয়স থেকে হিন্দি শিখতেই হবে। এটা বাধ্যতামূলক। হিন্দি বলয়ের বাচ্চারা অন্য কোনো ভাষা শিখবে কি আদৌ? সেটায় বাধ্যতার কিছু নেই।
বাংলার হাল
বাধ্যতা না থাকলেও, যদি ধরে নেওয়া যায়, হিন্দিভাষী এলাকার প্রতিটি বিদ্যালয় এই শিক্ষানীতির "আত্মা"টি উপলব্ধি করে ফেলল, এবং উর্দুর বদলে অন্য কোনো আঞ্চলিক ভাষা শেখাতে শুরু করল। এই শিক্ষানীতি অনুসরণ করলে হিন্দিভাষী বাচ্চাটি কোন ভাষা শিখবে? এই বহুভাষী ভারতবর্ষে বাংলার কী হাল হবে?
ভারতীয় সরকার ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে, যে ভারতবর্ষে হিন্দি ছাড়াও কিছু ধ্রুপদী ভাষা আছে। তামিল, তেলুগু, কন্নড়, মালায়লম, ওড়িয়া এবং অসমীয়া। জাতীয় শিক্ষানীতি জানাচ্ছে, এই ভাষাগুলি এবং তাদের সাহিত্যকে রক্ষা করা অবশ্য কর্তব্য। ("India also has an extremely rich literature in other classical languages, including classical Tamil, as well as classical Telugu, Kannada, Malayalam, and Odia, in addition to Pali, Persian, and Prakrit; these classical languages and their literatures too must be preserved for their richness and for the pleasure and enrichment of posterity." -- পাতা ৯০)। লক্ষ্যণীয় যে, রক্ষা করার তালিকায় বাংলা কোথাও নেই। এটা শুধু প্রতীকি তা নয়, শিক্ষানীতিতে স্পষ্টই বলা হচ্ছে, কোনকোন ধ্রুপদী ভাষার বিস্তারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোন ভাষার জ্যান্ত থাকা দরকার। এবং বিদ্যালয়ে ব্যাপকভাবে কী ভাষায় শিক্ষা পাওয়া যাবে। ("the teaching of other classical languages and literatures of India, including Tamil, Telugu, Kannada, Malayalam, Odia, Pali, Persian, and Prakrit, will also be widely available in schools, to ensure that these languages and literatures stay alive and vibrant" -- পাতা ৮৭)। এই ভাষাগুলিতে তৈরি হবে কোর্স। ভারতের প্রতিটি স্কুলে ধ্রুপদী ভাষার যে আলাদা কার্যক্রম থাকবে, সেখানে এই ভাষাগুলি থাকবে। বাংলার সেখানে কোনো জায়গা নেই।
খুব সহজ ভাষায় বললে, কোনো যাদুমন্ত্রবলে যদি হিন্দিভাষী বিদ্যালয়গুলি উর্দুর বদলে অন্য ভাষা শেখাতে শুরু করে, তাহলেও তারা তামিল, তেলুগু, কন্নড়, মালায়লম, ওড়িয়া বা অসমীয়া শিখবে। অথবা সংস্কৃত বা পালি বা ফার্সি। বাংলা নয়। বাঙালির বাচ্চারা বাংলার বিদ্যালয়ে বসে হিন্দি শিখবে, কিন্তু হিন্দিভাষী বা অন্য কোনো রাজ্যভাষীরা বাংলা শিখবেনা।
হাতে থাকা পেনসিল
তাহলে যা দাঁড়াল।
১। "স্থানীয় ভাষায় শিক্ষা"এর অর্থ, বাঙালিদের জন্য হলঃ বাঙালি বাচ্চা তিন বছর বয়স থেকে ইংরিজি এবং হিন্দি শিখবে। "বহুভাষিকতা"র মূল কথা দাঁড়াল এই, যে, বাঙালির বাচ্চারা বাংলার বিদ্যালয়ে বসে হিন্দি শিখবে, কিন্তু হিন্দিভাষী বা অন্য কোনো রাজ্যভাষীরা বাংলা শিখবেনা। বাংলা হয়ে উঠবে হিন্দি বলয়ের এক উৎকৃষ্ট সাংস্কৃতিক বাজার, একেই সম্ভবত এক কথায় "জাতীয় সংহতি" বলা হবে। কেবলমাত্র এলিটদের গর্ব কীকরে খর্ব হবে বোঝা গেলনা, কারণ ইংরিজি সর্বরাজ্যে নার্সারি থেকেই বহাল থাকবে। এমতাবস্থায় বাংলার রাজনৈতিক শক্তিদের কী কর্তব্য তা তাঁরাই ঠিক করুন।
পুঃ এই লেখা কেবলমাত্র শিক্ষানীতির ভাষাগত দিক নিয়েই লেখা। মূল প্রশ্নটাই এখানে তোলা হয়নি, যে, শিক্ষা আদৌ কেন্দ্রীয় তালিকায় থাকবে কেন। ৪০০ পাতার শিক্ষানীতি খুঁজলে মাথাভারি কেন্দ্রীয় অস্তিত্বের আরও গাদা নিদর্শন পাওয়া যাবে, যা মূলত যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী। এই লেখায় সেসব ধরা হয়নি। তার মানে এই নয়, যে, সেগুলো নেই।
dc | 103.195.***.*** | ০১ আগস্ট ২০২০ ১১:৩৫95793
সম্বিৎ | ০১ আগস্ট ২০২০ ১২:২৭95794ভাষা তো শুনেছি মনের ভাব প্রকাশের মাধ্যম। তাহলে বিশেষ ভাষার প্রতি এত ইয়ে কেন? বাংলা ছাড়া আর সিব ভাষাই আমার কাছে বিজাত,, বানান করে পড়তে হয়। কিন্তু আমি বাংলা বলতে পারি বলেই বাংলার কোন বিশেষত্ব আছে এটা ভাবাটা দুষ্কর। হ্যাঁ, বাংলায় ভাল লেখাপত্তর আছে। সে সংখ্যাগরিষ্ঠ সব ভাষাতেই আছে। ন্যশানালিস্টিক বা রিলিজিয়াস ফ্যানাটিসিজমের মতন লিঙ্গুইস্টিক ফ্যানাটিসিজমও কোন কাজের কথা নয়। আমি ডিসি লাইনেই দাঁড়ালাম।
sm | 2402:3a80:196b:a32e:678:5634:1232:***:*** | ০১ আগস্ট ২০২০ ১২:৫১95795পশ্চিম বঙ্গে বাংলা ভাষার ব্যবহার কম,সেটাই প্রবলেম।একটা ইলেকট্রিক বিলের দুপাতা জুড়ে ইংলিশ লেখা। স্বল্প শিক্ষিত মানুষ জন,কিস্যু বুঝতে পারেনা,খালি ফিগার টুকু ছাড়া। আদালতের রায় এর মূল কথা উকিল এর মুখে শুনতে হয়।দলিল হয় ইংলিশে লেখা বা বাংলায় লেখা থাকলে তাতে এমন দুর্বোধ্য ফারসি শব্দ থাকে, সেটা শিক্ষিত লোকজন ও বুঝে উঠতে পারে না। পরীক্ষার ফর্ম ইংলিশে ভরতে হয়।দোকানের সাইন বোর্ড ইংলিশে লেখা থাকে।রাস্তায় সাইন পোস্ট অবধি ইংলিশ বা হিন্দি। অন্তত পশ্চিম বঙ্গের মধ্যে এগুলোতে সহজ বোধ্য বাংলায় লেখা বাধ্যতা মূলক ভাবে চালু করা উচিত।
Atoz | 151.14.***.*** | ০২ আগস্ট ২০২০ ০৩:১৫95817
S | 150.129.***.*** | ০২ আগস্ট ২০২০ ০৩:২১95818
:|: | 174.254.***.*** | ০২ আগস্ট ২০২০ ০৩:৪৭95819
aranya | 2601:84:4600:9ea0:55f1:8c00:b9d1:***:*** | ০২ আগস্ট ২০২০ ০৩:৫২95821
S | 2405:8100:8000:5ca1::7e8:***:*** | ০২ আগস্ট ২০২০ ০৪:০৬95823
Atoz | 151.14.***.*** | ০২ আগস্ট ২০২০ ০৪:০৬95824
Amit | 203.***.*** | ০২ আগস্ট ২০২০ ০৫:৩৩95828
aranya | 2601:84:4600:9ea0:1d24:755a:657:***:*** | ০২ আগস্ট ২০২০ ০৫:৪৫95829
Atoz | 151.14.***.*** | ০২ আগস্ট ২০২০ ০৫:৫৪95830
শিকষামন্ত্রি | 2a0b:f4c2::***:*** | ০২ আগস্ট ২০২০ ১১:৩২95836ইয়ে ডিসিসাবকো কেয়া বোলুঁ ম্যয়? সিলেবাসসে চারিয়াপদ নিকালকে ছেঠো ল্যাঙ্গুয়েজ ঘুসা দিয়া।উচ্চমাধ্যমিক দেনেওয়ালোঁকো সত্যনাশ করনেকা মতলব কিঁউ ভাই স্যরজি?
avi | 2409:4061:2d88:9297:720d:2bac:914d:***:*** | ০২ আগস্ট ২০২০ ১১:৩৫95837'আঁকড়ি বুঁকড়ি অক্ষরওয়ালা ভাষা' - প্রসঙ্গত এই ম্যান্ডারিন ভাষা শিখতে শুরু করলাম ডুওলিংগো থেকে। এবং সরলীকৃত চীনা বিগিনার্স লেভেলে খুব খারাপ লাগছে না।
dc | 103.195.***.*** | ০২ আগস্ট ২০২০ ১১:৫৯95839
sm | 2402:3a80:a39:65d2:0:52:b4de:***:*** | ০২ আগস্ট ২০২০ ১২:০৬95840পশ্চিম বঙ্গে অষ্টম শ্রেণী অব্দি বাংলা বাধ্যতামূলক ভাবে একটি বিষয় হিসাবে পড়ানো হোক।চাপ কমানোর জন্য একটি অপ্রয়োজনীয় জিনিষ কিন্তু বাদ দেওয়া যেতে পারে।
সেটা হলো ,বাংলা ভাষায় লেখা নম্বর বা সংখ্যা। এই বাংলায় নাম্বারিং সিস্টেম এর কোন দরকার নেই।হিন্দি,সংস্কৃত, ওড়িয়া কোন ভাষা তেই দরকার নেই।।নাম্বারিং সিস্টেম দেশ জুড়ে শুধু মাত্র ইংলিশে চালু থাকুক।লোক মোবাইলে নাম্বার বুঝতে পারে যখন,তখন আলাদা করে রিজিওনাল ল্যাঙ্গু়েএজ গুলো তে সংখ্যা লেখার যৌক্তিকতা নেই। এটা অতিরিক্ত বোঝা বলে মনে হয়।
সম্বিৎ | ০২ আগস্ট ২০২০ ১২:১০95841অনলাইনে ক্লাসিকাল ফার্সি কোথায় শেখা যায়?
sm | 2402:3a80:a39:65d2:0:52:b4de:***:*** | ০২ আগস্ট ২০২০ ১২:১৫95842এই মুহূর্তে গুরুচন্ডালি তে দেখতে পাচ্ছি সম্পূর্ণ ইংলিশে আই পি,তারপর লেখা ২অগাষ্ট,২০২০। অদ্ভুত ভাবে চোখে লাগে।অগাষ্ট আছে। তারিখ টা ইংলিশ ক্যালেন্ডার মতে।কিন্তু ২আর ২০২০ সংখ্যা দুটি বাংলায় লেখা।
বাংলা ভাষা প্রচারের এমন দূরহ,পরিশ্রমী প্রচেষ্টা কে একান্ত সাধুবাদ জানাই।
ভবদীয়,
বাংলা ভাষার জনৈক অনুরাগী।
sm | 2402:3a80:a39:65d2:0:52:b4de:***:*** | ০২ আগস্ট ২০২০ ১২:১৯95843
সম্বিৎ | ০২ আগস্ট ২০২০ ১২:৪৫95845ইয়ে, অনলাইন। বই বাজারে বেশ কিছু আছে। আশ্চর্যের ব্যাপার বে এরিয়ায় ফার্সি শেখার ইশকুল-টিশকুলও পেলাম না। কিন্তু ভারতীয় ভাষা শিখতে যান, মোটামুটি সহজেই পেয়ে যাবেন। মায় সংস্কৃত অব্দি।
dc | 103.195.***.*** | ০২ আগস্ট ২০২০ ১৩:১৭95847
dc | 103.195.***.*** | ০২ আগস্ট ২০২০ ১৩:২৩95848
সম্বিৎ | ০২ আগস্ট ২০২০ ১৩:২৮95849থ্যাঙ্কিউ, থ্যাঙ্কিউ। ইউডেমি আগে কেন খুঁজিনি, কে জানে!
Amit | 203.***.*** | ০২ আগস্ট ২০২০ ১৪:০৯95850
Goutam Banerjee | 2402:3a80:196f:de2f:878:5634:1232:***:*** | ১৪ আগস্ট ২০২০ ১৮:৫০96243Bengali bhasa west bengal first language.second english,third language hindi. echara india all states bengli language bhasa ke rakh te hobe.oria,asimia,tamil bhasa thakle bangla bhasa thakte hobe.
ar | 96.23.***.*** | ১৫ আগস্ট ২০২০ ২২:২৭96309
ar | 96.23.***.*** | ২২ আগস্ট ২০২০ ২১:৫২96544