এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  গপ্পো

  • ছোটোদের গপ্পো : রানি ঝিলিমিলির রাজমুকুট

    Susmita Kundu লেখকের গ্রাহক হোন
    গপ্পো | ০৩ জুলাই ২০২০ | ২৯২১ বার পঠিত
  • সেদিন কী সাংঘাতিক কাণ্ডটাই না ঘটেছে জানো কি তোমরা? রানি ঝিলিমিলির রাজমুকুটখানি হারিয়ে গেছে। রানি ঝিলিমিলি তো লাল রেশমি উড়ুনিটা পেয়ারা গাছের ডালে ঝুলিয়ে আর মুকুটটি খুলে গোলাপগাছের তলায় রেখে সইদের সঙ্গে একটু কুমিরডাঙ্গা খেলতে গেছেন। খেলছেন তো খেলছেন, বেলা গড়িয়ে গেল, বিকেল ফুরিয়ে গেল, জলে সূয্যিমামার লাল লম্বা ছায়া পড়ল, তবু খেলা শেষ আর হয় না। শেষমেষ বহুদিনের পুরনো বুড়ো রাজপেয়াদা রামদয়াল ডাকতে এল,

    -“ও রানিমা! এবার বাড়ি চলুন না গো। কাল সকালে যে মেলা বিচার বাকি পড়ে আছে। খেয়েদেয়ে ঘুমোতে হবে তো শিগগির। “

    রানি ঝিলিমিলি দেখেন, হ্যাঁ তাই তো বটে! অনেক দেরি হয়ে গেছে। আরেকটু পরেই দাই-মা আন্নাকালী শাঁখে ফুঁ দেবে। তখনও যদি রানি ঝিলিমিলি বাড়ি না ফেরেন তাহলে নির্ঘাৎ বকুনি খাবেন আন্নামাসীর কাছে। ঝটপট রানি ঝিলিমিলি বলেন,

    -“রামদয়ালকাকা তুমি এগোও, আমি আসচি!”

    এই বলে পেয়ারাগাছ থেকে রেশমি উড়ুনিটা নিয়ে ঘামে ভেজা মুখটা মুছে গোলাপগাছের গোড়ায় হাত বাড়ালেন রানি ঝিলিমিলি। অ্যাঁ! কী কাণ্ড! মুকুটটা কই? এখানেই তো রেখেছিলেন! এই গাছটেই তো, তিনটে দুধে আলতা গোলাপওয়ালা গাছটা! গেল কোথায় মুকুটটা? রানির সইরাও তড়িঘড়ি খুঁজতে শুরু করল। গোলাপের বাগানে, কেয়াগাছের ঝোপে, টগরের ডালে, নাহ্! কোত্থাও নেই মুকুট। মুকুটের কি হাত পা গজাল নাকি রে বাবা? গড়বড় দেখে বুড়ো রামদয়াল সেপাইও ডাঁটিভাঙ্গা চশমাটা নাকে এঁটে খুঁজতে শুরু করল চাদ্দিকে। খোঁজ খোঁজ খোঁজ! কিন্তু মুকুটের টিকিটিরও দেখা মেলে না!

    রানি ঝিলিমিলির মুখ কাঁদো কাঁদো, বড়বড় চোখে জল টলটল করছে। রামদয়ালের কপালেও গভীর ভাঁজ পড়েছে চিন্তায়। সইরাও সব থতমত খেয়ে জড়িয়েমড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তোমরা ভাবছ বুঝি মুকুট হারিয়ে গেছে তো কী হয়েছে? রাজাকোষে তো কত্ত সোনাদানা আছে। একটা নতুন মুকুট স্যাঁকরাকে দিয়ে গড়িয়ে নিলেই হয়! উঁহু! অত্ত সোজা নয়। রানির মুকুট কি আর যে সে জিনিস গো! ও যে লাখে একটা মুকুট। পয়সা দিয়ে কিনে, সোনার মূল্য দিয়ে, সেই মুকুট পাওয়া যায় নাকি। তবে কীকরে পাওয়া যায়?

    এই মুকুট যে রানি ঝিলিমিলির দিদিরানিমার মানে ঝিলিমিলির মায়ের মায়ের মুকুট। অনেককাল আগে দিদিরানিমা আগে যখন এই ঝিলিমিলিরই মত ছিলেন তখন এক জলফড়িংকে পেটুক ব্যাঙের হাত থেকে বাঁচিয়েছিলেন। সে জলফড়িং তো আর যে সে ফড়িং ছিল না। সে সমস্ত ফড়িং প্রজাপতি মৌমাছি সকলের রাজা, জাদুফড়িং। সেই জাদুফড়িংই এই মুকুট দিয়েছিল ঝিলিমিলির দিদিরানিমাকে। সেদিন থেকেই তিনি রানি হলেন। তারপর রানি হওয়ার কথা ঝিলিমিলির মায়ের কিন্তু তিনি বললেন যে তাঁর মোট্টে হাতে সময় নেইকো! রানি হতে কিছুতেই পারবেন না। আহা ঝিলিমিলি যে তখন ছোট্টটি, তার দেখাশোনা করতেই তো ব্যস্ত ছিলেন মা। তাই দিদিরানিমার পর রানি হলেন আমাদের ঝিলিমিলি। কিন্তু দেখো ঝিলিমিলি রানিমার মুকুটটাই হারিয়ে বসলেন।

    এবার তাহলে রাজপ্রাসাদে ফেরেন কীকরে রানি ঝিলিমিলি? কোন মুখেই বা ফিরবেন। রাজমুকুট ছাড়া রানি কখনও হয়?

    ঝিলিমিলি সইদের আর রামদয়াল পেয়াদাকে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে রেশমি উড়ুনিটা কোমরে পেঁচিয়ে বেঁধে চললেন মুকুটের সন্ধানে। রামদয়াল পেয়াদা আর সইরা অনেক করে সঙ্গে যেতে চেয়েছিল কিন্তু তাদের রানি ঝিলিমিলি বললেন,

    -“না! এটা আমার লড়াই! আমি খুঁজে আনব যোগ্য রাজমুকুট ঠিক দিদিরানিমার মত। তোমরা ফিরে যাও।”

    এই বলে রওয়ানা দিলেন রানি ঝিলিমিলি। কিন্তু কোন দিকপানে যাবেন তা তো জানেন না। উবু দশ কুড়ি তিরিশ... করে গুনে নিয়ে চললেন একটা দিক ধরে। যেতে যেতে পা টনটন করে, কোমর কনকন করে, হাঁটু ঝনঝন করে। সারারাত পথ চলার পর ভোরবেলায় রানি ঝিলিমিলি একটু জিরেন নিতে বসলেন একটা বাগানে। সেই বাগানে বাস করত একশ পরী। তারা রানি ঝিলিমিলিকে শুধোলো,

    -“হ্যাঁ গো ভালো মানুষের ঝি!

    তোমার ভাবনা বলো কী?

    আমরা পরীকন্যে শত

    করি মুশকিল দূর যত।”

    রানি ঝিলিমিলি তাদের রাজমুকুট হারানোর কাহিনী শোনালেন। একশ পরী ওমনি ডানা দুলিয়ে রঙ ছড়িয়ে চারিদিক থেকে তুলে আনল কত শত ফুল। সেই ফুলের মুকুট গেঁথে পরিয়ে দিল রানি ঝিলিমিলির মাথায়। আরেব্বাস দারুণ সমাধান তো। রানি তাদের ধন্যবাদ দিয়ে রওনা হল রাজপ্রাসাদের দিকে।

    পথ চলতে চলতে ক্লান্ত রানি দিঘির জলে মুখ ধুতে গিয়ে দেখে নিজের ছায়া। ও মা! একা কাণ্ড! সব ফুল তো শুকিয়ে ঝিমিয়ে হয়ে গেছে। এই মুকুটে তো কাজ হবে না তাহলে। মনের দুঃখে রানি ঝিলিমিলি আবার রওয়ানা দিলেন উল্টোপথে। হেঁটে হেঁটে পৌঁছলেন এক পাহাড়ের গায়ে। পাহাড়ের গায়ে বড় সুড়ঙ্গ, তার ভেতরে যেন কারা গান গাইছে,

    -“হুম হাম দুম দাম

    চালাও কোদাল জোরে,

    পাথর ভেঙ্গে ঝকমকিয়ে

    ঝিলিক দেবে হীরে।”

    ঝিলিমিলি একটু উঁকি দিয়ে কাণ্ডখানা দেখতে গেল যেই ওমনি একদল বামন বেরিয়ে এলো। দেখতে তারা মানুষদের মতই শুধু খালি মাথায় একটু খাটো। তারা নাকি পাহাড়ের নিচে পাথর ভেঙ্গে হীরে বার করে। এমন দুর্গম জায়গায় ঝিলিমিলির মত ফুটফুটে মেয়েকে দেখে তো তারা ভারি অবাক। তার ওপর ঝিলিমিলির মুকুট হারানোর দুঃখের কাহিনী শুনে তো হাপুস নয়নে কাঁদতে শুরু করল তারা। চোখের জলে নাকের জলে পাথরের গুঁড়ো মিশে তারপর বেদম হাঁচল খানিক সকলে। কোনও মতে সব সামলেসুমলে উঠে তারা বললে,

    -“কুছ পরোয়া নেই। আমরা হীরে দিয়ে দুনিয়ার সেরা মুকুটটা বানিয়ে দেব তোমার জন্য রানি ঝিলিমিলি।”

    বামনদের বানানো হীরের মুকুট পরে তো মহানন্দে নাচতে নাচতে রানি ঝিলিমিলি ফের বাড়ির পথ ধরলেন। কিন্তু কিছুটা আসার পর ঘাড় টনটনায়, মাথা ঝনঝনায়। কী ভারি কী ভারি মুকুট রে বাবা। ঘাড় সোজা করে রাখাটাই তো মুশকিল। এই মুকুট পরে দিনের পর দিন রাজ্যশাসন করবে কীকরে! নাহ্! হীরের মুকুটও চলবেনা। রানি ঝিলিমিলি হীরের মুকুট খুলে মন খারাপ করে একটা গাছের তলায় বসে থাকেন গালে হাত দিয়ে। ঠিকঠাক মুকুট না পেলে কি আর রাজপ্রাসাদে ফেরাই হবে না? এমনি নানা কথা ভাবতে ভাবতে হঠাৎ শুনতে পেলেন গাছের ওপরে কে যেন কুঁইকুঁই করে ডাকছে। রানি ঝিলিমিলি গাছ বাইতে ওস্তাদ। তরতরিয়ে ওপরে উঠে দেখেন একটা পাখির বাসা, তাইতে তিনটে পাখির ছানা ঠকঠক করে কাঁপছে ঠাণ্ডায়। বেচারিদের এখনও চোখ ফোটেনি, সব লোম গজায়নি গায়ে।

    কিন্তু একী! খড়কুটো দিয়ে তৈরি বাসাটা কীসের ভেতর বসানো! এটা তো রানি ঝিলিমিলির রাজমুকুট! শুকনো কাঠখড় জমা করে বাসা বানিয়েছে মা-পাখি আর বাবা পাখি তারপর রাজমুকুটটা দিয়ে বেড়ার মত করে ঘিরে দিয়েছে। এরাই তাহলে মুকুটটা নিয়ে এসেছে। কিন্তু এখন তো মুকুটটা টেনে বার করে নিতে গেলে পাখির বাসাটা ভেঙে যাবে! কচি ছানাগুলো মাটিতে পড়ে চোট পাবে। এরাও তো রানি ঝিলিমিলিরই প্রজা। এদেরকে রক্ষা করার দায়িত্বও তো রানিমার। কোমরে বাঁধা রেশমি উড়ুনিটা খুলে ভালো করে বাসাটা ঢেকেঢুকে দিলেন রানিমা ঝিলিমিলি। তারপর নেমে এলেন গাছের তলায় ফের। মনটা খারাপের সঙ্গে সঙ্গে ভালোও লাগছে।

    এবার কী করেন কী করেন ভাবছেন রানি ঝিলিমিলি এমন সময় সুরেলা গলায় কেউ ডেকে উঠল,

    -“কে গো তুমি কন্যে এলে

    এতো মায়া প্রাণে,

    বাছারা আমার আছে সুখে

    তোমার স্নেহের দানে!”

    ঝিলিমিলি চমকে তাকিয়ে দেখে দু’টো আশমানি রঙ পাখি, উমনো ঝুমনো লেজ, মাথায় লাল ঝুঁটি। তারাই মাথা ঝুঁকিয়ে গান গাইছে রানি ঝিলিমিলির জন্য। তিনি শুধোলেন,

    -“আচ্ছা তোমরা ওই শক্ত গোল মুকুট দিয়ে বাসাটা ঘিরেছো কেন গো?”

    তারা বললে,

    -“কন্যে আমাদের ছানারা ভারি দুরন্ত কিনা। ডিম ফুটে বেরনোর পরই এত ছটপট করে যে আমাদের সর্বক্ষণ ভয় লাগে এই বুঝি বাসা থেকে পড়ে গেল। সেইদিন খড়কুটো আর পোকামাকড় খুঁজতে খুঁজতে একটা গোলাপগাছের তলায় এই জিনিসটে পেলুম। দেখলুম বেশ দিব্যি বেড়া দেওয়া যাবে বাছাদের। আজ আবার তুমি রেশমি কাপড় দিয়ে ওদের কম্বল করে দিলে। আর আমাদের কোনও চিন্তাই রইল না বাছাদের নিয়ে।”

    রানি ঝিলিমিলি তখন পাখিদের আর কীকরে বলেন যে ওই রাজমুকুটটা ‘ফেরত চাই’! পাখি বাবা আর মা বললে,

    -“কন্যে তুমি কোথায় থাকো? চলো আমরা তোমায় উড়িয়ে পৌঁছে দিয়ে আসি।”

    রানি বললেন,

    -“না না তোমরা মিছে কষ্ট করবে কেন? বাছাদের কাছে থাকো বরং, আমি নিজেই চলে যেতে পারব।”

    পাখিরা তখন বললে,

    -“ঠিক আছে কন্যে। তবে তুমি আমাদের রেশমি কম্বল দিলে, আমরাও তোমাকে একটা উপহার দিই। এই নাও আমাদের মাথার লাল ঝুঁটির লাল পালক। তুমি মাথায় সাজিও, দেখবে কেমন রাজপ্রাসাদের রানির মত দেখাবে তোমায়।”

    পাখিদের বিদায় জানিয়ে রানি ঝিলিমিলি আবার হাঁটা দিলেন। একটা ফিতেয় লাল টুকটুকে পালকগুলো আটকে ফেট্টির মত বেঁধে নিলেন মাথায়। ও মা! যেই না মাথায় বাঁধা ওমনি সে পালক লাল রঙের একটা সুন্দর মুকুট হয়ে ঝলমলিয়ে উঠল রানি ঝিলিমিলির মাথায়। এ মুকুট পরীদের ফুলের মুকুটের মত তাড়াতাড়ি শুকোয় না, এ মুকুট বামনদের হীরের মুকুটের মত ভারিও না। ঠিক যেমনটি রানি ঝিলিমিলির মাথায় মানায় ঠিক তেমনটি। রানি ঝিলিমিলি তো মহানন্দে একপাক নেচে নিয়ে দৌড় লাগালেন বাড়ির দিকে।

    আসলে কিনা রাজমুকুট তো এমনি এমনি মেলে না, তাই না? দিদিরানিমা যেমন জলফড়িংয়ের প্রাণ বাঁচিয়ে মুকুট পেয়েছিলেন তেমনই রানি ঝিলিমিলিও মুকুট পেলেন পাখির ছানাদের উপকার করে। তবেই বোঝো, রানি হওয়া কি চাট্টিখানি কথা নাকি?

    (সমাপ্ত)


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • গপ্পো | ০৩ জুলাই ২০২০ | ২৯২১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Kaktarua | 2607:fea8:4f1f:e85b:a10a:4ccc:5dcc:***:*** | ০৩ জুলাই ২০২০ ০৯:০৬94821
  • Kখুব মিষ্টি গল্প.
  • Agniswar Chakraborty | ০৩ জুলাই ২০২০ ১৮:১৬94838
  • চমৎকার হয়েছে...

  • স্বাতী রায় | 2402:3a80:ab1:5063:7010:4fa9:da50:***:*** | ০৪ জুলাই ২০২০ ০৩:০৩94853
  • খুব ভালো লাগল। রূপকথার স্ট্রাকচারে হলেও ঝকঝকে নতুন গল্প। বা:
  • Rumela Saha | ০৭ জুলাই ২০২০ ১৪:৩৮94975
  • সুন্দর 

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে প্রতিক্রিয়া দিন