রংমিলান্তি রাজ্যে কারা বাস করে জানো? রঙপেন্সিলরা মানে ক্রেয়নরা। বেগনে গাঁয়ে থাকে বেগুনি ক্রেয়নরা, নীল গাঁয়ে নীল, লাল গাঁয়ে লাল... বুঝতেই পারছ ক্রেয়নদের রঙেই তাদের গাঁয়েরও নাম। যখন আকাশের নীল রঙ ফিকে হয়ে আশে তখন রাজামশাই খবর পাঠান নীল গাঁয়ে। লাল গোলাপ ফোটার সময় হলে খবর যায় লাল গাঁয়ে। গাছের পাতা গজায় যখন সবুজ গাঁয়ে দৌড়য় রাজামশাইয়ের পেয়াদা। ... ...
আমাদের আজকের গপ্পো এক বাদামি কাঠবেড়ালির ছানাকে নিয়ে। সে এক ভারি দুষ্টু কাঠবেড়ালি। পাইন গাছের কোটরে থাকে মা বাবার সঙ্গে। দুপুরবেলায় যেই না মা একটু দুই চোখের পাতা এক করেছে ওমনি দুষ্টু কাঠবেড়ালি কোটর থেকে এক লাফে বেরিয়ে ভোঁকাট্টা। কোথায় পালায় কাঠবেড়ালি? কোথায় আবার! এই কাছেপিঠে হেথাহোথা। কখনও যায় এ পাশের কোটরে লুকনো বাদাম খেতে, কখনও ও পাশের গাছের ঢুলঢুলুনি প্যাঁচাকে জ্বালাতন করতে, কখনও আবার গাছের গোড়ার ঝোপে লুকনো খরগোশছানাদের ডেকে ডেকে ঘুম থেকে তোলে। ... ...
সেদিন কী সাংঘাতিক কাণ্ডটাই না ঘটেছে জানো কি তোমরা? রানি ঝিলিমিলির রাজমুকুটখানি হারিয়ে গেছে। রানি ঝিলিমিলি তো লাল রেশমি উড়ুনিটা পেয়ারা গাছের ডালে ঝুলিয়ে আর মুকুটটি খুলে গোলাপগাছের তলায় রেখে সইদের সঙ্গে একটু কুমিরডাঙ্গা খেলতে গেছেন। খেলছেন তো খেলছেন, বেলা গড়িয়ে গেল, বিকেল ফুরিয়ে গেল, জলে সূয্যিমামার লাল লম্বা ছায়া পড়ল, তবু খেলা শেষ আর হয় না। শেষমেষ বহুদিনের পুরনো বুড়ো রাজপেয়াদা রামদয়াল ডাকতে এল.. ... ...
এক ছিল মেয়ে। সে হবে এই এক বিঘৎখানেক লম্বা। বিঘৎ শুনে ভির্মি খেওনা বাপু, বিঘৎ হল গিয়ে এই তোমার হাতের চেটো আর আঙুলগুলো মিলিয়ে যতখানি, সেই ততখানি। ওই দ্যাখো আবার ভুরু কোঁচকায়। তোমরা বুড়ো আংলার গল্প জানো? দেড় আঙ্গুলেকে চেনো? থাম্বেলিনার গপ্পো পড়েছো? আমাদের এই মেয়েও ওইরকমই। এই বিঘৎখানেক লম্বা। মেয়ের নাম হল গিয়ে লীলাবতী। লীলাবতী খুব দয়ালু আর ভারি ... ...