এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • নাটকের মেয়ে আর মেয়েদের নাটক

    অনুরাধা কুন্ডা লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ০৮ মার্চ ২০২০ | ১৯৫৪ বার পঠিত
  • মেয়ে। তার ওপর আবার নাট্যকর্মী ! মেয়েদের গোটা জীবনটাই তো একটা নাটক। নবনীতাদি একটা গপ্পো লিখেছিলেন না! " নাট্যারম্ভ" নামে? সে ছিল তাঁর কন্যার বিবাহের গপ্পো।কিন্তু মোটের ওপর দেখলে, গড়পরতা মেয়ের জীবন অভিনয় করেই কেটে যায়।ভালো না লাগলেও বলতে হয় ভাল্লেগেছে। খারাপ লাগলে পাচন খাওয়া মুখ করলে চলবে না।এক গাল হেসে বলতে হবে " ভীষ্ষণ ভাল্লো।" যেটা ইচ্ছে করবে তার উল্টোটা করতে হবে।খিদে পেলে বলতে হবে এট্টুও খিদে নেই।যা সহ্য হবে না, তাও দম বন্ধ করে সহ্য করতে হবে মুখে হাসি নিয়ে ।পছন্দ অপছন্দ বলে কিছু রাখা চলবে না। কর্তার ইচ্ছেয় কর্ম মেনে চলতে চলতে নিজের পছন্দ অপছন্দগুলো পাল্টে যাবে।রোজ রাঁধতে বোরিং লাগলেও বলতে হবে" রান্না আমার প্যাশন"। তো এতো অভিনয় করতে করতে মেয়েরা কখন যে সহজাত অভিনেতা হয়ে যায় তা তারা নিজেরাও জানে না। মঞ্চ অভিনয় ক্ষেত্রে অধিকাংশ পুরুষদের একটা সমস্যা থাকে।হাত দুটো নিয়ে তাঁরা কি করবেন ঠিক বুঝে উঠতে পারেন না।পকেটে রাখবেন, না পাশে এ নিয়ে বিস্তর বিড়ম্বনায় ভোগেন অনেকেই। মেয়েদের হাত নিয়ে কিন্তু কোনো সমস্যা হয় না। আঁচল, ওড়না, নখ , চুড়ি , বালা সহযোগে মাল্টি টাস্কিং এর অভ্যেস তাদের এতো দক্ষতা এবং সহজাত অভিনয়ের অভ্যেস করিয়ে দেয়, যে হাত কোনো সমস্যা ই হয় না।দশভুজা হবার একটা লোভ মেয়েদের মনের মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় জ্ঞান হওয়া ইস্তক। তো সেই দশহাতে দশকাজ সামলানো তো অভিনয় ই বটে।সংসার নাটমঞ্চে মেয়েরা দশভুজা হতে বড্ড ভালবাসেন। সে পরে নার্ভের অসুখ হোক না কেন!! লোকে বাহবা দেবে তো বটে! তাই অভিনয় করতে করতে ওটাই স্বাভাবিক হয়ে যায়। কোন্নো অসুবিধে হয় না!

    এতক্ষণ হাল্কা চালে চলছিলাম। ফাজলামির সুর বটে।কিন্তু কথা মিথ্যে নয়।এবার আসি মেয়ে নাট্যকর্মীর কথায় ।

    সত্যি হল এই যে মঞ্চ মধ্যে মেয়েরা, মানে অধিকাংশ মেয়েরাই পুতুল মাত্র। ডিরেক্টর নন। কোরিওগ্রাফার হলেও হতে পারেন। আলোকসম্পাত করেন না। প্রোডাকশন ম্যানেজার নন। আর যদি বা ঐ যেগুলো নেতিবাচক বললাম, সেগুলো দৈবক্রমে হয়ে পড়েন, তার বিস্তর জ্বালা। পেশাদারী অভিনেতা হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে মেয়েদের অনেক সমস্যা ।এখনো। তার কারণ অবশ্যই বিয়ে আর সংসার।কথাগুলো পুরনো হলেও সত্যি। নাটক করবি? তাহলে তো বিয়ে হবে না। আর যদি হয় তবে বিয়ের পর আর নাটক করা যাবে না।কারণ আজো মেয়ের দল বিয়ে হলে চাকরি ছেড়ে ও শ্বশুরবাড়ি চলে যেতেই ভালোবাসে।নাটক তো কোন ছাড়। মঞ্চে ওঠা, মেকাপ আর হাততালির মোহ অভিনয়ের প্যাশনের চেয়ে অনেক অনেক বেশি। ডাক্তার হওয়ার জন্য দীর্ঘদিন পড়াশোনা করতে হয় ।শিক্ষক, ইঞ্জিনিয়ার, উকিল , অধ্যাপক যাই হও না কেন, ঘাম ঝরিয়ে পড়াশোনা আর চর্চা। ক্রিকেট,ফুটবল যাই খেলো না কেন, দীর্ঘদিন অনুশীলন চাই।শুধু নাটক এমনি এমনি করা যায়! মানে কোনো পড়াশোনা বা অনুশীলন ছাড়া স্রেফ ডায়ালোগ মুখস্থ করেই মঞ্চ কাঁপানো যায়, এমন মূর্খ ধারণা নিয়ে নাটক করতে আসেন বহু মানুষ। আর তাঁরা যদি " মেয়ে মানুষ" হন আর একটু চেহারা পত্তর থাকে, তবে তো কথাই নেই। অভিনয় যে শুধুমাত্র সেজেগুজে মঞ্চ আলো করে দাঁড়ানো নয়, অভিনয় দিয়ে মঞ্চ আলো করতে হয়, সেটা অনেকের অজানা।ছেলেমেয়ে নির্বিশেষে এই রোগ আছে।মেয়েদের কিছু অ্যাডিশনাল উপরোগ আছে।তাদের পিছনে একটা " বর জুটিয়ে ফেলার" সামাজিক ও পারিবারিক তাড়না থাকে।তাই মঞ্চ অভিনয়ের ক্ষেত্রে মেয়েদের সংখ্যা কম।এছাড়া বাড়ির নিষেধ থাকে।বাড়ি ফেরার তাড়া থাকে।সংসার, স্বামী, রান্না, বাচ্চা সামলে মহড়াতে আসা চাট্টিখানি কথা নয়।কাজেই বেশির ভাগ মেয়ের ক্ষেত্রে মঞ্চ অভিনয় একটি সাময়িক বিনোদন।চার পাঁচ বছরের মেয়াদ। অভিনয়ের জন্য যে দীর্ঘদিন অনুশীলন, শিক্ষা, থিওরেটিকাল এবং প্র্যাকটিক্যাল প্রয়োজন সেটি খুব সমসংখ্যক মেয়ে দিয়ে উঠতে পারেন।

    ফলে অভিনয় নিয়ে নিরীক্ষার সুযোগ থাকে কম। "নাটুক" মেয়ের তক্মা নিয়ে যাঁরা মঞ্চে ঝাঁপান, তাঁরা জানেন কত প্রতিবন্ধকতা সামলে মঞ্চের চরিত্র হয়ে উঠতে হয়।

    শিল্পীর এবং শিল্পের জগতে ডুবতে গেলে সাধনা প্রয়োজন । পুরুষকে সমাজ ও পরিবার যতসহজে সাধনার সময়, সুযোগ এবং সহযোগিতা দেয়, মেয়েকে তো তা দেয় না। তাই নাট্যকর্মী কে লড়াই করতে হয়।সহমর্মী অভিভাবক পেলেও সহমর্মী জীবনসঙ্গী পান না অনেকেই ।আস্তে আস্তে নাটক চলে যায় জীবন থেকে।

    একটা সময় মেয়েদের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হওয়া বা সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হওয়া চল ছিল না।হাতে গোনা মেয়ের এসব অঞ্চলে পড়াশোনা ছিল।নাটকে আলো বা সঙ্গীতায়োজনের ক্ষেত্রে এখনো মেয়েদের যাতায়াত সীমিত ।টেকনিক্যাল কাজে মেয়েদের উৎসাহ কম কেন? গ্ল্যামারের অভাব ? যেক'জন যেতে চান, তাঁদের উৎসাহ দেওয়ার চেয়ে নিরস্ত করার প্রবণতা বেশি ।বাইনারির চক্রান্ত ঘেঁটে দেয় সব।

    আর পরিচালক? নাটকে পরিচালক আর পরিচারক সমার্থক ।অন্তত ছোট দলে।জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ । সব করতে হয়।এবং মেয়ে পরিচালক হলে বাড়তি সমস্যা অনেক।প্রথমত মেয়েদের এখনো একটু কম মানুষ বলেই মনে করা হয় কিনা! কম জানে।কম বোঝে। কম দক্ষ । পেশাদারিত্ব কম।এতগুলো প্রি কনসিভড আইডিয়া র বোঝা সামনে নিয়ে মেয়ে নাট্যকর্মী পরিচালনার কাজ সামলান। যদি নরমসরম হন, তবে কোনো কথা নেই।যদি শক্তপোক্ত হন , বা প্রয়োজনে কঠিন, প্রয়োজনে কোমল, তবে দুইখান কথা আসে।
    পুরুষ পরিচালক যদি প্রয়োজনে কঠিন হয়ে যান, দরকারে ডন তবে তিনি পূজিত হবেন।কিন্তু মহিলা পরিচালক যদি তেমন রূপ ধরেন তবে তিনি ভয়ংকর।আপনার নামের পেছনে যদি বংশ
    গৌরব থাকে তবে খাতিরদারি কিছু থাকতে পারে, নাও পারে।কিন্তু আপনি যদি যদি নিজস্বমাটি থেকে ওঠেন তবে প্রতি পদে নিজেকে প্রমাণ করতে হবে । আপনি পুরুষমহলে গিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা সিগারেটসেবন নাই করতে পারেন।আড্ডা নাই দিতে পারেন।তাতে কিছু এসে যায় না। কিন্তু আপনার যোগাযোগ কম থাকবে।ফলে আপনি পিছিয়ে পড়তেও পারেন এই যোগাযোগের যুগে।

    আজকাল সাধনা অতি অসাধ্য বিষয় ।কিছু না শিখেই থিয়েটার করা যায়, এমন ধারণা নিয়ে অনেকেই শখের থিয়েটারে আসেন।থিয়েটারচর্চার সিরিয়াস দিক নিয়ে তাঁরা ভাবেন না।ভাবাতে গেলে তাঁদের ইগো সমস্যা দেখা দেয় ।আর কে না জানে যে মেয়েমানুষ কম জানে! তাই পুরুষতন্ত্রের নিয়মাবলী মুখস্থ করে মেনে না চললে, মেয়ে নির্দেশকের কপালে ঝামেলা থাকে।আর মেয়ে নির্দেশক যখন পুরুষতান্ত্রিকতা পোষণ করেন , তখন তাঁকে জাঁহাবাজ আখ্যা দিয়ে লেবেল সেঁটে দিতে হয় ।মেয়েরা নিজের মত করে কাজের পরিসর পান কতটা তা নিয়ে সন্দেহ আছে।
    গৃহগত কাজ সামলে মেয়েরা যখন নাট্যকর্মে আসেন , তখন প্রাণ ঢেলে কাজ করতে হয়।প্রায়শ বাড়ির ফোন আসে। ছেলের পরীক্ষা।বরের এটা সেটা।আর কত দেরি হবে। বেশি দেরি হলে বাড়িতে অশান্তি।বাইরে শো থাকলে নানাভাবে " ম্যানেজ" করার শিল্প আয়ত্ত্ব করো । বাবা মা নয় বরকে বোঝাও যে গ্রুপ যাচ্ছে।তারা কেউ মানুষখেকো নয়।মোদোমাতাল ও নয়।কেউ আপনার বউ বা মেয়ের শ্লীলতাহানি করবেন না।অথবা কচিৎ কদাচিত্ এরকম ঘটে থাকে বলেই বাড়ির লোক ছাড়তে চান না।তবে এখনো সে ব্যাপারটা মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছায়নি।
    মেয়ে নাট্যকর্মী বেশ খানিকটা নিজের ইচ্ছাতেই মঞ্চে আসেন।থাকেন।গোটা সমাজ ব্যবস্থা মারাত্মক ভাবে পুরুষতান্ত্রিক। নাটক তো সেই কাঠামোর বাইরে নয়।মজার কথা এই যে নাটক ই আবার কাঠামো ভাঙার কথা বলে।নতুন ব্যবস্থা আনার কথা বলে।অথচ আশ্চর্য একটা দড়ি কোনো অদৃশ্য ডিরেক্টরদাদার হাতে ধরা থাকে। মেয়েরা পুতুল নাচবে এটাই স্বাভাবিক তাঁদের কাছে।কাজেই মেয়ে নাট্যকর্মী একটা গন্ডীর মধ্যে ঘোরাফেরা করেন।সীমিত কয়েকজন ঐ সীমাবদ্ধতার বাইরে গিয়ে নিজস্ব পরিচিতি ও পরিসর গড়ে তোলার চেষ্টা করেন মাত্র।মহিলা নির্দেশক সংখ্যা পুরুষের তুলনায় সামান্য।কারণগুলো বললাম তো।

    এতো কিছু সত্ত্বেও বলি, নাটকের মঞ্চে মেয়েদের শোষণ হয় না। হাতে ক্ষমতা থাকে না , এটা ঠিক ।আবার এক্সপ্লয়টেশনের দৃষ্টান্ত ও কম।

    আর অনেক প্রতিকূলতা সামলে যাঁরা মঞ্চে কাজ করতে আসেন, তাঁদের হাজারো কুর্নিশ জানালেও কম হয়।তাঁদের ক্ষমতার, প্রতিভার পূর্ণ বিকাশ হয় না সবসময় ।তবু জানপ্রাণ দিয়ে তাঁরা থিয়েটারে থাকেন। এও কি কম গর্বের কথা !
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ০৮ মার্চ ২০২০ | ১৯৫৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • শর্মিষ্ঠা দাস | 172.69.***.*** | ০৮ মার্চ ২০২০ ১৭:৪৮91278
  • যা কিছু গতানুগতিক তার বাইরে কিছু করা মানেই অনেক বাধা অনেক গন্ডী পেরোনো । নাটকেও তা হবে তাতে আর আশ্চর্য কি ! তবু অনুরাধা নিজে সে গন্ডি পেরিয়ে অনেককে হাত ধরে নড়বড়ে সাঁকো পেরোতে সাহায্য করছে --এ লেখাতে সেই সুগন্ধির আঁচ পেলাম ।
    অভিনন্দন ।
  • hu | 172.68.***.*** | ১১ মার্চ ২০২০ ০২:৩৩91395
  • পেশাটা আরেকটু অর্থকরী হলে হয়ত বিয়ের পর ছেড়ে দেওয়ার প্রবণতাটা কমে।
  • সে | 162.158.***.*** | ১৩ মার্চ ২০২০ ০৪:২৮91445
  • মেয়ে চরিত্র বাদ দিয়ে নাটক হোক তবে। মেয়েরা নাটক করা বন্ধ রাখুন কিছু সময়।
    শুধু দোষ দিলে চলবে? করে দেখান।
    রঙ্গকর্মী বলে একটা নাটকের দল ছিল জানেন কি?
    ইচ্ছে এবং চেষ্টা থাকলে সব হয়।
    বিয়ে করে সংসার করে বাচ্চা মানুষ করে সব দায়িত্ব পালন করে বা বেশির ভাগ দায়িত্বটা কাঁধে নিয়ে বাকিটুকু দিয়ে নাটক করলে সেটা অ্যামেচার ব্যাপার হয়।
    সত্যিই মন থেকে জিনিসটা ভালোবাসলে বা মনের জোর থাকলে কমিটমেন্ট তৈরি হবেই, এটাকে পুরুষতন্ত্রের ঘাড়ে চাপানো যেতেই পারে কিন্তু সেই পুরুষতন্ত্রকে দোষ দেবার চেয়ে নিজেরা আরও সবল হবার চেষ্টাটা জারি রাখলে কিছু না কিছু একটা হবেই।
    মনে করুন শুধু মেয়েরা মিলে একটা নাটকের দল তৈরি করা। পারবেন কি?
  • pi | 162.158.***.*** | ১৩ মার্চ ২০২০ ০৮:৩০91447
  • ওমা, অনুরাধাদিদের তো মেয়েদের নাটকের দল রয়েছে! নাটক, নাটক উতসব, ফিল্ম - কত কিছু করেন!!
  • সে | 162.158.***.*** | ১৩ মার্চ ২০২০ ১৬:০৭91449
  • বাহ সে তো খুব ভাল কথা। সেটা লিখে দিলে ভালো হতো।
    সবাই তো কোলকাতায় থাকে না। যেমন আমি। এইটে পড়ে কী করে বুঝব যে ওঁর নিজস্ব দল আছে? নামই শুনিনি আগে।
    কোন কোন মেয়েদের নিজস্ব নাটকের দল রয়েছে সেটা মেনশন না করলে বড্ড বেশি অভিযোগ মনে হয়।
    সবসময় সংসারকে দোষারোপ করা বাদ দিয়ে নিজেরা কতটা কী করছি সেটায় ফোকাস করলে মেয়েরা শক্তি পায়, নইলে কেবল দোষারোপের বৃত্তে পড়ে ঘুরতেই থাকি।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন