এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  খবর  টাটকা খবর

  • ডুয়ার্সের ডায়রি ঃ পঞ্চম কিস্তি

    শর্মিষ্ঠা বিশ্বাস লেখকের গ্রাহক হোন
    খবর | টাটকা খবর | ১৩ ডিসেম্বর ২০০৯ | ১০৬৭ বার পঠিত
  • (এই ডায়রিটা শুরু ১১ই নভেম্বর, ২০০৯ আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত "জলপাইগুড়ির টাটা চা বাগান' লেখাটার পর থেকে। গত ৫ই ডিসেম্বর প্রকাশিত হয় চতুর্থ কিস্তি ( http://guruchandali.com/?portletId=20&porletPage=1&pid=wpgc:///2009/12/05/1260013306529.html )। আজ পঞ্চম কিস্তি।)




    ৭ই ডিসেম্বর, সকাল ১১ টা ২৩ :

    নতুন কিছু ঘটেনি আর নেওড়ানদী চা বাগানে। বাগান বন্ধই রয়েছে। ভাবছি চা বাগান নিয়ে নতুন কী লিখব। ছোট ছোট ক্ষমতার বিন্দু দেখি, আর দেখি সেই ক্ষমতাটুকু ধরে রাখার জন্য কী ভয়ানক প্রচেষ্টা। কয়দিন ধরে একটা বিষয় বারবার মাথায় আসছে। আসলে আমরা কাজটা নেওড়ানদীতে শুরু করার পর থেকেই টাটা এবং ম্যানেজমেন্ট একটা প্রচার চালিয়ে আসছে। প্রচারটা এই রকম যে, আদিবাসী বিকাশ পরিষদ বা আইইউএফ বাগানের শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্ব করেনা। এবং তারা বাগানের সমস্যা সমাধানের জন্য বাগানের শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্ব করে এমন ট্রেড ইউনিয়নের সাথেই কথা বলবে। আইনি ভাবে বিষয়টাকে সঠিক রাখার জন্য তখন আমরা ওখানকার শ্রমিকদের নিয়ে নেওড়ানদী শ্রমিক অ্যাকশন কমিটি বানাই। কারন আইইউএফ আবার কোনও ট্রেড ইউনিয়ন-কেই সমর্থন করতে পারে, এদের ছাড়া কোনও রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করতে পারে না। গণ্ডগোলটা বাঁধল এইখানে।

    আমরা অ্যাকশন কমিটি বানালাম আইনি জটিলতার কথা মাথায় রেখে। মাথা থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল এখানে একটা অন্য জটিলতা সৃষ্টি হতে চলেছে। শ্রমিক অ্যাকশন কমিটি বানানো মাত্র আদিবাসী বিকাশ পরিষদ বোধহয় ভাবতে শুরু করল যে এটা একটা অন্য সংগঠন, এবং এই সংগঠনে তাদের নিজেদের ক্ষমতা থাকবে না। তাই আদিবাসী বিকাশ পরিষদ এর অস্তিত্বকে অস্বীকার করতে শুরু করল। যদিও আমরা এই কথাই মানি যে, আদিবাসী বিকাশ পরিষদ ছাড়া এই আন্দোলন শুরুই হত না। বা, এতদূর আসতেও পারত না এই আন্দোলন। ট্রেড ইউনিয়নেরা মালিকের দালালি করে করে এমন করেছে যে শ্রমিকরা মালিকের বিরুদ্ধে লড়াই করার মত মনের জোর বা মোটিভেশনই পাননা আজকে আর। আর সেখানে আদিবাসী বিকাশ পরিষদ তাদের সামনে এল একরাশ অক্সিজেনের মত। আর ঐ একই কারণে আমরাও গেলাম শ্রমিকদের আন্দোলনের কাছাকাছি, আদিবাসী বিকাশ পরিষদের উপস্থিতিই শ্রমিকদের ঐ লড়াইকে এটুকু তীব্রতা দিয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘ বঞ্চনার সাথে সাথে অস্তিত্বের সঙ্কট এতটাই প্রকট রয়েছে আদিবাসী বিকাশ পরিষদের ইতিহাসে, যে, অন্যকে বিশ্বাস করায় তাদের একটা অস্বস্তি রয়েই যায়। আইইউএফ-এর তরফে আমাদের উপস্থিতি আদিবাসী বিকাশ পরিষদের অস্তিত্বকেই যে আরও বেশি করে প্রমাণ করে, তাদের লড়াই কে বিশ্বজুড়ে সম্মানিত করে তোলার একটা প্রচেষ্টা যে আমরা নিয়েছি, বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা আরও অনেক শ্রমিক বন্ধুদের সমর্থন যে তাদের লড়াইকে আরও শক্তিশালী করবে, একথা তারা বুঝতে পারছেন না।




    ৮ই ডিসেম্বর, সন্ধ্যা ৭টা ০৫ :

    শনিবার গিয়েছিলাম আদিবাসী বিকাশ পরিষদের সাথে আলোচনা করতে। আমরা কেন অ্যাকশন কমিটি বানালাম, ওঁদের লড়াই-এর প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা, লড়াইয়ের পরবর্তী কোনও স্তরে ওঁদের পাশে আমরা কী ভাবে থাকতে পারি, আর বিশেষ করে টাটার ক্ষমতা ও তার সঙ্গে লড়াই এর কৌশল কী হতে পারে, এই বিষয়গুলি নিয়ে বিশদ আলোচনা করতে। কারণ আদিবাসী বিকাশ পরিষদের কারুর কারুর কথায় মনে হচ্ছিল যে শ্রমিক অ্যাকশন কমিটিকে ওঁরা হয়ত পৃথক একটি সংগঠন বলে ভাবছেন। যা আদৌ সত্যি নয়।




    ৯ই ডিসেম্বর, রাত ৯ টা ০৯ :

    খুবই মুস্কিলের পরিবেশ লাগছে। আইইউএফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, নেওড়ানদী বাগানের শ্রমিকদের আন্দোলনের সমর্থনে, শ্রমিকদের এই চূড়ান্ত আর্থিক সঙ্কটে, লড়াইটা চালিয়ে যাওয়ার জন্য শ্রমিকদের প্রত্যেককে ১০ কেজি করে চাল ও এক কেজি করে মুসুর ডাল দেওয়া হবে। কিন্তু তার জন্য যা খুব দরকার সেটা হল, আন্দোলনে অংশগ্রহণের প্রমাণ হিসাবে অ্যাকশন কমিটির দাবীগুলির পক্ষে শ্রমিকদের সমর্থন-সূচক স্বাক্ষরসহ মাস পিটিশন। যেটা টাটার অন্যায়ের বিরুদ্ধে এই লড়াইয়েও একটা গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। কিন্তু আদিবাসী বিকাশ পরিষদের বোঝাপড়ার অভাবে তা এখনও হয়ে ওঠেনি। কাল বাগানের এক শ্রমিক বন্ধুর সাথে কথা বলার সময় বুঝলাম তারাও মনে করছে যে, মাস পিটিশনটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু তারাও অপেক্ষা করছে বিকাশ পরিষদের আদেশের। "আদেশ' শব্দটা জেনে বুঝেই লিখলাম। আদিবাসী বিকাশ পরিষদের লড়াইএর প্রতি এখনও আস্থা আছে, আমার এবং আমাদের। কিন্তু এইভাবে এক একটা কেন্দ্রীভূত শক্তি তৈরী হওয়া দেখলেই কেমন যেন ভয় হয় মনে। সেই নেতাদের সম্মতি অসম্মতির বেড়াজালে আটকে যায় কত মানুষের ভাবনা। আজকে বাড়ি ফেরার সময় আমার এক সহকর্মী বলছিল যে এইভাবেই বোধহয় মানুষ বারবার ভগবান আর শয়তান একই সাথে তৈরী করে।

    আজকে জানতে পারলাম আদিবাসী বিকাশ পরিষদ তাদের ট্রেড ইউনিয়ন তৈরী করতে চলেছে। নাম হবে অখিল ভারতীয় শ্রমিক ইউনিয়ন। মানে সবটাই হয়ে গেছে। আর রেজিস্ট্রেশনের জন্য দরখাস্তও জমা পড়ে গেছে। শুধু রেজিস্ট্রেশন পাওয়ার অপেক্ষা।

    খুব মজা লাগল আজকে আমাদের কথোপকথন,আদিবাসী বিকাশ পরিষদের সঙ্গে। আজ আমরা গিয়েছিলাম আদিবাসী বিকাশ পরিষদের সাথে কথা বলতে। সেখানে আমরা জানতে চাইলাম, তাদের ট্রেড ইউনিয়নের মধ্যে চা শ্রমিকদের জন্য পৃথক নামের কোনও সংগঠন থাকবে কিনা। তার উত্তরে সেই নেতা বললেন যে, ভবিষ্যতে তাদের ইচ্ছা আছে চা শ্রমিকদের জন্য পৃথক ট্রেড ইউনিয়ন বানানোর। সেটা পরিষ্কার করার জন্য উদাহরণ দিলেন যে, যেমন সিআইটিইউ একটি কেন্দ্রীয় সংগঠন এবং তার অন্তর্গত বাকি ট্রেড ইউনিয়নগুলি ঐ সিআইটিইউ-রই অন্তর্ভুক্ত, তেমনই এই অখিল ভারতীয় শ্রমিক ইউনিয়ন একটি কেন্দ্রীয় সংগঠন এবং ভবিষ্যতে চা-এর পৃথক ট্রেড ইউনিয়ন হলে সেটি হবে কেন্দ্রীয় সংগঠনটিরই অন্তর্ভুক্ত। আবার মনে পড়ে গেল ক্ষমতাকেন্দ্রিক রাজনীতির কথা, কেমন যেন ভয় লাগল, সেই একই কায়দা, একই ধাঁচা।




    ১০ই ডিসেম্বর, সন্ধ্যা ৭ টা ০৯ :

    আজ আবার হানা দিলাম আদিবাসী বিকাশ পরিষদের অফিসে। একটুও যদি বোঝাতে পারি ওদের আমরা যে, ওদের সংগঠন ভাঙতে বা ওদের ব্যবহার করে অন্য কোনও সংগঠন গড়তে আসিনি। বরং ওরা চাইলে আমাদের সাহায্য নিতে পারে যা কিনা ওদের তৈরী হতে চলা নতুন সংগঠনের জন্যই অনেক বেশি কাজের হবে। পরিষ্কার বোঝাতে পারলাম কিনা জানিনা। আর তাছাড়া যেটা লক্ষ্য করতে পারলাম, সাংগঠনিক ভাবে এরা বেশ অগোছালো। গত শনিবার বিকাশ পরিষদের এক নেতাকে নেওড়ানদীর যে ফাইল দিয়েছি সেই খবর অন্য নেতারা জানেন না। যাকে ফাইলটা দিয়েছি তিনি আবার আদিবাসী বিকাশ পরিষদের নব নির্বাচিত সম্পাদক। আবার যে নেতাটি আমাদের দেওয়া ফাইলের খবরই রাখেন না, তিনি আদিবাসী বিকাশ পরিষদের ট্রেড ইউনিয়নের সহ সম্পাদক এবং নেওড়ানদী বাগানটির মূল আন্দোলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত। এতটা অগোছালো হলে শক্তিশালী সংগঠিত টাটার মত দানব পুঁজির মালিকের বিরুদ্ধে লড়াই করা বেশ কঠিন।




    ১১ই ডিসেম্বর, সকাল ৯ টা ৫৩ :

    কাল আবার গিয়েছিলাম নেওড়ানদী বাগানে। বিকাশ পরিষদের সাথে কোন সমস্যা তৈরী হয়েছে এমনটা কোন ভাবেই বোঝাতে চাইনি আমরা। কারণ, আমাদের দিক থেকে সত্যিই কোন সমস্যা নেই। আসলে আন্তর্জাতিক ট্রেড ইউনিয়ন বিষয়টাই ওদের কাছে এক নতুন ধারণা। তাই সেটাকে বুঝতেও একটু অসুবিধা তো হবেই। আর সেই বোঝার অসুবিধার কারণে, যদি শ্রমিকদের কাছে, যারা আবার আদিবাসী বিকাশ পরিষদেরও সদস্য, কোন ভুল বার্তা যায় সেটাও খারাপ হবে। আজ আমরা আদিবাসী বিকাশ পরিষদের তৈরী অখিল ভারতীয় শ্রমিক ইউনিয়নের সহ সম্পাদকের সাথে কথা বলেই বাগানে ঢুকলাম। গিয়ে দেখা হল সেখানকার শ্রমিক বন্ধুদের সাথে। তারা বললেন যে আমাদের আন্তর্জাতিক প্রচার তাদের অবস্থানকে শক্তিশালী করেছে। তাদের লড়াই এবং দাবীগুলোকে, এমনকি তাদেরকেও, এখন প্রশাসন যথেষ্ট সম্মানের চোখে দেখছে।




    ১২ই ডিসেম্বর, সকাল ১০ টা ১৩ :

    আজ এই মাত্র খবর পেলাম নেওড়ানদী বাগান খুলে গেল। আজ থেকে। বাগানে ম্যানেজমেন্ট এসে গেছে। আদিবাসী বিকাশ পরিষদের বাগানের এক নেতার কাছে জানতে চাইলাম কি শর্তে বাগান খুলল। তিনি কিছুই জানাতে পারেননি। হতাশ হইনি। কারন এটাই এখানকার শ্রমিকদের অভ্যাস। তাদের ভাল মন্দের খবর রাখেন কেবল একদম উপরের স্তরের নেতারা। এঁরা কাজ করেন মহান নেতাদের ওপর মন প্রাণ সমর্পণ করে। খবরের কাগজে জানতে পারলাম, যে আটজন শ্রমিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল ডাক্তারবাবুকে মারধোর করার, সেই অভিযোগ বজায় থাকছে, তাদের সাসপেনসনও বহাল থাকছে। ম্যানেজমেন্ট বিষয়টিকে তদন্ত করে দেখবে। এই ধরনের তদন্ত করা হয় একেবারেই ম্যানেজমেন্টের ইচ্ছায়। সুতরাং এর ভবিষ্যৎ দেখা বাকি আছে আমাদের।

    নির্ভরতার আরও একটা উদাহরণ দিই। গতকাল এখানকার একটি বন্ধ বাগানে ২ বছরের একটি শিশু বিনা চিকিৎসায় মারা গিয়েছে। বাগানটির নাম ঢেকলাপাড়া। দীর্ঘদিন ধরে এই বাগানটি বন্ধ। বন্ধ বাগানের জন্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী শ্রমিকদের জন্য বিনামূল্যে অ্যাম্বুলেন্স ও সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গতকাল শিশুটির অবস্থা যখন ক্রমাগত খারাপ হচ্ছিল, তখন তার পরিবারের লোকেরা বীরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ফোন করে অ্যাম্বুলেন্সের সাহায্য চায়। কারণ ২ টি ঝোড়া পেরিয়ে ৭ কিমি দূরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার অবস্থায় ছিলনা শিশুটি। হাসপাতাল অ্যাম্বুলেন্স পাঠানোর আশ্বাস দেওয়ার পরও পাঠায়নি। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করার পর রাত দেড়টা নাগাদ শিশুটি মারা যায়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সহ সবাই নাকি তদন্ত করে দেখছে বিষয়টা। এই তদন্ত কবে শেষ হবে? জানিনা। এখনও পর্যন্ত কোন বিক্ষোভ চোখে পড়েনি। সুমনের গানটা মনে পড়ছে "কত হাজার মরলে পড়ে মানবে তুমি শেষে, বড্ড বেশি মানুষ গেছে বানের জলে ভেসে।' নিজেদের অক্ষমতা ব্যক্ত করতে গান গাওয়া ছাড়া আর যেন কিছুই করার নেই আমাদের।

    ১৩ই ডিসেম্বর, ২০০৯
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • খবর | ১৩ ডিসেম্বর ২০০৯ | ১০৬৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন