লক্ষ্মীদেবী নমো নমো মাতা ফ্যান্টাস্টিক। তোমারে স্মরিব মাগো ঘুরি দিগ্বিদ।। ছয়দিন কর্মস্থলে আসি আর যাই। পথে পথে কত লক্ষ্মী দেখিবারে পাই।। ট্রেনে লক্ষ্মী বাসে লক্ষ্মী অফিসে লক্ষ্মী মা। টিভিতে কাগজে দেখি নাই পরিসীমা।। সপ্তম দিবসে মাতঃ রবিবার বলে। বাড়িতে ব্রেকফাস্ট মাগো লুচি আলু ছোলে।। বড় কাজ রবিবার বড় কষ্ট মা। তবু টোয়েন্টি ফোর সেভেন অচলাই থাকো।। এইবারে শুরু করি লক্ষ্মীশতনাম। প্রতিটি লক্ষ্মীকে করি শতেক প্রণাম। কাদম্বিনী গাঙ্গুলি নামে সর্বরোগক্ষয়।। জাতিকা ডাক্তার লেডি কত লড়াই হায়। আনন্দীবাই জোশি মহারাষ্ট্রে জাতা।। ডাক্তার হিসাবে তিনি অনুরূপ খ্যাতা। সেইরূপ আর এক জানকী আম্মাল।। সরস্বতীবরে তিনি চিফ বটানিকাল। লক্ষ্মী আর সরস্বতী এক দেহে বাস।। এমন বিজ্ঞানী আরো আছে চার পাঁচ। কমলা সোহনি (যাঁর ধ্যান) এনজাইমে পশে।। নারী বলে অস্বীকৃত (সি ভি) রমনের রোষে। আন্না মণি রানি এক পদার্থবিদ্যার।। ইঁহারা প্রকৃত লক্ষ্মী সর্বশাস্ত্রসার। ক্যান্সার ঔষধ নিয়ে গবেষণা করে।। অসীমা চ্যাটার্জি যান আজীবন লড়ে। প্রথম যুগের এক ইঞ্জিনিয়ার।। রাজেশ্বরী চ্যাটার্জির পায়ে নমস্কার। দর্শন রঙ্গনাথন পদযুগে নতি।। রসায়ন শাস্ত্রে ইনি দুর্বারগতি। মহারানি চক্রবর্তী ডি এন এ বোঝান। পুরুষের দুর্গ ভেঙে দুর্বার মা-জান।। মঙ্গলা নারলিকর অংকশাস্ত্রে সেরা। ইঁহাদের জন্য বীরা-ভোগ্যা বসুন্ধরা।। শকুন্তলা দেবী আরো প্রাতঃস্মরণীয়া। ইঁহারা আছেন বলে অংক কষি গিয়া।। আন্না রাজম মালহোত্রা প্রথম আই এ এস। নারীকুলে এইসব মুক্তো-অবশেষ।। কিরণবেদি নামে নতি আসে অনায়াসে। দুষ্ট নর থরহরি বন্দুকের ত্রাসে।। মেধা পাটকর যিনি নর্মদা বাঁচান। প্রতিদিন যুদ্ধ করে পরিবেশ ত্রাণ।। স্কুলছাতে জল ধরে রেনওয়াটার হারভেস্ট। করেছেন মধু ভাটনগর শি ইজ গ্রেট।। জে বিজয়ার কথা কী বলিব আর। অলিভ রিডলি কচ্ছপ প্রাণ ছিল তাঁর।। পৃথিবীর লক্ষ্যস্থল হল এ প্রজাতি। সবটা কৃতিত্ব তাঁরি তাঁহারে প্রণতি।। হিমেল পাহাড়চূড়ো অন্তর্তিকা ধাম। বাঙালি সুদীপ্তা সেথা রেখে গেছে নাম।। সাহসিনী নারীটির লড়াকু হৃদয়। ভূতত্ত্ব গবেষণায় করেছে যে জয়।। দূরে দূরে যায় মেয়ে মহাকাশে চলে। এইরূপ লক্ষ্মীরে সুনীতা উইলিয়ামস বলে।। প্রাতঃস্মরণীয়া তিনি কল্পনা চাওলা। ভুলোনা কো সেইসাথে ঘোষা অপালা।। বঙ্গললনা এক দূর্বা বাঁড়ুজ্জে। এরোপ্লেন চালাইয়া অপরাকজেয় যে।। কোনদিক দেখি তবে লেখাজোকা দিকে। এক থেকে এক লক্ষ্মী বঢ়িয়া সম্মুখে।। আশাপূর্ণা মহাশ্বেতা নবনীতা নামে। লীলা জ্যোতির্ময়ী আর রোকেয়া ম্যাডামে।। শুরু করে দিয়েছেন এমনই সম্ভার। এখন বাড়িছে লতা পাতার সংসার।। জয়া সুচিত্রা ও বাণী কত কব কও। কলমে স্বর্ণ ফলে জয় জয় দাও ।। বেবি হালদার লক্ষ্মী দিল্লিতে বসতি। গৃহসেবা করি তাঁর আত্মজীবনীটি।। লিখিলেন নিজহস্তে কী বা চমৎকার। এইরূপ লক্ষ্মীর সার হইতে সার।। কিরণ মজুমদার শ আর ইন্দ্রা নুয়ি। ইহাদের নাম তবে ধনলক্ষ্মী থুই।। ক্রীড়াক্ষেত্রে জয় জয় কত না দেখাল। পুরুষের সঙ্গে সঙ্গে সোনা জিতে নিল।। মণিপুর বালা তার দেখিয়েছে দম। বক্সিং -এর লক্ষ্মী মেয়ে সে যে মেরি কম।। ঝুলন গোস্বামী আর মিতালি রাজেরা। ক্রিকেটেও জয় আনে লক্ষ্মী মা এনারা।। দঙ্গল জিতিয়া এসে নাম কেনে যারা। লক্ষ্মী তো তাঁরাও সেই ফোগত বোনেরা।। দীপা কর্মকার নামে লক্ষ্মী নমস্কার। প্রদুনোভা চমৎকারা ত্রিপুরেশ্বরী আর।। হিমা দাস নামে লক্ষ্মী স্মরি ভক্তিভরে। উত্তরবঙ্গের কন্যা সোনা আনে ঘরে।। ভুলিও না পি ভি সিন্ধু সাইনা সানিয়া কে। ক্রীড়ালক্ষ্মী এঁরা সব যশ দিকে দিকে।। মনীষা পৈলান লক্ষ্মী আছে আশেপাশে। অ্যাসিড আক্রান্তা তবু নাচে সাজে হাসে।। থোড়াই কেয়ার করে সমাজ সংসারে। এমত লক্ষ্মী থাক সব ঘরে ঘরে।। আর কত বলি নাম অষ্টোত্তর শত। সহস্রেও ফুরাবে না এই নাম যত।। নারীর কর্ম আর নারীর যতন। এ পৃথিবী করে তোলে লক্ষ্মী আবাসন।। বলিলাম এ অধম যশোধরা নাম। লক্ষ্মীনারায়ণ বল ধন্য হোক ধাম।।