এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • সরস্বতী পুজো: ইশকুলে মুশকিল

    অবন্তিকা পাল লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ | ৩৭৭৯ বার পঠিত
  • একটানা বেজে চলেছে কিশোরদার বিরহের গান l সমস্ত সন্ধ্যে জুড়ে l কাল আপিস নেই, রুগী দেখা নেই l তাই আজ থেকেই দিব্যি ছুটির মেজাজ l কিন্তু এই ব্যাজারমুখো সঙ্গীতের জ্বালায় সেটাই বা উপভোগ্য হয়ে উঠছে কই ! মন মেজাজের স্বেচ্ছা-কাউনসেলিং করতে এ সময় টিনটিন থেকে টেনিদা, দিদি থেকে মীর কাউকেই তেমন জুতসই মনে হচ্ছে না l একে বইমেলার গ্যাঞ্জামহীন বেদনাতুর সন্ধ্যে l তার ওপর ওই বলিউডি মনোটনি l জীবনের মানে খুঁজে পাওয়াই দায় l এমতাবস্থায় জানতে পারলুম কোনো এক মুসলিম অধ্যুষিত এলাকার প্রাইমারি স্কুলে নাকি জবরদস্তি বন্ধ করা হচ্ছে সরস্বতী পুজো l ন্যায়-অন্যায় ঠিক-বেঠিক ভেবে ওঠবার আগে আচমকাই জিয়া নস্টাল... প্রেক্ষাপটে বেহালা সমেত, ফ্ল্যাশ ব্যাক...

    ক্লাস ইলেভেন l কালীকৃষ্ণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় প্রাঙ্গন l আমাদের স্কুলে বরাবর এগারো ক্লাসের মেয়েদেরই সরস্বতী পুজোর দায়িত্ব দেওয়া হত l ঠাকুর কেনা থেকে ফল কাটা, পুরোহিতের সাইকেলের পেছনে দৌড়নো থেকে আশেপাশের স্কুলগুলোতে নেমন্তন্নর চিঠি পৌঁছতে যাওয়া, সবকিছুই স্ব স্ব দায়িত্বে ও স্ব-তত্ত্বাবধানে l অবিশ্যি গুটিকয় তরুণী শিক্ষিকাও মাঝে মাঝে বেরিয়ে পড়তেন আমাদের সঙ্গে আমন্ত্রণ পত্র হাতে, বিশেষত সেই দিনগুলোতে যেদিন বয়েজ স্কুলে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকত l সে যাই হোক, দীর্ঘ ছ’বছরের তীর্থক্ষেত্রের বায়সোচিত প্রতীক্ষার পর সেবার আমাদের পালা l আমরা তখন আপামর কচিকাঁচাদের দিদি আর আমাদের পোশাকের রঙও সবুজ l দশম শ্রেণী উত্তীর্ণ হলেই গ্রাফ কাগজ প্রিন্টওলা কামিজ, সঙ্গে সাদা ওড়না আর সালোয়ার l পুজোর হপ্তা খানেক আগে জেনারেল মিটিং l সায়েন্স আর্টস কমার্স-এর সব মেয়ে, সঙ্গে ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকারা l জমায়েতে আমরা গুটিকয়েক মিলে প্রস্তাব দিলুম- এ বছর পুজোর খরচ থেকে কিঞ্চিত কাটছাঁট করে যদি প্রদর্শনীটা আরেকটু বড় করা যায়...l একটা গোটা ঘরেরও প্রয়োজন সেজন্য l তিন দেওয়াল জুড়ে তিনটে স্ট্রিমের মেয়েরা আলাদা আলাদা জিনিস বানাবে l ঠাকুরের উচ্চতা ছোট করার বিষয়ে নব্বই শতাংশের আপত্তি ছিল, তাই খুব বেশি ভোট পেলাম না l মিটিংয়ের পরে কিভাবে যেন দুঁদে আর জাঁদরেল সহ-প্রধানা শিক্ষিকাকে সাধাসাধি করে অনুমতি নিয়ে এসেছিলেন আমাদের হট ফেভারিট দুই সুন্দরী আর স্মার্ট দিদিমণি l অতএব, খুশির সীমা নাই l দিনভর নাওয়া খাওয়া ভুলে আমাদের জীববিদ্যার জনতা রোজকার ব্যবহার্য চাল ডাল দিয়ে বানিয়ে ফেলল ব্যাঙের থ্রি ডি পৌষ্টিক তন্ত্র l আর বাড়ি ফিরে অনেক মাথা চুলকেও যখন আমি স্বতন্ত্রভাবে অভিনব কিছু ভেবে বার করতে পারলুম না, তখন সেই চিরাচরিত বিষয় নিয়েই কালো আর্ট পেপারের ওপর খবরের কাগজ ছিঁড়ে ছিঁড়ে তৈরি করে ফেললুম কম্যুনাল হারমোনির কোলাজ l বাবা শেখাতেন- ধর্মকে নিয়ে কখনো রাস্তায় নেমো না l বাবা ধর্ম বলতে সেই উদযাপনের প্রদর্শন বোঝাতেন যা ভিন্ন রীতির মানুষের যাপনকে আশঙ্কিত করে তুলতে সক্ষম l স্কুলে কখনো সামন্ত আর সুলতানায় তফাৎ বুঝিনি l টিফিনবক্সের সুগন্ধী জরদাভাত আর আতপচালের পায়েসে জিভের অনুভূতির পার্থক্যটুকু ছাড়া বুঝে উঠতে পারিনি অন্য কিছু l প্রথম সম্বিৎ ফিরল বছর কয়েক পর, যেবার আমাদের কলোনির সদ্য সদস্য হওয়া বিপত্নীক আলিবাবুর ছোটো মেয়েকে অষ্টমীর অঞ্জলি দিতে দিল না ‘দুর্গাপুজো কমিটি’ l আলিবাবুর পাড়ায় আসা নিয়ে ভ্রুকুঞ্চন শুরু থেকেই ছিল l যে, হঠাৎ 'কাজিপাড়া' ছেড়ে এখানে কেন বাপু ! বারো বছরের মেয়ে, কার্য কারণ বোঝানো তাকে সম্ভব নয় l অশেষ কান্নাকাটির পর অবশেষে সে শুধু তার নতুন বন্ধুদের পাশে বসে খিচুড়ি ভোগ খাওয়ার অনুমোদনটুকুই পেয়েছিল l

    সময় পেরোলো l ক্রমে ক্রমে বুঝতে পারলাম আমার ছোটবেলার ভূগোল অনুশীলনী বইয়ে যে সিঙাড়া-আকৃতি দেশ, তাকে ভোট রাজনীতি স্মরণে রেখে আলাদা করে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ হিসেবে জাহির করতে হয়, যার জন্য আমি ফি বছর স্বদেশ পর্যায়ের গান গাইতে গাইতে স্কুল করিডোরে দাঁড়িয়ে ভ্যাঁ করে কেঁদে ফেলতুম এই বছর কয়’ আগেও ! সেই দেশ যেখানে আমার ধর্ম (জন্মসূত্রে যা বহন করছি আরকি) ছাড়া অন্য সমস্ত ধর্মের মানুষ আদমসুমারি অনুযায়ী ‘মাইনরিটি’ l যেখানে আমি ‘মেজরিটি’ হওয়া সত্ত্বেও অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়ে ‘শাহপুর’কে বানিয়ে তুলছি ‘সাহাপুর’, ‘শেখের বাজার’কে ‘শখের বাজার’, আর ‘আলির মোড়’কে ‘কালির মোড়’ l আদপে ধর্ম কী ? একপ্রকার সাংস্কৃতিক অভ্যাস বই আর কিছু ? আমার ‘হা ঈশ্বর’ আর মহসিনের ‘ইয়া আল্লা’ বলার অভ্যাসে ফারাক কতখানি ? ঠিক কোন অছিলায় এই অভ্যাসগুলোই একটা রামমন্দির কিম্বা একটা বাবরি মসজিদের সামনে এসে বার করে ফেলে তাদের নৃশংস নখদন্ত ? ধর্মের কিছু সরল আচার আচরণ কিন্তু খুব সহজেই মানবতার অধিকারকে খর্ব না করে দৈনন্দিনতায় মিশে থাকতে পারতো l পারলো না l তার কারণ যেমন ধর্মীয় বিভাজনের নিরিখে দেশভাগ, ঠিক তেমনি, এই সহস্রাব্দেও আমাদের ভাবনার সীমাবদ্ধতা l ‘দিল বোলে হড়িপ্পা’ বা ‘ভাগ মিলখা ভাগ’-এর মতো খেলার বিষয় নিয়ে তৈরী হওয়া ছবিগুলোও, অহেতুক, সস্তায় হাততালি কুড়োবার উদ্দেশে দেখিয়ে চলছে ইন্ডিয়া পাকিস্তানের লড়াই l জিইয়ে রাখছে দেশের লড়াই, সংস্কৃতির লড়াই, ধর্মের লড়াই l

    একটা উৎসব মানে একটা মিলনক্ষেত্র l মেনে নিলাম l কিন্তু এই সংহতির ধ্বজা উড়িয়ে যে ক’টা উৎসব আমাদের দেশে পালিত হয় তার বেশিরভাগই ‘পুজো’, ‘পরব’ নয় l গ্রামীণ স্বাস্থ্য প্রকল্পে কাজ করতে গিয়ে দেখি, ডায়মন্ড হারবার রোডের পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে যেসব স্কুল, সেগুলোতে হিন্দু ছাত্রছাত্রী সংখ্যায় বেশি l আরো পাঁচ কিলোমিটার এগোলে এই ভাগটা প্রায় পঞ্চাশ-পঞ্চাশ l তারও অভ্যন্তরে একাধিক স্কুলে শতকরা হিসেবে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমরাই, যদিও সেইসব পঞ্চায়েত এলাকায় মোটের ওপর স্কুলই হাতে গোনা l কোথাও কোথাও গড়ে উঠেছে মিশনারি স্কুলও l এইরকম একটা এলাকাতে যদি গুটিকয় হিন্দু শিক্ষক বা শিক্ষাকা একজন বেদোল্লিখিত আরাধ্যা দেবীর কুচযুগের শোভা নিয়ে আদেখলাপনা করে, সেখানে প্রতিবাদ হওয়া কি খুব অস্বাভাবিক কিছু ? এই সরস্বতীই তো কিছুকাল আগেও সুশিক্ষিত সমাজে ছিল ম্লেচ্ছ l শিল্পকলার দেবী, তাই পুজো হত মূলত পতিতালয়ে যেখানে মেয়েদের নৃত্য-গীত-বাদ্য নিয়ে চর্চা করতে হত নিয়মিত l ঋগ্বেদে সরস্বতী এক তুচ্ছ নদীর দেবী l মৎসপুরাণ অনুযায়ী এ ব্রহ্মারই নারী অংশ, যার সাথে দেবতা স্বয়ং মৈথুন করে l নারদপুরাণ বলে, সরস্বতীর অনিচ্ছায় এই সহবাস হয়, ফলে ব্রহ্মা কখনো সম্মানীয় দেবতা হিসেবে গণ্য হবে না, অন্যদিকে সরস্বতীকে দেওয়া হবে স্বতন্ত্র ঈশ্বরীর মর্যাদা, যে জ্ঞানেরও অধিষ্ঠাত্রী l তথাকথিত ‘বাবু’গণ কিন্তু মহিলাদের না দিয়েছিল শিক্ষা ও শিল্পের অধিকার, না বিতর্কিত এই দেবীকে আরাধনা করার অনুমতি l ক্রমশ নারীশিক্ষার প্রচলন ঘটতে থাকে বঙ্গসমাজে l সরস্বতী হয়ে ওঠে গৃহদেবী l আশাপূর্ণার গল্পেও এই সামাজিক রূপান্তরের প্রতিবিম্ব আমরা দেখতে পাই l আমি অস্তিত্বে বিশ্বাস করি l আড়ম্বরে নয় l এমন কোনো আড়ম্বর যা বইমেলার মাঠে কোনো ভিন্নধর্মাবলম্বী প্রিয় মানুষকে তার ছিন্নমূল হওয়ার স্মৃতিতে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারে, তাকে এই বোধে উপনীত করতে পারে যে এই পরিসর, এই আচার, তার আপনার নয়, সেই আড়ম্বরকে আমি প্রত্যাখ্যান করি l

    একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আরাধ্য কেবল ও কেবলমাত্র শিক্ষাই l তাকে বেদ কোরান বাইবেলের শ্রেণীভুক্ত করা যায় না l যাওয়াটা কাম্য নয় l বিদ্যালয়ে পালনীয় দিবসের লিস্টিতে আজ ঢুকে পড়েছে ‘বিশেষ শিশু’দের জন্যও একটা দিন l ‘দিবস’ পালনের উদ্দেশ্য ওই চৌহদ্দির শিশুদের কাছে, তাদের পরিবারবর্গের কাছে, প্যারেডের মাধ্যমে, জনসভার মাধ্যমে, সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দেওয়া l তাই ‘হ্যান্ড ওয়াশ ডে’-র সাথে সাথে পালিত হোক ‘জেরিয়াট্রিক ডে’-ও l ওরা বিকশিত হোক l কোনো একদিন ওদের হাত ধরে আমার ভূগোল অনুশীলনীর সিঙাড়া-আকৃতি দেশটা ধর্মের বিভাজন ভুলে গিয়ে প্রগতিশীল হয়ে উঠুক, যার অভিধানে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ শব্দটারই প্রয়োজন পড়বে না আর !
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ | ৩৭৭৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • Sibu | ***:*** | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০৫:১৭73941
  • শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্ম প্র্যাকটিসে আবার অসুবিধা কোথায়? অসুবিধা হল একচোখোমিতে। সরস্বতীপূজো করতে দিলে ঈদ, ক্রিসমাস, নাস্তিক্যপ্রচার দিবস সবই থাকতে দিতে হবে। আসলে যেটা হয়, আধুনিক মার্কিনি লিবারেলিজমে একটা রাইট নট টু বি অফেন্ডেড ধরে নেওয়া হয়। কিন্তু আসলে তো সে রকম কোন অধিকার নেই। আর সেরকম স্টেরাইল এনভাইরনমেন্টে ইন্টেলেকচুয়াল পারস্যুট হয় ও না। শুধু ইন্টেলেকচুয়াল অফেন্স আর পার্সোনাল অফেন্সের ফারাকটা পরিষ্কার থাকা দরকার। এ বাদে অবশ্যই এক স্কুল অফ থট অন্য স্কুল অফ থটকে অফেন্ড করবে।

    রাজনীতি, ধর্ম, সেক্স এগুলো সবই কনট্যাক্ট স্পোর্টস। প্র্যাকটিস না করলে হয় না। সেক্সুয়াল হেলথ বা রিপ্রোডাকটিভ বায়োলজির ক্লাসটা সেক্সে ফাউন্ডেশনের জন্য দরকার, কিন্তু ওটা দিয়ে সেক্স শেখা হয় না। ইকনমিক্স না জানলে পলিটিকস বোঝা যায় না। কিন্তু হাতে নাতে পলিটিকস যে করে নি তার পক্ষে বোধগম্য হওয়া কঠিন কেন রিকার্ডো, অ্যাডামস, মার্কস এরা নিজেদের পলিটিক্যাল ইকনমির লোক বলতেন, আর নিও লিবারেলরা ঐ কথাটা অ্যাভয়েড করেন।

    তার মানে এই নয় যে এ সব অ্যাক্টিভিটিই স্কুল স্পনসরড হতে হবে। ইন ফ্যাক্ট, সেক্স ও পলিটিক্স বিভিন্ন কারনে স্কুল স্পনসরড না হওয়াই উচিত (কারনগুলো কেউ জানতে চাইলে বলতে পারি)। কিন্তু স্কুলের ছেলেপিলে এগুলো করবে ও করাই উচিত। আটকানোর চেষ্টা বৃথা ও ফ্যাসিস্ট।
  • Ekak | ***:*** | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০৫:৪০73942
  • অবশ্যই করবে এবং করা উচিত কিন্তু স্কুলের মধ্যে এস এন একট করতে গেলে ইন্টেলেকচুয়াল অফেন্স টা পারসনাল অফেন্সে পরিনত হয়ে যাবে না কি ? স্টেরাইল এনভায়রনমেন্ট এর পয়েন্টটা একদম ঠিক কিন্তু সব স্কুল অফ থট এর লোককে তর্ক করার খাতিরেও যদি এক টেবল এ বসাতে চাই (এখানে স্কুল ) তাহলে তাদের জোব্বা গুলো ঘরের বাইরে ছেড়ে না ঢুকলে তর্ক কম এবং জোব্বা ধরে টানাটানি বেশি হবে বলেই মনে হয় । ওদিকে আবার "ফারাক পরিস্কার রাখা " টা প্যাথলজিকাল বীলিভার দের পক্ষে মুশকিল কারণ ওদের জোব্বা টা কর্ণের কবচ কুন্ডলের সামিল । এর বিরুদ্ধে অবশ্য যুক্তি দেওয়া যায় যে ন্যুদিস্ট ক্লাব ক্যান নেভার টীচ ইউ ন্যাচারিল্স্ম বিকস দে ল্যাক দ্য বেসিক আর্জ অফ গোয়িং এগেইনস্ট নেচার :P
  • sosen | ***:*** | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০৫:৫০73943
  • স্কুলের ছেলেপুলেরা নিজেরা কি করবে না করবে সে তো আলাদা প্রশ্ন, কিন্তু কোনটাই স্কুল কেন স্পন্সর করবে? ছেলেপুলে তো এক দল করে এসে বলতে পারে আমি গে বিদ্বেষ দিবস করব, তমুক ফুটবল টিম হেট ক্লাব করব, তো সেসব কি স্কুল স্পন্সর করবে? না কি হলে আটকানোর চেষ্টা করবে না?
  • Sibu | ***:*** | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০৬:১৫73944
  • একক যে কথাটা বলেছে সেটা একটা প্র্যাকটিক্যাল প্রবলেম। তবে কিছুটা জোব্বা ধরে টানাটানি হয়তো ঠিকই আছে। মানে, খানিক হাতাহাতি হওয়া মনে হয় ইন্টেলেকচুয়ালি স্টেরাইল এনভাইরনমেন্টের চেয়ে ভাল। তবে একটা সীমা পেরিয়ে গেলে (মানে ধর মাথা ফাটাফাটিতে গড়ালে) তখন সেটা স্পষ্টতই আইন-শৃঙ্খলার সমস্যা। সেটা হ্যান্ডল সেভাবেই করা উচিত।

    সোসেনের কথাটা কিন্তু আমি একেবারেই অন্য ভাবে দেখি। কেউ যদি গে বিদ্বেষ দিবস পালন করতে চায় তো অসুবিধা কি? যতক্ষণ অবধি স্কুল কেউ প্রো গে রাইট অনুষ্ঠান করতে চাইলে সেটাও স্পনসর করছে। স্কুল যদি কিছুই স্পনসর না করে তাহলে তো পুরো সিচুয়েশনটাই একটা অ্যাপ্যাথির দিকে চলে যায়। তাতে আলটিমেটলি আন্ডারডগ, মানে এক্ষেত্রে গে-দের অসুবিধা বই সুবিধা হয় না।
  • ইউপিএস | ***:*** | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ১১:১১73923
  • এই লাস্টের প্রসঙ্গটা কি রেফারেন্স ফ্রেম আলাদা সেটা বোঝানোর জন্যে? নাকি ভুল ধরানোর জন্যে? অপরিষ্কার রইলো l
    মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থা থাকবে কেন, সেটা তো আরেকটা বিতর্ক l সবার জন্যে একরকম ব্যবস্থা করলে আবার সংস্কৃতি ও শিক্ষার বহুত্ব হারিয়ে যায় l বহুত্ববোধকে অমর্যাদা করার একটা আধুনিকতাবাদী চিন্তা এখনো বিরাজ করে, দুর্ভাগ্যজনক হলেও l কিন্তু মূল লেখাতে সে বিষয়টা ছিল না, চাপিয়ে দেওয়ার সংস্কৃতিকে প্রত্যাখ্যানের আহ্বান ছিল l এখানে অনেকেই হয়ত জানেন, যে প্রাথমিককে ডিপিইপি বলে একটা প্রকল্প খুব জনপ্রিয় হয়েছিল, ভারতের বিভিন্ন জায়গায় l সেটা বহুমুখিনতাকে ধারণ করতে পারা জন্যেই l ফ্রান্সে মুসলিম মেয়েদের হেডড্রেস নিষিদ্ধ করা হয়েছিল এবং তার বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রতিবাদ হয়েছিল l আধুনিকতার এক ও একমাত্র ধারণা ও সংস্কৃতি থেকে মুক্তি পাওয়া দরকার বোধহয় l
  • একক | ***:*** | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ১১:১৬73924
  • বোধ হয় না মুক্তি পাওয়া অবশ্যই দরকার । সবাইকে এক খাপে ঢোকানো বাজারের একটা কৌশল । ওল্ড ঘেট ভেঙ্গে নিউ এজ ঘেট তৈরী হচ্ছে সর্বর্ত্র ।কিন্তু ইস্কুলে ধর্ম পালন হবে কিনা সেটা একটু আলাদা প্রসঙ্গ বলে এখানে সেই পয়েন্ট টানি নি ।
  • ইউপিএস | ***:*** | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ১১:৩৫73925
  • আমার মনে হয়েছিলো মূল লেখাটা আসলে ধর্ম পালন নিয়ে শুরু হলেও সেখান থেকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে একমাত্রিক সংস্কৃতির বিরুদ্ধে l অবশ্য তা না-ও হতে পারে l যে যা খোঁজে, সে তাই পায় আর কী ! :-P
  • sosen | ***:*** | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ১২:০৮73926
  • স্কুলে সরস্বতী পুজো হওয়ার কোনো বিশেষ কারণ থাকতে পারেনা বা কেউ দর্শাতে পারেনা দুটো কারণ ছাড়া (১)শিশুদের এন্টারটেইনমেন্ট (২) একধরনের সর্বমান্য ধর্মীয় কন্ডিশনিং তৈরী করা-যাকে ইউ পি এস বোধহয় একমাত্রিক সংস্কৃতি বলছেন । নিজে ক্রিশ্চান স্কুলে পড়ার কারনে ছোটবেলায় বহুদিন আমি নমস্কারের পরিবর্তে ক্রস আঁকতাম বুকে। যখন ছেড়েছি দুটোই ছেড়েছি, কিন্তু বহুত্ববাদী সংস্কৃতি বলতে গিয়ে যদি সরকারী স্কুলে সরস্বতী পুজো হয় বলে এবার ঈদ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংস্কৃতি পালনের কথা বলেন, তাহলে প্রশ্ন তো আসবেই, কেন? যে কোনো রকম ধর্মাচরণই স্কুলের গন্ডিতে কেন পা রাখবে? কিংবা ঘোষিত ধর্মানুসারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানদের কেন সরকারী অনুদানে পোষা হবে? অনেকেই নিশ্চয় সম্প্রতি সল্টলেকে হওয়া পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা স্পোর্টস মিট-এর পোস্টার দেখেছেন। মনে প্রশ্ন আসেনি, কি করে এবং কোন বিশেষ কারণে মাদ্রাসার শিশুদের আলাদা স্পোর্টস মিট হয়? কমিউনিটিকে যত্ন করে বাঁচিয়ে রাখলে কমিউনাল ফিলিংস আসবেই, এবং তা থেকে কেউ রক্ষা করতে পারবেনা। সরস্বতী পুজো সরকারী স্কুলে নিষিদ্ধ করা দরকার বলেই মনে করি। সেই সঙ্গে যে কোনো ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাথায় সরকারী হাত বুলোনো বন্ধ না করলে কোনো সামঞ্জস্য আসবে না।
    আধুনিকতার এক ও একমাত্র ধারণা বলতে কি বোঝাতে চাওয়া হয়েছে , এবং ডি পি ই পি র সঙ্গে ধর্মীয় যোগসূত্র আমি বুঝলাম না।
  • hu | ***:*** | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ১২:১১73927
  • সোসেনের সাথে একমত।
  • রোবু | ***:*** | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ১২:২৬73928
  • এটা নিয়ে একটা টই খোলা হলে খুব ভালো হয়। অনেক প্রশ্ন ই: আছে।
    একটা ছোট্ট তথ্য, একেবারেই প্রাসঙ্গিক নয়, ইন্টারেস্টিং বলেই দিলাম: প: ব: এর মাদ্রাসা গুলোতে কিন্তু প্রকার হিন্দু স্টুডেন্ট পড়ে। প্রায় ১৫%।
    হাতে কলমে তেমন জানি না, মাদ্রাসা সম্বন্ধে। এই লেখাটা সত্যি কিনা তাও জানি না, তবে ভালো লেগেছিল:
    http://www.aljazeera.com/indepth/spotlight/indiaonline/2013/11/madrassas-india-attract-hindu-students-2013111814457229891.html
  • Ekak | ***:*** | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ১২:৩৩73929
  • শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাজনীতি কে যাঁরা মেনে নেন তাঁদের বেসিক যুক্তি টা কী ? বৃহত্তর সমাজের রাজনৈতিক মন্ডলের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো , ম্যাচিওর করে তোলা তাই তো ?
    শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাঁরা যৌন শিক্ষা চান তাঁদের যুক্তি কী ? প্রথমত যৌন এবিউস কমানো এবং দ্বিতীয়ত যৌনতা সম্বন্ধে ম্যাচিওর ধারণা গড়ে তোলা ।

    তাহলে ,ধর্ম তো সমাজের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ । মানুষের ইদীয়লোজির জায়গা । সেটাই বা বাদ যাবে কোন যুক্তি তে ?

    ব্যক্তিগত ভাবে আমি যে কারণে রাজনীতি শিক্ষার স্বপক্ষে কিন্তু দলীয় রাজনীতি-ফ্ল্যাগ ঢোকাবার স্বপক্ষে নই , যে কারণে যৌন শিক্ষার স্বপক্ষে কিন্তু ওরজি সেশন -এর স্বপক্ষে নই সেই কারণেই ধর্ম শিক্ষার একশ ভাগ স্বপক্ষে কিন্তু পুজো করার -নুমাজ অদা করার স্বপক্ষে নই । নলেজ শুড বি গেইনড থ্রু ক্রিটিকাল এতিচিউদ নট বাই রিচুয়াল্স । প্র্যাকটিকাল করতে হয় বাইরে বেরিয়ে করো । দোকানে সিগারেট বিক্রি করছি মানে ফস করে ধরিয়ে ধোয়া ছাড়ার অধিকার দি নি ।

    কিন্তু যাঁরা বাকি রিচুয়াল গুলো মেনে নেন তাঁরা ধর্মের ক্ষেত্রে অসুবিধায় পরেন কেন বুঝিনা । সমাজে ধর্ম অত্যন্ত জরুরি । একটা জাতি তার যে প্রধান ইদীয়লোজিকাল কলাম গুলোর ওপর দাঁড়িয়ে থাকে তার মধ্যে অগ্রণী হলো রাজনীতি -যৌনতা -ধর্ম । ইন্টার রিলেটেড কিন্তু আলাদা করেও দরকারী । যদি ক্যাপিতালিস্ম আনতে হয় ভারতে তাহলে আমাদের বৌদ্ধ ধর্মে ফিরে যেতে হবে ।সশালিস্ম এর সঙ্গে জুডো ক্রিস্চানিটি । অমুক ধর্মীয় সম্প্রদায় এর মানুষ ক্যাপিটাল কুক্ষিগত করেছে বলে এগিয়েছে এটা একদম উল্টো পুরান । ওই ধর্ম তাকে সেই শক্তি যুগিয়েছে ঐভাবে আইডিয়া ইমপ্লিমেন্ট করার । ধর্ম প্রচন্ড শক্তিশালী । তাকে রিভাইস না করে ইগনোর করলে সত্য থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকা হয় । বরং খাপে খাপ বুঝে এপ্লাই করলে রাজনীতি সমাজ সব ই এগোয় । আমার এরকম ই মনে হয় ।

    একমাত্রিক সংস্কৃতি তে বেঁধে ফেলার প্রসঙ্গ টা আলাদা । এখানে আলোচনা করব না । রেসিস্ম নিয়ে লোকজন আরও চেঁচিয়ে মরুক কারণ না খুঁজে তখন ভাবা যাবে ।
  • cm | ***:*** | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ১২:৩৩73930
  • উপরের তথ্যটির জন্য রোবুকে ধন্যযোগ। কদিন আগে অন্য এক টই-এ একজন বললেন যে মাদ্রাসায় হিন্দু ছাত্ররা পড়েনা কিন্তু অন্য উদাহরণ ভুরি ভুরি। এই ঘটনাটার কোন ব্যাখ্যা পাওয়া যাচ্ছিলনা (আমার প্রচেষ্টা শুরুতেই ভুল প্রমাণিত হয়)। আর ওপরের খবর অনুযায়ী মাদ্রাসায় হিন্দু ছাত্রেরা পড়েনা, খবরটিই ভুল।
  • hu | ***:*** | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ১২:৪৩73931
  • কম্প্যারেটিভ স্টাডি অফ রিলিজিয়ন তো ভীষন ইন্টারেস্টিং একটা জিনিস। কিন্তু সেটা ইতিহাস হিসেবে বা ফিলোসফি হিসেবে পড়লে বেশি ভালো হয় না কি? যেই সাবজেক্টটার নাম ধর্ম হয়ে যাবে সঙ্গে সঙ্গে তার সাথে একগাদা রিচুয়াল আসবেই। আর যেহেতু মানুষের জীবনের সাথে এত অঙ্গাঙ্গী জড়িত অসহিষ্ণুতাও আসবেই।
  • রোবু | ***:*** | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ১২:৪৪73932
  • এটা আউটলুক এর:
    http://www.outlookindia.com/article.aspx?230003
    এটুকু বলি, আমি কিছু প্রমান করার জন্য এই লিঙ্ক দিচ্ছি না। তবে এই ব্লগে সোসেনদি যে কমেন্ট করেছে, তা নিয়ে আলোচনা হওয়া খুব দরকার।
  • jhumjhumi | ***:*** | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ১২:৪৬73933
  • লেখাটা আসলে ঠিক কিসের উপর? স্কুলে সরস্বতী পুজো বন্ধ করা নিয়ে কি?বুঝ্লাম না।
    তবে আমাদের স্কুলের সরস্বতী পুজো নিয়ে আমার স্মৃতি খুবই আনন্দের। আমাদের স্কুলে পুজোর ভার পড়ত ক্লাস নাইনের ওপর। আমরা হাপিত্যেশ করে বসে থাকতাম এর জন্য। আমাদের সেই পুজোয় 'পুজো' কতটা ছিল জানিনা, কিন্তু উৎসব ছিল। শিখেছিলাম অনেক কিছু।আমাদের শিক্ষিকারা এ ব্যাপারে কোনো সাহায্য করতেন না। সুতরাং শুরু থেকে শেষ পুরোটাই আমাদের দায়িত্ব। মানি ম্যানেজমেন্ট থেকে ম্যান ম্যানেজমেন্ট সবেরই হাতেখড়ি ঐ সরস্বতী পুজোতেই। আর স্কুল সাজানো থেকে প্রতিমা আনা, প্রসাদের ফল কোটা, প্রসাদ দেওয়া সবেতেই লীনা-রুমা- কল্পনাদের সঙ্গে সমানে হাত মিলিয়ে কাজ করেছে নূর-মমতাজ-মর্জিনারাও। এত সেকুলারিজমের বড় বড় তত্ত্ব তখন বুঝতাম না (এখনো বুঝি না), সবাই মিলে আনন্দ করাটাই বড় ছিল। ভাগ্যিস!!!!
  • sosen | ***:*** | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ১২:৫০73934
  • একক কি স্টাডি ও প্র্যাকটিস এক করে ফেলছেন না?
  • sosen | ***:*** | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ১২:৫৫73935
  • দু:খিত, মাঝের প্যারাটা চোখ এড়িয়ে গিয়েছিল। ১৮:২০ ইগনোর করুন।
    ইতিহাস হিসেবে , ফিলোজফি হিসেবে, সামাজিক গঠনের অংশ হিসেবে রিলিজিয়ন স্টাডিজ থাকতেই পারে। সেটা প্র্যাকটিস হয়ে উঠতে পারে না।
    ওই ১৫% হিন্দু ছাত্র ইসলামের ধর্মীয় শিক্ষাগুলো এড়াতে পারেন কি?
    আমরা কিন্তু বাইবেল শিক্ষা এড়াতে পারিনি। চেয়েছিলাম।
  • রোবু | ***:*** | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ১২:৫৯73936
  • না, একটা কম্পালসারি: Arabic অথবা Islamic studies
    arabic কে অবসি ধর্মীয় শিক্ষা বলা যায় না।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে মতামত দিন