কষ্টে আছি। গতকাল বিকেল থেকে জ্বর। কেউ কথা বলার নেই। বা কথা বলার বিস্তর মানুষ আছেন। কিন্তু আমি সোসালাইজেশনে ব্যর্থ হচ্ছি ইদানিং। সোশাল মিডিয়া ভালো লাগছে না। চারপাশের মানুষজনও না। বইয়ের কাজ চলছে একটা। হয়ত বেরোবে। হয়ত বেরোবে না। জানিনা। আমার বাড়ির কেউ সবিশেষ জানেন না আমার লেখালিখি বিষয়ে। কেউ আগ্রহী নন বড় একটা। অনেকদিন হল একা একা লিখি। কাউকে পড়াই বা পড়াই না। সেসব ছাপা হয় অথবা হয়না। টাকা পাই কিংবা পাইনা। মাঝে মাঝে মনে হয় লেখা বন্ধ করলে ভালো হত। মা বলেছিল- একটা ফ্ল্যাট একটা চাকরি একটা বাচ্চা, ব্যস আমি ... ...
এক দেশে এক প্রকাশক ছিলেন। সে তো কত দেশেই থাকেন। এতে আর আশ্চর্য কী? বিস্ময়ের এইই যে, তিনি আমার বন্ধু ছিলেন। সেও তো কতই থাকেন। কত শত। বন্ধুও আবার হরেক কিসিমের হন। যেমন ধরুণ, একদল সেক্স অ্যান্ড সেক্সচুয়ালিটির চর্চা করেন, অন্যদল সেক্স বলতে বোঝেন পানু। আবার, একপক্ষ আর্ট ফর আর্ট'স সেক-এর জন্য গলা ফাটান, অপরপক্ষ বিশ্বাস করেন শিল্পের মাধ্যমেই সমাজ পরিবর্তন সম্ভব, এবং এই দ্বিতীয় পক্ষকে আবার প্রথম পক্ষেরা সোশাল-ফোশাল বলে গালি দ্যান। আমাদের এমন নানান মানুষের সাথে শান্তি ও অশান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ঘটে। দুর্দি ... ...
এখন, মানে ঠিক এখনই, এই মুহূর্তে, এই সাবলীল দিবসাবসানে, তোমার পাশে কিছুক্ষণ বসতে ইচ্ছে করল l যদিও তুমি জানো এই ইচ্ছেটা সাময়িক l অথবা দীর্ঘমেয়াদী কোনও বিপর্যয়ের পূর্বাভাস l যেমন জানো, গন্তব্যগামী বড় রাস্তা পেরোতে গিয়ে কাল পটাং করে ছিঁড়ে যাবে প্রিয় হলুদ কালো স্লিপারের স্ট্র্যাপ l দাঁড়িয়ে পড়ব, বিড়ম্বিত হবো, মুহূর্তকাল, অথবা গোটা ব্যাপারটা খুব স্মার্টলি হ্যান্ডল করে সেফটিপিনওয়ালা চটিসমেত চড়ে বসব ওলা-মিনির সবজেটে সিটে l সবটাই নির্ভর করবে সেইদিন, সেই মুহূর্তটার ওপর l ওই কেব্লে যাওয়া, ওই স্মার্টনেস – সব ... ...
“দিদি কিছু দিয়ে যা l” “না পারবো না l” “কেন পারবি না?” “কেন ভিক্ষা করছেন?” “ভিক্ষে করি না, নাচগান করে পয়সা কামাই l” কথোপকথন শেষ হওয়ার আগেই সবুজ সংকেতে শহরের অন্যতম ব্যস্ত রাজপথ দ্রুত গতিশীল হয়ে পড়ে l জমকালো হলদেটে শাড়ি পরিহিত রোগাসোগা চেহারার মানুষটি সামান্য গলা তুলে বলে যান, “চোখে গগল্স পরবি আর গরিবকে দুটো টাকা দিতে পারবি না?”
একাধিক কালো চশমা ছিল, বা, আছে l দীর্ঘ দীর্ঘ সময়কাল ধরে l কিছু সামাজিক কালো চশমা, যার মধ্যে দিয়ে রূঢ় বাস্তবতাকে কিছুটা ফিকে বলে প্রতীতি হতে পারে l মনে হতে পারে, দে ... ...
[কেন 'নারী-ধর্ষণ' তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে, তাই প্রথমেই শিরোনাম সম্পর্কে আত্মপক্ষ সমর্থনে বলে রাখি, যেহেতু ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি ধর্ষণ ব্যাপারটা জেন্ডার-নিউট্রাল একটা ইস্যু, যেহেতু ভারতে ধর্ষণের সংজ্ঞার আরও আরও পরিমার্জন কাম্য বলে মনে করি, আর এই লেখাটা কেবলমাত্র মহিলাদের ধর্ষণ প্রসঙ্গেই একটা ওভারভিউ, তাই এ হেন নাম l
লেখাটা প্রাথমিকভাবে লিখেছিলাম মার্চ মাসে, রাণাঘাট কাণ্ড ও সুজেটের মৃত্যুর অব্যবহিত পর l একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের কারণে শেষমেষ হ ... ...
“The group's early productions were mainly adaptations of non-Indian plays… In the late 1970s, first Asit Bandopadhyay and then Ajitesh Bandopadhyay left the group. With Rudraprasad Sengupta as the main director, a new era started, and Nandikar turned from a pure performance-oriented theatre group to an organisation with a wide range of projects…” (Nandikar: Wikipedia) পৃথিবীর কোনও ইতিহাস পক্ষপাতহীন নয় l হতে পারেনা l যে বা যারা সেই ... ...
ছোটো ছোটো পানের মতো পাতাওলা ওই গাছটার ভেতরে অল্প একটু দিদুন থাকে l রাত্তিরবেলা বলে মিষ্টি খাবো, বিকেলবেলায় কোল্ডড্রিংক দিতে গেলে বলে বড্ড বেশি ঠাণ্ডা l ছোটো ছোটো পানের মতো পাতাওলা ওই বাহারে গাছটার মধ্যে এখন দিদুন থাকে l আপাতত এই সপ্তাহখানেকের ট্রানজিশন l গুছিয়ে নেওয়ার অবসরটুকুন...
বাবা আর তাপস ঘাটের সিঁড়ি বেয়ে বেশ কিছুটা এগিয়ে গেল l ছেলেটা এক্কেবারে গা ঘেঁষে এসে দাঁড়িয়েছে l
হেই মা, খিদে পেয়েছে l
কী খাবি?
চা খাবো, চা l
কোথায়?
হই তো দোকান l
তোর নাম কী?
আমার... ... ...
পার্থ ডিম-কলা-পাউরুটি দিয়ে প্রাতরাশ খেয়েছেন, পার্থ দাঁত মাজার জন্য দামি টুথপেস্ট চেয়েছেন, পার্থ রবীন্দ্রসঙ্গীতের বই নিয়েছেন কিন্তু সংবাদপত্র হাতে নেন নি – সম্প্রতি জানলাম l পার্থ কে, আপামর বাঙালিকে আর এই মুহূর্তে বলে দিতে হবে না l আপাতত এটুকু মনে করিয়ে দেওয়া জরুরি, তিন নম্বর রবিনসন স্ট্রিটের পার্থ দে স্বীকৃতভাবে একজন মনোরোগী l স্বয়ং মনোরোগ বিশেষজ্ঞরাই পরীক্ষা করে এ কথা জানিয়েছেন l তর্কের খাতিরে বলা যেতেই পারে, যেকোনো ধর্ষক, যেকোনো খুনী এক একজন মনোরোগী, সুতরাং মনোরোগের দোহাই দিয়ে অপরাধকে লঘু করা ... ...
শিরোনামটা ঝাড়া l জনৈক ফেসবুকিয়ার দেওয়াল থেকে l ম্যাগিতে অত্যধিক সীসা ও আজিনামোতো ব্যবহারের ফলে যে তুলকালাম চলছে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে, বলা বাহুল্য তার প্রতিক্রিয়া l এর চেয়ে অ্যাপ্ট আর কিছু এ মুহূর্তে মনে পড়ছে না l
এক বছর হল ম্যাগি খাওয়া বন্ধ করেছি l বন্ধ মানে বন্ধই l স্টমাকের অবস্থা বেশ কিছুদিন যাবৎ শোচনীয় l মানে, অ্যাপ্যারেন্টলি আমাকে দেখে পেটমোটা মনে হলেও আদতে আমি বেশ পেটরোগা লোক, আর পাঁচটা বাঙালির মতই l কলেজে ভর্তি হওয়ার পর সাপের পাঁচ পা (মা উবাচ) দেখে ফেলার দরুণ রোজ রোজ বাড়ি থেকে ফলমূ ... ...
“মেডিকেল টেস্ট না হাতি! কাউন্সেলিংয়ের দিন বলে দিয়েছিল ভর্তির সময় বাড়িতে কোনো প্রেসক্রিপশন থাকলে সঙ্গে আনতে l মা কাগজগুলো গুছিয়ে এনেছে l যদিও ক্রনিক ইলনেস কিছু নেই l ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষার জন্য ফার্স্ট ইয়ারের ভর্তি সতেরো দিন পিছোলো l ভাগ্যিস দাদা জেনে গিয়েছিল l না হলে এসে ফিরে যেতে হত l আউটডোরের সব ঘর একে একে পেরিয়ে একটা অপেক্ষাকৃত ফাঁকা ঘরের সামনে দেখি আমার সহপাঠীদের লম্বা লাইন l একটা ডাকাবুকো গোছের মেয়ে, মনে হল সিনিয়ার, মাকে বলল- কাকিমা আপনি ওই বেঞ্চে বসে যান কোনো অসুবিধা নেই l তারপর আমাদের কাছ ... ...