এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • সীসা হো ইয়া দিল হো

    অবন্তিকা লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৫ জুন ২০১৫ | ৩২১৫ বার পঠিত
  • শিরোনামটা ঝাড়া l জনৈক ফেসবুকিয়ার দেওয়াল থেকে l ম্যাগিতে অত্যধিক সীসা ও আজিনামোতো ব্যবহারের ফলে যে তুলকালাম চলছে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে, বলা বাহুল্য তার প্রতিক্রিয়া l এর চেয়ে অ্যাপ্ট আর কিছু এ মুহূর্তে মনে পড়ছে না l

    এক বছর হল ম্যাগি খাওয়া বন্ধ করেছি l বন্ধ মানে বন্ধই l স্টমাকের অবস্থা বেশ কিছুদিন যাবৎ শোচনীয় l মানে, অ্যাপ্যারেন্টলি আমাকে দেখে পেটমোটা মনে হলেও আদতে আমি বেশ পেটরোগা লোক, আর পাঁচটা বাঙালির মতই l কলেজে ভর্তি হওয়ার পর সাপের পাঁচ পা (মা উবাচ) দেখে ফেলার দরুণ রোজ রোজ বাড়ি থেকে ফলমূল বা রুটি-চচ্চড়ি টিফিন নিয়ে যাওয়াটা একপ্রকার বিলাসিতা মনে করতাম l আসলে তো বনমালীদার ক্যান্টিনে দলবল মিলে চলত ডুবো তেলে ভাজা পেঁয়াজি, আলুর চপ, বা বেগুনি সহযোগে ফিস্টি l মাঝে মাঝে বৃষ্টি পড়লে বেশ সামন্ততান্ত্রিক মেজাজে- হে বন্ম্যালীইইইই, আলু কা পরাঠা বানাও জলদি- বলে হাঁক পাড়ত কোনো না কোনো স্যার l ময়দা অবশিষ্ট থাকলে আমরাও দু’এক পিস সাঁটিয়ে দিতাম l আমাদের কলেজ-ক্যান্টিনটা সরাসরি সরকারি হাসপাতালের আওতাভুক্ত ছিল না l বনমালীদা দশ বছরের জন্য লিজ নিয়েছিল l ফলে খাবারের দাম যে আহামরি সস্তা ছিল তা নয় l ক্লাসের শেষে সাড়ে পাঁচটা নাগাদ বনমালীদার বউ আমাদের জনা চারেকের দলটাকে আসতে দেখলেই বলত- না না আজ অন্যকিছু হবে না, এই চারজনের জন্য আমি আবার লুচি ভাজতে পারব না l যেন একান্নবর্তী পরিবারের বড় পিসিমা কচিকাঁচাদের আবদারে নেহাতই অতিষ্ট হয়ে গজগজ করে চলেছে ! আমাদের হট্টগোল শুনে বনমালীদা তাদের ছাউনি দেওয়া এক চিলতে শোয়ার জায়গা থেকে হাই তুলতে তুলতে বেরিয়ে আসত l ওহ তোমরা ! পেঁয়াজি ভেজি দিলি হবা নি? আমরা বলতাম- হবে হবে, শুধু জম্পেশ করে মুড়ি মেখে দিও সঙ্গে l ওড়িয়া বংশদ্ভুত বনমালী পরামাণিক ইয়াব্বড় ভুঁড়িতে হাত বোলাতে বোলাতে হাহা করে হাসত l হাউসস্টাফশিপের সময় ফের কলেজ-হাসপাতাল চত্বরে এলাম l মধ্যে এক বছর প্রায় কোনো যোগাযোগ ছিল না এদের কারও সাথে l এসে দেখলাম বনমালীদারা চলে গেছে l এসেছে সুব্রত l তার বিরাট বড় একটা ফ্রিজ আছে l সেখানে কোল্ডড্রিংকের বড় বড় বোতল থাকে l ক্যান্টিনটাও বেশ সাজিয়েছে যত্ন করে l অসময়ে টিফিন চাইলে সুব্রত সবাইকে ম্যাগি বানিয়ে দেয় l প্যাকেটের ম্যাগি, কৌটোর ম্যাগি, যার যা চাই l আমাদের ওই পেটুক-পার্টি আর কখনওই ঢেলে-সাজানো ক্যান্টিনে বসে সাহস করে ‘বাড়ির খাবারের আবদার’ করে উঠতে পারেনি l

    তা কি দিয়ে শুরু করেছিলাম যেন? আমি এখন আর ম্যাগি খাই না l আরে এখন খাই না বলে কি কখনও খেতাম না? আমাদের বাড়িতে ম্যাগি একটু ম্লেচ্ছই ছিল, স্বীকার করছি l দুমিনিটে যা রান্না করা যায়, তা ঠিক পাতে দেওয়ার মতো না বলে বাবা মনে করত l তাই মা ওটাকে বাঙালির চাউমিন স্টাইলে বানাত l অর্থাৎ সঙ্গে বিবিধ সবজি (মাঝে মাঝে কুচোনো পটল, কুমড়ো, এসবও পড়ত, প্লিজ হাসবেন না), ডিম অথবা চিকেন l ‘নিরামিষ’ ম্যাগি বানালে মা নামানোর আগে আধ চামচ মাখন ফেলে দিত l আর সেটা গলে গিয়ে যে স্বর্গীয় ব্যাপারটা দাঁড়াত তা ভাষায় প্রকাশ করা দুঃসাধ্য l স্কুল থেকে ফিরে হপ্তায় একদিন আমার ওই অভিনব ম্যাগিটা চাইই চাই l খাওয়ার একটা নির্দিষ্ট জেশ্চারও ছিল l সবুজ স্কার্ট- সাদা শার্ট- চুলে ঝুঁটি বাঁধা (পরে সেটা বিনুনী হয়েছিল অবিশ্যি)- পায়ে একপাটি মোজা- সামনে টিনটিন- হাতে ম্যাগি l মানে টিনটিনের জায়গায় হাঁদাভোঁদা হলেই কিন্তু ম্যাগি তার স্বকীয়তা হারাতে পারত, এমনকি একপাটি মোজা দুপাটি হলেও l দাদা আমার আধ ঘন্টা পরে স্কুল থেকে আসত l ঢুকেই দেখত আমি টিনটিনে বিহ্বল, আর সেই সুযোগে এক খাবলা ম্যাগি তুলে নিয়ে ধাঁ l গোটা স্কুলজীবনে এ ঘটনার ব্যত্যয় ঘটেনি l

    ২০০৪ সাল l আমি মাস ছয়েক হল কলেজে ঢুকেছি l দাদার আমেরিকা যাওয়ার তোড়জোড় চলছে জোর কদমে l একটা পাল্টে যাওয়া বিকেলেবেলা l সেদিনই ভিসা কনফার্ম হয়েছে ওর l আমি ক্লাস করে ফিরতে, মা ভেতরের ঘর থেকে বলল ক্যাসারোলে ম্যাগি রাখা আছে l যাদবপুরের স্টুডেন্টরা গিটার ব্যাপারটাকে সংক্রামিত রোগের মতো আপন করে নেয় l যথারীতি দাদাও ফার্স্ট ইয়ারে ভাঁড় ভেঙে গিটার কিনেছিল l এখন গান কম, আর ‘প্রিংপ্রিং’ (এটা বাবার অভিধান থেকে আমদানিকৃত) বেশি হচ্ছে l আমি একটা বড়সর বোওলে ম্যাগি নিয়ে চেয়ারে বসে ঠ্যাং দোলাচ্ছি l দাদা বিদেশ যাবে বলে পরিবারে বেশ কিছুদিন ধরেই ফিসফাস শুরু হয়েছিল- যে, এই যাচ্ছে আর ফিরবে না, কেউ কেউ বলছিল- না না বাবা মার প্রতি কি একটা দায়িত্ববোধ নেই ! আমার কিছুই মনে হচ্ছিল না l ইচ্ছে হলে ফিরবে না ইচ্ছে হলে নয় ! মাত্র তো বাইশ ঘন্টার মামলা ! বরং বছর বছর এলে কত পুতুল আসবে, চকোলেট আসবে ! হঠাৎ কী মনে করে দাদা একটা অন্যরকম সুর বাজাতে শুরু করল l রবীন্দ্রসঙ্গীত l আরে এটা তখুব চেনা গান ! আমার যাবার বেলায় পিছু ডাকে/ ভোরের আলো মেঘের ফাঁকে ফাঁকে... উপলব্ধি হতেই হু হু করে কান্না পেল l দাদা কিংকর্তব্যবিমূঢ ! ওকি রে তুই কাঁদছিস কেন ! আমি বোকার মতো বললাম- কই আজ তো আমার থেকে ম্যাগি নিলি না ! দাদা বলল- তাই বলে তুই কাঁদবি !

    কলি ওর বোনকে ছেড়ে মেদিনীপুর থেকে কোলকাতায় এসেছিল l কলি মানে কল্যাণ l আমার থেকে এক মাসের বড়, দু ইঞ্চি বেঁটে, অন্তত দশ কেজি কম ওজন, আর মাথায় বিস্তর টাক l কলেজে ওইই বোধ হয় আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু ছিল l দুজনের একটা কমন ব্যথার জায়গা ছিল আমাদের l কেটে যাওয়া কৈশোর প্রেম l কলি থাকত কলেজস্কোয়ারের একটা বয়েজ হোস্টেলে l আমরা প্রায়শ শ্যামবাজার থেকে ৫ নম্বর ট্রাম ধরে কলেজস্ট্রিট যেতাম l রাস্তায় কলি আমাকে ‘হাতি যায় উড়ে সারা আকাশ জুড়ে’-র মতো কুত্সিত অথবা ‘বৃষ্টি পড়ে ঘাসে ট্রামলাইনের পাশে’- জাতীয় মন কেমন করা ছড়া শোনাত l আমরা ইতিউতি ঘুরতাম, বই দেখতাম, প্যারামাউন্টে একটা ডাব শরবত (ওটাই সবচেয়ে দামি ছিল, অগত্যা...) নিয়ে দুজনে ভাগাভাগি করে খেতাম l তারপর কোনোদিন কলি আমাকে সেন্ট্রাল এভিনিউ অবধি ছাড়তে আসত ফের, বা বেশিরভাগ সময় হোস্টেলে ঢুকে যেত, আর আমি বাস বা মেট্রোয় চড়ে বসতাম l থার্ড সেমেস্টারের অব্যবহিত আগে কলি লাইব্রেরি থেকে ‘রাত ভর বৃষ্টি’ তুলল l এক রাতে শেষ করে আমার হাতে চালান l সামনে পরীক্ষা l নিকুচি করেছে l এক রাতে আমারও শেষ l এ বই পড়তে পড়তে থামা যায় না l পরদিন কলেজে কেউ কারো সাথে কথা বলছি না l ব্রেকে বেরিয়ে পড়লাম l একটা ভিড় ট্রামে উঠে কলেজস্কোয়ার l মা টিফিনে ম্যাগি বানিয়ে দিয়েছিল l ভাগ করে খাবো ভেবে কাঠবেড়ালি আঁকা বাক্সটা খুলে পাশে রেখেছিলাম l আসলে আমরা জলের দিকে তাকিয়ে বসেছিলাম দুজনেই l আর মাথার ভেতর গিজগিজ করছিল বুদ্ধদেব বসু l

    সেদিন এক বয়জ্যেষ্ঠ বন্ধু বলছিল- তিরিশের পর মানুষের অতীত তৈরি হতে শুরু করে, বুঝতে পারবি নিজে l আমি ভাবছিলাম- পার্ট অফ ‘এজ থার্টি ট্রানজিশন’ l দেড় হপ্তা বাদে তিরিশ হয়ে যাবে l ফেসবুকে ম্যাগির পোস্ট দেখতে দেখতে এই এত্তকিছু মনে পড়ে গেল দুম করে l অতীত... হালকা হালকা, রিনরিনে, একটা মন খারাপের মতো অতীত... না?
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৫ জুন ২০১৫ | ৩২১৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • abantika | ***:*** | ০৮ জুন ২০১৫ ১২:৪৭67159
  • কল্লোলদা বা যে কেউ আরেকটা টই খুলে ফেলতেই পারেন কিন্তু. এটা তো ঠিক ম্যাগি নিয়ে লেখা নয়, ম্যাগিকে উপলক্ষ করে কিঞ্চিত স্মৃতিচারণ. :)
  • researcher | ***:*** | ০৯ জুন ২০১৫ ০৩:৪৭67163
  • ১।অবন্তিকার লেখাটি সুখপাঠ্য ও গতিময়।আই জেমন বলেছেন।
    ২। আলোচনাপ্রসঙ্গে-
    ম্যাগিতে সীসা বা সীসার কোন যৌগ মেশানো / ব্যবহার করা হয় না,সীসা নানাভাবে পরিবেশ(জল,মাটি ইত্যাদি) থেকে মিশে যায়।
    http://www.huffingtonpost.in/2015/06/05/eat-hot-lead_n_7516200.html
  • de | ***:*** | ০৯ জুন ২০১৫ ০৪:৫৩67164
  • অভ্র তো মাইকা - সীসা লেড -

    খুব খিদে পেলে অপটু হাতে বানিয়ে ফেল্লেও ম্যাগী খাওয়া যেতো - সেটা অবশ্য বড়ো বেলায় বাড়ীর বাইরে আসার পর। আমাদের বাড়িতে ম্যাগী আসতো না ছোটবেলায়, অতোগুলো লোকের জন্য ম্যাগী কেনার পয়সা হয়ে উঠতো না। একটাকায় তখন চাউচাউ বলে একটা চাওমিন পাওয়া যেতো। ডিম, সবজী দিয়ে ওইটাই বেশী হোতো। তাও কখনোসখনো। বাকী সময় ওই চিঁড়ে, মুড়ি, খই, রুটি ইঃ দিয়েই জলখাবার হোতো।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন