এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • এক যে আছে গাছ

    অবন্তিকা লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৭ জুলাই ২০১৫ | ১২০৯ বার পঠিত
  • ছোটো ছোটো পানের মতো পাতাওলা ওই গাছটার ভেতরে অল্প একটু দিদুন থাকে l রাত্তিরবেলা বলে মিষ্টি খাবো, বিকেলবেলায় কোল্ডড্রিংক দিতে গেলে বলে বড্ড বেশি ঠাণ্ডা l ছোটো ছোটো পানের মতো পাতাওলা ওই বাহারে গাছটার মধ্যে এখন দিদুন থাকে l আপাতত এই সপ্তাহখানেকের ট্রানজিশন l গুছিয়ে নেওয়ার অবসরটুকুন...

    বাবা আর তাপস ঘাটের সিঁড়ি বেয়ে বেশ কিছুটা এগিয়ে গেল l ছেলেটা এক্কেবারে গা ঘেঁষে এসে দাঁড়িয়েছে l
    হেই মা, খিদে পেয়েছে l
    কী খাবি?
    চা খাবো, চা l
    কোথায়?
    হই তো দোকান l
    তোর নাম কী?
    আমার... আমার নাম... হাবুল তো l বল কী বললাম?
    হাবুল l
    হ্যা l ঠিক l
    হাবুল দাঁত বের করে হাসছে l ঠোঁটের একপাশে লালা l খুব রোগা l বয়স বোধ করি পঁচিশ ছাব্বিশ l একটা মলিন লুঙ্গি পরে নদীর পাড় থেকে উঠে এলো এইমাত্র l আমাদের এখন অপেক্ষা করতে হবে l হ্যালো-আইসিইউ-কাকলি-হিয়ার ও তার সঙ্গিনীরা দিদুনকে মোটা সাদা কাপড় আর বড় বড় লিউকোপ্লাস্ট দিয়ে আপাদমস্তক মুড়ে দিয়েছে l নুয়ে পড়া শরীর আজ সকাল থেকে টানটান শুয়ে l শুধু মুখটুকু অল্প খোলা l

    জল খাবে? দিদুন সোনা, জল? একটু মাথা নাড়ল কি? হ্যান্ডব্যাগের ছোট্ট বোতল থেকে অল্প অল্প জল দুতিনবার মুখে ঢালছি l এই চেনা ডাক্তারের চেনা নার্সিংহোমে কোনো আইসিইউ নেই কেন? নাকে একটা অক্সিজেনের নল l বাবা আমরা শিফট করব? এক ঘন্টা হলো ডাক্তার নেই! চলো আমরা রিসেপশনে কথা বলি, অ্যাম্বুলেন্স ডাকি l ডাক্তার সাহা পৌনে সাতটায় এসে বললেন, আপনাদের সিদ্ধান্ত l কাকু বলল, মনে হয় ভালো ডাক্তার তাই না? ডাক্তার সাহার ডানহাতে রূপোর বালা l লেটারহেডে ট্রান্সফার লিখছেন l
    চেস্ট কন্জেসটেড, হার্ট-এ মারমার পেলেন কি ডক্টর?
    কই নাতো চেস্টে তেমন কিছু পেলাম না !
    তবে?
    সেপ্টিসিমিয়া লিখে পাঠাচ্ছি l দ্যাখো এই বয়েসে তো মাল্টি অর্গ্যান ফেইলিওর হতেই পারে l
    এই নার্সিং হোমটা ঝাঁ চকচকে l অ্যাম্বুলেন্সের চালক, তিনজন ওয়ার্ডবয়, আর তাপস স্ট্রেচার ধরে নামাচ্ছে l সামান্য ঝাঁকুনিতে ভয় পেল? এই তো সোনা, আমরা সবাই আছি, দ্যাখো, ভয় নেই, ভয় নেই l দিদুনের ডানহাত আমার ডানহাতের মুঠোয় l
    আইসিইউ-তে দেবেন?
    দেবো বলেই তো এলাম l
    ভেন্টিলেশন?
    এখন কী!
    না প্রয়োজন পড়লে তো দিতে হতেই পারে l
    না l দেবেন না l
    তাহলে কনসেন্ট লিখতে হবে ম্যাডাম l
    লিখব l
    দ্বিতীয় পর্বের ফর্ম ফিলআপ তাপস করলো l কাকু এখন আর কাঁদছে না l ওই ছাতাপড়া নার্সিং হোমে ঢোকার সময় কাঁদছিল l কাকিমা বাড়ি থেকে আদাকুচি দিয়ে মুড়ি মেখে এনেছে l আমরা ক্যান্টিন থেকে চা আনিয়ে ভালো নার্সিং হোমের গাড়ি বারান্দায় বসে খাচ্ছি l এক্ষুনি বৃষ্টি নামবে l

    শ্মশানের সমস্ত লোক দুভাগে ভাগ হয়ে গেছে l একদল ইলেকট্রিক চুল্লির বাড়িটায় l অন্যদল চায়ের ছাউনির নিচে l মাঝখানে বৃষ্টি l একনাগাড়ে l প্রায় পঁয়তাল্লিশ মিনিট l ভদ্রলোক বলেছেন ছোটখাটো চেহারা হলে পুড়তে কম সময় লাগে, চল্লিশ মিনিটে হয়ে যাবে আপনাদের l
    বাঁচলেই বা কী হত? বেড সোর, বেড প্যান l তার চেয়ে এই ভালো l ইস্ট্রোজেন কমতে কমতে চব্বিশ পরগণার প্রথম মহিলা সমিতির ঋজু মেরুদণ্ডের পাঁচফুটের সেক্রেটারি চার ফুট আট ইঞ্চিতে এসে ঠেকেছিল l তবু গান গাইত l আর কম্যুনিস্ট পার্টির, জ্যাক ও শিম গাছের, নকশাল নেতা নীলুদার গল্প বলত l মা-কাকিমা বলেছিল, ওই নীলুদা বোধ হয় দিদুনের বিবাহ পরবর্তী প্রেমিক l বৃষ্টি মাথায় দেখলাম একটা মোটা পাইপের ভেতর থেকে গলগল করে ধোঁয়া বেরোচ্ছে l হাবুল নদীতে ডুব দিতে যাবার আগে বলে গেছে- হেই মা, কাঁদবি না, কাঁদবি না, ঠাম্মা মরে গেছে? তো কী হয়েছে? আবার আসবে l জিজ্ঞাসা করিনি ঠাম্মা যে, জানলো কীকরে l না না আর কাঁদছি না l আজ ভোর থেকে শুধু জীবন মশায়কে খুব মনে পড়ছে l হাবুল বলেছে, এইখানে দাঁড়া, আমি চান করে আসি l আমি দাঁড়িয়ে রইলাম l নন্দদাদা নাকি উজ্জ্বলকাকু কে যেন জানতে চাইল আমি প্রথমবার বার্নিং ঘাটে এলাম কিনা l উত্তর দিলাম? নাকি মনে মনে ভাবলাম, এর আগে তো আমার কখনও স্বজনবিয়োগ হয়নি? ধোঁয়ার চারপাশে একটা বড়-ডানার চামচিকে উড়ল কিছুক্ষণ l পুরোহিত, যে এক ঘন্টা আগে বাবা আর কাকুকে একদলা কলা আর তিল নিয়ে বলেছিল মুখে লেপে দিতে, যে এক শিশি ঘি হাতে দিয়ে বলেছিল গায়ে মাখান, সে এখন একটা ভারি ধাতব পাত্রে পোড়া হাড় এনে দিল l আমি খুব লম্বা লম্বা শ্বাস টেনে গন্ধটা নিলাম l নিতে ভাল্লাগলো l হাবুল আমার পেছনে দাঁড়িয়ে l পরিত্যক্ত মড়ার খাটের সাথে আটকানো বাঁশ ছেঁচে ফের পোড়ানোর উপযোগী বিছানা তৈরি হচ্ছে l রিসাইক্লিং l রিসাইক্লিং l আমি জগৎ মশায়ের মতো কবিরাজ হতে চেয়েছিলাম l কীকরে যেন ‘গাছগাছড়া আর জড়িবুটির’ ডাক্তার ব’নে গেছি l

    ফিরতি পথে খিদে পেল l খুব খিদে l তাপস গাড়ি থামিয়ে ডার্ক চকোলেট কিনে এনেছে l দুটো চৌখুপ্পি খেলাম l বাকিটা সবার l দিদুন, একটু চকোলেট খাবে? ওহহো তোমার তো আবার কোকো ভাল্লাগেনা l বোকা l তুমি রোববার একা একাই পমফ্রেট ফ্রাই দিয়ে ভাত মেখে খেলে, যেমনটা রোজ খাও নিজে হাতে, আয়া ঠাণ্ডা জলে চান করিয়ে ফেলেছিল বলে ঘুসঘুসে জ্বর এলো বুধবার বিকেল থেকে, মা বেলেডোনা দিল দুদাগ, যেমনটা দিলে তুমি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠতে l কেবল তোমার জ্বর ছাড়ল না এইবার l চেনা নার্সিং হোমের চেনা ডাক্তার অ্যানটিবায়োটিক দিল l খেলে, কিন্তু শুক্রবার থেকে খাবার খেলে না l সন্ধেয় সেই যে শেষ চার চামচ খইমাখা খাইয়ে দিলাম, তারপর থেকে মুখে তুললে না কিচ্ছু l চেস্টে কনজেশন l টেম্পারেচার আটানব্বই l ভালো নার্সিং হোমে অক্সিজেন স্যাচুরেশন সাতচল্লিশ থেকে বেড়ে ছিয়াত্তর হয়েছিল l আমি তো সোমবার রাত বারোটা পাঁচে ফোন করেছিলাম l হ্যালো-আইসিইউ-কাকলি-হিয়ার কি জানিয়েছিল তোমায়? কেন যে আমি ছাড়া ওই প্যান্ট শার্ট পরা গোঁফওলা ষণ্ডামার্কা লোক তিনটে-কে আর কেউই দেখতে পাচ্ছিল না! আমাকে তো কোলকাতায় আসতেই হত চব্বিশ ঘন্টার জন্য, পরীক্ষা ছিল, মাকে বলেছিলাম- কাল রাতে ফিরে গেছে, কিন্তু ওই লোক তিনটে আবার আসবে, পারবে না একটা দিন সামলে দিতে? মা কিছু বুঝতে পারছিল কেন? কেন বাবা আর কাকু কিছু বুঝতে পারছিল না? এলিভেটরে নামতে নামতে বলছিলাম- উই শুডন্ট এক্সপেক্ট এনিথিং, কেমন? দুজনে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে ছিল l আরএমও কিচ্ছুতে মানতে চাইছিল না, তিনদিন আগেও তুমি মাকে জিগ্গেস করেছ রথে আমি বাড়ি এলে কী কী রান্না করা হবে, আর এই সমস্ত বিরানব্বইটা বচ্ছর ধরে তুমি কখখনও হাসপাতালে যাওনি l তার চেয়ে এই ভালো হলো l বেঁচে থাকলে ক্রমে ক্রমে বেডসোর, বেডপ্যান l ওরা জোর করে সেন্ট্রাল চ্যানেল করে দিয়েছে l রাইলস টিউব, ক্যাথেটার l লাগছে? আর কয়েক ঘন্টা সোনা আমার l ডাক্তার সাহা বাবাকে সরি বলে গেছেন রেসপিরেটরি কনডিশন শুরুতে বুঝতে না পারার জন্য l চারফুট আট ইঞ্চির শরীর আদতে অনেকখানি পরিসর জুড়ে থাকে, অনেকটা বিছানা জুড়ে l তার ওপর পেনশনের কাগজ, এমআইএস-এর হিসেব নিয়ে ভাগ বাটোয়ারা l ডায়ামেনশন আর এগজিজটেন্স সমার্থক নয় l পুড়তে পঞ্চান্ন মিনিট সময় লাগে l

    আবার এখানে এলে কী বলে খুঁজবি?
    বলব হাবুল কোথায় l
    মনে থাকবে তো?
    থাকবে l
    আরেকটু চা খাবো l
    আয় l

    “জগৎ মশায় বলেছিলেন- তুমি কাঁদছ? জীবন এবং মৃত্যুর তথ্য তো তুমি জান, তবু কাঁদছ? ছি! আমাকে দুঃখ দিও না, তুমি কাঁদলে এই শেষ সময়ে আমাকে বুঝে যেতে হবে যে আমার শিক্ষা সার্থক হয়নি l তাছাড়া, মৃত্যুতে আমার তো কোনো দুঃখ নাই, আক্ষেপ নাই l পরম শান্তি অনুভব করছি আমি, সুতরাং তুমি কাঁদবে কেন? জীবন ডাক্তারের চোখের জল শুকিয়ে গিয়েছিল l জগৎ মশায় বলেছিলেন- আমি জানি তোমার মনে কোথায় আছে গভীর অতৃপ্তি l থাকা উচিত নয় l তবু আছে, রয়েছে ! অবশ্য এর উপর মানুষের হাত নাই আমি জানি l কিন্তু এ অতৃপ্তি থাকতে তো অমৃত পাবে না বাবা l”
    আমি আবার রত্নেশ্বর ঘাটে কেন যাব? একুশে এপ্রিল সন্ধে ছটায় শুরু হওয়া একটা মজার খেলা একুশে জুলাই সন্ধে ছটায় শেষ হলো বলে? সেই আইসিইউ, সেই লো অক্সিজেন স্যাচুরেশন l দুজনেই প্রথমবার হাসপাতাল l তিনটে মাস l একটা বৃত্ত l সম্পূর্ণ হলো l ক্লীনবোল্ড l রিশ্তে মে আপ মেরে দাদী লগতে হো l আমি আর রত্নেশ্বর ঘাটে যাব না l বরং বাড়ি গেলে বাহারে গাছের পাতায় হাত বুলিয়ে চুমু খাব l গাছ বলবে- এলি? তবে ওই গানটা গা! আমি বলব- কোন গান আবার? গাছ বলবে- সেই নজরুলগীতিটা l আমি না বোঝার ভান করে মিছিমিছি বলব- কোনটা? গাছ বলবে- সেই, যে গানটায় তাল নেই l গুনগুন করে গাছ গাইবে, আমি গাইব, আমি গাইব, গাছ গাইবে... মোর ভুলিবার সাধনায় কেন সাধো বাধ...
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৭ জুলাই ২০১৫ | ১২০৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • a x | ***:*** | ২৮ জুলাই ২০১৫ ০৩:১২69239
  • পড়লাম। আপনার দিদুর মহিলা সমিতির দিনের কথা, নীলুদার গল্প, লিখুন না একটু?
  • pi | ***:*** | ২৮ জুলাই ২০১৫ ০৩:২১69240
  • অবন্তিকা..
  • | ***:*** | ২৮ জুলাই ২০১৫ ০৩:৩৪69241
  • আন্তরিক সমবেদনা..
  • অবন্তিকা | ***:*** | ২৮ জুলাই ২০১৫ ০৪:০৫69242
  • অক্ষ,
    দিদুন নিজেও লিখতেন l তাঁর কিছু লেখা যা যা আমার বা মায়ের সংগ্রহে আছে, বা যদি আরো জোগাড় করতে পারি, সেসব নিয়ে এবং দিদুনের সমিতি সম্পর্কিত তথ্য বা অন্যান্য কাজকর্ম নিয়ে একটা বই ছাপানোর পরিকল্পনা আছে l
    নীলুদার কথা আমি খুব বেশি জানিনা l বা যেটুকু শুনেছি বেশিরভাগটাই আবেগ সম্বলিত l পায়ে গুলি লেগেছিল ওনার l মাঝরাতে পালিয়ে এসেছিলেন আমাদের দেশের বাড়িতে l
    দিদুনের কিছু গান ও কথোপকথন আছে l দেখি তা-ও ডিক্স-এ ভরে রাখা যায় কিনা l
  • রূপঙ্কর সরকার | ***:*** | ২৮ জুলাই ২০১৫ ০৪:৩০69243
  • কিছু বলবনা, তাই বলে গেলাম। কী বলব বল। দিদুন এখন গেলেন। না হয় আসছে কাল যেতেন। আমরাও যাব রে, কেউ থাকবনা। বরং তাঁর লেখা গুলো পারলে রিট্রীভ কর। শান্তি বিরাজ করুক।
  • aranya | ***:*** | ২৮ জুলাই ২০১৫ ০৯:২৯69244
  • কষ্টের লেখা। মৃত্যুর লেখা, হয়ত জীবনেরও
  • | ***:*** | ২৮ জুলাই ২০১৫ ১০:০০69238
  • ভাটে ওনার অসুস্থতার খবর লিখেছিলেন। কি আর বলব! :-( পড়েছি এইটুকু জানিয়ে গেলাম।
  • শিবাংশু | ***:*** | ২৯ জুলাই ২০১৫ ০৪:১৩69245
  • অনেক দিন হলো তো। বহু প্রিয়জনকে ঐ চিমনি দিয়ে উড়ে যাওয়া ধূসর ধোঁয়ায় দেখতে দেখতে ফিরে এসেছি, একা। ঐ গন্ধ, ঐ আবহ, ঐ আর্ষ কবিতার মতো নদী, জল, ছাই আর তারিখ হয়ে যাওয়া স্মৃতিবিস্মৃতি।

    ভালো থেকো, অবন্তিকা....
  • আশু পাল | ***:*** | ০৩ আগস্ট ২০১৫ ০৯:৩৮69246
  • মৃত্যু সদম্ভে বলে, এই যে দেখো, নিয়ে যাচ্ছি। অমৃতের সন্তানেরা হাসে, দূর বোকা, আমার হৃদয় থাকতে তুই তাকে ছিনিয়ে নিবি দূরে ? তিনি বেঁচে থাকবেন আপনাদের হৃদয়ে।
  • অবন্তিকা | ***:*** | ২৩ জুলাই ২০১৬ ০৫:২০69247
  • দিদুনের (কল্যাণী পাল) প্রথম প্রয়াণবার্ষিকীতে (২১ জুলাই) প্রকাশিত হয়েছে আমাদের একটি সংকলন- 'দুখজাগানিয়া' l বইটির প্রথম অংশে রয়েছে দিদুনের লেখা কিছু কবিতা ও গদ্যাংশ l দ্বিতীয় ভাগে তাঁকে নিয়ে, এবং তাঁর উদ্দেশে একগুচ্ছ লেখা l বইটি পাওয়া যাচ্ছে কলেজ স্ট্রিটের 'ধ্যানবিন্দু'-তে, এবং অনলাইনেও l
    http://ebongin.com/shop/book-store/dukhojaganiya/

    বিনিময় ৬০টাকা l এই মূল্যের একটা বড় অংশ দিদুনের তৈরি প্রতিষ্ঠান 'সন্তোষপুর পল্লীবধূ মহিলা সমিতি'-র উন্নতিকল্পে দেওয়া হবে l

    'দুখজাগানিয়া'-র জন্য যাঁরা লিখেছেন:

    প্রবন্ধে- তাপস দাশ, গোপালেন্দু পাল, নীলাদিত্য পাল
    শিবাংশু দে, কুণাল বিশ্বাস, রৌহিন, আশু পাল, কৌশিক দত্ত

    কবিতায়- দেবব্রত শ্যাম, প্রশান্ত সরকার, ইমেল নাঈম, সৌম্যদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌমালি চৌধুরি, নাজমীন মর্তুজা, গোঁসাই পাহলভী, দেবাশিস চৌধুরি, প্রণব বসুরায়, রূপঙ্কর সরকার, অরিন্দম শ্রীমানী, ঈপ্সিতা পাল

    গল্পে- রুনা মুখোপাধ্যায়, প্রতিভা সরকার, দীপক পাল
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন