এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

  • বিজ্ঞানের অ(নেক?)-ক্ষমতা # পর্ব-৫

    Ashoke Mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ১১ এপ্রিল ২০১৯ | ৩৫৯০ বার পঠিত
  • [৭] অপরাবিদ্যা

    শেষ করার আগে জরুরি কথাগুলো আর একবার সারসংক্ষেপ করে বলি। ধর্মীয় আধ্যাত্মিক ধারণাগুলো কেন বিজ্ঞানের খাতায় পাওয়া যাবে না—বুঝে নেবার জন্য। ধর্ম এবং অধ্যাত্মবাদের তুলনায় বিজ্ঞান খুবই দুর্বল এবং ভিরু প্রকৃতির। ঈশ্বর আত্মা পরমাত্মা পুনর্জন্ম ব্রহ্ম জাতীয় অত্যন্ত গুরুগম্ভীর জটিল জিনিসগুলি প্রমাণ করার মতো মালমশলা বা সাহস কোনোটাই এর নেই। এটা তার নিতান্তই সীমাবদ্ধতা, বা অক্ষমতাও বলা যায়!

    ধর্ম ও আধ্যাত্মিক সাধনায় জ্ঞানলাভ করা এক দিক থেকে কত সহজ। এক একজন মুনি ঋষি সাধু সন্ত পির পয়গম্বর একবার কিছুক্ষণ ধ্যানে বসলেই অনায়াসে জগত সংসারের যাবতীয় নিগূঢ় রহস্যের সুগভীর মর্মার্থ জেনে ফেলতে পারেন। শুধু বর্তমান নয়, ভূত এবং ভবিষ্যতও তখন তাঁদের নখদর্পণে চলে আসে। সেই জ্ঞান আর দু তিন হাজার বছরেও পুরনো হয় না। তাজা এবং অটুট থাকে। তাঁদের এই ক্ষমতা সত্যিই ঈর্ষণীয়! বিজ্ঞানের বা বিজ্ঞানীদের যদি এরকম ক্ষমতা থাকত, তাহলে আমাদের যে কত সুবিধা হত বলে বোঝানো যাবে না। অথবা, এক এক যুগের সাধু সন্তরা যদি ধ্যানে বসে সমকালীন বা উত্তরকালীন বিজ্ঞানের জটিল সমস্যাগুলিরও সমাধান অন্তর্দর্শন করে বলে যেতেন, তাতে দারুণ উপকার হত। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে এই যে তাঁরা ধ্যানে বসলেই পার্থিব ছোটখাট সমস্যার কথা একেবারেই ভুলে যান। তাঁরা যাকে বলেন পরাবিদ্যা, পরম বা পারমার্থিক জ্ঞান, সেই ইশ্বর আত্মা পরমাত্মা চতুর্বর্গ মোক্ষ ইত্যাদি আধ্যাত্মিক ব্যাপারেই তাঁদের মন প্রাণ নিবেদন করে বসেন।

    বিজ্ঞানীদের জানার ক্ষেত্রটি হল উপনিষদের ভাষায় অপরাবিদ্যা, নিম্ন স্তরের জড়জাগতিক ব্যবহারিক জ্ঞান। তাঁদের ধ্যানযোগের সাহায্যে জ্ঞানযোগের ক্ষমতা না থাকায় জানার গতিও খুব ধীর স্থির মন্থর। তাঁদের প্রতিটি পদক্ষেপে জড়িয়ে থাকে নানা রকম সংশয় প্রশ্ন সতর্কতা, বার বার ঘাড় ঘুরিয়ে পেছন ফিরে দেখা। খালি চোখে, হাতে নিয়ে, মনে মনে একা একা ভেবে তাঁরা কোনো কিছুর থই পান না; তাঁদের অনবরত যন্ত্রপাতির সাহায্য নিতে হয়, মাপজোক করতে হয়, আঁক কষতে হয়, কত সব হিসাব মেলাতে হয়; দশ জনে মিলে শলাপরামর্শ তথা আদান প্রদান করতে হয়, সম্মেলনে বসে তর্ক বিতর্ক করতে হয়। এত সব না করে তাঁরা অতি সামান্য ব্যাপারেও কোন জ্ঞান লাভ হয়েছে বলে ভাবতে পারেন না, জেনেছেন কিনা নিশ্চিত হতে পারেন না। এই জন্য বিজ্ঞানের পক্ষে নির্ভুল তত্ত্বে পৌঁছনো খুব কঠিন। বহু বার ভুল করে, সেই ভুল সংশোধন করে, একটু এগিয়েই সে হোঁচট খেয়ে পড়ে। আবার এর ওর হাত ধরে খানিকটা হেঁটে সে এগোতে থাকে। তার এক একটা তত্ত্বে ভুল ধরা পড়ে, পরীক্ষায় ভুল হয়, অঙ্কে অনেক সময় মিলতে চায় না। তখন দশ বিশ জনে এক জায়গায় বসে কথা বলে তর্ক করে ভুলগুলিকে বের করেন এবং শুধরে নেন। তার ভিত্তিতে সে আরও কয়েক পা এগোয়। তারপর আবার ভুল করে, ভুল ধরা পড়ে, সংশোধন হয়, আবার কিছুটা অগ্রগতি হয়। মাঝে মধ্যে এক আধজন নিউটন, ম্যাক্সওয়েল, আঁতোয়া লরেন্ত লাভোয়াশিয় (১৭৪৩-৯৪), জন ডালটন (১৭৬৬-১৮৪৪), চার্ল্‌স ডারউইন, দ্‌মিত্রি মেন্দেলিয়েভ (১৮৩৪-১৯০৭), ইভান পাভলভ (১৮৪৯-১৯৩৬), মারি কুরি (১৮৬৭-১৯৩৪), আলবার্ট আইনস্টাইন, প্রমুখ এসে হয়ত এক একটা ক্ষেত্রে অনেকটা করে এগিয়ে দেন। এই ভাবেই বিজ্ঞান একটু একটু করে ছোট ছোট পায়ে ক্রমাগত এগিয়ে চলেছে।

    তবে আশার কথা একটাই—বিজ্ঞানের জ্ঞানভাণ্ডার ক্রমশই বেড়ে চলেছে। আজ পর্যন্ত মানুষ যা কিছু জেনেছে, এই বৈজ্ঞানিক রাস্তাতেই সম্ভব হয়েছে। বেদান্ত মতের “তত্ত্বমসি” “অহম ব্রহ্মাস্মি” “অয়মাত্মা ব্রহ্ম” “সোহহং” ইত্যাদি, কিংবা গেরস্ত মতের “তিনি করান”, “সকলই তোমারই ইচ্ছা”, “মেলাবেন তিনি মেলাবেন”, ইত্যাদি ধর্মীয় আধ্যাত্মিক জ্ঞানগর্ভ মন্ত্রের দ্বারা মানুষের জ্ঞানভাণ্ডার জ্ঞানজগতের কোনো শাখাতেই এক দানাও বাড়েনি। একটু রূঢ় শোনালেও কথাটা বোধ হয় অস্বীকার করা যাবে না।
    তবু ঘটনা হল, বিজ্ঞানীরাও এই গ্রহেরই বাসিন্দা। এই গ্রহের সামাজিক সাংস্কৃতিক ইতিহাসেরই তাঁরা ফসল। তাঁদের অনেকেই ছোটবেলা থেকে যে ধর্ম বিশ্বাস কুসংস্কারের আবহাওয়ায় বড় হয়ে ওঠেন, বিজ্ঞানের জগতে ঢুকেও তার সবটা মন থেকে ধুয়ে মুছে ফেলতে পারেন না। তখন তাঁদের কারোর কারোর ইচ্ছা হয়, বিজ্ঞানের পরিভাষা দিয়েই ঈশ্বর বা আত্মার বর্ণনা দেওয়া যায় কিনা পরখ করে দেখতে। কাপ্রা প্রমুখ বিজ্ঞানী এবং বিজ্ঞান লেখকদের এই হচ্ছে মনস্তত্ত্ব। কিন্তু বাইবেলের সঙ্গে বিজ্ঞানের বিরোধটা ইউরোপে এতটাই চর্চিত যে বাইবেলে আধুনিক বিজ্ঞানের হদিশ আছে বলা তাঁদের কারোর পক্ষেই আজ আর সম্ভব নয়। তাই তাঁরা হাত বাড়িয়েছেন ভারতীয় বা চিনা প্রাচীন ধর্মশাস্ত্রগুলির দিকে। আর তার সাথে জুড়ে দিচ্ছেন এক নিরাধার মন্তব্য: সব ধর্মেরই মূল কথা নাকি একই। এইভাবেই তাঁরা বাইবেলকে পাশে ঠেলে দিয়েও খ্রিস্টধর্মকেও বিজ্ঞানের পাতে পরিবেশনের প্রচেষ্টায় রত। আর এই বলার প্রয়াসকে দেখিয়েই বোধ হয় ফাইনম্যান ক্যালটেক-এর সেই সভায় বলেছিলেন, বিজ্ঞান আর ধর্মের মধ্যে সঙ্গতি সম্ভব। সত্যিই তো, বলায় কী আসে যায়? বিজ্ঞানের তো আর এতে জাত যাচ্ছে না! মাঝখান থেকে ধর্মের একটু হলেও মর্যাদা বাড়ছে। এ কি এক রকম সঙ্গতি নয়?

    না। সঙ্গতি মানে এরকম সহজ সরল ব্যাপার নয়। সঙ্গতি মানে এক জায়গা থেকে অপর জায়গার জ্ঞানের খোঁজ পাওয়া যায়। এক জায়গার জ্ঞানের সাথে অপর জায়গার জ্ঞানের বিরোধ হয় না। দুটো জায়গাতেই জ্ঞানের পদ্ধতি একই রকম। ইত্যাদি। আমরা এতক্ষণ দেখে এলাম, এর কোনোটাই সত্য নয়। হ্যাঁ, বিজ্ঞানের কিছু শব্দ কি ধর্মীয় আধ্যাত্মিক আলোচনার ভেতরে গুজে দেওয়া যায় না? নিশ্চয়ই যায়। ইলেকট্রনের স্পন্দন আর নটরাজের নাচের মধ্যে কি কবিরা সাদৃশ্য দেখতে পারেন না? নিশ্চয়ই পারেন। তাতেও সেটা বিজ্ঞান হয় না। অধ্যাত্মবাদই থাকে, কবিতাই হয়। ঘন কালো মেঘপুঞ্জের মধ্যে ঘন কালো কেশদামের তুলনা করে, তার মধ্যে গতি আর তরঙ্গের খেলা দেখিয়ে, ভালো কবিতা অবশ্যই লেখা যায়। কিন্তু তাতে মেঘ বা চুলের কোনোটারই বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দাঁড়ায় না! আবেগের সমন্বয় আর জ্ঞানের সঙ্গতি একেবারেই আলাদা জিনিস।

    ফাইনম্যানও আসলে খুব সূক্ষ্মভাবে সেই কথাটা ধরাতে চেয়েছিলেন। বলেছিলেন, বিজ্ঞানীরা যদি বিজ্ঞানের মতো করে ঈশ্বরে বিশ্বাস করতে চান, তাহলে তাঁদের বলতে হবে, হ্যাঁ, ভগবান একজন থাকার সম্ভাবনা সত্যিই আছে। ধার্মিক লোকেদের মতো করে তাঁরা কখনই বলবেন না, “ভগবান আছেই”।

    ওনার মুখেই বাকিটা শোনা যাক: “Although there are scientists who believe in God, I do not believe that they think of God in the same way as religious people do. If they are consistent with their science, I think that they say something like this to themselves: "I am almost certain there is a God. The doubt is very small." That is quite different from saying, "I know that there is a God." I do not believe that a scientist can ever obtain that view—that really religious understanding, that real knowledge that there is a God—that absolute certainty which religious people have.” আর সেই সঙ্গেই তিনি বলেছিলেন, “This very subtle change is a great stroke and represents a parting of the ways between science and religion.”

    অর্থাৎ, বিজ্ঞানীরা ঈশ্বরের কথা বলতে বসেও ধর্মের রাস্তায় যান না, বিজ্ঞানের রাস্তাতেই থাকেন। সঙ্গতি-টঙ্গতির কথা বলতে বলতেই ফাইনম্যান বুঝিয়ে দিলেন, দুটো জায়গার জ্ঞানন পদ্ধতি একেবারেই আলাদা। রসিক মানুষ তো! যারা ভোজ দিয়েছে, ভালো মন্দ খাওয়াচ্ছে, তাদের মন রেখেই কথাগুলো বললেন, আবার বেশ কায়দা করে বিজ্ঞানের মূল শিক্ষাটাও শ্রোতাদের মাথায় ঢুকিয়ে দেবার একটা চেষ্টা করলেন!!

    তবে হ্যাঁ।

    এই যে ইদানীং বারবার বিজ্ঞানের সঙ্গে ধর্মের সমন্বয়ের চেষ্টা হচ্ছে, এতে একটা জিনিস খুব প্রকট হয়ে উঠেছে: ধর্ম অধ্যাত্মবাদ এখন এক পরিচয় সঙ্কটে পড়েছে। তার নিজস্ব শব্দভাণ্ডার দিয়ে সে আজ আর তার ঐশ্বরিক অধ্যাত্মবিদ্যার মহিমা আগের মতো প্রকাশ করতে বা বজায় রাখতে পারছে না। বিজ্ঞানের মতো অপরাবিদ্যার পার্থিব জড় জ্ঞানের শব্দভূষণ পেলে তার ভালো হয়, মর্যাদা বাড়ে। কিন্তু বিজ্ঞান এক্ষেত্রে একেবারে নিরুপায়। এই অবস্থায় কোনো পির পয়গম্বর বা অবতার এসে একটা রাস্তা বাতলাতে পারলে ধর্মকে বাঁচাতে সুবিধা হবে। তার বদলে, বিজ্ঞানের কাছে ঈশ্বর আত্মা ব্রহ্মের ব্যাপারে সমর্থন চাইলে তাকে খামোখা লজ্জা দেওয়া হবে। এই সমস্ত বিরাট বিরাট ভাবগম্ভীর বিষয় তার পরিধিরও বাইরে, ক্ষমতারও বাইরে। █

    গ্রন্থপঞ্জি

    বাংলা

    স্বামী অভেদানন্দ (১৯৮৬), মরণের পারে (১৪শ পুনর্মুদ্রণ); শ্রীরামকৃষ্ণ বেদান্তমঠ, কলকাতা।

    শৈবাল গুপ্ত (১৯৯৩), “রাজনীতি বিজ্ঞান ধর্ম নৈতিকতা”; দেশ, বর্ষ ৬০ সংখ্যা ১৬, ৫ জুন ১৯৯৩।

    অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৯৮৩), বাংলার ব্রত; বিশ্বভারতী, কলকাতা।

    রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৯৬১ক), “শেষের কবিতা”, রবীন্দ্ররচনাবলী (জন্মশতবার্ষিক সংস্করণ), ৯ম খণ্ড; পশ্চিম বঙ্গ সরকার, কলকাতা।

    রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৯৬১খ), “পূজারিণী”, রবীন্দ্ররচনাবলী (জন্মশতবার্ষিক সংস্করণ), ১ম খণ্ড; পশ্চিম বঙ্গ সরকার, কলকাতা।

    সত্যেন্দ্রনাথ বসু (১৯৯২), “গালিলিও” এবং “শিক্ষা ও বিজ্ঞান”; সত্যেন্দ্রনাথ বসু রচনা সঙ্কলন; বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদ, কলকাতা।

    স্বামী বিবেকানন্দ (১৯৮৯ক), “গীতা প্রসঙ্গ”; স্বামীজীর বাণী ও রচনা, ৮ম খণ্ড; উদ্বোধন কার্যালয়, কলকাতা।

    স্বামী বিবেকানন্দ (১৯৮৯খ), “দেববাণী”; স্বামীজীর বাণী ও রচনা, ৪র্থ খণ্ড; উদ্বোধন কার্যালয়, কলকাতা।

    স্বামী বিবেকানন্দ (১৯৮৯গ), “জাফনায় বক্তৃতা--বেদান্ত” এবং “আর্য ও তামিল”; স্বামীজীর বাণী ও রচনা, ৫ম খণ্ড; উদ্বোধন কার্যালয়, কলকাতা।

    অশোক মুখোপাধ্যায় (২০১৩), বিজ্ঞান বিজ্ঞানী ও সমাজ; উত্তরণ সমাজ, বহরমপুর।

    অশোক মুখোপাধ্যায় (২০১৭), “গণিতশাস্ত্রের পরিচয় রহস্য”; নেহাই, ৫ম সংখ্যা, মার্চ ২০১৭।

    প্রফুল্লচন্দ্র রায় (২০০১), “জাতিভেদ সমস্যা” এবং “জাতিভেদ—হিন্দু সমাজের উপর তাহার অনিষ্টকর প্রভাব”; শ্যামল চক্রবর্তী (সম্পাদিত), আচার্য প্রফুল্লচন্দ্রের প্রবন্ধ; আজকাল, কলকাতা।

    মেঘনাদ সাহা (১৯৮৬), “সমালোচনার উত্তর” এবং “উপসংহার”; শান্তিময় চট্টোপাধ্যায় (সম্পাদিত), মেঘনাদ রচনা সঙ্কলন; ওরিয়েন্ট লংম্যান, কলকাতা।

    সমরেন্দ্র নাথ সেন (১৯৯৪), বিজ্ঞানের ইতিহাস (অখণ্ড), ২য় খণ্ড; শৈব্যা প্রকাশন, কলকাতা।

    শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণ কথামৃত (১৯৮৬), পীযুষ কান্তি চট্টোপাধ্যায় (সম্পাদিত), দিনানুক্রমিক সংস্করণ; দেব সাহিত্য কুটির, কলকাতা।

    ইংরেজি

    W. W. Rouse Ball (2003), “Pierre Simon Laplace (1749-1827)”; in A Short Account of the History of Mathematics; Dover, New York (first published in 1908).

    Mani Bhaumik (2006), Code Named God; Penguin Books India, New Delhi.

    Bernardino M. Bonansea (1986), “Campnella’s Defence of Galileo”; W. A. Wallace (Edited), Reinterpreting galileo; Catholic University of America Press, Washington D.C.

    Fritjof Capra (1978), The Tao of Physics; Collins.

    Fritjof Capra (1988), The Turning Point; Fontana Paperbacks, London.

    Edward Clodd (1905), Animism: The seed of religion; Constable & Co., London.

    E. B. Cowell and A. E. Gough (1882, trans.), Sarva-Darsana-Sangraha by Madhava Acharya; Trübner & Co. London. Available on-line at: https://archive.org/stream/sarvadarsanasamg035018mbp#page/n23/mode/2up

    Paul Davies (1984), God and the New Physics; Simon and Schuster, New York.

    Paul Davies (1992), The Mind of God; Simon and Schuster, New York.

    Frederick Engels (1974), Dialectics of Nature; Progress Publishers, Moscow.

    Richard P. Feynman (1956), "The Relation of Science and Religion" (transcript of a talk at the Caltech YMCA Lunch Forum on May 2, 1956).
    http://calteches.library.caltech.edu/49/2/Religion.htm

    Frank Gaglioti (2000), “A man of insight and courage: Giordano Bruno, philosopher and scientist”; World Socialist Website, 2000: http://www.wsws.org/en/articles/2000/02/brun-f16.html

    Ernst Häckel (1934), The Riddle of the Universe; Watts & Co., London.

    Swami Jitatmananda (1986), Modern Physics and Vedanta; Bharatiya Vidya Bhavan, Mumbai.

    Swami Jitatmananda (1991), Holistic Science and Vedanta; Bharatiya Vidya Bhavan, Mumbai.

    Nrishingh Charan Panda (1991), Maya In Physics; Motilal Baranasi Dass, Delhi.

    Amaury de Riencourt (1980), The Eye of Shiva: Eastern Mysticism and Science; William Morrow, New York.

    Michael Talbot (1993), Mysticism and the New Physics; Penguin Books.

    Frank J. Tipler (1994), Physics and Immortality: Modern Cosmology, God and the Resurection of the Dead; Doubleday, New York.

    F. M. A. Voltaire (1935), Selected Writings; Watta & Co., London.

    Gary Zukav (1979), The Dancing Wu Li Masters; Bantam Books, New York.
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ১১ এপ্রিল ২০১৯ | ৩৫৯০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু মতামত দিন