এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • মাননীয় ‘ভাইরোলজিস্ট’ অমিতাভ নন্দী, এবং তাঁর ভ্যাকসিন-প্রতিরোধী মাস্ক

    Debasis Bhattacharya লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৯ জানুয়ারি ২০২২ | ৯৫১২ বার পঠিত
  • চিকিৎসক ও গবেষক অমিতাভ নন্দীর একটি ভিডিও গত কয়েক দিন ধরে সোশাল মিডিয়াতে ব্যাপকভাবে ছড়ানো হচ্ছে (লিঙ্ক পাবেন এ লেখার শেষে)। তাতে তিনি বলছেন, কোভিড আসলে সাধারণ ফ্লু ছাড়া আর তেমন কিছুই নয়, এবং তা আটকাবার জন্য যে ভ্যাকসিনটা দেওয়া হচ্ছে সেটাও অকেজো, কাজেই কোভিড এবং তার ভ্যাকসিন --- কোনওটিকেই নাকি বিশেষ পাত্তা দেবার দরকার নেই। তাঁর মতে, ভ্যাকসিন বানিয়ে ভাইরাস-জাত ব্যাধিকে আটকাবার দাবি করা নাকি আসলে এক রকমের প্রকৃতি-বিরোধী দম্ভ (আবার একেবারে শেষে যদিও বলেছেন, তিনি নাকি ‘সত্যি ভ্যাকসিন’ এর জন্য অপেক্ষা করছেন)। তিনি আরও বলেন, রোগ হয়ে শরীরে ‘স্বাভাবিক’ প্রতিরোধ তৈরি হতে দেওয়াটাই রোগ প্রতিরোধের সবচেয়ে ভাল পন্থা, এবং টিকাকরণের চেয়ে তা অনেক ভাল। সেইহেতু তাঁর সুদৃঢ় পরামর্শ, রোগটিকে অবাধে ছড়াতে দেওয়া দরকার, যাতে করে প্রতিটি ব্যক্তি রোগাক্রান্ত হবার মাধ্যমে ‘স্বাভাবিক’ প্রতিরোধ-ক্ষমতা অর্জন করতে পারেন। আবার, যদিও ভ্যাকসিন জিনিসটাকেই তিনি ভালবাসেন না, তবুও একেবারে শেষে গিয়ে বলেছেন, যে ভ্যাকসিনগুলো দেওয়া হচ্ছে সেগুলো নাকি সত্যিকারের নয়, এত তাড়াতাড়ি ভ্যাকসিন হয়না ---  বছর দশেক অপেক্ষা করলে সত্যিকারের ভ্যাকসিন পাওয়া যেত। বছর দশেক পরে ভ্যাকসিন বানালে কেন যে সেটা আর প্রকৃতি-বিরোধী দম্ভ বলে গণ্য হতে পারত না, সেটা তিনি এ ভিডিও-তে ব্যাখ্যা করে বলেন নি।

    ভিডিও-টি আগে দেখেছি, আজ আরও কয়েকবার মন দিয়ে দেখলাম। এবং, একজন বর্ষীয়ান দায়িত্বশীল চিকিৎসক কীভাবে এমন বলতে পারেন, তা দেখে স্তম্ভিত হলাম। হ্যাঁ, তিনি এখানে যা যা বলেছেন, তার সবই ভুল। নিচে ভুলগুলোর একটা তালিকা বানাই বরং।

    (১) কোভিড রোগের ভাইরাসটি ‘ফ্লু ভাইরাস’-এর ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ই বটে, কিন্তু দুটো কোনও মতেই এক না --- কোভিড অনেক বেশি ভয়ঙ্কর। ঠিক যেমনটি, বিগত দুই দশকে যে সমস্ত ছোট ছোট রোগ-সংক্রমণের ঢেউ এসেছে এবং গেছে যেমন ‘সার্স’ ও ‘মার্স’, যাদের মারণ-ক্ষমতা কোভিড-এর চেয়ে বেশি কিন্তু সংক্রমণ-ক্ষমতা অপেক্ষাকৃত কম, তারাও সাধারণ ফ্লু-র আত্মীয় কিন্তু অনেক বেশি মারাত্মক। সম্ভাব্য সমস্ত মাপকাঠিতেই, অর্থাৎ রোগ-লক্ষণ, সংক্রমণ-ক্ষমতা, মারণ-ক্ষমতা, জিন-এর গঠন --- এই সব কিছুতেই সাধারণ ফ্লু-র থেকে কোভিড-এর তফাত পরিষ্কার, এবং বিষয়টি গবেষণায় সুপ্রতিষ্ঠিত। [১]

    (২) কোভিড-এর ভ্যাকসিন কোভিড-১৯ রোগটিকে আটকাতে যথেষ্ট সফল, এবং ভ্যাকসিনের সুফল নিয়ে বিস্তর প্রামাণ্য গবেষণা আছে। আন্তর্জালে সে নিয়ে তথ্য অতিশয় সুলভ। [২]

    (৩) রোগ-সংক্রমণজাত ‘স্বাভাবিক’ প্রতিরোধের চেয়ে এই ভ্যাকসিন-গুলো যে অন্তত পাঁচগুণ বেশি কার্যকর, সেটাও উচ্চমানের গবেষণায় আজ সুপ্রতিষ্ঠিত। [৩]

    একজন বর্ষীয়ান চিকিৎসক ও গবেষক হিসেবে শ্রীনন্দীর নিশ্চয়ই এ সব জানা থাকার কথা। তিনি যদি তা জেনে থাকেন, তাহলে প্রশ্ন ওঠে, জেনেশুনে আমাদেরকে বিভ্রান্ত করার কারণ কী হতে পারে? যদি না তা জেনে থাকেন, তাহলে জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত এমন একটি জরুরি বিষয়ে না জেনে কথা বলাটা বোধহয় তাঁর পক্ষে ঠিক হচ্ছে না। আর, যদি এমনটাই হয়ে থাকে যে, তিনি সবই জানেন, কিন্তু সে সব গবেষণার দাবিকে ভুল বলে মনে করেন, তাহলে সোচ্চারে তা বলতেই পারেন --- সেক্ষেত্রে সেটা বলাটা তো তাঁর কর্তব্যই। কিন্তু, সেক্ষেত্রে তিনি তাদের তথ্য-যুক্তিকে বিস্তারিতভাবে খণ্ডন করে রিসার্চ পেপার লিখুন, সারা পৃথিবীর পণ্ডিতদের সামনে নিজের যুক্তিতর্ককে হাজির করুন, এবং সাধারণ মানুষের কাছেও তাঁর বক্তব্যকে সহজবোধ্যভাবে হাজির করে প্রবন্ধ লিখুন। কিন্তু, এভাবে লোকের আস্থার সুযোগ নিয়ে ভিডিও-তে দুটো উড়ো কথা বলে লোককে বিভ্রান্ত করাটা কী ধরনের দায়িত্বপালননের দৃষ্টান্ত?

    অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হচ্ছে, শ্রীনন্দী যেভাবে ওই ভিডিও-সাক্ষাৎকারে ভ্যাকসিন বাদ দিয়ে স্রেফ স্বাভাবিক প্রতিরোধ-ক্ষমতার ওপর ভরসা রাখতে বলছেন, সেটা শুধু ভুল না, রীতিমত বর্বরোচিত। প্রথমত, স্বাভাবিক প্রতিরোধ ভ্যাকসিনের চেয়ে ভাল --- এই কথাটাই পুরো মিথ্যে, তা যদি হত তাহলে তো আর কোনও ভ্যাকসিনই লাগত না কোনও দিনই। দ্বিতীয়ত, রোগকে প্রতিরোধ না করে চুপচাপ বসে বসে রোগীদের সংক্রমিত হতে দেওয়ার ওই ধরনের প্রস্তাব অতিশয় উন্মত্ত ও অনৈতিক। তৃতীয়ত, ওইভাবে স্বাভাবিক প্রতিরোধের আশায় বিনা চিকিৎসায় মানুষকে ফেলে রাখলে সম্পূর্ণ প্রতিরোধ কবে অর্জন করা যাবে সেটা কেউ জানে না, কিন্তু তার আগে বেশ কয়েক কোটি লোক যে লোপাট হয়ে যাবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। [৪] সেটা যদি ঘটে, তো তার দায়িত্ব কি তিনি নেবেন?

    যেভাবে তিনি বললেন, মরা জীবাণু ঢুকিয়ে ভ্যাকসিন তৈরি হয়, এবং বছর দশেক না হলে কিছুতেই ‘সত্যিকারের ভ্যাকসিন’ তৈরি হয়না (এবং সেইহেতু দ্রুত-আবিষ্কৃত সমস্ত কোভিড ভ্যাকসিনই অকেজো), তাতে প্রশ্ন জাগে, তিনি কি তবে ভ্যাকসিন তৈরির আধুনিক প্রযুক্তি, যেমন ‘mRNA’ প্রযুক্তি, এ সবের কথা কিছুই শোনেন নি? [৫] ভ্যাকসিন কীভাবে অত দ্রুত বানানো গেল, সেটা অনেকের কাছেই পরিষ্কার না। অথচ আসলে এর মধ্যে বিরাট কিছু ধাঁধা নেই, বরং অনেকগুলো বাস্তব কারণ আছে, সেগুলো মোটামুটি এই রকম। (ক) সার্স, মার্স, সাধারণ ফ্লু এবং আরও নানা ধরনের রোগ নিয়ে দীর্ঘদিনের গবেষণার ফলে এই ধরনের ভাইরাস নিয়ে বিপুল তথ্য আগে থেকেই ছিল, সেটা ব্যবহার করায় সময় বেঁচেছে। (খ) সংকটের মুখে দাঁড়িয়ে সারা পৃথিবীর বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীরা নিজস্ব 'ট্রেড সিক্রেট'-এর কথা ভুলে গিয়ে অবাধে তথ্য আদান-প্রদান করেছেন, ফলে গবেষণার গতি বেড়েছে বহুগুণ। (গ) সারা পৃথিবীর সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এগিয়ে এসে গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ জুগিয়েছে অকাতরে। (ঘ) লাখো মানুষ সারা পৃথিবীর কল্যাণের স্বার্থে স্বেচ্ছায় এগিয়ে এসে পরীক্ষার গিনিপিগ হতে চেয়েছেন, ফলে পরীক্ষাও হয়েছে দ্রুত, এবং ফলাফলও হয়েছে নির্ভরযোগ্য। (ঙ) দ্রুত নিরাপদ এবং কার্যকরী ভ্যাকসিন তৈরির জন‌্য আবিষ্কৃত হয়েছে 'mRNA' প্রযুক্তি। এতে গোটা জীবাণু-টির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে হয়না, শুধু আমাদের শরীরকে জীবাণুর 'স্পাইক প্রোটিন'-টিকে চিনিয়ে দিলেই চলে।

    আর, তিনি 'সত্যি ভ্যাকসিন'-এর জন্য অপেক্ষা করছেন --- এইটা জেনেও খুব অবাক হলাম। উনি তো ভ্যাকসিন ব্যাপারটারই বিরুদ্ধে, তার সত্যি-মিথ্যে নিয়ে মাথাই বা ঘামাচ্ছেন কেন খামোখা? কিছুই বুঝিনি। পাঠকরা কেউ বুঝে থাকলে, অনুগ্রহ করে বোঝাবেন।

    ফেসবুকে এই ভিডিও-টি প্রচার করা হচ্ছে শ্রীনন্দীকে ‘ভাইরোলজিস্ট’ বলে দাবি করে। তিনি কোন প্রতিষ্ঠানে ভাইরোলজি-সংক্রান্ত গবেষণা করেন সেটা জানার অনেক চেষ্টা করেও জানতে পারিনি। তিনি কয়েকটি সংক্রামক এককোষী প্রাণি ও তজ্জাত ব্যাধি নিয়ে গবেষণা করেছেন, সে তথ্য আন্তর্জালে পাওয়া যায়, কিন্তু ভাইরাস নিয়ে আলাদা করে তাঁর কোনও গবেষণার সন্ধান আমি পাইনি, কারুর যদি জানা থাকে অনুগ্রহ করে আমাকে জানাবেন। আমি জানি, এ প্রশ্ন তুললেই তাঁর সমর্থকেরা এসে বলবেন, শ্রীনন্দী আসলে ভাইরোলজিস্ট কিনা সে প্রশ্নের থেকে তাঁর বক্তব্যে যৌক্তিকতা বা সারবত্তা আছে কিনা এইটা বেশি জরুরি প্রশ্ন। এবং, এক্ষেত্রে অন্তত আমি তাঁদের সঙ্গে একমতই হব (তাঁর বক্তব্যে আদৌ যৌক্তিকতা বা সারবত্তা পাইনি যদিও)। কিন্তু আমার প্রশ্নটা হচ্ছে, যাঁরা তাঁর বক্তব্য প্রচার করছেন তাঁরা তাহলে সেটাই বলুন --- উনি ভাইরোলজিস্ট কিনা সেটা বড় কথা না, বরং উনি যে সঠিক কথা বলছেন এটাই বড় কথা। কিন্তু, ওঁরা তো তা করছেন না, বাড়তি গ্রহণযোগ্যতা সৃষ্টি করার জন্য ওঁকে ভাইরোলজিস্ট বলে হাজির করছেন। যদি ভাইরোলজি নিয়ে তাঁর তেমন কোনও গবেষণা না থেকে থাকে, তাহলে ব্যাপারটা নৈতিকভাবে খুব একটা গ্রহণযোগ্য হচ্ছে কি?

    কিন্তু, ভিডিও-টিতে একটি মজার ব্যাপারও আছে। এখানে যে বিষয়টি সবচেয়ে লক্ষণীয় সেটা হচ্ছে এই যে, সারাক্ষণই তিনি সাক্ষাৎকারটি দিলেন মুখে একটি জবরদস্ত মুখোশ ভাল করে এঁটে রেখে। মুখোশ কেন? আইনের ভয়ে, নাকি ‘সাধারণ ফ্লু’-এর ভয়ে? আরও প্রশ্ন জাগে, আইন এবং/অথবা ‘সাধারণ ফ্লু’-এর ভয়ে যদি তিনি মুখোশ পরে থাকেন, তবে কি তিনি ওই একই ভয়ে ভ্যাকসিনের দুটি ডোজও নিয়ে নিয়েছেন ইতিমধ্যে? যদি নিয়ে থাকেন, তাতে আমাদের অত্যন্ত খুশি হওয়া উচিত --- তাঁর মত স্বনামধন্য বর্ষীয়ান চিকিৎসক কোভিডের কবলমুক্ত থাকুন, এটা তো সকলেই চাইবেন।

    কিন্তু, নাঃ! ভিডিও দেখে অন্তত সে ব্যাপারে নিশ্চিত হবার কোনও উপায় নেই! ক্যামেরায় শুধু মুখোশটাই দেখা যায়, অন্য কিছু নয়। আমরা চাইব, তিনি যদি ইতিমধ্যে ভ্যাকসিন না নিয়ে থাকেন, তো এবারে নিয়ে নিন। তিনি ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন।
     
     

    ভিডিও-র লিঙ্ক রইল এখানে। [ https://www.facebook.com/debasis.bhattacharya.79/posts/5174408019250198 ] 
     
     
     
     
     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৯ জানুয়ারি ২০২২ | ৯৫১২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • S | 23.236.***.*** | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৯:২৭503537
  • হ্যাঁ সোশাল মিডিয়াতে দেখেছিলাম যে নোবেল প্রাইজও নাকি কমিউনিস্টদের।
  • | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১০:৫১503542
  • আ(দা)ম্বানিরা কমিউনিস্ট হয় নি এখনো? এই যে নিম্মিপিসি ওদের ট্যাক্সো ৩০% থেকে কোমিয়ে কোমিয়ে ১৫% করে দিল, ট্যাক্সো কমানো তো কমিউনিস্টদের ষড়যন্ত্র সবাই জানে। এখনো কি ওদের কমিউনিস্ট বলার সময় আসে নি? হ্যাঁ আরশোলাবাবু? 
  • জয় | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১১:৪৮503545
  • এই প্যান্ডেমিক আগের কোন প্যান্ডেমিকে সোসালমিডিয়া এত সহজ লভ্য হয়নি।
     
    ২০২১এর মার্চে ইউ টিউব একনিউজ কনফারেন্সে জানায় পাঁচমাসে তারা ৩০,০০০ ভাইরাস/ভ্যাকসিন নিয়ে মিসলিডিং ভিডিও ডিলিট করেছে।প্যান্ডেমিকের শুরু থেকে মিসলিডিং ভিডিও ডিলিট করার সংখ্যাটা ৮০০,০০০!
  • জয় | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১২:১৩503546
  • *এই প্যান্ডেমিকের আগের কোন প্যান্ডেমিকে সোসালমিডিয়া এত সহজ লভ্য হয়নি।
     
    ও lcmস্যার
    নিজের পোস্ট করা পোস্টের একটা এডিটের সুবিস্হা করুন না গো, অন্ততঃ যদি লগ ইন করে? 
     
     
  • ar | 173.48.***.*** | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১২:৩৬503548
  • "Dr. Sanjay Rai Says Risk Of Vaccine Led Deaths In Children Is Higher Than Severity Of Covid."
    ইউটিউবে বলেছেন, কোন পাবলিশ্যড ডেটা নেই। সেই রকম কোন ইনফরমেশ্যনও নেই, ডেটাও নেই। লোকে সোশ্যাল মিডিয়াতে গুল ঢেলে দিচ্ছে, আর উনি নিজে ডাক্তার হয়েও সেটা উগরে দিচ্ছেন।
    Drs. Moran aar Campbell এর বিষয় তো এল সি এম আগেই লিখে দিয়েছেন। সেন্সেশ্যনাল খবর থেকে প্রচুর লোকে কেরিয়ার আর পয়সা করছে। এই আর কি!!

    কোভিড-১৯ প্যানডেমিকের এর ক্ষেত্রে natural herd immunity তৈরী করার হিউম্যান (লাইফ) কস্ট অনেক। এই নিয়ে প্রচুর লেখালেখি হয়েছে। একটু কষ্ট করে পড়ে নিলেই হয়। ভারতে ৬৫+ এজ গ্রুপ প্রায় ৫০ মিলিয়নের ওপরে। তো ন্যাচারাল herd ইমিউনিটির টেস্টিং গ্রাউন্ডে (ঐ সময়ে) এই ভ্যালনার‌্যেবেল পপুলেশ্যনকে কোথায় লুকিয়ে রাখা হবে? এই এজ গ্রুপের লোকজন তো আগে মারা যাবে।
    ভারতে বা ভারতের বাইরে, যারা যারা টিউবে বা টিভি চ্যানেলগুলোতে এইসব গুজব ছড়াচ্ছে, রুপর্ট মুরডোকসহ তারা সকলেই আগেভাগে ভ্যক্সিন নিয়ে নিয়েছে!!
    এই খবরটা আজকে দেখলাম।
    https://www.dailymail.co.uk/news/article-10454959/Washington-State-Patrol-officer-defied-statewide-vaccine-mandate-dies-COVID-19.html

     
  • lcm | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১২:৩৯503549
  • জয়,

    এরকম একটা সংখ্যাটা দেখেছিলাম, খবরে এসেছিল। আপনার সংখ্যাটা কাছাকাছি তবে একটু কম মনে হচ্ছে।

    গত আগস্ট/সেপ্টেম্বরের খবরে বলছে,

    Last year, YouTube implemented a ban on Covid vaccine misinformation videos, which has led to 130,000 pieces of content being taken down since then. YouTube, which is owned by Google, has removed a total of 1m videos for spreading general Covid falsehoods since the pandemic broke out.

    https://www.theguardian.com/technology/2021/sep/29/youtube-to-remove-misinformation-videos-about-all-vaccines

    এক মিলিয়নের বেশি ভিডিও, মানে গুগল প্রায় ১০ লাখ ভিডিও ডিলিট করেছে তখনই, এদ্দিনে আরও কিছু বেশি হবে।

    আর ফেসবুক, ঐ একই সময়ে খবরে আসে যে প্রায় ২ কোটির বেশি পোস্ট ডিলিট করেছে, কিছু অ্যাকাউন্ট ব্যান করেছে -

    Facebook removed more than 20 million posts for COVID-19 misinformation

    https://www.cnet.com/tech/mobile/facebook-removed-more-than-20-million-posts-for-covid-19-misinformation/

    আর তখনই এই "কুখ্যাত এক ডজন" (disinformation dozen) এর কথা শুনি - ফেসবুকে ১২ জন লোক নাকি লিড করছে এই অপপ্রচার, এই বারো জনে মিলে প্রায় ৬৫% পোস্ট করেছে -

    The action came about a month after the White House singled out Facebook in saying that about a dozen people were responsible for creating 65% of the vaccine misinformation on social media platforms

    ফেসবুক কিসব এআই লাগিয়ে ৬৫ টা রুল বেসড ভ্যালিডেশন বসিয়েছে, সেগুলো অটোমেটিক্যালি মার্ক করে কোনো পোস্ট অপপ্রচার করছে কিনা দেখার জন্য। তখনও অবধি বলছিল, যে কোভিড অপপ্রচারের জন্য ৩০০০ এর বেশি অ্যাকাউন্ট ডিলিট করে দিয়েছে।
     
  • lcm | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১২:৪৪503550
  • এই মোদ্দা কথা ar লিখে দিয়েছেন

    "... লোকে সোশ্যাল মিডিয়াতে গুল ঢেলে দিচ্ছে..."

    একদম হুড়মুড় করে ঢেলে দিচ্ছেন... গুল কাট-পেস্ট করছেন... গুল ফরোয়ার্ড করছেন... গুল ওপর গুল দিয়ে আঁচ খুঁচিয়ে দিচ্ছেন... গুলের আঁচে ভালো রান্না হয়... একেবারে গরম খাবার হট কেকের মতন ছড়িয়ে যাচ্ছে... একবারের জন্যেও নিজেকে নিজেও জিগ্গেস করছেন না - আচ্ছা এগুলো কি একটূ ভেরিফাই করে দেখলে হত না !!
  • S | 2a0b:f4c2:2::***:*** | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১২:৫৮503551
  • ঐজন্যই তো কিউঅ্যানন তৈরী করা হল যাতে ফেবু, ইউটিউব, টুইটার থেকে মুছে দিলেও সেখানে এইসব কথা নিশ্চিন্তে বলা যায়। যদিও এরা ফ্রী স্পিচ ইত্যাদির কথা বলে, অথচ কিউঅ্যাননে কিন্তু আপনি ট্রাম্পের নিন্দে করতে পারবেন না।

    এদেরকে আমি এখন কিছুটা করুনার চোখেই দেখি। দে লস্ট ইট অ্যান্ড স্টিল ডিনায়িং দ্য রিয়েল রিজনস।
  • জয় | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৩:৩৮503552
  • অ্যান্টিসোসাল মিডিয়ায় গুলবাজদের জাতীয় সঙ্গীত- 
     
    "তাই আকাশকুসুম করিনু চয়ন হতাশে
    আমি কেবলই স্বপন করেছি বপন বাতাসে"
     
    এবার ট্রোল শুরু হল ব'লে- "দেকেচ? এরা রবীন্দ্রনাথকে পয্যন্ত সম্মান করে নাকো? তো অ্যান্টিভ্যাক্সারদের করবে? যত্তসব কমি'র ছানা!"
  • Amitava Sen | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২১:২৪503560
  • সুন্দর উপস্থাপনা। 
     
    বলে রাখা ভালো ডাক্তার অমিতাভ নন্দী, অন্তত আমার কাছে, একজন শ্রদ্ধেয় মানুষ, তাঁর বিভিন্ন সামাজিক ক্রিয়া কলাপের জন্য। কিন্তু কোভিড টীকা নিয়ে তাঁর বক্তব্য একদম মানা যাচ্ছে না। না মানতে পারার সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে, ওনার বক্তব্য পুরোটাই sweeping statement এ ভরা, একদম তথ্য ছাড়া সিদ্ধান্ত। অবশ্য anti vax গ্রুপের সবার ই তাই অবস্থা।
     
     
  • Kanchan Sarker | 2001:569:f94c:b700:f527:48f3:142a:***:*** | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২৩:০৮503593
  • ওনাকে দিদি কোভিদ  কমিটি তে রাখেন নি বহুদিন ধরে এইসব বলে যাচ্ছেন। 
  • জয় | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৬:১০503617
  • @ অনিন্দ্য সেন (ডাঃ)
    আপনি ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৮:৪৩ তে একটি পোস্টে লিখেছেনঃ 
     "প্রাকৃতিক সংক্রমণ যে ভ্যাক্সিনের চাইতে ইমিউনিটি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অনেক বেশি কাজের, বিশেষতঃ করোনার ক্ষেত্রে সেকথা শুধু ডাঃ অমিতাভ নন্দী বলেন নি, ডাঃ অমিতাভ ব্যানার্জি এবং ডাঃ সঞ্জয় রাইও বলেছেন। তাতেও যদি খুশী না হন তাহলে Dr. John Campbell Dr. Keith Moran এর দুটো খুব সাম্প্রতিক ভিডিও দেখতে পারেন। এঁরা সিডিসি র একটা বড় স্টাডির ভিত্তিতে একই কথা বলেছেন।"
     
    lcm এবং ar এঁদের ক্রেডিবিলিটি যে নেই বলেছেন। 
     
    কিন্তু আপনি সিডিসির  স্টাডির ভিত্তিতে ডিসিশন সেটা খুব প্রশংসার যোগ্য।সিডিসির পেপারটি হস্তগত হল, আসুন দেখি স্টাডিটি কি বলছে।
     
     
    ১) স্টাডিটি হয়েছে ক্যালিফোর্নিয়া এবং নিউ ইয়র্কে। 
    ২) এর দুটো ডেটা পয়েন্টঃ মে/জুন এবং অক্টোবর 
    ৩) দুটো ডেটা পয়েন্টের মধ্যে আমেরিকা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছিল
    ৪) ভ্যাকসিনেটেড বলতে এখানে দুটো ডোজের কথা বলা হয়েছে, তখনও বুস্টার এই স্টাডিতে ইনক্লুডেড হয়নি।
    ৫) জুনের রেজাল্টঃ কম থেকে বেশী ইনফেশনের ভিত্তিতে চারটি গ্রুপের মধ্যে যারা ভ্যাকসিন (V) নিয়েছে+ আগে ইনফেকসন (PI)হয়েছিল তাদের সবচেয়ে কম ইনফেকসন <যারা ভ্যাকসিন (V) নিয়েছে কিন্তু আগে ইনফেকসন হয়নি <আগে ইনফেকসন (PI)হয়েছিল কিন্তু আনভ্যাকসিনেটেড (UV) < আনভ্যাকসিনেটেড (UV) গ্রুপে সবচেয়ে বেশী ইনফেকসন হয়েছে।
    ৬) অক্টোবরের রেজাল্টঃ কম থেকে বেশী ইনফেশনের ভিত্তিতে চারটি গ্রুপের মধ্যে যারা ভ্যাকসিন (V) নিয়েছে এবং আগে ইনফেকসন (PI)হয়েছিল তাদের সবচেয়ে কম ইনফেকসন < আগে ইনফেকসন (PI)হয়েছিল কিন্তু আনভ্যাকসিনেটেড (UV) < যারা ভ্যাকসিন (V) নিয়েছে কিন্তু আগে ইনফেকসন হয়নি <আনভ্যাকসিনেটেড (UV) গ্রুপে সবচেয়ে বেশী ইনফেকসন হয়েছে।
    ৭) কনক্লুসনঃ ভ্যাকসিনেসন এবং বুস্টার ডোস নেওয়া উচিত।
     
     
     
  • জয় | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৬:২৫503618
  • @অনিন্দ্য সেন (ডাঃ) বাবু 
    আপনি নিশ্চই অ্যানেকডোটাল ভিডিওর তুলনায় এখনও পর্যন্ত্য যা পেপার টেপার বেরিয়েছে তার উপরে ভরসা করবেন। তা, পেরারগুলির মেটাঅ্যানালিসিস (মোটামুটি) করে যা জানতে পারছিঃ
    1. কোভিড ইনফেকসন এবং ভ্যাকসিন দুয়ের জন্যই পরবর্তীকালে ইনফেকসনের রিস্ক বেশ কমে যায় (ভাইরাস স্ট্রেইনের ওপরনির্ভর করে), অন্ততঃ মাস ছয়েকের জন্য, ইনফেকসন হলেও বেশ ভালোভাবে সিম্পটোম্যাটিক কোভিড থেকে রক্ষা করে।
    2. শরীরে অ্যান্টিবডি টেস্ট করে বলা যায় না যে আপনি ইমিউন কিনা- আমরা এখনো যাস্ট জানিনা যে অ্যান্টিবডি টাইটারঠিক কত হলে আপনাকে ইমিউন বলা যাবে।
    3. কোভিড ইনফেকসনের পরে ভ্যাকসিন দিলে, শরীরের ইমিউনিটি আরো বাড়ে (সিগনিফিক্যান্ট)। পরবর্তীকালেইনফেকসনের রিস্ক আরো কমে যায়, বিশেষত্ব নতুন আরো বেশী ইনফেকসাস স্ট্রেইনের বিরুদ্ধে।
    4. ন্যাচারাল ইমিউনাইজেসনের মুস্কিল হল-কোভিড ইনফেকসন এক একজনের এক একরকম হয়, কম বা বেশী ভাইরাললোড, সেই হিসেবে কম বা বেশী ইমিউন রেসপন্স হয়। শরীরে কম বেশী অ্যান্টিবডি টাইটার পাওয়া যায়। সেই হিসেবে কমবা বেশী ইমিউনিটি তৈরী হবে ভবিষ্যতের পসিবল ইনফেনশনের বিরুদ্ধে। ভ্যাকসিন সে তুলনায় স্ট্যান্ডার্ডাইজড।ভ্যাকসিনেশনের পর কনসিসট্যান্টলি হাই অ্যান্টিবডি টাইটার পাওয়া যায়। দুক্ষেত্রেই বয়স, ইমিউনোকম্প্রোমাইজডকন্ডিশন ফ্যাক্টর হবে। 
    5. এখনো পর্যন্ত কোন ভাল ডেটা নেই এসিম্পটম্যাটিক এবং মাইল্ড ইনফেশন, ছোটদের ইনফেকসন ঠিক কতটা রোগপ্রতিরোধ করতে পারে।
    6. যদিও ভাইরাল লোড বেশী হলে বেশী ইমিউন রেসপন্স হবে, সেটা কাঙ্খিত নয় কারন আপনার ইনফেকসন শুধুসিম্পটম্যাটিক নয়, ক্ষতিকারক, হানিকারক; এবং অন্যদের প্রতি ইনফেকসাস। এখন ভ্যাকসিন যদি আপনাকেইনফেকসন (অল্প সংখ্যায় হলেও, ক্ষতিকারক, হানিকারক) ছাড়াই ইমিউনিটি দেয়, সেটা নেওয়াটা বুদ্ধিমানের কাজনয়কি?
    7. সেই জন্য গোয়ালিনীরা কাউপক্স হলে কিছু মনে করত না, কারন ওটা মানুষের ক্ষতি করে না কিন্তু স্মল পক্স থেকে বাঁচায়।সেই কারনেই বিজ্ঞান ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছে। 
    8. তাছাড়া ইনফেকসন হলে আপনি ইনফেকসাস হবেন, বিশেষত্ব এসিম্পটমিক হলে না জেনেই আপনি বন্ধুবান্ধব আত্মীয়স্বজনকে সংক্রমিত করবেন (আপনি যদি সবাইকে অ্যাপোক্যালিপটিক লেভেলে ঘৃণা করেন তাহলে আলাদা কথা)
    9. যারা অ্যান্টিভ্যাক্স কিন্তু মানেন কোভিড ভাইরাসের অস্তিত্ব, কারোর ক্ষেত্রে ক্ষতিকারক এবং প্যান্ডেমিকটা রিয়েল একটাএক্সপেরিমেন্ট করুন। আপনার কোভিড হলে আপনার বন্ধুবান্ধব আত্মীয় স্বজন অ্যান্টিভ্যাক্স সহমর্মীদের একটাবদ্ধজায়গায় পার্টি করুন, গা-ঘেঁসে বসুন, মাস্ক ছুঁড়ে ফেলে গলা ছেড়ে গান গান। আপনার ভালোবাসার দান কোভিড সবাইকৃতজ্ঞতার সঙ্গে ফুসফুস পেতে নেবে এবং ইমিউন হয়ে যাবে! দেখুন কতজন আপনার পাগলামোতে সাড়া দেয়।
    10. ar লিখেই দিয়েছেন ন্যাচরাল ইমিউনিটির ভরসায় বসে থাকলে ৬৫ ওপরের সবাই ঝাড়ে বংশে উজাড হয়ে যেত। Europe and European Centre for Disease Prevention and Control (ECDC) বলছে ডিসেম্বর'২০ থেকে নভেম্বর'২১- ১১মাসে ইউরোপে ভ্যাকসিনেসন ৪৭০,০০০ প্রান বাঁচিয়েছে।
  • জয় | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৬:৪৬503619
  • @অনিন্দ্য সেন (ডাঃ) বাবু
    GAVI নিয়ে আপনি পড়াশুনা করতে বললেন  কিন্তু আপনার আপত্তির কারনটা বলেন নি। প্লিজ একটু বিস্তারিত লিখবেন, এভিডেন্স দিয়ে? কোন অ্যানেকডোট/ এর-তার ভিডিও দেবেন না আশা করি। আপনার ক্রিটিক্যাল থিকিং প্রশংসনীয়। জানতে পারি কি কোন এভিডেন্স পেলে আপনার সন্দেহ দূর হবে? 
  • Madhu Sen | 115.187.***.*** | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২২:৩৬503628
  • কোভ্যাকসিন আর কোভিশিল্ড নির্মাতাদের খুব করে এক বার বকে দিন দেখি, ব্যাটারা 'ফ্যাক্ট শিট'-এ বলে কিনা  এখনও ভ্যাকসিনের 'ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল' চলছে। 
    'ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল' কারে কয় zানতি এই লিঙ্কে কিলিক করেনঃ https://covid19.nih.gov/treatments-and-vaccines/clinical-trials
    আর হ্যাঁ, 'অ্যান্টিভ্যাক্সার'-এর অস্তিত্বের জন্য সবার আগে একটা 'ভ্যাকসিন' লাগে, 'ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট' নয়।
     
  • dc | 171.49.***.*** | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২২:৪১503629
  • অ্যান্টি ভ্যাক্সার রা তো সব ভ্যাক্সিন এরই বিরোধিতা করে! স্মল পক্স থেকে চিকেন পক্স সবারই। এগুলোও কি ভ্যাক্সিন ক্যান্ডিডেট নাকি? বিল গেটস এগুলো নিয়ে কিছু বলেনি? 
  • ক্যান্ডিডেট | 182.76.***.*** | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২২:৫৯503631
  • ক্যান্ডিডেট ভ্যাকসিন কাকে বলে?
  • মিহির | 2a0b:f4c0:16c:16::***:*** | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২৩:০৩503632
  • "...these data suggested that after vaccination, at least by day 28, other than generation of neutralizing antibodies, people’s immune systems, including those of lymphocytes and monocytes, were perhaps in a more vulnerable state."
     
     
    মনে রাখবেন ভ্যাক্সভক্তমশাই, আপনি কিছুই দেখেননি।
  • জয় | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০০:০০503633
  • @Madhu Sen বাবু,
    আমার মতো মোটা মাথা লোকেদের প্রতি দয়া করবেন, প্লীজ। আপনি কি বলছেন-
    ১) কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন ঢপ? (ওদের আপটুডেট ফ্যাক্টশিটের লিঙ্ক দেবেন? কোন কোন বিষয়ে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলাতো খারাপ নয়? সব উত্তর তো এখনও জানা হয়নি। ডিজিজটা নতুন। তার ওপর নতুন নতুন স্ট্রেইন। ভ্যাকসিনগুলোও নতুন। কোন প্রশ্নের উত্তর পুরো জানা নেই যেমন ধরুনঃ প্রেগন্যান্ট মহিলাদের ওপর ভ্যাকসিন কেমন কাজ করছে- এগুলো জানার জন্য ট্রায়াল চলা কি খারাপ? মাপ করবেন যদি আপনার উষ্মার সঠিক মানে বুঝতে না পারি।
    ২) বাকী ভ্যাকসিনগুলো কি তাহলে ভালো মানছেন?
    ৩) মানছেন ভ্যাকসিনের প্রয়োজনীয়তা আছে, কিন্তু ভ্যাকসিন রিসার্চ/ ম্যানুফাকচারিংএ আপনার সন্দেহ
    -ঠিক কি এভিডেন্স আপনি খুঁজছেন?
    ৪) শেষের কমেন্টটা খুব ইন্টারেস্টিং- কিন্তু আমার মোটা মাথায় ঢোকেনি- আপনার মতে ভ্যাকসিনের অস্তিত্ব নেই? কেন বলছেন? কি এভিডেন্স পেলে আপনি নিঃসন্দেহ হবেন?
     
    বলা বাহুল্য ভ্যাকসিন নিয়ে বিভিন্ন জনের আপত্তি বিভিন্ন কারণে হতেই পারে, ধৈর্য্য ধরে শুনতে রাজী সে সবসআপত্তির কারন; 
    কিন্তু এখনো পর্যন্ত যা পেয়েছিঃ
     
    ১) গালি (মিথ্যেবাদী, লো লেভেল দালাল, কমুউনিস্ট- কারোর কাছে তো তা গালি নয়, ব্যাচ অফ অনার হতে পারে)
    ২) কনস্পিরেসি থিওরীঃ বিগ ফার্মা/ গেটস/ বেজোসের ষড়যন্ত্র। ম্যান মেড প্যান্ডেমিক- ওদের বড়লোক করার জন্য 
    ৩) প্যান্ডেমিকই নেই
    ৪) RNA ভাইরাসের ভ্যাকসিন হতে পারে না
    ৫) বুস্টার চালু হয়েছে FDAএর বিরোধিতা স্বত্ত্বেও
    ৬) আনভ্যাকসিনেটেড লোকেরা ইনফেশন ছড়ায় না
    ৭) ভ্যাকসিনটা ভ্যাকসিনই নয়
    ৮) ইনফেকসন হওয়ার পরে যে ন্যাচরাল ইমিউনিটি হয় তা ভ্যাকসিনের তুলনায় ভালো- তাই ভ্যাকসিনের প্রয়োজনীয়তা নেই
    ৯) ভ্যাকসিন বানাতে গিয়ে ঠিকমত প্রোটোকল মানা হয়নি- তাই যা ভ্যাকসিন বলে চালানো হচ্ছে তা ভ্যাকসিন নয়
    ১০) কিছু ডক্টর উপাধি পাওয়া (সবাই ডাক্তার নন, কেউ সাসপেন্ডেড, কেউ ফেটালিস্টিক/ কনস্পিরেসি থিওরি ছড়িয়ে অলরেডি কেরিয়ার বানিয়েছেন) ব্যক্তির ভিডিও/ চিঠি/ সুইপিং কমেন্ট
    এসবের উত্তরে প্রত্যেকেই খুব যত্ন করে ঠান্ডা মাথায় প্রপার এভিডেন্স দিয়ে পয়েন্ট বাই পয়েন্ট লিখেছেন। প্রত্যেককেই ধন্যবাদ- lcm, dc, ar, s, S, π, অভ্যু, একক এবং আরো অনেকে (দুঃখিত কোন গুরুভাই এ বোনের নাম মিস হয়ে গেল। সর্বোপরি দেবাশিস্ বাবু এবং পার্থবাবুকে ধন্যবাদ- টইগুলোতে এত সুন্দর করে লিখেছেন। সবাইকে সতর্ক করেছেন।
    যাঁরা কোভিড ভ্যাকসিন নিয়ে এখনও সন্দেহ পোষন করেন কিন্তু খোলা মন আছে এব্যাপারে আরো জানার জন্য- প্লীজ লিখুন। সবাই মিলে উত্তর খুঁজব। ঢপ- গুল- বেসলেস নিউজ অ্যাক্টিভলি প্রতিরোধ করুন। করোনার সঙ্গে লড়াই আরো একটু বাকী আছে-এর শেষ দেখে ছাড়তে হবে।
  • জয় | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০১:২০503634
  • @মিহিরবাবু
    ধন্যবাদ। আপনার পোস্টের প্রতিপাদ্য বিষয় ভ্যাকসিন ক্ষতিকারক।
    আপনি যে পেপারটি উল্লেখ করেছেন তাতে লিখেছে
    ১) ভ্যাকসিন নেওয়ার পর রক্তে কোরনা ভাইরাসের বিরুদ্ধ নিউট্রালাইজিং অ্যান্টিবডি তৈরী হচ্ছে। তাহলে মানছেন ভ্যাকসিনটা জল/ঢপ নয়। কিছু বন্ধু বলছেন ভ্যাকসিনই নেই- সেটা আপনি মানেন না। এই  নিউট্রালইজিং অ্যান্টিবডি কি করতে পারে- বসে বসে একটার পর একটা ঢপ না ছেড়ে ঐ অ্যান্টিবডি কোভিড ইনফেকসন সংক্রমন কমায়, সিভিয়র কোভিড ইলনেস এবং হসপিটালাইজেশন কমায় সেটাও মানছেন। পেপার উল্লেখ করবেন- চেরী পিক করে কপি পেস্ট করবেন- পেপারের বাকী ফাইন্ডিংসও মানবেন আশা করি। 
    ২) পেপার দেখাচ্ছে যে ইমিউন রেসপন্স হচ্ছে ভ্যাকসিন নেওয়ার পর তা কিছুটা কোরনা ইনফেকসনের মত। ভ্যাকসিনের কাজই তাই নয় কি? শরীর ভাববে ইনফেকশন, ওর বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি গড়ে তুলবে। ভ্যাকসিন ইনফেকসনের মত ক্ষতিকারক হবে না কিন্তু অ্যান্টিবডি আসল ইনফেকসনের বিরুদ্ধে কাজ করবে॥ 
    ৩) ভ্যাকসিন নিলে ফ্লু এর মত সিম্পটম হয় কতকটা এই কারনে। সেটা সবাই জানে। সেই অর্থে পেপারটা তেমন সেমিনাল কিছু না- নতুন কিছু দেখায়নি।
    ৪) এখন দেখতে হবে এই যে চেন্জ তা কতটা ক্ষতিকারক  ক্লিনিক্যালি। কোভিড হয়ে কত লক্ষ/ কত কোটি মারা গেল আর ভ্যাকসিন নিয়ে কতজন মূর্ছা গেলেন/ ইমিউনিটি কমে-ইনফেকসন হয়ে হসপিটালাইজ হলেন- ক'জন- তার উত্তর আপনার চারপাশেই আছে, মিহিরবাবু। তা, এই পেপারে n নাম্বার কত মিহির বাবু? মাত্র ১১জন ভলান্টিয়ার।১১!!
    ৫) এই ধরনের কাট কপি পেস্ট/ ছোটস্য ছোট পেপারের একটা লাইন নিয়ে নাচানাচি বড় ক্লান্তিকর। তা আপনার পেয়ারের পেপার বলছে কি ভ্যাকসিন নেই? বলছে যারা অসুস্হ, ডায়াবেটিক, কিডনী ডিজিজ যাঁদের আছে তার ভ্যাকসিন যেন সাবধানতার সঙ্গে দেওয়া হয়। নতুন কিছু কি এটা?
    ৬) ঠিকই বলেছেন। সব কিকরে দেখব? নতুন রোগ। তাও বদলাচ্ছে ঘনঘন। নতুন ভ্যাকসিন। জানছি রোজ। শিখছি রোজ। বদলাচ্ছি। যেমন ধরুন- এত বেশী ভেন্টিল্টর লাগে না, সিপ্যাপেও ভাল কাজ করে, কারা বেশী সাসেপ্টিবল, কাদের বেশী রিস্ক, ভ্যাকসিন একটাতে না দুটোতে কাজ হয় নাকি বুস্টার লাগবে, স্টেরয়েড ভালো কাজ করে, রেমসিডিভির অতটা নয়। আগামী দিনেও শিখব। বদলাব। আমরা মৃত্যু দেখেছি। খুব কাছ থেকে। আর চাই না দেখতে। অসুস্হ শরীর নিয়ে যতটা পারি ফেক নিউজও প্রতিরোধ করব।
    ৭) আশা করি ভ্যাকসিনের ইমিউন রেসপন্স নিয়ে আরো কিছু প্রামান্য স্টাডি কালকের মধ্য দিতে পারব- যদি উৎসাহী হন।
    ৮) অবশ্যই প্রশ্ন করুন। আপনি আমি আমরা সবাই মিলে উত্তর খুঁজব। খুব ভালো থাকবেন। শেষ কটা দিন সাবধানে থাকবেন। ঝুঁকি নেওয়ার সময় এখনও আসেনি। আপনার আসে পাশের প্রিয়জনদের এখনই ঝুঁকি নিতে দেবেন না।
  • ক্যান্ডিডেট | 43.239.***.*** | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০১:৫৭503635
  • এই ছবি থেকে একটা জিনিস ক্লিয়ার হল। ক্যান্ডিডেট ভ্যাকসিন কী জিনিস।
     
    অর্থাৎ প্রচুর এরকম ক্যান্ডিডেট ভ্যাকসিন রয়েছে।
    এখান থেকে সবগুলো ফেজ ফিল্টার করে দেখা যায়। ফেজ-৪ ফিল্টার করলাম।
    এখান থেকে বোঝা গেল মোট ১০ টা ভ্যাকসিন Phase-IV Trial/Study স্টেজ এ রয়েছে। কোভিশিল্ড বা কোভ্যাক্সিন, যা ভারতে দেওয়া হচ্ছে, সেই তালিকায় এখনো নেই। কোথায় আছে? "In Use" স্টেজ এ। ফিল্টার করলে দেখছি ২৩ টা সেরকম ভ্যাকসিন ফেজ-৪ এ না গিয়েও WHO এর EUL (Emergency use Listing) এ অন্তর্ভুক্ত। এদুটি ও তাই। যেহেতু এখনো ক্লিনিকাল ট্রায়াল চলছে, ফ্যাক্টশীটেও ফেজ-৩ ট্রায়াল অবধিই মেনশন কর আছে, তাই কি এদের ক্যান্ডিডেট ভ্যাকসিন বলা হচ্ছে?
     
    • ASTRAZENECA/UNIVERSITY OF OXFORD (UK)
    VIRAL VECTOR VACCINE
    The ChAdOx1 vaccine, developed by AstraZeneca/University of Oxford, has a vaccine efficacy of up to 90%. The United Kingdom and Argentina were the first countries to give the vaccine emergency authorisation in December 2020. They were followed by India (which approved a version of ChAdOx1 called Covishield made by the Serum Institute of India), Brazil, Mexico, Pakistan as well as the European Medicines Agency. In February, the World Health Organization (WHO) granted an Emergency Use Listing (EUL) for two versions of the AstraZeneca/Oxford COVID-19 vaccine, produced by AstraZeneca-SKBio (Republic of Korea) and the Serum Institute of India. Covishield is among the vaccines in the COVAX portfolio.
     
    • BHARAT BIOTECH (INDIA)
    • INACTIVATED VACCINE
      In collaboration with the Indian Council of Medical Research and the National Institute of Virology, Bharat Biotech designed a vaccine called Covaxin based on an inactivated form of the coronavirus. On 3 January 2021, the Indian government granted emergency use authorisation to Covaxin. As of June 2021, Covaxin received Emergency Use Authorisations (EUA) in 16 countries including the Philippines, Brazil, India, Mexico and Iran, alongside the WHO’s acceptance of Bharat Biotech’s expression of interest (EoI) for Emergency use Listing.
    কোভিশীল্ডের ফ্যাক্টশীট
     
    কোভ্যাক্সিন ফ্যাক্টশীট
     
    ডা: অমিতাভ নন্দী কি এজন্যেই বললেন এগুলি ক্যান্ডিডেট ভ্যাকসিন? দেবাশিসবাবু এত লিখলেন, তবু গোটা লেখায় এই শব্দটিকে ব্যাখ্যা করলেন না কেন, বুঝতে পারলাম না।
  • s | 100.36.***.*** | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৩:২৪503639
  • WHO র EUL ডেট কলামটা মিসলিডিং। ফাইজার ভ্যাকসিন, যা কিনা নভেম্বর, ২০২০ তে ইমার্জেন্সি ইউজের জন্যে অথরাইজ করা হয়েছে আমেরিকাতে, সেটা লেখা আছে ১৬ই জুলাই, ২১২১। ফাইজার ২১২১ এর আগস্টে ফুল অ্যাপ্রুভাল পেয়ে গেছে। এর মানে কি WHO ইমার্জেন্সি ইউজ অথরাইজ করেছে জুলাই, ২১২১? এদের তো দেখছি আঠেরো মাসে বছর। সেই জন্যেই কোভ্যাক্সিন এর ডেটও মিলছে না।
  • যাক। | 182.76.***.*** | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৭:৩০503647
  • এইবার এই কথাটাই ঘুরিয়ে বললে দাঁড়ায়, WHO এর অনুমোদন ছাড়াই, এমনকি তাদের এমার্জেন্সি ইউসেজ লিস্টিং ছাড়াই ক্লিনিকাল ট্রায়ালের অধীনে থাকা একটি ক্যান্ডিডেট ভ্যাকসিন - কোভ্যাক্সিন ৭০০/৮০০/৯০০ টাকার বিনিময়ে কোটি কোটি মানুষকে ইনজেক্ট করা হল ভারতে, উইথআউট অপশন অফ ইনফর্মড চয়েস যে, এটি তখনও অবধি কোনো Phase-IV পেরোনো অ্যাপ্রুভড ভ্যাকসিন নয়, এমনকি কোভিশীল্ডের মতো আপৎকালীন ও সীমাবদ্ধ ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট ক্লিনিকাল ট্রায়ালের অধীনে থাকা একটি ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট মাত্র ও নয়। সেই স্ট্যাটাসটুকু সে পেয়েছে আজ থেকে মাত্র তিন মাস আগে। অবশ্য এরকম কথা বললে তো অ্যান্টিভ্যাক্সার ছাপ্পা লাগিয়ে সারকাজম করার সুবিধে। 
    প্রথম পাতায় উত্তান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের একটি যুক্তির ও কাউন্টার আসতে দেখা গেল না, শুধু বামপন্থীদের বিশ্বাসযোগ্যতা হারানোর মত অপ্রাসঙ্গিক ব্যপার নিয়ে হাসি ঠাট্টা ছাড়া। 
    জয় বোধহয় মেইনস্ট্রীম কোভিড ন্যারেটিভ এর কাউন্টার আর্গুমেন্টের লিস্টি করে সিরিয়াসলি মিথবাস্টিং বা ফ্যাক্টচেকিং এর মতো রিগোরাস এফর্ট দিতে চাইছেন অন্তত গুরুর প্ল্যাটফর্মে।  এই টই ও ষড়যন্ত্র তাত্ত্বিক টই এর কমেন্টগুলো ৪নং প্ল্যাটফর্মের লেখা - এগুলো পড়ে মানুষের মূল অবিশ্বাস সন্দেহ ও প্রশ্নগুলো একেবারেই বোঝা যাচ্ছে না যেজন্য সেরকম কিছুই তাঁর ১ থেকে ১০ এর তালিকায় আসেনি - এটা মানা একটু কষ্টকর। 
  • জয় | 82.***.*** | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৮:১৯503648
  • @ যাক বাবু
    ধন্যবাদ। খুব পরিষ্কার করে লিখেছেন।
    আমি বিশ্বাস করি অনেকের মনেই লেজিটিমেট প্রশ্ন আছে। এস্টাবলিশমেন্ট তারমধ্যে সরকার এবং WHO এবং অন্যান্য Quangoর পূর্বের পারফরম্যান্স দেখে অবিশ্বাস ও সন্দেহ জাগা স্বাভাবিক। বিগ ফার্মা এদের ট্র্যাক রেকর্ড খারাপ। আমার কোন উদ্দেশ্য নেই কারোর তল্পি বওয়া।
    আমি কোন পলিসি নিয়ে তর্কে যেতে চাই না। আমাদের এখানে বরিস জনসনের সরকারে কোভিড নিয়ে বহু ব্যাপারে ছড়িয়েছে, ছড়াচ্ছে, সবচেয়ে খারাপ রাম্প্যান্ট মিথ্যে বলেছে। আবার ভালো অনেক কিছু করেছেন, অনেক সরকারের আগে করেছে। সে সবে বিতর্কে আমার উৎসাহ নেই। কোভিডের একটা বড সোস্যাল এবং ইকোনমিক দিক আছে- সেগুলোতে অনেকের যুক্তযুকত প্রশ্ন আছে- এ সব ব্যাপারে কমেন্ট করার মত শিক্ষা আমার নেই। এটাও মানি এই প্রশ্নগুলোকে তাচ্ছিল্য করে, ব্যঙ্গ উডিয়ে দেওয়া নিজেদের লংটার্ম পায়ে কুড়ুল মারা।
    যারা ভ্যাক্সিন নিয়ে সন্দিহান- সবার এক প্রশ্ন নেই। সবাইকে অ্যান্টিভ্যাক্সার বলে দাগিয়ে আদারাইজেশন করার বিরোধী।
    আমি আমার সীমাবদ্ধতা কথা বলি- আমি ইউকে এনএইচএস গাইনোকলজি-অঙ্কোলজির সার্জিক্যাল কনস্যালট্যান্ট। আমার ভাইরোলজির জ্ঞান এমবিবিএসে যতটা পড়ানো হয়। কিন্তু আমি ক্যানসার জিন নিয়ে গবেষনার কাজ করেছি। প্যান্ডেমিকের সময়, আমার নিজের অসুস্থতার আগে ভলান্টারিলি অনেরগুলি ভ্যাকসিনেসন ক্যাম্প চালিয়েছি- সেই সূত্রে আবার পড়াশুনা করা। আমি ভারতে ভ্যাকসিনেসন পলিসি নিয়ে কমেন্ট করার মত ওয়াকিবহাল নই।
    কিন্তু এর উল্টোদিকে দেখছি অবৈজ্ঞানিক/ আধাবৈজ্ঞানিক/ রেটরিক্যাল প্রোপাডান্ডায় চারপাশ ভরে যাচ্ছে। যেন প্যান্ডেমিক নেই, ভ্যাকসিন নেই, কিছু করার প্রয়োজন নেই। এই নয়েজে কিছু লেজিটিমেট প্রশ্ন চাপা পড়ে যাচ্ছে।
     
    আপনার যদি দেশ নিরপেক্ষ ভ্যাকসিনের পিছনের বিজ্ঞান নিয়ে (পলিসি সম্পর্কিত কিছু নয়) কিছু প্রশ্ন থাকলে লিখুন- সততার সঙ্গে, কোন ব্যাগেজ ছাড়াই উত্তর খোঁজার চেষ্টা করব।
     
    অন্য কেউ, নিশ্চই অন্যান্য বিষয়ের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার যায়গায় আছেন।
     
    শুধু প্রোপাগান্ডা-ঢপ-গুল/ গালিগালাজ/ আদারাইজেশন (যেমন "তোরা কমিউনিস্ট" ইত্যাদি; আমার কোন পোস্টে আমি যদি এমন কিছু লিখে থাকি তার জন্য ক্ষমাপ্রারথী) বন্ধ হোক চিরতরে ।
     
    ভালো থাকবেন। সাবধানে থাকবেন।
  • dc | 171.49.***.*** | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৯:০৮503649
  • যদি বাবু কোভ্যাক্সিন নিয়ে যা লিখলেন তার সাথে অনেকটাই একমত। কোভ্যাক্সিন এর অনুমোদন অত্যন্ত অস্বচ্ছভাবে দেওয়া হয়েছে, পুরো প্রসেসটাই এমনভাবে হয়েছে যাতে মনে হওয়া স্বাভাবিক যে এর পেছনে বেশ কিছুটা পলিটিক্স কাজ করেছে। আমি নিজেও, আগের বছর যখন ভ্যাক্সিন নেওয়ার সময় হয়েছিল, তখন আমি আর আমার পরিবার সবাই কোভিশিল্ড নিয়েছি, কারন কোভ্যাক্সিন নিয়ে প্রচুর সন্দেহ ছিল। আর কোভ্যাক্সিন এর কোম্পানি ব্রেজিলে গিয়ে ফেঁসে গেছিল, সে আবার আরেক কেলেংকারি।
     
    "যারা ভ্যাক্সিন নিয়ে সন্দিহান- সবার এক প্রশ্ন নেই। সবাইকে অ্যান্টিভ্যাক্সার বলে দাগিয়ে আদারাইজেশন করার বিরোধী"
     
    সে তো আমিও বিরোধী। কিন্তু এই টইতে এখনও অবধি যাঁরা কমেন্ট করতে এসেছেন তাঁদের প্রায় সবাই বেসিকালি অ্যান্টি ভ্যাক্সারদের মতো কুযুক্তি হাজির করেছেন। যেমন একজন লিখেছেন ভ্যাক্সিন না নিয়ে হার্ড ইমিউনিটির জন্য অপেক্ষা করলে হতো, এগুলো সবই রাইট উইং প্রোপাগান্ডা বা ফেক নিউজের পর্যায়ে চলে গেছে, ফক্স আর ব্রাইটবার্টে সারাদিন এসব প্রোপাগান্ডা চালানো হচ্ছে। এরা নিঃসন্দেহে অ্যান্টিভ্যাক্সার, শুধু কোভিড না, যেকোন ভ্যাক্সিন এরই বিরোধী। আর দুয়েকজন এসে আবার বিল গেটস, জেফ বেজোস আর বিগ ফার্মার প্রসঙ্গে কিসব কনস্পিরেসি থিওরি হাজির করলেন, সেগুলো পাগলের প্রলাপ। 
  • s | 100.36.***.*** | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৯:২২503650
  • যাক,
    WHO কোনো রেগুলটরি এজেন্সি নয়। কোনো ড্রাগ বা ভ্যাকসিনের অনুমোদন বা অ্যাপ্রুভালের অধিকার তাদের নেই। WHO বড়্জোর রেকমেন্ড করতে পারে। কোনো দেশে কোন ড্রাগ বা ভ্যাক্সিন মার্কেট করা যাবে সেটা ঠিক করে সেই দেশের রেগুলটরি এজেন্সি। যেমন আমেরিকায় FDA, গোটা ইউরোপে EMA, জাপানে PMDA ইত্যাদি। ভারতের রেগুলটরি এজেন্সি যদি কোনো ড্রাগ বা ভ্যাক্সিনের ইমার্জেন্সি ইউজ বা অ্যাপ্রুভাল অনুমোদন করে তাহলে সেটা করতেই পারে। এখন সেটা সব নিয়ম মেনে হয়েছে কিনা সেটা অন্য তর্ক। মহামারীর সময় পুরনো নিয়ম বা আইন অ্যামেন্ড করা হতেই পারে। কাজের WHO র লিস্টে নেই তাই কোভ্যাক্সিন কেন দেওয়া হল - এই যুক্তি খাটবে না।
  • যাক | 223.29.***.*** | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৯:৪৯503651
  • কমুনিস্ট কয়েনেজটাকে গায়ে লাগাবেন না। গুরুর নানান পলিটিকাল কাজকর্ম আছে তো। ঘোষিতভাবেই আছে। স্যোশাল মিডিয়াতে নানান পলিটিকাল স্ট্যান্ডে গুরুর তরফে যারা ফোরফ্রন্টে থেকেছেন, তাদের পলিটিকাল ব্যাকগ্রাউন্ডও এক্সপোজড। ফলে নানা অকেশনে নানা ফ্রন্ট থেকে গালিও আসবে। লেফট, লিবেড়াল, অ্যান্টিবিজেপি, প্রোমমতা, নকশাল যেমন, সিপিয়েমবিদ্বেষী, ক্ষমতালেহী, বাগড়াপন্থী, মাওব্যথী তেমনি আরো নানান রকম গুরুউপাধি।
    মজার কথা হল বেশির ভাগ রেসিডেন্ট গুরুব্যবহারকারীর মাসিক মাইনে এক দেড় লাখ টাকার কম নয়। পারিবারিক রোজগার ধরলে আরো অনেক বেশি। ছোটোবেলায় মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত থাকার ব্যাগেজের জন্য তারা নিজেকে বড়লোক মনে না করে উঠলেও আদতে বাই ডেফিনেশন গুরুর রেগুলার, সাধারণ ইউজারবেসকে একেবারেই ধনিক শ্রেণী বলা উচিত। এমনকি স্বঘোষিত বামপন্থী  ইউজাররাও তাইই। লোয়ার ইকনমিক স্ট্র‍্যাটার প্রতি অনুকম্পা বা সহানুভূতি থাকলেও বাই ডেফিনিশন গুরুর মেজর রেগুলার ইউজারদের অ্যাপ্রোচ খুবই প্রেডিক্টবল মেইনস্ট্রীম ইকোনমিক ন্যারেটিভই হবে এটাই স্বাভাবিক নয় কি? ফলে এখানের লেখাপত্রের লিংক শেয়ার হলে গুরুচরিত্রের প্রজেকশন সাপেক্ষেই মন্তব্য আসবে এটাও স্বাভাবিক। ইউজার হিসেবে ব্যক্তিগতভাবে এমন জেনারেলাইজেশন গায়ে না লাগানোই অ্যাডভাইজেবল। বাদ দিন।
     
    বরং ক্লিনিকালি একটা জিনিস বলুন,  SARS Covid virus, যে কিনা, সিভিয়ার অ্যাকিউট রেস্পরেটরি সিনড্রোমের জন্য দায়ি। বলা হচ্ছে নাক ও গলার মিউকাসেই এদের বসবাস, ফুসফুসে গিয়ে কনজেশন করে শ্বাসের সমস্যা তৈরি করাই যার নটোরিয়াসতম কীর্তিকলাপ, সে কিডনি/রেনাল ফেলিওর, হাই ব্লাডপ্রেশার পেশেন্টের হার্ট ফেলিওর, ডায়াবেটিস পেশেন্টের বা অন্য নন-রেস্পিরেটরি প্রবলেমের পেশেন্টের মৃত্যুর কারণ কীভাবে হচ্ছে? নিউমোকক্কাল ব্যাকটেরিয়ার সাথে কি এর কার্যকলাপের মিল আছে লাং কনজেশন এর ক্ষেত্রে? কার্যকলাপ বলতে তো হোস্ট সেল এ ঢুকে মাল্টিপ্লিকেশন। যা সব ভাইরাসই করে। 
  • জয় | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৯:৫১503652
  •  @dc
    "কিন্তু এই টইতে এখনও অবধি যাঁরা কমেন্ট করতে এসেছেন তাঁদের প্রায় সবাই বেসিকালি অ্যান্টি ভ্যাক্সারদের মতো কুযুক্তি হাজির করেছেন।"
    - একশ শতাংশ একমত।
     
    এই সবসপাগলের প্রলাপের আরেক কোল্যাটেরাল ড্যামেজও আছে। আপনার লেখা পাচ্ছিনা। কল্পবিজ্ঞান টইটা আপনার জন্য হা ডিসি, হো ডিসি করছে যে! 
     
  • bhat | 2a0b:f4c2:1::***:*** | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২০:০৫503653
  • যেমন লেখা তেমনই সব কমেন্ট। সোশ্যাল মিডিয়ায় হুড়হুড় করে গুল ঢেলে দিচ্ছে আগে একজন লিখেই দিয়েছে। জয় বাবা ভ্যাকসিন আর ভ্যাকসিন মুর্দাবাদ। দুদ্দুর।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন