পঞ্চাশের মন্বন্তরের প্রকোপ তখন তুঙ্গে। কমিউনিস্ট পার্টির পি সি যোশীর আহ্বানে দুই তরুণ চষে বেড়াচ্ছেন সারা বাংলা। সুনীল জানার হাতে রয়েছে ক্যামেরা আর শিল্পী চিত্তপ্রসাদ সঙ্গে নিলেন তাঁর স্কেচবুক। উদ্দেশ্য, কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র "পিপল'স ওয়ার" পত্রিকার জন্য দুর্ভিক্ষের ভয়াবহতাকে নথিবদ্ধ করা। ঘুরতে ঘুরতে চিত্তপ্রসাদ এসে পৌঁছলেন হুগলি জেলার জিরাটে, ইচ্ছে ছিল শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের পৈতৃক ভিটে দর্শন করা, আর নিজের চোখে দেখে নেওয়া 'বেঙ্গল রিলিফ কমিটি'র প্রধান নিজের গ্রামে ত্রাণের কী ব্যবস্থা করেছেন।
বলাগড় অঞ্চলের মধ্যে দিয়ে জিরাটের দিকে হেঁটে যাওয়ার সময় চিত্তপ্রসাদ দেখলেন যে, গত বছরের বিধ্বংসী বন্যার পর পরই এই দুর্ভিক্ষ একেবারে শিরদাঁড়া ভেঙে দিয়েছে এলাকার মানুষের। রাজাপুর গ্রামের ৫২টি পরিবারের মধ্যে ততদিনে কেবলমাত্র আর ৬টি পরিবার রয়ে গেছে। এদিকে আবার অধিকাংশ গ্রামবাসী শ্যামাপ্রসাদের নাম না শুনলেও, প্রত্যেকেই জানালেন যে "আশুতোষের ছেলের" থেকে ছিটেফোঁটা সাহায্যও পাননি গ্রামের মানুষ। বরং সরকারের তরফ থেকে মাস দুয়েক খাবারদাবার পেয়েছেন তাঁরা, আর খাদ্যশস্য এবং সামান্য আর্থিক সাহায্য পেয়েছেন কমিউনিস্ট পার্টি, ছাত্র ফেডারেশন, মুসলিম স্টুডেন্টস লিগের ছাত্রদের উদ্যোগে। শ্যামাপ্রসাদের রিলিফ কমিটি দেশের নানাপ্রান্ত থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ডোনেশন পেয়েছে ঠিকই, কিন্তু সেই টাকা যে এই অঞ্চলের মানুষের কাজে লাগেনি তা একনজর দেখেই বুঝে গেলেন চিত্তপ্রসাদ। কিন্তু জিরাটে পৌঁছে যা দেখলেন, তা সত্যি মেনে নিতে পারেননি তিনি। দেখলেন দুর্ভিক্ষ-পীড়িত বাকি গ্রামের মতনই আশুতোষের আদি বাড়ির ভগ্নপ্রায় অবস্থা আর তার মধ্যেই, ওই দুর্ভিক্ষের বাজারে, শ্যামাপ্রসাদ তৈরি করছেন প্রাসাদোপম বাগান বাড়ি। সেখানে আবার মাঝেমাঝেই ছুটির দিনে কলকাতা থেকে বন্ধু-বান্ধব এসে ফুর্তি করে সময় কাটিয়ে যান।
১৯৪৩ সালের এই দুর্ভিক্ষ কিন্তু খরা বা অনাবৃষ্টি বা খারাপ ফসল হওয়ার কারণে হয়নি, হয়েছিল সম্পূর্ণভাবে ব্রিটিশ সরকারের গাফিলতিতে। একেই জাপানের কাছে বার্মার পতনের ফলে সেখান থেকে চালের আমদানি বন্ধ হয়ে গেল। তার ওপর যুদ্ধের সৈন্যদের জন্য জমা করা হয়েছিল প্রচুর খাদ্যশস্য এবং বাকি যা ফসল ছিল তার সুষম বণ্টন করা হল না বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে। কলকাতা শহরের বাসিন্দাদের জন্য এবং কলকারখানার শ্রমিকদের জন্য চালের বন্দোবস্ত হলেও, খাবার পৌঁছল না রাজ্যের অন্যান্য অঞ্চলগুলিতে। এর সঙ্গে শুরু হল মজুতদারদের চালের কালোবাজারি যা খাদ্যদ্রব্যের দাম নিয়ে গেল গরিব মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে। খাবারের অভাবে গ্রামবাংলার মানুষ চলে আসতে লাগলেন শহর কলকাতায়। প্রতিদিন মৃতদেহের সংখ্যা বাড়তে লাগলো শহরের রাস্তাঘাটে। কলকাতা শহরের এই চরম দুরবস্থার ছবি সরকারের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ছাপালেন স্টেটসম্যান সংবাদপত্রের সম্পাদক ইয়ান স্টিফেন্স। সেসব ছবি সাড়া জাগাল গোটা বিশ্বে। এই অবস্থায় সরকারি ত্রাণব্যবস্থা যখন হিমশিম খাচ্ছে, তখন বেসরকারি ত্রাণ শুরু হল শ্যামাপ্রসাদের পরিচালনায়। তিনি 'বেঙ্গল রিলিফ কমিটি' বা বিআরসির রিলিফ কমিশনার নিযুক্ত হলেন এবং এই দুর্ভিক্ষের হাহাকারের মধ্যেও সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করার সুযোগ ছাড়লেন না। ত্রাণকেন্দ্র স্থাপন করলেন কেবলমাত্র সেই সব গ্রাম এবং ওয়ার্ডে যেখানে হিন্দুরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। বিআরসির সঙ্গে সঙ্গে শ্যামাপ্রসাদের তত্ত্বাবধানেই তৈরি হলো হিন্দু মহাসভা রিলিফ কমিটি। বিআরসির উপস্থিতি থাকা সত্ত্বেও আর একটি কমিটির প্রয়োজনীয়তার কারণ হিসেবে বলা হল যে অনেক মানুষ চাইছেন যে তাঁদের দানের অর্থ যেন কেবলমাত্র হিন্দু মহাসভা মারফত খরচ করা হয়। কমিটির বক্তব্য ছিল, যেহেতু সরকারি ত্রাণকেন্দ্রের ক্যান্টিনগুলোতে বেশিরভাগ রাঁধুনি মুসলমান, তাই হিন্দুদের নাকি সেখানে খাবার ব্যাপারে আপত্তি আছে। হিন্দু মহাসভার নিজেদের ক্যান্টিনে কেবলমাত্র হিন্দুদের রান্না করা খাবার পরিবেশন করা হতো । মহাসভার দাবি ছিল যে, রান্না খাবার না দেওয়া হলেও, মুসলমানদের পুরোপুরি বঞ্চিত না করে তাঁদেরকে দেওয়া হয় কাঁচা শস্য। সাংবাদিক টি. জি. নারায়ণ মেদিনীপুরে মহাসভার একটি হাসপাতালে গিয়ে দেখেন যে বাইরে হাজার হাজার মরণাপন্ন মানুষ থাকা সত্বেও, হাসপাতালের চল্লিশটির মধ্যে পনেরোটি শয্যা খালি। তবে গরিব রুগীর চিকিৎসা হোক না হোক, হাসপাতালের প্রত্যেকটি ঘর কিন্তু আলোকিত করে রেখেছে শ্যামাপ্রসাদের ফ্রেমে বাঁধানো পোর্ট্রেট।
যে ভয়ঙ্কর সময়ে প্রায় ৩০ লক্ষ বাঙালি না খেতে পেয়ে প্রাণ হারাচ্ছেন, সেই সময় শ্যামাপ্রসাদের দুশ্চিন্তার কারণ উচ্চবর্ণের আধপেটা-খাওয়া হিন্দু কী করে মুসলমান রাঁধুনির হাতের রান্না সরকারি ক্যান্টিনে খেতে পারেন। এর সঙ্গে সঙ্গে দুর্ভিক্ষের ত্রাণকার্য নিয়ে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ চলতেই থাকে - হিন্দু মহাসভাও আঙুল তুলতে থাকে মুসলিম লীগ নিয়ন্ত্রিত বাংলার গভর্নমেন্টের দিকে, তাদের বক্তব্য সরকারি ত্রাণকার্য্যে মুসলিম জনগণের প্রতি পক্ষপাতিত্ব স্পষ্ট ।
অথচ মুসলিম লীগের সঙ্গে হিন্দু মহাসভার সম্পর্ক কিন্তু খুব অল্প দিনের ছিল না। ভারতকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জড়িয়ে ফেলার প্রতিবাদে ১৯৩৯ সালে যখন কংগ্রেসের নেতারা মন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেন, তখন হিন্দু মহাসভা মুসলিম লীগের সঙ্গে হাত মিলিয়ে জোট সরকার বানান সিন্ধ এবং উত্তর পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশে। ১৯৪১ সালে বাংলায় শ্যামাপ্রসাদ ফজলুল হকের মন্ত্রিসভায় অর্থমন্ত্রী হিসেবে যোগদান করেন, সেই ফজলুল হক, যিনি বছরখানেক আগেই লাহোরে মুসলিম লীগের সভায় 'পাকিস্তান প্রস্তাব' গ্রহণ করার দাবি জানান। সাভারকার আর শ্যামাপ্রাসাদের নেতৃত্বে হিন্দু মহাসভা জোর কদমে চালাতে থাকে গান্ধীজির 'ভারত ছাড়ো' আন্দোলনের বিরোধিতা। ১৯৪২-এর ২৬ জুলাই বাংলার গভর্নর জন হার্বার্টকে চিঠি লিখে শ্যামাপ্রসাদ জানিয়েও দেন কংগ্রেসের এই আন্দোলন মোকাবিলা করার জন্য ঠিক কিরকম কড়া ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তারপর ১৯৪৩এর ৩রা মার্চ সিন্ধের মন্ত্রিসভায় ভারতের মুসলমানদের জন্য যখন পৃথক রাষ্ট্রের দাবি পাস করা হয়, হিন্দু মহাসভা কিন্তু সরকার থেকে বেরিয়ে আসেনি এই প্রস্তাবের প্রতিবাদে।
আজ থেকে বছর পাঁচেক আগে দিল্লির নেহেরু মেমোরিয়ালে শ্যামাপ্রসাদের ওপর একটি প্রদর্শনী আয়োজিত হয়। সেখানে অমিত শাহ তাঁর ভাষণে বলেন যে শ্যামাপ্রসাদ নেতৃত্ব দিয়ে থাকলে সমগ্র কাশ্মীর আজ ভারতের দখলে থাকত।
প্রোপাগান্ডা এরকমই হওয়া উচিত - রাজনৈতিক সুবিধা পেতে যদি মিথ্যের আশ্রয় নিতেই হয়, তাহলে সেই মিথ্যাকে সুকৌশলে এমনভাবে পেশ করতে হবে কতকগুলো আংশিক সত্যকে পাশে রেখে, যাতে সত্যি-মিথ্যের ফারাকটুকুও আর করা না যায়। আসলে, কাশ্মীরের যতটুকুও আজ ভারতের দখলে আছে, সেটুকুও রয়েছে কিন্তু নেহেরুর জন্যই। কাশ্মীরকে স্বাধীন ভারতের অন্তর্ভুক্ত করার কোনও তাগিদ হিন্দুত্ববাদীদের কোনকালেই ছিল না। বলরাজ মাধকের প্রচেষ্টায় আর এস এস-এর জম্মু শাখা স্থাপিত হয় ১৯৩৯ সালে আর কাশ্মীর শাখা ১৯৪৪এ। কাশ্মীরের ডোগরা পরিবার শুরু থেকেই এই প্রচেষ্টায় শরিক। প্রেমনাথ ডোগরা ছিলেন জম্মু আর এস এস-এর সঙ্ঘচালক, যিনি আবার ছিলেন জম্মু কাশ্মীর হিন্দু সভার একজন প্রধান সদস্যও। লোকসভাতে দাঁড়িয়ে সমগ্র কাশ্মীর ভারতের অধীনে না থাকার জন্য অমিত শাহের নেহেরুকে দোষারোপ করা যাঁরা শুনেছেন তাঁরা অবাক হবেন শুনে যে, দেশভাগ যখন একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে গেল ১৯৪৭-এর মে মাসে, তখন এই হিন্দু সভা কিন্তু মহারাজের পাশে থেকে ভারতে যোগদান না করে কাশ্মীরকে স্বাধীন রাখার জন্য সোচ্চার হয়েছিল।
স্বাধীন ভারতের প্রথম শিল্পমন্ত্রী হিসেবে শ্যামাপ্রসাদের যে 'বিশাল অবদান' রয়েছে সে কথা নেহেরু মেমোরিয়ালের ওই প্রদর্শনীতে বেশ ফলাও করেই বলা হয়েছিল। এও দাবি করা হয়েছিল যে ভিলাই ইস্পাত কেন্দ্র গড়ে ওঠার পেছনেও নাকি তাঁরই হাতযশ। বস্তুত ভিলাই ইস্পাত কেন্দ্র স্থাপিত হয় ১৯৫৫ সালে আর শ্যামাপ্রসাদ মারা যান তার দু'বছর আগেই। সদ্য স্বাধীন ভারতের শিল্পায়ন শ্যামাপ্রসাদের হাত ধরে হয়েছে, এই ন্যারেটিভ বর্তমান সরকারের 'মেক ইন ইন্ডিয়া'র ছবি কিছুটা হলেও শক্তিশালী করবে ঠিকই, কিন্তু এই প্রদর্শনীর আগে পর্যন্ত নেহেরু-মহলানবীশ প্রকল্পের ধারেকাছে কোথাও যে শ্যামাপ্রসাদের আনাগোণাও ছিল, সে কথা কেউ বোধহয় ঘুণাক্ষরেও টের পাননি ।
এখানেই শেষ নয়। আর এক চমকপ্রদ ন্যারেটিভ তৈরি করা হয়েছে শ্যামাপ্রসাদকে ঘিরে - তিনি নাকি কলকাতা শহরকে বাঁচিয়েছিলেন পূর্ব পাকিস্তানের অংশ হওয়ার থেকে। বস্তুত এরকম কোনো প্রস্তাব কখনোই আসেনি। বরং বাংলার প্রধানমন্ত্রী সুহরাবর্দি আর শরৎ বোস, কিরণ শংকর রায়ের মতন কংগ্রেস নেতারা আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন বাংলাকে অবিভক্ত এবং স্বাধীন রাখার। অন্যদিকে আশুতোষপুত্র চেয়েছিলেন বাংলাকে দুটুকরো করতে - আর তাই মাউন্টব্যাটেনকে গোপন পত্র মারফত আর্জি জানিয়েছিলেন যে দেশভাগ না হলেও যেন অন্তত বাংলাকে ধর্মের ভিত্তিতে দুভাগ করা হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে কি একবার প্রশ্ন করা যায় না, যে হিন্দু মহাসভার যদি প্রকৃতপক্ষেই আপত্তি ছিল দেশভাগ করা নিয়ে, তাহলে স্বাধীনতার পর শ্যামাপ্রসাদ নেহরুর মন্ত্রিসভায় যোগদান করলেন কেন? তাঁর রাজনৈতিক জীবনের এইসব অপ্রীতিকর সত্যিগুলো ধামাচাপা দিয়ে হিন্দু মহাসভার তখনকার কাণ্ডকারখানা বাঙালির কাছে গ্রহণযোগ্য করে শ্যামাপ্রসাদকে বাংলায় বিজেপির আইকন করে তোলার কাজটা খুব একটা সহজ হবে না। তবে পয়সার জোরে ব্যাপক প্রচার চালিয়ে ডাহা মিথ্যেকে সত্যির রূপ দেওয়ার কঠিন কাজটা এই জাতীয় ফ্যাসিস্ট দলগুলি আগেও করে দেখিয়েছে। দেখা যাক, এক্ষেত্রে জল কতদূর গড়ায়।
আমরা কি একবারও বলেছি, এগুলো মিথ্যা ? আপনি টপিক ঘোরাচ্ছেন কেন ? এখানে শ্যামাপ্রাসাদের সম্মন্ধে আলোচনা হচ্ছে, আপনার কিছু বলার থাকলে বলুন। নইলে বৃৃথা বকা।
এই ভিডিওতে যা যা বলেছে, সব সত্যি ঘটনা কিন্তু এখানে এই ভিডিওটির কি গুরুত্বপূর্ণ ?
কুবেরদার কথা আবার বুঝতে পারছেন না, শুনুন তাহলে, উনি সিম্পলি বলছেন,
এই যে ৪৭ সালে শ্যামাদা বাংলাভাগে হেল্প করলেন, সেইজন্যেই না ২০১৫ সালে প্যারিসে চার্লি হেবদো শুটিং হল - In May of 1947, Shyama Prasad Mukherjee wrote a letter to Lord Mountbatten requesting him that Bengal must be partitioned even if India was not.
বা ধরুন এই যে নিউজিল্যান্ডে ক্রাইস্টচার্চে যে শুটিং হল - কেন হল - কারণ শ্যামাদা ৪৭ এ বিরোধিতা করেছিলেন - কিসের বিরোধিতা করেছিলেন - এই যে - S.P. Mukherjee opposed a failed bid for a united but independent Bengal made in 1947 by Sarat Chandra Bose, the brother of Subhas Chandra Bose.
তাহলে বুঝতে পারছেন, শ্যামাদার কাজকর্মের প্রভাব কতদূর। কুবেরদা ছাড়া এসব তথ্যে আমাদের আলোকিত করবেন তেমন আর কেই বা আছেন।
ওহে ভক্ত মোর- শার্লি হেবদোর শ্যুটিংকে কম পাপ বোঝাতে ঐ এক ক্রাইস্টচার্চ টেনে আনতে হলো, না? তার আগে-পিছে প্যারিসে একাধিকবার সঙ্গীতানুষ্ঠানে গুলি করে মানুষ মারা, বালির নাইটক্লাব ধ্বংস, ভারতের পার্লামেন্টে হামলা সহ দুনিয়াজুড়ে শান্তির কবুতরদের ডানার ঝটপটানি নেই? এত মিথ্যা কি করে বলো? অবশ্য প্যারিসের ঘটনাও হোয়ানির ছেলে-মেয়েরা করেছে। ক্রাইস্টচার্চের ঐ ছেলেটি ভয়ানক অন্যায় করেছিল। কেন করেছিল? এক এগারো বছরের প্রতিবন্ধী বালিকাকে লরি চাপা দিয়ে খুন করেছিল এক মুসলিম অভিবাসী। বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী মেয়েটির মৃত্যুর সময় কান্নারও অবস্থা ছিল না। তাই বলে ক্রাইস্টচার্চের ঘটনা কেউ সমর্থন করছে না। বর্বরদের একতরফা killing কতদিন মুখ বুঁজে নিতে হবে?
শান্তির পায়রাদের কূজন...প্যারিসের সেই কনসার্টে গুলি হামলার সময় এক গর্ভবতী মহিলার আর্তনাদ। যে ভদ্রলোক মহিলাকে বাঁচাতে চাইছিলেন, সেই ভদ্রলোক সহ বেশ কিছু মানুষকে আটক করলো বদমাশগুলো। সারা পৃথিবী জুড়ে হোয়ানি ত‘ এটাই করছে। শান্তির পায়রাদের অনেক ভাগ্য যে গোটা দুনিয়া পাল্টা একজোট হয়ে তাদের অন্তিম মার দিচ্ছে না।
()
লন্ডন এটাক
()
এ এক আজব রেকারিং ডেসিমাল।
এই সবই অত্যন্ত খারাপ, বিভৎস ঘটনা। কিন্তু এসব দিয়ে শ্যামাপ্রসাদকে মহান বানানোর কোন উপায় নেই।
দুর্ভিক্ষ, দাঙ্গার সময় একজন নেতা বাগানবাড়িতে বসে ফুর্তি করছে, বাইগটদের উপযুক্ত নেতাই বটে।
অবশ্য ভক্তদের কাছে শম্ভুনাথ রেগার, উড়িষ্যার দারা সিং, মায়া কোদনানি, প্রজ্ঞা সিং - সবার জন্যেই জাস্টিফিকেশন আছে। শ্যামাপ্রসাদের জন্যে তো থাকবেই।
অ্যামিকেবলপন্থীরা এত দেশ বিদেশ নিয়ে মাথা ঘামান, এই বিস্ময়।
ক'মাস আগে একটা ট্রোল সাইটে ঘুরত, সেই জনই কী এইজন, অন্য নামে এসে সত্তর পয়সার জন্য নাটক করে যাচ্ছে ?
খোরাক কি আর গাছে ফলে? :d
এই রাবিশ আবর্জনা টা ত নিজের প্রোপাগান্ডা চালিয়েই যাচছে। এক্সেল ফাইল খুলে পোস্ট করে যাচ্ছে ৭৫ পয়সা প্রতি পোস্ট হিসেবে। আপনারা এমে ভাও দেন কেন?এক্সত ভাও দেবেন তত ৭৫ পৈসা রোজগার হবে।হয় চুপচাপ পেহলু খানেদের ভিডিও পোস্ট করে যান নয় চেপে যান। এদের ভাতে মারুন।
আমাকে যত খুশি বলুন আপনারা, তাতে কিছু আসবে যাবে না। এছাড়া স্বীকার করছি ত‘ যে সবই হোয়ানির কাজ। এটা ব্রাসেলসে শ্যুটিং। মোদ্দা কথা হচ্ছে শান্তির কবুতরদের সবাই ভয় পায় এবং কাজেই শ্যামাপ্রসাদেরও ভয় পেয়ে আলাদা হতে চাওয়ায় দোষ ছিল না। আপনাদের পূর্বপুরুষেরা তার কথাই শুনেছেন। নাহলে ওপার থেকে সব হারিয়ে, ধর্ষিতা মেয়েদের নিয়ে এখানে এসে বাঁচার আমাকে যত খুশি বলুন আপনারা, তাতে কিছু আসবে যাবে না। এছাড়া স্বীকার করছি ত‘ যে সবই হোয়ানির কাজ। পশ্চিম বাংলায় ক্যানিং-দেগঙ্গায় যা হয়েছে, সব হোয়ানি করে? আর হোয়ানি কখন করে? যখন মমতা (অতীতে জ্যোতির) লৌহমুষ্টিতে মিডিয়া দাঙ্গার খবর চেপে যায়, তখন বিকল্প মিডিয়া হিসেবে হোয়ানি তৈরি হয়। ভাত না পেলে মানুষ রুটি খাবে, রুটি না পেলে সেদ্ধ আলু। কিছু ত‘ তার লাগবেই। যাক নেকু-পুুষু সেকুলারের ঢং সাজা যারা সত্যি কথা মানতে চাও না আর নিজের মা-বোনকে আরবদের হেরেম পাঠাতে চাও, তাদের সাথে এসব বলা বৃথা। ()
আমাকে যত খুশি বলুন আপনারা, তাতে কিছু আসবে যাবে না। এছাড়া স্বীকার করছি ত‘ যে সবই হোয়ানির কাজ। এটা ব্রাসেলসে শ্যুটিং। মোদ্দা কথা হচ্ছে শান্তির কবুতরদের সবাই ভয় পায় এবং কাজেই শ্যামাপ্রসাদেরও ভয় পেয়ে আলাদা হতে চাওয়ায় দোষ ছিল না। আপনাদের পূর্বপুরুষেরা তার কথাই শুনেছেন। নাহলে ওপার থেকে সব হারিয়ে, ধর্ষিতা মেয়েদের নিয়ে এখানে এসে বাঁচার রাস্তা থাকত না। স্যরি- উপরে টাইপো হয়েছিল।
মা বোন ফেটিশ আর চাপা যাচ্ছেনা :d
মা-বোন ফেটিশ সবারই থাকে। যাও না- মেটিয়াবুরুজে গিয়ে কোন মেয়ের সাথে গল্প করে হিম্মত দ্যাখাও পারলে!
মা-বোন ফেটিশ সবারই থাকে। যাও না- মেটিয়াবুরুজে গিয়ে কোন মেয়ের সাথে গল্প করে হিম্মত দ্যাখাও পারলে!
ওহ আচ্ছা, শ্যামাপ্রসাদ ভয় পেয়ে আলাদা হতে চেয়েছিলেন।
এইসব ভীতু নেতাদের নিয়েই মুশকিল। কেউ ভয় পেয়ে মুচলেখা দেয়, কেউ দেশ ভাগ করে ফেলে, কেউ অন্য দেশের টিন এজারের টুইট কাউন্টার করতে খেলোয়াড় ফিলমস্টার পুলিশ সরকারী দপ্তর সবাইকে নামিয়ে দেয়। সাধে কি আর রবিবাবু ভীরুদের হাতে ভুবনের ভার নিয়ে সাবধান করেছিলেন।
তা‘ সাহসী হয়ে কি করেছো শুনি? তোমার সাহসী পূর্বপুরুষই বা কি করতে পেরেছিল? পূর্ব বাংলায় একের পর এক দাঙ্গায় ভিটে-মাটি হওয়া ছাড়া? জানো সবই। কিন্ত লি-বেড়াল থাকতে হবে, তাই না?
এ আবার দু'বার করে পোস্ট করে কেন ? একেবারে দেড় টাকা পাবে ভাবছে ?
শ্যামাবাবুকে ভীতু বললেন, জানতে পারলে বকবে কিন্তু আপনাকে।
হা- হা- সে আমিও ভাবছি গো দাদা- দু‘বার করে সব মন্তব্য আসছে কেন? ল্যাপটপে ঝামেলা হয়েছে বোধ হয়। তা‘ এত যে রাশিয়া-প্যারিসে বোমা মেরে শুধু শুধু শান্তির পায়রাদের নামে বদনাম করলাম, এর দাম মাত্র দেড় টাকা? আর শ্যামাপ্রসাদ ত‘ ভীতু ছিলেন। তোমার সাহসী বাবা-ঠাকুরদা‘রা কি করেছেন জানাও না! শ্যামা বকলে আমি বলব, আপনি ত‘ ভীতুই ছিলেন। তোমাদের সাহসী বাপ-ঠাকুরদা‘রা কি করেছেন জানতে পারি?
শ্যামা কোত্থেকে বকবে, আপনার পার্টির প্রভারীরা বকবে তোঃ) ভীরু শ্যামা? এ কী কথা শুনি হায়।
কোন ধর্মান্ধ মানুষই শান্তির পায়রা হয় না। ক্রুসেড টুসেড কত কী হয়ে গেল। ওসব ঢপের কথা বলে কী হবে। সাহেবরা যীশুর নামে কত কী করলো, হিন্দুরা বৌদ্ধদের কেলিয়ে পাট করে দিল, তালিবান আইসিস তো আজকেরই কথা।
কিন্তু শ্যামাবাবু ভীরু? হায়। শ্যামা বাবুকে এক্কেবারে বীর সাভারকর বানিয়ে দিলেন?
না জানতে পার না গো, নিজেদের বাপ-্ঠাকুদ্দা নিজেদের কাছে রেখে ফেটিশ কর , হ্যাঁ ? অনেকদিন পরে এখানে এসে অনেক খোরাক তো করলে। ভোট আসছে , সবাই কাজ করে কিছু রোজগার করতে চায় , সে তো বুঝি ।
ঘটনা হলো সাহেবরা থেকে শুরু করে সবাই নিজেদের বদলেছে। একটা সম্প্রদায় শুধু কিছুতে নিজেকে বদলাবে না। এখন বলো ত‘ তোমাদের গায়ে এত লাগে কেন? অদ্রিজা রহমান মুখার্জির ভাই তোমরা? রহমান সাহেবদের শালা? শালা বলে কথা! আর এখন একটু ক্ষ্যামা দাও। কাজ-টাজ নেই? লজিকে যে অনেক আগেই হেরে গেছ তা‘ কি বুঝতে পারছ না? যত আমাকে শোনাবে, তোমাদের হার তত এই লেখার ভিউয়ারদের কাছে পরিষ্কার হবে। আর একটা কথা। তর্কযুদ্ধে জিততে হলে গালি বা খিস্তি দিয়ে, অকারণ বিলো দ্য বেল্ট করে আঘাত করে কখনো জেতা যায় না। তাতে দর্শক-শ্রোতাদের সম্মান বা সহানুভূতি ত‘ পাওয়া যায়ই না, মানে কিছুতেই কোন লাভ হয় না। দু/একটা খারাপ কথা আমিও বলেছি- সেটা তোমাদের ক্রমাগত নোংরা কথায় উত্যক্ত হয়ে। শিক্ষা থাকলে মানুষ কেন প্রতিপক্ষকে এত নোংরা কথা বলে আক্রমণ করবে? এই পোস্টে তোমরা হেরে গেছো। আমি চাইলে প্রতিটা পোস্টে তর্ক করে তোমাদের ভিউ বাড়াতে পারি। এখন বলো, তোমাদের রোজগার বাড়িয়ে আমার কি লাভ হবে? সেসময়টা নিজের কাজ করা যায়, তাই না? ভাল থেকো- হে রহমান সাহেবদের শালাকুল!
নাহ অমিত স্যারকে কমপ্লেন পাঠাতে হবে মনে হচ্ছে। এভাবে একই পোস্ট দুবার দুবার করে পঁচাত্তর পয়সার বদলে দেড় টাকা করে অ্যাকাউন্টে জমা করলে হবে? গৌমাতা কুপিত হবে যে!
কুবিরদার কথা আবার বুঝিয়ে দিচ্ছি, খুব সিম্পল - সারা দুনিয়ায় যারা মানুষের সর্বনাশ করে তারা সব মুসলিম লোক, আপনি ভারতের কথাই ভাবুন, এই ধরুন - নীরব মোদি, হরশদ মেহতা, বিজয় মালিয়া, সুব্রত রায়, মেহুল চোকসি - এই যে সব মানুষরা যারা লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা লুটপাট করে দেশের সব্বোনাশ করেছে - এরা সবাই মুসলিম - রহমান সাহেবদের শালাকুল!
এবার বুঝলেন তো - খুব সিম্পল
এই শালাগুলো সব কমোডে হেগে হেগে আজ সারা পৃথিবীর এই অবস্থা করে তুলেছে। একা শ্যামা আর কতোদিক সামলাবে?
আমার ল্যাপটপ ঠিক হয়েছে। এবার দ্যাখো একবারই এসেছে। কিছু একটা টেকনিক্যাল সমস্যা হয়েছিল। কিন্ত তোমরা পূর্ব বাংলায় ভিটে-মাটি হারিয়ে ওপারে গিয়ে গরীব হয়েছো আর রিফিউজি হয়েছো জানি। তাই বলে এত গরীব? সত্তর পয়সা আর দেড় টাকার বেশি ভাবতে পারো না? বাংলাদেশে রিক্সাঅলা সকালের খাবারে দোকানে চল্লিশ টাকার কমে খায় না জানো? কলকাতার সাহিত্যে সিনেমায় একটা সময় ত‘ দারিদ্র্যের সেলিব্রেশন থাকতো। আট আনার ট্রাম ভাড়া, মাটির ভাড়ে চা...এই সব আলগা রোমান্টিকতা দেখলে হাসি লাগে। দেশভাগ ত‘ তোমাদের গরীবস্য গরীব বানিয়েছে। তারপরও ঐ রহমান সাহেবের শালা- শালা কি করে বোনের জামাইয়ের নিন্দা করে বলো?
আরে বিলো দ্য বেল্ট নোংরা কথা কখন করলাম! আপনি রাগ করবেন নাঃ)
আমি শুধু শ্যামাবাবুকে ভীতু বলা হয়েছে সেটা জানতে পারলে আপনাদের প্রভারী বা পৃষ্ঠাপ্রমুখরা কেমন রাগ করবেন হবেন তাই ভেবে বিচলিত হয়ে পড়েছি। এমনিতেই বীরবাবুর মুচলেখা ডিফেন্ড করতে কত গল্প বানাতে হয়, এইবার শ্যামাপ্রসাদও ভীতু? এ আপনার সুবিবেচনা হলো না।
বালাই ষাট- রহমান সাহেবদের শালা ত‘ তোমরা। ওরা সবসময় জামাই। তোমাদের বোনদের ওরা বিয়ে করে। ওরা কখনো শালা হয় না।
রাগলে ভিডিও জোগাড়ের কাজটা হবে না, সময় নষ্ট হবে। অ্যাকাউন্টেও কিসু ঢুকবে না। চেষ্টা করলে নিশ্চয় কোন শ্বেতপ্রভুর শালা বা শালী হওয়ার সুযোগ আসবে।