২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের বেশ কিছুদিন আগে থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল গুজরাট মডেলের জয়জয়কার। সেই সুপরিকল্পিত প্রচারের হাত ধরেই ইউপিএ সরকারকে ধরাশায়ী করে দিল্লির মসনদে বসেন নরেন্দ্র মোদী। গুজরাটে একের পর এক কারকাখানা তৈরি হয়েছে, আবার মাঝেমধ্যে দাঙ্গাও হয়েছে। সেইসবকিছু থেকেই নিরাপদ নিশ্চিন্ত দূরত্ব বজায় রেখে চলেছিল বাঙালি এতদিন ধরে। কিন্তু আজ যখন দিলীপ ঘোষ বড় মুখ করে ঘোষণা করছেন যে পশ্চিমবঙ্গে ভারতীয় জনতা পার্টি ক্ষমতায় এলে সেই বিখ্যাত মডেল আমদানি করা হবে এই রাজ্যে, তখন নিঃসন্দেহে একবার যাচাই করে দেখা উচিত আদৌ এই মডেল কতখানি কাম্য।
গুজরাট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বৃদ্ধির হারে পশ্চিমবঙ্গের অনেক ওপরে। ওই রাজ্যে শিল্পে বিনিয়োগ চিরকাল বেশি হয়ে এসেছে (হ্যাঁ, নরেন্দ্র মোদী মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার অনেক আগে থেকেই), মোদীর আমলে সেই পরিমাণ আরও বেড়েছে। মোট কারখানার সংখ্যা এবং কারখানাপ্রতি বিনিয়োগে পশ্চিমবঙ্গকে গুজরাট পেছনে ফেলে রাখলেও, যে কথাটি উল্লেখযোগ্য, তা হল কারখানাপিছু শ্রমিকসংখ্যা এবং শ্রমিকপ্রতি বেতন কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে অনেকটাই বেশি। ভারত সরকারের অ্যানুয়াল সার্ভে অফ ইন্ডাস্ট্রিস-এর ২০১৭-১৮ সালের রিপোর্ট বলছে গুজরাটে মোট ২৬,৫৮৬টি কারখানায় শ্রমিকসংখ্যা ১৪,০৩,২০৪, অর্থাৎ কারখানাপিছু শ্রমিক নিযুক্ত রয়েছেন ৫২.৭৮জন। আর সেখানে পশ্চিম বাংলার ৯,৫৩৪টি কারখানায় কাজ করছেন ৫,১৬,৭৪০জন শ্রমিক; কারখানা প্রতি শ্রমিকের গড় এখানে ৫৪.২০। সুতরাং দেখা যাচ্ছে, সামগ্রিকভাবে রাজ্যের আয়বৃদ্ধি গুজরাটের তুলনায় কম হলেও, পশ্চিমবঙ্গে প্রতিটি কারখানার মুনাফার ভাগিদার হচ্ছেন কিন্তু বেশিসংখ্যক মানুষ। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ২০১৯-২০ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, গুজরাটের কৃষি এবং অ-কৃষিকার্যে নিযুক্ত শ্রমিকদের গড় দৈনিক আয় যথাক্রমে ২০৮.৪০ আর ২৩৩.৭০ টাকা| বাংলায় এই দুই শ্রেণির শ্রমিকদের ক্ষেত্রে গড় দৈনিক বেতন অনেকেটাই বেশি - যথাক্রমে ২৬৭.২০ আর ২৯১ টাকা।
মোদীর রাজ্যে শিল্পাঞ্চলগুলির আশেপাশে পরিকাঠামোর উন্নতি হয়েছে তাক লাগিয়ে দেওয়ার মতন, যা এনে দিয়েছে আরও বেশি বিনিয়োগ। এখন প্রশ্ন হচ্ছে রাজ্যের আয়বৃদ্ধি আর মসৃন রাস্তাঘাট থাকাকেই কি উন্নয়ন বলে? ব্যবসায়ে নিবেদিত সড়ক দিয়ে শিল্পের কাঁচামাল নিয়ে যাওয়া আসার সুবিধা হলেও, গ্রামের অভ্যন্তরে পৌঁছোয় কি সেই রাস্তা? রাজ্যের আর্থিক বৃদ্ধির হার দিয়ে কি উন্নয়ন মাপা যায়? নাকি উন্নয়ন মাপা উচিত প্রত্যেকটি মানুষ ভরপেট খাবার খেয়ে রাতে ঘুমোতে যাচ্ছেন কিনা বা আগের তুলনায় এখন কত কমসংখ্যক শিশু রক্তাল্পতায় ভুগছে সেই মাপকাঠিতে? মোদী মডেলটি দাঁড়িয়ে রয়েছে 'ট্রিকল ডাউন' তত্ত্বের ওপর। শিল্পে বেসরকারি বিনিয়োগ হবে, পরিবেশের ক্ষতি নিয়ে বিন্দুমাত্র না ভেবে গাছপালা কেটে তৈরি হবে কারখানা, শিল্পপতিদের পকেটে ঢুকবে মুনাফার টাকা আর রাজ্যের হবে আয়বৃদ্ধি - আর এসব থেকে চুঁইয়ে-পড়া কিছু ছিটে-ফোঁটা পাবে সমাজের নিচের স্তরের মানুষ। কিন্তু এতে যদি সমাজের গরীব মানুষের এতটুকুও আয় না বাড়ে, তাঁরা যদি আগের থেকে একটু হলেও বেশি ভালো না থাকেন, তাহলে সেই 'উন্নয়নে'র কি মূল্য? মনে রাখতে হবে যে 'লাভ' করার জন্য জনগণ ভোট দিয়ে কোনো সরকারকে ক্ষমতায় নিয়ে আসেন না। মানুষ সরকার নির্বাচন করেন নিজেদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা আগের থেকে উন্নত করার জন্য, ইকোনমিক মবিলিটির জন্য। উল্লেখযোগ্য যে, আর বি আই-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯-২০ সালের সামাজিক ক্ষেত্রে খরচের (সোশ্যাল সেক্টর এক্সপেন্ডিচার) বাজেট মূল্য 'ধনী' গুজরাটের ৭৮,১৪৫ কোটি টাকা আর 'দরিদ্র' পশ্চিমবাংলার সেই অঙ্কটা ১,০১,২২২ কোটি টাকা।
উন্নয়ন নিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে দরিদ্র জনগণ যে আর থাকবেননা সেইটুকু সুনিশ্চিত করে দিয়েছেন মোদী। পরিসংখ্যানের ওপর এতটাই জোর দেওয়া হয়েছে যে মানুষ তাঁর সংবেদনশীলতা হারিয়ে ফেলেছে। সে এখন সবকিছুই মাপে লাভ-ক্ষতির অংকে, আয়বৃদ্ধির শতকরা হিসেবে। আর তার সাথে যোগ হয়েছে দেশের প্রতি অগাধ জাতীয়তাবাদী ভালোবাসা। "ভারত মাতা কি জয়" স্লোগান তুলে দেশের পতাকা নিয়ে যেসব দেশভক্ত সিয়াচেনের সৈনিকদের স্মরণ করে এটিএম-এর লাইনে দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন ৫০০ এবং ১০০০এর নোট বাতিল হয়ে যাবার পর, তাঁরা কি একবারেনর জন্য হলেও ভেবেছিলেন যে দেশের যে ৪০% জনগণের ব্যাঙ্কের সাথে কোনো সম্পর্কই নেই, তাঁরা কোথায় গিয়ে নোট বদল করবেন? সেই দালালরা, যাঁরা হয়তো দু'খানা পুরোনো ১০০০ টাকার নোটের বিনিময়ে তিনখানা কড়কড়ে নতুন ৫০০ টাকার নোট দেবেন, তাঁদের কাছে? অফিস পাড়ার ভাত-ডালের হোটেলের যে দোকানদার এতদিন ধরে খাতায় নাম লিখে গ্রাহকদের ধারে খেতে দিয়েছেন মাসের শেষে হিসেব মিটিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতিতে, তাঁর কী হবে সেই নিয়ে কারোর মাথাব্যাথা হয়নি।
বা ধরুন বাড়ি-বাড়ি গিয়ে বয়স্ক যে ভদ্রমহিলা সবার এঁটো বাসন পরিষ্কার করেন, ব্যাঙ্কের পাসবই যিনি পড়তেও জানেননা, তিনি কী করে তাঁর বালিশের তলায় জমানো পাঁচ হাজার টাকা ব্যাংকে গিয়ে জমা দেবেন ডিপোজিট ফর্ম ভর্তি করে, সেই কথাও না-ভাবলে চলবে। এই যে গরিব মানুষদের কথা না ভেবে শুধু জিডিপি বৃদ্ধির হার কতটা বাড়ল বা কমল সেইটুকুই গুরুত্বপূর্ণ, এই কথাটা সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষের মগজে ঢুকিয়ে দিতে পেরেছে মোদীর গুজরাট মডেল। কিন্তু ওই দেশভক্তদের মনে এই প্রশ্ন কখনো জাগেনি যে মোদীর নিজের রাজ্য গুজরাটের মোরবিতেই নোটবাতিলের সপ্তাহখানেকের মধ্যেই যখন নগদ টাকা হাতে না থাকায় প্রায় ২০% সিরামিক কারখানা ঝাঁপ ফেলতে বাধ্য হয়, তখন মোদী মডেল সেই দোকানগুলোর বন্ধ হওয়া আটকাতে পারল না কেন?
জিডিপি দিয়ে যে উন্নয়ন মাপা যায়না তার চরম উদাহরণ ধনী রাজ্যগুলির মধ্যে অন্যতম আর এক রাজ্য হরিয়ানা। আইটি এবং বিপিও-কেন্দ্রিক পরিষেবা এখন এই রাজ্যের আয়ের মূল উৎস। এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির রমরমা বাজারও কিন্তু হরিয়ানার চরম লিঙ্গ-বৈষম্য কমাতে পারেনি। অন্যদিকে তামিল নাড়ুর মতন রাজ্য, যা আয়ের হিসেবে গুজরাট আর হরিয়ানা উভয়ের থেকেই অনেক পিছিয়ে, দক্ষিণের সেই রাজ্যটিও কিন্তু শিশু-মৃত্যুর হার, টিকাকরণ বা ম্যাটার্নাল মর্টালিটি রেট ইত্যাদি স্বাস্থ্য-উন্নয়ন সূচকগুলোতে এই দুই রাজ্যের বেশ ওপরেই রয়েছে। এর কারণ হিসেবে বলা যায় যে, প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রগুলিকে উন্নত করার দিকে তামিল নাড়ু রাজ্য সরকার বিশেষ নজর দিয়েছে বেশ কিছু বছর ধরে।
এরপর আসা যাক আমাদের রাজ্যে। ন্যাশনাল হেলথ প্রোফাইল (২০১৯)-এর ভিত্তিতে ব্রুকিংস ইন্ডিয়া (সেন্টার ফর সোশ্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক প্রগ্রেস)-র রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলার সরকারি হাসপাতালগুলিতে প্রতি হাজার জনের জন্য বরাদ্দ রয়েছে ২.২৫টি শয্যা, যা ভারতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ (সিকিমের স্থান দেশের মধ্যে প্রথম)। পশ্চিমবাংলার এই সংখ্যাটি জাতীয় গড়ের (০.৫৫) অনেক ওপরে এবং গুজরাটের প্রায় আট গুণ। উল্লেখযোগ্য যে রাজধানী দিল্লিতে প্রতি ১০০০ জনের জন্য সরকারি হাসপাতালে শয্যা রয়েছে ১.০৫টি। সাম্প্রতিকতম ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভের পরিসংখ্যান জানান দিচ্ছে যে সদ্যোজাত এবং পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যুর হার গুজরাটের তুলনায় পশ্চিম বাংলায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম। প্রতি ১০০০-এ গুজরাটে গড়ে ৩১.২ জন শিশুর (পাঁচ বছরের কম) মৃত্যু হয়। বাংলায় সেই সংখ্যা ২২। সদ্যোজাত শিশুর মৃত্যুর ক্ষেত্রে দুই রাজ্যের সংখ্যা যথাক্রমে ২১.৮ আর ১৫.৫। গুজরাটে অপুষ্ট শিশুর সংখ্যাও অনেক বেশি বাংলার থেকে। শিশুদের ক্ষেত্রে অপুষ্টি মাপা হয়ে থাকে কতজন স্টান্টিং (বয়স-অনুযায়ী কম উচ্চতা) আর ওয়েস্টিং (নির্দিষ্ট উচ্চতার শিশুর যতটা ওজন হওয়া উচিত তার থেকে কম ওজন)-এ ভুগছে এই দুটি মাপকাঠিতে। দুটি ক্ষেত্রেই পশ্চিমবাংলা গুজরাটকে অনেকটা পেছনে ফেলে এগিয়ে গেছে। দুঃখজনকভাবে গুজরাটের ৩৯% শিশু (বয়স ৫ বছরের নীচে) এই স্টান্টিং-এর শিকার, অর্থাৎ এই শিশুগুলির উচ্চতা বয়েসের তুলনায় অনেকটাই কম। বাংলায় ওই বয়সের ৩৩.৮% শিশু স্টান্টিং-এ আক্রান্ত |
বাংলার এই সাফল্যের পেছনে যেমন রয়েছে গুজরাটের তুলনায় উন্নততর গণবন্টন ব্যবস্থা, তেমনই, জঁ দ্রেজের মতে, বাংলায় মহিলারা যে অনেক বেশি ভালো আছেন, লিঙ্গবৈষম্য কম (প্রতি ১০০০ জন পুরুষে মহিলার সংখ্যা বাংলায় ৯৫০, আর গুজরাটে সেই সংখ্যাটা ৯১৯, যা জাতীয় গড়েরও অনেক নীচে), এটা তারও প্রতিফলন; কারণ মা ভাল থাকলে শিশুও ভাল থাকে। নির্ভরযোগ্য গণবন্টন ব্যবস্থাই সুনিশ্চিত করে রেশনের সস্তার চাল আর প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর আনাজ নিয়মিতভাবে গ্রামে-গঞ্জের আনাচে-কানাচে পৌঁছানো যাচ্ছে কি না। দ্রেজ মনে করেন যে গুজরাট মডেলের বেসরকারিকরণের ওপর অহেতুক জোর দেওয়া, ওই রাজ্যের গণবন্টন ব্যবস্থার কার্যকারিতা কমিয়ে দিয়েছে প্রচণ্ড। তার স্পষ্ট ছাপ পড়ছে রাজ্যবাসীর স্বাস্থ্যের ওপর। নজরে পড়ার মতন ব্যাপার, যে এই দুই রাজ্যের শিশুমৃত্যুর সংখ্যার তফাৎটা ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে গত দুই দশকের কিছু বেশি সময় ধরে। এই সময়কালের মধ্যেই সিঙ্গুরের ন্যানো কারখানা হাতিয়ে নিয়েছিল গুজরাট। তাতে কিন্তু শিশুদের বা তাদের মায়েদের স্বাস্থ্যের কোনো উন্নতি হয়নি ওই রাজ্যে। আর সানন্দের সেই টাটা কোম্পানির গাড়ির কারখানার কী দশা হল, সে গপ্পো না হয় তোলা রইল আর এক দিনের জন্য।
ভালো বিশ্লেষণ। এই জিডিপির পাগলা ঘোড়ার পেছনে বাংলাদেশের সরকারও পড়ে রয়েছে।
মনোগ্রাহী আলোচনা। যে জি ডি পি নিয়ে সরকার এর নাচানাচি সেটাও তো আজ নিম্ন মুখী।
যে জিনিস মানুষ ""খায় না মাথায় দেয় "" বা ওটা আবার কি গো ?? বলে মুখ ব্যাদান করে (( সার্ভে করে বলুন তো এই পোড়া মূর্খের দেশে কটা লোক ""জিডিপি ।..সেনসেক্স ।..রেপো রেট ।..এফ ডি আই ।...এগুলো সম্যক বোঝে ???)) সে নিয়ে আলোচনা বৃথা !!ওগুলো সব ভাঁওতা ।...লোক ঠকানো শব্দ ।..ওরা ।।.মনে নরেন্দ্র ।..মুকেশ ।..গৌতম ((বা বা ।..কি ভালো ভালো নাম গো ।..হৃদয় জুড়িয়ে যায় )) জানে যে এহেন দেশের ৭০ শতাংশ দ্বিপদী জন্তু মূর্খ ।..আনপড় ।..তাই ওই সব কথার ঝুরি ।...জেইসা দেশ ওয়সা নেতা ।..দিলীপ ।..মমতা ।..নরেন্দ্র রা মনে হয় সঠিক চয়েস ।...এই সব ছোট লোক যতদিন নেতা নেত্রী হয়ে থাকবেন ।..ততদিন এই দেশ এরকম থাকবে ।..!!!গুজরাট মহিমা ।..সোনার বাংলা ।..এইসব ঢপ কীর্তন চলবেই !!আর ।.তা ছাড়া ওই লম্বু দাদা তো আছেন ।..সাবান থেকে শুরু করে ।..যাবতীয় গৃহ প্রয়োজনীয় বস্তুর বিক্রেতা ।..আর চিন্তা নাই রে !!!!
দারুন বিশ্লেষণ। পৃথিবীর উন্নত দেশ গুলো যেমন ইউরোপেও দেশ গুলো বা আমেরিকায় সোশ্যাল সিকিউরিটি বলে একটা জিনিস চালু আছে। আমাদের দেশে রিব লোকের সোশ্যাল সিকিউরিটি বলে কিছুই নেই। স্বাস্থ্য উন্নয়ন সূচকে যদি কোনো দেশ পিছিয়ে থাকে বা কোনো রাজ্য যদি পিছিয়ে থাকে তাহলে সেই দেশ বা রাজ্যের সব ব্যর্থ। গুজরাট এর উন্নয়ন মডেল তো পুরোটাই স্ক্যাম। আর যেটা হয়তো তোর লেখায় আসেনি সেটা হলো আয়ুষ্মান ভারত যেটা স্বাধীনতা উত্তর ইন্ডিয়ায় সব থেকে বড় স্ক্যাম।
স্মৃতি খুব স্বল্প মেয়াদি নাকি ভুলে যাওয়াটা একটা শিল্প?
জনধন যোজনায় সকলের কোনো জমা ছাড়াই ব্যাঙ্কের একাউন্ট করার কথা সরকার বলেছিল। গরিব দরদীদের কাউকে কি তখন দেখা গেছিলো বাড়ি-বাড়ি গিয়ে বয়স্ক যে ভদ্রমহিলা বা অফিস পাড়ার ভাত-ডালের হোটেলের যে দোকানদার বা দেশের যে ৪০% জনগণের ব্যাঙ্কের সাথে কোনো সম্পর্কই নেই তাদের জন্য একটা আবেদন পত্র জমা করে দিতে?
এই সালা বাঞ্চোৎ টার কথা আর কি বলবো ?? একটা চশমখোর , অর্থ গৃধ্নু ,বলিউড এর অভিশাপ !!সালা পয়সার জন্য কি না করেছে ??মেরুদণ্ড হীন একটা সরীসৃপ !!আর ওটাকে কি বলবো গালাগালির স্টক শেষ ।..সালাকে আচ্ছা করে পাদ্যনি দিলে প্রাণ টা জুড়োতো