দুই বাংলায় বহুলপঠিত একজন গতাসু হলেন। আমি সমরেশের সাতকাহন পড়েছি, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র থেকে নিয়ে। ভালো লেগেছিল। অনুপ্রাণিত হইছিলাম তো বটেই। বিআরটিসি দোতলা বাসে বসে পড়ার সময় এক সহযাত্রী ডাক দিয়ে আলোচনা জুড়লেন বইটা নিয়ে, কিছু নিন্দা আর প্রশংসা। ফেরত দেওয়ার সময় ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির ডলার ভাই জিজ্ঞেস করলেন কত দিন লাগল পড়তে; তাঁরও ব্যক্তিগত স্মৃতি জড়িয়ে আছে বইটি নিয়ে। গাজীপুরে থাকতে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ... ...
মহানগর ২ ওয়েব ধারাবাহিকের দ্বিতীয় খণ্ডের এই দৃশ্যটা বেশ মজার। মজার স্মৃতিও উসকে দেয়। একবার হয়েছে কী, সৈয়দ জামিল আহমেদ-মহসিনা আক্তার এবং যাদের নাম জানি না, সে সব কলাকুশলীদের ৪.৪৮ মন্ত্রাস (সারাহ কেইনের ৪.৪৮ সাইকোসিস) দেখতে গিয়েছি বেইলি রোডের মহিলা সমিতিতে। নিচে প্রক্ষালন কক্ষে গিয়ে দেখি এক প্রখ্যাত চিত্রপরিচালক ইউরিনালে মনোযোগ দিয়ে ইউরিয়া বের করছেন। আর তখন ‘স্যার, স্লামালিকুম!’ বলে কুশল বিনিময়ের খায়েশটা! উনি যখন প্রক্ষালন কক্ষ থেকে বেরোচ্ছেন, তখন একজন এ কাজটাই করে ফেলল। উনি প্রত্যুত্তর দিলেন বটে, কিন্তু তাঁর চেহারা দেখে মনে হলো এটা খ্যাতি উপভোগের জন্য আদর্শ জায়গা না। ‘বিখ্যাতদের শৌচাগারনামা’ ধরনের বই বের হতে পারে, তাঁরা ... ...
ঋদ্ধ হলাম। ... ...
: তুমি ফড়িবায় নি? ফড়ো, এখান তাখি।: না দাদা, আপনিই পড়েন আজকে। : খিতা?: ফড়ৌক্কা আপনে। যুদ্ধের সময় শ্রবণশক্তি প্রায় গেছে, পাশ থেকে দাদুকে জোরে বলতে হচ্ছে তাই। সফলকাম হওয়া বহু উচ্চ পর্যায়ের জিনিস। সফলতা শব্দটি যেখানেই উল্লিখিত হয়, উহা দ্বীন ও দুনিয়ার যাবতীয় উন্নতি ও কামিয়াবির অর্থে ব্যবহৃত হয়। ইমাম রাগেব (রহ.) লিখিয়াছেন, দুনিয়াবি সফলতা ঐ সমস্ত গুণাবলি অর্জন করার নাম যাহা দ্বারা দুনিয়ার জীবন উন্নত হইয়া যায়। আর তাহা হইল স্থায়িত্ব, অমুখাপেক্ষিতা ও সম্মান। আর আখেরাতের সফলতা হইল চার জিনিস: এমন স্থায়িত্ব যাহা কখনও শেষ হয় না, এমন অমুখাপেক্ষিতা যাহার মধ্যে অভাবের লেশমাত্র নাই, এমন সম্মান যাহার মধ্যে কোনো প্রকার ... ...
আলী আনোয়ার রাজকীয় নর্শ্ক দূতাবাসের আয়োজনে নর্শ্ক গিয়ে ইবসেন নিয়ে ঘোরাঘুরি-বাতচিত করে এসে এ বইটা লেখেন; বইটা নর্শ্ক দূতাবাসের অর্থানুকূল্যেই বেরিয়েছিল ২০০১ এ। নর্শ্ক জানেন তিনি, তা না; এখানে হয়ত দ্বিতীয় আতশ কাঁচ এসে পড়ার ঝামেলাটা হতে পারে। তবে নর্শ্ক জানলেই ইতনা বৃহৎ কলেবরের বই লিখে ফেলা যাবে, তা তো নিশ্চিতভাবেই না।১৯৬০ সালে প্রকাশিত নাওয়াল আস-সাদাউইর مذکرات طبیبة (মুজ়াককিরাত ত়বিইবাহ—ডাক্তারের দিনপঞ্জি) ইংরেজি ভাষান্তর। শেলফের তিরিশ-চল্লিশেক অন্য লেখকদের মধ্য থেকে তাঁকেই চোখে পড়ল, কারণ তাঁর ওপর নাতিদীর্ঘ উইকিপিডিয়া নিবন্ধটা আমার লেখা: কারণ ফারহানা আজিমের 'শূন্য বিন্দুতে নারী' বইটার মাধ্যমে নাওয়ালের সাথে প্রথম পরিচয়। ওখানে দেখছি, তাঁর A Daughter of Isis-এর বাংলা ... ...
That one at the bottom left corner is a novel; novel by a British novelist who had spent her childhood in the suburb of Narayanganj under British India with her sister Jon Godden. Together they composed the memory in 'Two Under the Indian Sun'.And look finally a Bond comes home. Ruskin Bond with 90's illustration by Trevor Stubley. I didn't think the later edition will still keep Stubley's pen and ink, and in real it does not. India have been economically advanced, they have now cutting-edge technology, their artistic senses have altered—why would they even adhere to that decade! But ... ...
Ketil Bjørnstad এর Nåde। নদে মানে দয়া। আনিস পারভেজের মতে, এ হলো য়ুরোপে বাংলাদেশের ওপর লিখিত প্রথম উপন্যাস (১৯৯৮)। ক্লুৎ হামসুন (Knut Hamsun) আর হেনরিক আবেলের দেশের মানুষ বাংলাদেশ নিয়ে লিখেছেন বলে 'উরি বাবা এ কী' বলে চিত্তর হয়ে পড়তে হবে তা না, তবে দূর-থেকে-দেখার একটা সুযোগ তো পাওয়াই যায়।স্থান থেকে স্থানান্তরে ছুটে চলা উদবাস্তুকুল, সংখ্যালঘুতার কষ্ট, রাজনৈতিক অস্থিরতা, ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশ পুলিশ দ্বারা ইয়াসমিন আক্তারকে গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা, নর্শ্ক যাজকের এসে ত্রাতার ভূমিকা নেওয়া—এ সবই উপন্যাসের আধেয়র অন্তর্গত, ফ্ল্যাপ পর্যন্ত এই মন্তব্য। সহজেই প্রভাবিত হওয়ার প্রবণতার দরুন (but again, thus I can remain wide open to dissents) হয়তো ... ...
ক্যোরামিত্র আনিসুর রশিদ দিপু ভাই কাল বুকার পাবেন কি না বা মধ্য পঞ্চাশে গিয়ে লিজিয়ঁ দ্যনর পাবেন কি না তার ভবিষ্যদবাণী করতে পারব না। কিন্তু কেউ লিজিয়ঁ দ্যনর না পেলেও তাঁদের লেখাপত্র-হাস্যরস আর মোড়-ঘোরানো চিন্তাভাবনা আমাদের প্রাতিস্বিক জীবনটা আরেকটু সহনীয় করে তুলতেই পারেই, আমাদের আজন্মবাহিত চিন্তাকে চ্যালেঞ্জ করতেই পারে। স্টেজলাইট তাঁর ওপর এসে না পড়লেও ওয়াইজঘাটে বসে ঠান্ডি সর্দ হাওয়া খেতে খেতে তাঁর ভাষণ আমরা শুনতে পারি। সেই ভাষণে এমন কিছু থাকতে পারে, যা কোনো বুকারজয়ীই কখনো বলতে পারেন নাই। তাই মঞ্চ-নাকাঁপানো এক অসফল অখ্যাতনামা ব্যক্তি—তাঁর ভাষায়—যাঁর পড়ালেখার পথ আর কাজের ক্ষেত্র দুদিকে চলে গেছে, তাঁর স্বলেখন-অটোগ্রাফ। বইটা লা মার্খে শ্জুন—দ্য ইয়েলো ... ...
আমার চেয়ে বেশি আলাভোলা জিনধারী একজন মানুষ ইরফান ভাই, ইরফানুর রহমান রাফিন। তাঁর 'সময়রেখা' বইতে খোরোশকভা লিলিয়া নামে একজনের প্রতি উৎসর্গ দেখে ভেবেছিলাম হয়তো তাঁর রুস্কি কোনো বন্ধুনী হবেন। আসলেই তাই, তবে খারাশকোভা লিলিয়া পুরোপুরি রুস্কি ছিলেন না। আর রাফিন ভাইয়ের সাথে তাঁর প্রেম পুরোপুরি ছিল না। এই কী-নামে-ডাকি-তোমায় পরমজনকে রাফিন ভাই পরম আলিঙ্গনে তাঁর বইয়ের কাগজে, ওয়ার্ডপ্রেসের পিএইচপির ভেতর ধরে রাখতে চান; যেন চুলে বিলিই কেটে দিতে চান! এই কায়েনাতের, এই ব্রহ্মাণ্ডের কোন এক বিগতপ্রাণা খারাশকোভার জন্য জিগাতলায় উদভ্রান্তের মতন হাঁটতে থাকা কোন এক রাফিনের ভেতর দিয়ে ঝরনাধারা ছুটে যাচ্ছে লাব-ডাব-লাব-ডাব, তা পড়ে আমি সারাদিনের হইহল্লার পর চুপ হয়ে যাই। ... ...
হের কয়নার নীচের প্রশ্নগুলি তুললেন: প্রতি সকালে আমার প্রতিবেশী একটি গ্রামোফোনে গানের সুর বাজিয়ে থাকে। কেন সে গানের সুর বাজায়? আমি শুনেছি, তার কারণ সে ব্যায়ামচর্চা করে। কেন সে ব্যায়াম চর্চা করে? তার কারণ আমি শুনেছি, তার শক্তি দরকার। কেন তার শক্তি দরকার? সে বলে, তার কারণ তাকে তার শহরে তার শত্রুদের হারাতে হবে। কেন তাকে শত্রুদের হারাতে হবে? তার কারণ আমি শুনেছি, সে খেতে চায়। হের কয়নার যখন এ-কথা শুনতে পেলেন, যে তার প্রতিবেশী ব্যায়ামচর্চা করে, তার শত্রুদের শেষ করে দিতে শক্তিশালী হতে চায়, খেতে তার শত্রুদের শেষ করে দেয়—তখন তিনি তাঁর প্রশ্নটি তুললেন, ‘কেন ... ...