এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • মাননীয় ‘ভাইরোলজিস্ট’ অমিতাভ নন্দী, এবং তাঁর ভ্যাকসিন-প্রতিরোধী মাস্ক

    Debasis Bhattacharya লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৯ জানুয়ারি ২০২২ | ৯৫১৪ বার পঠিত
  • চিকিৎসক ও গবেষক অমিতাভ নন্দীর একটি ভিডিও গত কয়েক দিন ধরে সোশাল মিডিয়াতে ব্যাপকভাবে ছড়ানো হচ্ছে (লিঙ্ক পাবেন এ লেখার শেষে)। তাতে তিনি বলছেন, কোভিড আসলে সাধারণ ফ্লু ছাড়া আর তেমন কিছুই নয়, এবং তা আটকাবার জন্য যে ভ্যাকসিনটা দেওয়া হচ্ছে সেটাও অকেজো, কাজেই কোভিড এবং তার ভ্যাকসিন --- কোনওটিকেই নাকি বিশেষ পাত্তা দেবার দরকার নেই। তাঁর মতে, ভ্যাকসিন বানিয়ে ভাইরাস-জাত ব্যাধিকে আটকাবার দাবি করা নাকি আসলে এক রকমের প্রকৃতি-বিরোধী দম্ভ (আবার একেবারে শেষে যদিও বলেছেন, তিনি নাকি ‘সত্যি ভ্যাকসিন’ এর জন্য অপেক্ষা করছেন)। তিনি আরও বলেন, রোগ হয়ে শরীরে ‘স্বাভাবিক’ প্রতিরোধ তৈরি হতে দেওয়াটাই রোগ প্রতিরোধের সবচেয়ে ভাল পন্থা, এবং টিকাকরণের চেয়ে তা অনেক ভাল। সেইহেতু তাঁর সুদৃঢ় পরামর্শ, রোগটিকে অবাধে ছড়াতে দেওয়া দরকার, যাতে করে প্রতিটি ব্যক্তি রোগাক্রান্ত হবার মাধ্যমে ‘স্বাভাবিক’ প্রতিরোধ-ক্ষমতা অর্জন করতে পারেন। আবার, যদিও ভ্যাকসিন জিনিসটাকেই তিনি ভালবাসেন না, তবুও একেবারে শেষে গিয়ে বলেছেন, যে ভ্যাকসিনগুলো দেওয়া হচ্ছে সেগুলো নাকি সত্যিকারের নয়, এত তাড়াতাড়ি ভ্যাকসিন হয়না ---  বছর দশেক অপেক্ষা করলে সত্যিকারের ভ্যাকসিন পাওয়া যেত। বছর দশেক পরে ভ্যাকসিন বানালে কেন যে সেটা আর প্রকৃতি-বিরোধী দম্ভ বলে গণ্য হতে পারত না, সেটা তিনি এ ভিডিও-তে ব্যাখ্যা করে বলেন নি।

    ভিডিও-টি আগে দেখেছি, আজ আরও কয়েকবার মন দিয়ে দেখলাম। এবং, একজন বর্ষীয়ান দায়িত্বশীল চিকিৎসক কীভাবে এমন বলতে পারেন, তা দেখে স্তম্ভিত হলাম। হ্যাঁ, তিনি এখানে যা যা বলেছেন, তার সবই ভুল। নিচে ভুলগুলোর একটা তালিকা বানাই বরং।

    (১) কোভিড রোগের ভাইরাসটি ‘ফ্লু ভাইরাস’-এর ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ই বটে, কিন্তু দুটো কোনও মতেই এক না --- কোভিড অনেক বেশি ভয়ঙ্কর। ঠিক যেমনটি, বিগত দুই দশকে যে সমস্ত ছোট ছোট রোগ-সংক্রমণের ঢেউ এসেছে এবং গেছে যেমন ‘সার্স’ ও ‘মার্স’, যাদের মারণ-ক্ষমতা কোভিড-এর চেয়ে বেশি কিন্তু সংক্রমণ-ক্ষমতা অপেক্ষাকৃত কম, তারাও সাধারণ ফ্লু-র আত্মীয় কিন্তু অনেক বেশি মারাত্মক। সম্ভাব্য সমস্ত মাপকাঠিতেই, অর্থাৎ রোগ-লক্ষণ, সংক্রমণ-ক্ষমতা, মারণ-ক্ষমতা, জিন-এর গঠন --- এই সব কিছুতেই সাধারণ ফ্লু-র থেকে কোভিড-এর তফাত পরিষ্কার, এবং বিষয়টি গবেষণায় সুপ্রতিষ্ঠিত। [১]

    (২) কোভিড-এর ভ্যাকসিন কোভিড-১৯ রোগটিকে আটকাতে যথেষ্ট সফল, এবং ভ্যাকসিনের সুফল নিয়ে বিস্তর প্রামাণ্য গবেষণা আছে। আন্তর্জালে সে নিয়ে তথ্য অতিশয় সুলভ। [২]

    (৩) রোগ-সংক্রমণজাত ‘স্বাভাবিক’ প্রতিরোধের চেয়ে এই ভ্যাকসিন-গুলো যে অন্তত পাঁচগুণ বেশি কার্যকর, সেটাও উচ্চমানের গবেষণায় আজ সুপ্রতিষ্ঠিত। [৩]

    একজন বর্ষীয়ান চিকিৎসক ও গবেষক হিসেবে শ্রীনন্দীর নিশ্চয়ই এ সব জানা থাকার কথা। তিনি যদি তা জেনে থাকেন, তাহলে প্রশ্ন ওঠে, জেনেশুনে আমাদেরকে বিভ্রান্ত করার কারণ কী হতে পারে? যদি না তা জেনে থাকেন, তাহলে জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত এমন একটি জরুরি বিষয়ে না জেনে কথা বলাটা বোধহয় তাঁর পক্ষে ঠিক হচ্ছে না। আর, যদি এমনটাই হয়ে থাকে যে, তিনি সবই জানেন, কিন্তু সে সব গবেষণার দাবিকে ভুল বলে মনে করেন, তাহলে সোচ্চারে তা বলতেই পারেন --- সেক্ষেত্রে সেটা বলাটা তো তাঁর কর্তব্যই। কিন্তু, সেক্ষেত্রে তিনি তাদের তথ্য-যুক্তিকে বিস্তারিতভাবে খণ্ডন করে রিসার্চ পেপার লিখুন, সারা পৃথিবীর পণ্ডিতদের সামনে নিজের যুক্তিতর্ককে হাজির করুন, এবং সাধারণ মানুষের কাছেও তাঁর বক্তব্যকে সহজবোধ্যভাবে হাজির করে প্রবন্ধ লিখুন। কিন্তু, এভাবে লোকের আস্থার সুযোগ নিয়ে ভিডিও-তে দুটো উড়ো কথা বলে লোককে বিভ্রান্ত করাটা কী ধরনের দায়িত্বপালননের দৃষ্টান্ত?

    অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হচ্ছে, শ্রীনন্দী যেভাবে ওই ভিডিও-সাক্ষাৎকারে ভ্যাকসিন বাদ দিয়ে স্রেফ স্বাভাবিক প্রতিরোধ-ক্ষমতার ওপর ভরসা রাখতে বলছেন, সেটা শুধু ভুল না, রীতিমত বর্বরোচিত। প্রথমত, স্বাভাবিক প্রতিরোধ ভ্যাকসিনের চেয়ে ভাল --- এই কথাটাই পুরো মিথ্যে, তা যদি হত তাহলে তো আর কোনও ভ্যাকসিনই লাগত না কোনও দিনই। দ্বিতীয়ত, রোগকে প্রতিরোধ না করে চুপচাপ বসে বসে রোগীদের সংক্রমিত হতে দেওয়ার ওই ধরনের প্রস্তাব অতিশয় উন্মত্ত ও অনৈতিক। তৃতীয়ত, ওইভাবে স্বাভাবিক প্রতিরোধের আশায় বিনা চিকিৎসায় মানুষকে ফেলে রাখলে সম্পূর্ণ প্রতিরোধ কবে অর্জন করা যাবে সেটা কেউ জানে না, কিন্তু তার আগে বেশ কয়েক কোটি লোক যে লোপাট হয়ে যাবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। [৪] সেটা যদি ঘটে, তো তার দায়িত্ব কি তিনি নেবেন?

    যেভাবে তিনি বললেন, মরা জীবাণু ঢুকিয়ে ভ্যাকসিন তৈরি হয়, এবং বছর দশেক না হলে কিছুতেই ‘সত্যিকারের ভ্যাকসিন’ তৈরি হয়না (এবং সেইহেতু দ্রুত-আবিষ্কৃত সমস্ত কোভিড ভ্যাকসিনই অকেজো), তাতে প্রশ্ন জাগে, তিনি কি তবে ভ্যাকসিন তৈরির আধুনিক প্রযুক্তি, যেমন ‘mRNA’ প্রযুক্তি, এ সবের কথা কিছুই শোনেন নি? [৫] ভ্যাকসিন কীভাবে অত দ্রুত বানানো গেল, সেটা অনেকের কাছেই পরিষ্কার না। অথচ আসলে এর মধ্যে বিরাট কিছু ধাঁধা নেই, বরং অনেকগুলো বাস্তব কারণ আছে, সেগুলো মোটামুটি এই রকম। (ক) সার্স, মার্স, সাধারণ ফ্লু এবং আরও নানা ধরনের রোগ নিয়ে দীর্ঘদিনের গবেষণার ফলে এই ধরনের ভাইরাস নিয়ে বিপুল তথ্য আগে থেকেই ছিল, সেটা ব্যবহার করায় সময় বেঁচেছে। (খ) সংকটের মুখে দাঁড়িয়ে সারা পৃথিবীর বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীরা নিজস্ব 'ট্রেড সিক্রেট'-এর কথা ভুলে গিয়ে অবাধে তথ্য আদান-প্রদান করেছেন, ফলে গবেষণার গতি বেড়েছে বহুগুণ। (গ) সারা পৃথিবীর সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এগিয়ে এসে গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ জুগিয়েছে অকাতরে। (ঘ) লাখো মানুষ সারা পৃথিবীর কল্যাণের স্বার্থে স্বেচ্ছায় এগিয়ে এসে পরীক্ষার গিনিপিগ হতে চেয়েছেন, ফলে পরীক্ষাও হয়েছে দ্রুত, এবং ফলাফলও হয়েছে নির্ভরযোগ্য। (ঙ) দ্রুত নিরাপদ এবং কার্যকরী ভ্যাকসিন তৈরির জন‌্য আবিষ্কৃত হয়েছে 'mRNA' প্রযুক্তি। এতে গোটা জীবাণু-টির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে হয়না, শুধু আমাদের শরীরকে জীবাণুর 'স্পাইক প্রোটিন'-টিকে চিনিয়ে দিলেই চলে।

    আর, তিনি 'সত্যি ভ্যাকসিন'-এর জন্য অপেক্ষা করছেন --- এইটা জেনেও খুব অবাক হলাম। উনি তো ভ্যাকসিন ব্যাপারটারই বিরুদ্ধে, তার সত্যি-মিথ্যে নিয়ে মাথাই বা ঘামাচ্ছেন কেন খামোখা? কিছুই বুঝিনি। পাঠকরা কেউ বুঝে থাকলে, অনুগ্রহ করে বোঝাবেন।

    ফেসবুকে এই ভিডিও-টি প্রচার করা হচ্ছে শ্রীনন্দীকে ‘ভাইরোলজিস্ট’ বলে দাবি করে। তিনি কোন প্রতিষ্ঠানে ভাইরোলজি-সংক্রান্ত গবেষণা করেন সেটা জানার অনেক চেষ্টা করেও জানতে পারিনি। তিনি কয়েকটি সংক্রামক এককোষী প্রাণি ও তজ্জাত ব্যাধি নিয়ে গবেষণা করেছেন, সে তথ্য আন্তর্জালে পাওয়া যায়, কিন্তু ভাইরাস নিয়ে আলাদা করে তাঁর কোনও গবেষণার সন্ধান আমি পাইনি, কারুর যদি জানা থাকে অনুগ্রহ করে আমাকে জানাবেন। আমি জানি, এ প্রশ্ন তুললেই তাঁর সমর্থকেরা এসে বলবেন, শ্রীনন্দী আসলে ভাইরোলজিস্ট কিনা সে প্রশ্নের থেকে তাঁর বক্তব্যে যৌক্তিকতা বা সারবত্তা আছে কিনা এইটা বেশি জরুরি প্রশ্ন। এবং, এক্ষেত্রে অন্তত আমি তাঁদের সঙ্গে একমতই হব (তাঁর বক্তব্যে আদৌ যৌক্তিকতা বা সারবত্তা পাইনি যদিও)। কিন্তু আমার প্রশ্নটা হচ্ছে, যাঁরা তাঁর বক্তব্য প্রচার করছেন তাঁরা তাহলে সেটাই বলুন --- উনি ভাইরোলজিস্ট কিনা সেটা বড় কথা না, বরং উনি যে সঠিক কথা বলছেন এটাই বড় কথা। কিন্তু, ওঁরা তো তা করছেন না, বাড়তি গ্রহণযোগ্যতা সৃষ্টি করার জন্য ওঁকে ভাইরোলজিস্ট বলে হাজির করছেন। যদি ভাইরোলজি নিয়ে তাঁর তেমন কোনও গবেষণা না থেকে থাকে, তাহলে ব্যাপারটা নৈতিকভাবে খুব একটা গ্রহণযোগ্য হচ্ছে কি?

    কিন্তু, ভিডিও-টিতে একটি মজার ব্যাপারও আছে। এখানে যে বিষয়টি সবচেয়ে লক্ষণীয় সেটা হচ্ছে এই যে, সারাক্ষণই তিনি সাক্ষাৎকারটি দিলেন মুখে একটি জবরদস্ত মুখোশ ভাল করে এঁটে রেখে। মুখোশ কেন? আইনের ভয়ে, নাকি ‘সাধারণ ফ্লু’-এর ভয়ে? আরও প্রশ্ন জাগে, আইন এবং/অথবা ‘সাধারণ ফ্লু’-এর ভয়ে যদি তিনি মুখোশ পরে থাকেন, তবে কি তিনি ওই একই ভয়ে ভ্যাকসিনের দুটি ডোজও নিয়ে নিয়েছেন ইতিমধ্যে? যদি নিয়ে থাকেন, তাতে আমাদের অত্যন্ত খুশি হওয়া উচিত --- তাঁর মত স্বনামধন্য বর্ষীয়ান চিকিৎসক কোভিডের কবলমুক্ত থাকুন, এটা তো সকলেই চাইবেন।

    কিন্তু, নাঃ! ভিডিও দেখে অন্তত সে ব্যাপারে নিশ্চিত হবার কোনও উপায় নেই! ক্যামেরায় শুধু মুখোশটাই দেখা যায়, অন্য কিছু নয়। আমরা চাইব, তিনি যদি ইতিমধ্যে ভ্যাকসিন না নিয়ে থাকেন, তো এবারে নিয়ে নিন। তিনি ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন।
     
     

    ভিডিও-র লিঙ্ক রইল এখানে। [ https://www.facebook.com/debasis.bhattacharya.79/posts/5174408019250198 ] 
     
     
     
     
     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৯ জানুয়ারি ২০২২ | ৯৫১৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • bodhisattvagc dasgupta | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৮:০৬503415
  • আমাকে রোগা বোলো না।
  • ar | 173.48.***.*** | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৯:৩৬503418
  • ২ঃ০৩ এর লিঙ্কটা দেখলাম, আর ওটা যে পেপারটাকে (ইউ কে থেকে) রেফার করেছে, যেটার বেসিসে এতো আলোচনা, সেটাও দেখলাম। তো ইউ কে কাজের বড় সমালোচনা হল, কয়েকটা ক্ষেত্রে ভ্যাক্সিনহীন আর ভ্যাক্সিনেটেড এজ-ম্যাচড নয়। তো (বিগ) ডেটা অ্যানালিসিসের ক্ষেত্রে এটা একটা বড় লিমিটেসন। অথার সেটা স্বীকারও করেছেন দেখলাম।
    "Fourth, owing to the age-stratified rollout of the UK vaccination programme, the age of the unvaccinated, delta variant-infected participants was lower than that of vaccinated participants. Thus, age might be a confounding factor in our results and, as discussed, peak viral load was associated with age".
    ৭৮% আনভ্যাক্সিনেটেড হল ১৮ বা ১৮ বছরের নীচে। ১৮-৪৯ বছরের আনভ্যাক্সিনেটেড ৫ জন। এর ওপরে কেউ নেই। ফুল বা পার্স্যিয়াল ভ্যাক্সিনেটেড ১৮এর নীচে কেউ নেই। অধিকাংশই, ১৮-৪৯ বা ৫০-৬৪ আর ৬৫+। এথনিসিটি, বি এম আই, কো-মর্বিডিটি, কোনোটাই ম্যাচড বা তুল্য নয়, p ভ্যালু সিগনিফিক্যানট নয়।
    [ইউকের ভ্যাক্সিন রোল-আউটের নিয়ম আর সময় এর একটা বড় কারণ।]

    পরিশেষে পেপারের ডিক্ল্যারেশ্যন অব ইনটারেষ্ট টা টুকে দিলাম। [নজরটান আমার]

    Declaration of interests
    NMF reports grants from UK Medical Research Council, UK National Institute of Health Research, UK Research and Innovation, Community Jameel, Janssen Pharmaceuticals, the Bill & Melinda Gates Foundation, and Gavi, the Vaccine Alliance; consulting fees from the World Bank; payment or honoraria from the Wellcome Trust; travel expenses from WHO; advisory board participation for Takeda; and is a senior editor of the eLife journal. All other authors declare no competing interests.

     
  • dc | 122.164.***.*** | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৯:৫৫503421
  • অ্যাঁ এখানেও বিল গেটস? হায় হায়! এই লোকটার বড়োলোক হওয়া কি কোনভাবেই আটকানো যাবেনা?  
  • হিজি-বিজ-বিজ  | 2603:8000:b101:f400:ccd3:377b:2d0f:***:*** | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১২:৫০503425
  • দেখে শুনে মনে হলো এই আরশোলা বাবু নিজে কিছু পড়েন না। ওই উপর থেকে যা বলে এখানে উগরে দেয়।
  • হিজি-বিজ-বিজ | 2603:8000:b101:f400:ccd3:377b:2d0f:***:*** | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১২:৫২503426
  • "অ্যাঁ এখানেও বিল গেটস? হায় হায়! এই লোকটার বড়োলোক হওয়া কি কোনভাবেই আটকানো যাবেনা?  " ওসব আরশোলা বাবুই আটকাবেন। আমাগো হেডস আপ দিচ্ছেন। 
  • হুজ হু | 2a0b:f4c2:1::***:*** | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৪:০৫503428
  • "ওই উপর থেকে যা বলে এখানে উগরে দেয়।" - উপর বোলে তো? গেটস ইয়া বাইডেন?
  • জয় | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৪:৫০503429
  • তাইইপ এর্ডোয়ান? ঃ)
  • জয় | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৫:৪০503430
  • ওপরের কমেন্টটা @হুজ হু-র জন্য। বুদ্ধিমান মানুষ আপনি- সবই তো বোঝেন! ভালো থাকবেন
  • জয় | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৫:৪৯503431
  • @cockroachesবাবু
    আজ সকালে আপনার লিংকটা আবার দেখলাম। আপনি ল্যানসেটে পাবলিশ হওয়া একটা করেসপন্ডেন্সকে রেফার করেছেন। অরিজিনাল পেপারটাকে নয়। এমনকি এডিটোরিয়ালও নয়। করেসপন্ডেন্সকে এভিডেন্স হিসেবে ধরা হয় না- সে আপনিও জানেন।
  • জয় | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৬:১১503432
  • @cockroachesবাবু
    এবার আসল পেপারটা পড়ি আসুন। এটার রেফারেন্সই (4নং) মেইনলি ঐ করেসপন্ডেন্সে দিয়েছে। এটাও ল্যান্সেটে বেরিয়েছিল- গতবছর অক্টোবরে। 
     
    lcmএবং arঅনেক যত্ন করে কালকে পেপারটা নিয়ে লিখেছেন। নেগেটিভ বায়াস থেকে গুগুল করে হাতের কাছে খবর কাগজের হেডিং পাওয়া গেল/ নাম করা জার্নালে চিঠি চাপাটি যা পাওয়া গেল তাই বিভিন্ন ফোরামে চিপকে দিয়ে তো সায়েন্স হয় না! বেচারী lcmকে খেটেখুটে বোঝাতে হয় আপনি কেমন সুবিধা মত একটা আধটা লাইন পিক করছেন  বিগ পিকচার আর বোল্ড লাইনগুলো দেখছেন না। arজ্ঞানীগুনী মানুষ  তাকেও লিখতে হয় কোন পেপারের কোয়ালিটি নিয়ে/ কোন রিসার্চের ড্রব্যাক নিয়ে। উনারা মোটের ওপর লিখেই দিয়েছেন- আমি কয়েকটা পয়েন্ট বলব।
     
  • জয় | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৬:৩৯503434
  • এটা ইম্পিরিয়াল কলেজ  লন্ডনের স্টাডি।
     
    ১) পুরোপুরি ভ্যাকসিনেটেডদের (এই স্টাডিটা বুস্টারের আগে/ পুরোপুরি মানে দুটো ডোজ) নতুন ব্রেকথ্রু ইনফেকসন হতে পারে। এবং তাদের থেকেও ইনফেকসন ছড়াতে পারে। এই স্টাডি ইনফেকসন ট্রানসমিশন বলতে শুধু একই বাড়িতে/ ক্লোজ কনট্যাক্ট সেট আপে। কিন্তু দুই-ই আনভ্যাকসিনেটেডদের তুলনায় লোয়ার রেটে।
    ২) হাউসহোল্ড কনট্যাক্টদের মধ্যে SAR-সেকেন্ডারী অ্যাটাক রেট ২৫% ভ্যাকসিনেটেড গ্রুপে এবং ৩৮% আন-ভ্যাকসিনেটেড গ্রুপে। তবে খেয়াল করুন 95% কনফিডেন্স ইন্টারভ্যাল ওয়াইড। স্যাম্পেল সাইজও ছোট। কাজেই প্রিসিসন কম। লিড অথার ডঃ আনিকা সিঙ্গানায়াগম এবং তাঁর গাইড ডঃ প্রফেসর অজিত লালভানি বলছেন (ইম্পিরিয়ালের আর্টিকেলটার লিঙ্ক দেব- প্লেন ল্যাঙ্গুয়েজে) ভ্যাকসিনেটেড কনট্যাক্ট গ্রুপে এই রেটটা ১৮% এবং আনভ্যাকসিনেটেড কনট্যাক্ট গ্রুপে ইনফেকসন রেট ৫৩% হতে পারে।
    ৩) 
  • জয় | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৭:০৮503436
  • ৩) এবার হাউস হোল্ড ক্লোজ কন্ট্যাক্ট ট্রান্সমিশন (খেয়াল করুন পুরোপুরি কমিউনিটিতে নয়) এই স্টাডিতে ভ্যাকসিনেটেড গ্রুপে এই রেটটা ২৫% এবং আনভ্যাকসিনেটেড ২৩%; ডঃ সিঙ্গানায়াগম আবারও ছোট স্যাম্পেল সাইজ আর ওয়াইড কনফিডেন্স ইন্টারভ্যাল উল্লেখ করে বলছেন ভ্যাকসিনেটেড গ্রুপে এই রেটটা  হতে পারে ১৫% এবং আনভ্যাকসিনেটেড গ্রুপে ৩১%। তিনি নিজের স্টাডি নিয়ে আরো বলছেনঃ এটা একটা স্ন্যাপ-সট স্টাডি।ঐ সময়ে বেশীর ভাগ আনভ্যাকসিনেটেডই টিন-এজার এবং বাচ্চারা। ভ্যাকসিনেটেড গ্রুপের কনট্যাক্টদের তুলনায় আনভ্যাকসিনেটেড গ্রুপের কনট্যাক্টরা কম বয়সী। এটা  একটা সিলেকশন বায়াস। বাচ্চারা বয়স্কদের তুলনায় কম ইনফেকসাস। 
    সুতরাং এজ-ম্যাচড হলে ভ্যাকসিনেটেড গ্রুপ কম ইনফেসন ছড়ায়। 
    মিথ্যে যদি কেউ বলেই থাকে সে বোধহয় আমি নয়। আসুন ডঃ সিঙ্গানায়গমকেই তাহলে দোষী ঠাওরাই। ওনা লো লেভেলের দালাল বলাটা খুব লো লেভেলের হবে! 
     
    বাংলা করে বলা- যাস্ট ইন কেস! 
     
    জানেন  আমার বেশ কয়েকজনের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়েছিল- নরইচ ইউনিয়নে কাজ করত। বেশীর ভাগই দক্ষিন ভারতীয়। সবাই খুব মিষ্টভাসী ছিল। কখনো কাউকে রেগে গালাগাল করতে শুনিনি। মেমরিজ! 
  • জয় | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৭:১৮503437
  • আর হ্যাঁ- ডঃ সিঙ্গানয়াগম এবং প্রফেসর লালভানি (ভাইরোলজিস্ট কিনা জানিনা  তবে ইনফেকসাস ডিজিজে কাজ করেন) আপনার দেওয়া (আপনি শুধু একটা চিঠি দিয়েছিলেন!) পেপারে সাজেস্ট করেছেন বরং বুস্টার নিতে। সোসাল ডিস্ট্যানসিং ইত্যাদিও। বলেছেন ভ্যাকসিন নিলেও কমপ্লাসেন্ট না হতে।
     
    "ভ্যাকসিনটা ভ্যাকসিনই নয়"একবারও বলেন নি। ওটা কোন হাই লেভেল  সত্যবাদী ভাইরোলজিস্টের মস্তিষ্কপ্রসূত॥ 
  • জয় | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৭:৫৭503439
  • ৪) আরেকটু লিখি? ঐ পেপারটা নিয়েই? যতক্ষন না গুগলিয়ে আরেকটা আবর্জনা বের করে আবার কেউ দাবী করে - "আর এটা? এটাও বোঝান।"
    এই পেপারে ওঁরা ভাইরাল লোড কাইনেটিকস তুলনা করেছেন ভ্যাকসিনেটেড এবং আনভ্যাকসিনেটেড গ্রুপের মধ্যে।
    ১৩৩জনের রোজ নোজ আর থ্রোট সোওয়াব নিয়ে PCRটেস্ট করা হয়েছে ট্রাজেকটরি দেখার জন্য। ভ্যাকসিনটেড গ্রুপ (যদিও এই গ্রুপে সবার ডেল্টা ইনফেকসন হয়েছিল; ডেল্টা অন্য আলফা প্রি আলফার তুলনায় বেশী রেপ্লিকেট করে) আনভ্যাকসিনেটেড গ্রুপের (আলফা/ প্রি-আলফা/,অল্প ডেল্টা) তুলনায় দ্রুত ভাইরাস ক্লিয়ার করে (অ্যাক্সিলেরাটেড ক্লিয়ারেন্স)। পিক লেভেল দুটো গ্রুপেই একই। তবে এতেও বয়স একটা ফ্যাক্টর। বয়স বাড়ার সাথে সাথে পিক লেভেলও বাড়ে। আর ভ্যাকসিনেটেড গ্রুপে বেশী বয়সী সাব্জেক্ট।
     
    মিথ্যে বলিনি, ভাই।
     
    যাক বাবা। লো লেভেল দালাল ঠিক আছে। অ্যাস্পিরেশন আছে একদিন হাই লেভেলের হব। কিন্তু মিথ্যেবাদী? আমারতো এরপর পিএম হওয়া ছাড়া আর কোন উপায় রইলনা। 
     
  • জয় | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৮:১৬503440
  • *মিষ্টভাষী। সরি
     
    এইজন্য বেশী লিখতে নেই।
  • জয় | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২১:০৯503451
  • @cockroachesবাবু
    আমি জানি আপনি সত্যিটা বুঝে গেছেন! গ্রেট! যদি ডেটা ফেটিগ না হয় আরো তিনটি পেপার (চিঠি নয়) দিচ্ছি। বাকীরা বোর করার জন্য কিংবা গজাল মারার জন্য ক্ষমা করবেন।
    ১) ডাচ স্টাডিঃ https://pubmed.ncbi.nlm.nih.gov/34355689/
     
    "The secondary attack rate among household contacts was lower for fully vaccinated than unvaccinated index cases (11% vs 31%), with an adjusted VET (vaccine effectiveness against transmission) of 71% (95% confidence interval: 63-77)." 
     
    ২) নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল: https://www.nejm.org/doi/full/10.1056/nejmc2107717
     
    "Overall, the likelihood of household transmission was approximately 40 to 50% lower in households of index patients who had been vaccinated 21 days or more before testing positive than in households of unvaccinated index patients."
     
    ৩) ONS(অফিস অফ ন্যাশনাল স্টাটিসটিকস)ঃ
     
    "This shows a total effect of a statistically significant approximate halving of the secondary attack rate in households following vaccination."
     
    বিশ্বাস করুন মিথ্যা বলিনি। নাই বা বিশ্বাস করলেন ভ্যাকসিন বলে কিছু হয়। এটুকুই ব্যস! 
     
    ভালো থাকবেন। সাবধানে থাকবেন। আশা করি আপনার আসে পাশের সবাইও।
  • অনিন্দ্য সেন (ডাঃ) | 2402:3a80:1cd2:1c96:bff:4be6:cfec:***:*** | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৮:৪৩503522
  • মতামতটি পার্থ ব্যানার্জির করা ডাঃ অমিতাভ নন্দীর প্রতি সমালোচনা সংক্রান্ত। 
    প্রাকৃতিক সংক্রমণ যে ভ্যাক্সিনের চাইতে ইমিউনিটি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অনেক বেশি কাজের, বিশেষতঃ করোনার ক্ষেত্রে সেকথা শুধু ডাঃ অমিতাভ নন্দী বলেন নি, ডাঃ অমিতাভ ব্যানার্জি এবং ডাঃ সঞ্জয় রাইও বলেছেন। তাতেও যদি খুশী না হন তাহলে Dr. John Campbell Dr. Keith Moran এর দুটো খুব সাম্প্রতিক ভিডিও দেখতে পারেন। এঁরা সিডিসি র একটা বড় স্টাডির ভিত্তিতে একই কথা বলেছেন। মেট্রোপলিটন মন শান্ত হবে। 
    আর আপনি কি ভ্যাক্সিন তৈরির উদ্যোগকে গণউদ্যোগ বললেন? ভেবেচিন্তে? বলি গাভির (GAVI) নামটা তো নিশ্চয় শোনা আছে। কিন্তু এ গাভি তো সে গাভি (হোলি কাউ) নয় যে ফ্রিতে দুধ বিতরন করবে। এর সঙ্গে অতিসংপৃক্ত হয়ে আছে মুনাফাশিকারী বেচুরা। না জানলে জেনে নিন - খুব সহজ। নইলে ঘোড়া হাসবে।
  • dc | 223.19.***.*** | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৮:৫২503523
  • লুই পাস্তুর কেন যে ভ্যাক্সিন বানতে গেল কে জানে। দিব্যি প্রাকৃতিক সংক্রমন দিয়ে ইমিউনিটি গড়া হচ্ছিল, হঠাত কোত্থেকে ভ্যাক্সিন নিয়ে এসে হাজির। এই মুনাফাশিকারী বেচু লোকটার কালো হাত ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দিতে হবে। 
  • &/ | 151.14.***.*** | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৮:৫৪503524
  • শুধু তাই না, সেই বেচু পাস্তুরাইজেশনও চালু করেছিল। বুঝুন।
  • Amit | 121.2.***.*** | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৮:৫৮503525
  • আচ্ছা , বিল  গেটস কি লুই পাস্তুর এর ফ্যামিলি ট্রি তে কেও হয় ? কেমন মনে হচ্ছে কোথাও কোনোভাবে একটা এদের মধ্যে সেটিংস না হয়ে যায়না। 
     
    অথবা এমন ও হতে পারে যে পাস্তুর মরে গিয়ে বিল গেটস হয়ে জন্মেছে ? এখন মনে হচ্ছে পুনর্জন্ম থিওরী টাও সত্যি। 
  • dc | 223.19.***.*** | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৯:০৩503527
  • আরেক বেচু ছিল এডোয়ার্ড জেনার। পাস্তুর, জেনার, বিল গেটস, আর জেফ বেজোসরাই যতো নষ্টের মূল। সব ব্যাটা কমিউনিস্ট বেচু।  
  • Amit | 121.2.***.*** | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৯:০৬503528
  • কিন্তু জেফ বেজোস আবার কি করলো ? এদ্দিন তো বিল গেটস ই সব করে বেড়াচ্ছিল ? 
     
    ডিভোর্সের পরে এই সবকটা এক্কেরে ছাড়া গরুর মতো গুঁতিয়ে বেড়াচ্ছে। 
  • dc | 223.19.***.*** | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৯:০৮503529
  • কি জানি, সেদিন তো আরশোলাবাবু জেফ বেজোসকেও কমিউনিস্ট বললো। তাই ভাবলাম সব ব্যাটা এক গোয়ালের গরু বেচু। 
  • &/ | 151.14.***.*** | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৯:১০503530
  • গভীর সব ব্যাপার। জন্ম জন্মান্তরের বেচু সব। আরে কিছুকাল আগে তো শুনেছিলাম জেনারের টীকার আগেও নাকি ভারতে নিজস্ব টীকাব্যবস্থা ছিল। বদ্যিরা দিতেন। তারাও কি বেচু?
  • dc | 223.19.***.*** | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৯:১৩503531
  • গাভী....গভীর....ডিপ স্টেট....নামের মধ্যেই সব লুকিয়ে আছে। 
  • lcm | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৯:১৫503532
  • অনিন্দ্য-বাবু,

    এই যে দুজন এর নাম দিলেন,
    ------
    Dr. John Campbell -- ইনি এখন একজন ব্রিটিশ ইউটিউবার, মানে যারা ইউটিউবে প্রফেশ্যনালি ভিডিও পাবলিশ করেন এবং তা থেকে অর্থ উপার্জন করেন। ইনি ঠিক মেডিক্যাল ডাক্তার নন, ইনি পেশায় নার্স, অ্যাকচুয়ালি নার্সিং টিচার (নার্স এডুকেটর), ইনি পিএইচডি করেছেন নার্সিং-এ। ইনি কনস্পিরেসি ভিডিও পাবলিশ করে ইউটিউবে পপুলার হয়েছেন। এনার সম্বন্ধে জানতে হলে - https://en.wikipedia.org/wiki/John_Campbell_(YouTuber)
    ----------

    Dr. Keith Moran

    ইনি মেডিক্যাল ডাক্তার, ইন্টারনাল মেডিসিনের। কানাডিয়ান। কিন্তু হালে কোভিড নিয়ে এমন মিসইনফরমেশন বাজারে ছড়িয়েছেন যে হাসপাতালের চাকরিটা গেছে, মানে রেজিগনেশন দিতে বাধ্য হয়েছেন, ২০২১ এর ফ্রেব্রুয়ারিতে। হাসপাতালের সাইট থেকে -
    By way of letter dated February 18, 2021, Muskoka Algonquin Healthcare notified the College, pursuant to s.33(c) of the Public Hospitals Act and s.85.5(2) of the Health Professions Procedural Code, Regulated Health Professions Act, that on January 22, 2021 Dr. Keith Moran tendered his resignation, effective for April 5, 2021, after the Credentials Committee of the hospital expressed reservations about recommending Dr. Moran’s re-appointment to the credentialed staff. It is believed that Dr. Moran’s resignation is related to allegations of unprofessional conduct. https://doctors.cpso.on.ca/DoctorDetails/K-Moran/0048643-62621

    ইনিও প্র্যাকটিশ/চাকরি চলে যাবার পরে, ইউটিউবে ভিডিও পাবলিশ করতে শুরু করেন।

    ----
    এরকম কিছু ডাক্তার আছেন, অবশ্যই খুবই কম সংখ্যক - ব্রিটেন, আমেরিকা, কানাডা - এদের নিয়ে কি করা যায় তা বিভিন্ন দেশের মেডিক্যাল বোর্ড ভাবছে।
    ---
  • Amit | 121.2.***.*** | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৯:১৬503533
  • নানা। সেকালের বদ্যিরা হলেন গিয়ে মহান ভারতীয় সভ্যতার ধারক ও বাহক। বাপরে ব্রিপুসোভার বদ্যিদের বেচু বললে  সোজা এন্টি ন্যাশনাল বলে জেলে ভরে দেবে। 
  • Amit | 121.2.***.*** | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৯:১৮503534
  • এ বিল গেটস এর কন্সপিরেসি না হয়ে যায়না। এরকম একটা ভালো ডাক্তারের চাকরি খেয়ে নিলো সোজা ? 
  • S | 23.236.***.*** | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৯:২১503535
  • আচ্ছা এতো লিন্ক, এতো রেফারেন্স। একটাও পিয়ার রিভিউড টপ জার্নালে পাবলিশ করা পেপার আছে কি? অবশ্য সে পড়েও আমার মতন লোলেভেলের দালাল কিছু বুঝবো না। ইউটিউব ভিডিও দেখে আর কি হবে। কোভিড শুরু হওয়ার পরেও এরকম অনেক ভিডিওর লিন্ক আসছিলো যে আসলে নাকি ক্যালিফোর্নিয়ার সমস্ত হাসপাতাল একদম ফাঁকা, রোগীই নেই, সব নাকি মিথ্যা কথা। এদিকে আমার ট্রাম্প ভক্ত শহরের দুটো বড় হাসপাতাল ভর্তি হয়ে গিয়ে এখন সেগুলোর অফিস লাউন্জগুলোতে শুনলাম মেডিকাল ইউনিট বানাতে হচ্ছে।
  • Amit | 121.2.***.*** | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৯:২৩503536
  • ওই জার্নাল গুলো সব কমুনিস্ট দের। ওই জন্যে এনাদেরকে লিখতে দেয়না 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত প্রতিক্রিয়া দিন