এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  ইতিহাস

  • ইসকন ও রাকৃমি— দুই সঙ্ঘীর ইতিহাস বিকৃতি 

    এলেবেলে লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | ইতিহাস | ১৭ জুলাই ২০২৩ | ৭৬৬৬ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • আজ থেকে প্রায় একশো বছর আগে নদীয়ার তদানীন্তন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট কেদারনাথ দত্ত নিজস্ব প্রভাব খাটিয়ে এবং সরকারি নথিপত্রে বদল ঘটিয়ে নবদ্বীপের গঙ্গার অন্য পারে বাঙালি মুসলমান অধ্যুষিত মিঞাপুরকে ‘মায়াপুর’-এ বদলে ফেলেন। শুধু তাই নয়, সুচতুরভাবে ওই মায়াপুরকে চৈতন্য জন্মস্থান বলে প্রচার করার প্রামাণ্য নথি হিসেবে তিনি বৃন্দাবনবাসী নরহরি চক্রবর্তীর ‘ভক্তিরত্নাকর’ গ্রন্থটিকে তুলে ধরেন।

    অথচ যে সময় নরহরি চক্রবর্তী তাঁর গ্রন্থটি রচনা করছেন, তার বহু আগেই চৈতন্যের জন্মভিটে গঙ্গাগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এই অবস্থায় তিনি চৈতন্যকালীন নবদ্বীপের একটি কাল্পনিক চিত্র আঁকেন, চৈতন্য জন্মস্থানের নামকরণ করেন ‘মায়াপুর’ এবং তার চারিদিকে নয়টি দ্বীপের কল্পনা করে ‘নবদ্বীপ’ নামের নতুন ব্যাখ্যা দেন।

    ইতিমধ্যে চাকরি ছেড়ে কেদারনাথ দত্ত ভক্তিবিনোদ ঠাকুর নামে সন্ন্যাসী হন। ১৯১৮ সালে, অর্থাৎ তাঁর মৃত্যুর চার বছর পরে, তাঁর পুত্র ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী মায়াপুরে ‘শ্রীচৈতন্য মঠ’ স্থাপন করলে কেদারনাথের প্রচারে ভক্তিবাদের সরকারি সিলমোহর পড়ে। এঁর শিষ্য অভয়চরণ দে ওরফে প্রভুপাদ এসি ভক্তিবেদান্ত স্বামী মায়াপুরে চন্দ্রোদয় মন্দির নামে ইসকনের হেড অফিস বানান, একই সঙ্গে চৈতন্য জন্মভূমির প্রচার তুঙ্গে ওঠে।

    মায়াপুরে প্রথম জমি কেনা হয় ১৯৭২ সালে এবং সেই প্রক্রিয়া আজও অব্যাহত আছে। সে হিসেবে সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়, জ্যোতি বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার হয় নাকে তেল দিয়ে ঘুমিয়েছে নতুবা জেগে ড্যাবড্যাব চোখে তাকিয়ে থেকেছে। আর মায়াপুরের মুসলমানদের বাস্তুচ্যুত করে ইসকনের জমি কেনার পরিমাণ ক্রমশ বেড়েছে।

    ধীরে অথচ অত্যন্ত সুকৌশলে চৈতন্য জন্মভূমির ইতিহাস হাতিয়ে নিয়েছে ইসকন, তবুও ‘ভদ্রলোক’ বাঙালির ঘুম ভাঙেনি। দিনের পর দিন ইসকনের জমি মাফিয়াদের অত্যাচারের শিকার স্থানীয় মুসলমান বাসিন্দারা বাধ্য হয়ে মায়াপুরের উলটো দিকে মুসলমান-প্রধান তিওরখালিতে মাথা গোঁজার ঠাই খুঁজতে বাধ্য হয়েছেন, তবুও ‘ভদ্রলোক’ বাঙালির ঘুম ভাঙেনি। কারণ চৈতন্যের জন্মভূমির প্রকৃত ইতিহাস কিংবা গ্রামের গরিব মুসলমানদের উদ্বাস্তু হওয়ার বাস্তব ঘটনায় ভদ্রলোক বাঙালিদের সুখনিদ্রায় ব্যাঘাত ঘটে না।

    এই পরিস্থিতিতে ইসকনের এক হিন্দিভাষী শ্বেতাঙ্গ ‘প্রভু’ বাঙালির পরমপ্রিয় আইকন আর তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত শিষ্যকে গালাগাল দিতেই ভদ্রলোক বাঙালির কাঁচা ঘুম ভেঙেছে। তারা সদলবলে রে রে করে আক্রমণে নেমেছে। এত দিনের স্থিতাবস্থা হঠাৎই টলমল। এক সঙ্ঘীর হাত থেকে অন্য সঙ্ঘীকে রক্ষা করার প্রাণান্তকর প্রচেষ্টায় বাঙালি আজ নিবেদিতপ্রাণ! অথচ ইসকন যেমন চৈতন্য জন্মভূমির প্রকৃত ইতিহাস নির্বিবাদে আত্মসাৎ করতে মরিয়া, ঠিক তেমনই রাকৃমিও কন্যাকুমারিকায় বিবেকানন্দ শিলার অস্তিত্বের বিষয়ে নির্বিকল্প উদাসীন।

    রাকৃমির সঙ্গে সঙ্ঘের মাখামাখির ইতিহাস অনেক দিনের পুরনো। তবে সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা কে বি হেড়গেওয়ার বিবেকানন্দ বিষয়ে শ্রদ্ধাবান হলেও খুব বেশি আগ্রহী ছিলেন না। কিন্তু তাঁর উত্তরসূরী এম এস গোলওয়ালকর ছিলেন বিবেকানন্দে আপ্লুত। ১৯৩৬ সালে তিনি মিশনের তৃতীয় অধ্যক্ষ স্বামী অখণ্ডানন্দের কাছে দীক্ষা নিতে চান। যদিও অখণ্ডানন্দ তাঁকে রাকৃমি-তে যোগ না দিয়ে আর এস এস-এর কাজেই আত্মনিয়োগ করার পরামর্শ দেন।

    এই ঘটনার বেশ কিছু বছর আগে ১৯১২ সালে প্রকাশিত হয় বিবেকানন্দের প্রথম ইংরেজি জীবনী ‘The Life of the Swami Vivekananda’। বইটির প্রথম সংস্করণে লেখা হয়, “…He [Vivekananda] plunged into the ocean and in spite of numerous sharks swam across to the temple, his mind eager as a child to see the Mother. And reaching the shrine he fell prostrate in ecstasy before the Image of the Goddess…।” প্রসঙ্গত, পরিব্রাজক বিবেকানন্দ ১৮৯২ সালের একেবারে শেষভাগে কন্যাকুমারিকায় হাজির হন। এবং প্রকৃত ঘটনা হল, ১৮৮৯ থেকে কোমরের বাতের জন্য তিনি খুব একটা হাঁটতেই পারতেন না, সাঁতরানো তো দূরের কথা। এমনকি বইটির লেখকরা এটাও জানতেন না যে, কন্যাকুমারী দেবীর মন্দির সমুদ্র-মধ্যস্থ দ্বীপে নয়, বরং প্রধান ভূখণ্ডে অবস্থিত!

    এ বিষয়ে ১৮৯৪-এর ৯ মার্চ শিকাগো থেকে স্বামী রামকৃষ্ণানন্দকে লিখিত পত্রে স্বয়ং বিবেকানন্দ লেখেন, “Cape Comorin (কুমারিকা অন্তরীপে) মা কুমারীর মন্দিরে বসে, ভারতবর্ষের শেষ পাথর-টুকরার উপর বসে— এই যে আমরা এতজন সন্ন্যাসী আছি, ঘুরে ঘুরে বেড়াচ্ছি, লোককে metaphysics (দর্শন) শিক্ষা দিচ্ছি, এ সব পাগলামি। ‘খালি পেটে ধর্ম হয় না’—গুরুদেব বলতেন না? ঐ যে গরীবগুলো পশুর মত জীবন যাপন করছে, তার কারণ মূর্খতা; পাজি বেটারা চার যুগ ওদের চুষে খেয়েছে, আর দু পা দিয়ে দলেছে।” অর্থাৎ তাঁর চিঠি থেকে স্পষ্ট, তিনি কন্যাকুমারীর মন্দিরে বসে এ কথা উপলব্ধি করছেন, হাঙরে ভর্তি সমুদ্র সাঁতরে দ্বীপে ওঠেননি।

    কিন্তু তার পরেও ওই একই গ্রন্থের ১৯৭৯ সালের সংস্করণে প্রথম সংস্করণটির ভাষ্য সামান্য সংশোধন করে লেখা হয়, “After worshipping the Mother in the temple, it was to this holy rock that the Swami wanted to go for meditation.  But how could he go? He had not a single pice for the boatman. Without more ado he plunged into those shark-infested waters and swam across.” আজ অবধি বিবেকানন্দ শিলার এহেন জোচ্চুরির বিষয়ে মিশন উচ্চবাচ্য করেনি।

    ইতিমধ্যে জীবনী গ্রন্থটির এই কাল্পনিক ঘটনাকে অবলম্বন করে বিবেকানন্দ শতবর্ষে অর্থাৎ ১৯৬৩ সালে, আর এস এস কন্যাকুমারীর এই বিবেকানন্দ শিলামন্দিরকে হিন্দু জাতীয়তাবাদের এক পবিত্র তীর্থে রূপান্তরিত করে। এই ঘটনাকে ঘিরে নানা রাজনৈতিক বিতর্ক ওঠায় মিশন শিলামন্দির প্রতিষ্ঠার প্রয়াস থেকে বাহ্যত নিজেদের সরিয়ে রাখলেও মিশনের তৎকালীন অধ্যক্ষ এর আনুষ্ঠানিক ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’র শাস্ত্রীয় আচারক্রিয়া সম্পন্ন করেন।

    আর ইসকন ও রাকৃমির দৌলতে এভাবেই নির্মিত হয় নয়া ইতিহাস।
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ১৭ জুলাই ২০২৩ | ৭৬৬৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • criticism | 23.109.***.*** | ২২ জুলাই ২০২৩ ২২:২২521554
  • আপনার সংগে খাড়াখাড়ি আছে হয়ত। আমরা খেউড়ের ব্যাপারী, জাহাজের খপর রাখিনে।
  • মুচকি | 103.76.***.*** | ২২ জুলাই ২০২৩ ২২:২৭521555
  • লজ্জা পাবার কিছু নেই। ১৯৭৮-এর পঞ্চম সংস্করণের ভূমিকাটা চিপকে দিয়ে একবার বলে যান--- কেন কোন কোন বিষয় ফিরে এল বুঝতে পেরেছেন কিনা। না পারলে সেও বলে দেওয়া যাবে। লজ্জা কি?
    আর অন্য যা যা ইনঅ্যাকুরেসি সরিয়ে দ্বিতীয় সংস্করণ আপডেট করা হয়েছিল সে তো আর রাজাগোপাল লিখে যাননি। ফলে সে বুঝতে হলে আপনাকে লাইন বাই লাইন প্রথম ও দ্বিতীয় সংস্করণ মিলিয়ে পড়ে নোট করতে হবে। সে আপনি পারবেন ধরে নিচ্ছি, বেগার খাটার অঢেল সময়। তবে সে দুখানা বই কীভাবে যোগাড় করবেন, আর্কাইভকে কতটা ভরসা করবেন সে আপনাকেই বুঝতে হবে।
  • এলেবেলে | ২২ জুলাই ২০২৩ ২২:৪৭521556
  • যাচ্চলে। প্রথম সংস্করণ ও দ্বিতীয় সংস্করণের ছপি দেওয়ার পরেও সন্দো গেল না যে রাজার ঘরে যে ধন আছে সে ধন টুনটুনির ঘরেও থাকতে পারে?
     
    চিপকে দেওয়ার কিছু নেই। কারণ 'মা কুমারীর মন্দিরে বসে, ভারতবর্ষের শেষ পাথর-টুকরার উপর বসে' বাক্যাংশে ব্যবহৃত বিবেকানন্দের সামান্য একটি কমার যে এত মাহাত্ম্য তা জানতাম না। সেই নিয়ে মেলা বড় পোবোন্দো ফাঁদা হয়েছে ওই সাঁতার কাটা নিয়ে। যেমন ফেঁদেছেন শঙ্করীপ্রসাদ। 
     
    তবে কি না আগে বলেছিলেন, যে লেখা ১৯১৩-র পর ১৯৩৩-এ শোধরানো হয় আর তারপরে শুধু রিপ্রিন্টই হয়ে চলেছে কোনও পরিবর্তন ছাড়াই। এখন দেখছি সব রহস্য ভূমিকাতে লুকিয়ে আছে! জানি তো, সামান্য কমার ব্যাখ্যা করেই বিষয়টাকে জায়েজ করা গেছে। আর এ তো আস্ত একটা ভূমিকা। দিন, আপনিই চিপকে দিন কারণ ওটি আমার কাছে নেই। দেখে চক্ষু সাত্থোক করি।
     
    আর হ্যাঁ, ১৯৬০-এর সংস্করণজনিত ভ্রান্তি শুধরে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।  
  • Review | 2405:8100:8000:5ca1::210:***:*** | ২২ জুলাই ২০২৩ ২৩:২৮521560
  • পরবাসের রিভিউটা চমৎকার লাগল। কুমারপ্রসাদের উক্তিটি খুব সুপ্রযুক্ত হয়েছে।
    মুচকি বড্ড বেশি স্পুনফিড করছেন। মনে রাখবেন এই তথ্যগুলিকে বাঁকিয়েচুরিয়ে এলেবেলে অন্য ফোরামে নিজের পাণ্ডিত্য জাহির করবেন। উনি এভাবেই তথ্যসংগ্রহ করেন। বইও লিখতে পারেন। একে কি ক্রাউডরাইটিং বলা যাবে?
     
  • | 2405:8100:8000:5ca1::15f:***:*** | ২২ জুলাই ২০২৩ ২৩:৪৪521561
  • সমস্যাটা কোথায়? সাড়ে তিনশো মিটার দূরত্বের দুটো জায়গাকে কমা দিয়ে তফাৎ করার নিয়ম নেই? সেমিকোলন লাগত? নাকি সাঁতার না দিয়ে হেঁটে যাওয়া ন্যায্য হত?
  • মুচকি | 103.76.***.*** | ২৩ জুলাই ২০২৩ ০০:১০521563
  • সেকি !!! আপনার কাছে নেই? ১৯৭৯, ১৯৮৯ সব বই থেকে নিয়েছেন বলে যে কোট করে গেলেন সেসব কি তাহলে শুধু রাজাগোপালের বই থেকে টুকে? আদত বই না দেখেই? ১৯৭৮ এর পরের সব রিপ্রিন্ট বা এডিশনেই ওই পঞ্চম সংস্করণের ভূমিকাটা রয়েছে তো। প্রত্যক্ষদর্শীদের কথাও রয়েছে কন্যাকুমারী অংশে, সেটাও দেবেন কিন্তু ভূমিকার সঙ্গে।
    "এই চালিয়াতির কারণেই ১৯৮৯ সালের সংস্করণটিতে (চাইলে ১৯৭৯-তে কী লেখা হয়েছিল তার রেফও দেওয়া যাবে গাঁজাগোপালের বই ব্যতিরেকে) ..." বা "১৯৭৯-র রেফারেন্সও পাওয়া যায়" বা "১৯৮৯-এ প্রথম সংস্করণের লেখা প্রায় হুবহু ফিরে আসলে ...? কিংবা ১৯৭৯ নেই বললে? " ইত্যাদি বারফাট্টাই আপনিই করছিলেন তো? নাকি টুকলি বাতেলা এসব স্বীকার করে নিচ্ছেন?
    চাপ নেবেন না, দোকানে কোনো নতুন বই হাতে নিলেও তাতে এসব পেয়ে যাবেন, ওই ১৯৭৮-এর ভূমিকা আর প্রত্যক্ষদর্শীর জায়গাটা।
  • এলেবেলে | ২৩ জুলাই ২০২৩ ০০:৩১521565
  • ১৯৮৯-র লেখাটার এমনকি পৃষ্ঠাসংখ্যাও উল্লেখ করা হয়েছে না? ওটা ভুল বুঝি? ওটা গাঁজাগোপালের টুকলি বুঝি? বাপস! আপনি তো দেখছি সত্যান্বেষী না হয়েই যান না। 
     
    হ্যাঁ, আমি ১৯৭৯-র যেটুকু তুলেছি, সেটা গাঁজাগোপালের নয়। এমনকি ১৯৮৯-রটাও নয়। একটি পোবোন্দের চাল্লাইনের জন্য আমাকে একই বইয়ের চার-চারটে সংস্করণ রাখতে হবে? আর ১৯৩৩ থেকে কোনও পরিবর্তন ছাড়াই রিপ্রিন্ট হওয়া বই এমনই সংস্করণলোভী যে মূল লেখকদের কুমারী মন্দিরটি সম্পর্কে যেখানে ণত্ব-ষত্ব জ্ঞানটুকু নেই, সেখানে এক ভূমিকা লেখকই সব কিছুকে জায়েজ করে দেবেন? বইটার নামটা পাল্টালে হত না? তাঁর শিষ্যরা যে ওই ভাষায় লেখেননি, সেটা তো প্রথম দুটো সংস্করণ থেকেই পরিষ্কার। তাহলে খামোখা তাঁদের নামে এটা চালিয়ে যাওয়ার কী অর্থ?
     
    প্রথম সংস্করণের ভুলত্রুটি পরবর্তী সংস্করণে শুধরে নেওয়াই দস্তুর। কিন্তু তাই বলে পঞ্চম সংস্করণে এবং তাও আবার মিশনের প্রত্যক্ষ মদতে শিলামন্দির স্থাপিত হওয়ার পর? অবিশ্যি মিশনের ব্যাপারস্যাপারই আলাদা!
  • এলেবেলে | ২৩ জুলাই ২০২৩ ০০:৪১521566
  • অ্যাদ্দিন জানতাম রেফারেন্স দু ধরণের - প্রাইমারি ও টার্শিয়ারি। কিন্তু মিশন নিয়ে কথা বলতে গেলে দ্বিতীয়টির ব্যবহার মোটে করা চলবে না, এমন ফতোয়ার কথা জানতাম না। তা ভালো, কতটুকুই বা জানি?
  • মুচকি | 103.76.***.*** | ২৩ জুলাই ২০২৩ ০০:৪৮521567
  • আপনি ১৯৭৯ বা ১৯৮৯ ছাপা এই বইয়ের কোনো এডিশন (অর্থাৎ ১৯৭৮এর পঞ্চম সংস্করণ বা তার পরের কোনো ভার্সন) চোখে দেখেননি স্বীকার করছেন তো? অন্য বইয়ের ঝাল খেয়ে ওই কোটেসন আর পাতার নাম্বার চালাচ্ছেন তাই তো? এটুকু মেনে নিলেই হবে।
  • এলেবেলে | ২৩ জুলাই ২০২৩ ০০:৫৫521568
  •  //সেসব কি তাহলে শুধু রাজাগোপালের বই থেকে টুকে?// এর উত্তর ০০:৩১ ও ০০:৪১-এ দেওয়া হয়েছে। সেটা ভুল, এটুকু বললেই হবে। এবং বলতে হবে টার্শিয়ারি রেফারেন্স আদৌ রেফারেন্স কি না। 
  • মুচকি | 103.76.***.*** | ২৩ জুলাই ২০২৩ ০১:৫৮521570
  • যাক, মূল বইটি না-দেখে অন্য বইয়ের ঝাল খেয়ে ওই কোটেশন আর পাতার নাম্বার চালাচ্ছেন মেনে নিলেন তো? এতেই হবে।
    প্রাইমারি, সেকেন্ডারি, টার্শিয়ারি, কোয়াটার্নারি রেফারেন্সের টার্মিনোলজি নিয়ে পরে কথা হবে। ইতোমধ্যে আপনিও ওগুলো কাকে বলে আরেকবার পড়া করে নেবেন, কেমন?
     
    আপনার সবটুকু বম্ফাই তো ওই---কেন ওমুক লাইন দ্বিতীয় সংস্করণে চলে গেল আর কেন ওমুক লাইন পঞ্চম সংস্করণে ফিরে এল ঘিরেই চলছে। তা-ও এই কারণে যে অন্য লোকে বই লিখে এই অভিযোগটা করেছে। এর মধ্যে আপনার নিজের আবিষ্কৃত অভিযোগ বলে কিসুই নাই। অথচ সে-লোক বা সে-বইয়ের নামোল্লেখটুকু না করে অভিযোগ আনার কৃতিত্বটুকুও নিজের নামে নিতে চান। এইটাকেই ডিজনেস্টি বলে বুঝছেন? যেটুকু মূল পোস্ট করেছেন, তার দিকে যতবার তাকাবেন, ততবার এটা মনে করবেন। 
     
     তো, এটাই বলার, যে সংস্করণ ভিত্তিক যে টেকস্টের মডিফিকেশন হয়, যাকে পরিমার্জন ও পরিবর্ধন বলা হয়, তার কারণ ও ভিত্তি সেই সংস্করণের ভূমিকাতেই লেখার চল। তাই অন্য লোকের লেখার ঝাল খেয়ে লাফাবার আগে নিজে খুঁজে পেতে বইটা যোগাড় করে পড়ে নিলে কারণগুলো বুঝে নিতে অসুবিধে হয় না। এটা তো মনে রাখারই যে এই নিরঞ্জন ধর, রাজাগোপাল চট্টোপাধ্যায়, অভিজিৎ রায়, বিপ্লব পাল আর এই গোত্রের আরো গুচ্ছ লোক, যারা আইকনোক্লাস্ট পরিচয়ের আইডেন্টিটিতে এতটাই গর্বোদ্ধত, যে রেফারেন্সের কারচুপি, কনটেক্সট লুকোনো, পারম্পর্য গুলোনোকে তারা নিজেদের অধিকার মনে করে যথেচ্ছ ব্যবহার করে। জ্ঞানত বা অসচেতনে সেই একই নৌকোয় সওয়ার হওয়ায় কোনো বাড়তি গৌরব নেই।
     
    যাইহোক, এই যা দিলাম, এতে বিশ্বাস করবেন না, বাজার থেকে একটা লেটেস্ট এডিশনের বই দেখে নেবেন। বিশেষত OCR জনিত বানাম্ভুল রয়েছে, সুতরাং, টুকবেন না। আই-উইটনেসের জায়গাটা বোল্ড করে দিলাম, কেমন? গুরুর মেসেজের আবার ওয়ার্ড লিমিট আছে। কতটা আসে দেখা যাক।
     
    PREFACE TO THE FIFTH EDITION
    IT GIVES us great pleasure to place this revised and enlarged 
    edition, which in fact is the ninth impression of Swami Vivek-ananda's
    life, in the hands of the readers. Since 1933, when The Life 
    of Swami Vivekananda by His Eastern and Western Disciples was 
    revised, much new published as well as unpublished material about 
    the Swami's life has come to our hands. All significant new 
    information has, therefore, been incorporated in this edition in the 
    light of these archives. No pains have been spared to make it 
    informative, up to date, and authentic. Secondly, some material that 
    was omitted in the abridged second edition has been restored in 
    appropriate places for the sake of fuller account. Thirdly, the number 
    of chapters has been increased and the captions of some chapters 
    changed to suit the new set-up. This naturally led to splitting the 
    volume into two. A new chapter on "Setting the Indian Work in 
    Motion" has been added to the first volume.
    Furthermore, an effort has been made to make the earlier text read 
    more simply and smoothly, and make the added matter all of a piece 
    with it. Some factual errors, which occurred in the earlier editions 
    owing to the scanty resources available then, have been rectified 
    wherever possible in the light of the recently discovered material. 
    The dates and versions of Swamiji's letters quoted in this edition have 
    mostly been taken from the photostats of the originals. As such, in 
    certain places they may vary from those found in The Complete 
    Works of Swami Vivekananda published by us. Besides these, 
    numerous quotations from many hitherto unpublished letters of 
    Swamiji, of his friends and disciples, and some hitherto unknown 
    information about the Swami, have been added, which make this 
    edition unique among all the Swami's biographies available. The 
    portions taken from the Bengali sources are our translations. 
    Occasionally, more than one version of the same incident has been 
    given for the benefit of the readers.
    A Glossary, Bibliography, Index, and a few illustrations have been 
    added to this edition for the convenience of the readers.
    The authorities of the Belur Math were greatly helpful in various 
    ways in our work while preparing this edition. Special reference may 
    be made in this connection to the learned guidance and inspiration 
    given by Swami Gambhiranandaji, General Secretary of the 
    Ramakrishna Math and the Ramakrishna Mission. ,
    Many hands both monastic and lay, have contributed to the 
    diverse aspects of the work on the present edition. We particularly 
    wish to mention the contribution of Marie Louise Burke, now named 
    Gargi. She has liberally supplied a substantial portion of the new 
    information from her books as well as from her hitherto unpublished 
    archives. Moreover, she gave much help in the revision of the first 
    four chapters, and all the "Western" chapters. She has thus 
    generously contributed both on the research and the editing side. We 
    are, therefore, thankful to her for her kindness.
    We are also thankful to Mrs. Gertrude Emerson Sen and Shri 
    Sankari Prasad Basu, for providing us with some hitherto 
    unpublished material regarding the Swami's life, and to several other 
    friends for collecting material for this edition.
    We wish to express our sincere thanks to Professor Jnanendra 
    Chandra Datta, Lecturer in Sanskrit, Women's College, Calcutta, and 
    Shri Nachiketa Bharadwaj, Assistant Librarian, National Library, 
    Calcutta, for preparing the Index to this volume.
    It is our hope that the present enriched edition, to be issued in two 
    volumes, will be received with warmth by Swamiji's admirers, 
    devotees, and research students all over the world. The second 
    volume will follow in due course.
    MAYAVATI 
    25 August 1978
    PUBLISHER
     
    -------------------------------------------------------------------------------------
    আপনার ইন্টারেস্টের অংশটা
     
    Kanyakumari is about twelve miles from Nagercoil. It is the 
    southern extremity of India, the meeting-place of three seas, and a 
    place of pilgrimage for Hindus. "Kanyakumari" means virgin girl. 
    The famous temple there is dedicated to the Divine Mother 
    manifest as a virgin girl. Eager as a child is to be back with its 
    mother, so was the Swami to see the Mother in that seashore 
    temple. Reaching the shrine he fell prostrate in ecstasy before Her 
    image.
    Some two furlongs out in the ocean from the tip of the 
    mainland, where the Mother's temple is, are two rocks, known for 
    the last few decades as the Vivekananda Rocks. According to the 
    Puranas, the larger and farther of these two is the one that has been 
    sanctified by the blessed feet (Shripada) of the Divine Mother; For 
    it was here that, as Devi Kanya, She did Tapasya (disciplines and 
    austerities) to win the hand of the Great God, Shiva. Hence the 
    rock has long been considered by Shaktas a place highly 
    favourable for spiritual practices.
    After worshipping the Mother in the temple, it was to this holy 
    rock that the Swami wanted to go for meditation. But how could 
    he go? He had not a single pice for the boatman.
    Without more ado he plunged into those shark-infested waters and 
    swam across. About him the ocean tossed, but in his mind was 
    greater turbulence.
    There, sitting on the last stone of India, he passed into a deep 
    meditation on the present and future of his country. He sought for 
    the root of her downfall. With the vision of a seer he understood 
    why India had been thrown from the pinnacle of glory to the 
    depths of degradation. Where only wind and surf were to be heard, 
    he reflected on the purpose and achievement of the Indian world. 
    He thought not of Bengal, or of Maharashtra, or of the Punjab, but 
    of India and the life of India. The centuries were laid out before 
    him. He perceived the realities and potentialities of Indian culture. 
    He saw India organically and synthetically, as a master-builder 
    might visualize in the concrete an architect's plans. He saw 
    religion to be the life-blood of India's millions. "India", he realized 
    in the silence of his heart, "shall rise only through a renewal and 
    restoration of that highest spiritual consciousness that has made 
    her, at all times, the cradle of the nations and cradle of the Faith." 
    He saw her greatness: he saw her weaknesses as well-the central 
    one of which was that the nation had lost its individuality. To his 
    mind, the only hope lay in a restatement of the culture of the 
    Rishis. Religion was not the cause of India's downfall; but the fact 
    that true religion was nowhere followed: for religion, when lived, 
    was the most potent of all forces.
    The single-minded monk had become transformed into a 
    reformer, a nation-builder, a world-architect. His soul brooded 
    with tenderness and anguish over India's poverty. What use is a 
    religion, he thought, from which the masses are excluded? 
    Everywhere and at all times he saw that the poor had been 
    oppressed by whatever power the changes of fortune had set over 
    them. The dominance of the priesthood, the despotism o[ caste, the 
    merciless divisions which these created in the social body, making 
    outcasts of religion the majority of its followers-these the Swami 
    saw as almost insurmountable barriers to the progress of the Indian 
    nation. His heart throbbed 
    for the masses, great in their endurance. He seemed to enter, in 
    some high mode of feeling, their world. In their sufferings he 
    found himself sharing; by their degradation he found himself 
    humiliated. He longed to throw in his lot with theirs. Agony was in 
    his soul when he thought how those who prided themselves on 
    being the custodians of religion had held down the masses through 
    the ages. In his letter of March 19, 1894, to Swami 
    Ramakrishnananda, written from Chicago, one catches something 
    of the ardour of the Swami's meditation on the rock:
    In view of all this, specially of the poverty and ignorance, I got 
    no sleep. At Cape Comorin, sitting in Mother Kumari's temple, 
    sitting on the last bit of Indian rock, I hit upon a plan: We are so 
    many sannyasis wandering about, and teaching the people 
    metaphysics-it is all madness. Did not our Master use to say, "An 
    empty stomach is no good for religion"? That those poor people 
    are leading the life of brutes, is simply due to ignorance. We have 
    for all ages been sucking their blood and trampling them 
    underfoot.
    But what was the remedy? The clear-eyed Swami saw that 
    renunciation and service must be the twin ideals of India. If the 
    national life could be intensified in these channels, everything else 
    would be taken care of. Renunciation alone had always been the 
    great dynamo of strength in India. So at this critical time he looked 
    to the men of renunciation to uphold the cause of India's 
    downtrodden masses. The plan he hit upon was this-to continue 
    the same letter:
    Suppose some disinterested sannyasis, bent on doing good to 
    others, go from village to village, disseminating education and 
    seeking in various ways to better the condition of all down to the 
    Chandala [outcaste], through oral teaching, and by means of maps, 
    cameras, globes, and such other accessories can't that bring forth 
    good in time? All these plans I cannot write out in this short letter. 
    The long and short of it is-if the mountain does not come to 
    Mohammed, Mohammed must go to the mountain. The poor are 
    too poor to come to schools and Pathashalas; and they will gain 
    nothing by reading poetry and all that sort of thing. We as a nation 
    have lost our individuality, and that is the cause of all mischief in 
    India. We 
    have to give back to the nation its lost individuality and raise the 
    masses. The Hindu, the Mohammedan, the Christian, all have 
    trampled them underfoot. Again the force to raise them must come 
    from inside, that is, from the orthodox Hindus. In every country 
    the evils exist not with, but against, religion. Religion, therefore, is 
    not to blame, but men.
    What could he do, a penniless sannyasi? In the midst of 
    despair, inspiration came to him. He had travelled the length and 
    breadth of India: he was sure that in every town he could find at 
    least a dozen young men who would help him in the service of the 
    masses. But where was the money to come from? He asked for 
    help: he got only lip sympathy. "Selfishness personified-are they 
    to spend anything!" the Swami exclaimed. In his anguish he 
    looked out over the ocean. A ray of light shot across his vision. 
    Yes, he would go to America in the name of India's millions. 
    There he would earn money by the power of his brain. Returning 
    to India, he would devote himself to the regeneration of his 
    countrymen-or die in the attempt. Shri Ramakrishna would show 
    him the way, even if nobody in the world would help the work.
    Here, then, at Kanyakumari was the culmination of days and 
    months of thought on the problems of the Indian masses; here the 
    longing to find a way by which the wrongs inflicted on them could 
    be righted, was fulfilled. He gazed over the waters through a mist 
    of tears. His heart went out to the Master and to the Mother in 
    prayer. From this moment his life was consecrated to the service 
    of India, but particularly to the service of her outcast Narayanas, 
    her starving Narayanas, her millions of oppressed Narayanas. To 
    him, in this hour, even the direct experience of Brahman in the 
    Nirvikalpa Samadhi, and the bliss attending it, became subservient 
    to the overwhelming desire to give himself utterly for the good of 
    the Indian people. His soul was caught up in the vision of 
    Narayana Himself, the Lord of the Universe, transcendent, yet 
    immanent in all beings-whose boundless love makes no distinction 
    between high and low, pure and vile, rich and poor. To him 
    religion was no longer a special province of  human 
    endeavour: it embraced the whole scheme of things-the Vedas, the 
    sages, asceticism and meditation, the Supreme Vision, and the 
    people, their lives, their hopes, their misery and poverty and 
    sorrows. He saw that religion, without concern for the poor and 
    suffering, was so much dry straw. Yes indeed, at Kanyakumari

    the Swami became the patriot and prophet in one! 
    And so his meditation confirmed him in his intention of going 
    to the West. He would make that individualized and aggressively 
    self conscious West bow down to the Oriental experience as 
    embodied in India's message to the world. That on which the 
    monks of India concentrate as the ideal of their race and as the 
    consummation of their lives-that in its entirety he would preach to 
    the West. In the wake of that preaching, by him and by others to 
    come, India would rises great light illuminating the whole world. 
    He would renounce even the bliss of the Nirvikalpa Samadhi for 
    the liberation of his fellow-men in India and abroad! Thus was the 
    spirit of Shri Ramakrishna revealed to him in one of the most 
    profound experiences of his life. No wonder he later spoke of 
    himself as "a condensed India".
    It would seem that the Swami meditated on the rock at 
    Kanyakumari for three days. This view is supported by the evi-dence
    of two eye-witnesses. One of these was Shri Ramasubba 
    Iyer. In 1919, when Swami Virajananda, a disciple of the Swami 
    and a monk who came to be widely known and respected, went on 
    pilgrimage to Kanyakumari, Shri Iyer told him that he had himself 
    seen the Swami meditating on the rock for hours together, for 
    three days consecutively. This came as a surprise to Swami 
    Virajananda. In 1914, when he published Volume II of the first 
    edition (in four volumes) of the present Life of Swami 
    Vivekananda, he had not known it; hence he had there been unable 
    to give definite information about the length of time the Swami 
    was on the rock.
    ' In September 1970, the Vivekananda Mandapam, built as a memorial on the rock on 
    which the Swami meditated, was consecrated and opened. The work was put through by the 
    Vivekananda Rock Memorial Committee, Madras
    Years later, another eye-witness, Shri Sadashivam Pillai, told 
    an admirer of Swami Vivekananda that the Swami had remained 
    on the rock for three nights. The Swami had come to Kanyakumari 
    on foot. Being impressed by the monk's personality, Shri Pillai had 
    watched his movements. He had seen him swim over to the rock. 
    When the Swami did not return in the evening, he became 
    anxious. Next morning Shri Pillai went to the rock with food for 
    the Swami. There he found him meditating; and when Shri Pillai 
    asked him to return to the mainland, he refused. When he offered 
    food to the Swami, the latter asked him not to disturb him. If Shri 
    Pillai wished to give him some food, he could leave some fruit and 
    milk in a hollow of the rock, so that he, the Swami, could take it at 
    will. Shri Pillai was sure that the Swami spent three nights on the 
    rock. Leaving Trivandrum on December 22, then, and in all 
    probability going straight to Kanyakumari, the Swami was perhaps 
    on the rock from December 24 to 26.
     
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:a6d6:f5ca:5cbe:***:*** | ২৩ জুলাই ২০২৩ ০৩:৫৯521573
  • আপনারা ঝগড়া করছেন তার মধ্যে আমার ঢোকার ইচ্ছে ছিলনা। কিন্তু দুটো কথা না বলেই পারছি না।
     
    এক, আমার মত লোকজন এখানে আরো আছেন যাদের ইংরেজী নড়বড়ে। তাদের মুখ চেয়ে অন্ততঃ কিছু কিছু প্রাসঙ্গিক জায়গা অনুবাদ করে দিলে ভাল হয়।
     
    দুই, "প্রত্যক্ষদর্শী" থাকলেই যে তাদের দেওয়া তথ্য সত্যি বা মিথ্যে বলে ধরে নিতে হবে এমন কোন কথা নেই। এই ধরুন হাদিস সংকলন। যারা মোহাম্মদকে দেখেছেন তাদের বলা কথার সংগ্রহ। কিন্তু সংকলকরা সব কথাকে নির্ভরযোগ্য মনে করেন নি। সেই হিসাবে তাঁরা হাদিসের শ্রেনীবিভাগ করেছেন। কাজেই প্রত্যক্ষদর্শীরা যাঁরা বিবেকানন্দের সাঁতার কাটার কথা বলেছেন তাঁরা কেন নির্ভরযোগ্য বা নির্ভরযোগ্য নন সেই আলোচনা না হলে আমাদের কাছে সবটাই বুক চাপরাচাপরি মনে হচ্ছে।
     
    যেমন এলেবেলে বিবেকানন্দের কোমরের ব্যথার কথা বলে বলেছেন ওনার পক্ষে সমুদ্রে ওভাবে সাঁতার কাটা মুশকিল। অতএব প্রত্যক্ষদর্শীরা সম্ভবতঃ নির্ভরযোগ্য নন। এই ধরনের আলোচনার কথা বলছি।
     
    গালাগালি না করলে খুশি হব। যদি করেন তো গাল খেয়ে শ্রমণ গৌতম কি বলেছিলেন সেটি মনে করবেন।
  • আবাপ | 2405:8100:8000:5ca1::136:***:*** | ২৩ জুলাই ২০২৩ ০৭:৪৬521575
  • পলিটিশিয়ান পিছিয়ে পড়েছেন। বাতের ব্যথার গল্প আগেই ভোগে গেছে।
  • dc | 2401:4900:1cd0:7c66:8de7:f5da:9b7a:***:*** | ২৩ জুলাই ২০২৩ ০৮:১৯521577
  • যিনি গুগল ম্যাপে ডিসট্যান্স মেপেছেন, তাঁকে বলতে পারি যে ওভাবে কম্পিউটার স্ক্রিনে দূরত মাপতে গেলে কিছুটা এরর আসতে পারে, কারন স্ক্রিনে স্কেলটা খুব ছোট। মাউস পয়েন্টার এক মিমি এদিক ওদিক হলেও দূরত্ব বেশ কিছুটা আলাদা হয়ে যায়। 
     
    নেটে সার্চ করে দেখলাম নানা জায়গায় লেখা যে পাথরটা সমুদ্রতীর থেকে পাঁচশো মিটার দূরে। ওটাই বোধায় মোটামুটি কনসেনসাস। আর ইন জেনারাল, কারুর পক্ষে হঠাত করে সমুদ্রে নেমে পড়ে অতোটা দূরত্ব সাঁতার কেটে পাথরে গিয়ে ওঠাটা বেশ ডাউটফুল। বিবুদা বোধায় রেগুলার সমুদ্রে সাঁতার কাটতেন না (আন্দাজে বললাম)। 
     
    আর উইকিতে দেখলাম বেশ ইন্টারেস্টিং একটা প্যারাঃ 
     
    It is believed that Swami Vivekananda, swam across the seashore in Kanyakumari, Tamil Nadu to reach the rock mid-sea and he meditated for three days and nights on the rock until he is said to have attained enlightenment there.[6] However this is only popular myth and no mentions of this incidence is found even in Vivekananda’s own writings.
     
     
    উইকি যে রিসার্চের জন্য অথেন্টিক সোর্স না সে আমরা সবাই জানি, তবে বিবুভক্তরা যে এখানটা এডিট করে দেয়নি বা চ্যালেঞ্জ করেনি সেটা জেনে বেশ অবাক হলাম। নাকি হিস্টোরিয়ানদের মধ্যে এটাই কনসেনসাস যে বেসিকালি সমুদ্রে সাঁতার কাটাটা মিথ? 
  • স্বর্গীয় সদাশিবম পিল্লাই | 2607:b400:2:ef40::***:*** | ২৩ জুলাই ২০২৩ ০৯:২৭521580
  • এই না না। আমি তো সেইদিন বিবুদাকে জলে ডাইভ মারতে দেখেই টুক করে একটা ছপি খিঁচে লিয়েছিলাম। এই দেখেন। আমাদের অরিজিনাল "আধ্যাত্মিক অ্যাকোয়াম্যান"। 


     
  • cd | 2a0b:f4c2::***:*** | ২৩ জুলাই ২০২৩ ০৯:৩৭521581
  • গুগল ম্যাপে দেখলাম ৪০০ মিটার দূরে বলছে। তবে বিবুদা বোধহয় রেগুলার মঞ্চ বক্তৃতা করতেন না। তাই হঠাৎ করে ধর্মমহাসভায় বক্তৃতা দিয়ে হাততালি পাওয়াটা বেশ ডাউটফুল। লোকে যাই বলুক বা লিখুক না কেন।
  • a | 2405:8100:8000:5ca1::25d:***:*** | ২৩ জুলাই ২০২৩ ০৯:৪৯521582
  • হিস্টোরিয়ানরা মনে হয় উইকি এডিট করেন না।
  • dc | 2401:4900:1cd0:7c66:8de7:f5da:9b7a:***:*** | ২৩ জুলাই ২০২৩ ০৯:৫৬521583
  • সে তো ঠিক। আর পিয়ার রিভিউড পেপারে উইকির সোর্স দেওয়াও যায় না, কারন উইকিকে অথরিটেটিভ সোর্স বলে মানা হয়না। তবে উইকিতে একেবারে আউটরাইট ভুল খুব একটা থাকে না, কোন কিছু ভুল হলে অন্যরা অনেক সময়ে সেটা এডিট করে দেন। আর নানারকম বিতর্কিত বিষয় আছে, যেখানে অরিজিনাল ঘটনাটা ঘটেছিল কিনা সেটা ডাউটফুল বা অতিরঞ্জিত হওয়ার চান্স আছে, যেমন এই সাঁতার কাটার ব্যাপারটা, তখন উইকিতে এভাবে লেখা থাকে। সেজন্যই প্যারাটা বেশ ইন্টারেস্টিং মনে হলো। 
  • মুচকি | 43.25.***.*** | ২৩ জুলাই ২০২৩ ১০:৩৬521585
  • ডিসি মাইরি এই বাদাম্ভাজা খেতে খেতে পাঁচিল থেকে হঠাৎ হঠাৎ সুপারফিশিয়াল কমেন্ট হাওয়ায় ভাসিয়ে না দিয়ে নিজে একবার মেপেও দেখতে পারেন তো ম্যাক্সিমাম জুমে মিনিমাম ডিস্ট্যান্স মাপতে কয় মিলিমিটার মাউস পয়েন্টার সরলে কয় মিটার দূরত্ব এদিক ওদিক হচ্ছে। 
    অথবা স্টার্টিং পয়েন্ট ফ্রি সার্ভিসের কাছাকাছি দিয়ে ডেস্টিনেশন রক-এ দিয়ে যে গুগুল যাত্রাপথ পাবেন, তার ব্রেকআপ দেখলেই দেখবেন ফেরি সার্ভিসের দূরত্ব গুগুলই ৩৫০ মিটার বলছে। 
     
    আর, ১৩০ বছর আগের একটা ঘটনার ভেরিফিকেশন করতে গিয়ে লেখাটা পড়ার অন্তত দিন ছয়েকের মধ্যে যে উইকিটুকু দেখে উঠতে পেরেছেন তার জন্য অভিনন্দন। উইকির মতো আবার ভাববেন না যে, বিবেকানন্দ নিজে লিখে যাননি বলেই "বিবেকানন্দ শিলার এহেন জোচ্চুরি" নিয়ে লোকে আজও বাজার গরম করার চেষ্টা করছে। বিবেকানন্দ যা লিখে গেছেন, সেই হাত্তালি বিষয়েও তাঁকে সরাসরি মিথ্যেবাদী বলে লোকে একই চেষ্টা করে গেছে। 
    যাক, বিশেষ কাউকে গ্যাস খাওয়ানো ছাড়া আর কিছু বলার না থাকলে দয়া করে এখানেও আবার একটা গান চিপকে দিয়ে যাবেন না। :-)
  • dc | 2401:4900:1cd0:7c66:8de7:f5da:9b7a:***:*** | ২৩ জুলাই ২০২৩ ১০:৫৩521587
  • আরে গুগল ম্যাপে বিবেকানন্দ রকের ডিসট্যান্স তো আমিও মেপে দেখলাম! মোটামুটি সাড়ে তিনশো মিটারই দেখাচ্ছে। কিন্তু অফিশিয়ালি তো আর দূরত্ব ওভাবে মাপে না, সার্ভে টার্ভে করে মাপে। এর আগেও বহু জায়গার ​​​​​​​ডিসট্যান্স ​​​​​​​ওভাবে মেপেছি, ​​​​​​​তারপর ​​​​​​​সেখানে ​​​​​​​যখন ​​​​​​​গেছি ​​​​​​​তখন দেখেছি ​​​​​​​যে ​​​​​​​অফিসিয়াল ​​​​​​​দূরত্ব ​​​​​​​তার চেয়ে ​​​​​​​কিছু ​​​​​​​বেশী ​​​​​​​বা কম। সেটাই বললাম।
     
    আর বাদামভাজা খাচ্ছি কে বললো? রোববারের বাজারে স্ক্র‌্যাম্ব্লড এগ বানিয়েছি, টোস্টের ওপর লাগিয়ে খাচ্ছি laugh
     
    বিবেকানন্দ যে নিজে এ ব্যাপারে লিখে যাননি, সেটাও জানতাম না। বিবেকানন্দর কোন লেখা পড়িওনি। এই টইতে প্রথম কমেন্টে যেটা লিখেছি, সেটাই আরেকবার লিখি। বিবেকানন্দ রকে দুতিনবার ঘুরতে গেছি, ফেরি করে যাওয়ার সময়ে মনে হয়েছিল অতোটা সমুদ্রপথ সাঁতরে গিয়ে পাথরে ওঠাটা বেশ টাফ, বিশেষ করে বিবুদা যেখানে রেগুলার সমুদ্রে সাঁতার কাটতেন না, সমুদ্রের স্রোত বা ঢেউ সামলানোর খুব একটা এক্সপি বোধায় ওনার ছিল না (আন্দাজ করে নিয়েছিলাম)। কয়েকদিন প্র‌্যাক্টিস করে নিলে তাও কথা ছিল, কিন্তু তা তো না, ওনার নাকি হঠাত বাই উঠেছিল আর সমুদ্রে ঝাঁপ দিয়েছিলেন। আমার মনে হয়েছিল ব্যাপারটা ভক্তদের বানানো গুল্প, বিশেষ করে যেখানে ইন্ডিয়াতে এই ধরনের গুল্প বানানোটাই রীতি। তো এলেবেলের এই টইটা পড়ে দেখলাম, সেই গুল্প হওয়ার চান্সই বেশী, তাই কমেন্ট করলাম। আর এই রকম নানান মিথ ভাঙাটা জরুরি বলে ধন্যবাদ জানালাম। এই তো হলো ব্যপার।  
     
     
  • স্বামীজী | 2402:3a80:1983:4a40:278:5634:1232:***:*** | ২৩ জুলাই ২০২৩ ১১:০৭521588
  • সাগরসঙ্গমে সাঁতার কেটেছি কত
    কখনো তো হই নাই ক্লান্ত
    তবুও অভক্তকুল গুরুর পাঁচিলে বসে
    করে কেন কেবলি যে সন্দ
  • nb | 2405:8100:8000:5ca1::cd:***:*** | ২৩ জুলাই ২০২৩ ১১:০৮521589
  • হুলাল্লা, আবার এলেবেলের খ্যামটা! কেস তো জমে গেছে গুরু।
    একক, রমিতরা দেখলাম মাঝেমধ্যে এনকোর এনকোর বলে নাচ জমিয়ে দিয়েছেন, ফলে এলেবেলে পেন্টুলের শেষ বোতামটিও রাখেননি।
    আর ডিসি টু গুড, তিলে খচ্চর, বেচারাকে এখনো জেনেবুঝে নাচিয়ে যাবেন মনে হচ্ছে। মিলিমিটার মাউস পয়েন্টারটা গোলা নামিয়েছেন।
    কোথায় লাগে উরফি? জয় বাংলা। yes
  • ইয়ে | 65.49.***.*** | ২৩ জুলাই ২০২৩ ১১:৩২521590
  • আপ্নেরা যে পাথরটা টেনেহিঁচড়ে ডাঙার দিকে নিয়ে আসছেন তাতে রাকৃমি খচে যাবেনাতো? কোথায় বিবুদা অলৌকিক ক্ষমতা বলে আধ কিলোমিটার হাঙরে ভর্তি সমুদ্দুর পেরিয়ে দেবীর দেকা পেয়েচিল, তাকে আপ্নেরা মোটে সাড়ে তিনশো মিটার বানিয়ে দিলেন?  
  • বাপরে | 195.2.***.*** | ২৩ জুলাই ২০২৩ ১১:৪৫521591
  • জনগণমনর ইংরিজি পড়ে (lit. 'Thou Art the Ruler of the Minds of All People') মনে হল এ ত পুরো লোরেনবাউ আর অমিতশার জন্যি লেকা। দেশের লোকের মাইন্ড কন্ট্রোল। হোয়াতে শুনচি লোরেনবাউ আম্রিগায় এমন বক্তৃতা দিয়েচেন যে সায়েব পজ্জন্ত লাগানোর আগে গীতাপাঠ করচে।
  • Y | 146.7.***.*** | ২৩ জুলাই ২০২৩ ১১:৫২521592
  • বিচি ধরে মারো টান, রাজা(গোপাল) হবে খান খান।
  • amogh lila | 2405:8100:8000:5ca1::14d:***:*** | ২৩ জুলাই ২০২৩ ১২:১৯521593
  • এলেবেলে | ২৩ জুলাই ২০২৩ ১২:৪৭521594
  • অত রাত্তির অবধি জেগে থেকে আপনার উত্তরের জন্য অপেক্ষা না করার জন্য দুঃখিত। 
     
    //আপনার সবটুকু বম্ফাই তো ওই---কেন ওমুক লাইন দ্বিতীয় সংস্করণে চলে গেল আর কেন ওমুক লাইন পঞ্চম সংস্করণে ফিরে এল ঘিরেই চলছে। তা-ও এই কারণে যে অন্য লোকে বই লিখে এই অভিযোগটা করেছে।//
     
    আমি এই বিষয়ে ১৯১৩, ১৯৩৩, ১৯৭৯ এবং ১৯৮৯-এর সংস্করণে থাকা মূল উদ্ধৃতিটুকু দিয়েছি। সেটা যে ভুল, এখনও অবধি কেউ বলেননি। আপনিও না, খেউড়ে আগ্রহী পাঁচ পাবলিকেও না। 
     
    কিন্তু এত এত লিখে আপনি যে বম্ফাই প্রসব করলেন সেটা তো অতীব হাস্যকর। ১৯১৯-এর এক সাক্ষী রামসুব্বা আয়ার আর তারপর ( সাল উল্লেখ নেই, ইয়ারস লেটার বলে দায় সারা হয়েছে) সদাশিবম পিল্লাই হলেন এটাকে অথেন্টিকেট করার এক ও একমাত্র কারিগর। এদিকে আমি বছর-সহ তৃতীয় এক ব্যক্তিরও খোঁজ পেলাম। ১৯৫৩-তে কে এস রামস্বামী শাস্ত্রী যাঁর উল্লেখ অবশ্য আপনার বিশাল বম্ফাই করা পঞ্চম সংস্করণের ভূমিকাটিতে নেই। তবে সব মিলিয়ে এটা স্পষ্ট যে, ওই সদাশিবম পিল্লাই-এর গুল্পটা ১৯৫৩ সালের আগেই হবে। এদিকে ১৯৪৯ সালে বইটার চতুর্থ সংস্করণ প্রকাশিত, স্বামী বিরজানন্দও সবটা জানেন। অবিশ্যি দ্বিতীয় সংস্করণের পরে চতুর্থ সংস্করণ কোদ্দিয়ে হয় আমার জানা নেই। যাই হোক, কিন্তু তখনও পর্যন্ত কারও মাথায় এই গুল্প ও গুল্পের সাক্ষী হিসেবে দুই দক্ষিণ ভারতীয় ভদ্রলোককে ব্যবহার করার সুবুদ্ধি উদয় হয়নি।
     
    এটা হল কবে? না যেই ৭০ সালে জলে ভাসে শিলার গুল্পটা জনমানসে প্রতিষ্ঠিত হল, অমনি ঝোলা থেকে দুই বেড়ালকে টেনে বের করা হল গুল্পটাকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে। অবিকল ইসকনের কায়দায়। সঙ্ঘীরা এভাবেই পোস্ট-ট্রুথের চাষ করে। 
     
    অত রাত জেগে এতটা টাইপ করেছেন দেখে এটুকু আমার আপাতত প্রাথমিক উত্তর। পরে আরও একটু যোগ করতে পারি।
  • এলেবেলে | ২৩ জুলাই ২০২৩ ১২:৫০521595
  • ওহো, একটা জিনিস লিখতে বেমালুম ভুলে গেছি। সেটা হল আপনার গুল্পটা শুরু হচ্ছে এই বাক্যটা দিয়ে --- It would seem that the Swami meditated on the rock at Kanyakumari for three days
     
    ঘুনসি পরা অবস্থা থেকে ইঞ্জিরি মাধ্যমে ইঞ্জিরির তুবড়ি ছোটানো খেউড়প্রেমীরা এটার সরল বাংলা অনুবাদ করে দেবেন?
  • Kumudranjan Ray | 2405:8100:8000:5ca1::d0:***:*** | ২৩ জুলাই ২০২৩ ১২:৫৮521597
  • Sorry I face difficulty with writing in Bengali. A friend referred to this. I enjoyed reading it. I also was confused about the matter. Thanks Mr/Mrs Muchki for clarifying the event is described based on multiple eyewitness accounts. Clearly that leaves no further room for doubt.
    Thanks Mr/Mrs Elebele for initiating the discussion.
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন