এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  ইতিহাস

  • ইসকন ও রাকৃমি— দুই সঙ্ঘীর ইতিহাস বিকৃতি 

    এলেবেলে লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | ইতিহাস | ১৭ জুলাই ২০২৩ | ৭৬৬৯ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • আজ থেকে প্রায় একশো বছর আগে নদীয়ার তদানীন্তন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট কেদারনাথ দত্ত নিজস্ব প্রভাব খাটিয়ে এবং সরকারি নথিপত্রে বদল ঘটিয়ে নবদ্বীপের গঙ্গার অন্য পারে বাঙালি মুসলমান অধ্যুষিত মিঞাপুরকে ‘মায়াপুর’-এ বদলে ফেলেন। শুধু তাই নয়, সুচতুরভাবে ওই মায়াপুরকে চৈতন্য জন্মস্থান বলে প্রচার করার প্রামাণ্য নথি হিসেবে তিনি বৃন্দাবনবাসী নরহরি চক্রবর্তীর ‘ভক্তিরত্নাকর’ গ্রন্থটিকে তুলে ধরেন।

    অথচ যে সময় নরহরি চক্রবর্তী তাঁর গ্রন্থটি রচনা করছেন, তার বহু আগেই চৈতন্যের জন্মভিটে গঙ্গাগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এই অবস্থায় তিনি চৈতন্যকালীন নবদ্বীপের একটি কাল্পনিক চিত্র আঁকেন, চৈতন্য জন্মস্থানের নামকরণ করেন ‘মায়াপুর’ এবং তার চারিদিকে নয়টি দ্বীপের কল্পনা করে ‘নবদ্বীপ’ নামের নতুন ব্যাখ্যা দেন।

    ইতিমধ্যে চাকরি ছেড়ে কেদারনাথ দত্ত ভক্তিবিনোদ ঠাকুর নামে সন্ন্যাসী হন। ১৯১৮ সালে, অর্থাৎ তাঁর মৃত্যুর চার বছর পরে, তাঁর পুত্র ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী মায়াপুরে ‘শ্রীচৈতন্য মঠ’ স্থাপন করলে কেদারনাথের প্রচারে ভক্তিবাদের সরকারি সিলমোহর পড়ে। এঁর শিষ্য অভয়চরণ দে ওরফে প্রভুপাদ এসি ভক্তিবেদান্ত স্বামী মায়াপুরে চন্দ্রোদয় মন্দির নামে ইসকনের হেড অফিস বানান, একই সঙ্গে চৈতন্য জন্মভূমির প্রচার তুঙ্গে ওঠে।

    মায়াপুরে প্রথম জমি কেনা হয় ১৯৭২ সালে এবং সেই প্রক্রিয়া আজও অব্যাহত আছে। সে হিসেবে সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়, জ্যোতি বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার হয় নাকে তেল দিয়ে ঘুমিয়েছে নতুবা জেগে ড্যাবড্যাব চোখে তাকিয়ে থেকেছে। আর মায়াপুরের মুসলমানদের বাস্তুচ্যুত করে ইসকনের জমি কেনার পরিমাণ ক্রমশ বেড়েছে।

    ধীরে অথচ অত্যন্ত সুকৌশলে চৈতন্য জন্মভূমির ইতিহাস হাতিয়ে নিয়েছে ইসকন, তবুও ‘ভদ্রলোক’ বাঙালির ঘুম ভাঙেনি। দিনের পর দিন ইসকনের জমি মাফিয়াদের অত্যাচারের শিকার স্থানীয় মুসলমান বাসিন্দারা বাধ্য হয়ে মায়াপুরের উলটো দিকে মুসলমান-প্রধান তিওরখালিতে মাথা গোঁজার ঠাই খুঁজতে বাধ্য হয়েছেন, তবুও ‘ভদ্রলোক’ বাঙালির ঘুম ভাঙেনি। কারণ চৈতন্যের জন্মভূমির প্রকৃত ইতিহাস কিংবা গ্রামের গরিব মুসলমানদের উদ্বাস্তু হওয়ার বাস্তব ঘটনায় ভদ্রলোক বাঙালিদের সুখনিদ্রায় ব্যাঘাত ঘটে না।

    এই পরিস্থিতিতে ইসকনের এক হিন্দিভাষী শ্বেতাঙ্গ ‘প্রভু’ বাঙালির পরমপ্রিয় আইকন আর তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত শিষ্যকে গালাগাল দিতেই ভদ্রলোক বাঙালির কাঁচা ঘুম ভেঙেছে। তারা সদলবলে রে রে করে আক্রমণে নেমেছে। এত দিনের স্থিতাবস্থা হঠাৎই টলমল। এক সঙ্ঘীর হাত থেকে অন্য সঙ্ঘীকে রক্ষা করার প্রাণান্তকর প্রচেষ্টায় বাঙালি আজ নিবেদিতপ্রাণ! অথচ ইসকন যেমন চৈতন্য জন্মভূমির প্রকৃত ইতিহাস নির্বিবাদে আত্মসাৎ করতে মরিয়া, ঠিক তেমনই রাকৃমিও কন্যাকুমারিকায় বিবেকানন্দ শিলার অস্তিত্বের বিষয়ে নির্বিকল্প উদাসীন।

    রাকৃমির সঙ্গে সঙ্ঘের মাখামাখির ইতিহাস অনেক দিনের পুরনো। তবে সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা কে বি হেড়গেওয়ার বিবেকানন্দ বিষয়ে শ্রদ্ধাবান হলেও খুব বেশি আগ্রহী ছিলেন না। কিন্তু তাঁর উত্তরসূরী এম এস গোলওয়ালকর ছিলেন বিবেকানন্দে আপ্লুত। ১৯৩৬ সালে তিনি মিশনের তৃতীয় অধ্যক্ষ স্বামী অখণ্ডানন্দের কাছে দীক্ষা নিতে চান। যদিও অখণ্ডানন্দ তাঁকে রাকৃমি-তে যোগ না দিয়ে আর এস এস-এর কাজেই আত্মনিয়োগ করার পরামর্শ দেন।

    এই ঘটনার বেশ কিছু বছর আগে ১৯১২ সালে প্রকাশিত হয় বিবেকানন্দের প্রথম ইংরেজি জীবনী ‘The Life of the Swami Vivekananda’। বইটির প্রথম সংস্করণে লেখা হয়, “…He [Vivekananda] plunged into the ocean and in spite of numerous sharks swam across to the temple, his mind eager as a child to see the Mother. And reaching the shrine he fell prostrate in ecstasy before the Image of the Goddess…।” প্রসঙ্গত, পরিব্রাজক বিবেকানন্দ ১৮৯২ সালের একেবারে শেষভাগে কন্যাকুমারিকায় হাজির হন। এবং প্রকৃত ঘটনা হল, ১৮৮৯ থেকে কোমরের বাতের জন্য তিনি খুব একটা হাঁটতেই পারতেন না, সাঁতরানো তো দূরের কথা। এমনকি বইটির লেখকরা এটাও জানতেন না যে, কন্যাকুমারী দেবীর মন্দির সমুদ্র-মধ্যস্থ দ্বীপে নয়, বরং প্রধান ভূখণ্ডে অবস্থিত!

    এ বিষয়ে ১৮৯৪-এর ৯ মার্চ শিকাগো থেকে স্বামী রামকৃষ্ণানন্দকে লিখিত পত্রে স্বয়ং বিবেকানন্দ লেখেন, “Cape Comorin (কুমারিকা অন্তরীপে) মা কুমারীর মন্দিরে বসে, ভারতবর্ষের শেষ পাথর-টুকরার উপর বসে— এই যে আমরা এতজন সন্ন্যাসী আছি, ঘুরে ঘুরে বেড়াচ্ছি, লোককে metaphysics (দর্শন) শিক্ষা দিচ্ছি, এ সব পাগলামি। ‘খালি পেটে ধর্ম হয় না’—গুরুদেব বলতেন না? ঐ যে গরীবগুলো পশুর মত জীবন যাপন করছে, তার কারণ মূর্খতা; পাজি বেটারা চার যুগ ওদের চুষে খেয়েছে, আর দু পা দিয়ে দলেছে।” অর্থাৎ তাঁর চিঠি থেকে স্পষ্ট, তিনি কন্যাকুমারীর মন্দিরে বসে এ কথা উপলব্ধি করছেন, হাঙরে ভর্তি সমুদ্র সাঁতরে দ্বীপে ওঠেননি।

    কিন্তু তার পরেও ওই একই গ্রন্থের ১৯৭৯ সালের সংস্করণে প্রথম সংস্করণটির ভাষ্য সামান্য সংশোধন করে লেখা হয়, “After worshipping the Mother in the temple, it was to this holy rock that the Swami wanted to go for meditation.  But how could he go? He had not a single pice for the boatman. Without more ado he plunged into those shark-infested waters and swam across.” আজ অবধি বিবেকানন্দ শিলার এহেন জোচ্চুরির বিষয়ে মিশন উচ্চবাচ্য করেনি।

    ইতিমধ্যে জীবনী গ্রন্থটির এই কাল্পনিক ঘটনাকে অবলম্বন করে বিবেকানন্দ শতবর্ষে অর্থাৎ ১৯৬৩ সালে, আর এস এস কন্যাকুমারীর এই বিবেকানন্দ শিলামন্দিরকে হিন্দু জাতীয়তাবাদের এক পবিত্র তীর্থে রূপান্তরিত করে। এই ঘটনাকে ঘিরে নানা রাজনৈতিক বিতর্ক ওঠায় মিশন শিলামন্দির প্রতিষ্ঠার প্রয়াস থেকে বাহ্যত নিজেদের সরিয়ে রাখলেও মিশনের তৎকালীন অধ্যক্ষ এর আনুষ্ঠানিক ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’র শাস্ত্রীয় আচারক্রিয়া সম্পন্ন করেন।

    আর ইসকন ও রাকৃমির দৌলতে এভাবেই নির্মিত হয় নয়া ইতিহাস।
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ১৭ জুলাই ২০২৩ | ৭৬৬৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • এলেবেলে | ২১ জুলাই ২০২৩ ১৯:৪৮521499
  • খুবই দুঃখিত। কর্মক্ষেত্রে ব্যস্ত ছিলাম, তাই এদিকে নজর পড়েনি। তবে আলোচনা (এবং নিপাট ব্যক্তি আক্রমণও) অনেক দূর এগিয়ে গেছে। মূল অবদান অবশ্যই মুচকির, বাকি ফাউরা তাঁর ভরসাতেই বহুত বাতেলা ঝেড়েছেন। এক এক করে আসি।
     
    ১. প্রসঙ্গ কোমরের বাত ও সে সম্পর্কিত হনেস্টি - //রেফারেন্স বলতে ফার্স্ট হ্যান্ড কোনো কিসু নয়, সেই রাজাগোপাল!!// তো, প্রাইমারি রেফারেন্স হিসেবে চাট্টে চিঠি দেওয়া গেল যেখানে বিবেকানন্দ স্বয়ং Lumbago-র উল্লেখ করেছেন। কাজেই ওটা হনেস্টির সঙ্গে হজম করে নিদান হাঁকা গেল ওটির আয়ু নাকি এক্কেরে তিন মাস, তার এক দিন বেশিও নয় কমও নয়। এবং ওটি স্পোর্টস ইনজুরি। তাই হবে বোধহয়। আর রিউম্যাটিজম কী কারণে হয়, তার এমন বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা বিবেকানন্দ হাজির করেছেন যে কন্যাকুমারীতে সাঁতার কাটলে ওই রোগে তাঁর আমৃত্যু ভোগার কথা। চাইলে সেই ইঞ্জিরি চিঠিও হাজির করা যাবে।
     
    ২. দ্বিতীয় হনেস্টির নমুনা - যে লেখা ১৯১৩-র পর ১৯৩৩-এ শোধরানো হয় আর তারপরে শুধু রিপ্রিন্টই হয়ে চলেছে কোনও পরিবর্তন ছাড়াই, তাকে বিদ্রুপ করতে একবার ১৯৬০ একবার ১৯৭৯ কতভাবেই না হাতড়ে মরতে হচ্ছে।
     
    তার মানে ১৯৬০ নেই, ষষ্ঠ সংস্করণও ওই বছরে হয়নি। ওটি কেবল বিদ্রুপ করার জন্য হাতড়ে মরতে হচ্ছে। তো এই রইল তার নমুনা। প্রথমে ১৯৬০ সালের ষষ্ঠ সংস্করণটির এবং তার পরে ওই সংস্করণের ২৫১ পৃষ্ঠায় যাহা ছাপা হইয়াছিল। 
     

     (চলবে)
  • এলেবেলে | ২১ জুলাই ২০২৩ ২০:০১521500
  • এ কথা ঠিক, ১৯৬০ সালের ষষ্ঠ সংস্করণে এ বিষয়ে যা ছাপা হয়েছে, ১৯৩৩ সালে গ্রন্থটির দ্বিতীয় সংস্করণেও তাই ছাপা হয়েছে। তাই বলে ১৯৬০ নেই হয়ে যায় না এবং সে লেখায় হাঙরেরা শুধু উবেই যায় না, এমনকি বিবেকানন্দ যে মাঝির সাহায্যে ওই শিলাখণ্ডে পৌঁছতে পারেন - ঠারেঠোরে তেমন ইঙ্গিত he crossed to a rock বাক্যাংশে আছে।
     
    কিন্তু এমন করলে ঠগবাজির ব্যবসা অক্ষুণ্ণ থাকে না। তাই ১৯৬০-এর ভার্সনও কোনও পরিবর্তন ছাড়া রিপ্রিন্ট করার হনেস্টিরও প্রয়োজন পড়ে না। এই চালিয়াতির কারণেই ১৯৮৯ সালের সংস্করণটিতে (চাইলে ১৯৭৯-তে কী লেখা হয়েছিল তার রেফও দেওয়া যাবে গাঁজাগোপালের বই ব্যতিরেকে) বেমালুম লেখা হয় --- ‘After worshipping the Mother in the temple, it was to this holy rock that the Swami wanted to go for meditation. But how could he go? He had not a single pice for the boatman.
    ‘Without more ado he plunged into those shark-infested waters and swam across. About him the ocean tossed, but in his mind was greater turbulence.’ [The Life of Swami Vivekananda, Kolkata: Advaita Ashrama, 1989, 1:340-341]
     
    আগের একটা অনুচ্ছেদের বিষয়টিকে এখানে ভেঙে দুটো অনুচ্ছেদে সাজানো হয় কিন্তু হাঙরে ভর্তি সমুদ্রে সাঁতার কাটার বানোয়াট গপ্পোটি ফের ফিরে আসে। একেবারে প্রথম সংস্করণেই স্টাইলেই। এই যে, পৃষ্ঠা ২০১। (চলবে)
  • এলেবেলে | ২১ জুলাই ২০২৩ ২০:১৮521501
  • আসলে আমার টেকনিক্যাল বিষয়ে জ্ঞানগম্যির খামতির কারণেই একটা মন্তব্যকে ভেঙে ভেঙে দিতে হচ্ছে। 
     
    ৩. কিন্তু সবচেয়ে মজার হচ্ছে এই দাবিটা - আর যা বুঝলাম, আর্কাইভ থেকে নামিয়ে বইটি নিজের কাছেই রয়েছে এমত ভাব দেখিয়ে বাতেলা মেরে কোটেশন টুকতে বসলে সাল তারিখ অমন গুলিয়ে যাবারই কথা।  The Life ... বইটার সংস্করণগুলি হল ঃ
    ১ম সং (দ্বিতীয় খণ্ড) - ১৯১৩
    ২য় সং (দ্বিতীয় খণ্ড) - ১৯৩৩
    ৪র্থ সং (১ম+২য়= ১ম খণ্ড) - ১৯৪৯
    ৫ম সং (১ম+২য়= ১ম খণ্ড) - ১৯৭৮
    ৬ষ্ঠ সং (১ম+২য়= ১ম খণ্ড) - ১৯৮৯
    একে অবশ্য ওপরচালাকি বলে না, ডিজঅনেস্টিই বলে।
     
    মানে নিজের ভাবনাটাই হচ্ছে দুনিয়ার একমাত্র ন্যায্য ভাবনা আর বাকিরা নাদান, বাকিরা টুকলিবাজ, বাকিরা বাতেলাবাজিতে ধুরন্ধর, বাকিদের ভাঁড়ারে কিছুই থাকে না - এমনটা যদি কেউ ভাবেন তবে আর কী করার আছে?
     
    তবে ১৯৬০ সালে বইটার ষষ্ঠ সংস্করণ হয়েছিল, ১৯৭৯-র রেফারেন্সও পাওয়া যায় এবং ১৯৩৩ থেকে ১৯৮৯ পর্যন্ত যে একই ভার্সন হুবহু ছাপা হয়নি - এটা যে নিছকই ওপরচালাকি ছাড়া অন্য কিস্যু নয়, সেটা স্বীকার করার হনেস্টি আশা করা যেতে পারে?
     
    ডিসিজনাবের অনেস্টি আছে, তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন যে তিনি এ বিষয়ে তেমন কিছু জানেন না। কিন্তু হার্ভার্ডের অনলাইন কোর্স করার প্রাজ্ঞ পরামর্শদাতাদের জন্য দুটি মোক্ষম বাক্যই যথেষ্ট --- Reviewing the first volume of this book, a professor teaching history at a university correctly referred to me as "not a trained historian". But I hardly regret the fact, for if I had been what he called "a trained historian", I might have been one of his kind. কাজেই দু-চারটে আলবাল 'কন্ট্রিবিউটর' এখানে দানা খুঁটতে আসবে কি না ভেবে এলেবেলে এখানে লেখে না বিশেষত ১১টা অনুচ্ছেদের মধ্যে ৬টা অনুচ্ছেদ জুড়ে ইসকন নিয়ে লেখা হলেও সেই নিয়ে যেখানে কেউ রা কাড়ে না।
  • দীপ | 42.***.*** | ২১ জুলাই ২০২৩ ২০:৫০521502
  • প্রভু আমার বিরিঞ্চিবাবা! সব চর্মচক্ষে দেখে এসেছেন!
  • মুচকি | 103.76.***.*** | ২১ জুলাই ২০২৩ ২১:২৪521505
  • ওরে বাবা আর্কাইভের অনেক পিডিএফ এ সাল জালি করা থাকে কপিরাইটের সমস্যার হাত থেকে বাঁচতে। ওরা DLI-এর সময় থেকে এটা করেছিল। অনেকক্ষেত্রে প্রকাশকের নামও জালি করা থাকে। জালি অর্থাৎ অন্য কোনও বই থেকে ছাপার সাল বা প্রকাশকের নাম বা দুটোই স্ন্যাপশট হিসেবে নতুনতর বইতে চিপকিয়ে পিডিএফ মডিফাই করে আর্কাইভে আপলোড করা থাকে। এইজন্য আর্কাইভ-এর পিডিএফ রেফার করলে তার প্রকাশনার ডিটেলসটা অন্য সূত্রে যাচাই করে নিতে হয়। 
    গাম্বাট আর্কাইভপ্রাপ্তপিডিএফ-এ অন্ধবিশ্বাসী হয়ে চালিয়াতি করতে গেলে ওইরকম ১৯৬০ সালে ষষ্ঠ সংস্করণ লিখে থুতু চাটতে হবে। ওইরকম কোনও বই পৃথিবীতে এগজিস্ট করে না মশাই। মরাচৌ এক্কেবারে সেম কেস এ ফেঁসেছেন। হাংরি যুগ বইতে তিনি আর্কাইভ থেকে নামিয়ে যে "১৯৯৫ সালে সাহিত্য অকাদেমী প্রকাশিত শৈলেশ্বর ঘোষ সম্পাদিত "ক্ষুধার্ত সংকলন"  বইয়ের রেফারেন্স দিয়েছেন তা আদতে দে'জ থেকে প্রকাশিত সব্যসাচী সেন সম্পাদিত ২০১২ সালের বই। আসল সূত্র উল্লেখ করার সততা না দেখিয়ে সব ক্রেডিট নিজে নিয়ে বারফাট্টাই করতে গেলে মাঝেমাঝে এসব হতেই থাকবে আরকি।
    আর "The Life..."-এর প্রতিটা এডিশনে কি কি মডিফাই করা হয়েছে তা লেখা আছে সেই এডিশনের ভূমিকাতে। ১৯৩৩ এ ও আছে, তারপরে ১৯৭৮-এ ও আছে। সেই ভূমিকাগুলো পড়লে আর এই কোন্‌ বাক্য কোন্‌ এডিশনে উড়ে গেল আর কোন্‌ এডিশনে ফিরে এল এ নিয়ে হল্লা করতে হয় না। বইতে সেই এডিশনের ভূমিকাতেই কারণসহ লেখা আছে। মানে এটা কোনো বিশাল প্রকাশক-সম্পাদকের শয়তানি ধরে ফেলেছি গোছের কলার তোলার মত ব্যাপারই নয়। সে আর মিথবার্স্টিং এর মহান সৈনিকদের কে বোঝায়। এককের মতো চাট্টি লোক হাওয়া দিলে নিজেরাই বার্স্টক্ষম বেলুন হয়ে পিন খুঁজে বেরাতে থাকে। বেসিকালি এই খুচরো ডিজ-অনেস্টিগুলোর জন্যেই ওভারঅল বক্তব্যের চাট্টি কাজের জিনিসও রিলায়েবিলিটি হারায়।
     
  • আঁতেল | 167.16.***.*** | ২১ জুলাই ২০২৩ ২১:২৪521506
  • সুনীতি ঘোষকে এ বিষয়ে অথরিটি ধরব কেন? আপনিও কি ওনার মত ইতিহাসের মার্ক্সিস্ট বিশ্লেষণে আস্থা রাখেন? ওসব ত কবেই বাতিল হয়ে গেচে। মিথবাস্টার হতে চাইলেও টেক্সট পড়ে ইন্টারপ্রেট করতে শেখা জরুরি। 
     
    এই যেমন 'crossed to a rock' বাক্যাংশটি থেকে মাঝির কনক্লুশন টানা যায়না বোঝা দরকার। Chomskyan লিঙ্গুইস্টরা  বলবেন বাক্যাংশটি ক্রসিং মেথড সম্পর্কে এগ্নস্টিক, যদিও স্ট্যাটিস্টিক্যালি দেখলে হয়ত সাঁতার কাটা অর্থেই বেশি ব্যবহৃত হয় দেখা যাবে। এটা উদাহরণ দিলুম। সাঁতার কাটা নিয়ে আমার মাথাব্যথা নেই।
     
    ক্রিটিক্যাল থিংকিং শিখতে একাডেমিকদের বিকল্প নাই বলেই জানি। একাডেমিকদের হ্যাটা করতে গিয়ে কেসি পাল বা আরএসএসের স্কলার হওয়া কাম্য নয়।
  • এলেবেলে | ২১ জুলাই ২০২৩ ২১:৩৫521507
  • গাম্বাট আর্কাইভপ্রাপ্তপিডিএফ-এ অন্ধবিশ্বাসী হয়ে চালিয়াতি করতে গেলে ওইরকম ১৯৬০ সালে ষষ্ঠ সংস্করণ লিখে থুতু চাটতে হবে।
     
    আর ১৯৮৯-এ প্রথম সংস্করণের লেখা প্রায় হুবহু ফিরে আসলে থুতু চাটতে হবে না? কিংবা ১৯৭৯ নেই বললে? কিংবা 'আর্কাইভ থেকে নামিয়ে বইটি নিজের কাছেই রয়েছে এমত ভাব দেখিয়ে বাতেলা মেরে কোটেশন টুকতে বসলে সাল তারিখ অমন গুলিয়ে যাবারই কথা' জাতীয় চালিয়াত চন্দরগিরি করলে থুতু চাটার দরকার নেই? 
     
    গাম্বাটটা কাকে বললেন? আর্কাইভপ্রাপ্তপিডিএফ-এ অন্ধবিশ্বাসীকে? যদি বলে থাকেন, তবে পাল্টা নেওয়ার ধক আছে তো?
     
    ধুর্বাল, চমস্কি মারাচ্ছে। সাঁতার কেটে দ্বীপে গেল আর ফিরল কীভাবে? জানা আছে? সুনীতি ঘোষ না মারিয়ে দু পহা দিন দিকি ।
  • দীপ | 223.237.***.*** | ২১ জুলাই ২০২৩ ২১:৩৮521508
  • বিরিঞ্চিবাবা উপস্থিত ছিলেন। নৌকা করে নিয়ে গেছিলেন।
  • এলেবেলে | ২১ জুলাই ২০২৩ ২১:৪০521509
  • ১২ টাকা হল। একটা নেভি কাট হবে। একটা দেশলাইও। ভালো হয়েছে, আরও ভালো করতে হবে।
  • এলেবেলে | ২১ জুলাই ২০২৩ ২১:৪৫521510
  • এই যে, এই ব্যাপারে মিশনের প্রামাণ্য ও চমস্কিদের প্রণম্য ইতিহাসবিদ শঙ্করীপ্রসাদীদের পেসাদি ফুল। অ্যাকাডেমিক আলুচানার হদ্দমুদ্দ। কপালে ঠেকিয়ে পকেটে পুরে রাখুন।
     
    "সত্যই সাগরসঙ্গম— ভারতের সর্বশেষ প্রান্ত, যেখানে তিনটি সমুদ্র এসে মিশেছে, যেখানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখা যায় এপারে ওপারে— উদয়-বিলয়ের সেই মহা সাম্যতীর্থে বিবেকানন্দ এসে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই মন্দিরের মধ্যে যে-সত্যকে বিবেকানন্দ দর্শন করলেন— তারই ধ্যান করতে চলে গেলেন সমুদ্রমধ্যে। তখন তিনি নিঃসম্বল, সমুদ্রগর্ভের শিলাখণ্ডটিতে নিয়ে যাবার জন্য মাঝি যে এক আনা পয়সা চাইল, তাও দিতে পারেন নি। ঝাঁপ দিয়ে পড়েছিলেন সমুদ্রে— শিলাখণ্ডের ওপরে সারা রাত ধ্যানে কাটিয়েছিলেন।" 
  • আঁতেল | 167.16.***.*** | ২১ জুলাই ২০২৩ ২১:৪৫521511
  • সুনীতি ঘোষ তো আপনিই 'মারালেন' নাকি? India and the Raj থেকে এই কোটটা দিলেন মনে হল --
    Reviewing the first volume of this book, a professor teaching history at a university correctly referred to me as "not a trained historian". But I hardly regret the fact, for if I had been what he called "a trained historian", I might have been one of his kind.
     
    অবিশ্যি সোর্স উল্লেখ করার অব্যেস না থাকায় রেফারেন্স দেননি। সে ঠিক আচে। এইবার এজ ইউজুয়াল গালাগাল দিতে সুরু করেচেন। আগেই বলিচি কে সাঁতার কাটল, কে হাততালি দিল এইসব ক্যাঁচাল কলেজ স্ট্রিটের গান্ধীজির গোপন রোগ টাইপের বইতে পাবেন।
     
    আপনি মনে হচ্ছে স্যান্ডো লড়ার মুডে আচেন। ঘুম্পায়। কাটি।
  • এলেবেলে | ২১ জুলাই ২০২৩ ২১:৪৯521512
  • বাপ রে। এখানে সব্বাই প্রতিটা কোটে সোর্স উল্লেখ করে বুঝি? বরং ইতিহাসের মার্ক্সিস্ট বিশ্লেষণ কবেই বাতিল হয়ে গেচে মার্কা চালিয়াতিতে ব্যাপক হাসি পেল। যাক গে, সাঁতার, ইসকন, আউল্বাউল কিছু নিয়েই আগ্রহ না থাকলে ঘুমিয়ে থাকাই ভালো।
  • s | 2405:8100:8000:5ca1::236:***:*** | ২১ জুলাই ২০২৩ ২২:২০521513
  • এমন বাতের ব্যথা যে সারাজীবন হাঁটতে চলতে পারে না লোকটা। অথচ বাগবাজারে ফিরে চিঠিতে লেখে স্বাস্থ্য এখন খুব ভাল। তারপর খেতড়ির রাজার সঙ্গে ঘোড়ায় চেপে ঘুরে বেড়ায়। আবু পাহাড় থেকে নামতে কোন যানবাহন লাগবে না বলে চিঠি লিখে জানিয়ে দেয়। পরে উইম্বলডনে ঘোড়ায় চেপে পাহাড়ী পথে যাচ্ছে। আল্পসে চড়ছে।

    শঙ্করীপ্রসাদ সোর্সের বাইরে কিছু লেখেননি। উনি পড়াশোনা করতেন, যাতে বিভিন্ন সোর্স জানা যায়। চমক দিয়ে হাততালি কুড়োনো লক্ষ্য ছিল না।

    অন্য জীবনীতে তো এও আছে যে সাঁতার কেটে সমুদ্রের দিকে যেতে দেখে মানুষজন কৌতুহলী হয়ে লোকটার পিছনে যায় ও খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থার খবর নেয়।
  • এলেবেলে | ২১ জুলাই ২০২৩ ২৩:১৮521514
  • এ কে রে শান্তিগোপাল! ১৯১৩ থেকে ২০ বছর একটা কাঁচা ঢপবাজি চলল। তারপর প্রায় ৪০ বছর সেই ঢপকে বেমালুম গিলে ফেলা হল। ফের প্রায় ৪৫ বছর হতে চলল সেই ঢপকে ফের উসকে দেওয়া হয়েছে। আর পেসাদি ফুলে কপাল ঠোকা ভক্তবৃন্দ সেটাকেই সোর্স বলে চালাচ্ছে!! ইনি আবার অ্যাকাডেমিক আলুচানা করতে গিয়ে এক কাঠি ওপরে উঠেছেন। মাঝি এক আনা পয়সা চেয়েছে সেটা উনি দেখতেও পেয়েছেন। জোর সে বল ভক্তোওওওওওওওও।
  • Hamlet | 2405:8100:8000:5ca1::1f3:***:*** | ২১ জুলাই ২০২৩ ২৩:২৩521515
  • There are more things in Heaven and Earth, Horatio, than are read by Elebele.
  • :) | 2405:8100:8000:5ca1::2c:***:*** | ২২ জুলাই ২০২৩ ০০:১২521516
  • এলেবেলের বাতব্যাধিজর্জর গুল্পের থুতু কি চাটা শেষ ?
  • এলেবেলে | ২২ জুলাই ২০২৩ ০০:২৩521517
  • আগে ১৯৮৯-এ প্রথম সংস্করণের লেখা প্রায় হুবহু ফিরে আসায় থুতু চাটা শেষ হোক। ১৯৭৯ নেই বলার থুতু চাটা শেষ হোক। 'আর্কাইভ থেকে নামিয়ে বইটি নিজের কাছেই রয়েছে এমত ভাব দেখিয়ে বাতেলা মেরে কোটেশন টুকতে বসলে সাল তারিখ অমন গুলিয়ে যাবারই কথা' জাতীয় চালিয়াত চন্দরগিরির থুতু চাটা শেষ হোক। তারপর রিউম্যাটিজম সংক্রান্ত বিবেকানন্দের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা হাজির করলে আর কারা কারা থুতু চাটতে বাকি থাকবেন, সেটা জানা যাক। তাপ্পর দেখা যাবে, কেমন?
  • মুচকি | 103.76.***.*** | ২২ জুলাই ২০২৩ ০১:৫৮521519
  • দূরত্ব মাপতে আপন মনের মাধুরী মিশানোর দিন গিয়েছে।
    মন্দিরের সামনে থেকে বা বর্তমান ফেরি সার্ভিসের রুট দুটো পথেই বিবেকানন্দ রক ৩৫০ মিটার।
    গুগুল ম্যাপে ডিসট্যান্স মাপতে প্রথমে স্টার্টিং পয়েন্ট সিলেক্ট করে সেখানে রাইট ক্লিক করে মেজার ডিসট্যান্স অপশন সিলেক্ট করতে হয়। তারপর ডেস্টিনেশন পয়েন্টে ক্লিক করতে হয়।
     
    কোন বর্ণনা কেন উড়ে গেল কেন ফিরে এল-র ধাঁধা বুঝতে দ্বিতীয় আর পঞ্চম সংস্করণের ভূমিকা দেখে নিলেই হবে। যেকোনো নতুন বইতেই পুরনো সব সংস্করণের ভূমিকা রয়েছে। 
     
    আর হ্যাঁ, যাবতীয় তক্কাতক্কি প্রত্যক্ষদর্শীদের প্রসঙ্গ এড়িয়েই হবে। রাজাগোপাল থেকেও ওই অংশটা এড়িয়ে কোট টুকতে হবে। পঞ্চম সংস্করণ থেকে মূল বইতেই সে-প্রসঙ্গ বিস্তারিত থাকলেও সে দিকে কথাবার্তা ঘোরানো যাবে না। কারণ গুরু বলেছেন "concocted"
     
    ইঞ্জিরি শিক্ষকের ইন্টারপ্রিটেশন নিয়ে আর কথা কী বাড়াব! 
    এর মানে দাঁড়াল ==> "ওটির আয়ু নাকি এক্কেরে তিন মাস, তার এক দিন বেশিও নয় কমও নয়। এবং ওটি স্পোর্টস ইনজুরি।"
     linger for up to মানে যে কী, আর most frequent causes মানে যে কী !! or herniated discs মানেও যে কি !! ওফ্‌ফ্‌ এইভাবেই রাজাগোপাল বিবেকানন্দ সবই পড়া চলছে। ইন্টারপ্রিটেশনও চলছে। পোবোন্ধোও চলছে।
  • hehe | 146.7.***.*** | ২২ জুলাই ২০২৩ ০৩:১৯521520
  • এলবোর চালিয়াতি ফুসস। ব্যাটা ইতিহাস তো জানেই না, ইংরিজির হালও তথৈবচ। বাংলু মিডিয়ামের ইংরিজি ম্যাস্টরের দৌড় ওই মাইধ্যমিক পজ্জন্ত।
  • এলেবেলে | ২২ জুলাই ২০২৩ ১৬:২৪521536
  • প্রযুক্তিবিদ প্রকৌশলীদের নিয়ে এই হচ্ছে মুশকিল। দূরত্ব প্রায় ৫০০ মিটার বললে প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে বলা যায়, উঁহু ওটি আসলে সাড়ে তিনশো মিটার। কিন্তু মূল বিষয়টা এড়িয়ে গিয়ে গোল গোল লুপে ঘোরা অব্যাহত আছে।
     
    কারণ //"The Life..."-এর প্রতিটা এডিশনে কি কি মডিফাই করা হয়েছে তা লেখা আছে সেই এডিশনের ভূমিকাতে। ১৯৩৩ এ ও আছে, তারপরে ১৯৭৮-এ ও আছে।// তো একবার চক্ষুকর্ণের বিবাদভঞ্জনের জন্য দেখে নেওয়া যাক ১৯৩৩-এর সংস্করণের ভুমিকায় হাঙর ভর্তি সমুদ্রে সাঁতার উবে যাওয়ার কারণ হিসেবে কী লেখা আছে।
     
  • এলেবেলে | ২২ জুলাই ২০২৩ ১৬:৩৭521537
  • বইটিতে কন্যাকুমারীর ঘটনা আছে সপ্তদশ অধ্যায়ে অর্থাৎ এ ব্যাপারে শ্রীরামকৃষ্ণ লীলাপ্রসঙ্গের কোনও ভূমিকা নেই। তাহলে কী পড়ে থাকে? পড়ে থাকে এই যে যেসব inaccuries বইটির প্রথম সংস্করণে ছিল, সেসব বিষয়গুলোকে in the light of later investigations সংশোধিত করা হয়েছে। যদিও এই সংশোধনের ফলে no fact of importance was omitted এবং none of the numerous aspects of [V] was neglected.
     
    ঘুনসি পড়া অবস্থা থেকে যাঁরা ইঞ্জিরি মাধ্যমে ইঞ্জিরি পড়ে তুবড়ি ছুটিয়েছেন, তাঁরা দয়া করে বলবেন এর মোদ্দা অর্থটা কী দাঁড়ায়? 
     
    আর শিলামন্দিরটা স্থাপিত হওয়ার কিছু বছর পরে কোন নতুন ব্যাখ্যা হাজির করে ফের প্রথম সংস্করণের বানোয়াট গপ্পোটা ফিরে আসে?
     
    লাম্বাগো-ফাম্বাগোর ইন্টারপ্রিটেশন নিয়ে আপাতত কিছু বলছি না। কিন্তু যদি এ ব্যাপারে স্বয়ং বিবেকানন্দের ব্যাখ্যা হাজির করি, তো ফের ঘুনসি পড়ুয়াদের ইঞ্জিরির দৌড়টা একবার দেখব। 
  • মুচকি | 103.76.***.*** | ২২ জুলাই ২০২৩ ১৭:২৬521539
  • inaccuracy টুকু হল মন্দিরটি মূল ভূখণ্ডে অবস্থিত। সমুদ্রের মাঝের দ্বীপে নয়। সুতরাং আগে মন্দিরে গিয়ে পুজো দিয়ে তারপরে passed to the rock; কন্যাকুমারীতে পৌঁছেই মা-কে দেখতে অধীর হয়ে জলে ঝাঁপ দিয়ে দ্বীপের মন্দিরে গিয়ে ওঠা নয়।
    আর superfluous extensive descriptions কে cut short করা হয়েছে।
    গুড হচ্ছে। এবার ১৯৭৮। পঞ্চম এডিশন।
  • * | 103.76.***.*** | ২২ জুলাই ২০২৩ ১৭:২৯521540
  • এক পোস্টে দুটো ছবি দিতে, প্রথম ছবি চিপকানোর পর এন্টার মেরে আবার পরের ছবি চিপকালেই হবে।
  • এলেবেলে | ২২ জুলাই ২০২৩ ২১:১৬521546
  • অ! আসলে ইনঅ্যাকুইরেসিস শব্দটা নেইকো। গোটা বইতে ওই একটিই ইনঅ্যাকুইরেসি ছিল। সেটিকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করা হয়েছে। বাঃ, চমৎকার ব্যাখ্যা সন্দেহ নেই।
     
    ১৯৭৯ ও ১৯৮৯ সালের সংস্করণে এ বিষয়ে কী লেখা হয়েছে তা টইতে (৭৯) এবং মন্তব্যে (৮৯) আগেই লেখা হয়েছে। এরও নিয্যস ব্যাখ্যা চলে আসবে এবং সেটিকে ধ্রুবসত্য মেনে নেওয়াটাই দস্তুর। বাঃ, তোফা।
  • criticism | 23.109.***.*** | ২২ জুলাই ২০২৩ ২১:৩৯521547
  • পরবাস পত্রিকায় ইতিহাসার্ণবের বইয়ের রিভিউ-
     
    "না, গুরুপাক হবে না।
    একই সংখ্যায় একই ব্যক্তির উপরে দুইটি ইয়া ইয়া গ্রন্থের সমালোচনা পড়তে, কারণ আলোচ্য মানুষটি আর কেউ নন, স্বয়ং ঈশ্বরচন্দ্র দেবশর্ম্মণঃ! আর উপরের ঐ ‘চরিতামৃত’ গ্রন্থে যদি তাঁর পূজাটা একটু বেশি করে ফেলা হয়ে গিয়ে থাকে তো তা পুষিয়ে নিতে বর্তমানটিতে পড়ে নিতে পারবেন বিদ্যেসাগর মশায় আসলে কত শঠ দাম্ভিক ধান্ধাবাজ একটা লোক ছিলেন, কেবল ইংরেজদের চাকরামি ও দালালি করবার জন্যেই ওঁর এতো বোলবোলাও (হ্যাঁ, ঠিক এই এই বিশেষণ ব্যবহার করেছেন লেখক)। তাঁর মুখোশ খসিয়ে দিতে আবির্ভূত হয়েছেন এই যুব-লেখক শ্রীমান দেবোত্তম চক্রবর্তী, পেশায় ইঙ্গ-শিক্ষক, …‘অগণন অন্ত্যজ হিন্দু, দরিদ্র মুসলমান এবং আর্ত ও অসহায় নারী’-র মুক্তিদূত হয়ে যিনি অবতীর্ণ হয়েছেন (প্রথম ব্লার্ব দ্র.).
    কেতাব লিকে লিকে প্রতিষ্ঠিত ও প্রণম্য মানুষদের গায়ে কাদা ছিটিয়ে সস্তা জনপ্রিয়তা কুড়ানোর পরম্পরা নূতন কিছু নয়। কয়েকটি তেমন ঘৃণ্য নাম তো এখনই মনে আসছে। কিন্তু সেই গোত্রেই দেবোত্তমকে ফেলে দেওয়া যেত যদি না তাঁর এই গ্রন্থ বহু-গবেষিত হতো, যদি না এতে প্রকৃত পরিশ্রমের ছাপ থাকত। কিন্তু এত পরিশ্রম করে কী হাসিল করলেন লেখক? দুগগাপুজোর বিচিত্রানুষ্ঠানের আসরে বিশ্বশ্রী মনতোষ আইচের দাঁতে করে লোহার পাত বাঁকানোর খেলা দেখে রাধাপ্রসাদ গুপ্ত মশাই বলেছিলেন যে এমন একটা ‘আটার ওয়েস্টেজ অব হিউম্যান এফর্ট এণ্ড স্কিল আগে কখনও দেখিনি।’ (দ্র. কুমারপ্রসাদ)।
    দেবোত্তমবাবুর এই কেতাব পড়তে পড়তে সেই কথাটা মনে এল।"
     
    বিদ্যাসাগরঃ নির্মাণ-বিনির্মাণ-পুনর্নির্মাণের আখ্যান--দেবোত্তম চক্রবর্তী; প্রকাশকঃ ‘কলাবতী মুদ্রা’, কলকাতা-৮; ISBN: নেই
  • এলেবেলে | ২২ জুলাই ২০২৩ ২১:৪৮521548
  • আহা, সদ্য রামমোহন নিয়েও ওকেনে একটা বেরিয়েচে বটে। ওটিও চিপকে দিতে পারতেন। কারা যে আজকাল রিভিউ-ফিভিউ করেন, সেটা বাকিরা মালুম পেতেন।
  • জসল | 96.23.***.*** | ২২ জুলাই ২০২৩ ২২:০১521550
  • বাহ, পরবাসের এই কলামটা ফলো করবো। কয়েকটা অস্থানে লাইন ব্রেক পড়েছে - কর্তৃপক্ষ/ টেক টিম হটমল কোডটা একটু দেখতে পারেন। 
    ইন্টারনেটে আমার প্রথম নিয়মিত ফলো করা বাংলা ফোরাম পরবাস - এখন নিয়মিত না হলেও মাঝেমাঝেই পড়ি।
     
    একটা লাইন বিশেষ ভাবে চোখে পড়লো। 
    "গান্ধী থেকে নেহরু, বসু থেকে সাভারকর—কোন্‌ বড় মাপের মানুষের বিরুদ্ধ-সমালোচনা হয়নি, বলুন তো?"
    বাংলায় সারস্বতচর্চা বা রাজনীতির প্রসঙ্গে নেহরু গান্ধী বসুর সঙ্গে বড়ত্বের মাপকাঠিতে সাভারকরকে একাসনে বসতে এর আগে দেখেছি কিনা মনে পড়লো না।
  • এলেবেলে | ২২ জুলাই ২০২৩ ২২:১৩521551
  • করাই উচিত। এমন সরেস চাড্ডিকে না করাই অপরাধ।
     
    দেবোত্তম চক্রবর্তীর ‘বাংলার লবণ শিল্প ও রামমোহন’ আরেকটি সুখপাঠ্য ও তথ্যসমৃদ্ধ নিবন্ধ। এখানে মোঘল আমলে সমুদ্রসেঁচা লবণচাষের থেকে ব্রিটিশ আমলে এর কী কী পরিবর্তন ঘটে গেল—চমৎকারভাবে সেটির আলোচনা করেও তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ঢঙে ‘বেইমান’ রাজা রামমোহন এই সূত্রে কতটা কাঠগড়ায় ওঠার যোগ্য সেটা জানিয়ে দিয়েছেন দেবোত্তম। যাঁরা দেবোত্তমের লেখার সঙ্গে পরিচিত নন তাঁদের জন্য লিখি, রামমোহন-বিদ্যাসাগর-বিবেকানন্দের মতো প্রতিষ্ঠিত হিন্দু ব্যক্তিত্বগণ কতটা ও কতভাবে ‘ব্রিটিশ দালাল’ ছিলেন ইদানীং সেটা লিখে লিখে নিজের বইয়ের বিক্রি তুমুল বাড়িয়ে নিয়েছেন এই অধ্যাপক দেবোত্তম চক্রবর্তী। ‘রামকৃষ্ণ মিশন’-কে ‘রামকৃমি’ আখ্যা দিয়ে সম্প্রতি রেকট করেছেন ইনি।
     
    প্রথম বাক্য যাহা সুখপাঠ্য ও তথ্যসমৃদ্ধ, পরের বাক্যে তাহাই বেইমানির নমুনা। দুটি বাক্য লিখেই কাসুন্দি ঘাঁটার প্রবল ইচ্ছা কারণ হিন্দু খতরে মে হ্যাঁয়। তাতে তথ্যের বাপ-মা হোক, কুছ পরোয়া নেহি। ওই একই কারণে নিদান হাঁকা - ক্রিয়াপদ হিসেবে ‘খুন’ শব্দটি আজ বাংলাভাষায় বহুচল হয়ে পড়েছে কিন্তু বিশেষ্য হিসেবে এই ২০২৩-এও না—এই মান্যসত্য জানবার পরেও এ’নিয়ে এতো দীর্ঘ আলোচনার কী অবকাশ আছে তা অধমের বোধগম্যতার বাহিরে।
     
    অবিশ্যি সেই নিবন্ধটিও যে অতীব সুখপাঠ্য ও স্বচ্ছন্দগতির তা জানাতে ভুল হয়নি। ধন্যি রিভিউ আর ধন্যি রিভিউয়ার। আরও ধন্যি তার ফলোয়ারকূল।
  • criticism | 23.109.***.*** | ২২ জুলাই ২০২৩ ২২:১৬521552
  • রামমোহন নিয়ে ত মোটে এক প্যারা-
     
    দেবোত্তম চক্রবর্তীর ‘বাংলার লবণ শিল্প ও রামমোহন’ আরেকটি সুখপাঠ্য ও তথ্যসমৃদ্ধ নিবন্ধ। এখানে মোঘল আমলে সমুদ্রসেঁচা লবণচাষের থেকে ব্রিটিশ আমলে এর কী কী পরিবর্তন ঘটে গেল—চমৎকারভাবে সেটির আলোচনা করেও তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ঢঙে ‘বেইমান’ রাজা রামমোহন এই সূত্রে কতটা কাঠগড়ায় ওঠার যোগ্য সেটা জানিয়ে দিয়েছেন দেবোত্তম। যাঁরা দেবোত্তমের লেখার সঙ্গে পরিচিত নন তাঁদের জন্য লিখি, রামমোহন-বিদ্যাসাগর-বিবেকানন্দের মতো প্রতিষ্ঠিত হিন্দু ব্যক্তিত্বগণ কতটা ও কতভাবে ‘ব্রিটিশ দালাল’ ছিলেন ইদানীং সেটা লিখে লিখে নিজের বইয়ের বিক্রি তুমুল বাড়িয়ে নিয়েছেন এই অধ্যাপক দেবোত্তম চক্রবর্তী। ‘রামকৃষ্ণ মিশন’-কে ‘রামকৃমি’ আখ্যা দিয়ে সম্প্রতি রেকট করেছেন ইনি। (‘পরবাস’ পত্রিকার পৃষ্ঠায় এঁর ‘বিদ্যাসাগর’ গ্রন্থটির সমালোচনা বেরিয়েছিল ৮২-তম সংখ্যায়, দুই বছর আগে।
     
  • এলেবেলে | ২২ জুলাই ২০২৩ ২২:১৯521553
  • হ্যাঁ, নিবন্ধ কি না। তো এই রিভিউয়ার মহাশয় কোন যাদুমন্ত্রে জানলেন যে রামকৃষ্ণ মিশনকে রামকৃমি কিংবা রাকৃমি বলা হয়েছে? 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে প্রতিক্রিয়া দিন