এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিবিধ

  • মাই নেম ইজ অ্যান্থনি গঞ্জালভেজ

    ন্যাড়া লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ১৮ জানুয়ারি ২০২০ | ২১৫৬ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • "অমর-আকবর-অ্যান্থনি" ছবিতে অমিতাভ বচ্চনের চরিত্রের নাম ছিল অ্যান্থনি গঞ্জালভেজ। শুধু তাই নয় অমিতাভের লিপে গানও ছিল 'মাই নেম ইজ অ্যান্থনি গঞ্জালভেজ'। এই অ্যান্থনি কোন কবির কল্পনা নয়। হিন্দি ছবির এক বিখ্যাত বেহালাবাদক-তথা-অ্যারেঞ্জারের নাম ছিল অ্যান্থনি গঞ্জালভেজ। সুরকার-জুটি লক্ষ্মীকান্ত-পেয়ারেলালের পেয়ারেলাল বেহালা শিখেছিলেন এই অ্যান্থনির কাছে। শোনা যায় রাহুল দেব বর্মনও কিছুদিন অ্যান্থনির ছাত্র ছিলেন। "মাই নেম ইজ অ্যান্থনি গঞ্জালভেজ" গানটি পেয়ারেলালের গুরুদক্ষিণা বলা যেতে পারে।

    সলিল চৌধুরী যখন 'দো বিঘা জমিন'-এর চিত্রনাট্য নিয়ে বম্বেতে যান বিমল রায়ের সঙ্গে কাজ করার জন্যে, তখন 'গাঁয়ের বধূ', 'রানার', 'পাল্কির গান' ইত্যাদি সলিল সুর করে ফেলেছেন। কিন্তু নিজেই বলেছেন যে তখনও তিনি বিলিতি সঙ্গীতের গ্রামার, যথা পলিফোনি বা হার্মনির কিছুই জানতেন না। ছেলেবেলা থেকে বিদেশী সঙ্গীত শুনে কান তৈরী হয়েছিল, কিন্তু গ্রামার মেনে গানের হার্মনি তৈরী করার পথ জানা ছিলনা। অথচ বম্বেতে তদ্দিনে হিন্দি ছবির গানে পশ্চিমি হার্মনির নিয়ম মেনে অ্যারেঞ্জমেন্ট রীতিই হয়ে গেছে। করতেন মূলতঃ গোয়ান মিউজিশিয়ানরা। কাজেই যখন বম্বেতে গিয়ে ছবির কাজের জন্যে গানে অ্যারেঞ্জমেন্টের প্রয়োজন হল, সলিল দ্বারস্থ হলে অ্যান্থনির, যাকে সলিল ব্রিলিয়ান্ট মিউজিশিয়ান বলে আখ্যা দিয়েছেন। দো-বিঘা-জমিন, বিরাজ-বহু, নৌকরি ইত্যাদি ছবিতে সলিলের গানে অনবদ্য অ্যারেঞ্জমেন্ট করলেন অ্যান্থনি গঞ্জালভেজ। সলিল নিজে অ্যারেঞ্জমেন্ট করতে জানতেন না বটে, কিন্তু বিদেশী-সঙ্গীতে তৈরী কানে অ্যারেঞ্জমেন্টের ভালমন্দ বিচারের ক্ষমতা ছিল প্রখর। তাই গানের সঙ্গে অ্যারেঞ্জমেন্ট উৎরে গেল দুড়দাড় করে।

    তদ্দিনে বছর দুয়েক হয়ে গেছে বম্বেতে সলিলের। এরকম সময়ে মেহবুব ফিল্মের বিখ্যাত ডিরেকটর-প্রোডিউসার মেহবুব খান 'আওয়াজ' ছবির জন্যে পুত্রসম সলিলকে বরাত দিলেন মিউজিক করতে। আর সলিলের মিউজিক মানেই অ্যান্থনির অ্যারেঞ্জমেন্ট। সুর তৈরির কাজা শুরুর প্রে মাঝেমাঝে সলিল অ্যান্থনির কাছে অ্যারেঞ্জমেন্টের কুশল জানতে চাইলে অ্যান্থনি আশ্বাস দেন, ও নিয়ে ভাবতে হবে না দাদা, আপনি আমার কাজ জানেনই তো। প্রথম গান রেকর্ডিঙের দিন এসে গেল। লতা আর হেমন্তর ডুয়েট। স্টুডিওয় কলাকুশলীরা এসেছেন। অ্যান্থনি আছেন। সলিল আছেন। হেমন্ত-লতাও এসে গেছেন। আছেন মেহবুব খানও। রিহার্সাল শুরু হয়েছে। সলিল বলছেন, "আমি শুনে স্তম্ভিত হয়ে যাচ্ছি। এ কী অ্যারেঞ্জমেন্ট করেছে? সম্পূর্ণ একটা অ্যাটোনাল অ্যারেঞ্জমেন্ট। গানের সঙ্গে একেবারেই যাচ্ছে না। আমার আর কিছু না থাক, কানটা তো আছে। তাতে বুঝতে পারছি এ একেবারেই যাচ্ছে না। হেমন্তদা বলছে, 'সলিল, এ কী হচ্ছে?' লতাও জিগেস করছে, "ইয়ে সব কেয়া হো রহা হ্যায় দাদা?" এদিকে ভায়োলিনিস্টরা সব হাসাহাসি করছে। আমাকে দেখিয়ে বলছে, 'ইয়ে মিউজিক ডাইরেকটর হোনে আয়া।' এয়ার-কন্ডিশনড স্টুডিওতে বসে আমি দরদর করে ঘামছি, কান-মাথা ঝাঁ-ঝাঁ করছে অপমানে। আর পারলাম না। আমি মেহবুব খাঁকে বললাম আমি প্যাক আপ করছি। আর অ্যান্থনিকে গিয়ে বললাম, 'অ্যান্থনি, গুডবাই। আমার ঘাড়ে বন্দুক রেখে তোমাকে আর এক্সপেরিমেন্ট করতে দেবনা। তোমার এক্সপেরিমেন্ট অন্য কারুর ওপর দিয়ে কর। যদি নিজে অ্যারেঞ্জ করতে পারি তো করব, নইলে কাজ ছেড়ে দেব।'" এই ঘটনার পর অ্যান্থনির ক্যাম্পের প্রায় কুড়িজন মিউজিশিয়ান সলিলকে সম্পূর্ণ বয়কট করেছিলেন।

    সেদিনই সলিল আন্ধেরির বাড়িতে একটা পিয়ানো ভাড়া করে আনলেন। আর কিনলেন বিলিতি মিউজিকের বই। থিওরির বই, স্কোরের বই। সলিল ছেলেবেলায় পিয়ানো বাজাতে জানতেন, যদিও একেবারে মেঠো পদ্ধতিতে, স্টাফ নোটেশন পড়তে শিখেছিলেন। সেটা মনে ছিল। সলিল বলেছেন যে প্রায় হাজার টাকার বই কিনেছিলেন। পঞ্চাশের দশকের মাঝামাঝি হাজার টাকায় কত বই হবে, আন্দাজ করতে পারেন? জল মেশানো ভেবে নিয়ে যদি ধরি পাঁচশো টাকার বই কিনেছিলেন, পঞ্চাশের দশকে সেও বহু বই। সলিল সব কাজ ছেড়ে দিলেন। যা টাকা জমেছিল তা'তে সলিলের চলে যাবে। বলছেন পরের দু বছর দিনে চোদ্দ থেকে ষোল ঘন্টা পিয়ানোর সামনে বই নিয়ে বসে থাকতেন। দু বছর পরে যে সলিল বেরোলেন তাকে সারা মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি পরবর্তীতে হার্মনির গুরু মেনে এসেছে। পরে বম্বের অন্যান্য ডাকসাইটে অ্যারেঞ্জার, যথা সিবাস্টিয়ান প্রমুখ, সলিলের কাছে এসে জিগেস করতেন, দাদা এখানে কী কর্ড হবে বুঝতে পারছি না। ভি বালসারার মতন লোক সলিলকে মিউজিকাল প্রফেট বলে মানতেন। সলিল অবশ্য ন'দশ বছর থেকেই পিয়ানো বাজাচ্ছেন। কিন্তু এর পরে ওনার পিয়ানো বাজানোয় এমনই প্রফিশয়েন্সি হল - শুধু ফিঙ্গারিং-ই নয়, তার সঙ্গে নিজের সাঙ্গীতিক শিক্ষা লাগিয়ে হার্মনি প্রয়োগ - যে একসময় দেবব্রত বিশ্বাস যখন বম্বে সলিলের বাড়িতে অতিথি হয়ে থেকে ঘরোয়াভাবে ড্রইংরুমে গলা ছেড়ে রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইতেন আর সলিল পিয়ানোয় তার সঙ্গত করতেন, তখন নাকি নীচে লোক জমে যেত।

    আর সেই অ্যান্থনি? অ্যান্থনি এরপরে বম্বেতে সিম্ফনি অর্কেস্ট্রা অফ ইন্ডিয়া তৈরি করেন। তারও বছর কয়েক পরে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে সিরাকিউজ ইউনিভার্সিটির একটা গ্রান্ট নিয়ে মার্কিন মুলুকে পাড়ি দেন। সলিল যদিও বলেছেন অ্যান্থনি বস্টন ফিলহার্মোনিকে বাজাতেন, আমি সে সম্বন্ধে তথ্য খুঁজে পাইনি। অবশ্য খুব যে খুঁজেছি তাও নয়। এর সঙ্গে অ্যান্থনি সিম্ফনিও লিখতে শুরু করেন। সলিল বলেছেন, ওই ঘটনার পরে অ্যান্থনির সলিলের ওপর শ্রদ্ধা এত বেড়ে গেছিল যে যখনই অ্যামেরিকা থেকে দেশে ফিরত, নিয়ম করে সলিলের সঙ্গে একবার দেখা করত। এর অনেক পরে অ্যান্থনি দেশে ফিরে গোয়ায় নিজের গাঁইয়ে ফিরে গানবাজনার চর্চা নিয়েই শেষজীবন কাটিয়ে ২০১২ সালে পৃথিবীর মায়া কাটান।

    এসব গল্পকথা খুঁটে খুঁটে জোগাড় করলেও, মূল কাহিনীটা পেয়েছি কবীর সুমনের সঙ্গে সলিলের পাঁচ পার্টে (আসলে ছ' পার্টে) একটা কথোপকথন যে ইউ টিউবে আছে তার শেষ পর্বে। এতসব গপ্পোকথা পরে যদি কেউ বিলিতি হার্মনি, কর্ড, কাউন্টার-পয়েন্ট ইত্যাদি নিয়ে হাল্কা ফান্ডা করতে চান আর হাতে ঘন্টাখানেক সময় থাকে তাহলে নিচের ক্লিপটা অবশ্যই দেখবেন। আমি বছরের পর বছর কসরৎ করে ও খুঁটে খুঁটে যে জিনিস আধা শিখে ভয়ংকরী বিদ্যা অর্জন করেছি, সলিল একঘন্টায় তা শিখিয়ে দিয়েছেন, বিশেষতঃ কাউন্টারপয়েন্ট ব্যাপারটা। তবে সঙ্গীত তো ফলিত বিদ্যা, অল্প বিস্তর কোন একটা বাজনা না বাজাতে পারলে বা গাইতে না পারলে বোঝা একটু শক্ত হতে পারে, এ বলে রাখলাম।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ১৮ জানুয়ারি ২০২০ | ২১৫৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ন্যাড়া | ১৮ জানুয়ারি ২০২০ ১৪:০২45411
  • এসেছে।
  • b | 162.158.***.*** | ১৮ জানুয়ারি ২০২০ ১৯:৩২45413
  • "সলিল বলেছেন, ওই ঘটনার পরে অ্যান্থনির সলিলের ওপর শ্রদ্ধা এত বেড়ে গেছিল যে"
    কমে যাওয়ার কথা ছিল তো । ওরকম অপমান?

    যাই হোক গু চ লেআউট এ বাংলা কপি পেস্ট করা গেলো না ।
  • :-(?) | 172.69.***.*** | ১৯ জানুয়ারি ২০২০ ০৪:৩০45416
  • যে মুভিটার মুজিক করতে করতে প্যাকাপ করে চলে এলেন, লতা-হেমন্ত গাইবার জন্য দাঁড়িয়ে ছিলো, সেই মুভিটা বা তার মুজিকের সেশ পজ্জন্ত কি হলো?
  • ন্যাড়া | 172.69.***.*** | ১৯ জানুয়ারি ২০২০ ০৬:২৮45417
  • ছবি হয়েছিল। ১৯৫৬ সালে রিলিজও হয়েছিল। যদ্যপি, ছবির ফিল্মোগ্রাফিতে কোন হেমন্ত-লতা ডুয়েট দেখছি না। সে ডুয়েট শেষ অব্দি হয়নি, না হেমন্তর পার্ট তালাতের বরাতে গেছিল, না সলিল নাম ভুল বলছেন, সে সম্বন্ধে ইতিহাস মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছে। শেষ অব্দি এই ছবির অ্যারেঞ্জারই বা কে হলেন সে সম্বন্ধেও তথ্য জোগাড় করতে পারিনি।
  • Kaushik Saha | ২৯ মার্চ ২০২১ ১১:১৬104185
  • Videoটিতে 11:43 এ উল্লিখিত Igor  Stravinskyর রচনাটির নাম The Four Seasons নয়, ওটির  The Rite of Spring (বসন্তোৎসব) নামক ballet এবং orchestral রচনা। এটি Stravinsky1913 সনে রচনা করেন এবং 29 May 1913 এটি জনসম্মুখে পরিবেশিত হয়, এবং  পরিবেশনের সময় নানারূপ দাঙ্গা হাঙ্গামা ঘটে। বিস্তারিত বিবরণ নিম্নে প্রদত্ত URLএ পাওয়া যাবে।


    https://www.theguardian.com/stage/2013/apr/12/rite-of-spring-rude-awakening


    The Four Seasons Antonio Vivaldi দ্বারা 1717 নাগাদ রচিত চারটি concertoর সমষ্টি। 

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল মতামত দিন