এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  স্মৃতিচারণ  নস্টালজিয়া

  • বর্তমানে বাঁচা

    সমরেশ মুখার্জী লেখকের গ্রাহক হোন
    স্মৃতিচারণ | নস্টালজিয়া | ০২ জুন ২০২৪ | ৪৭২ বার পঠিত

  •  
    Life is precious. Live every moment of it. Never waste it looking back. Never procrastinate in the future. Do whatever you wish to do NOW, because tomorrow may not come. PAST is history, FUTURE is mystery, SO LIVE IN THE PRESENT - it's a gift,  that's why it's called PRESENT…. 

      এযাবৎ নানা প্রতিষ্ঠিত, বিখ্যাত মানুষের নানা বক্তব্যের মাঝে এহেন সারাৎসার‌ও বহু‌বার টের পেয়েছি। যেমন অমিতাভ বচ্চন একবার বলেছিলেন - I never look back - I always look ahead. তিনি নমস‍্য। কিন্তু আমার এসব কথা ভেতরে ঢোকে না। আমি অতীতচারী। চঞ্চলা (transient) বর্তমান পিছল পাঁকাল মাছের মতো - তা তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করা যায় না। তা করতে গেলে প্রয়োজন যাপিত অতীত - অনাগত ভবিষ্যত। তবে যদি কারুর তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করার তাগিদ‌ই না থাকে, যদি চিবিয়ে, চুষে, চেটে, গিলে এগিয়ে চলা‌ই হয় কারুর জীবনদর্শন, তাহলে তার এসব না ভাবলেও চলে। 

       আমরা চোখ দিয়ে দেখি না, কান দিয়েও শুনি না - ওগুলো নিছক গ্ৰাহক মাত্র (receptor) - দেখা, শোনার অভিজ্ঞতা হয় মগজে, আর কিছু অভিজ্ঞতা‌র বিশেষ উপলব্ধি হয় মনে। বহমান বর্তমানের কিছু বিশেষ অভিজ্ঞতা - অতীত সঞ্চয়ের খাতা সমৃদ্ধ করে - ভবিষ্যতে‌ ভাঙিয়ে খাওয়া‌র জন‍্য। স্মৃতি‌র রোদে জারিত পুরোনো আচারের মতো অতিবাহিত জীবনের স্বাদ বড় সুস্বাদু। স্মৃতি বিভ্রম না হলে কাঠের পাঁজায় শুয়ে পাঁজরে ছ‍্যাঁকা লাগা তক সে আচার ফুরোবে না। এই যে আমার বাঁজা লেখালেখি - অধিকাংশ‌ই ঐ আচার ভাঙিয়ে। বর্তমান তো সোডার বোতল - খুললে‌ই ফুউউউস।

      আর ভবিষ্যত নারকেল গাছ। লাগিয়ে বসে থাকো ফলের আশায়। তবে সে আশা অনির্দিষ্ট, অনিশ্চিত, অদৃষ্ট। লাগতে পারে তাতে পোকা, ঝরতে পারে ঝড়ে। যে লোকটা সকালে অফিস গেলো সে সন্ধ‍্যা‌য় বাড়ি ফিরবে কিনা ঠিক নেই। তবু এই মায়াময় জগতে মানুষের বর্তমানে কতো না লাফঝাঁপ। ভবিষ্যতের অস্তিত্ব কষা থাকে পরিকল্পনা‌বিদের ছকে - ঐ খানে পৌঁছাবো - ঐ ফান্ডের মূল‍্য বেড়ে এ্যাতো হবে -  তখন অমন বাড়িতে থাকবো - অমুকামুক স্থানে বেড়াতে যাবো…। অথবা ভবিষ্যতের আভাসমাত্র থাকে আমার মতো অবাস্তব‌বাদী মানুষের কল্পনায়। তা নিয়ে‌ও আফিমখোরের মতো মজে থাকা যায় মৌতাতে।

       অবশ‍্য Live for the moment - আমি‌ও অনুভব করি, আমার মতো করে -  Vicariously. যেমন কোনো পছন্দের উপন‍্যাস পড়তে গিয়ে বর্তমানে দারুণভাবে উপভোগ করি সুলিখিত অতীত - পূত্র পিতাকে - অলৌকিক জলযান - অরণ‍্যে‌র দিনরাত্রি - যাও পাখি - মানবজমিন … ইপ্র। দীর্ঘ সময়ের পটভূমিতে লেখা সেসব সুবিশাল উপন্যাস বেশ কয়েক দিন ধরে পড়তে গিয়ে সে’কদিন ঘোরের মধ‍্যে কাটে চরিত্র‌গুলি‌র সাথে ঘোরাঘুরি করে তাদের যাপিত জীবনে। তেমন বর্তমানে বাঁচা‌ ভারি আনন্দের। নাহলে মাঝেমধ্যে ব‍্যতিক্রম ব‍্যতীত অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাস্তবে‌র বর্তমান নিছক নিত‍্যযাপনের একঘেয়ে নামতা। তাই কঠিন বিষয়ের ওপর জ্ঞানবর্ধ্বক  প্রবন্ধ, চমক দেওয়া প্রতীকী ছোটগল্প এসবের থেকে আমায় সুদীর্ঘ উপন‍্যাস বেশী টানে। ফাস্টফুড নয় - ঢিমে আঁচে বানানো বিরিয়ানী‌র ভক্ত আমি।

      সেরকম কোনো পছন্দের ব‌ই পড়ে পাওয়া সেই সময়ের আনন্দ‌, যা লেগেছিল Bliss @ present - তাও পড়া হলে চলে যায় অতীতের গর্ভে। দীর্ঘদিন বাদে সে উপন্যাসের অনেককিছু মনে থাকে না - শুধু মনে থাকে - অমুক ব‌ইটা পড়ে তখন খুব আনন্দ পেয়েছিলাম। মানুষের অতীত এবং ভবিষ্যত দুটোই finite - তার জীবনকাল। অতীত জ্ঞাত - ভবিষ্যত অজ্ঞাত। গাড়ির ফুয়েল মিটারের মতো বোঝা যায় না আর কতোটা তেল পড়ে আছে ট‍্যাংকে। জ্ঞান হ‌ওয়া ইস্তক অতীতের সঞ্চয় বাড়তে থাকে - ভবিষ্যতে‌র আয়ু কমতে থাকে। বর্তমান নিছক ঘুরে যাওয়া চাকা - যা বাড়ায় অতীতের সঞ্চয়। 
     
    এমন সব পেঁজা তুলোর মতো ছেঁড়া কথা মনে এলো উপরের ছবিটা দেখে। মোবাইলে এমন সব ছবি আসে Wallpaper Carousel App থেকে। তার কিছু কিছু বেশ চমকে দেয়। হয়তো সে ছবির ক‍্যাপশন, পরিপ্রেক্ষিত অন‍্য কিন্তু আমার মনে ওঠে অন‍্য তরঙ্গ।

       এই ছবিটা‌য় ছোট্ট কিন্তু Prominent REAR VIEW MIRROR টাই এই আবোলতাবোল ভাবনার ট্রিগার। গাড়ির উইন্ডস্ক্রীন বড় হয় - ভবিষ্যতে‌র দিশায় দ্রুত ধাবমান চালককে সবকিছু, সবদিক দেখে চালাতে হবে যে! তুলনায় ফেলে আসা পথের মতো অতীতে যাপিত জীবনের ভূমিকা বর্তমানে বাঁচতে চাওয়া মানুষের কাছে তুচ্ছ। তবু তা মাঝে মধ‍্যে একটু না দেখেও থাকা যায় না। তাই থাকে একটা চুনকি RVM. আমার মতো অতীতচারী, স্মৃতিবিলাসী মানুষের গাড়ির RVM অবশ‍্য উইন্ডস্ক্রীনের মতোই বড়। সে গাড়ি তাই মিউজিয়াম আইটেম - ব‍্যস্ত সড়কে চলার উপযোগী নয়।

    পুনশ্চঃ - ৬০২ শব্দের এই খাজা ভাবনাটি লিপিবদ্ধ করেছি‌লাম ডিজিটাল ডায়েরি‌তে - চার বছর আগে -  ১৮.০২.২১ - মনিপালে থাকতে। আজ ভাটের পাতায় চোখ বুলোতে গিয়ে kk - &/ - dc লিখিত তিনটি মন্তব্যে চোখ পড়লো। তার মধ‍্যে কেকের মন্তব্যের শেষটা বেশ বিমূর্ত - কিছু অনুক্ত অনুভবের আভাসমাত্র রয়েছে তাতে। ঐ তিনটি ভাট মন্তব্যের অনুরণন হিসেবে হপা‌র পাতায় থাকলো অতীতের ডিজিটাল ডায়েরির পাতাটি। 

    পাতা-১৭৩৬৬- kk- ২.৬.২৪- ০১:৪৯
    আমি কোনোদিন কোত্থাও ফিরতে চাইনা। যেসব দিন চলে গেছে তারা চলে গেছে বলেই তাদের মধ্যে রোম্যান্টিকতা আছে বলে আমার মনে হয়। সেই দিনগুলোই আবার ফিরে এলে আমার আর ভালো লাগেনা। তখন তাদের চটা ওঠা, ফুটোফাটা দিকগুলো কটকট করে তাকাতে থাকে। আমি অতীতের কোনোকিছু ফিরে পেতে চাইনা। ভবিষ্যতেরও না। যেসব দিন আসবে তাদের কথা ভাবতে আমার একটুও ভালো লাগেনা। আজকের এই দিনটা, এই ঘন্টাটার বাইরে কোনো জীবনের কথা ভাবতে আমার ভালো লাগেনা। হাইপার অ্যাক্টিভ অ্যামিগডালা, ভয়ানক সব ফ্ল্যাশব্যাক আর ক্যাটাস্ট্রোফাইজিং অ্যাংজাইটির দুটো মস্ত ঘর্ঘরে চাকার মধ্যিখানের একটুকু ফাঁকে, আজকের এই একটা ঘন্টার এক চিলতে কার্নিশে আমি আঁকড়ে পাকড়ে দাঁড়িয়ে থাকি। এর বাইরে আমার আর কোথাও যাবার নেই কিচ্ছু করার নেই।

    পাতা-১৭৩৬৬- &/- ২.৬.২৪ - ০৪:০৯
    এই ব্যাপারটা আমাকে খুব ভাবাল। এইরকম সংকীর্ণ বর্তমানে কি সত্যিই বসবাস করা যায়? আলোছায়াময় অতীতস্মৃতি আর প্রসারিত ভবিষ্যৎকল্পনা ছাড়া মনকে আঁটানো যায় ছোট্টো বর্তমানের খোপে? এই ধরো, আগামীকাল বাজারে গিয়ে এই এই কিনতে হবে, দুপুরে এই এই রাঁধতে হবে, আহ কী চমৎকার স্বাদ হবে — এইসব তো যাকে বলে নিত্যকর্মের মতন করতে হয় আমাদের। তারপরে ধরো ফোড়ন দেবার সঙ্গে সঙ্গে একটা চমৎকার গন্ধ পাওয়া মাত্রই মনে পড়ে গেল সে‌ইইই কতকাল আগে বন্ধুর সঙ্গে চড়ুইভাতির রান্না, বাগানে ইঁট দিয়ে উনুন সাজিয়ে ভেতরে শুকনো পাতার জ্বালানি... এইসব ব্যাপারগুলো তো অহরহ চলতে থাকে। আমি তো মনকে কিছুতেই আঁটাতে পারি না অল্প কালখন্ডে, ও এদিক ওদিক লাফিয়ে বেড়ায়, অতীতে আর ভবিষ্যতে।

    পাতা-১৭৩৬৬- dc- ২.৬.২৪ - ০৭:২৩
    ছোটবেলায় আমরা যেভাবে দেখি, বড়ো হলে সেই দেখাটা পাল্টে যায়। তার চেয়ে বরং মনের মধ্যে সেই স্মৃতি থেকে যাওয়া ভালো। 

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • স্মৃতিচারণ | ০২ জুন ২০২৪ | ৪৭২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:2d6c:b396:4a2:***:*** | ০২ জুন ২০২৪ ১২:০১532593
  • এটা আমার খুব প্রিয় গান, আগেও ভাটে পোস্ট করেছি, সমরেশবাবুর জন্য আবার করলাম :-)
     
  • অরিন | 119.224.***.*** | ০২ জুন ২০২৪ ১৩:০১532595
  • সমরেশ বাবু, আপনার লেখাটা পড়ে টমাস হ্যারিস নামে এক মার্কিন মনস্তত্ত্ববিদ, তাঁর Staying Ok নামে বইটিতে লেখা "One life, one chance, up or out", কথাটা মনে পড়ে গেল।
     
  • kk | 172.56.***.*** | ০২ জুন ২০২৪ ২০:২৩532607
  • সমরেশ লান,
    লেখা পড়লাম। আপনার পার্সপেক্টিভও বুঝলাম। বেশ। একটা দুটো ছোট প্রশ্ন আছে। আপনি লিখেছেন ফাস্টফুডের থেকে ঢিমে আঁচে রান্না বিরিয়ানি আপনার বেশি পছন্দ। এখানে কি কঠিন বিষয়ের ওপর জ্ঞানবর্ধক বই বা চমক দেওয়া প্রতীকী ছোটগল্পই 'ফাস্টফুড'? যদি হ্যাঁ হয় তাহলে, এদের মধ্যে 'ফাস্ট' কম্পোনেন্টটা কী? দ্বিতীয়ত, প্রতীকী গল্প মানেই "চমক দেওয়া" বলে কি আপনার মনে হয়? এমন কি হতে পারে যে ওটাই লেখকের স্টাইল, চমক দেওয়াটা উদ্দেশ্য নয়?

    অ্যান্ডরের কালকে ঐ পোস্ট (যেটা এখানে রেফার করা হয়েছে) আর এই লেখার পরিপ্রেক্ষিতে ঐ বর্তমানের সংকীর্ণতা ইত্যাদি নিয়ে কটা কথা বলবো ভেবেছিলাম। তবে এখন সময় নেই। পরে সুযোগ মত বলবো খন।
  • সমরেশ মুখার্জী | ০২ জুন ২০২৪ ২১:১২532613
  • @ kk 
     
    কঠিন বিষয়ের ওপর জ্ঞানবর্ধ্বক  প্রবন্ধ - মোটেও ফাস্ট‌ফুড নয় - তা ত্রিফলা ভেজানো জল, বা চ‍্যবনপ্রাশ অথবা নিমের শরবৎ যা রবীন্দ্রনাথ নিয়মিত পান করতেন। এসব স্বাদে সুস্বাদু নয়, কিন্তু খেত পারলে শরীরের পক্ষে উপকারী।

    চমক দেওয়া প্রতীকী ছোটগল্প - পিৎজা, পাস্তা, বার্গার, হটডগ সদৃশ ফাস্টফুড - অতি সুস্বাদু।

    সুদীর্ঘ উপন‍্যাস - ঢিমে আঁচে রাঁধা বিরিয়ানী।

    এহেন পঠনস্বাদের শ্রে‌ণীবিন‍্যাস একান্ত‌ভাবে আমার নিজস্ব পছন্দ, ধারণা যার প্রাজ্ঞজনের স্বীকৃতি‌র বাসনা নেই। ১৯.৫এ পোষ্টিত "কেকের অভিমত প্রসঙ্গে" লেখায় - আমার ধারণা‌য় অনুভূত - গুরুতে পাঠ মন্তব্যের যেমন পাঁচটি ধরণ উল্লেখ করেছি‌লাম - এটাও তেমন। 
     
    এসব দেখে কেউ আমায় "জাজমেন্টের মালগাড়ি" বললে‌ও কিছু এসে যায় না। কারণ আগেও বলেছি mentally impaired না হলে স্বাভাবিক মানুষের ইন্দ্রিয়‌গ্ৰাহ‍্য অনুভব থেকে কিছু ধারণা হতে বাধ‍্য। কেউ তা প্রকাশ করে - কেউ করে না। কেউ প্রাথমিক ধারণা‌র ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেয় বা প্রতিক্রিয়া করে। কেউ আরো নানা‌ভাবে পর্যবেক্ষণ করে প্রাথমিক ধারণা দৃঢ়, সংশোধন বা বাতিল করে। বোঝাতে পারলাম?

    আপনার দ্বিতীয় প্রশ্ন - "প্রতীকী গল্প মানেই "চমক দেওয়া" বলে কি আপনার মনে হয়? এমন কি হতে পারে যে ওটাই লেখকের স্টাইল, চমক দেওয়াটা উদ্দেশ্য নয়?" - অবশ‍্য‌ই হতে পারে। চমক পাঠকের লাগলেও ওটাই হয়তো অজ্ঞানে লেখকের USP. এক্ষেত্রে আমার ধারণা universally applicable to all writers নয়। 
  • Kishore Ghosal | ০২ জুন ২০২৪ ২১:৫৯532619
  • তোমার লেখা কখনো কখনো বুঝতে পারছি কিনা, সেটাই বুঝি না। এখন এটাই আমার বৃহৎ সমস্যা। 
  • সমরেশ মুখার্জী | ০২ জুন ২০২৪ ২৩:১৪532628
  • @ kk,
    সরি, আপনার মন্তব‍্যে একটা পয়েন্ট মিস করে গেছি -  সেটা হচ্ছে:  "ফাস্ট" কম্পোনেন্টটা কী?

    ফাস্ট কম্পোনেন্টের উদাহরণ হিসেবে ধরুন  - ম‍্যাকডোনাল্ডের DITA (Drive In Take Away) ফুডের কনভেনিয়েন্স। ঐ বার্গার, হট ডগ ইত‍্যাদি। মানে ১০০০ / ১৫০০ শব্দের একটা ছোট গল্প খুললেন এবং একবারে পড়ে ফেললেন। এটাই ফাস্ট কম্পোনেন্ট। এসব লেখা বুকমার্ক করে রেখে ভুলে যাওয়ার প্রশ্ন নেই। 
     
    তবে DITA ফুড চটজলদি পাওয়া গেলেও - তাতে চিজ, বাটার, প্রোটিন ইত‍্যাদি বেশী থাকে বলে - তাড়াতাড়ি খেয়ে ফেললেও কখনো হজম হতে সময় লাগতে পারে।
    ফাস্ট কম্পোনেন্টটা কী বোঝাতে পারলাম? 

    এবার কেউ বলতে পারে - অন‍্যের লেখা‌র ক্ষেত্রে তো আপনার ধারণা‌য় চ‍্যবনপ্রাশ, ফাস্ট ফুড, বিরিয়ানী এসব বোঝা গেল। তাহলে আপনার ধারণা‌য় আপনার লেখা কী জাতের?

    দেখুন নিজেই প্রশ্ন করে নিজেই উত্তর দেওয়া‌টা কেমন যেন লাগে। এটা যদি কেউ জানতে চায় নির্দ্বিধায় বলতে পারি। কারণ তা নিয়ে‌ও আমার ধারণা খুব পরিস্কার।
     
  • kk | 172.56.***.*** | ০৪ জুন ২০২৪ ০৪:০২532682
  • আচ্ছা। আপনার বিশদ উত্তরের জন্য ধন্যবাদ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন