এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  অন্যান্য  মোচ্ছব

  • বাংলাদেশের রাজনীতির হালচাল! 

    কিংবদন্তি লেখকের গ্রাহক হোন
    অন্যান্য | মোচ্ছব | ২৩ আগস্ট ২০২৩ | ১২০৯ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • "এই ছেলেকে যদি খালেদা জিয়া ক্ষমতায় বসাতে চান, এ দেশের জন্য অমঙ্গল হবে। খালেদা জিয়াকে ভোট দেওয়ার এখন অর্থ হবে তার এই বাজে ছেলেটাকে ভোট দেওয়া, হুইচ বেঙ্গলি ক্যান নট আ্যাফোর্ড। শেখ হাসিনা ভালো করছেন কি খারাপ করছেন, সেটা অন্য কথা । কিন্তু আমাকে যদি জিজ্ঞেস করেন, আপনি কি ওই পসিবিলিটিটা একসেপ্ট করবেন? আমি বলব, লেট হাসিনা কনটিনিউ উইথ হার মিসরুল অর ব্যাডরুল। কারণ, ওই ছেলে যদি ক্ষমতায় আসে, তাহলে খুব খারাপ সিচুয়েশন হবে। ইউ উইল লিভ লং এনাফ টু সি দ্যাট । তবে আমি তাদের ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা দেখি না। কী জন্য? পপুলার ভোট উইল নট বি অন হার সাইড। আপনাকে আমি সহ্য করতে পারি। কিন্ত আপনার পর যে খারাপ লোকটা আসবে, এইটা বরদাশত করতে পারি না। এ রকম একটা সিচুয়েশনে আছে দেশবাসী । আমিতো সাধারণ লোকের সঙ্গেও কথা বলি। আমি নিজেও চিন্তা করি। এটা একটা আনফরচুনেট সিচুয়েশন। আরেকটা কথা । অপজিশন পার্টি হিসেবে যে রেসপনসিবিলিটি থাকে, টু প্রটেক্ট দ্য পিপল ফ্রম দ্য র‍্যাথ অব দ্য রুলিং ক্লিক, সেইটা পালন করেনি বিএনপি । এখনো করছে না। দে হ্যাভ লেফট দ্য পিপল অ্যাট দ্য মার্সি অব আওয়ামী লীগ।" ( ইতিহাসের যাত্রী/ মহিউদ্দিন আহমদ)। 

    কথা গুলো লেখক, গবেষক মহিউদ্দিন আহমদকে বলছেন সাংবাদিক আমানউল্লাহ। কিছুটা নিভৃতচারী এই সাংবাদিক এপিপির চিফ রিপোর্টার ছিলেন, পিপিআইয়ের পুর্ব পাকিস্তান অঞ্চলের প্রধান, দুই মেয়াদে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার( বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চিফ এডিটর ছিলেন। এছাড়া ভয়েজ অফ আমেরিকা, ডেইলি টেলিগ্রাফের সাংবাদিকও তিনি ছিলেন। তার উদ্ধৃতি দিয়ে শুরু করলাম কেন বলছি। তার আগে বলি তারেক রহমান সম্পর্কে এমন ধারণা বিএনপির অনেক নেতাকর্মীও রাখেন। কেন রাখনে? কয়েকদিন আগে ২১ আগস্ট গেল, ২০০৪ সালের ২১ আগস্টে জনাব তারেক রহমান একটা কাণ্ড করে ছিলেন। যা বাংলাদশের রাজনীতিতে বহুদিন দেখেনি কেউ। গ্রেনেড মেরে বিপক্ষকে উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা! কেউ মানুক আর না মানুক, ওইদিনের পরে বাংলাদেশের রাজনীতির ধারা পরিবর্তন হয়ে গেছে। জানে মেরে ফেলার ব্যাপারটা আগে ছিল না, তারেক রহমান যুক্ত করেন রাজনীতিতে আর এরপরে এখন সব এসপারওসপার খেলা চলছে। এখন কেউ কাওকে আর এক বিন্দু বিশ্বাস করে না। আওয়ামীলীগের বিশ্বাস করার কোন রাস্তাও রাখে নাই বিএনপি। তারেক রহমানের নানা কীর্তির মধ্যে এই একটা কীর্তিই যথেষ্ট তাকে অপছন্দ করার জন্য। সাংবাদিক আমানুল্লাহ যে ভয় থেকে কথা গুলো বলেছেন, বাংলাদেশের সচেতন প্রতিটা নাগরিক মনে মনে তা সত্য বলে জানে। তবে সচেতন আর আম নাগরিকের মধ্যে পার্থক্য আছে, এটাও সত্য, আমের সংখ্যাই বেশি এইটা আরও বেশি সত্য। 

    তারেক রহমানকে দিয়ে কেন শুরু করছি তা বলার আগে ২১ আগস্টের কথা আরেকটু বলে নেই। কারণ কেউ যেন সন্দেহ না রাখে যে তারেক রহমান বা বিএনপি সেই হামলার সাথে জড়িত ছিল না। তৎকালীন বিএনপি সরকার সমস্ত শক্তি দিয়ে এই হামলার পরবর্তী সমস্ত প্রমাণাদি লোপাটের চেষ্টা করেছে। খালেদা জিয়া সংসদে দাঁড়িয়ে হাসতে হাসতে বলেছে শেখ হাসিনা নিজেই ব্যাগে করে গ্রেনেড নিয়ে গেছে সমাবেশে! একবার বলেছে ভারত সরাসরি জড়িত এই হামলার সাথে আরেকবার পার্থ নামের একজনকে ধরে এনেছে! আবার তাও টিকিয়ে রাখতে পারেনি, জালাল নামে আরেকজনকে ধরে ছিল পুলিশ। জোড়াতালি দিয়েও গল্প মিলাতে পারেনি। এরপরে আসে জজ মিয়া কাহিনী। জজ মিয়াকে আসামি করা হয়। তাকে জবানবন্দি  দিতে বলা হয়। তার পরিবারকে সরকার দেখবে, টাকা দিবে, তাকে কিছুদিন পরে মুক্তি দিবে এমন নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাজি করানো হয়। আর্জেস গ্রেনেড দেখতে কেমন তাও না জানা জজ মিয়া হয়ে জান শীর্ষ সন্ত্রাসী! যিনি এর আগে গুলিস্তানের ফুটপাথে সিডি বিক্রি করত, মাঝে মধ্যে লোকাল বাসের হেলপারই করত! এগুলা সব প্রমাণ করে সরকারের সংশ্লিষ্টতা। যদিও নির্লজ্জের মত এখনও, এখনও এই বছরও বিএনপির মুখপাত্র মির্জা ফকরুল বলেছেন ২১ আগস্ট আওয়ামীলীগর নিজের সাজানো নাটক ছিল! ২৪ জনের মৃত্যু, মঞ্চে গ্রেনেড নিক্ষেপ, মৃত্যু নিশ্চিত করতে ব্রাস ফায়ার একবার মঞ্চে আরেকবার শেখ হাসিনার গাড়িতে! এগুলা সব নাটক! এই দলটাকে একটা অবিশ্বাস্য সার্কাস পার্টি লাগে আমার কাছে! 

    বিএনিপির অতি জামাত প্রেম আর তারেক রহমানের মত নেতৃত্বই ডুবিয়েছে দলটাকে। রাজনীতির শিক্ষায় বিএনপি শিশু পর্যায় আছে বলা চলে। বুঝে শুধু রক্তাক্ত রাজনীতি, স্থূল রাজনীতি। গত মাসের কথাই যদি বলি, সমাবেশ করার জন্য সারাদেশ থেকে প্রচুর মানুষ ঢাকায় আসল। সরকার এর আগে এত মানুষ নিয়ে সমাবেশ করার অনুমতি দেয়নি। এবার দিয়েছে। আসলেই প্রচুর মানুষ আসছিল। তারা সমাবেশ করে আর ঢাকা ছাড়বে না নিয়তে বসে যাবে এমন পরিকল্পনা বুঝা যাচ্ছিল। নেতা কর্মীরা বহুদিন পরে মনে জোর খুঁজে পেয়েছিল। এক দফা এক দাবী, সরকারের পতন! স্বভাবতই পুলিশের সাথে পরেরদিন শুরু হল ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। এর মধ্যে বিএনপির নেতা গয়স্বর চন্দ্র রায়কে পুলিশ ধরে নিয়ে ডিবি পুলিশের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।  ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন-অর রশীদ তাকে দুপুরের খাবারের জন্য বলেন। দুইজনে মিলে মিশে মধ্যাহ্ন ভোজন সারেন। এবং এরপরে যেভাবেই হোক তার স্থির চিত্র এবং চলমান চিত্র ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পরে! যে পরিবেশ তৈরি হয়েছিল আন্দোলনের তা এক নিমিষে শেষ! দলের নেতা কর্মীদের ভিতরে আর আগের মনোবল দেখা যায়নি। আন্দোলন শেষ, পরেরদিনই সম্ভবত নেতা কর্মীরা সব বাড়ি ফিরে গিয়েছিল। 

    অনেকেই বলছে এইটা একটা নোংরা কাজ হয়েছে। খাওয়ানো তারপরে আবার ছবি তুলে ছেড়ে দেওয়া, খুব খারাপ কাজ হয়েছে। কোন সন্দেহ নাই, আসলেই ভাল কাজ হয়নি। কিন্তু আপনি কী চিন্তা করে এমন আন্দোলনের মধ্যে ডিবি পুলিশের সাথে খেতে বসে গেলেন? এর উত্তর কে দিবে?  অনেকেই বলছে পুলিস হয়ত জোর করে খাইয়েছে! মানে পুলিশের ভয়ে তিনি খেতে বসেছেন। ধরেন এই আন্দোলনটা আওয়ামীলীগ করছে, মতিয়া চৌধুরী বা তোফায়েল আহমেদকে ডিবি পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। এদের কাওকে ডিবি পুলিশ সোনারগাঁ হোটেল থেকে খাবার এনে আপ্যায়ন করে খাওয়াত পারত? অসম্ভব! এখানেই রাজনীতিতে পরিপক্বতার প্রসঙ্গ এসে যায়। যা বিএনপির ক্ষেত্রে পাওয়া মুশকিল। ক্যান্টনমেন্ট থেকে জন্ম নেওয়া একটা দলের ক্ষেত্রে এর চেয়ে ভাল আর কিছু আশা করা যায় না। 

    বিএনপি এমন সুযোগ আবার পাবে কি না আমার জানা নাই। সম্ভবনা খুব কম। এবার নির্বাচনের বছর। সময় মত সাইদিও মারা গেলেন। আবার তারা রাজনীতিতে ভুল করলেন সদলবলে। মাতম উঠে গেল বিএনপির নেতা কর্মীদের। তারেক রহমান বিদেশে বসে কান্নাকাটি করে পোস্ট করা শুরু করে দিল। আর আওয়ামীলীগের হাতে এসে গেল আরেকটা সুবর্ণ সুযোগ। আমেরিকার ভিসা নিয়ে হুঙ্কার, নিষেধাজ্ঞার ভয় এগুলা মাথা ব্যথা ছিল, আছে সরকারের। সাইদির মৃত্যুর পরে বিএনপির মাতম দেখে এতদিন খুব বেশি সাড়াশব্দ না করলেও এবার বেশ কড়া ভাবেই সাড়া দিল ভারত। স্পষ্ট করে জানিয়ে দিল তারা কোনমতেই বাংলাদেশে জামাত বা জামাত সমর্থিত কোন দলকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। আমেরিকাকেও বুঝে শুনে নাক গলাতে বলল ভারত। আমি চাই আর না চাই, ভারতের ভূমিকা এই ভূখণ্ডের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি আমাদের দেশের রাজনীতিতে আমেরিকার নাক যেমন চাই না, তেমনই ভারতেরও চাই না। কিন্তু সত্য হচ্ছে আমার চাওয়া না চাওয়ায় কিছুই আসে যায় না। ভারতের এই সমর্থন সব হিসাব নিকাশ উলটপালট করে দিয়েছে। আমেরিকার হুমকিও এখন খুব একটা গুরুত্ব পাচ্ছে না সরকারের কাছে। অনেকের মত আমিও মনে করছি সামনে জি ২০ সম্মেলনে শেখ হাসিনার সাথে বাইডেনের একটা মিটিং হবে। প্রকাশ্যে হোক বা গোপনে, ভারতের মধ্যস্থতায় শেখ হাসিনা আবার ক্ষমতার নাটাই হাতে নেওয়ার সব ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করে ফেলবেন। 

    বিএনপির হাতে কী আছে? এইটার জন্যই শুরুতে তারেক রহমানের কথা লিখেছি। একমাত্র তারেক রহমানই পারে বিএনপিকে বাঁচাতে। তাকে দেশে ফিরতে হবে। সরকার জেল দিবে, দিক। আমার ধারণা ভুলও হতে পারে, কিন্তু আমি যা মনে করি তা হচ্ছে যেদিন তারেক রহমানকে নিয়ে বিমান দেশের মাটিতে যেদিন নামবে সেদিনই সব উলটপালট হয়ে যাবে! ভু রাজনীতি, আমেরিকা, রাশিয়া, ভারত সব কিছুই পরিবর্তন হয়ে যাবে। এয়ারপোর্ট থেকে জেল পর্যন্ত নিতে নিতেই যে গণ জোয়ার তৈরি হবে তা সামাল দেওয়া কোন সরকারের পক্ষেই সম্ভব হবে না। তারেক রহমানের অনেক দোষ, ক্রিমিনাল একটা মানুষ, সব সত্য। এইটাও সত্য যে তার সামনেই একমাত্র, সম সাময়িক আর কোন নেতার সামনেই এই সুযোগ নাই, একমাত্র তার সামনেই আছে মহা নায়ক হাওয়ার সুযোগ। কিংবদন্তী হওয়ার সুযোগ। বিএনপির কর্মীরা হাপিত্যেশ করছে বছরের পর বছর, একজনের নেতৃত্বের জন্য, দৃঢ় একটা নেতৃত্ব। লন্ডনে বসে ভিডিও বার্তা ভাষণে কর্মীরা উজ্জেবিত হয় না আর। এই সুযোগ তারেক রহমানের সামনে গত নির্বাচনের সময়ও ছিল। কিন্তু তিনি সম্ভবত জেলে যাওয়ার ঝুঁকি নিতে রাজি না। সম্ভবত তিনি কোন ঝুঁকিই নিতে রাজি না নিজেকে নিয়ে! এমন চিন্তা যার তাকে নেতা মেনে আর যাই হোক বাংলাদেশে রাজনীতি হয় না। এই উপমহাদেশের ভিতরে বাংলাদেশর বা বাঙালির মত রাজনীতি বুঝে এমন আর কোন জাতি নাই। এইখানে ফাঁকিজুঁকির জায়গা নাই!  
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • অন্যান্য | ২৩ আগস্ট ২০২৩ | ১২০৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • guru | 146.196.***.*** | ২৩ আগস্ট ২০২৩ ১০:৪০522860
  • শরীফ ভাই ,
     
                 খুব ভালো বিশ্লেষণ লিখেছেন | আপনার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা অসাধারণ | 
     
    "আমেরিকার ভিসা নিয়ে হুঙ্কার, নিষেধাজ্ঞার ভয় এগুলা মাথা ব্যথা ছিল, আছে সরকারের। সাইদির মৃত্যুর পরে বিএনপির মাতম দেখে এতদিন খুব বেশি সাড়াশব্দ না করলেও এবার বেশ কড়া ভাবেই সাড়া দিল ভারত। স্পষ্ট করে জানিয়ে দিল তারা কোনমতেই বাংলাদেশে জামাত বা জামাত সমর্থিত কোন দলকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। আমেরিকাকেও বুঝে শুনে নাক গলাতে বলল ভারত। "
     
     কিন্তু ঘটনা হচ্ছে যে আমেরিকা কেন এর আগে ভিসা নিয়ে হুঙ্কার, নিষেধাজ্ঞা ইত্যাদি দিয়েছিলো হাসিনাকে ? হাসিনার কোন নীতি এদের অপছন্দ ছিল ? 
     
    দ্বিতীয়তঃ ভারতের হাসিনাকেই ক্ষমতায় দেখতে চাইবার ব্যাপারটি আমেরিকা কেন মেনে নিলো ? এটি তো ভারতের স্বার্থ হতে পারে কিন্তু ভারতের স্বার্থ আমেরিকা কেন মেনে নিলো ?
     
    আরেকটি বক্তব্য হচ্ছে যে , আমেরিকা বা ইউরোপ কি গার্মেন্টস সংক্রান্ত এক্সপোর্টের ব্যাপারে বাংলাদেশের উপরে প্রভাব খাটাতে পারে ? বাংলাদেশের অর্থনীতি মূলতঃ নির্ভরশীল আমেরিকা বা ইউরোপ গার্মেন্টস খাতে রপ্তানি করে | সেই ব্যাপারটি নিয়ে কি চাইলে হাসিনার উপরে প্রভাব বিস্তার করতে পারে পশ্চিমি দেশগুলো ?
     
     
     
  • কিংবদন্তি | ২৩ আগস্ট ২০২৩ ১১:৩৮522862
  • গুরু, আমেরিকা মেনে নেয়নি, আমি আশা করছি মেনে নিবে। সেটা ভারত মার্কিন সম্পর্কের কারণেই নিবে বলে আমার বিশ্বাস। এই অঞ্চলে আমেরিকার অতি প্রয়োজনীয় বন্ধু রাষ্ট্র ভারতই। যদিও ভারত এখন অনেকটাই রাশিয়া পন্থি বলা চলে। তবুও আমেরিকা ভারতকে সমীহ করেই চলে শুধু এদিকের ভু রাজনীতির কারণে। বাংলাদেশের মত ছোট্ট দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলিয়ে ভারতের মত শক্তির বিপক্ষে যেতে চাইবে না আমেরিকা। 
    আমেরিকা না, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন চাইলে বিপদে ফেলতে পারে বাংলাদেশকে। আমাদের গার্মেন্টসের বড় বাজার ইউরোপ, আমেরিকা না। আমেরিকায় গার্মেন্টসের খুব অল্প পণ্যই যায়। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন চাইলে ভাল চাপ দিতে পারে। তবে আজ পর্যন্ত দেয়নি, কেন? কারণ হচ্ছে আমরা এমন না যে ওদের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে চলছি। আমরা ব্যবসা করছি। আর ব্যবসায় আপনে চাইলেই হুট করে কোন কিছু করতে পারবেন না। ওরা কোন দয়া দাক্ষিণ্য করছে এখানে। সস্তায় আমরা দিচ্ছি বলেই কাজ করাচ্ছে, ব্যবসা করছে। কালকে অন্য কেউ সস্তায় দিবে ওরা ধীরে ধীরে ওদিকেই চলে যাবে। তাই গার্মেন্টস দিয়ে আমাদের বিপদে ফেলবে এমন কোন সম্ভাবনা আমি দেখি না। 
  • Joshita | 194.56.***.*** | ২৩ আগস্ট ২০২৩ ১৬:২৫522865
  • সাদেক,
    হয়ত তুমি জানো না, তাই বলে রাখি, দুনিয়ার সেরা টেক্সটাইল (গারমেন্ট্স নয়) ইন্ডাস্ট্রি ছিল সুইটজারল্যান্ড ও জার্মানিতে। সত্তরের দশকের শেষ পর্যন্ত এদেরই ছিল রমরমা, কোয়ালিটিতে সেরা। ইংলন্ডের রাণী শুধু নয়, দুনিয়ার সমস্ত রাজপরিবারেই যে সমস্ত সুতির কাপড় সরবরাহ করা হতো, সেটা এই সুইটজারল্যান্ড থেকেই। বলাই বাহুল্য ইয়োরোপিয়ান ইউনিয়নে এই দেশ নেই। কিন্তু আশির দশকের প্রথমার্ধ মোটামুটি কেটে গেলেও দ্বিতীয়ার্ধে প্রায় সমস্ত টেক্সটাইল মিল ই উঠে গেল ইয়োরোপ থেকে। ইয়োরোপ বলতে পশ্চিম ইয়োরোপের কথা বলছি। তদানীন্তন সমাজতান্ত্রিক কাঠামোয় পূর্ব ইয়োরোপের অধিকাংশ দেশই ছিল, তাদের প্রসঙ্গ এখানে নেই। তাদের কোয়ালিটিও ছিল মোটা দাগের - টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিতে (শোনা কথা নয়, নিজে বাস করেছি বলেই বলছি)। টেক্সটাইল মিল শুধু উঠেই গেল বললে কম বলা হবে, তথাকথিত "গারমেন্ট্স ইন্ডাস্ট্রি" ও মায়ের ভোগে। অ্যামেরিকাতেও একই হাল। অবশ্য ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি অন্য জিনিস। সে জিনিস উঠে যায় নি।
    টেক্সটাইল মিল এবং গারমেন্ট্স ইন্ডাস্ট্রি মায়ের ভোগে যাবার পেছনে মূল কারণ দাম। প্রাইস ট্যাগ। কর্মীদের বেতন বেশি দিতে হয়, তাই পড়তায় পোষাবে না সস্তায় বেচতে গেলে। তখন পাল্লা দিয়ে সস্তার কাপড়জামা বেচছিল চীন। সঙ্গত করছিল ভারত, বাংলাদেশ, রোমানিয়া, বুলগারিয়া, এইরকম কয়েকটা দেশ। সস্তার শ্রম কিন্তু কোয়ালিটি মধ্যমানের। চীনের কোয়ালিটি খুবই বাজে, কিন্তু তারা অ্যামেরিকায় ততদিনে জাঁকিয়ে বসেছে। কোনো কাপড়জামাই অ্যামেরিকায় আর তৈরি হয় না।
    ইয়োরোপে ক্রমশঃ ভালোরকম জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। ২০০১ সালেও আমি বাংলাদেশের তৈরি জামাপ্যান্ট কিনেছি ইয়োরোপে। আটপৌরে জামা প্যান্ট। আফ্রিকার কিছু দেশও টেক্সটাইল/গারমেন্ট্স ইন্ডাস্ট্রিতে রয়েছে। ইয়োরোপ বা অ্যামেরিকা এখন হুট করে আমদানী বন্ধ করতে পারবে না। উলঙ্গ হয়ে যাবে তাহলে, দেশে কাপড়জামা নেই, লোকে পরবেটা কী?
    তাই বাংলাদেশ একাই একশো। চীনের কোয়ালিটি দিনকে দিন খারাপ হচ্ছে।
  • Joshita | 194.56.***.*** | ২৩ আগস্ট ২০২৩ ১৬:৫৬522868
  • "এই উপমহাদেশের ভিতরে বাংলাদেশর বা বাঙালির মত রাজনীতি বুঝে এমন আর কোন জাতি নাই। এইখানে ফাঁকিজুঁকির জায়গা নাই! " -
    এইটা আলা হয়েছে। টয়লেটে যেতে গেলেও বাঙালী রাজনীতি করে।
  • guru | 103.15.***.*** | ২৩ আগস্ট ২০২৩ ২০:২৬522872
  • শরীফ ভাই ,
     
                   গত এক দেড় বছর ধরেই হাসিনা ভারতের কাছে দরবার করে আসছেন গদীতে টিকে থাকার জন্য | আমি নিজেই প্রথম আলোতে গতবছরই রিপোর্ট দেখেছি বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রীর গত বছরে ভারতীয় মন্ত্রী জয়শঙ্কর ও অজিত ডোভালের কাছে সমর্থনের আর্জি নিয়ে গদিতে টিকে থাকার ও আম্রিকার কাছে হাসিনার পক্ষ নিয়ে দরবার করবার জন্য | 
     
                 ঐতিহাসিক ভাবেই ভারত (সে কংগ্রেস বা বিজেপি যেই আসুক না কেন দিল্লির গদীতে) BNP বা জামাতকে বাংলাদেশে ক্ষমতায় দেখতে চায়না | এবং এর আগেও ভারত বহুবার তাদের এই পছন্দের কথা আন্তর্জাতিক মহলে জানিয়েছে | 
     
                কথা হচ্ছে জামাতের এক নেতার কারাগারে মৃত্যুতে হঠাৎ করে ভারত আওয়ামী লীগের ব্যাপারে খুবই নরম হয়ে গেছে এটা ভাববার কারণ কি ? আমার মনে হয় আপনি এই জামাত নেতার মৃত্যুর ব্যাপারটি সঙ্গে ভারতের হাসিনাকে নতুন করে সমর্থন করবার কোনো সম্বন্ধই নেই | ভারত ঐতিহাসিক ভাবেই হাসিনাকে সমর্থন করে এসেছে, জামাতের নেতার মৃত্যু এখানে গুরুত্বপূর্ণ নয় বলেই মনে করি |
     
               আপনি এখানে একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন যে BNP এর নেতাদের বিদেশ থেকে দেশে ফিরে জেল বরণ করে নেওয়া যাতে বাঙালি তাদের মেনে নিবে  | তবে সত্যি কথা বলতে কি BNP এর খালেদা জিয়া এবং জামাতের প্রায় সব বড় নেতারাই তো দেশে থেকে বিচার ট্রাইবুনালের দেওয়া শাস্তি মেনে নিয়েছেন | এরা অনেকেই ফাঁসি ও আজীবন কারাবাস মেনে নিয়েছেন | তাতে কি এদের রাজনীতিতে বাংলাদেশের মধ্যে সমর্থনের কিছু তারতম্য হয়েছে ? বাঙালি কি ভবিষ্যতে এদের রাজনৈতিক শহীদ বলে মেনে নেবে ?জানিনা ভাই আপনি বলতে পারবেন আরো ভালো করে | 
     
               এটা কি হতে পারে যে তারিক রহমান বসে আছে কবে হাসিনা আপা কবরে যাবে এবং তখনি সে দেশে ফিরে আসবে ? যেহেতু হাসিনা সরকার এইসব BNP ও জামাত নেতাদের জেল ও ফাঁসি দিয়েছে তাই এটা কি বলা যায় তারিক রহমান সেই ভয়েই আসতে চাইছেনা ? 
  • কিংবদন্তি | ২৪ আগস্ট ২০২৩ ০১:২৭522881
  • যোষিতা দি, জানব না কেন, জানি তো। আমি টেক্সটাইলের মানুষ। অল্প বিস্তর জানি এই সব। শেরপুরে ফিরে আসার আগে মারচেন্ডাইজিং করতাম। তখন ইউরোপের প্রায় সব ব্র্যান্ডের কাজই করেছি। এইচএনএম, সিএ এই সব ব্র্যান্ডের অর্ডার এখানে হরহামেশা লেগে থাকত। এখন এইচএনএম নিজেই অফিস খুলছে, তবুও প্রচুর কাজ আসে ইউরোপ থেকে। সেইন্সবেরি, নাটমেগ নামে দুইটা বাচ্চাদের ব্র্যান্ডের কাজ করেছি সর্বশেষ। সারা বছর লাখ লাখ পিসের কাপড় পাঠাতাম। যাই হোক, যা বলছিলাম তা হচ্ছে ইউরোপ যে আমাদের থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিবে না তা আমি জানি। গার্মেন্টসে আমাদের আরও বহুদূর যাওয়া বাকি আছে। এই প্রসঙ্গে একটু বলি। বর্তমানে গ্রিন ফ্যাক্টরির জয় জয়কার চলছে। গ্রিন ফ্যাক্টরির ভিতরে আবার প্লাটিনাম, গোল্ড এমন ক্যাটাগরি আছে। সারা দুনিয়ায় প্লাটিনাম ক্যাটাগরির ১০০ ফ্যাক্টরির মধ্যে পঞ্চাশটাই বাংলাদেশে! এর মধ্যে  ৪৯টি পোশাক খাতে এবং একটি মাত্র বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি নির্মাণ শিল্পে। দ্বিতীয় স্থানে চিন আছে দশটা প্লাটিনাম গ্রিন ফ্যাক্টরি নিয়ে! ভারত ও শ্রীলঙ্কায় রয়েছে ৬টি করে প্লাটিনাম রেটেড কারখানা; ভিয়েতনাম ও তাইওয়ানে ৪টি করে এবং মিয়ানমার ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে ২টি করে কারখানা। গ্রিন ফ্যাক্টরির অন্য ক্যাটাগরি মিলিয়ে বাংলাদেশে গ্রিন ফ্যাক্টরি আছে ১৭১ টি, আরও ৫৫০ টি ফ্যাক্টরি সার্টিফিকেট পাওয়ার অপেক্ষায় আছে! কয়েকদিন আগেই এইটা নিয়ে নিউজ হয়ে ছিল বলে এখনও স্পষ্ট মনে আছে। এইটা খুব বড় একটা অর্জন। 
     
    গুরু, সব সত্য। আমি বলতে চাচ্ছি যতই আওয়ামীলীগের সাথে ভাল সম্পর্ক থাকার পরেও এতদিন সোজাসুজি সামনের নির্বাচন নিয়ে তারা কিছু বলেনি। আমার কাছে মনে হয়েছে সাইদির মৃত্যুর পরে বিএনপির আচারনে খোলাখুলি সমর্থন জানান সহজ হয়েছে ভারতের জন্য। এমনেও হয়ত করত, কিন্তু এবার সাইদির মৃত্যুর পরে করেছে। নেতৃত্ব শূন্য অবস্থায় আছে বিএনপি, তারেক রহমান আসলে মানুষের মনে একটা আশা তৈরি হবে আর তাতেই একটা গণ বিস্ফোরণ হবে এমন ধারণা আমি করছি, আরও অনেকেই করছে। তারেক কেন আসছে না? আমার ধারণা গত সেনাবাহিনী সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তারেক জেলে ছিল। শোনা যায় সেনা অফিসারেরা সেই সময় অমানুষিক নির্যাতন চালায় তার উপরে। এরপরে মুচলেকা দিয়ে তারেক দেশ ছাড়ে। আমার ধারনা সেই নির্যাতনের ভয় ওর এখনও আছে। ও নিজের উপরে কোন ঝুঁকি নিতে এই কারণেই ভয় পাচ্ছে।  
  • guru | 115.187.***.*** | ২৪ আগস্ট ২০২৩ ১৬:১৭522894
  • শরীফ ভাই ,
     
                      বাংলাদেশের গার্মেন্টস সেক্টর যা অভূতপূর্ব উন্নতি করেছে সেজন্য বাঙালি হিসেবে আমি ভীষণ গর্বিত | কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এতো বড় সাফল্যের পরেও শেখ হাসিনার ভারতের কাছে ভোট জেতার জন্য তদবির করার কি প্রয়োজন হলো ? আপনি যে সাফল্যের খতিয়ান দিচ্ছেন শুধু তথ্য দিয়েও তো হাসিনা ভোট জিতে যাবেন বিশেষ করে যখন সেভাবে কোনো বিরোধী পক্ষই নেই সামনে | তাহলে তার এতো বেশি বেশি করে ভারতের সমর্থনের প্রয়োজন হচ্ছে কেন ?
     
                      আমি মনে করি অর্থনীতির এতো বড় সাফল্যের পরেও হাসিনার ভারত এর উপরে এতটা নির্ভর করার কোনো প্রয়োজন ছিলোনা | আমি তো মনে করি ভারতের এখন বাংলাদেশেকে অনেক বেশি প্রয়োজন | এর পিছনে বেশ কিছু কারণ আছে | প্রথমতঃ এখন ভারত বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য দেখলে বলতেই হয় ভারতের বাংলাদেশকে যতটা প্রয়োজন বাংলাদেশের ভারতকে ততটাও প্রয়োজন নেই | ২০২২ সালেও ভারত বাংলাদেশে প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলারের জিনিস রপ্তানি করেছে এবং বাংলাদেশ ভারতকে রপ্তানি করেছে মাত্র ২ বিলিয়ন ডলারের জিনিস | অর্থাৎ বাংলাদেশের বাজার ভারতের অনেক বেশি করে প্রয়োজন | এর পাশাপাশি পরিষেবার কথা ভাবুন | কোলকাতার বেশ কিছু নামীদামী  প্রাইভেট হাসপাতাল বন্ধ হয়ে যাবে বাংলাদেশ থেকে পেশেন্ট না পেলে | 
     
                 তারপরে আছে মনিপুর দাঙ্গার পরে অশান্ত উত্তাল নর্থইস্টের জন্য ভারতের চিন্তা | বাংলাদেশের সাহায্য না পেলে দিল্লির পক্ষে প্রায় অসম্ভব এই অঞ্চলকে নিয়ন্ত্রণ করা |
     
                এতগুলো তাস হাতে নিয়েও হাসিনা যেইভাবে ভারতের পর নির্ভরশীল ভোটে জেতার জন্য সেটি দীর্ঘমেয়াদিভাবে বাংলাদেশের জাতীয় গৌরবের বিষয় নয় | 
     
                    একটা ব্যাপার বলি হাসিনা খালেদা তারেক সাঈদী জামাত বিনপি আওয়ামী লীগ এরা রাজনীতিতে আসবে যাবে কিন্তু বাঙালী চিরকাল থাকবে | আমি একটা কথা বুঝি মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল পাকিস্তানী জেনারেল রা একটি অবাধ ও মুক্ত নির্বাচনের ফলে আসা জনমতকে না মেনে নেবার জন্য | মুক্তিযুদ্ধের ৫২ বছর পরেও এখনো ভয় কিসের জনগণের রায় জানতে ? দীর্ঘমেয়াদি ভাবে এর একটাই ফল যেটা আপনি আশংকা করেছেন | আওয়ামী লীগের তথা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মানুষের কাছে রাজনীতির ভাবে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাওয়া যেহেতু আওয়ামী লীগ এখন আর জনমত নিয়ে চিন্তা করেনা | আমি জানি এই একই মনোভাব নব্বই দশকে সিপিএম দেখিয়েছিলো যার ফলে এখন তারা রাজনীতিতে পুরোপুরি অপ্রাসঙ্গিক | হাসিনা নিজে জেনেবুঝে কেন তার দলটার ভবিষ্যৎ নষ্ট করছেন কে জানে ? উনি আজকে জ্যোতি বসু যে ভুল করেছিলেন ঠিক সেই ভুলটাই করছেন |
  • কিংবদন্তি | ২৪ আগস্ট ২০২৩ ১৮:০৬522897
  • গুরু, আমি একমত। মুশকিল হচ্ছে জনগণ। আম জনগণ এক আজব জিনিস। এদের মানসিকতা বুঝা মুশকিল। তাই এখানে এখনও জামাতের রাজনীতি প্রাসঙ্গিক, এখনও লাখ লাখ, কোটি মানুষ অন্ধ বধির হয়ে থাকতে চায়, কোনমতেই চোখ কান খুলতে রাজি না এরা। শেখ হাসিনা সম্ভবত এদের উপরে নির্ভর করতে চায় না। আপনি জ্যোতি বসুর কথা বলছেন, আমার তেমন জানা নেই উনার সম্পর্কে। আমি স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের, যারা প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেন, তাদের মুখে শুনেছি মাহাথির মোহাম্মদের আদর্শে চলবে দেশ। কতটুকু সফল হয়ছে এই বছরে তা তুলনা করলে জানা যাবে। তবে লক্ষ্য ওইদিকেই। একক ক্ষমতার একটা কিক আছে, শেখ হাসিনা বা তাঁর মত আরও বেশ কিছু নেতা তা মানিয়ে নিতে পারলেও অনেক হেভি ওয়েট নেতা তো বটেই, তৃণমূল পর্যায়ের নেতারা সেই কিক হজম করতে পারছে না। আর তার খেসারত দিতে হচ্ছে, হবে আওয়ামীলীগকে। এর বাহিরেও আরেকটা সত্য হচ্ছে যেটা বললাম, আম জনতা আজব জিনিস। কোন কারণ ছাড়াই একজনকে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় দেখতে চায় না। এইটা এই ভূখণ্ডের অতীত ইতিহাসে আরও ভাল করে দেখা গেছে। কেন জানি একজনকে বেশিদিন ক্ষমতায় মানতেই চায় না জনগণ। কিছুদিন আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হল। এক প্রার্থী ভালই কাজ করেছে কিন্তু জনমত দেখা দেখা গেল সে ফেল করবে! কেন? কেন ও তো করলই, এবার আরেকজনকে দেই! ও কাজ করে নাই? করছে, এবার আরেকজনকে দেই! কোন কারণ নাই, স্রেফ শুধু এই কারণে ওই প্রার্থী হেরে গেল! এই মানসিকতা এখানে প্রবল। এর কি চিকিৎসা আমার জানা নাই। তবে শেখ হাসিনা সম্ভবত জানে!  
  • guru | 103.175.***.*** | ২৪ আগস্ট ২০২৩ ২১:২৩522899
  • শরীফ ভাই ,
     
                   দেখেন আমি মনে করি বাঙালী আদতে আন্টি এস্টাব্লিশমেন্ট রাজনীতিতে বিশ্বাসী | উপমহাদেশে যত বড় বড় রাজনীতিক তারা মূলতঃ সবাই বিরোধী রাজনীতি করেই পরিচিত | গান্ধী থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধু পর্যন্ত সবারই এক ব্যাপার | বঙ্গবন্ধু যে কারণে বিরোধী হিসেবে যত জনপ্রিয় ছিলেন শাসক হিসেবে তার থেকে অনেক কম জনপ্রিয় | বস্তুতঃ আমি তো মনে করি ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধুর প্রতি একটি আশীর্বাদ | ওটা না হলে শাসক হিসাবে ইতিহাসে ওর স্থান আয়ুব খান বা ইয়াহিয়ার থেকে এমন কিছু ফারাক থাকতোনা |
     
                এই আন্টি এস্টাব্লিশমেন্ট রাজনীতি হবার জন্যই গণতন্ত্র টিকে থাকে নাহলে তো উত্তর কোরিয়া হয়ে যাবে পৃথিবী | বাংলাতে জোর করে বার বার ক্ষমতাতে থাকলে একটাই ব্যাপার যে একবার ভোট হারলে আর ফিরে আসা যাবেনা | দেখুন জামাত এর রাজনীতি স্বাধীনতা বিরোধী তাতে কোনো সন্দেহ নেই কিন্তু তাদের এইভাবে শুধু শহীদ বানিয়ে দেওয়া হলো | জনগণকে ভরসা করে তাদের জনমত প্রকাশ করতে দিলে তাতে ভোটে হেরে গেলেও হয়তো একদিন হাসিনা ক্ষমতাতে আরামসে ফিরে আস্তে পারতেন (যেহেতু শাসক হিসাবে বিনপি বা জামাত একেবারেই ফালতু ) কিন্তু আরো একটা নির্বাচন ম্যানেজ করে তিনি চিরদিনের জন্য আওয়ামী লীগের রাজনীতি আর মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ এই দুটোকেই চরম আঘাত করেছেন যেটা থেকে আর কোনোদিন আওয়ামী লীগ বেরুতে পারবেনা বলেই মনে হয় | দেখুন আমি জ্যোতি বসুর উদাহরণ দিলাম একারণে যে সিপিএম যখন প্রথমে ক্ষমতাতে আসে তখন আওয়ামী লীগের মতো অনেক উচ্চ আদর্শ নিয়েই এসেছিলো এবং ১০-১২ বছর আওয়ামী লীগের মতোই প্রচুর ভালো কাজ করেছিল কিন্তু বারবার ভোট চুরি করে জিততে জিততে দলের মধ্যেই একটা কাজ না করার মনোভাব চলে আসে | "ভোটে তো জিতবোই তাহলে কাজ করে আর কি হবে ?" এইরকম একটা মনোভাব এসে গেছিলো তাদের | এর ফল হলো যে শেষপর্যন্ত একবার ভোটে হারতেই সিপিএমের রাজনীতিটাই শেষ হয়ে গেলো | আপনি ভাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির যে বর্ণনা দিচ্ছেন তাতে মনে হয় আওয়ামী লীগের ওই দশা হতে যাচ্ছে | এবারের ভোট হয়তো ম্যানেজ করে নেবে কিন্তু ১০-১৫ বছর পরে যখন হাসিনা আল্লার নিয়মেই কবরে থাকবেন তখন কি করবে ? 
     
            আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে যে উন্নয়ন জিনিসটা মানুষ যত পায় তত আরো চাইতে থাকে | আজকাল বহু বাঙালী প্রত্যেক বছর পশ্চিমা দেশগুলোতে বেড়াতে যায় তারা সেখানকার দেশ দেখে বারবার নিজের দেশের সঙ্গে তুলনা করে এবং একারণেই সবচেয়ে বেশি ক্ষোভ জমতে থাকে হাসিনার বিরুদ্ধে |
     
          দেখুন আমার কাছে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ গণতন্ত্রের জন্য লড়াই | কোনো জাতি ব্যক্তি বা দলের একচেটিয়া নয় ১৯৭১ সারা পৃথিবীর গণতন্ত্র ও মুক্ত নির্বাচন কামি মানুষের কাছে অমূল্য সম্পদ | কিন্তু হাসিনা বারবার ভোট চুরি করে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের বিরুদ্ধে কাজ করেছেন | ইতিহাস বড় বিচিত্র | কামাল আতাতুর্কের দেশে ২০ বছরের বেশি এরদোয়ান ক্ষমতাতে থাকবেন কেউ কি ভাবতে পেরেছিলো ?  
  • কিংবদন্তি | ২৫ আগস্ট ২০২৩ ০১:১৭522907
  • গুরু, আপনে যেগুলা বলছেন তা শুনতে ভাল, তত্ত্ব হিসেবে ঠিক আছে। কিন্তু বাস্তবে অনেক সমস্যা। কারণ বাস্তবে আমি দেখি আজকে ক্ষমতা পরিবর্তন হলে আবার একটা মাইগ্রেশনের মত পরিস্থিতি তৈরি হবে। আমাদের শান্ত শহর শেরপুরের হিন্দু মহল্লা গুলোতে টার্গেট করে করে হামলা হবে। প্রকাশ্যে এই সব বলে যায় এরা। আমি আমার লেখার শুরুতে  যে সাংবাদিকের উদ্ধৃতি দিয়েছি তা এমনে এমনেই দেই নাই। আমি ওইটা মিন করি। এবং এটাই সত্য। শেখ হাসিনার তরিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলা যেতেই পারে। আমার কাছে স্বস্তি হচ্ছে আমাকে এমন কোন দৃশ্য দেখতে হবে না যার জন্য আজীবন মানসিক পীড়াতে ভুগব আমি। 
    শেখ হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশ কী হবে তা আসলে আরও গভীর আলোচনার দাবী রাখে। ওঁর বোন আছে, ছেলে আছে, মেয়ে আছে। তারা কেউ হয়ত হাল ধরবে। দশ পনেরো বছর পরে শেখা হাসিনা থাকবে না যেমন তেমনই খালেদা জিয়াও থাকবে না। দুইজনই নেতৃত্ব তৈরিতে শূন্য পাবে। যদি না তলে তলে কোন পরিকল্পনা করে না থাকে। দল হিসেবে আওয়ামীলীগ বেশি গোছান, যেহেতু সরকার দলে আছে। অন্য দিকে তারেক রহমানের কথা তো বললামই, সুযোগ আছে মহানায়ক হওয়ার। কিন্তু তিনি দল, জনগণের চেয়ে নিজের নিরাপত্তা নিয়ে বেশি চিন্তিত। 
    শেখ হাসিনা বারবার ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসেছে এইটা কই পাইলেন? ২০০৮ সালের নির্বাচন দেশের সবচেয়ে ভাল নির্বাচন গুলোর মধ্যে অন্যতম। ১৪ সালে বিএনপি নির্বাচনেই আসে নাই। ১৮ সালের নির্বাচনে যতগুলা বিদেশি পর্যবেক্ষক আসছিল তারা কেউই কোন দুই নাম্বারই খুঁজে পায় নাই। আমিও আমার ভোট দিতে পারছি। একদম ফেয়ার হইছিল? না, বহু জায়গায় গুজামিল ছিল। অতি উৎসাহী নেতা কর্মীদের অতি পাকনামি দেখছি। যাই হোক, ১৮ সালের নির্বাচনে সমস্যা ছিল, কিন্তু আপনি যেভাবে বলছেন তেমন মনে হয় না। আপনি যতখানি শুনছেন, পড়ছেন তা সব সত্য না হয়ত। প্রথম আলোর মত পত্রিকা নির্বাচনের ছবিতে এডিট করে মহিলার কপালে সিঁদুর লাগিয়ে ছিল, আপনার জানা আছে কি না জানি না। তাই কোন মিডিয়াকে বিশ্বাস করবেন এই দেশের? আমি আমার খোলা চোখে যা দেখছি তাই লেখলাম। 
  • Ranjan Roy | ২৬ আগস্ট ২০২৩ ২১:০৩522969
  • গুরু
      আগামী বইমেলা নাগাদ বা ডিসেম্বর মাসে আপনার সঙ্গে কোলকাতায় একটু দেখা হতে পারে কি? আমি একটু এক কাপ কফি নিয়ে আড্ডা দিতে চাই। 
       
    শরীফ ভাই,
       আপনে শেরপুরের? আমরা কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের। তবে আমার জন্ম ১৯৫০ সালে কইলকাতায়।  আপনার "অতি পাকনামি" শব্দবন্ধে ফিদা হইলাম। আমাদের বাড়িতে বড়দের মুখে ছাড়া এই "পাকনামি" , "পাকনা ছ্যারা" (পাকা ছেলে),  "পাকনা লডা" (পাকা সিকনি!)  হুনি নাই। তারাও তো প্রায় সকলেই গত।
    বড় ভাল লাগল।
  • Prativa Sarker | ২৮ আগস্ট ২০২৩ ০৮:৫০523035
  • আজকে জ্যোতি বসু যে ভুল করছেন -- এই কথাটার মানে বুঝলাম না। 
    লেহাটা আমার খুব সাহসী এবং বিশ্লেষণাত্মক লাগল। 
  • যোষিতা | ২৮ আগস্ট ২০২৩ ২১:০৬523043
  • সাদেক,
    বাংলাদেশের নির্বাচনের জন্য বেজায় তোড়জোর চলছে পশ্চিমবঙ্গে। RDX (মতান্তরে "রাত দিন সেক্স", নবারুণ পশ্য) দিয়ে তৈরি করা বোমাবাজির লেবরেটরির খোঁজ মিলেছে। গতকালই পাইলট প্রোজেক্টের ড্রাই রান দেবার কালে নজনের ইন্তেকাল সম্পন্ন হয়ে গেছে। গ্রামে গ্রামে লেবরেটরি। তরল বিস্ফোরক!
  • যোষিতা | ২৮ আগস্ট ২০২৩ ২১:৪৭523046
  • আলু পেঁয়াজের মত বোমা। আলু পেঁয়াজের গুদামে বম্ব! এসব নাকি বাংলাদেশের নির্বাচনের জন্য সাপ্লাই লাইনে ছিল।
  • কিংবদন্তি | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০০:০৩523276
  • Ranjan Roy, হ, আমি আদি অকৃত্রিম শেরপুরের মানুষ! আব্বার চাকরি সূত্রে জন্ম ঢাকায় হইছে কিন্তু বেড়ে উঠা, পড়াশোনা সব শেরপুরেই।  কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর খুব পরিচিত জায়গা। কয়েকবার যাওয়া হইছে। এখন তো হাওয়ার দেখার জন্য মানুষ লাইন দিয়ে কিশোরগঞ্জ যাচ্ছে! আর আপনে ১৯৫০ সালে জন্ম নিয়ে আমাকে আর আপনে আপনে কইরেন না!  আমি পুলাপান মানুষ, আপনে বাদে তুই তুমি যা ইচ্ছা বলে সম্বোধন করতে পারেন! পাকনামি শব্দটা এদিকে বহুল ব্যবহৃত। পাকনা বা পাকনামির সাথে আগে পিছে নানা কিছু যোগ করে ব্যবহার করা হয়। আমি অতি লেখছি,  কেউ হিন্দি চুল দিয়েও বলে! 
    Prativa Sarker, ধন্যবাদ! 
     
    যোষিতা দি। ইলেকশন আসলেই এই সব কারণে ভয় করে। এবার তো মহা গণ্ডগোল হবে বলে সবাই আশঙ্কা করছে। কি যে হবে! 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত প্রতিক্রিয়া দিন