সঙ্গীসাথী
~~~~~~
রোহিনী আর সাইবুন্নিসা চলে যাওয়ার পর আরেকবার অনুভব করলাম যতই আঁকড়ে রাখতে চাই, জেলখানায় তৈরি হওয়া সম্পর্কগুলি আসলে কতটা ক্ষণস্থায়ী। তবু ওরা চলে যেতে মোহিনী যেন আমাকে মায়ের মত আগলে রাখতে শুরু করলো। আমার জন্যে রান্না করে দেওয়া - আমি যেন ঠান্ডা মেঝেতে না বসি সেই খেয়াল রাখা - আমাকে নিয়ে ব্যতিব্যস্ত হয়ে থাকতো। এই কদিনে আমার চুল কাঁধ পর্যন্ত লম্বা হয়ে গিয়েছিল। লাইফবয় সাবানে মাথা ধুয়ে ধুয়ে রুক্ষ জট পড়া চুল - মোহিনী যত্ন করে তালুতে নারকোল তেলে ঘষে ঘষে জট ছাড়াতো। বলতো ওর মেয়েকেও বাড়িতে এরকম করে জট ছাড়িয়ে দিতে হতো।
কল্পনা চলে যাওয়ার পর রান্নাবান্নার উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছিলাম। টাইট করে মাখা ছোলার ছাতু খেয়ে বেশ পেট ভরে যেত, কখনো হয়তো চাল ডাল আলুর খিচুড়ি খেতাম। এত শস্যপ্রধান, কার্বোহাড্রেট খাবার খাওয়ার অভ্যাস তো আমার ছিল না - তবে লক্ষ্য করে অবাকই হলাম যে এই খেয়েও আমার ওজন বেড়ে যাচ্ছে না। মাঝে মাঝে নাগো পায়রা ধরে রান্না করতো - সেখান থেকে দুয়েক টুকরো দিত। কোন ওয়ার্ড্রেস হয়তো কখনো একটু মাছ, দুটো কলা, বা বাড়ি থেকে নিয়ে আসা টুকটাক জলখাবার - এসবও দিত। আমার কাছে জেলের খাবার একঘেয়ে ছিল, কিন্তু বাকিদের জন্য এটা খুব আলাদা কিছু ছিল না। ওদের খাদ্যাভাস ঋতুনির্ভর - মরশুমি শাক সব্জী, ফল শস্য - যখন যে ফসল ভালো হয়। দুবেলাই - ভাত, বাজরা, জোয়ার, ভুট্টা - সঙ্গে হয়তো সামান্য অন্য কিছু।
ওখানে চা বড় শৌখিনতা - কালেভদ্রে খাওয়ার। মোহিনী সহ অন্য সবার কাছেই আমার সকালবেলার চা-তেষ্টা বড়লোকি অভ্যাস। আমি খুব অবাক হতাম - ভাবতাম চা তো ভারতেরই উৎপাদন - এখানে সবাই নিশ্চয় চা খায়! আসলে যে ফসল যতই ভালো হোক, দেশেরই বড় অংশের মানুষের কাছে তার অনেককিছু দুর্লভ, সাধ্যের থেকে অনেক দূরে। আমরা একসঙ্গে বসে চা খেতাম, আর সবাই বলতো আমি ওদের অভ্যাস খারাপ করে দিচ্ছি- জেল থেকে ছাড়া পেলে তো চা পাওয়া যাবে না!
মে মাসের পর বাগানে আবার শাক সব্জী লাগানো হলো। ফসল কয়েদীরা ফলাতো ঠিকই, কিন্তু সেসব ভোগ করতো সব মেটিন আর ওয়ার্ড্রেসরা। আমি মাঝে মাঝে এসব পাত্তা না দিয়ে ক্ষেত থেকে এটা ওটা তুলে নিতাম - নিজের জন্য, অন্যদের জন্যও।
এটা বন্ধ করার জন্যই বোধহয় নাগো বললো আমাকে একটা ছোট জমি দেবে নিজের ক্ষেত করার জন্য। আমার জমিতে লাগালাম রসুন, ধনে, আর টম্যাটো! এক বছর টম্যাটো খাইনি - আর তর সইছিলো না - আবার আমি টম্যাটো খাবো! বড়দিনের আগে ক'টা আধপাকা টম্যাটো পেড়ে বিছানায় কম্বলের নিচে রেখে দিলাম - এমনিতে তো কিছু হচ্ছে না, কম্বলের ওমে যদি পেকে লাল হয়! কপাল খারাপ, চ্যাপ্টা হয়ে যাওয়া সবুজ টম্যাটোর তালের চেয়ে ভালো কিছু কম্বল থেকে বেরুলো না।
শীত চলে এলো - দীর্ঘ শীতের রাতগুলিতে খিদে পেত খুব। শালগম আগে আমি এক্কেবারে পছন্দ করতাম না - এখন রাত্রিবেলা সেলে বসে রীতিমত কচমচ করে শালগম চিবিয়ে খাই! ওটা ছাড়া রাতে খাওয়ার মত কিছু ছিলও না অবশ্য।
বাগানটা আমার ধ্যান জ্ঞান হয়ে উঠছিলো প্রায় - জেলখানার যতটুকু শান্তি যেন ঐ সবুজের মধ্যেই লুকিয়ে। শীতকাল গাছের চারা শুরু করার জন্য আদর্শ - আমি মহা উৎসাহে বীজ পোঁতা, আগাছা নিড়নো, জল দেওয়া এসব করতাম - একেবারে ছোটবেলার পর এই!
অবশেষে একসময় টম্যাটো পাকলো - বাচ্চারা খুব উৎসাহ করে ক্ষেত থেকে টম্যাটো তুলে তুলে পালা করে একেকদিন সবাইকে বিলি করলো! টম্যাটোর চাটনি - একঘেয়ে সব রান্নার মধ্যে বেশ একটা অন্য পদ! এছাড়া শীতে দুবেলাই হয় কপি, নয় মুলো নয় শালগমের ঘ্যাঁট। আমার চেনা ইংল্যান্ডের মাটির থেকে এই লাল, ঝুরো মাটি অনেকগুণ বেশি উর্বর - যেকোন গাছ হুহু করে বাড়ে। সমস্যা একটাই - জল। কৃষি কাজের জন্য পর্যাপ্ত জল পাওয়া একেকসময় অসম্ভব হয়ে পড়ে।
বড়দিনের সকালে বাচ্চাদের জন্যে আমি একটুখানি ট্যালট্যালে পায়েস বানালাম, আর একজন ওয়ার্ড্রেসকে অনুরোধ উপরোধ করে কিছু মিষ্টি আনালাম। বাচ্চারা আমার সেলে বসে মহা আনন্দে নেমন্তন্ন খেল! আমার খালি মনে পড়ে যাচ্ছিল ইংল্যান্ডে দেখা বড়দিনের সকালে ছোটদের জন্য কত আয়োজন, কত দামী উপহার - আর এই ছেলেমেয়েরা কত সামান্য নিয়ে কী খুশিতেই না আছে।
ততদিনে ওরা আমাকে একটা নামও দিয়ে দিয়েছিল। যে দু'তিনটে ইংরেজি শব্দ ওরা জানে তার মধ্যে সবচে ভালো শব্দটা আমার নামের সঙ্গে জুড়ে - "মেরি গুড"!
আমি অবশ্য সব থেকে বেশি আদর করতাম প্রকাশকেই! প্রকাশের ছোট্ট জীবনটা অন্যদের চেয়েও কঠিন। ও দু'দিন বয়সে পঙ্গু মার সঙ্গে জেলে আসে। জেলে থাকাকালীনই ওর বাবা ওদের ছেড়ে দেয়। প্রকাশের পেটটা অস্বাভাবিক ফোলা - অন্য বাচ্চাদের সঙ্গে ছোটাছুটি করে খেলা করতেও পারে না -হাঁপিয়ে পড়ে অল্পতেই। ডাক্তার কিছু খুঁজে পায়নি, বলছে সব নাকি ঠিকই আছে।
খুব মনোযোগী আর শান্ত ছেলে কিন্তু ও। বৃটিশ হাই কমিশনকে বলে কিছু বাংলা বই আনিয়েছিলাম। আমি সেগুলো পড়ার চেষ্টা করতাম, আর প্রকাশ আমার পাশে বসে রিডার্স ডাইজেস্টের পাতা ওল্টাতো - যেন কতই মন দিয়ে পড়ছে! একেক সময় দেখতাম ছবি দেখে ছবির লোকেদের মত মুখ, অঙ্গভঙ্গী করছে!
প্রকাশ রং খুব ভালোবাসতো। কখনো হয়তো একটা কাপড়ের টুকরো খুঁজে পেল- আমাকে দিয়ে বলতো - "সেলাই করে ফুল বানিয়ে দাও!"
এত মায়ায় জড়িয়ে গিয়েছিলাম যে ভাবতাম ওকে দত্তক নিলে কেমন হয়! তারপর মনে পড়তো এই পরিস্থিতিতে আমার নিজের ভবিষ্যতেরই কোন ঠিক ঠিকানা নেই, অন্য কারো ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি কী ভাববো।
আমি চাইলে ওর মা খুশি হয়েই ওকে দিয়ে দিত। বিসনী দু'বছর জেল খেটে নিয়েছে - পুলিশ এখনো ওর মামলার চার্জশিটই দেয়নি।
আমি যখন ছাড়া পেলাম, প্রকাশের তখন ছ'বছর বয়স, আর ওদের কেস তখনও ঠিক একই রকম অবস্থায়।
এদিকে একমাত্র পড়াশুনো জানা কয়েদী হিসেবে আমার রীতিমত অবিসম্বাদী সম্মান। নতুন কয়েদীরা তো একেকজন আমাকেই জেল সুপার ভাবতো - একজন জিজ্ঞেস করেছিল আমি কত টাকা মাইনে পাই! বেঙ্গিয়া নামে একজন অন্য জেল থেকে বদলী হয়ে এসেছিল, আমাকে একদিন ওর হাত দেখে দিতে বললো। ওর দেখা মত একমাত্র জ্যোতিষীদের কাছেই বইপত্র থাকে, তাই আমারও নিশ্চয় ওরকম কোন ক্ষমতা আছে।
আসলে ওর জানার ছিল ওর ভালোবাসার মানুষটির ওর ওপর এখনো টান আছে কিনা। সেই প্রেমিকটি আবার এক ডাকাত দলের সদস্য।
দুটো ডাকাতির বামাল শাড়ি ওর কাছে পাওয়া গেছে, তাই আটক হয়েছে - কিন্তু পুলিশের কাছে কিছু স্বীকার করেনি। বেঙ্গিয়া আমাদের সঙ্গে অল্পদিনই ছিল। যেদিন ওকে ধানবাদ নিয়ে যায় সেদিন শুনলাম ফাটকের দিক থেকে খুব হইচই বাক বিতণ্ডা শোনা যাচ্ছে।
দৌড়ে গেলাম দেখতে - বেঙ্গিয়া নাকি বিসনীকে দু'টাকা দিয়েছিল - ওর চেনা কে আছে যে যাদু টোনা জানে, সে মন্ত্র পড়ে বেঙ্গিয়ার প্রেমিককে ফেরত এনে দেবে। মন্ত্রে নাকি কাজ হয়নি, তাই বেঙ্গিয়া টাকা ফেরত চায়। বিসনীর কথা হল মন্ত্র কাজ করার আগেই বেঙ্গিয়াকে ধানবাদ বদলি করে দিচ্ছে - তাতে ওর কী দোষ। শেষ পর্যন্ত অনেক ঝামেলার পর মিটমাট হল, বেঙ্গিয়া টাকা ফেরত পেল, তারপর ধানবাদ রওনা হল।
১৯৭২এর শুরুতে, কোলে বাচ্চা নিয়ে একটি সাঁওতাল মেয়ে আমাদের সঙ্গে থাকতে এল। খুনের অভিযোগে বর সহ আটক। আগের বছর ফসল ভালো হয়নি, ওরা এক মহাজনের কাছ থেকে ঋণ নিয়েছিল। মহাজনের অনেক জমিজমাও আছে ওদের গ্রামে। প্রতি মাসে মহাজনের লোক এসে ওদের থেকে সাড়ে বারো শতাংশ হিসেবে সুদ আদায় করে নিয়ে যায়। একদিন ওর বর যখন বাড়ি ছিল না, তখন মহাজনের লোক আসে। ঘরে টাকা ছিল না - কিন্তু ও পরে আসতে রাজি না - টাকা না থাকলে ওর সঙ্গে শুয়ে কিস্তি শোধ দিতে হবে - তারপর ধর্ষন করার চেষ্টা করে। এমন সময় বর চলে আসে - হাতাহাতি মারপিটে মহাজনের লোকটি মারা যায়।
১৯৭২ এর ফেব্রুয়ারীতে ডেপুটি হাইকমিশনের আরেকটা সাক্ষাৎ হল। দূতাবাসের অফিসার মোটামুটি প্রতি চার পাঁচ মাসে আসতো। আমি এমব্রয়ডারীর সুতো এনে দিতে বলে রেখেছিলাম - অফিসারটি বলও এম্ব্রয়ডারির সুতো নিয়ে ওর একেবারে ধারণা নেই, তাই আনতে পারেনি। তবে ও বৃটেনের রানীর দপ্তরের ছাপ মারা দুটো পেন্সিল আর একটা শর্ট হ্যান্ডের খাতা নিয়ে এসেছে। এই প্রথম আমি নিজের কাছে রেখে দেওয়ার মত লেখার জিনিস হাতে পেলাম। একটা হিন্দি অভিধানও এনে দিতে বলেছিলাম - ওটা হাতে পেলে হিন্দি খবরের কাগজ পড়ার চেষ্টা করা যেত। কলকাতার বইয়ের দোকানে সহজেই পাওয়া যায়। ওটাও নাকি এ পায়নি।
কথা বলতে গিয়ে বুঝলাম ও ভেবেছে আমি পুরো রোমান হরফে লেখা হিন্দি অভিধান চেয়েছি - আমি যে দেবনাগরী অক্ষর পড়তে শিখেছি সেটা ওর কল্পনাতেও আসেনি! কিন্তু অক্ষরপরিচয় ছাড়া ভাষা শিখে কী করবো, খবরের কাগজ, বই তো দূরের কথা - একটা রেলস্টেশনের নামও তো পড়তে পারবো না! যতজন বৃটিশ আমলা দেখেছি কারোরই ভারতের ভাষা সংস্কৃতি নিয়ে কোন আগ্রহ নেই - হয়তো ওরা কোন দেশেই বেশিদিন কাটায় না, বদলির চাকরি বলে গা করে না।
এই প্রথম আমি অফিসারকে বললাম, বাবা আমার নামে প্রতি মাসে যে টাকা পাঠায়, তার থেকে এক পাউন্ড মত যদি সুপারের কাছে জমা করা যায় - এমব্রয়ডেয়ারির সুতো কিনবো।
প্রকাশের জন্যে ফুল সেলাই করে দিতে।
অমলেন্দুর মা বাবার ওপর আমার জামা কাপড়, ছোট ছোট সব দরকারের জন্য নির্ভর করে থাকতে খারাপ লাগতো। চেষ্টা করতাম অন্যদের মতই রেশন বিক্রি করে স্বাবলম্বী থাকতে। এমন না যে আমার পরিবার, বন্ধুবান্ধব আমাকে কিছু পাঠাতে দ্বিধা করবে, কিন্তু যে ব্যবস্থা আমাকে জেলে পুরেছে, সেই ব্যবস্থার মধ্য থেকেই আমার যা দরকার আমাকে আদায় করে নিতে হবে - এমন মনে হতো আমার।
এর আগে বাবাকে ছোট করে চিঠিতে লিখেছিলাম যে আমি ঠিক আছে। দূতাবাসের অফিসারদেরও বলেছিলাম মা বাবাকে জানাতে যে আমি ভালো আছি। বাবা একবার এ দেশে আসতে চেয়েছিল। আমি খুব স্পষ্ট করে বলেছিলাম, আমি চাই না বা আসুক। আমাকে এই অবস্থায় দেখে বাবা আরও উদ্বেগ নিয়ে ফিরবে জানতাম। আমারও খারাপ লাগতো। আর বাবা এসে করতেই বা কী পারতো? এক ঘন্টা দেখা, তারপর আবার ফিরে চলে যাওয়া। এই আসাতে ভালোর চেয়ে খারাপ খারাপ হতো বেশি - সবার মনেই চাপ, উদ্বেগ, অশান্তি বাড়তো।
সেই শীতে এক বৃদ্ধা কয়েদীকে দুজন ওয়ার্ড্রেস চ্যাংদোলা করে নিয়ে এল। একটা ছোট সাব-জেল থেকে ওকে এখানে, আক্ষরিক অর্থেই, মরতে পাঠানো হয়েছে। ওখানে চিকিৎসার কোন ব্যবস্থা নেই। আমার মনে হল ওর আমাশা ছাড়া কোন বড় রোগ নেই, কিন্তু এত দিন ধরে বিনা চিকিৎসায় - একেবারে মুমূর্ষু। পা খোঁড়া, দরকার হলে দৌড়ে পায়খানায় যাওয়ার ক্ষমতা নেই - কাপড়চোপড় নোংরা, দুর্গন্ধ বেরুচ্ছে। সেসব কেচে দিতেও কেউ রাজি না। আমার নিজেরও খুবই ঘেন্না করছিল, কিন্তু মনে হল কাউকে তো করতেই হবে - এইভাবে বিনা যত্নে মরে যাওয়ার জন্য মানুষকে তো ফেলে রাখা যায় না। ডাক্তার ওষুধ দিলেও, যত্নআত্তি তো আমাদেরই করতে হবে। টানা একসপ্তাহ প্রতিদিন একটা পুরনো কলসীতে গরম জলে ফুটিয়ে ওর জামা কাপড় কাচলাম, স্নান করালাম, মাথায় গন্ধ তেল দিয়ে উকুন ছাড়ালাম। মোহিনী আর আরও দুয়েকজন এগিয়ে এলো। পনেরো দিনের মাথায় দেখা গেল ও নিজেই খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে আমার সেলের কাছে চলে আসতে পারছে - কানে তেল দিয়ে দাও, পিঠটা একটু ঘষে দাও, নখগুলি কেটে দাও! বাগানে একটা পুরনো ব্লেড কুড়িয়ে পেয়েছিলাম- ঐ দিয়ে আমি নখ কাটতাম। এক মাসের মাথায় ও একেবারে সুস্থ হয়ে গেল - দিব্বি হাসিখুশি, মোটাসোটা বুড়ি মানুষ! ওকে দেখে আমাদের সবার মনে হলো এতদিনের ধকল সার্থক!
যতদিন আমাদের সঙ্গে এখানে ছিল, এক বেলাও আমাকে না ডেকে, ভাগ না দিয়ে ও কিছু খায়নি, আর আমাকে যে নামে ও ডাকতো সেটা সবার জন্য একটা মজার ব্যাপার ছিল! ও যা ডাকতো, স্থানীয় ভাষায় তার মানে হলো "ফর্সা"!
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।