এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  অপর বাংলা

  • সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ! 

    কিংবদন্তি লেখকের গ্রাহক হোন
    অপর বাংলা | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ১৭৩২ বার পঠিত | রেটিং ৫ (২ জন)
  • May be an image of outdoors
    হুট করেই একটা কাণ্ড করে ফেলেছে বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল। দক্ষিণ এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন হয়ে বসেছে! কী অদ্ভুত কাণ্ড ভাবুন একবার। কেন অদ্ভুত কাণ্ড? নিচেই একটা ছবি দিচ্ছি, ঢাকার মতিঝিলের শাপলা চত্বরের ছবি। নারী ফুটবল দল ছাদ খোলা এক বাসে করে শাপলা চত্বর ঘুরছে, ঘুরে ফুটবলের আঁতুড়ঘর, ফুটবল ফেডারেশনের অফিসের দিকে যাচ্ছে। ছবিটা কেন গুরুত্বপূর্ণ? কারণ এইটা হচ্ছে সেই শাপলা চত্বর যেখান থেকে হেফাজতে ইসলাম ১৩ দফা দাবী দিয়ে আল্টিমেটাম দিয়ে ছিল। যে দাবীগুলার মধ্যে ছিল নারীকে ঘরে বন্দী করে রাখার মত নানা দাবী। নারী চাকরি করতে পারবে না, ঘর থেকে বের হতে পারবে না ব্লা ব্লা ব্লা! সেই শাপলা চত্বরে নারীদের নিয়ে উচ্ছ্বাস, নারীদের বেশরিয়তি কাজ নিয়ে উদযাপন! এটা অন্য একটা মাত্রা পাবে না? 

    একজন ফুটবলারের মা ক্যামেরার সামনে বলছিল তাঁর অভিজ্ঞতার কথা। তাঁদের সকাল বিকাল সব সময় শোনানো হত যে সবাই মিলে জাহান্নামে যাবে! পুরো বংশ না কি জাহান্নামে যাবে এই মেয়ের খেলার কারণে! অর্থনৈতিক বাধা সবচেয়ে বড় বাধা, সেই বাধার পরে যখন শুনতে হয় সবাই মিলে দোজক নিশ্চিত তখন পরিস্থিতিটা ক্যামন দাঁড়ায়? এই প্রসঙ্গে বলে রাখি এই একই সুরের কথা কিন্তু আমরাও শুনছি। আমার খালাত বোন, যে আমাদের বাড়ির উঠান থেকেই বড় হয়েছে, আমাদের কলে পিঠে করে বড় হয়েছে, সে বর্তমান বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক।  
    আমার খালাকে নিয়মিত শুনতে হয়েছে এই অমিয় বানী।  সবাই জাহান্নামি হব আমরা। আমাদের ক্ষেত্রে আরও একটু খারাপ ছিল পরিস্থিতি, আমাদের অনেক আত্মীয় স্বজনও বলতে দ্বিধা করত না যে জ্যোতিকে খেলতে দিয়ে সব জাহান্নামি হবে। তাই জাহান্নামি হওয়ার গল্প আমাদের কাছে পুরাতন। 

    অনেকেরই শরীরে জ্বালা শুরু হয়ে গেছে। কারণ প্রথম ধাক্কাটাই খাচ্ছে মোল্লারা, যারা এক সময় মিছিল করেছিল এই মেয়েদের খেলা বন্ধ করতে। তাই সবার আগে প্রশ্ন এসে যাচ্ছে ওই মোল্লারা কই? এখন মোল্লারা নানা ব্যাখ্যা দিতে ব্যস্ত দেখা যাচ্ছে। কেউ বলছে এই মেয়েরা অভাবি তাই এমন বেশরিয়তি কাজ করছে, আর্থিক ভাবে সচ্ছল হলে এরা কেউ ফুটবল খেলত না। কেউ বলছে জিতছে উদযাপন করেন, এর মধ্যে আবার ধর্ম টানেন কেন? যেন তারা জানে না কেন ধর্ম টানে। সকাল বিকাল জাহান্নামে পাঠায় দিবেন আর বলবেন ধর্ম টানে কেন আজকে? 

    সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে এতদিন একতরফা ভারতের আধিপত্য ছিল। এবার গ্রুপ পর্যায়ে তিন শূন্য গোলে হারায় ভারতকে বাংলাদেশ। পাকিস্তানকে হারায় আট শূন্য গোলে। সেমিতে ভুটান হারে আট শূন্য গোলে। ফাইনালে নেপাল হারে তিন এক গোলে। বাংলাদেশ অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়। এমন একতরফা খেলে টুর্নামেন্ট জিতল কোন দলটা? যাদেরকে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করতে হয় পেটের ভাতের জন্য। রূপকথা না? এই দলটার আট জন এসেছে একটা গ্রাম থেকে, নেত্রকোনার কলসিন্দুর গ্রাম, যেখানে অদ্ভুত ভাবে মেয়েরা দারুণ ফুটবল খেলে। যাদের নিয়ে কয়েক বছর আগে তৈরি করা হয় একটা প্রতিবেদন, যেখানে তাঁদের চাওয়া কি জানতে চাইলে মেয়েরা বলে ভাল করে খাওয়া! এক বেলা ভাল করে খাওয়ায় দিয়েন!! কারা আমাদের সাফল্যের মুকুট এনে দিয়েছে বুঝা যাচ্ছে? পাঁচজনের বাড়ি পার্বত্য চট্টগ্রামে। তাঁদের তো আরও সমস্যা। কোন কিছুরই স্বীকৃতি নাই। পাহাড়িদের তো মানুষই মনে করে না আমাদের সভ্য সুন্দরেরা। তাঁদের নাই ঘর বাড়ি, তাঁরা গেছে ফুটবল খেলতে! এই সব সমস্যার পরে আমাদের ঐতিহাসিক আদর্শ নারী বিরোধীরা তো আছেই, যারা প্রতিনিয়ত অশ্লীল, পাপ, রসাতলে গেল সমাজ বলে চিৎকার করছে। এদেরকে লাথি মেরে এগিয়ে যাওয়া, শুধু যাওয়া না, চ্যাম্পিয়ন হওয়া এইটার সাথে কিসের তুলনা দেওয়া যায়? আমার জানা নাই, সত্যিই জানা নাই।
    ফাইনালের আগেরদিন সানজিদা আকতার নিজের ফেসবুক পেজে এক অবিশ্বাস্য লেখা পোস্ট করে। কোন খেলোয়াড়ের, যে কোন ধরণের যে কোন মাপের খেলোয়াড়ের কথা মাথায় নিয়েই বলছি, এমন দুর্দান্ত জীবন বোধ সমৃদ্ধ লেখা আমি কোনদিন পড়িনি। আমি ওঁর পুরো পোস্টটা এখানে তুলে দিচ্ছি বুঝার সুবিদার্থে। - 

    "২য় বারের মতো সাফ উইমেনস চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে বাংলাদেশ। প্রথমবার ফাইনাল খেলেছি ২০১৬ সালে। সেবার ভারতের বিপক্ষে আমরা হেরে যাই। ৫ বার সাফের মঞ্চে এসে ১ বার রানার্সআপ, ৩ বার সেমিফাইনাল এবং ১ বার গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় নিয়েছি আমরা।
    আলহামদুলিল্লাহ, আমরা এবার মাঠে দারুণ ছন্দে রয়েছি, ফাইনালে প্রতিপক্ষ স্বাগতিক নেপাল। স্বাগতিক হিসেবে ফাইনাল খেলা কিংবা স্বাগতিক দলের বিপক্ষে ফাইনাল খেলা সবসময় রোমাঞ্চকর। এছাড়াও এবারের ফাইনাল ম্যাচটি কিছুটা ভিন্ন। বহুদিন পর সাফ পাবে নতুন কোনো চ্যাম্পিয়ন দেশ। আর তাই এবার রোমাঞ্চকর একটি ফাইনাল ম্যাচ হতে যাচ্ছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।
    বাংলাদেশ পুরুষ জাতীয় ফুটবল দলের হাত ধরে ২০০৩ সালে দক্ষিন এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব পেয়েছিলো বাংলাদেশ। এখনো আমরা সেই গল্প শুনি। বাংলাদেশ ফুটবলের বড় সাফল্যের মহাকাব্যে সেটি উজ্জ্বলতম অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়। এবার আমাদের জেতার সময় এসেছে। আমাদের দলের প্রতিটি সদস্য এটি জিততে মুখিয়ে আছে।
    যারা আমাদের এই স্বপ্নকে আলিঙ্গন করতে উৎসুক হয়ে আছেন, সেই সকল স্বপ্নসারথিদের জন্য এটি আমরা জিততে চাই। নিরঙ্কুশ সমর্থণের প্রতিদান আমরা দিতে চাই। ছাদখোলা চ্যাম্পিয়ন বাসে ট্রফি নিয়ে না দাঁড়ালেও চলবে, সমাজের টিপ্পনী কে একপাশে রেখে যে মানুষগুলো আমাদের সবুজ ঘাস ছোঁয়াতে সাহায্য করেছে, তাদের জন্য এটি জিততে চাই। আমাদের এই সাফল্য হয়তো আরো নতুন কিছু সাবিনা, কৃষ্ণা, মারিয়া পেতে সাহায্য করবে। অনুজদের বন্ধুর এই রাস্তাটুকু কিছু হলেও সহজ করে দিয়ে যেতে চাই।
    পাহাড়ের কাছাকাছি স্থানে বাড়ি আমার। পাহাড়ি ভাইবোনদের লড়াকু মানসিকতা, গ্রাম বাংলার দরিদ্র ও খেটে খাওয়া মানুষদের হার না মানা জীবনের প্রতি পরত খুব কাছাকাছি থেকে দেখা আমার। ফাইনালে আমরা একজন ফুটবলারের চরিত্রে মাঠে লড়বো এমন নয়, এগারোজনের যোদ্ধাদল মাঠে থাকবে, যে দলের অনেকে এই পর্যন্ত এসেছে বাবাকে হারিয়ে, মায়ের শেষ সম্বল নিয়ে, বোনের অলংকার বিক্রি করে, অনেকে পরিবারের একমাত্র আয়ের অবলম্বন হয়ে। আমরা জীবনযুদ্ধেই লড়ে অভ্যস্ত। দক্ষিন এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের জন্য শেষ মিনিট পর্যন্ত লড়ে যাবো। জয় - পরাজয় আল্লাহর হাতে। তবে বিশ্বাস রাখুন, আমরা আমাদের চেষ্ঠায় কোনো ত্রুটি রাখবো না ইনশাআল্লাহ। দোয়া করবেন আমাদের জন্য।" 
    আমি কি বাড়িয়ে বলেছি? আমার ধারণা না, আমি এক বিন্দু বাড়িয়ে বলিনি। সানজিদার এমন একটা পোস্টের পরে যখন দল জিতল ফাইনালে তখন স্বাভাবিক ভাবেই হাজির হয়েছে ছাদ খোলা বাসের প্রসঙ্গ। দ্রুত ব্যবস্থা হয়েছে বাসের। আর আজকে পুরো ঢাকা শহর, সেই সাথে যেন পুরো দেশ আনন্দে মাতল এমন দারুণ সুন্দর একটা উপলক্ষে।  

    আরেক বিষয় ছোট্ট করে বলে রাখি এখানে, আমি নারী পুরুষ তুলনায় বিশ্বাস করি না। কিন্তু একটা তুলনা এসেই যাচ্ছে এক্ষেত্রে, তা হচ্ছে এখন পর্যন্ত নারী দলই দুইটা কাপ এনে দিয়েছে আমাদের। ছোট বেলায় দেখছিলাম একবার পুরুষ দল সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল, এর পরে আর খবর নাই। এরপরে নারী ক্রিকেট দল জিতল এশিয়া কাপ আর নারী ফুটবল দল জিতল সাউথ এশিয়া কাপ! নারীর জয় গান না গেয়ে উপায় আছে? 

    এবার একটু তিতা কথা বলি। এই যে পুরো ঢাকা শহর সেই সাথে পুরো দেশ যে আজকে মাতল উচ্ছ্বাসে। এইটাকে আমি বেশি ভাল পাই না। আমি এদেরকে ভাল করেই চিনি। এরা আজকে মাতবে কালকে এই সানজিদাই যদি হাফপ্যান্ট আর জার্সি পরে জাতীয় স্টেডিয়াম থেকে হেঁটে বাফুফের অফিসে যায় অন্তত দশজন টিপ্পনী কাটবে, ভিড়ে কেউ কনুই দিয়ে গুঁতা দিবে, কেউ কেউ চোখ দিয়েই কাজ শেষ করে ফেলবে! যে স্বপ্ন আমরা দেখছি আজকের মানুষের উচ্ছ্বাস দেখে সেই স্বপ্ন থেকে কতদূর আমরা? না স্বপ্নই থেকে যাবে?
     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • অপর বাংলা | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ১৭৩২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • যোষিতা | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০২:৫৩512189
  • দারুণ খবর! অভিনন্দন।
  • &/ | 151.14.***.*** | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০২:৫৬512190
  • এই পুরো ব্যাপারটা যে কতটা আশার, কতটা উদ্দীপনার সেটা কিছুটা বুঝতে পারছি নানা বন্ধুর টাইমলাইনে বিভিন্ন পোস্ট দেখে। খুবই ভালো একটা ব্যাপার।
  • guru | 103.17.***.*** | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১০:৩৫512197
  • বাঙালির পক্ষে দেশ ধর্ম নির্বিশেষে এটি একটি বিশাল জিত | অভিনন্দন আপনাকে সাদেক ভাই |
     
    আচ্ছা বাংলাদেশের বর্তমানে ফুটবলের পরিকাঠামো কেমন ? ক্রিকেটের প্রভাবে ফুটবলের porikathamo কি আগের মতোই আছে ?
  • হীরেন সিংহরায় | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৬:২৯512203
  • খুব ভালো খবর শারিফ ভাই , নারী বাহিনির জয় হোক।   শাপলা চত্বরে বিজয় উৎসবের ছবি অনেক স্মৃতি এনে দিলো ! ব্যবসার খাতিরে বহু দিনের পরিচয় ঢাকার সঙ্গে - শাপলা চত্বরের কোণায় ছিল শিবার অফিস । স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের প্রথম অফিস হাজি বিল্ডিং তারপরে গুলশান ! ভোলার নয়। 
  • হীরেন সিংহরায় | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৭:১৯512205
  • সরি হাজি ম্যানশন ! সিটির অফিস ছিলো বংগ বন্ধু স্টেডিয়ামে। মিটিং রুম থেকে ক্রিকেট খেলা দেখা যেতো। 
  • দীপ | 42.***.*** | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৮:২০512209
  • দীপ | 42.***.*** | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৮:২১512210
  • বাংলাদেশের মহিলা ফুটবল দল কে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন! আপনাদের আরো সাফল্য কামনা করি!
  • Ranjan Roy | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৯:৪০512211
  • বাংলাদেশের মহিলা ফুটবল দল কে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন! 
    আভূমি সালাম!
     
     
    দীপ,
    আপনাকে ধন্যবাদ অমন সুন্দর দুটি ছবি পোস্ট করার জন্যে।
  • kk | 174.53.***.*** | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৯:৪৫512212
  • বাঃ
  • r2h | 192.139.***.*** | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২০:১৪512213
  • কাল ফেসবুকে এই ফুটবলারদের একজনের ইন্টরভিউ দেখলাম, বাচ্চা মেয়ে, কী সুন্দর করে বললো, সব সংগ্রাম, দুঃখ ও প্রতিবন্ধকতার কথা, হাসিমুখে, প্রতিটি শব্দে আশা। সুমনের স্টেজশো গুলির দিন থাকলে এঁরা ভরসা থাকুক গানে একটি লাইন পেতেন।
  • | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২০:২৯512214
  • এইটা একটা দারুণ ব্যপার হয়েছে। অনেক অভিনন্দন গোটা দলকে। শরিফ আপনাকে ধন্যবাদ এবং অভিনন্দন নিগার সুলতানার ভাই  বলে। yes
  • Somenath Guha | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২২:০৪512216
  • সাবাশ❤️
  • aranya | 2601:84:4600:5410:8947:b2d6:77d7:***:*** | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০১:৫২512222
  • খুব খুব খুশী হয়েছি। ভারত জিতলে হয়ত আরও ভাল লাগত, তবে ভারতে এবার অনূর্দ্ধ ১৭ মেয়েদের বিশ্বকাপ হচ্ছে, তাতে কিছুটা লাভ হবে, ভারতে মেয়েদের ফুটবলে উন্নয়নের ক্ষেত্রে । বাংলাদেশে মেয়েদের ফুটবলের জন্য এই জয়টা খুবই দরকার ছিল 
  • aranya | 2601:84:4600:5410:8947:b2d6:77d7:***:*** | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০২:০৪512223
  • সনজিদা-র কথাগুলো খুবই মোটিভেটিং। 
    একটা জিনিস মনে হল, ওর পোস্ট পড়ে, যেটা ফুটবলের সাথে সম্পর্কিত নয়। 
    'আলহামদুলিল্লাহ, আমরা এবার মাঠে দারুণ ছন্দে রয়েছি', 'জয় - পরাজয় আল্লাহর হাতে', 'আমাদের চেষ্ঠায় কোনো ত্রুটি রাখবো না ইনশাআল্লাহ' - আল্লার উদ্দেশ্যে এই কথাগুলো খুবই স্বাভাবিক ভাবে আসছে। 
     
    অভিজিৎ রায় এবং অন্য ব্লগাররা হয়ত একটা কৌশলগত ভুল করেছিলেন, সাধারণ মানুষের ধর্মবিশ্বাস নিয়ে প্রশ্ন তুলে, 'বিশ্বাসের ভাইরাস' ইঃ 
     
    ধর্ম বিশ্বাস, ঈশ্বরবিশ্বাস  বহু মানুষের মনের এত গভীরে প্রোথিত, সেটাকে চ্যালেঞ্জ না করে, চেষ্টা করা উচিত যাতে সেই বিশ্বাস অন্য মানুষের ক্ষতি না করে, দ্যাটস অল 
  • কেউ না। | 2401:4900:30b8:a8de:0:2c:403c:***:*** | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৭:২০512239
  • বাংলাদেশের মেয়েদের প্রাণভরা অভিনন্দন জানাই! 
  • aranya | 2601:84:4600:5410:5432:e19:96c0:***:*** | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২০:৪৭512244
  • মাঝেমাঝেই ফিরে এসে ছবি গুলো দেখছি। বন্ধুদের সাথে শেয়ার করলাম। 
    মন ভাল করে দেওয়া বিজয় 
  • নাসের আলি | 2409:4060:2d98:9f85::5fc8:***:*** | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০১:৩৩512248
  • এই মাত্র বছর সাতেক আগে সেখানে মেয়েদের ফুটবল খেলা ছিলো সামাজিক অপরাধ ! ফুটবল খেললে নাকি মেয়ের বিয়ে হবে না l ওদের জন্মই হয় বিয়ে হবার জন্য l নারী পাচারের আখড়া হয়ে উঠেছে গোটা এলাকা l জন্মলগ্ন থেকেই ওদের কপাল মন্দ l দেখতে ভালো হলে একটু আগে কপাল পোড়ে l দারিদ্রতা, নারী পাচার, বাল্য বিবাহ ,অশিক্ষা নিয়ে ভয়ানক যন্ত্রণাময় মেয়েদের জীবন l কোথায় বলুনতো ? ভারতীয় সুন্দরবনের বাসন্তী এলাকার প্রত্যন্ত গ্রামের মেয়েদের কথা বলছি l প্রতিভার বহিঃপ্রকাশের কোনো সুযোগ নেই l এই প্রতিকূলতার মধ্যে সাহসী পদক্ষেপ টা নিয়ে ফেলেছিলাম l তাতে মোল্লা পুরুত দের কম মন্দ সহ্য করতে হয়নি আমায় l অবশেষে হেরেই গেছিলাম l কিন্তু রাখে আল্লা মারে কে l যেখানে শ্রদ্ধেয় হীরেন সিংহরায় মাথার উপর হাত রাখেন সেখানে প্রচন্ড গতিতে ফুটবল মাঠে দাপাদাপি করতে পারে মেয়েরা l সুদূর ইংল্যান্ড থেকে প্রবাসী বাঙালি হীরেন সিংহরায় সুন্দরবন বেড়াতে এসে জীর্ণকায় উলঙ্গ শিশুদের দেখে বড়ো কষ্ট হয়েছিলো তাঁর মনে l স্থির করলেন দূর্বল শিশুদের পুষ্টির অভাব পূরণ করবেন l বিভিন্ন স্কুলে এবং এনজিও গুলোর মাধ্যমে পুষ্টি পূরণের জন্য আর্থিক সাহায্য করতে করতে সুন্দরবনের জন - জীবনের গভীরে প্রবেশ করে জানতে পারলেন মেয়েদের করুণ জীবন- কথা l তাদের মানসিক ও শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ফুটবল অনুশীলন প্রয়োজন l এবার হীরেন বাবুর পুরো পরিবার এগিয়ে এলেন অসহায় মেয়েদের পাশে l প্রথম বারেই বাজিমাত করলো সেই মেয়েরা যারা জানে না ইস্টবেঙ্গল মাঠ কি l হীরেন স্যার এর মেয়ে মায়া র উদ্যোগে প্রতিযোগিতা মূলক মহিলা ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হলো l ফুটবল বিশেষজ্ঞ দের উপস্থিতিতে সোজা ইস্ট বেঙ্গল মাঠে ট্রায়ালে অংশ নেবার সুযোগ l কিন্তু মেয়ে কলকাতায় ফুটবল খেলতে যাবে শুনেই বাপ মায়ের কেমন বিরক্তভাব l মুক্ত হস্তে খরচ করতে শুরু করলেন সিংহরায় পরিবার l সেই "মায়া কাপ " এবার থেকে বছরে দুবার করে অনুষ্ঠিত হবে l সুন্দরবনের প্রতিভাবান মেয়েরা সুযোগ পাবে কলকাতার মাঠে l মেয়েদের ফুটবল অনুশীলনের সঙ্গে তাদের লেখাপড়া, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ , পুষ্টি পূরণ চলছে সিংহরায় পরিবারের আর্থিক আনুকূল্যে l দীর্ঘ দিন যাবৎ সুন্দরবনের আর্ত মানুষের সেবা র বিবরণ সংক্ষিপ্ত পরিসরে ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয় l স্যালুট সিংহরায় পরিবারের সকলকে
  • কিংবদন্তি | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০১:৫৬512282
  • যারা যারা বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তাদের সকলকে ধন্যবাদ। 
    আজকে আমাদের নারী ক্রিকেট দল বিশ্বকাপ বাছাইয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আমার বোন এই দলের অধিনায়ক। এইটা আমাদের জন্য অসাধারণ একটা মুহূর্ত। সামনে বিশ্বকাপ হবে দক্ষিণ আফ্রিকায়। আশা করি ভাল কিছু হবে। 
     
    অরণ্য দা, আপনি যে প্রসঙ্গ তুলে এনেছেন সেই প্রসঙ্গে এইটা আমারও একই কথা। আমার কাছে বরাবরই মনে হয়েছে প্রসেসটা ভুল হচ্ছে কোথাও। ধর্ম বিশ্বাস এত গভীরে যেখানে, যেখানে ইমাম সাহেব নিজে অর্ধ বা পুরোপুরি অশিক্ষিত জানার পরেও চোখ বন্ধ করে সেই ইমামকেই বিশ্বাস করে এই দেশের বেশির ভাগ্য মানুষ, যেখানে মোট জনসংখ্যার ৬০-৭০%( আমার অনুমান) মানুষ তাবিজ কবজে বিশ্বাস করে, সেই দেশে কাওকে দুম করে ধর্ম বলতে কিছু নাই, ঈশ্বর, আল্লা কেউ নাই এইটা বললে কী লাভটা হবে? 
    সবাই আগা থেকে শুরু করতে কেন চায়? যারা মুক্তচিন্তায় বিশ্বাস করে তারা সবাই তো এই সমাজের মানুষ, তারা কীভাবে মুক্ত চিন্তা করার মানসিকতা পেল? কীভাবে পেল এইটা তারা অনুসরণ করে না, শুরু করে আল্লা নাই দিয়ে! আপনি এই রকম চিন্তা করার শক্তি কীভাবে অর্জন করেছেন? সেই প্রসেসটা কী? আমিও ওই পথেই হাঁটি? না, আমাকে শুরুই করতে হবে ঈশ্বর আল্লা কেউ নাই দিয়ে! এই আমিটা কে? আমি হচ্ছি যে সকাল বেলা পানি পড়া খেয়ে পেট ব্যাথা ভাল হবে বলে বিশ্বাস করে পানি খাইছি! 
    আমার কথা হচ্ছে ধর্ম আছে না নাই, ঈশ্বর আছে না নাই এইটা বলার দরকার নাই, ওকে চিন্তা করা শিখান, ওকে ভাবতে শিখান, প্রশ্ন করতে শিখান, যেভাবে আপনি চিন্তা করতে শিখেছেন সেই ভাবে, আদর্শলিপি, ধারাপাতের বই দিয়ে শুরু করেন। আস্তে আস্তে পরিবর্তন আসবে। তারপর সে নিজেই বুঝবে, নিজেই সিদ্ধান্ত নিবে ধর্ম, সমাজ, রাষ্ট্র সম্পর্কে। 
    বাংলাদেশে একটা গ্রুপ আছে, সেই গ্রুপের এডমিন কি মনে করে আমাকে উনার ফেসবুক ফ্রেন্ড লিস্টে রাখছে। তিনি আমাকে সরাসরি উদ্দেশ করে বলেন নাই, কিন্তু একদিন দেখি মানুষজন ঈদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছে, ঈদ পালন করছে দেখে তিনি ভীষণ গোস্বা করেছে! কড়া কড়া কথা লিখে ভরে ফেলছে! এই যদি হয় মুক্তচিন্তা চর্চার অবস্থা তাহলে এর ভবিষ্যৎ কী? সাধারণ মানুষের ভাষায় জানে না সে মানুষের কাছে যাবে কীভাবে?  
     
     
  • যোষিতা | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৩:১৩512284
  • সাদেকভাই,
    ঈশ্বর/আল্লাহ র প্রতি বিশ্বাস রাখা এবং ধর্মীয় গোঁড়ামি দুইটা আলাদা জিনিস। কথায় কথায় ইনশাল্লাহ বললে ক্ষতি কোথায়? ইংরেজিতে থ্যাংক গড বলে না? ও মাই গড বলে না? 
    কিন্তু মেয়েদের সমান অধিকারটা চাই। সেটা মেয়েরা নিজেরা দাবী না করলে কি অন্যেরা এনে দিতে পারে? পারে না। মেয়েদের চাইতে হবে। দুনিয়ার সর্বত্রই এই নিয়ম। অধিকার ভিক্ষা নয়। অধিকার অর্জন করতে হয়। 
  • কিংবদন্তি | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১১:০৯512285
  • যোষিতা দিদি, আমি সম্ভবত বুঝাতে পারিনি। আপনি যা বলছেন আমিও একই কথা বলতেছি, অরণ্য দাও সম্ভবত তাই বলছে। কিন্তু এখানে ওইভাবে দেখা হয়, যারা মুক্তচিন্তা নিয়ে কাজ করছে তারা এই ভাবেই ভাবে। প্রথম পাঠ দেয় ধর্ম নাই বলে!  বললাম না ঈদের শুভেচ্ছা জানানতেও কেউ কেউ মন খারাপ করে! যখন কেউ শুরুতেই এই সব নিয়ে আপত্তি তুলবে তখন আসল কাজটা আর হবে না। নারী সমান অধিকারের প্রশ্ন যেমন আছে তেমন আরও অনেক কিছুই আছে, কিন্তু কাজটাই হচ্ছে না। 
  • aranya | 2601:84:4600:5410:ed8a:79f6:c019:***:*** | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৯:১১512300
  • সাদেক, ঠিকই বলেছ। পরে লিখব ​​​​​​​আবার 
     
  • Abhyu | 97.8.***.*** | ০১ অক্টোবর ২০২২ ২০:১৭512467
  • এই লেখাটায় ও নাসের আলি || ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০১:৩৩ পোস্টে কমেন্ট করব ভেবে রেখেছিলাম কিন্তু সময় পাই নি আগে। আপনার জ্যোতিকে নিয়ে লেখাটির কথাও মনে ছিল। শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে প্রতিক্রিয়া দিন