এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • আ মরি হিন্দি ভাষা 

    Nirmalya Nag লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ২৮৭৮ বার পঠিত | রেটিং ৪.৫ (২ জন)
  • বিজেপির এক সাংসদের ছবি খবরের কাগজে বেরিয়েছে, যাঁকে একদম সন্তোষ দত্তের মত দেখতে। নাম হরিশ দ্বিবেদী, উত্তর প্রদেশ থেকে জিতে এসেছেন। সংসদে তিনি বক্তৃতা করছেন, মনে হচ্ছে খোদ লালমোহন বাবু দাঁড়িয়ে আছেন। এক বন্ধু হোয়াটসঅ্যাপে মন্তব্য করেছে জটায়ু "হিন্দি সেল্ফ টট" নিয়ে ঘুরতেন, আর এবার খোদ হিন্দি বলয়েই জন্মেছেন। "সোনার কেল্লা" ছবিতে জটায়ুর হিন্দি ভাষণ অমর হয়ে আছে। আম বাঙালী যা হিন্দি বলে, কাজের সূত্রে বা বেড়াতে গিয়ে, তা তো মুক্তোর মত। এই বেনা বনে তারই কিছু ছড়ানো যাক।

    সমস্যাটা হয় মূলতঃ পুং লিঙ্গ স্ত্রী লিঙ্গের গোলমাল এবং ক্রিয়াপদের ব্যবহার নিয়ে। এছাড়া হিন্দির শব্দভাণ্ডার কম থাকাটাও বড় ঝামেলা। ফলে যা হয়, মুজতবা আলীর ভাষা ধার করে বলি, বাংলার তেলে ডোবানো সপসপে হিন্দি বার হয় বাঙালির মুখ দিয়ে। 
    "তোমার কাছ থেকে নেহি লেগা, তুমি তো এইটুকুনি দেগা।" দিল্লির ফেরিওয়ালাকে বলেছিলেন বাঙালি ভদ্রমহিলা। মুংফলি বিক্রেতা ওনার কথা বুঝতে না পারায় হাল ধরতে আসেন তাঁর দেওর। তিনি বলেন, "কাল দুসরা লোক অনেক বাদাম দিয়া থা। পরশু তুমনে অনেক কম দিয়া। ইস লিয়ে ভাবিজীকা মনমে আক্ষেপ হুয়া।"

    এর পর বাদামওয়ালার কতটা আক্ষেপ হয়েছিল জানা নেই, তবে ওই দিল্লিরই এক কাজের মাসি কাঁদোকাঁদো হয়ে গিয়েছিলেন যখন তাঁর বাঙালি মালকিন তাঁকে নির্দেশ দেনঃ "বাসন মাজকে উল্টি করকে রাখনা"। পরিচারিকা কিছুতেই বুঝতে পারেননি কেন তাঁকে বাসন মাজার পর বমি করতে বলা হচ্ছে।

    হিন্দিতে নির্দেশ দেওয়া নিয়ে আরও দু-একটা উদাহরণ দেওয়া যায়। "তুম কাপড়া ইধার রাখো, ম্যায় বাদমে মেল দুঙ্গি" কিম্বা অমলেট যাতে পুড়ে না যায় সে জন্য বলা "আণ্ডা পুরা মত দেনা"। প্রথম জন বাড়ির কাজের লোক৷ সে নিশ্চয় "মেল" শব্দের অর্থ খুঁজছিল। আর দ্বিতীয় জন ক্যান্টিনের কর্মচারী। সে বুঝে উঠতে পারেনি পুরো ডিম না দিয়ে কীভাবে দেবে।

    এ তো গেল এক পর্ব। কর্মস্থলেও নানান কীর্তি বাঙালীর হিন্দি বলা নিয়ে। কর্মজীবনের শুরুতে লক্ষ্ণৌতে ট্রেনিং নিতে গেছেন এক বাঙালি মহিলা, আরও অনেকেই এসেছে একই কাজে। অফিসিয়াল কথাবার্তা  ইংরেজিতে হলেও অন্য সময়ে বাকিরা হিন্দিতে বাক্যালাপ চালাচ্ছেন। এদিকে আমাদের বঙ্গতনয়াটি এক বিন্দু হিন্দি জানেন না। একজন বেশ ইয়ে ইয়ে ভাব দেখাচ্ছিল, নানান কথা বলছিল; কিন্তু এই সব মধুর কথা কি আর ইংরেজি ভাষায় হয়? তাই তিনি চুপচাপ থাকতেন। ফল? গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের কথায় লতা মঙ্গেশকর গেয়েছিলেন "প্রেম একবারই এসেছিল নীরবে / আমার এ দুয়ার প্রান্তে / সে তো হায় মৃদু পায় / এসেছিল পারিনি তো জানতে।" আমাদের এনার কেস অবশ্য উল্টো। ইনি পরিস্কার জানতে পেরেছিলেন দুয়ারে কে এসেছে, কেবল নিজে নীরব ছিলেন বলেই সে বেচারা ফিরে গেল। আজ পঞ্চাশোর্ধেও সেই আফসোস তাঁর যায়নি, অবশ্য এখন তিনি দিব্যি হিন্দি মে বাতচিত করতে পারেন। 

    অবশ্য এই ভদ্রলোকের মত বলেন কি না জানা নেই যিনি পাঞ্জাবি ক্লায়েন্টকে বলেছিলেন, "হাম ঘরমে খাকে বনকা মোষ কিঁউ তাড়ায়গা?" অথবা সেই আর একজনের মত। ইনি একগাদা প্রিন্টআউট নিয়ে যাকে দেওয়ার তাঁকে বলেন, "পেজ থোড়া আগে পিছে হো গিয়া, আপ থোড়া গুছা লেনা।"

    একটা কথা হেব্বি চালু, যা করবে কনফি নিয়ে করবে, স্মার্টলি করবে। যেমন এই বয়স্কা বাঙালি ভদ্রমহিলা। 
    স্বামী পুত্র পুত্রবধূ নাতি সহ লক্ষ্ণৌ বেড়াতে গেছেন। উঠেছেন এক পাঁচতারা হোটেলে। কোনও একটা জায়গা ঘুরে সেখানে ঢুকতে যাবেন, পাশ দিয়ে বেরোচ্ছেন অজয় দেবগণ। ছবির শ্যুটিং করতে বেরোবেন। বাঙালি মেয়ে কাজলের বর বলে কথা। মাসীমা হাত তুলে বললেন, "দাঁড়াও বাবা।" হ্যাঁ, ঠিক ওইটাই বললেন। হিরো দাঁড়িয়ে গেলেন। এর পরের টুকু তাঁর ছেলের জবানিতেই শোনা যাক। "বাবা তুমহারা বউ ভালো হ্যায়? বাচ্চালোগ ক্যায়সা হ্যায় ? তুমি শরীরকা যত্ন লেনা হ্যায়। আর অজয় দেবগন জোড়হাত করে হাঁ মাতাজি… সব ঠিক হ্যায় ঘরমে…বাচ্চা তো স্কুল যা রহেঁ হ্যায়…জরুর.. বিলকুল…সহি ফরমায়া আপনে ইত্যাদি বলে বার চার পাঁচ নমস্তে নমস্তে বলে কোনো রকমে কেটে পড়ল। আমি আর আমার বৌ একটু দূরে দাঁডিয়ে হে ধরনী দ্বিধা হও বলছি।"
     
    হে পাঠক, এই অবধি যা যা পড়লেন সবই ঘটেছিল বিভিন্ন জনের ক্ষেত্রে, অর্থাৎ সবই ফ্যাক্ট। শেষপাতে একটু ফিকশনে যাওয়া যেতে পারে।

    স্যুটেড বুটেড পাইপ চিবানো ইংরেজি কপচানো এক বাঙালি সাহেবকে সর্দার টিকিট চেকার ফার্স্ট ক্লাস কম্পার্টমেন্টে টিকিট দেখতে চেয়েছে। সাহেব জানাচ্ছেন তাঁর টিকিট আছে ব্রিফকেসে, তাই তিনি দেখাতে পারছেন না। এই নিয়ে কিছুকাল ইংরেজি, তারপর হিন্দিতে বিতণ্ডার পর দেখা গেল সাহেবের টিকিট নেই। চেকার মশাই জানালেন বাঙালি বাবুদের তিনি ভাল করেই চেনেন, তাঁরা ইত্যাদি ইত্যাদি। বনফুলের ছোট গল্পের নায়ক খাটো ধুতি পরা গেঁয়ো গরীব চেহারার শ্রীপতি সামন্ত পাশের বার্থেই ছিলেন নিতান্ত বাধ্য হয়ে, ঘুমোবার চেষ্টা করছিলেন, এদের চেঁচামেচিতে নিদ্রার বারোটা বেজে গেল। দু রাত দু চোখের পাতা এক করতে পারেননি, ঘুমটা খুব জরুরী। তাই সাহেবের টিকিটটাও তিনি কেটে দিলেন এবং চেকারকে ভর্ৎসনা করলেনঃ "কটা বাঙালি আপ দেখা হ্যায়? জাত তুলকে গালাগালি দেওয়া কোন দিশি ভদ্রতা রে বাপু? দুর্গা শ্রীহরি দুর্গা শ্রীহরি দুর্গা শ্রীহরি।" সামন্ত মশাই আপন বার্থে ফের লম্বমান হলেন।

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ২৮৭৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:f51d:2122:131b:***:*** | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০১:১৬503671
  • বর্তমানে নতুন প্রজন্মের বাঙালীরা বাংলার থেকে হিন্দিতে হেশি সড়োগড়ো।
  • Sugata Sanyal | 223.229.***.*** | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৭:৪৬503677
  • Excellent. 
     
    Sugata Sanyal 
  • dc | 122.174.***.*** | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৮:১৩503678
  • আমাদের বাড়িতে যিনি ঘরের কাজ করেন, তাঁর সাথে মার কথোপকথন, কদিন আগে। 
     
    মাঃ শান্তি, তোমাদের গাছমে পেঁপে আয়া হ্যায়? 
    শান্তিঃ হাঁ মাজি। 
    মাঃ বাঃ বাঃ বহুত ভালো। মুঝে না, কচি দেখকে পেঁপে চাহিয়ে নাতনি কে লিয়ে। তুম এক দো নিয়ে আওগি? 
    শান্তিঃ জরুর মাজি। 
    মাঃ তুমি না, বহুত ভালো মেয়ে। এইজন্য আমার তোমাকে এতো ভালো লাগে। আর তোমার সাথে কতো কথা বলতে পারি, এখানের তামিলগুলোর সাথে তো কিচ্ছু বলতে পারি না। তুমারে সমঝ মে আয়া তো? 
    শান্তিঃ হাঁ মাজি। 
     
    (পরে আমার স্ত্রী পুরোটা শান্তিকে আরেকবার বুঝিয়ে দিয়েছিল। তবে মার সাথে ওনার অনেক কথা হয়, আর উনি মোটামুটি আন্দাজে বুঝেও নেন)। 
  • b | 117.194.***.*** | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১১:১২503688
  • যা আমাদের মাতৃভাষা নয়, তাতে কথা বলতে গেলে ওরকম হবেই। হিন্দিভাষীরাও বাংলা বলতে গেলে ছড়াবেন. ফেয়ার এক্সচেঞ্জ । 
  • santosh banerjee | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৩:৪৭503690
  • হ্যা, এই প্রসঙ্গে মনে পড়লো একটা হিন্দি ভাষার বিপর্যয়ের ঘটনা। বৃষ্টি ভেজা এক অবাঙালি ভদ্রলোক কে এক বঙ্গ রমনী বলছেন "আপকা ছাতি নেই হ্যায়? কোই বাত নাই, আপ হামারা ছাতি মে আইয়ে""... কি সর্বনেশে আহ্বান !!! আর আমার মা তো একবার দুধ ওয়ালা কে বলেই দিল "" আপকা গাখির ইতনা পাতলা কিউ ""??
  • Ranjan Roy | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৬:৪৭503703
  • ভাষার বিপর্যয়
    =========
    ১ বিলাসপুরের স্বর্গীয় বাঙালি উকিল আমার বন্ধুর বাড়িতে ভাড়াটে ছিলেন এবং নিয়মিত হোমিওপ্যাথি করতেন। মেয়েদের ও শিশুদের চিকিৎসায় বেশ নামডাক হয়েছিল। ওই ছোট্ট গলিটির নামও অফিশিয়ালি, মানে কর্পোরেশনের খাতায় তাঁর নামে! আমি বেশ গর্বিত। পরে শুনলাম, প্রথম বছর তাঁকে হেনস্থা করা হয়েছিল, ভাষার বিভ্রাটে।
        উনি একটি অল্পবয়েসি মেয়েকে বলতে চাইছিলেন জিভ বের কর। বললেন --জুবন (জুবান) বের কর। 
    মেয়েটি কেঁদে কেটে বাইরে বেরিয়ে চেঁচিয়ে পাড়া মাৎ করল। কারণ কথ্য হিন্দিতে জুবন বা জোবনা মানে স্তন।
     
    ২  পরিচিত এক বিশিষ্ট ভদ্রলোকের  গল্প।  ওনার দিল্লিতে নতুন বদলি হয়েছে। ছাতের বর্ষাতি ভাড়া নিয়ে সেখানে সস্ত্রীক উঠেছেন। উনি অফিস গেছেন , স্ত্রী একা। প্লাম্বার ছেলেটি এসেছে চটি পড়ে। মহিলা বিরক্ত, মাত্র ঘর মোছা হয়েছে। মেজেতে দাগ পড়বে। উনি চেঁচিয়ে উঠলেন-- চটি উতারো! চটি উতারো! উস্কে বাদ ঘুসো। 
    ছেলেটি ভয়ে কেঁপে উঠে মৃদু প্রতিবাদ করে তারপর পালিয়ে গেল। বাঙালী উচ্চারণে তার কানে ধরা পড়েছিল-- চাড্ডি উতারো!
     
    ৩ রায়পুরের কো এড কলেজে পড়ছি।  শিখেছি চুতিয়া মানে বোকা, লৌন্ডা মানে ছোকরা ।
    একদিন কলেজের এক প্রোগ্রামের সময় স্যারের সামনে কারো সম্বন্ধে বললাম--   উয়ো লৌণ্ডা? বহোত বড়া চুতিয়া হ্যায় স্যার। 
        স্যার চোখ বড়ো বড়ো করে আমার দিকে তাকিয়ে রইলেন। সঙ্গের ছেলেমেয়েদের থেকে চাপা ইসস্‌ শুনতে পেলাম। 
    তারপর ওরা বোঝাল, ওই শব্দ দুটো ভদ্রজনের সামনে বলা উচিৎ নয়। কারণ মানে যাই হোক, ওদের রুটে প্রথম দুটো অক্ষরের দ্যোতনায় অশ্লীলতা।
    ৪ এখানেই একজন উচ্চপদে সমাসীন বাঙালী আধিকারিক মুশকিলে পড়েছিলেন। কার্ড দেখে  অন্য অফিসের কাউকে ফোন করবেন। তাঁর নাম সম্ভবতঃ অশোক বনছোড়। কিন্তু হিন্দি বলয়ে ইংরেজিতে  "ড়" লিখতে 'D'  লেখা হয়। যেমন মানকড় হবে   Mankad. আর 'অ' লিখতে সিঙ্গল 'এ'। 'আ' লিখতে ডাবল 'এ'।
    কিন্তু আবাপ  হিন্দি নামে  সিংগল এ দেখলে আ  করে দেয়। আর ডি দেখলে ড। তাই তব্বু হয় 'টাব্বু' এবং 'মানকড' হয় মানকাদ!
     ফলে  আমাদের বাঙালী আধিকারিক শিউরে উঠলেন -- একী রকম সারনেম! ফোনে কীভাবে সম্বোধন করব?  কার্ডে লেখা 'Ashok Banchod'! শেষে মিঃ অশোক সম্বোধনে কাজ সারলেন।
  • কৌশিক সাহা | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১০:০৬503726
  • হাম বাংলামে বোলতা কো বোলতা বোলতা। আপ হিন্দী মে বোলতা কো কেয়া বোলতা? 
  • ঝর্না বিশ্বাস | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৯:১৩503731
  • দারুন লিখলেন তো :)  ভীষণ ভালোলাগলো পড়তে...আমার বাবাও একদম এরকমই কিছু বাংলা হিন্দি জগাখিচুরি মিলিয়ে বলে...আমিও প্রথমটা বাইরে এসে অমনই ছিলাম। এখন অনেকটা ঠিক তাও কি-কা তে এখনও গন্ডগোল হয়ে যায়।.. একবার এক দাদা মুম্বই আমাদের এখানে বেড়াতে এসেছিল সেদিন খুব বৃষ্টিতে ড্রাইভারের পাশের সিটটা ভিজে গেছে। অমনি চিত্‌কার করে বলে আরে তুমহারা সিট ভিজ গয়া।.. :)
  • Ranjan Roy | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২০:৪৬503733
  • আপলোগ জিসে 'বোলতা' কহকর পুকারতা হ্যায় ন, উসে হম হিন্দি মেঁ 'ততৈয়া' ইয়া 'পীলা ততৈয়া' কহতে হ্যায়। 'হড্ডা' ভী বলতে হ্যায়। 
    অব বোলতা কে বারে মেঁ শত্রুঘন সিনহাজী কে এক ডায়লগ সুনিয়ে। ফিল্ম 'বগুলা ভগত' জিসে আপলোগ বাংলা মেঁ 'বকধার্মিক' বোলতে হ্যায়।
    'বাবু অ্যায়সে তো বোলতা নহীঁ। পর জব বোলতা তো এইসা বোলতা এইসা বোলতা কি অচ্ছে অচ্ছে বোলনেওয়ালে কী বোলতী বন্দ হো জাতী'।
  • কৌশিক সাহা | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২১:০৪503734
  • @Ranjan Roy 
    वैसे বোলতা को हिन्दी में भिंड या बर्रा भी कहते हैं।
    बर्रा শব্দটির সাথে পূর্ব বাংলায় চলিত বোলতার প্রতিশব্দ 'বল্লা'র সাদৃশ্য লক্ষ করুন। 
  • Ranjan Roy | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২১:৪২503735
  • ঠিক ঠিক! একটা হিন্দি প্রোভার্ব আছে-- "বররে কী ছত্তে মেঁ হাথ ডাল না, অর্থাৎ বোলতার চাকে হাত দেয়া।
  • কৌশিক সাহা | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২২:২৫503736
  • @Ranjan Roy 
    "बर्रे के छत्ते में"
    छत्ता পুংলিঙ্গ হবে।
  • Ranjan Roy | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২৩:০৭503737
  • একদম ঠিক। এই 'কা' কে কী'র মিস্টেক এখনো শুধরালো না।
     কলেজে একদিন সবকিছুতে  এ লাগাতাম। জায়েঙে খায়েঙ্গে গোছের। পরের দিন জাউঙ্গা, খাউঙ্গা। তৃতীয় দিন জাউংগী খাউঙ্গী। আমার মুখে অনায়াসে ম্যাঁয় লাইব্রেরিকে ছত পর খড়ী থী শুনে মেয়েরা হেসে গড়িয়ে পড়ত।  বলত --সমঝী। আজ রঞ্জনদা কে 'ই' ওয়ালে দিন। 
  • Nirmalya Nag | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৩:২৯503770
  • @সে - এক দম ঠিক কথা বলেছেন। এই লেখায় যাদের কথা আছে তারা মোটামুটি সবাই পঞ্চাশ পেরিয়ে গেছেন। আর ঘটনাগুলো বিভিন্ন সময়ের। কয়েকটা টাটকা, অন্যগুলো ভাল মত বাসি।
     
    @ Sugata Sanyal - ধন্যবাদ 
     
    @ dc - এমন ভাষা বুঝে নেওয়াও কিন্তু একটা চ্যালেঞ্জ। 
     
    @ b - নিশ্চয়। তাই বলে নিজেদেরকে নিয়ে এট্টু মজা করব না? এক গুয়াহাটি  বাসিন্দা জানালেন অহমিয়ারা হিন্দি বলতে গেলেও ঠিক একই জিনিস হয়। এক বাঙালি বন্ধু থাকে ব্রেজিলে। সে বেচারার অবস্থা আরও খারাপ। হিন্দি বলতে গিয়ে অজান্তেই পর্তুগীজ বলে ফেলে।
     
     
  • উজ্জ্বল | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৮:৩৭503782
  • লৌন্ডা বা লৌন্ডি শব্দটা খারাপ বা অসভ্য নয়, হিন্দিতে এর মানে হল চাকর বা চাকরানী। প্রেমচন্দ এর লেখায় পড়েছি মা ছেলেকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিচ্ছেন, ম্যায় তেরি লৌন্ডি নহী হুঁ যো রোজ রোটি বনাকর খিলাউঙ্গি, বিবি লেকর আ। অর্থাৎ আমি তোর চাকরানী নই যে রোজ রোজ রান্না করে খাওয়াব, এবার বউ নিয়ে আয়। আপনি যে শব্দটা মাথায় রেখে লিখেছেন সেটাও শুরু লৌ দিয়ে, পরের অক্ষরটা আলাদা।
     
    এছাড়া মনে পড়ে গেল, অনেকদিন আগে দেখেছিলাম এক পাড়াতুতো দাদাকে, সে পাগল। খালি চা চেয়ে খায় আর একটাই গান বেসুরো গলায়  গায়, না ঝটকো জুলফ সে পানি ইত্যাদি। কেন এরকম হল জানতে চাওয়ায় এক ছোটভাই আলোকপাত করল, ওই দাদা একটি মেয়েকে প্রচন্ড ভালোবাসত কিন্তু মেয়েটা ঠুকরে দেয় সেই থেকে দাদার এই অবস্থা। হিন্দিতে ঠুকরানো অর্থাৎ প্রত্যাখ্যান করা।
  • উজ্জ্বল | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৮:৫৮503783
  • ও হ্যাঁ, আমিও ষাট পেরিয়েছি।
  • উজ্জ্বল | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৯:০৭503784
  • ছাতা নিয়ে গল্পটা আমি অন্যরকম শুনেছি, বিহারে এক মেয়ে কলেজের সৌম্যদর্শন বৃদ্ধ বাঙালি প্রফেসর ধবধবে ধুতি পাঞ্জাবি পরা, ছুটির সময় বাড়ি যাবার জন্য কলেজের গেটের সামনে ছাতা হাতে রিকশার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে, ঝিরঝির বৃষ্টি পড়ছে। দেখলেন, একটু দূরে এক বিহারী ছাত্রী, সেও রিকশার অপেক্ষায়, কিন্তু ছাতা নেই, ভিজছে। উনি স্নেহার্দ্র স্বরে ছাত্রীটিকে ডাকলেন, এই, তুমি ভিজতা কাহে, হামারা ছাতি মে আ যাও।
  • Nirmalya Nag | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১২:৫২503796
  • @ Ranjan Roy - দুর্দান্ত সব ঘটনা। এই সব সময়ে মনে হয় ভাষা না থাকলেই হয়তো ভাল হত। চুতিয়ার চক্করে আমিও পড়েছি একবার। অফিসের কাজের প্রয়োজনে এক জনের  নাম (তিনি সম্ভবতঃ আসামের লোক ছিলেন) দিল্লির হেড অফিসে পাঠানো হয়েছিল। তাঁর পদবী ছিল চুতিয়া। দিল্লি থেকে একজন ফোন করে নিশ্চিত হতে চেয়েছিলেন পদবীটা ঠিক লিখেছি তো, চেটিয়া নয় তো?  গোলমাল অনেক রকম, এক জন বলেছিলেন ইংরেজি শব্দ হিন্দিতে ব্যবহার হলেই তা স্ত্রী লিঙ্গ। তাই "ট্রেন যাতি হ্যায়"। অন্য এক জনকে এক কথা বলায় তিনি জানালেন ট্রেন হচ্ছে গাড়ি, আর সেটা ইকারান্ত, স্ত্রী লিঙ্গ, তাই ট্রেন স্ত্রী লিঙ্গ। যিনি ইংরেজি শব্দের ফান্ডা দিয়েছিলেন তাঁর একটা উদাহরণ মনে আছে - " মুচওয়ালি পুলিশ খাড়ি হ্যায় "। ঠিক কি না জানি না।
     
    @ কৌশিক সাহা - বোলতা নিয়ে এই কথাগুলো খুব শোনা যায়। যদ্দূর মনে পড়ছে কোনও একটা বেশ পুরনো বাংলা ছবিতে সাবিত্রী চ্যাটার্জির মুখে ছিল। নাম মনে নেই, তবে উৎপল দত্ত ছিলেন। 
     
    @ঝর্ণা বিশ্বাস - ফের ক্রিয়া পদের গোলমাল। রঞ্জন দার কা কি হল পুং স্ত্রী লিঙ্গের ঝামেলা। আমার এক আত্মীয়  ভাইজাগ বেড়াতে গিয়ে ভুট্টা পোড়া খাচ্ছিলেন। বিক্রেতাকে বলেছিলেন, " থোড়া খোসা দিজিয়ে না, গরম লাগতা হ্যায়,  হাত পুড় জায়গা।" 
  • Nirmalya Nag | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৩:০১503797
  • @ Santosh Banerjee - তাহলে দেখা যাচ্ছে ছাতির মত নিষ্পাপ শব্দও ভাষার ফেরে পড়লে পুরো 'পুঁদিচ্চেরি' (টেনিদার ভাষায়) কেস।
     
    @ উজ্জ্বল - এমনটা কি হতে পারে যে প্রেমচন্দের সময়ে লৌন্ডি শব্দটা ভদ্র ছিল, পরবর্তী কালে অর্থের বদল হয়ে গেছে?
  • dc | 122.174.***.*** | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২০:১৬503917
  • আজ বিকেলবেলা আমাদের বাড়িতে ইলেকট্রিশিয়ান এসেছেন কয়েকটা কাজ করবেন বলে। উনি যদিও তামিল, তবে অল্প অল্প হিন্দি জানেন। আমার মা বাইরের ঘরে বসেছিল, দুজনের কথোপকথনঃ 
     
    ইলেকট্রিশিয়ানঃ আম্মা কুঞ্জ উল্লে পোয়ে। (মা ভেতরে যাও, এখানে আমি কাজ করব) 
    মাঃ আমি তামিল জানিনা বাপু। তামিল নেহি জানতা। 
    ইলেকট্রিশিয়ানঃ হাম হিন্দি জানতা। ইঙ্গে মত বৈঠো। (ইঙ্গে মানে এখানে)
    মাঃ হাম পাহারা দে রাহা। উধার খরগোশ আছে দেখা নেহি? খরগোশ তোমার যন্ত্রপাতিতে কুটুশ করকে কাট দেগা। 
    ইলেকট্রিশিয়ানঃ খ...খগোশ? আম্মা ইঙ্গে মত বৈঠো। 
     
    ততক্ষনে অবশ্য আমি সেখানে পৌঁছে গেছি। 
     
     
  • ঝর্না বিশ্বাস | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৮:২৫504296
  • থোড়া খোসা দিজিয়ে না, গরম লাগতা হ্যায়,  হাত পুড় জায়গা।"  :)
  • কৌশিক সাহা | ১৩ মার্চ ২০২২ ২১:২৬504871
  • @Nirmalya Nag
    উর্দু ভাষায় laundi (لونڈی) শব্দের অর্থ  ক্রীতদাসী। মারাঠী ভাষা হতে উদ্ভূত মনে করা হয়। 
  • উজ্জ্বল | ১৪ মার্চ ২০২২ ১৯:০২504883
  • নীললোহিত একবার কোথাও শুনলো, এক বৃদ্ধ (পন্ডিতজী/পাঁড়েজী) একটা গুমটি ঘরে একা একা থাকে, সে নাকি রাত্রে ঘুঙুরের শব্দ শুনতে পায়। এক রাতে নীললোহিত্ব ভূত দেখার জন্যে বুড়োর ঘরে রাত কাটায়। বুড়ো হঠাৎ নির্জন, নিস্তব্ধ রাতে উঠে বাইরে গিয়ে অন্ধকারের দিকে তাকিয়ে বলতে থাকে, ওই শুনুন, ‌‌‌‌‌‌ঘুংঘট!। ঘুংঘট!  যতদূর জানি পেত্নিরা ঘোমটাও দেয় আবার ঘুঙুরও পরে, (যদিও দুটো একসঙ্গে কখনো করে না) এখানে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় নিশ্চয়ই ঘুঙুর বোঝাতে চেয়েছেন।
  • উজ্জ্বল | ১৪ মার্চ ২০২২ ১৯:০৩504884
  • *ঘুংঘট মানে ঘোমটা।
  • জয়দীপ দাশগুপ্ত | 82.4.***.*** | ২০ আগস্ট ২০২২ ১২:০২511204
  • কলেজ জীবনের ঘটনা। গেছিলাম Minerva তে কোনো একটি সিনেমা দেখতে। আঁখের রস বিক্রি হতো আসে পাশে। আমার সঙ্গে যিনি ছিলেন তিনি গিয়ে বললেন "এক গ্লাস আঁখো কা পানি দিজিয়ে। " 
     
    পরের ঘটনা টা শোনা।
    দিল্লি তে নতুন গেছে আমার পরিচিত বন্ধু । চাকরি সূত্রে । পালিকা বাজার এ গেছে বিছানা বালিশ কিনতে। দোকানে গিয়ে বলেছে "বালিশ হ্যায়?" দোকানী যথারীতি blank। "বালিশ ক্যা হ্যায়?" আমার বন্ধ "ঘুমানেকে লিয়ে বালিশ"; এর পর কিছু হিন্দি বাংলা আদানপ্রদান এর পর ceiling এ ঝোলা বালিশ দেখানো হলো তখন দোকানি বললো "আপ Pillow বলিয়ে না!! ওহ হামলোগ ঘুমাতে নেহি!! "
  • ইন্দ্রনীল গোস্বামী | 2600:387:3:803::***:*** | ২০ আগস্ট ২০২২ ১৬:৪০511207
  • পোস্টগ্র্যাজুয়েট করার সময় আমাদের একটা তাসের আড্ডা ছিল - শুক্র আর শনি - এই দুটো দিন অনেকে একত্র হতাম। দলে কিছু মারাঠী তামিলিয়ান, গুজরাতী আর অল্প সংখ্যক বাঙালী - এক শুক্রবার আমরা বসে গেছি - অভ্রনীল নামে এক বন্ধুর বাড়ি ফিরতে একটু দেরী হয়েছে - ওর বাড়িতেই বসেছিল আড্ডাটা - ওকে বাদ দিয়ে আমরা শুরু করে দিয়েছি দেখে খুব হন্তদন্ত হয়ে বলেছিল "আরে রুকো রুকো,ম্যায় কাপড়ে উতার কে আতা হুঁ"। আমরা হাঁ হাঁ করে উঠেছিলাম - " উতার কে নহী, বদল কে আও"
  • Nirmalya Nag | ২২ আগস্ট ২০২২ ০০:৪৪511252
  • @জয়দীপ দাশগুপ্ত - আখো কা পানি! ফাটাফাটি।
     
    @ ইন্দ্রনীল গোস্বামী - ক্রিয়া পদ নিয়ে মহা সমস্যা। এটা মাঝে মাঝে ইংরেজিতেও দেখা যায়। "জুতো খুলে রাখুন" বোঝাতে প্রায়ই লেখা থাকে "Open your shoes"। 
     
     
  • Nirmalya Nag | ২২ আগস্ট ২০২২ ০০:৪৫511253
  • মতামতের তালিকায় যা দম ফাটানো হাসির উপাদান পাওয়া গেল তাতে স্বচ্ছন্দে এই রচনার দ্বিতীয় ভাগ লেখা যেতে পারে। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন