এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • মাননীয় ‘ভাইরোলজিস্ট’ অমিতাভ নন্দী, এবং তাঁর ভ্যাকসিন-প্রতিরোধী মাস্ক

    Debasis Bhattacharya লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৯ জানুয়ারি ২০২২ | ৯৫১৩ বার পঠিত
  • চিকিৎসক ও গবেষক অমিতাভ নন্দীর একটি ভিডিও গত কয়েক দিন ধরে সোশাল মিডিয়াতে ব্যাপকভাবে ছড়ানো হচ্ছে (লিঙ্ক পাবেন এ লেখার শেষে)। তাতে তিনি বলছেন, কোভিড আসলে সাধারণ ফ্লু ছাড়া আর তেমন কিছুই নয়, এবং তা আটকাবার জন্য যে ভ্যাকসিনটা দেওয়া হচ্ছে সেটাও অকেজো, কাজেই কোভিড এবং তার ভ্যাকসিন --- কোনওটিকেই নাকি বিশেষ পাত্তা দেবার দরকার নেই। তাঁর মতে, ভ্যাকসিন বানিয়ে ভাইরাস-জাত ব্যাধিকে আটকাবার দাবি করা নাকি আসলে এক রকমের প্রকৃতি-বিরোধী দম্ভ (আবার একেবারে শেষে যদিও বলেছেন, তিনি নাকি ‘সত্যি ভ্যাকসিন’ এর জন্য অপেক্ষা করছেন)। তিনি আরও বলেন, রোগ হয়ে শরীরে ‘স্বাভাবিক’ প্রতিরোধ তৈরি হতে দেওয়াটাই রোগ প্রতিরোধের সবচেয়ে ভাল পন্থা, এবং টিকাকরণের চেয়ে তা অনেক ভাল। সেইহেতু তাঁর সুদৃঢ় পরামর্শ, রোগটিকে অবাধে ছড়াতে দেওয়া দরকার, যাতে করে প্রতিটি ব্যক্তি রোগাক্রান্ত হবার মাধ্যমে ‘স্বাভাবিক’ প্রতিরোধ-ক্ষমতা অর্জন করতে পারেন। আবার, যদিও ভ্যাকসিন জিনিসটাকেই তিনি ভালবাসেন না, তবুও একেবারে শেষে গিয়ে বলেছেন, যে ভ্যাকসিনগুলো দেওয়া হচ্ছে সেগুলো নাকি সত্যিকারের নয়, এত তাড়াতাড়ি ভ্যাকসিন হয়না ---  বছর দশেক অপেক্ষা করলে সত্যিকারের ভ্যাকসিন পাওয়া যেত। বছর দশেক পরে ভ্যাকসিন বানালে কেন যে সেটা আর প্রকৃতি-বিরোধী দম্ভ বলে গণ্য হতে পারত না, সেটা তিনি এ ভিডিও-তে ব্যাখ্যা করে বলেন নি।

    ভিডিও-টি আগে দেখেছি, আজ আরও কয়েকবার মন দিয়ে দেখলাম। এবং, একজন বর্ষীয়ান দায়িত্বশীল চিকিৎসক কীভাবে এমন বলতে পারেন, তা দেখে স্তম্ভিত হলাম। হ্যাঁ, তিনি এখানে যা যা বলেছেন, তার সবই ভুল। নিচে ভুলগুলোর একটা তালিকা বানাই বরং।

    (১) কোভিড রোগের ভাইরাসটি ‘ফ্লু ভাইরাস’-এর ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ই বটে, কিন্তু দুটো কোনও মতেই এক না --- কোভিড অনেক বেশি ভয়ঙ্কর। ঠিক যেমনটি, বিগত দুই দশকে যে সমস্ত ছোট ছোট রোগ-সংক্রমণের ঢেউ এসেছে এবং গেছে যেমন ‘সার্স’ ও ‘মার্স’, যাদের মারণ-ক্ষমতা কোভিড-এর চেয়ে বেশি কিন্তু সংক্রমণ-ক্ষমতা অপেক্ষাকৃত কম, তারাও সাধারণ ফ্লু-র আত্মীয় কিন্তু অনেক বেশি মারাত্মক। সম্ভাব্য সমস্ত মাপকাঠিতেই, অর্থাৎ রোগ-লক্ষণ, সংক্রমণ-ক্ষমতা, মারণ-ক্ষমতা, জিন-এর গঠন --- এই সব কিছুতেই সাধারণ ফ্লু-র থেকে কোভিড-এর তফাত পরিষ্কার, এবং বিষয়টি গবেষণায় সুপ্রতিষ্ঠিত। [১]

    (২) কোভিড-এর ভ্যাকসিন কোভিড-১৯ রোগটিকে আটকাতে যথেষ্ট সফল, এবং ভ্যাকসিনের সুফল নিয়ে বিস্তর প্রামাণ্য গবেষণা আছে। আন্তর্জালে সে নিয়ে তথ্য অতিশয় সুলভ। [২]

    (৩) রোগ-সংক্রমণজাত ‘স্বাভাবিক’ প্রতিরোধের চেয়ে এই ভ্যাকসিন-গুলো যে অন্তত পাঁচগুণ বেশি কার্যকর, সেটাও উচ্চমানের গবেষণায় আজ সুপ্রতিষ্ঠিত। [৩]

    একজন বর্ষীয়ান চিকিৎসক ও গবেষক হিসেবে শ্রীনন্দীর নিশ্চয়ই এ সব জানা থাকার কথা। তিনি যদি তা জেনে থাকেন, তাহলে প্রশ্ন ওঠে, জেনেশুনে আমাদেরকে বিভ্রান্ত করার কারণ কী হতে পারে? যদি না তা জেনে থাকেন, তাহলে জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত এমন একটি জরুরি বিষয়ে না জেনে কথা বলাটা বোধহয় তাঁর পক্ষে ঠিক হচ্ছে না। আর, যদি এমনটাই হয়ে থাকে যে, তিনি সবই জানেন, কিন্তু সে সব গবেষণার দাবিকে ভুল বলে মনে করেন, তাহলে সোচ্চারে তা বলতেই পারেন --- সেক্ষেত্রে সেটা বলাটা তো তাঁর কর্তব্যই। কিন্তু, সেক্ষেত্রে তিনি তাদের তথ্য-যুক্তিকে বিস্তারিতভাবে খণ্ডন করে রিসার্চ পেপার লিখুন, সারা পৃথিবীর পণ্ডিতদের সামনে নিজের যুক্তিতর্ককে হাজির করুন, এবং সাধারণ মানুষের কাছেও তাঁর বক্তব্যকে সহজবোধ্যভাবে হাজির করে প্রবন্ধ লিখুন। কিন্তু, এভাবে লোকের আস্থার সুযোগ নিয়ে ভিডিও-তে দুটো উড়ো কথা বলে লোককে বিভ্রান্ত করাটা কী ধরনের দায়িত্বপালননের দৃষ্টান্ত?

    অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হচ্ছে, শ্রীনন্দী যেভাবে ওই ভিডিও-সাক্ষাৎকারে ভ্যাকসিন বাদ দিয়ে স্রেফ স্বাভাবিক প্রতিরোধ-ক্ষমতার ওপর ভরসা রাখতে বলছেন, সেটা শুধু ভুল না, রীতিমত বর্বরোচিত। প্রথমত, স্বাভাবিক প্রতিরোধ ভ্যাকসিনের চেয়ে ভাল --- এই কথাটাই পুরো মিথ্যে, তা যদি হত তাহলে তো আর কোনও ভ্যাকসিনই লাগত না কোনও দিনই। দ্বিতীয়ত, রোগকে প্রতিরোধ না করে চুপচাপ বসে বসে রোগীদের সংক্রমিত হতে দেওয়ার ওই ধরনের প্রস্তাব অতিশয় উন্মত্ত ও অনৈতিক। তৃতীয়ত, ওইভাবে স্বাভাবিক প্রতিরোধের আশায় বিনা চিকিৎসায় মানুষকে ফেলে রাখলে সম্পূর্ণ প্রতিরোধ কবে অর্জন করা যাবে সেটা কেউ জানে না, কিন্তু তার আগে বেশ কয়েক কোটি লোক যে লোপাট হয়ে যাবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। [৪] সেটা যদি ঘটে, তো তার দায়িত্ব কি তিনি নেবেন?

    যেভাবে তিনি বললেন, মরা জীবাণু ঢুকিয়ে ভ্যাকসিন তৈরি হয়, এবং বছর দশেক না হলে কিছুতেই ‘সত্যিকারের ভ্যাকসিন’ তৈরি হয়না (এবং সেইহেতু দ্রুত-আবিষ্কৃত সমস্ত কোভিড ভ্যাকসিনই অকেজো), তাতে প্রশ্ন জাগে, তিনি কি তবে ভ্যাকসিন তৈরির আধুনিক প্রযুক্তি, যেমন ‘mRNA’ প্রযুক্তি, এ সবের কথা কিছুই শোনেন নি? [৫] ভ্যাকসিন কীভাবে অত দ্রুত বানানো গেল, সেটা অনেকের কাছেই পরিষ্কার না। অথচ আসলে এর মধ্যে বিরাট কিছু ধাঁধা নেই, বরং অনেকগুলো বাস্তব কারণ আছে, সেগুলো মোটামুটি এই রকম। (ক) সার্স, মার্স, সাধারণ ফ্লু এবং আরও নানা ধরনের রোগ নিয়ে দীর্ঘদিনের গবেষণার ফলে এই ধরনের ভাইরাস নিয়ে বিপুল তথ্য আগে থেকেই ছিল, সেটা ব্যবহার করায় সময় বেঁচেছে। (খ) সংকটের মুখে দাঁড়িয়ে সারা পৃথিবীর বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীরা নিজস্ব 'ট্রেড সিক্রেট'-এর কথা ভুলে গিয়ে অবাধে তথ্য আদান-প্রদান করেছেন, ফলে গবেষণার গতি বেড়েছে বহুগুণ। (গ) সারা পৃথিবীর সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এগিয়ে এসে গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ জুগিয়েছে অকাতরে। (ঘ) লাখো মানুষ সারা পৃথিবীর কল্যাণের স্বার্থে স্বেচ্ছায় এগিয়ে এসে পরীক্ষার গিনিপিগ হতে চেয়েছেন, ফলে পরীক্ষাও হয়েছে দ্রুত, এবং ফলাফলও হয়েছে নির্ভরযোগ্য। (ঙ) দ্রুত নিরাপদ এবং কার্যকরী ভ্যাকসিন তৈরির জন‌্য আবিষ্কৃত হয়েছে 'mRNA' প্রযুক্তি। এতে গোটা জীবাণু-টির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে হয়না, শুধু আমাদের শরীরকে জীবাণুর 'স্পাইক প্রোটিন'-টিকে চিনিয়ে দিলেই চলে।

    আর, তিনি 'সত্যি ভ্যাকসিন'-এর জন্য অপেক্ষা করছেন --- এইটা জেনেও খুব অবাক হলাম। উনি তো ভ্যাকসিন ব্যাপারটারই বিরুদ্ধে, তার সত্যি-মিথ্যে নিয়ে মাথাই বা ঘামাচ্ছেন কেন খামোখা? কিছুই বুঝিনি। পাঠকরা কেউ বুঝে থাকলে, অনুগ্রহ করে বোঝাবেন।

    ফেসবুকে এই ভিডিও-টি প্রচার করা হচ্ছে শ্রীনন্দীকে ‘ভাইরোলজিস্ট’ বলে দাবি করে। তিনি কোন প্রতিষ্ঠানে ভাইরোলজি-সংক্রান্ত গবেষণা করেন সেটা জানার অনেক চেষ্টা করেও জানতে পারিনি। তিনি কয়েকটি সংক্রামক এককোষী প্রাণি ও তজ্জাত ব্যাধি নিয়ে গবেষণা করেছেন, সে তথ্য আন্তর্জালে পাওয়া যায়, কিন্তু ভাইরাস নিয়ে আলাদা করে তাঁর কোনও গবেষণার সন্ধান আমি পাইনি, কারুর যদি জানা থাকে অনুগ্রহ করে আমাকে জানাবেন। আমি জানি, এ প্রশ্ন তুললেই তাঁর সমর্থকেরা এসে বলবেন, শ্রীনন্দী আসলে ভাইরোলজিস্ট কিনা সে প্রশ্নের থেকে তাঁর বক্তব্যে যৌক্তিকতা বা সারবত্তা আছে কিনা এইটা বেশি জরুরি প্রশ্ন। এবং, এক্ষেত্রে অন্তত আমি তাঁদের সঙ্গে একমতই হব (তাঁর বক্তব্যে আদৌ যৌক্তিকতা বা সারবত্তা পাইনি যদিও)। কিন্তু আমার প্রশ্নটা হচ্ছে, যাঁরা তাঁর বক্তব্য প্রচার করছেন তাঁরা তাহলে সেটাই বলুন --- উনি ভাইরোলজিস্ট কিনা সেটা বড় কথা না, বরং উনি যে সঠিক কথা বলছেন এটাই বড় কথা। কিন্তু, ওঁরা তো তা করছেন না, বাড়তি গ্রহণযোগ্যতা সৃষ্টি করার জন্য ওঁকে ভাইরোলজিস্ট বলে হাজির করছেন। যদি ভাইরোলজি নিয়ে তাঁর তেমন কোনও গবেষণা না থেকে থাকে, তাহলে ব্যাপারটা নৈতিকভাবে খুব একটা গ্রহণযোগ্য হচ্ছে কি?

    কিন্তু, ভিডিও-টিতে একটি মজার ব্যাপারও আছে। এখানে যে বিষয়টি সবচেয়ে লক্ষণীয় সেটা হচ্ছে এই যে, সারাক্ষণই তিনি সাক্ষাৎকারটি দিলেন মুখে একটি জবরদস্ত মুখোশ ভাল করে এঁটে রেখে। মুখোশ কেন? আইনের ভয়ে, নাকি ‘সাধারণ ফ্লু’-এর ভয়ে? আরও প্রশ্ন জাগে, আইন এবং/অথবা ‘সাধারণ ফ্লু’-এর ভয়ে যদি তিনি মুখোশ পরে থাকেন, তবে কি তিনি ওই একই ভয়ে ভ্যাকসিনের দুটি ডোজও নিয়ে নিয়েছেন ইতিমধ্যে? যদি নিয়ে থাকেন, তাতে আমাদের অত্যন্ত খুশি হওয়া উচিত --- তাঁর মত স্বনামধন্য বর্ষীয়ান চিকিৎসক কোভিডের কবলমুক্ত থাকুন, এটা তো সকলেই চাইবেন।

    কিন্তু, নাঃ! ভিডিও দেখে অন্তত সে ব্যাপারে নিশ্চিত হবার কোনও উপায় নেই! ক্যামেরায় শুধু মুখোশটাই দেখা যায়, অন্য কিছু নয়। আমরা চাইব, তিনি যদি ইতিমধ্যে ভ্যাকসিন না নিয়ে থাকেন, তো এবারে নিয়ে নিন। তিনি ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন।
     
     

    ভিডিও-র লিঙ্ক রইল এখানে। [ https://www.facebook.com/debasis.bhattacharya.79/posts/5174408019250198 ] 
     
     
     
     
     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৯ জানুয়ারি ২০২২ | ৯৫১৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সংগ্ৰাম অগস্তি | 2409:4060:219b:fcc1::178f:***:*** | ২৯ জানুয়ারি ২০২২ ১৪:২৪503211
  • খুবই বুদ্ধিদীপ্ত আলোচনা। আমি সম্পূর্ণ সহমত পোষণ করছি।
  • সুব্রত | 103.77.***.*** | ২৯ জানুয়ারি ২০২২ ১৪:৩৫503212
  • অ্যান্টি-ভ্যাক্স কথকতা অমৃত সমান।
    "ভাইরোলজিস্ট" কহেন শুনে পুণ্যবান।।
  • শ্রমণা | 2605:6400:30:f0ad::***:*** | ২৯ জানুয়ারি ২০২২ ১৪:৪৩503213
  • দেবাশিসবাবু কোন বিভাগের ডাক্তার?
  • সংগ্ৰাম অগস্তি | 2409:4060:219b:fcc1::178f:***:*** | ২৯ জানুয়ারি ২০২২ ১৪:৫৯503216
  • ডঃ নন্দী,
    উক্ত বিষয়ে আপনার বক্তব্য জানার অপেক্ষায় থাকলাম।
  • Commies are cocoroaches | 80.189.***.*** | ২৯ জানুয়ারি ২০২২ ১৫:৩০503219
  • ওরে মূর্খের দল, "লাখো মানুষ" যদি এগিয়ে এসে trial এ participate করে থাকে, তাহলে Pfizer এর data 75 বছর ধরে আস্তে আস্তে publish করা হচ্ছে কেন? ভয়টা কিসের? Data publish করতে 75 বছর লাগে, কিন্তু সেই data দেখেই FDA 5 মাসে approval দিয়ে দিতে পারে!
     
    আর তোদের নতুন "science" 5 মাসের trial এর পর predict করে দিতে পারে, যে কোন long term effect নেই? এটা science না magic রে? তোরা তোদের এই নতুন science এর মন্দিরে দুবেলা ভালো করে পুজো দে !
  • Commies are cockroaches | 80.189.***.*** | ২৯ জানুয়ারি ২০২২ ১৬:৪২503220
  • তোদের এতোই বুদ্ধি, যে "anti-vaxxer" দের বিরুদ্ধে যুক্তি দিস CDC, FDA, WHO আর mainstream দালাল media র reference দিয়ে। ওরে মূর্খের দল, তোদের ওই দালাল media আর দালাল establishment এর quote আমাদের শুনিয়ে লাভ নেই, কারণ তারা আর তোরা সব একই মালিকের পোষা কুকুর। ওই খেলাগুলো আমরা সব জানি।
  • Arindam | 2a0b:f4c2::***:*** | ২৯ জানুয়ারি ২০২২ ১৬:৫০503221
  • কোনটা mRNA? কোভিশিল্ড না কোভ্যাক্সিন?
  • santosh banerjee | ২৯ জানুয়ারি ২০২২ ১৭:০০503222
  • এখন আর এইসব করোনা নিয়ে মতামত, ব্যাখ্যা, নতুন নতুন নিদান এগুলো গুলিয়ে গেছে। অন্ধের হাতি দেখা !! তারপর কুযুক্তি তো আছেই। ""রাস্তায় ফেরিওয়ালা, ভ্যান চালক , ফুল বিক্রেতা এদের তো করোনা হচ্ছে না তেমন ""?? যততো সব! আমরা প্রথম থেকে দেখেছি কিছু চিকিৎসক, কিছু ভিরিওলজিসট, কিছু মহান ব্যাকতি কতো না উপদেশ, নিদান দিলেন, রোগ যার ধরলো তার ওপর কিছু খরচের বোঝা চাপলো। দিশেহারা দের মতো ছোটাছুটি, হাজার টা টোটকা, চিকিৎসা করতে করতে সর্বশান্ত ।এতো confusia ????? 
  • দেবাশিস্‌ ভট্টাচার্য | 103.217.***.*** | ২৯ জানুয়ারি ২০২২ ১৯:১৭503226
  • Commies are cocoroaches, 
    ফাইজার কোম্পানি সম্ভবত আপনার তুই-তোকারির ভয়েই এতদিন তথ্য লুকিয়ে রেখেছিল। কিম্বা, একটা বিকল্প সম্ভাবনা থাকছে, তথ্যগুলো হয়ত নন্দী মহাশয়ের মুখোশের তলায় লুকোনো আছে, খুললেই দেখা যাবে। 
  • Commies are always cockroaches | 82.132.***.*** | ২৯ জানুয়ারি ২০২২ ১৯:২৪503227
  • কোভিড এমনই ভয়ঙ্কর যে বেছে বেছে আতঙ্কিত flat বাড়ির মধ্যবিত্ত জনতা, যারা বাড়ির ভেতরে তিনটে করে mask পরে বসে আছে আর ঘণ্টায় ২১ বার করে হাত sanitise করছে, তাদেরই attack করে। গরীব, নিম্নবিত্ত, খেটে খাওয়া মানুষ, যাদের TV দেখে ভয় পাওয়ার সময় নেই, আর সারাদিন হাত sanitise করার পয়সাও নেই, তাদের কিছুই হয় না।
  • তিন্নি | 51.15.***.*** | ২৯ জানুয়ারি ২০২২ ১৯:২৭503229
  • বিশ্বাসে মিলায় ভ্যাক্সিন তর্কে বহুদূর।
  • Alok Dhar | 2a0b:f4c2:3::***:*** | ২৯ জানুয়ারি ২০২২ ২০:৩৪503233
  • ডঃ নন্দীর বক্তব্য বিষয়ে জানতাম না। এই লেখা পড়ে শুনে দেখলাম। খুবই যুক্তিগ্রাহ্য বক্তব্য। ডাক্তারবাবুরাও চোখ বুজে টিকার ভরসা করছেন না জেনে আশা জাগে। অজস্র ধন্যবাদ।
  • অনামী | 2409:4060:102:76af:8d2e:b3fc:c936:***:*** | ৩০ জানুয়ারি ২০২২ ১৬:১৫503289
  • Commies are always cockroaches,
     
     high tech capitalist রা ভরসায় ছিল neo - normal social distancing এসব চিরকাল এরকমই থাকবে আর facebook amazon tesla ইত্যাদি রা এরকম ভাবেই চূড়ান্ত মুনাফা লুটে যাবে।
     
    "Big tech’s giant market rally has rested on two assumptions, says the Financial Times. “One was that lockdowns would permanently change how we live our lives,” the second was that interest rates would stay ultra-low “for the foreseeable future”. Both are now being brought into question."
     
    Link -
     
    এখন stock market investor রা বুঝতে পেরেছে high tech stock market bubble collapse করে যেতে পারে।
    Tesla Netflix ইত্যাদি company দের স্টক পড়ছে। 
     
    গরীব মানুষ lockdown এ আধপেটা খেয়েছে। কত খেটে খাওয়া মানুষের চাকরি গেছে তার ঠিক নেই। কালা কৃষি আইন ও শ্রম আইন ও এই covid lockdown এর সুবিধা নিয়ে চটজলদি পাস করিয়ে নিয়েছে extreme rightwing. মানুষ ভালোই বুঝেছে extreme rightwing এর তৈরি করা lockdown কি জিনিস।
  • Cockroaches | 95.174.***.*** | ৩০ জানুয়ারি ২০২২ ১৭:৫৩503290
  • অনামী,
    আর একটু aware হোন, তখন জানতে পারবেন যে বাম আর ডান সবাই একই মালিকের পোষা কুকুর।
    এই site টা communist দের। এরা যা বলে আর বিলিয়নেয়ার Bill Gates বা Jeff Bezos যা বলে তার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই, কারণ সবাই এক জায়গা থেকেই order পায়।
    এই site এর লোকজন অবশ্যই একেবারেই low grade এর দালাল, একেবারেই নিচের তলার। কিন্তু এরাও সারাক্ষণ প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছে boss কে একটু খুশি করতে, তাতে যদি boss আরো দুটো খুদকুঁড়ো ফেলে তাহলে এরা ধন্য হয়ে যাবে।
  • S | 2605:6400:30:f920:4cbe:d6a6:82b1:***:*** | ৩০ জানুয়ারি ২০২২ ২৩:৪৫503305
  • https://www.cnn.com/2021/07/05/economy/ambani-adani-india-covid-billionaires-intl-hnk/index.html

    Mukesh Ambani — chairman of the sprawling conglomerate Reliance Industries — is now worth more than $80 billion, some $15 billion more than a year ago, according to the Bloomberg Billionaires Index. Not far behind him is Adani Group founder Gautam Adani, whose wealth skyrocketed from less than $13 billion this time last year to $55 billion today.
  • উত্থান বন্দ্যোপাধ্যায় | 223.223.***.*** | ৩১ জানুয়ারি ২০২২ ০০:২১503307
  • আপনার তথ্য [২] সন্দেহজনক। এবং অতিকথন। এর বিপরীতে আমিও একটি লিঙ্ক দিলাম , সেইটি পড়ুন অনুগ্রহ করে।:-
  • উত্তান বন্দ্যোপাধ্যায় | 223.223.***.*** | ৩১ জানুয়ারি ২০২২ ০০:২৫503308
  • আপনার তথ্য [২] সন্দেহজনক। এবং অতিকথন। এর বিপরীতে আমিও একটি লিঙ্ক দিলাম , সেইটি পড়ুন অনুগ্রহ করে।:-
    https://www.bmj.com/content/371/bmj.m4037
  • অনামী | 2409:4060:102:76af:35dc:6b4:b3c5:***:*** | ৩১ জানুয়ারি ২০২২ ০১:২৮503311
  • "The ruling class of the capitalist governments acted swiftly to hide their criminal responsibility and portrayed the pandemic as an exogenous shock that had nothing to do with how modern capitalist states are currently run, calling everybody to join forces by changing their ill-conceived rhetoric to a more palatable gimmick ‘we are all in this together’.
     
    Being economical with the truth has always been the most powerful weapon in the arsenal of the dominant class. This ‘viral battle’ has a clear class character! It is the workers and their immediate families who have been exposed to the most harmful health, economic and social consequences of the pandemic. It is the ‘common people’ who are risking their lives without any means of protection, making sure that society can still function.
     
    Not only are the billionaires who own and control the planet’s wealth unwilling to make any sacrifices, but they also go the extra mile to even threaten redundancies and instruct their employees to return to work even though their health is at risk. Their key message is that ‘production must go on’. The ultimate goal is to ensure that the stream of profits keep coming to them. For some others, this pandemic can even be turned into a business opportunity. The big lie has been exposed! The consequences of this pandemic do not affect us all equally. We are NOT all in this together! It is the workers that are suffering the most, whilst the bourgeoisie is preoccupied with how to achieve the maximum possible profits.
     
    More alarmingly, the Covid-19 pandemic and the concomitant policies implied to staunch its transmission have severely restricted our political and social rights, which might be a dress rehearsal of what the future holds for us. Let’s hope, as Robinson and Harrod (1936: 693) once eloquently put it, that ‘any government which had both the power and will to remedy the major defects of the capitalist system would have the will and power to abolish it altogether’. Lastly, the dilemma that was once posed by Frederick Engels more than 150 years ago ‘Socialism or Barbarism’ can be now modified to ‘Socialism or destruction of humanity’."
     
     
     
  • lcm | ৩১ জানুয়ারি ২০২২ ০১:৩৪503312
  • "... এই site টা communist দের। এরা যা বলে আর বিলিয়নেয়ার Bill Gates বা Jeff Bezos যা বলে তার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই, কারণ সবাই এক জায়গা থেকেই order পায়... "

    তার মানে বিল গেটস, আর, জেফ বেজোস তাহলে কম্যুনিস্ট। আমার অনেক দিনের সন্দেহ ছিল যে এরা কারা - এদ্দিনে বুঝলাম।  
    আর, এই সাইটটাও কম্যুনিস্টদের, মানে বিল গেটস আর জেফ বোজোস দের। 
    আর তাদের এক জায়গা থেকে "অর্ডার" পায় - সেটা কোন জায়গা বলা নেই - তিব্বত হতে পারে, তমলুকও হতে পারে, বা ভার্জিনিয়াও হতে পারে। কিন্তু "অর্ডার" পায়।
    ---
    হরি হে মাধব, 
    চান করব না গা ধোব  
  • S | 2001:bc8:1824:a06::***:*** | ৩১ জানুয়ারি ২০২২ ০১:৩৬503313
  • লসাগুদা, আপনারা বিল গেটসের সাইট হয়ে কোডিংএ জাভা ব্যবহার করেন নাকি?

    ছি ছি।
  • S | 2001:bc8:1824:a06::***:*** | ৩১ জানুয়ারি ২০২২ ০১:৪৬503314
  • "সেন্সেশ্যনাল খবর ছাপিয়ে প্রচুর লোকে কেরিয়ার করে থাকে।"

    এটা সত্যিই একটা ভ্যালীড ক্যরিয়ার অপশান। আপনারা নিশ্চই দেখে থাকবেন মাঝে মাঝেই লিন্ক আর অ্যাড আসে যে এই বা আগামী বছরই আমেরিকার অর্থনীতি রসাতলে যাবে। এগুলো সবই গিমিক। সেখানে শিক্ষিত অর্থনীতিবিদরা মাঝেসাঝে যাসব যুক্তি দেয় সেগুলো "অস্ত্রালয় থেকে অস্ট্রেলিয়া" বা "বৃষ্টি হলে আর ক্লাউড কম্পিউটিং করা যাবেনা"র সমতুল্য। কিন্তু তাহলে এইসব কেন করেন এইসব শিক্ষিত লোকজনেরা। কারণ এইসব ফোরকাস্টগুলো যদি একবার মিলে যায়, তাহলে এক ধাক্কায় এরা মিলিয়নেয়ার হয়ে যায়। টিভি ইন্টারভিউ, লেকচার ইনভিটিশান, বোর্ড মেম্বারশিপ, বুক ডীল, এমনকি সেই বইএর হলিউড রাইট্স এসব তখন শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা।
  • Cockroaches | 91.219.***.*** | ৩১ জানুয়ারি ২০২২ ০১:৪৭503315
  • "হরি হে মাধব, 
    চান করব না গা ধোব"
    -lcm
     
    মগজটা তো ধোয়া হয়েই গেছে, তাই বাকি আর কি ধোয়া হচ্ছে না হচ্ছে তাতে বিরাট কিছু যায় আসে না।
  • উত্তান বন্দ্যোপাধ্যায় | 223.223.***.*** | ৩১ জানুয়ারি ২০২২ ০৩:১৩503316
  • যত খুলবেন ততো বোঝাবেন যে আপনারা কেউকেউ কতোটা রাষ্ট্রীয় ভাষ্যের কাছাকাছি। 'তথাকথিত' বামপন্থীরা অনেক আগেই পৃথিবীর বড়ো বড়ো ফাউন্ডেশনের কাছে বিক্রী হয়ে গেছে। এগুলো নিদান নয় , অগুনতি তথ্য আছে। মানুষের দুর্বীষহ অবস্থার বিরুদ্ধে কথা বলেন না আপনারা , লকডাউনের বিরোধীতা‌ করেন না‌ আপনারা , আপনারা তাই স্কুল খোলার পক্ষে নন, আপনারা বেআইনি ম্যান্ডেটারি ভ্যাক্সিনেশনের বিরোধীতা করেন না সরব হয়ে , বলেছেন না কিছু, নীরব থাকেন। নীরব থাকার দূর্বলতা পাছে লোকে বুঝতে পারে তাই আপনারা আপনার মতে না মিললে এ্যান্টিভ্যাক্সার বলে দেগে দেন। কাউকে বলেন ও ভাইরোলজিস্ট ছিলেন কিনা বা কীসের ভাইরোলজিস্ট - এগুলো নিয়ে চর্চা করেন। আপনি জানেন কি যে ভাইরোলজি তে এমডি ডিগ্রী হয় না , হয়  মাইক্রোবায়োলজি তে ? আর স্কুল অফ ট্রপিক্যালের কোন সিনিয়র ডাক্তার তিনি ট্রপিক্যাল ডিজিজেজ নিয়ে যেমন জানতে পারেন , ইনফেকশাস ডিজিজেজ নিয়ে যেমন জানতে পারেন , প্যালরাসাইটোলজি নিয়ে যেমন জানতে পারেন , তেমনভাবেই এপিডেমিওলজি নিয়েও জানতে পারেন। এপিডেমিওলজিতেও এমডি হয় না , হয় কমিউনিটি এ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিন এ। কে ডাক্তার আর কে ডাক্তার নন এর থেকে বিষয়বস্তু কম বা বেশি বোঝাবুঝি হয় না। নির্ভর করে এটাই যে জানতে চাইলে , পড়তে চাইলে , বুঝতে চাইলে তা কিন্তু হয়। ধরুন, আমি , এই অধম যে কোন মেডিকেল মানুষ নন, মেডিকেল কলেজের অনেক প্রফেসরকেও শিখিয়েছি যে কিভাবে কনসেন্ট নিতে হয় কোন অপারেশনের রুগির জন্যে , বা ইনফর্মড কনসেন্ট কাকে বলে সেটা অনেকেই জানেন না। এগুলো মেডিকোলিগ্যাল ইস্যু। অনেক ডাক্তারও আমার কাছে এবিষয়ে শরণাপন্ন হয়েছেন। তো তাতে কি কিছু যায় আসে? কাজেই ব্যক্তিগত ম্যালাইন করার আগে আপনিও ভাববেন আপনি নিজে কী - যাইহোক, সেসব নিয়ে আমার চর্চা করার অভ্যেস নেই। ডাঃ অমিতাভ নন্দীর সাথে দু'দিন আগে আমি ব্যক্তিগতভাবে দেখা করি ও জানতে চেষ্টা করি যে উক্ত ভ্যাকসিনের এফিকেসি নিয়ে উনি কী বলতে চেয়েছিলেন;  উনি হেসে আমাকে যা‌ বললেন তাতে আপনার লেখার ব্যাখ্যা মিলছে না। সর্বোপরি , উনি এটা জানেন না যে ভ্যাক্সিনের এফিকেসির সংজ্ঞা কী - এ নিয়ে আপনার চর্চাটা একটু মাত্রাতিরিক্ত বাড়াবাড়ি নয় কি ?। ফ্লু ভ্যাকসিনের সাথে আশা করি আপনি পোলিও ভ্যাকসিনের তুলনা করবেন না। কাজেই ন্যাচারাল ইমিউনিটি কোন অসুখে বেশি হয় , কোন অসুখে ইনফেকশন হয়ে যাক এ অপেক্ষার রিস্কটাই নেওয়া যাবে না - এগুলো আলাদা আলাদা পার্ট।‌‌আপনি দুটো কে গোলাবেন না। জেনে নিন - পটাং করে বিশেষজ্ঞের মতো উত্তর দেবার আগে জেনে নিন। 
    আপনার লেখাটি কষ্ট করে পুরোটাই পড়ে দেখলাম। এর পরে এই সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার জন্য এতো সময় না খরচ করাই বিধেয় হবে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের প্রাথমিক বিষয়টা না বুঝেই, এদিক-ওদিক থেকে কাট এ্যান্ড পেস্ট করলেই, সেটা বিজ্ঞান চর্চা বা যুক্তি বিন্যাস তার কোনটাই হয় না।
    সিডিসি র সাইট থেকে বোঝাতে চাইছেন, কোভিড 19  ফ্লু র থেকে অনেক বেশি সংক্রামক এবং মারাত্মক। এখন কিসের মাপকাঠিতে, কোন অসুখ অন্য কোন অসুখের থেকে বেশি মারাত্মক হয়, সে সম্পর্কে দেখছি কোন ধারনার কথা লেখা নেই বা ব্যাখ্যা নেই আপনার লেখাতে।
    আমাদের দেশে কোভিড সংক্রমণে মৃত্যুর হার ০.০৫%। হুয়ের হিসেব অনুযায়ী, ফ্লু র মৃত্যুহার ০.১% অর্থাৎ কোভিডের দ্বিগুণ।
    ভ্যাকসিন এর কার্যকারিতা দেখাতে গিয়ে, তথাকথিত এফিকেসি ট্রায়াল' গুলোতে কিভাবে অংকের বুজরুকি দেখানো হয়েছে, সেটা তো অনেক লেখাতেই আছে। সেই সঙ্গে ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে, ফাইজার ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে কি পরিমান জালিয়াতি হয়েছে সেটা ঐ ট্রায়ালে অংশগ্রহণকারী এক কর্মী সমস্ত মাধ্যমের কাছে ফাঁস করে দিয়েছেন। 
    তা সত্ত্বেও যারা মরিয়া হয়ে প্রমাণ করতে চাইবে যে ভ্যাকসিন গুলি (প্রায়) 100% কার্যকর, তাদের জন্য অবশ্য ভেজাল দেওয়া সমীক্ষার অভাব নেই। ওই রকমই একটি সমীক্ষার কথাই তো তুলে ধরেছেন।  অনুরোধ করবো অপেক্ষা করতে-
    আশা করা যায় খুব শিগগির, আরো অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসবে।
     
    আপনাকে শেষ একটা কথা বলছি।
    ন্যুরেমবার্গ কোড অব এথিক্সের প্রথম পয়েন্ট টা ইনফর্মড কনসেন্ট এর উপর। এটা জানেন? এটা সমর্থন করেন? হেলসিঙ্কি ডিক্লেয়ারেশন  এর শেষ ও ২০ তম সংশোধনীতেও ট্রায়াল বিষয়ক প্রোটেকশন , নীতিমালা ও ইনফর্মড কনসেন্ট সম্পর্কে বিশদে লেখা আছে। এটা জানেন? এটা সমর্থন করেন?: দিন। UNESCO র Declaration of Human Rights and Bio Medical Ethics (২০০৫ হন) থেকে আর্টিকেল ৬/১ টা পড়ে নেবেন। সেখানে ট্রায়ালের বিষয়ে প্রতিটি পদক্ষেপ দেওয়া আছে। এটা জানেন? এটা সমর্থন করেন? এমনকি বর্তমান ভারত সরকারের Ministry of Health And Family Welfare এর ২০১৮ সালের ১৭ দফা পেশেন্ট রাইটস টাও দেখে নেবেন। তাতে ৪ নং চার্টারে দেওয়া আছে ইনফর্মড কনসেন্টের উপরে , দেওয়া আছে ১৩ নম্বর চার্টারে বায়ো মেডিকেল রিসার্চ সমন্ধে নীতিমালা। এবারে আসুন কোভিশিল্ড ও কোভ্যাকসিনের ফ্যাক্টশীট গুলোতে । দুটোতেই লেখা আছে - এই ভ্যাকসিন আপৎকালীন ও সীমাবদ্ধ ব্যবহারের জন্য। প্রথম কথা এই ভ্যাকসিনগুলি সহ পৃথিবীতে এরকম সাড়ে তিনশ ভ্যাকসিন গোটা পৃথিবীর মানুষের উপরে বিভিন্ন জায়গায় প্রয়োই হচ্ছে। প্রত্যেকটাই ক্যান্ডিডেট ভ্যাক্সিন। একথাটা বলছেন না কেন আপনারা? কেন বলছেন না ফ্যাক্টশীট অনুযযায়ী কিভাবে এটি গণটীকাকরণ বোঝায়? কেন বলছেন না? কেন বলছেন না যে তাহলে ঐসব আসাধারণ ঐতিহাসিক আইনগুলো কি ammended হয়ে গেলো? তাই তো হয় নি। তাহ এইসব প্রশ্নগুলো? আরটিআই গুলোতে ও সুপ্রীম কোর্টে হলফনামা দিয়ে কেন্দ্র বলছে যে এই ভ্যাক্সিনগুলো নিতেই হবে ,  মোটেই ম্যান্ডেটরি নয় - কেন বলছেন না আপনাদের প্রচারে একথা?  কোন মানুষদের উপকারের জন্যে একথাগুলো বলছেন না?  কেন বলছেন না যে হু এর সৌমা স্বামীনাথন ও আইসিএমআর এর যৌথ সার্ভে তে ২০২১ সালের জুলাই রিপোর্টেই দেখা গেছে যে ভারতে তখনই ৬৩% সেরো পজিটিভ পাওয়া গেছে ভ্যাক্সিন বাদ দিয়েই(কারণ তখনও পর্যন্ত সারা ভারতে ৫% টীকাকরণ হয়েছিল মাত্র - ২০২১ এর মে-জুনের কথা বলছি)। কোন পপ্যুলেশনের ২/৩ ভাগ অথবা ৫০-৯০% যদি সেরো পজিটিভ আসে তখন বলা হয় হার্ড ইমিউনিটি তে সমাজটি পৌঁছে গেছে। একথা স্বামীনাথন বলেছিলেন ও তাই তিনি বলেছিলেন যে ভারত হার্ড ইমিউনিটি তে পৌঁছে গেছে ও আমরা এন্ডেমিক স্তরে প্রায় এসে গেছি। তাঁর এসব কথা‌ বলার পরেও হুড়হুড় করে ভ্যাক্সিনেশন আবার বাড়িয়ে তখন দিতে শুরু করা হলো তখন একবারও কি দায়ীত্বে আসেনা যে কেন ঐ কথাগুলি বলেছিলেন স্বামীনাথন? উনি কিন্তু WHO র Chief Scientist এবং ভারতীয়।  
    কাজেই সব কার্যকারণ যোগ করলে এটাই তো স্বাভাবিক যে আপনি mandatory vaccination নিয়ে একটা কথাও বলবেন না। 
    যে অতিরাষ্ট্রীয় সীদ্ধান্ত গুলি বিশ্বজুড়ে অত্যন্ত দৃঢ় ভাবে দাঁড়িয়ে আমাদের প্রতিমুহূর্তে অবদমন করছে, চুপচাপ অধিকার হরণ করছে ,যা প্রতিনিয়ত আমাদের যাপনকে প্রভাবিত  করে চলেছে, যা সীদ্ধান্ত সূচকই হয়ে যাচ্ছে, তার কি প্রতিবাদ হবে না ? নিজের মতামতকে জাঁকিয়ে ধরতে গিয়ে রাষ্ট্রীয় ভাষ্যকেই আগ্রহ করে নির্ভর করবো? বিজ্ঞান? যুক্তিবাদ?
     
  • lcm | ৩১ জানুয়ারি ২০২২ ০৩:১৪503317
  • না রে ভাই, আমি গা ধোয়ার কথাই বলছিলাম, মগজ থাকলে তো ধোবো, মগজই নাই।
  • lcm | ৩১ জানুয়ারি ২০২২ ০৩:২১503318
  • "... বামপন্থীরা অনেক আগেই পৃথিবীর বড়ো বড়ো ফাউন্ডেশনের কাছে বিক্রী হয়ে গেছে... "

    আরে ভাই, "বামপন্থী" কারা ভাই ? 
    ওহ বুঝেছি, বামপন্থী তো বিল গেটস আর জেফ বেজোস - তাই তো?
    আর "ফাউন্ডেশন" ও বুঝেছি - ওই বিল এন্ড মেলিণ্ডা গেটস ফাউন্ডেশন -

    কিন্তু এই "বিক্রী" ব্যাপারটা কি? এটা কি পেটিএমে বিক্রি হয়েছে, কোনো ট্রান্সাকশন রেকর্ড আছে, সেই রেকর্ড কি হেলসিংকি তে আছে।
  • lcm | ৩১ জানুয়ারি ২০২২ ০৩:২৩503319
  • বড়েস,
    দাঁড়াও, আগে "বামপন্থী বিল গেটস" - ব্যাপারটা বুঝি। জাভা টাভা তো তুচ্ছ ব্যাপার।
  • S | 2a0b:f4c2:1::***:*** | ৩১ জানুয়ারি ২০২২ ০৩:৪৮503320
  • আমেরিকায় অ্যান্টাই ভ্যাক্সারদের মূলত দুটো অ্যাজেন্ডা।

    প্রথমটা ধর্ম সংক্রান্ত। চার্চ তাদেরকে শিখিয়ে দিয়েছে যে ভ্যাক্সিন নেবেনা, সেটা নাকি গডের ইচ্ছার বিরুদ্ধে। তার সাথে আরো হাবিজাবি তত্ত্ব জুড়ে দেওয়া হয়। আসল উদ্দেশ্য হল জনগণকে চার্চের হাতের পুতুল করে রাখা। এতে ডোনেশান ঠিক থাকে।

    দুই, সরকার দ্বারা সস্তায় বা বিনা পয়সায় ভ্যাক্সীন দেওয়া বন্ধ করা। এর ফলে মাইনরিটিরা ভ্যাক্সীন কম পাবে। রেসিয়াল প্রোপোর্শান "ঠিক" থাকবে।
  • ar | 173.48.***.*** | ৩১ জানুয়ারি ২০২২ ০৪:০৭503321
  • আগের (১ঃ২৮এর) লিঙ্কটা তো Human Geography জার্নালের!!
    ডাঃ নন্দী কে চিনিনা, ধরে নিলাম যে উনি বেশ নামকরা চিকিৎসক। তো, নামকরা চিকিৎসক হিসাবে এটা না জানার কথা নয়, যে, ইন্ফ্লুয়েনজা ভাইরাস আর কোভিড-১৯ বা সার্স-্কোভি-২ ভাইরাস দুটো আলাদা জাতের ভাইরাস। প্রথমটা আটটা নেগেটিভ সেন্স সিঙ্গল-স্ট্যান্ডেড আর এন এ ভাইরাস, দ্বিতীয়টা একটা পজিটিভ সেন্স সিঙ্গল-স্ট্যান্ডেড 30k আর এন এ ভাইরাস। বলাই বাহুল্য যে, দুটোর মানব দেহের প্রাইমারী রিসেপটরও আলাদা। আবার এই দুটি ভাইরাসই কমন কোল্ড এর জন্য দায়ী রাইনোভাইরাসের থেকে আলাদা। এই তথ্যগুলো উনি নিশ্চয় জানেন, তবু অন্য তথ্য প্রচার করে চলেছেন। কেন?? এতে করে কী উদ্দেশ্যসাধন হতে পারে?
    আমার মনে হয়েছে যে, প্রাথমিকভাবে একটা বা দুটো কারণের জন্য হতে পারে। একঃ পলিটিক্যাল লাভ, যে কারণে ডাঃ সুভাষ সরকার প্রথ্মদিকে বেশ কয়েকটা ভিডিয়ো ইউটিউবে ছেড়েছিলেন। দুইঃ অর্থনৈতিক কারণ। প্রচুর ডাক্তারবাবুরা নার্সিংহোম/প্রাইভেট হাসপাতালের সাথে যুক্ত। সাধারণ মানুষকে বিপথে চালনা করে আখেরে এদেরই লাভ। সার্সকে কমন ফ্লু ভেবে অবহেলা করার ফলে অসহায় মানুষকে সিভিয়ার পালমোনারী কমপ্লিকেশ্যন নিয়ে এইসব নার্সিংহোম/প্রাইভেট হাসপাতালেই গিয়ে ভীড় করতে হবে। (সরকারী হাসপাতালের ওপর ভরসা তো কবেই উধাও হোয়ে গিয়েছে!!)। তো, তারপর এই সব রুগীদের জন্য নার্সিংহোম/প্রাইভেট হাসপাতালের এন্ডোট্র্যাকিয়্যাল ইন্টুবেশ্যনের পপুলার দাওয়াই তো আছেই!!

     
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন