এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ভ্রমণ  ঘুমক্কড়

  • নামদাফা এবং – ১

    লেখকের গ্রাহক হোন
    ভ্রমণ | ঘুমক্কড় | ১১ জানুয়ারি ২০২২ | ২২৯৪ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • | | | | ৫  | | | |
    সেপ্টেম্বর মাসে রোজ বসে বসে যখন পরিকল্পনা করতাম কোথায় বেড়াতে যাব, কবে বেড়াতে যাব, নামদাফা তখন মাথার কোণাতেও ছিল না। যাবতীয় পরিকল্পনা আজ পোখরা তো কাল চোপতা পরশু লাহুল স্পিতিতে ঘোরাফেরা করছে। এরমধ্যে দেবাশীস তাওয়াং উৎসবের প্ল্যান নিয়ে হাজির। সেই প্ল্যান এক বন্ধুর দেয়ালে দেখে আরেক বন্ধুর বক্তব্য  নামদাফা মিশমি হলে তিনি আগ্রহী। আমি তখনো মন দিয়ে গাঢ়ওয়াল না হিমাচল গবেষণা করে চলেছি। ইতিমধ্যে দেখা গেল অক্টোবরে ছুটি  নিলেও আধখানা চোখ ফাঁক করে মাঝেসাঝেই অফিসের দিকে নজর রাখতে হবে। ওদিকে দেবাশীসকে নামদাফার কথা জিগ্যেস করায় প্রথমে ভারী রেগে গেল, সে নাকি অনেক প্রস্তুতি লাগে,  অনেকটা আগে থেকে বুক করতে হয়। এইবার এই জায়গাটা সম্পর্কে একটু ভাল করে খোঁজ করার জন্য ফেসবুকে বেড়ানোর গ্রুপগুলোতে টোকা দিলাম। তা মোটামুটি বড়সড় এক গ্রুপে একজন ভদ্রমহিলা আমাকে বেশ বকেঝকে বললেন কুড়ি না একুশ বছর আগে তাঁরা নামদাফা রোয়িং সব ঘুরে এসেছেন, নিজেরাই ঘুরে ঘুরে পার্মিট ইত্যাদি করিয়েছেন এখন তো সবঈ নেটে পাওয়া যায়। সেই প্রত্যেকবার মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিকের ফল বেরোলে একদল হিংসুটেমত মানুষ খুব চেঁচামেচি করেন না, ‘আমাদের সময়ে নম্বর পাওয়া অনেক কঠিন ছিল। এখন তো সবাই ফুলমার্কস পায়’ বলেটলে, ঠিক সেইরকম। 
     
    অক্টোবরের শেষদিকে দেবাশীস একটা ৬ দিনের  ট্রিপের প্ল্যান দিল, ডিসেম্বরের শুরুতে নামদাফা, রোয়িং-মিশমি, ডিব্রু সোহাকিয়া আর ডিহিং পটকাই। সে প্ল্যানটা, কি বলব মশাই, এক্কেবারে লালে লাল। লাল পান্ডা, লাল কাঠবেড়ালি, লাল শিয়াল, লাল খ্যাঁকশিয়াল, লাল লাল প্রজাপতি, তিনরকম গন্ধগোকুল, চার রকম উদবেড়াল, উল্লুক, হনুমান, শম্বর, কয়েক রকম হরিণ আর অনেকরকম পাখি দেখা যাবে শুধু নয়, আদিম অ-মানুষ বা না-মানুষ (non human primate)ও দেখা যাবে  বলে লেখা।  এতকিছু তো আর আমাদের দেখা দেবে বলে তৈরী হয়ে বসে নেই, কিন্তু এর চার ভাগের একভাগ দেখতে পেলেও ভারী খুশি হয়ে যাব নির্ঘাৎ। অতএব চলো গোছগাছ করি।  ওদিকে জানুয়ারী মাসে অফিস যদি নিতান্তই খুলে যায় তার আগে অন্তত  দুই এক সপ্তাহ ওয়ার্ক ফ্রম মাউন্টেন করে নেওয়া দরকার। এমন চমৎকার সুযোগ আবার কোনোদিন পাব কিনা কে জানে! কালিম্পঙের একটা নতুন হোমস্টের সাথে কথাবার্তা বলে রেখেছিলাম নভেম্বরে যাব বলে, তাদেরই টোকা দিয়ে ঠিক করলাম ট্রিপ শেষে সবাই যখন যে যার বাড়ি ফিরবে আমি তখন সোওজা গিয়ে  তাদের ওখানে উঠব। ফলে মোটামুটি একমাস বাইরে থাকার প্রস্তুতিস্বরূপ আমার স্যুটকেস হইয়ে উঠল বেজায় ভারী।  সে এক মহা উৎপাত, কিন্তু কি আর করা! 
     
    ডিসেম্বরের ২ তারিখে আমার ডিব্রুগড়ের ফ্লাইট ছিল  সকাল ৫টা ৫০ মিনিটে দমদম থেকে। দেড়দিন আগেই মেক মাই ট্রিপ জানিয়েছিল এই ফ্লাইট খানিক পিছিয়ে সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ ছাড়বে। সে বেশ কথা, তাহলে আর অই মাঝ রাত্তিরে বাড়ি থেকে বেরোতে হবে না। এয়ার ইন্ডিয়া অবশ্য হেলেদুলে সেই খবর আমাকে জানাতে শুরু করল আগের দিন রাত ৯ টা নাগাদ। ৯টা ১৫তে  ডিব্রুগড়ে  নেমে বুঝলাম অন্য সহযাত্রীরা না এলে আমি  বিমানবন্দর থেকে বেরোতে পারব না। বেরোতে গেলে এগজিট পাস নিতে হয় আর তাতে কোথায় উঠব তার ঠিকানা দিতে হয়। সে জায়গা অরুণাচলের কোথাও হলে ইনার লাইন পার্মিটের কপি দেখাতে হয়, তবেই তাঁরা বেরোতে দেন। এদিকে ইনার লাইন পার্মিট কিন্তু আপনি আসাম অরুণাচল বর্ডারে উপস্থিত হয়েও করাতে পারেন, কিন্তু উঁহু আইএলপি না দেখালে বিমানবন্দর থেকে আপনাকে বেরোতে দেওয়া হবে না।  দেবাশীষ আসছে ট্রেনে, বলল আইএলপি আছে রূপমের কাছে আর তাঁরা আসছেন পরে ইন্ডিগোতে। অগত্যা আমি গিয়ে  বেরোবার পথে দাঁড়িয়ে ট্যাক্সীওলাদের সাথে গল্প শুরু করলাম। একজন দৌড়ে গিয়ে কোত্থেকে একটা ল্যাগব্যাগে প্ল্যাস্টিকের  চেয়ার এনে রেলিং  টপকে ঢুকিয়ে আমাকে বসার ব্যবস্থাও করে দিলেন। ইতিমধ্যে দেবাশীষ এসে গেল আরো দুজনকে সঙ্গে নিয়ে, খানিকবাদে রূপমও বেরিয়ে এলেন। 
     
    তো আর কি, এবার তাহলে রওনা মিয়াও’এর দিকে। দুটো গাড়িতে আমরা ৯ জন ভাগ করে উঠে  পড়লাম। সঙ্গের মালপত্র বেঁধেছেদে গাড়ির ছাদে। যাবার পথে আলাপ হল ভাস্বতীদি আর শৈলেনদা আমার আর দেবাশীসের সহযাত্রী। ডিব্রুগড়েই হাইওয়েতে উঠে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে চা কফি রুটি তরকারি (নাকি ডাল তড়কা?) খাওয়া হল। কাছাকাছি কোথাও ভারতীয় বায়ুসেনাদের বিমানবন্দর, মিনিটে মিনিটে সেখান থেকে সুখোই ৩০ উড়ে যাচ্ছে, ফিরে আসছে গাঁ গাঁ করে মাটি কাঁপিয়ে। অনভ্যস্ত চোখে প্রথমবার দিব্বি লাগলেও ২-৩ মিনিটের মধ্যেই বিরক্ত লাগতে শুরু করে। এমন বিটকেল আওয়াজের মধ্যে এখানকার সাধারণ মানুষ থাকে কী করে রে বাবা!  কিছুদূর এগোতেই   রাস্তার দুইপাশে  চা বাগান শুরু হয়ে যায় আর গাড়ির মধ্যে দেবাশীসের গল্প। চা বাগানের মালিক, আমরা পশ্চিমবঙ্গের লোকজন জানি তারা সব বুর্জোয়া  পুঁজিপতি, আর আদার ব্যপারি? আহা সে তো নিতান্তই সরল গোলগাল এক নিরীহ অস্তিত্ব যাকে 
    এমনকি ব্যবসায়ীও বলা হয় না, বরং বলা হয় ব্যপারি। আদার ব্যপারি। কিন্তু এই নিরীহ গোবেচারা ‘আদার ব্যপারি’ হতে না পেরেই উত্তরবঙ্গের এক ডাকসাইটে ব্যবসায়ীর আর চা বাগানের মালিকও হয়ে ওঠা হয় নি।  
     
    কোনো একটা বড়সড় চা বাগান, সম্ভবত সিকিমের টেমি, বেশ কয়েক  বছর আগে খুব দুরবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল। মানে উৎপন্ন চা পাতা  ঠিকঠাক প্রসেস করা দেশে বিদেশে চালান দেওয়া ইত্যাদির জন্য প্রয়োজনীয় লগ্নির  ক্ষমতা বাগানমালিকের সেই সময় ছিল না। তো উত্তরবঙ্গের এক ব্যবসায়ী বাগানটা  কিনতে উৎসাহী হন এবং ডিউ ডিলিজেন্স করে  দেখেন যে তিনি লগ্নি  করতে পারবেন আর করার পর সেটা তাঁর জন্য লাভজনকই হবে। তা কথাবার্তা এগোয়, চুক্তিপত্রের কাজ চলতে থাকে। এই চুক্তিপত্রের শেষ পর্যায়ে এসে তৎকালীন মালিক দাবী করেন যে চা বাগানটা নিলে তার সঙ্গে একই মালিকের কয়েকশো বিঘের আদা'র ক্ষেতও নিতে হবে। নাহলে চাবাগান বিক্রি হবে না।উত্তরবঙ্গের ব্যবসায়ী ভদ্রলোক ভেবে উঠতে পারেন নি অত্ত আদা নিয়ে কীভাবে কী করবেন।  দেখছেন তো আদার ব্যপারি হতে না পেরেই তাঁর আর বিখ্যাত চা বাগানের মালিকও হওয়া হল না।  কথায় কথায় গাড়ি ঢুকে পড়ে অরুণাচলে, পার্মিট দেখিয়ে এন্ট্রি করে ঢুকেই দেবাশীসের ইশারায় বাজারের মধ্যে গাড়ি থামানো হয়। ওরা তিনজনে সন্ধ্যের আসরের জন্য বিভিন্ন মদ,  চানাচুর, খেজুর ইত্যাদি কেনে।  গাড়িতে উঠে বিয়ার নিয়ে খানিক আলাপ আলোচনা চলে কখন খোলা হবে?  গাড়িতেই নাকি পৌঁছে তারপর। আমি বিয়ার খাই না শুনে এক সহযাত্রিনী  কিছুটা প্যাসিভ  অ্যাগ্রেসিভ হয়ে পড়েন। 
     
     বেলা তিনটে নাগাদ এক জায়গায় থেমে মোমো থুকপা ইত্যাদি খাওয়া হল। ইতিমধ্যে দেখে নিয়েছি মিয়াও তে সূর্যাস্তের সময় ৪টে বেজে ১৮ মিনিট।  অতএব দ্রুত যাবার চেষ্টা শুরু হল। কিন্তু হায় অন্য গাড়িটার পেছনের টায়ার পাংচার। কাজেই এক জায়গায় দাঁড়িয়ে টায়ার পরিবর্তন আবার  মিয়াও শহরে পৌঁছে পাংচার হওয়া টায়ারের মেরামতি। এর মধ্যে দেবাশীসের গল্প চলছে – ‘ইন্দ্র হল ওই লোকসভার স্পীকারের মত আর হিন্দু আর গ্রীক সভ্যতা হল  আগাগোড়া গণতান্ত্রিক সভ্যতা’। এদিকে আমি টুক করে একবার তাপমাত্রা ইত্যাদি দেখতে গিয়ে দেখি এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ৫।  আমার হিনজেওয়াড়িতে  লক ডাউনের মধ্যেও ৫০ হয়ে থাকত আর এখানে ৫!  তাড়াতাড়ি জানলার কাচ আরো খানিক নামিয়ে বুকভরে শ্বাস নিই। ভেতরে কী কথা চলছিল ঠিক খেয়াল করি নি। হঠাৎ শুনি প্রচন্ড জোরে ‘ন্না অর্জুন মোট্টেই দ্রৌপদীকে ভালবাসত না। সুভদ্রাকেও না। কক্ষণো না।‘ একেবারে হকচকিয়ে যাই,  কোত্থেকে অর্জুন? কেন অর্জুন? অবশ্য ইন্দ্র থেকে অর্জুন আর কতই বা দূর।  শুনে বুঝলাম দেবাশীস অর্জুনকে বেশ প্রেমিক পুরুষরূপে প্রজেক্ট করতে চাওয়ায় প্রচন্ড ঝামেলা বেধে গেছে। শেষে ‘আমার সাথে একদম তর্ক করবেন না। মহাভারত আমার অসম্ভব প্রিয় বই।‘ বলে  ব্যপারটা মেটে। 
     
     ইতিমধ্যে আমি খেয়াল করি গাড়ি টুক করে একটা নদী কিম্বা নালার মধ্যে নেমে গেল আবার রাস্তায় উঠেও পড়ল। আর দেখতে দেখতেই গিয়ে এক শুনশান ফাঁকা অজস্র পাথরে ভরা নদীখাতের পাশে গিয়ে গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়ল। নামতে পেরে বেঁচে যাই। নদী সেইইই দূরে, শীতকালে চওড়া নদীখাত পাথরে ভরা।  সূর্য ততক্ষণে অস্তই গেছে, আকাশ তখনো লালচে, নদীর জলে, গোলগাল পাথরগুলোয়, আকাশে মেঘের কিনারে মায়াবী কোমল লালচে আলো  মাখামাখি। অনেকে নেমে যান নদীর কিনারা অবধি। কয়েকজন ধার বরাবর হাঁটাহাটি করেন। ফুরিয়ে আসে দিনের আলো। আঁধার হল মাদার গাছের তলা, কালি হয়ে এলো নদীর জল। এবার তবে হোটেলে ঢোকা যাক। 
     

    নোয়া ডিহিং সূর্যাস্তের রঙ মেখে 
     

     

     
     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    | | | | ৫  | | | |
  • ভ্রমণ | ১১ জানুয়ারি ২০২২ | ২২৯৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Abhyu | 198.137.***.*** | ১১ জানুয়ারি ২০২২ ২২:৪৫502627
  • সুন্দর
  • Ranjan Roy | ১১ জানুয়ারি ২০২২ ২৩:০৬502631
  • কী সূর্যাস্ত! এক পেট হিংসে দিলুম।  
    পরের কিস্তি?
  • kk | 68.184.***.*** | ১২ জানুয়ারি ২০২২ ০১:৩৮502632
  • আকাশের ছবিটা কী সুন্দর! 'মিয়াও' নামটা আমার খুব পছন্দ হলো।
  • Kausik Gh | ১২ জানুয়ারি ২০২২ ২১:৪৭502642
  • দ-এর গদ‍্যে লীলামজুমদারীয় ঢং আছে একটা। ভবানীপুর হোক কি নামদাফা, পড়ার মজাটা প্রায় আমাদের ছোটবেলার মতো। আর লিথিয়াম ব‍্যাটারি যেমন হয়, একেবারে শেষ লাইন পর্যন্ত একইরকম সুরে স্বরে চলতে থাকে, লেড‍্যাসিড ব‍্যাটারির মতো শেষের দিকে ঝিমিয়ে যায় না।
    হয়তো বারবার সেই জন্যই শেষে পৌঁছে একটু ঝটকা লাগে, জ্জাঃ, শেষ হয়ে গেলো।
    এটা তো এলো ১১জানুয়ারিতে। পরের পর্বের জন‍্য নিশ্চয়ই ২৪শে বৈশাখ পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না, আশা রাখছি।
  • সম্বিৎ | ১৩ জানুয়ারি ২০২২ ০০:৫৪502645
  • কীরকম হঠাৎ শেষ হয়ে গেল পর্বটা।
  • dc | 122.174.***.*** | ১৩ জানুয়ারি ২০২২ ০৮:৪৫502646
  • লেখাটা পড়তে ভাল্লাগলো, আর ছবিগুলো তো অসাধারন। কিন্তু মাঝখানে একটা প্যারাগ্রাফে কি দুয়েকটা সেনটেন্সে গন্ডগোল হয়েছে? আদার ব্যাপারি জায়গাটায়?  
  • | ১৩ জানুয়ারি ২০২২ ০৯:৪৫502647
  • হুঁ চাট্টি টাইপো আছে। কিন্তু সম্পাদনা করতে গেলেই আবার সবকটা ছবি ধরে ধরে তুলতে তুলতে হবে ঐ ভয়ে রেখে দিয়েছি। সম্পাদনা করতে গেলেই ছবি হাওয়া করে দেয়। 
  • আশীর্বাদ সিংহ রায়। | 103.242.***.*** | ১৩ জানুয়ারি ২০২২ ০৯:৫৯502648
  • ইন্টারেস্টিং। 
  • Mousumi Banerjee | ১৭ জানুয়ারি ২০২২ ১৬:১৭502730
  • ভালো লাগল।
  • | ২৩ জানুয়ারি ২০২২ ১০:০৭503015
  • ধন্যবাদ সবাইকে 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন