হবু জীবনসঙ্গীর সাথে কীভাবে কাটাবে কুয়াশাচ্ছন্ন রাতভর! হিমেল শীত ফিরে গেলে কীভাবেই বা কাটবে শিমূলরঙা বসন্ত! এইসব ভাবতে ভাবতেই আধো-তন্দ্রাচ্ছন্ন অপেক্ষার কনকনে রাতটা কখন যে বয়ে গেল, কে জানে! আসামের বঙ্গাইগাঁওয়ের বাজার থেকে কিনে সঙ্গে রাখা আছে টকটকে লিপস্টিক, চকচকে নেলপালিশ, রিনিঝিনি কাচের চুড়ি। নিজেকে নিটোল কনে সাজানোর বাসনায় আরও কত কী! অপেক্ষার আর একটা দিন কেটে গেলেই যে তাকে বসতে হবে বধূর সাজে।
ফেলানি খাতুন। বয়স ১৫। আদি নিবাস বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলার সীমান্তবর্তী গ্রাম দক্ষিণ রামখানা। আশৈশব কেটেছে ভারতের আসামে। অভাবের তাড়নায় বাবা মহম্মদ নূর ইসলাম সীমান্তরক্ষীদের ফাঁকি দিয়ে সপরিবারে সেই কবে বে-পাসে বাংলাদেশ থেকে আসামের বঙ্গাইগাঁওয়ে চলে এসেছিলেন। সেখানেই প্রথমে জনমজুরের কাজ, পরে রিক্সাচালক এবং তারও পরে একটি পানের দোকান খুলেছিলেন। মেয়ে পনেরো বছরে পা দিতেই বাংলাদেশ-নিবাসী তুতো ভাইয়ের সাথে ২০১১ সালের ৮ই জানুয়ারি তার বিয়ে ঠিক করে ফেলেন। আর সেই বিয়ের সুবাদেই নিজগ্রামে ফেরার তোড়জোড়। নগদ তিন হাজার টাকায় চোরাপথে সীমান্ত পারাপারের দালালদের মাধ্যমে ভারতের কোচবিহার জেলার চৌধুরী-হাট বর্ডারের কাঁটাতারের বেড়া টপকানোর বন্দোবস্ত হয়ে যায়। সেইমত, ৬ই জানুয়ারি রাতেই নূর ইসলাম তাঁর মেয়ে ফেলানিকে নিয়ে সীমান্ত-সংলগ্ন একজন দালালের বাড়িতে পৌঁছে যান। দালালদের সাহায্যে গভীর রাতে বাঁশের মইয়ের সাহায্যে সীমান্ত-কাঁটাতারের বেড়া ডিঙানোর পরিকল্পনা আগে থেকেই স্থির করা ছিল। কিন্তু সেদিন রাতে চোরাপথে সীমান্ত পার হওয়ার মত অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি না হওয়ায়, ফেলানি ও তার বাবাকে রাতভর দালালের বাড়িতেই আত্মগোপন করে থাকতে হয়।
ঘন কুয়াশাচ্ছন্ন থাকায় পরদিন খুব ভোরে সীমান্ত পার হওয়ার জন্য দালালরা নূর ইসলামকে খুব পীড়াপীড়ি করতে থাকে। কিন্তু দিনের আলো ফুটে যাওয়ায় অত ঝুঁকি নিয়ে চোরাপথে কাঁটাতার পারাপার হতে তিনি রাজি ছিলেন না। কিন্তু দালালদের অত্যন্ত পীড়াপীড়ি, এমন আর্থিক প্রয়োজনের কালে নগদ তিন হাজার টাকা জলে যাওয়ার আশঙ্কা এবং মেয়ের বিয়ের দিন আসন্ন থাকায় ফেলানির বাবা নিমরাজি হয়ে, মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে, দালালদের সঙ্গে ৯৪৭-এস সীমান্ত পিলারের কাছে কাঁটাতারের পাশে এসে জড়ো হন।
তখন সবে ভোরের আলো ফুটেছে। কিন্তু ঘন কুয়াশার আড়ালে অস্পষ্ট চৌদিক। আদিগন্ত যেন ঝাপসা কাচে মোড়া। দালালরা ততক্ষণে একটি বাঁশের মই এনে সীমান্তের কাঁটাতারের গায়ে হেলিয়ে দাঁড় করিয়ে ফেলেছে এবং অন্য একটি মই কাঁটাতারের শীর্ষে বিছিয়ে দিয়েছে। নূর ইসলামকে প্রবল তাড়া দিয়ে দাঁড় করানো মইয়ের ওপর তুলে দেয়। তিনি যখন মই বেয়ে কাঁটাতারের শীর্ষে পৌঁছে গেছেন, দালালরা প্রায় জোর করেই ভীতসন্ত্রস্ত ফেলানিকে দাঁড় করানো মইয়ে উঠিয়ে দেয়। কিন্তু মই বেয়ে উঠতে গিয়ে ফেলানির কামিজ কাঁটাতারে আটকে যায়। ফেলানি আতঙ্কে চিৎকার করে ওঠে। অদূরে বাঁশের মাচায় বসে প্রহরারত বিএসএফের জওয়ান। কিন্তু ঘন কুয়াশার কারণে কাঁটাতারের গা ঘেঁসে কি হচ্ছে, তা তখন পর্যন্ত তাঁর নজরে আসেনি। ফেলানির চিৎকার শুনে কর্তব্যরত প্রহরী বন্দুক উঁচিয়ে ছুটে চলে আসে কাঁটাতারের কাছে। নূর ইসলাম ততক্ষণে পৌঁছে গেছেন কাঁটাতারের শীর্ষে বিছানো মইয়ের শেষ প্রান্তে আর ফেলানি তখন কাঁটাতারের গায়ে হেলানো মইয়ের শীর্ষে দাঁড়িয়ে। অভিযোগ – কোনোরকম মৌখিক সতর্কতা ছাড়াই, কর্তব্যরত বিএসএফ প্রহরী সরাসরি ফেলানির শরীর লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুলিটা ফেলানির বুকের ডানদিক ভেদ করে পিঠ দিয়ে বেরিয়ে যায়। মৃত্যু পথযাত্রী কিশোরীর মুখ থেকে শুধুমাত্র একটি শব্দই বেরিয়ে আসার সুযোগ পায় – “আব্বাআআআআ...”। ফিনকি দিয়ে ঝরে পড়ে রক্তস্রোত। ঘাড় ঝুলে পড়ে, এলিয়ে পড়ে হাত-পা। তবু ধরিত্রীর বুকে জায়গা হয় না বিবাহ-আসন্ন কিশোরীর। কাঁটাতারে বেঁধা তার নিথর শরীর আটকে থাকে সীমান্ত কাঁটাতারে। এই ভয়াবহ দৃশ্য দেখে ফেলানির বাবা কাঁটাতারের শীর্ষে বিছানো মই থেকে ছিটকে পড়েন বাংলাদেশের দিকে এবং ক্ষণিকের জন্য জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। সংজ্ঞা ফিরতেই নূর ইসলামের কানে বাজতে থাকে ফেলানির সেই অসহায় আর্ত-চিৎকার ... “আব্বাআআআআ”! আর তাকিয়ে দেখেন কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলে আছে আদুরি মেয়ের তরতাজা লাশ। ফেলানির আর্ত-চিৎকার ও বন্দুকের গুলির শব্দে ভারত ও বাংলাদেশ উভয় দেশেরই সীমান্ত-সংলগ্ন মানুষজন কাঁটাতারের কাছে ছুটে আসেন। বাংলাদেশের প্রান্তের মানুষজন ধরাধরি করে নূর ইসলামকে তাঁর গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যান। প্রাণহীন ফেলানি ঝুলে থাকে সীমান্ত-কাঁটাতারেই।
মাথা নীচের দিকে, তারও নীচে চুলের গোছা। বাঁহাত ঝুলন্ত, ডানহাত আটকে কাঁটাতারে। দুই পা ছড়ানো, কাঁটাতারে বেঁধা। এমনিভাবেই প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ঝুলে থাকে হতভাগ্য ফেলানির প্রাণহীন দেহ। অবশেষে বিএসএফের জওয়ানরা এসে কাঁটাতার থেকে লাশ নামিয়ে, বাঁশে বেঁধে, ঝুলিয়ে নিয়ে যায় ময়না তদন্তের উদ্দেশ্যে। এরপর দুই প্রতিবেশী দেশের সীমান্ত প্রহরীদের মধ্যে বসে ফ্ল্যাগ মিটিং। অতঃপর লাশ হস্তান্তর। মর্মান্তিক ঘটনার প্রায় তিরিশ ঘণ্টা পরে ফেলানি ফিরে আসে তার গ্রামের বাড়িতে। এ জীবনে বিয়ের পিঁড়িতে বসার সৌভাগ্য না হোক, চিরনিদ্রায় শায়িত থাকার জন্য অন্তত তার ঠাঁই হল নিজদেশে। এরপর সিঙ্গিমারি নদী দিয়ে রাশি রাশি জলের ধারা বয়ে গেছে। ঘন কুয়াশাচ্ছন্ন এগারোটা ঝাপসা সকাল পার হয়ে গেছে। তবু ফেলানির হতভাগ্য বাবা-মা আজও প্রতীক্ষা করে আছেন তাঁদের আদুরি মেয়ের মৃত্যুর সুবিচারের আশায়।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে একদিকে চোরাচালান ও বেআইনি পাচারের উদাহরণ যেমন ভুরি ভুরি, অন্যদিকে সীমান্তরক্ষীর গুলিতে মনুষ্য-হত্যার সংখ্যাটাও কিন্তু নেহাত কম নয়। আর এই সব লাশে যেমন প্রভূত চোরাকারবারের গন্ধ রয়েছে, তেমনি নিরস্ত্র, নিরীহ মানুষের রক্তের দাগও লেগে আছে। ২০১৯ সালের ১১ই জুলাই ভারতের মহামান্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পার্লামেন্টে একটি বিবৃতি দিয়ে জানান, যে বিএসএফের দ্বারা সীমান্ত হত্যার ঘটনা ক্রমশই কমছে। ২০১৯ সালের ১৯শে সেপ্টেম্বর বিএসএফের ডিজি এই বলে আশ্বস্ত করেন, যে অচিরেই সীমান্ত-হত্যার ঘটনা শূন্যে নিয়ে আসা হবে। রূঢ় বাস্তব কিন্তু অন্য কথা বলে! কলকাতার একটি মানবাধিকার সংস্থা, ‘মাসুম’-এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ফি-বছর বিএসএফের দ্বারা সীমান্ত-হত্যার ঘটনা গড়ে ১৮০ থেকে ২০০। যার মধ্যে অধিকাংশই ভারতীয়। ঢাকার একটি মানবাধিকার সংস্থা, ‘অধিকার’-এর দাবি করা তথ্য অনুযায়ী, ২০০০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের দ্বারা হত্যার ঘটনার সংখ্যা অন্ততপক্ষে ১,২৩৬। যার মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী ‘বিজিবি’-র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০০১ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে বিএসএফের দ্বারা সীমান্ত-হত্যার ঘটনার সংখ্যা ৭৬৭।
দীর্ঘ এগারো বছর ধরে অপেক্ষার প্রহর গুনতে গুনতে আজও সুবিচার অধরা। একটি নিরস্ত্র, আত্ম-নিরাপত্তাহীনা কিশোরীর মর্মান্তিক মৃত্যুর জন্য কেউ দোষী সাব্যস্ত হয়নি। ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিএসএফের বিশেষ আদালত অভিযুক্ত জওয়ানকে নির্দোষ বলে রায় দিয়েছে। ২০১৫ সালে সেই রায়ের পুনর্বিবেচনা মামলায় সেই একই আদালত অভিযুক্ত জওয়ানকে পুনরায় নির্দোষ ঘোষণা করেছে। ফেলানি ও তার বাবা অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিল এবং একই কায়দায় তারা আবার স্বদেশে ফিরতে চেয়েছিল। সেটা নিশ্চিতভাবে বেআইনি কাজ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধই বটে। কিন্তু এ হেন অপরাধের শাস্তি কি মৃত্যু হতে পারে? আর এই মৃত্যুদণ্ড তো বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আদালত-স্বীকৃত নয়! সীমান্তরক্ষীবাহিনীর কি কোনো নিরস্ত্র অনুপ্রবেশকারীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার অধিকার আছে? ফেলানি সম্পূর্ণ নিরস্ত্র হওয়া সত্ত্বেও কেন তাঁকে গ্রেপ্তার করে বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তি দেওয়া হল না? কেনই বা একজন নিরস্ত্র কিশোরীর (হোক না সে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী) সরাসরি বুকে গুলি করা হল? সুদীর্ঘ এগারো বছরের নীরবতা ফুঁড়ে উত্তর ফিরে আসে না!
২০১৫ সালে ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ফেলানির পরিবারকে পাঁচ লাখ** ভারতীয় টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে নির্দেশ দেয়, যদিও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক অদ্যাবধি তা কার্যকর করেনি। এই প্রসঙ্গে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য হল, “যদিও দেশের সীমান্তরক্ষীবাহিনী সীমান্তে অত্যন্ত সংবেদনশীল দায়িত্ব পালন করে থাকে, কিন্তু সেই দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে তাদের বেশ কিছু শৃঙ্খলা ও নিয়মবিধি মেনে চলা উচিত।” এই প্রসঙ্গে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ২০০৫ সালে প্রকাশিত বিএসএফেরই একটি আদেশনামার উল্লেখ করে। ঐ আদেশনামায় নির্দেশিত ছিল, যে প্রবল উস্কানিমূলক অবস্থাতেও সীমান্তে নিরস্ত্র মহিলা-শিশু এবং সশস্ত্র অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে চূড়ান্ত ফারাকটা বুঝে নিয়ে সেইমত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এক্ষেত্রে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যটি হল, “আলোচিত ঘটনার ক্ষেত্রে মৃত একজন নিরস্ত্র কিশোরী। ফলে যে বিএসএফ জওয়ান গুলি চালিয়েছিলেন, তিনি নিশ্চিতভাবে ২০০৫ সালে নির্দেশিত বিএসএফের আদেশনামা মেনে চলেননি।”
দেশ, সীমানা, সীমান্ত রক্ষা – এই সব কিছুকে ছাপিয়ে যায় ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা মানবিক সহানুভূতি। শতসহস্র সীমান্তে বিভাজিত আমাদের এই সাধের পৃথিবীটার শীর্ষ জুড়ে বিরাজ করুক মানবতা। এতকিছুর পরেও আশার কথা হল, ফেলানির বাবার ন্যায়বিচারের আবেদন গ্রাহ্য করে ভারতের মহামান্য শীর্ষ আদালত ফেলানি-হত্যা মামলাটি গ্রহণ করেছে। শীর্ষ আদালতের মহামান্য প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি ধার্য হয়েছিল ২০১৯ সালের ১৮ই জানুয়ারি। কিন্তু ভারতে করোনা ভাইরাসের দৌরাত্ম্যের কারণে সেই শুনানি স্থগিত হয়ে যায়। হয়তো অদূর ভবিষ্যতে ভারতের শীর্ষ আদালতে ফেলানি-হত্যা মামলাটির শুনানি পর্ব শুরু হবে। ততদিনে মৃত ফেলানির বুক থেকে মাথা তুলে চেয়ে থাকবে রাশি রাশি তিরতিরে চারাগাছ। চেয়ে থাকবে ঘরের চালে গুড়িসুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকা চালকুমড়ো। উঁকি মেরে থাকবে পুঁইয়ের ডগা। নিকানো উঠোন। আর অন্তহীন প্রতীক্ষার প্রহর গুনতে গুনতে চেয়ে থাকবে ফেলানির হতভাগ্য মা-বাবা। আজ নয়, হয়তো কাল। নয়তো পরশু। নিশ্চয়ই কোনো এক হিমেল ভোরে কুয়াশার চাদর ফুঁড়ে ঠিক একদিন উদ্ভাসিত হবে আদুরি মেয়ের হৃদয়বিদারক মৃত্যুর ন্যায় বিচার!
Sources :
1.“Teenage girl Felani killed by the BSF firing at Anantapur border under Kurigram District”, odhikar(অধিকার).org
2.“Felani Khatun and a decade of unabated border killings”, ‘NewAge’, January 10, 2021.
3.“10 years of Felani killing: family’s wait for justice continues”, ‘The Daily Star’, January 7, 2021.
4.“Felani murdered nine years ago: Odhikar’s statement on the killings of and human rights violations on Bangladeshi nationals along the border by Indian Border Security Force”, ‘Asian Forum for Human Rights and Development’, January 6, 2020.
5.“Last hope: Family of Bangladeshi girl shot by India’s BSF waits for justice from Supreme Court”, ‘Scroll.in’, January 9, 2018.
6.“ফেলানি খুনে রেহাই জওয়ানের”, ‘Anandabazar Patrika’, July 4, 2015.
7.“Divided bodies: Crossing the India-Bangladesh border”, ‘Economic and Political Weekly (EPW)’, March 2014.