এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  গপ্পো

  • প্যালানুক্রমিক – Genre Fiction

    প্যালারাম লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | গপ্পো | ১৩ আগস্ট ২০২১ | ২০২৩ বার পঠিত
  • (১) ইনা-মিনা-ডিকা | (২) ডায়-ডামা-নিকা


    (২) ডায়-ডামা-নিকা


    মোবাইলটা টুপ করে প্যানের মধ্যে পড়ে গেল, আর আমিও সোজা হাত চালালাম তার উদ্দেশে। রান্নার প্যান নয়। কমোডের ভারতীয় বেরাদর। তাও আবার পাবলিক টয়লেটের। 


    আজ্ঞে, ঠিক শুনেছেন। এক শীতের মনোরম সকালে, মানুষ যখন সামান্য ফিলোসফিকাল হয়ে, টুথব্রাশটা গালে গুঁজে বা না গুঁজে, চোখ পুরোপুরি খুলে বা না খুলে, নানাবিধ শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ার প্রতি নেহাত বাধ্য হয়েই সুবিচার করতে চেষ্টা করে - সে’রকম এক স্বপ্নিল প্রহরে, আমি দু’চোখের তলায় পুরনো-অ্যালুমিনিয়াম-কড়াইয়ের-কানা-জুড়ে-লেগে-থাকা একপোঁচ কালি নিয়ে, এক পাবলিক ইন্ডিয়ান ল্যাভেটরির সেরামিক প্যানের কৃষ্ণগহ্বর-সদৃশ গর্তের ভেতরে হাত চালালাম।


    কেউ কখনও এ-সবের জন্যে মেডেল-ফেডেল দিল না বলে সামান্য আক্ষেপ রয়ে গেছে। এ জিনিস করতে কতটা সাহস লাগে জানেন? দাঁড়ান, আপনাদের তো পরিবেশটাই বলা হয়নি! ওই যে টয়লেটটি, যাতে এই বঙ্গতনয় সবে প্রাতঃকৃত্যের তোড়জোড় শুরু করেছে, সেটা আসলে এক বিশা-আ-আ-ল হোস্টেলের একতলার কোণের একটি টয়লেট, আর তার পাশেই – ফুটবল মাঠের মত সাইজের – হোস্টেল ক্যান্টিন। অন্তত ১৫-২০ জন মানুষ সেখানে কাজ করেন, যাঁরা সকলেই ওই টয়লেটটি ব্যবহার করেন। আর ব্যবহার করে - প্রায় জনাচল্লিশ ফার্স্ট-ইয়ার বি-টেক-এর ছাত্র।


    অভিজ্ঞ-জনে এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন – টয়লেটটির অবস্থা ঠিক কি হতে পারে। যাঁরা বোঝেননি, তাঁদের জন্যে ব্যাখ্যা দিই – সদ্য বারো-ক্লাস পাশ করে আসা, জীবনে ঘরের কুটোটি ভেঙে দু’টো না করা, শরীরে হরমোনের আগ্নেয়গিরি, মাথার ওপর সিলেবাসের চাপ আর জীবনে হঠাৎ-করে-পাওয়া কো-এডুকেশনের সুযোগ নিয়ে ঘুরে বেড়ানো ওই অনূর্ধ্ব-কুড়ি ছোকরাগুলির আর যা-ই থাক, নিজের এবং অন্যের হাইজিন নিয়ে মাথা-ঘামানোর সময় নেই। তাদের উদ্বায়ী মগজ একইসাথে ভেক্টর-ক্যালকুলাস আর সামাজিক-সৌজন্য কম্পিউট করতে পারে না। 
    --


    এ প্রসঙ্গে আর একটা গল্প মনে পড়ে গেল – আমারই এক অনুজপ্রতিম, ধরে নিন নাম তার ‘স’ – যে নিজে তখন ডক্টরেট করছে – বি-টেক ফার্স্ট-ইয়ারের টিউটোরিয়াল ক্লাস নিতে গিয়েছিল। শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা সকাল ৮টা থেকে ক্লাস। কাঁড়ি কাঁড়ি ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ছাত্র-ছাত্রী দিয়ে ভরা কম্পিউটার ল্যাব। সেদিন স নাকি, ঘরে ঢোকার পর, মাত্র ১০ মিনিট পরে ক্লাস শেষ করে বেরিয়ে আসে। ঘন্টাখানেক পরে, আমরা যখন আয়েস করে শীতের সকালের রোদ-পিঠে চায়ের দোকানে গল্পটা শুনছি – তখনও স-এর মুখের অবস্থা পুরো স্বাভাবিক নয়।


    “বিশ্বাস করো – আমি অভ্যেস করে ফেলেছি। সোমবার সকালে, ওরা গোটা উইক-এন্ডের স্নান-না-করা গায়ের গন্ধ, দাঁত-না-মাজা মুখের গন্ধ –এসব নিয়ে হাজির হবে, আর আমায় সোনামুখে সকাল সকাল সেই বিষাক্ত গ্যাস হজম করে অঙ্ক কষাতে হবে। মেনেও নিয়েছিলাম। কিন্তু, মাইরি বলছি – যখন খাতা-দেখার নাম করে ওই অতগুলো ছেলে টেবিলের চারপাশে হুমড়ি খেয়ে পড়লো না...”


    আক্ষরিক অর্থেই, স-এর মুখের দিকে চেয়েই সেদিন আর আমরা ওকে কিছু বলতে জোর করিনি। এ অভিজ্ঞতা তো আমাদেরও কম না!
    --


    যাক গে, যা বলছিলাম। বেশ কিছু কুচ্ছিত-নোংরা-হাইজিনের-ছাত্র আর শিফটে কাজ করা বেশ কিছু কিচেন-কর্মীর (যাদের ওই অঞ্চলে থাকতে হয় না) কৃপায়, বাথরুমগুলির দশা নরক-সমান। এবার, মনে যদি প্রশ্ন জাগে – “এতকিছু জেনে-বুঝেও, তুমি বাপ কি-কুক্ষণে মরতে ওখানে গেচিলে?” – তবে মোক্ষম ধরেছেন! সুস্থ অবস্থায় ও ভুল কেউ করে? তাও তো সেই ‘হাত’ যখন বের করে নিয়ে এলাম, তাতে মোবাইল ছিল কি না – থাকলেও, সাথে আর কি কি ছিল – সে গল্প তো এখনও করিইনি।
    কিন্তু তার আগে জানা দরকার, কোন বিশেষ গ্রহ-সংযোগে, কি কি ঘটনা-পরম্পরার ফলে, চোখে কয়েক-পোঁচ কালি নিয়ে, আমি ওই টয়লেটের দরজা খুলে ঢোকার দুঃসাহস করেছিলাম। মাক্কালি! আমার কোনও দোষ নেই!


    যত দোষ, আমার এক বন্ধুর। নাম? ধরুন, ‘গ’।


    টয়লেট-কাণ্ডের প্রায় বছর দুয়েক আগে, এক ঝিমিয়ে পড়া ইন্সটিটিউটের, দমবন্ধ-করা কিউবিকল-অফিসে দেখা হয়েছিল আমাদের। ওই অফিসটি আমরা শেয়ার করব – এমনটা ঠিক করেছিলাম দু’জনে। ব্যাপার হল এই – ঐ কিউবিকলটা ছিল বাকিদের থেকে বড়, আর সে’কারণে তাতে একজন মাত্র (প্রচলিত নিয়ম) বসবে না – এমনই ছিল উপরতলার নির্দেশ। আমরা দু’জন ছাড়া আর সকলেই নিজেদের ‘প্রাইভেসি’ নিয়ে সচেতন হওয়ায়, অফিস ভাগ করার দায় আমাদের কপালেই জোটে।
    দেখা হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই আমরা বুঝতে পারি – একে অন্যকে অনেককিছু দেখানোর-শেখানোর আছে আমাদের (মেনে নিতে ক্ষতি নেই, গ-ই অনেক বেশি কিছু শিখিয়েছিল আমায়)। তার মধ্যে একটি হল – তার পাঠাভ্যাস। কিছুদিনের মধ্যেই জানতে পারলাম – সে মোটেই আমার চেনা-ছকের বইপত্র পড়ে না। কি সব উদ্ভট নামের বইয়ের কথা বলে, আর ইন্টারনেটে সার্চ করে দেখতে পাই – সেগুলোর জনপ্রিয়তা যথেষ্ট! তার সঙ্গেই কোনও এক আড্ডায় গ আমায় বোঝাচ্ছিল, ফ্যান্টাসি-সায়েন্স ফিকশন নিয়ে তার ভালোলাগার কথা। গ কোনওকালেই বেশি কথা বলার লোক নয় (নেশাভাঙ না করলে; মদালস অবস্থায়, বাচালতায় সকলকেই টক্কর দেওয়ার ক্ষমতা রাখে আমাদের পেশার মানুষজন)। আসিমভ, হ্যারি পটার, ওই আগের পোস্টে উল্লিখিত ইনহেরিটেন্স-সাইকল – এসব পড়েছি শুনে গ একটু হাসল (সামান্য condescending-ই হবে[১]  )। বলল, ‘পড়েই দেখো অন্য একটা বই’।


    পড়ে দেখলাম। এখন জানি, ভেবেচিন্তেই – এই জঁরায় অনভ্যস্ত মানুষের পক্ষে হজম করা সহজ ভেবেই ঐ বইয়ের নাম বলেছিল গ আমায়।
    ভারতের সমুদ্রতীরে একশ্রেণীর মানুষ পাওয়া যায়, যাঁরা আপাদমস্তক সেজেগুজে, কখনো প্যান্ট - কখনো শাড়ি গুটিয়ে, জলের সাথে অনেকক্ষণ ছোঁওয়া-ছুঁয়ি খেলেন, আর জল গোড়ালির উপরে উঠলেই মনে করেন – সমুদ্র-স্নান শেষ। আমার অবস্থাও যে সে’সময় ঐরূপ ছিল, সেটা বুঝলাম প্রায় দু’বছর ধরে। ঐ টয়লেট-কাণ্ডের সমসময়ে, আমি প্রায় লাইফগার্ড-সদৃশ সাঁতার-পটু হয়ে উঠেছি ফ্যান্টাসি-সমুদ্রে। সে গল্প পরে।


    তার আগে বলি, গ আমায় কি পড়তে দিয়েছিল। বইটার শুরু এভাবে –

    • “ASH FELL FROM THE SKY.
      Lord Tresting frowned, glancing up at the ruddy midday sky as his servants scuttled forward, opening a parasol over Tresting and his distinguished guest. Ashfalls weren’t that un common in the Final Empire, but Tresting had hoped to avoid getting soot stains on his fine new suit coat and red vest, which had just arrived via canal boat from Luthadel itself. Fortunately, there wasn't much wind; the parasol would likely be effective.
      Tresting stood with his guest on a small hilltop patio that overlooked the fields. Hundreds of people in brown smocks worked in the falling ash, caring for the crops. There was a sluggishness to their efforts-but, of course, that was the way of the skaa. The peasants were an indolent, unproductive lot.
      They didn't complain, of course; they knew better than that Instead, they simply worked with bowed heads, moving about their work with quiet apathy. The passing whip of a taskmaster would force them into dedicated motion for a few moments, but as soon as the taskmaster passed, they would return to their languor.”

    একটু বেশিই তুলে দিলাম কি? হোক গে। কিন্তু বলুন তো, যে চিত্রকল্পটা তৈরি হল মাত্র ৩ প্যারাগ্রাফে, তারপর বইটা হাত থেকে নামানো যায়? বইয়ের নাম, ‘The Final Empire’। একটি বই-ত্রয়ীর প্রথম বই এটি। পুরো সিরিজের নাম ‘The Mistborn Series’। ছোট করে বললে, কি নিয়ে এই বই? বইয়ের লেখককে এ প্রশ্ন প্রায় নিয়মিত করা হয়, আর উত্তরটাও সম্ভবত তাঁর গাঁত হয়ে গেছে: 

    • “The ‘Mistborn’ series started with me wondering what would happen if, in one of these fantasy stories like ‘Harry Potter’ or ‘Lord of the Rings’, the Dark Lord won. What if Frodo had gotten to the end of the long journey through Mordor and the Dark Lord Sauron said, “Hey, that’s my ring. Thanks for bringing it back. I’ve been looking for it.” I was really intrigued by the idea of a world where the Dark Lord had won.
      Mistborn takes place a thousand years after heroes went on that sort of epic journey, but failed. Now the story’s about a gang of thieves who decide they’re going to rob the Dark Lord to try to overthrow his empire by destabilizing his economy, after making off with a lot of money themselves.” (লিঙ্ক)
    কি? হুকড? অ্যাদ্দিনে নেটফ্লিক্স আর অন্যান্য স্ট্রিমিং সার্ভিসের কল্যাণে, কিছু কিছু ধরণের গল্পের trope সকলেরই মুখস্থ হয়ে গেছে, তবু, এই জঁরা-অনভিজ্ঞদের কথা ভেবে, কিছু সাবধানবাণী: 
    • হাই-ফ্যান্টাসির একটা মূল অংশ – তাতে আমাদের চেনা ফিজিক্স মেনে চলা না-ই হতে পারে, অর্থাৎ, ম্যাজিক বর্তমান। এবার সে ম্যাজিক ঠিক কেমন, কতটা গভীরভাবে ছড়িয়ে আছে গল্পের জগতে, কতটাই বা গল্পের মূল উপাদান – তার অনেক শ্রেণীবিভাগ সম্ভব। গেম অব থ্রোনস (হ্যাঁ, হ্যাঁ – Song of Ice & Fire-ই হল না হয়) দেখে থাকলে বলতে পারি – সে জগতে ম্যাজিক প্রায় পশ্চাৎপটের অংশ – কখনওই অপরিহার্য নয়। ও ম্যাজিকের বিশেষ অন্তর্লীন নিয়ককানুনও নেই। কিছু ম্যাজিকাল প্রাণী (যেমন ড্রাগন), বস্তু (Wildfire) আর মেলিসান্দ্রের মত কিছু ম্যাজিশিয়ান ছাড়া – তেমন কিছুই নেই। ম্যাজিক যেন শুধুই আছে গল্পের জগৎটাকে আমাদের চেনা পৃথিবী থেকে আলদা করে তোলার জন্যে। ঠিক কি সেই ম্যাজিক, যা অত উঁচু বরফের দেওয়াল তৈরি করল, ড্রাগনরাই বা এল কোত্থেকে – সে সব নিয়ে বিশেষ বক্তব্য নেই।
    • অন্যদিকে, ইনহেরিটেন্স-সাইকল (আগের পোস্ট দ্রষ্টব্য)-এ একটু বেশি নিয়ম জানা যায় ম্যাজিক নিয়ে। গল্পের শুরু থেকেই আমরা দেখতে পাই, ম্যাজিকের মাধ্যমে অনেককিছু করা গেলেও, তার অল্প কিছু নিয়মের বাঁধন আছে। কোনও কাজ করতে যতটা শক্তিক্ষয় এমনিতে হয়, ম্যাজিক প্রয়োগ করলেও ঠিক ততটাই হবে। অর্থাৎ, ম্যাজিক কেবল একটা অতিরিক্ত পেশি – যার ব্যায়াম ছাড়া শক্তি বাড়ে না, আর ক্ষমতা মোটেই অসীম নয়।
    • MistBorn-এর লেখক Brandon Sanderson-কে নিয়ে পরে বিশদে আলোচনা হবে (প্রচণ্ড ইন্টারেস্টিং ক্যারেকটার মশাই – লালমোহন থাকলে হয়তো ‘হাইলি সাসপিশাস’-ও বলতেন), কিন্তু ওঁর একটা ক্ষমতা নিয়ে অল্প-কথা এই জায়গায় বলতেই হচ্ছে – তা হল ওঁর অসাধারণ ম্যাজিক-সিস্টেম তৈরি করার ক্ষমতা। এই বিশেষ বইটিতে যে সিস্টেমটা ব্র্যান্ডনবাবু বানিয়েছেন, তার নাম অ্যালোমেন্সি। ব্যাপারটা ঠিক কি, তা নিয়ে একটি শব্দও আমার খরচ করার দরকার নেই – বইয়ে বিশদে আছে। এতটাই ডিটেলে, যে এই ধরণের সিস্টেমের অন্তর্গত সামঞ্জস্য সম্পূর্ণ ঠিকঠাক আছে কিনা, তা নিয়ে এদের জন্যে নিবেদিত রেডিট-পাতায় মাইলের পর মাইল তক্কো চলে।
    আমি মোটেই এ লেখায় রিভিউ-টিভিউ করব না। সে সব করার দায়িত্ব আপনার। যদি ইতিমধ্যেই পড়ে ফেলে থাকেন, তবে চলে আসুন মন্তব্যে – হয়ে যাক আলোচনা। যদি এই লেখা পড়ার পর সামান্য উৎসাহিত হয়ে থাকেন, তবে দেরী কিসের? কিন্ডল, গুগল প্লে-বুক, অন্য কোনও ই-রিডার বা পার্থিব সংস্করণটি নিয়েই না হয় বসে পড়ুন, এক মেঘলা দুপুর দেখে। পড়া হলে জানিয়ে যাবেন আমায়।
     
    ওহ্‌! সেই টয়লেটে কি হয়েছিল? দাঁড়ান, হবে। গপ্পের কি শেষ আছে? আমার জীবনে যেমন, ফ্যান্টাসির পাতায় পাতায়ও সেরকম অদ্ভুত সব রহস্য দানা বাঁধছিল।
    ক্রমশ প্রকাশ্য...
     
     

    [১] এ কথাটার বাঙলা জানা নেই।

     


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    (১) ইনা-মিনা-ডিকা | (২) ডায়-ডামা-নিকা
  • ধারাবাহিক | ১৩ আগস্ট ২০২১ | ২০২৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ramit Chatterjee | ১৩ আগস্ট ২০২১ ১৬:৫৬496724
  • 1 এর বাংলা প্রতিশব্দ 'ক্ষমাসুন্দর' হতে পারে

  • প্যালারাম | ১৩ আগস্ট ২০২১ ১৮:১৪496725
  • @Ramit, সত্যিই কি তাই? 


    "Having or showing an attitude of patronizing superiority"-র বাংলা কি ক্ষমাসুন্দর করা যায়?

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে প্রতিক্রিয়া দিন