এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  গপ্পো

  • রাজরক্ত (রহস্য গল্প) : ৩য় পর্ব

    Ranjan Roy লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | গপ্পো | ২৯ জুন ২০২১ | ৩২৩৬ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • | | | | | | | | | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮
    (৩) স্ত্রীয়াশ্চরিত্রম ২৫/০৩/২০০২ দুপুর ২.৩০

    ছত্তিশগড়ের রাজধানী রায়পুর শহরের পেনসনবাড়া এলাকায় সরকারি কোয়ার্টারের সারি। এফ ব্লকে শুধু কলেজের প্রফেসারদের দুই বেডরুমের আবাসন, সঙ্গে একটু বাগানের জায়গা। একটির গেটে লেখা - এফ/৪, শৈবলিনী চট্টোপাধ্যায়, সংস্কৃত বিভাগ। ভেতর থেকে টিভির আওয়াজ আসছে।

    শৈবলিনী স্যুটকেস গোছাচ্ছেন। বিছানার উপর বেশ কিছু জামাকাপড় ডাঁই করে রাখা।কিছু পুরনো কাপড় আলমারি থেকে বের করা। উনি একেকটা হাতে তুলে দেখছেন, তারপর তাদের গতি হচ্ছে হয় স্যুটকেসের ভেতরে নয়তো আবার বিছানার উপর। কাজ করতে করতে গান গাইছেন শৈবলিনী। কোন গোটা গান নয়, একটাই কলি গুনগুন করছেন —‘আমি মথুরা নগরে প্রতি ঘরে ঘরে যাইব যোগিনী হইয়ে’।

    এবার কলের জল এসেছে, জল ধরতে হবে। এঁটো বাসন মাজতে হবে। কাজের মেয়েটিকে উনি দশদিনের ছুটি দিয়েছেন।রায়পুর সংস্কৃত কলেজে্র প্রিন্সিপাল ছুটির অ্যাপ্লিকেশন দেখে খুশি হয়ে বললেন-যান, দু’বোনে বেড়িয়ে আসুন, আপনি তো সহজে ছুটি নেন না।

    হ্যাঁ, কালকে ছোটু মানে কুন্দনন্দিনী আসছে, দু’বোনে যাব বেড়াতে - বিলাসপুর হয়ে একটা নতুন জায়গায়। আসলে পরশুদিন কাজের মেয়েটি একটা খাম নিয়ে এসে দিল, বলল ক্যুরিয়ার দিয়ে গেছে। খামের ভেতরে একটি ছাপা আমন্ত্রণ পত্র। তাতে তাতে বাংলায় লেখাঃ
    ওঁং হ্রীং ক্লীং চামুন্ডায়ৈ নমঃ

    আগামী ২৭শে মার্চ শনিবার অমাবস্যা তিথিতে আমাদের বোম্বাগড় রাজোয়ারার কুলদেবী শ্রীশ্রীছিন্নমস্তার বার্ষিক পূজার্চনায় আপনি সাদর আমন্ত্রিত। আপনাদের থাকাখাওয়ার ব্যবস্থা আমাদের অতিথিশালায় করা হইয়াছে। বিলাসপুর হইতে ইন্দোর এক্সপ্রেস যোগে রেলপথে বুড়ার স্টেশনে নামিবেন। তথায় অভ্যর্থনা হেতু আমার প্রতিনিধি উপস্থিত থাকিবে। কার্ডটি সঙ্গে আনিতে ভুলিবেন না।

    ভবদীয়
    দর্শনাভিলাষী
    বীরেন্দ্রপ্রতাপ সিং
    যুবরাজ, বোম্বাগড় এস্টেট
    শাড়িগুলো ফাইনাল হোল। জামদানি, বালুচরি আর কাঞ্জিভরম, কয়েকটা ধনেখালি। হ্যাঁ, আর এইটা, সেবার ফুলিয়ায় গিয়ে দু’বোন মিলে কিনেছিলেন। শৈবলিনীর বোন কুন্দনন্দিনী। বাবা ছিলেন শান্তিনিকেতনে সংস্কৃতের অধ্যাপক এবং বঙ্কিমের ভক্ত। দু’মেয়ের নাম উনিই রেখেছিলেন। কম বয়সে মাকে হারানো দুইমেয়েকে বুকে করে মানুষ করেছিলেন। যত্ন করে সংস্কৃত সাহিত্য পড়িয়েছিলেন। ওরা বড় হোল রতনপল্লীর বাড়িতে। কুন্দনন্দিনীর পছন্দ ইংরেজি সাহিত্য।

    শৈবলিনী ডক্টরেট করলেন সংস্কৃতে, থিসিস ছিল মহিলা কবিদের নিয়ে। সেখানেই গন্ডগোল।

    একজন মহিলা কবি শীলা ভট্টারিকার একটি চৌপদী ‘যঃ মম কৌমারহরঃ, স মম বরঃ’ কেমন মাথায় গেঁথে গেল। “কৌমার মোর হরেছে যেজন সেই হোল মোর বর”। প্রথম প্রথম লজ্জা করত, লাইনটা কেমন অসভ্যমতন! কিন্তু পরে দেখলেন স্বয়ং চৈতন্যদেবের ওই উক্তিটি খুব পছন্দ। এমনকি ওই লাইনটি গাওয়া হলে ওনার ভাব হত, মূর্চ্ছা যেতেন। একটু একটু করে লজ্জার ভাব কাটল। শৈবলিনীর থিসিসে ক্রমশঃ শীলা ও অন্যান্য মহিলা কবিদের কবিতার মধ্যে প্রচ্ছন্ন স্পিরিচুয়াল দিকটি ফুটে উঠল। গাইড যিনি ছিলেন দারুণ ইম্প্রেসড হলেন। বললেন — ডক্টরেট পাওয়ার পর শান্তিনিকেতনেই লেকচারারের পোস্টের জন্য অ্যাপ্লাই করতে। শৈবলিনী রাজি হলেন না।বাবা-মেয়ে একসঙ্গে একই ডিপার্টমেন্টে কাজ করলে নানা সমস্যা হতে পারে। এছাড়া লোকে বলতে পারে বাপের খুঁটির জোরে চাকরি। শৈবলিনী লোকজনের গসিপকে ভয় পান; সত্যি পান?

    আসলে তিনি আরেকটা অফার পেয়েছেন। খুবই মনোমোহন সে অফার। কাউকে বলেননি, বাবাকেও না; এমনকি বোন কুন্দনন্দিনীকেও নয়। কারণ সে বারণ করেছে। সে কে? শৈবলিনী বাইবেল ভাল করে পড়েননি। তাহলে জানতেন ঈভকে স্বর্গোদ্যানে লোভ দেখিয়ে ভুলিয়েভালিয়ে আপেল খাইয়েছিল যে সাপ বা শয়তান, সে দেখতে আদৌ সাপের মত ছিল না। ঈভ কি সাপ চিনতেন না? কিন্তু সাপ যদি ‘মদনমনোহর বেশম্‌’ ধারণ করে আসে? তাহলে ঈভ কী করতে পারেন, ফাঁদে পড়া ছাড়া?

    শৈবলিনীও ফাঁদে পড়লেন, আপেল খেলেন।

    নদী আছে, কোপাই নদী। শান্তিনিকেতন থেকে একটু দূরে। বনবীথিকা? তাও আছে। কাজেই সখীরা যখন রাধাকে খবর দিল ‘ধীরসমীরে যমুনাতীরে বসতি বনে বনমালী, পীনপয়োধরপরিসরমর্দন চঞ্চলকরযুগশালী’। অতএব, ‘ন কুরুবিলম্বন গমনতুরন্তম যথা তিষ্ঠতি হৃদয়েশম’।

    শৈবলিনী গেলেন এবং শীলা ভট্টারিকা হলেন।

    শান্তিনিকেতনে বিভিন্ন কালচারাল প্রোগ্রামে সাধারণতঃ ছেলেমেয়েরা জোড়ায় জোড়ায় আসে। সবাই বুঝে যায় কে কার সঙ্গে জুটি বেঁধেছে বা কার সঙ্গে ব্রেক আপ হয়েছে। এতদিন শৈবলিনী ও কুন্দনন্দিনী দু’বোনে পাশাপাশি বসতেন। এবার গর্বিত পদক্ষেপে তিনজনে বসলেন, শৈবলিনীর বাঁদিকে বোন, ডানদিকে সেই ভয়াল সুন্দর।

    কিছুদিন পরে বসার পজিশন বদলে গেল, দু’পাশে দুই বোন মাঝখানে তৃতীয়জন। শৈবলিনী কিছুই বোঝেন নি।

    বাকিরা মুখটিপে হাসছে, বলাবলি করছে - কী চালু ছেলে মাইরি! একসঙ্গে দু’হাতের খেলা খেলছে। দু’প্যাকেট তাস মিলিয়ে শাফল করছে। জানিস তো, বীরেন্দ্রপ্রতাপ ব্যাটা কোথাকার না কোথাকার রাজকুমার? সব শালা রাজকুমারেরা অমনই হয়। সবাই এক একটা দুষ্যন্ত। হুঁ, রাজকুমার না ছাই, বলে কিনা ছত্তিশগড় এলাকার বোম্বাগড়ের। শুনলেই বোঝা যায় গুল মারছে। আমাদের শকুন্তলা বুঝতে পারছে না কেন?

    বিমান বাধা দেয়। কিসের শকুন্তলা? শকুন্তলা আছে ছত্তিশগড়ে, কোন ক্ষত্রিয় পরিবারের। বীরেন্দ্রপ্রতাপ আমার কেমিস্ট্রি ডিপার্টমেন্টে, সব খুলে বলেছে। এরা হোল অনুসুয়া আর প্রিয়ংবদা। বোকা দুটো বোন, প্রেমে পড়ার জন্যে ছটফট করছে। এবার ঠ্যালা বুঝবে।

    যাই বলিস, আমার কিন্তু ওদের বাবার মানে স্যারের জন্যে খারাপ লাগছে।

    এরপরের ঘটনা দ্রুত ঘটল।

    পরীক্ষা হয়ে গেছে। সবাই ফিরে যাবে নিজের নিজের ডেরায়। বীরেন্দ্রপ্রতাপ একটা সারপ্রাইজ দেবে বলে শৈবলিনীকে শান্তিনিকেতনের বাইরে বোলপুর লজের পাশের রেস্তোরায় ডেকেছে।শৈবলিনী জানেন এরপর কী হবে। বীরেন্দ্রপ্রতাপ ওনাকে আংটি পরিয়ে দেবে। ও কথা দিয়েছে যে এবছর ওর যৌবরাজ্যে অভিষেক। তারপর ও বিয়ে করবে ওর শকুন্তলাকে। এখন ব্যাপারটা চেপে রাখতে হবে। নইলে ওর বদলে ছোটভাই সিংহাসন পেয়ে যাবে।

    শৈবলিনী যথাসময়ে পুরনো মিলনস্থলে হাজির হলেন। দেয়াল ঘেঁষে জানলার পাশে কোণার টেবিল। কিন্তু ওখানে আগে থেকেই বসে আছে ওরা দুজন— বীরেন্দ্রপ্রতাপ ও কুন্দনন্দিনী। কুন্দনন্দিনীর হাতে একটা নতুন আংটি। কুন্দনন্দিনীর মুখে হাজার ওয়াটের আলো।

    শৈবলিনীর পায়ের তলায় মাটি দুলছে। অতিকষ্টে টেবিল ধরে নিজেকে সামলে নিয়ে তুতলে তুতলে বললেন — এসব কী? এসবের মানে কী?

    কুন্দনন্দিনীর ভুরূ কুঁচকে উঠল, দিদির হোল কী? বোনের সৌভাগ্যে খুশি নয়?

    বীরেন্দ্রপ্রতাপ হাত তুলল। ওকে, ওকে; কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমি সব খুলে বলছি, আগে এখান থেকে বিল ক্লিয়ার করে বাইরে যাই।

    রাস্তা ছেড়ে মাঠের মধ্যে একটি কদম গাছ। তার ছায়ায় তিনজন বসে। ঘন্টা দুই কেটেছে। শৈবলিনী ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছেন। ওঁর হাতেও একইরকম একটি আংটি। দু’জনেই আঙটি ফেরত দিচ্ছিলেন। বীরেন্দ্রপ্রতাপ অনেক বুঝিয়ে আংটি রেখে দিতে রাজি করিয়েছেন।

    বীরেন্দ্রপ্রতাপ স্বীকার করেছেন যে উনি দুইবোনকেই বোম্বাগড় এস্টেটে রাণী করবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তার জন্য উনি অনুতপ্ত ন’ন। ওঁর কথা হোল একজন পুরুষ একজন নারীর থেকে সব পেতে পারে না। এটা রবীন্দ্রনাথ বুঝতেন। ওঁর ‘দুইবোন’,‘মালঞ্চ’ তার প্রমাণ। ‘শেষের কবিতা’র অমিত রায়েরও লাবণ্য এবং কেতকী দুজনকেই দরকার।

    বীরেন্দ্রপ্রতাপের কথার নড়চড় হবে না। ছ’মাস পরে যৌবরাজ্যে অভিষেকের পর উনি স্বাধীন। তখন দুইবোনকেই বোম্বাগড়ের এস্টেটে সসম্মানে নিয়ে গিয়ে বৈদিক মতে পাণিগ্রহণ করবেন। পাটরাণী অবশ্যই অন্য একটি রাজ পরিবারের, সেটাই ওঁদের নিয়ম। কাজেই দুইবোন আংটিগুলো রেখে দিক, ছ’মাস ভেবে দেখুক। উনি কাউকেই জোর করতে চান না। কিন্তু তিনজন রাণী? বেআইনি নয়। না, বীরেন্দ্রপ্রতাপ ব্যাখ্যা করেন। যদি দুইবোনের কোন একজন পুলিশে কমপ্লেন করেন তবে পুলিশ অ্যাকশন নেবে। নাহলে কিছুই বে-আইনি নয়। কাকে সুখে থাকতে ভুতে কিলোয়! কেন নালিশ? শেষে কি রাণীর মর্য্যাদা খুইয়ে শান্তিনিকেতনের বিবর্ণ একঘেয়ে জীবনে ফিরে যাওয়া?

    হ্যাঁ, দুজনেই রাণী হবেন, আলাদা মহল সেবিকা সব পাবেন।

    বীরেন্দ্রপ্রতাপ ফিরে গেলেন বোম্বাগড় না কোথায় যেন।

    ঘরে ফিরে দুইবোনে প্রচন্ড ঝগড়া হোল। খালি চুলোচুলি বাকি ছিল। কিন্তু সন্ধি হতে খুব সময় লাগে নি।

    ছ’মাস কেটে গেল। বীরেন্দ্রপ্রতাপের দিক থেকে কোন খবর এল না। ফোনের নম্বরটি একটি দর্জি দোকানের।

    এবার শকুন্তলা টের পেলেন তাঁর ভিতরে জন্ম নিয়েছে ভরত এবং সে দিনে দিনে বেড়ে উঠছে। দেরি হয়ে গেছে, শকুন্তলা ঠিক করলেন ভরতের জন্ম দেবেন। বিধির বিধানে অমন সময়ে চোখে পড়ল ছত্তিশগড়ের রায়পুরে গার্লস ডিগ্রি কলেজে সংস্কৃত বিভাগে অধ্যাপকের পদ খালি, ইউজিসি স্কেলে মাইনে।শান্তিনিকেতনের ডক্টরেট, চাকরিটা যেন ওঁর জন্যেই তৈরি। কয়েকমাস পরে সময় এলে ছুটি নিয়ে আসানসোলের সরকারি হাসপাতালে ভরতের জন্ম দিলেন। নাম রাখলেন নরেন্দ্র। ওকে ওর মাসির বাড়িতে, মানে কুন্দনন্দিনীর কাছে রেখে একা রায়পুরে ফিরে এলেন। মাসি তখন আসানসোলে একটি কলেজে লেকচারার। সব কিছু সামলে গেল, কিন্তু সংস্কৃতের অধ্যাপক প্রাচীনপন্থী বাবা নিত্যধন চট্টোপাধ্যায় এই কালচারাল শক সামলাতে পারলেন না। একদিন সকালে বেডটি দিতে গিয়ে দেখা গেল ওঁর শরীর একেবারে ঠান্ডা হয়ে আছে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    | | | | | | | | | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮
  • ধারাবাহিক | ২৯ জুন ২০২১ | ৩২৩৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • বিপ্লব রহমান | ০১ জুলাই ২০২১ ০৬:৫৬495498
  • কেবলই সুখ চলে যায়, এমনই মায়ার ছলনায় 

  • কৌশিক ঘোষ | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৭:০৬498717
  • ১ আর ২ ঠিক ছিলো। ৩-এ এসে বুঝলাম আমি শৈবলিনী (অথবা কুন্দ) আর যুবরাজের নাম রঞ্জন রায়। ফাঁদে পড়ে গেছি। পোষ‍্যগুলোকে খাওয়ানোর সময় হয়েছে, কিন্তু ছেড়ে উঠতে পারছি না।
    ৪, ৫, ৬-এ পৌঁছতে পৌঁছতে গিন্নি তাড়া করবেন। তা করুন, শৈবলিনীর জন‍্য ছত্তিশগড়ের পথ খোলাই রেখেছেন লেখক।
    চলে যাবো। সব ক'টা পর্ব শেষ না করে ফিরছি না।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন