এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  গপ্পো

  • রাজরক্ত (রহস্য গল্প) : ১৮শ পর্ব 

    Ranjan Roy লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | গপ্পো | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ১৯৮৮ বার পঠিত
  • | | | | | | | | | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮
    -- ব্যস্ত হবেন না। যদি ঢিল নিশানায় না লেগে অন্যের বাড়ির কাঁচ ভাঙে তাহলে সামাল দেওয়ার জন্য দুজন আছেন। পারিবারিক ডাক্তার মেহতা সাব এবং অ্যাটর্নী মিঃ পরিহার।

    মেহতা সাব কেমন যেন চুপসে গেছেন, থ্যালিয়াম সালফেটের ভিসেরা রিপোর্ট দেখার পর কি? কুমড়োপটাশ পরিহারজি আঙুলের নখ খুঁটতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। কোসলে স্যার ফাইলে কোন কাগজ দেখছেন, এবং নিজের কিছু নোটস। এবার সবার দিকে একবার চোখ বুলিয়ে নিলেন।

    -- শুনুন, প্রয়াত রাজাসাহেব দুটো উইল করেছিলেন। প্রথম উইল অনুযায়ী বোম্বাগড় এস্টেটের যুবরাজ হবেন বীরেন্দ্রপ্রতাপ সিং। কিন্তু যথাসময়ে যুবরাজ পদে অভিষিক্ত হলেন অন্য ভাই বীরেন্দ্রপাল সিং। কারণ, দু’বছর পরে উনি উইল পালটে দিয়েছিলেন। দ্বিতীয় উইল অনুযায়ী যুবরাজ হবেন বীরেন্দ্রপাল সিং। আমার প্রশ্ন- কেন? উনি মত পরিবর্তন করলেন কেন? ডক্টর মেহতা, আপনি তো দেখছি দুটো উইলেই সাক্ষী ছিলেন। একটু খোলসা করবেন?

    -- কারণ জ্যেষ্ঠপুত্রেরই যুবরাজ হবার অধিকার।

    এসপি শ্রীবাস্তব স্যারের কপালে ভাঁজ পড়েছে।

    -- বুঝলাম না। প্রথম উইল তৈরির সময় কি এই কথাটা জানা ছিল না?

    -- ছিল; তখন উনি ভেবেছিলেন বীরেন্দ্রপ্রতাপই জ্যেষ্ঠ পুত্র।

    -- এ’আবার কী হেঁয়ালি? বাবা জানবে না জ্যেষ্ঠপুত্র কে?

    কোসলে স্যার উঠে দাঁড়িয়েছেন ।

    -- আমি বলছি। এই দুটো ভোটার কার্ডের কপি দেখুন। দুই ভাইয়ের। এবার ডেট অফ বার্থ দেখুন। দুজনেরই একই তারিখ! ১৯শে মে, ১৯৬৮। অর্থাৎ এঁরা যমজ। এখন দুই যমজ ভাইয়ের মধ্যে কে বড় সেটা কী করে বোঝা যাবে? মিঃ পরিহার কী বলেন?

    -- ওয়েল সেটল্ড প্রিন্সিপল; যে আগে ভুমিষ্ঠ হবে। তাই বীরেন্দ্রপাল হলেন জ্যেষ্ঠ। দ্বিতীয় উইলে প্রথম উইলের ভুল ঠিক করে নেওয়া হয়েছিল।

    -- কিন্তু প্রথম উইলে ভুলটা হয়েছিল কেন? আপনিই তো বানিয়েছিলেন।

    -- তখন জানতাম না কে বড়। রাজাসাহেব যেমন বলেছিলেন তেমনই নাম বসিয়েছিলাম।

    -- উনি কেন ভুল করলেন?

    -- কারণ ওনাকে বোঝানো হয়েছিল যে প্রথম ভুমিষ্ঠ হলেই জ্যেষ্ঠ হয় না। যে পরে ভূমিষ্ঠ হয় সেই জ্যেষ্ঠ, কারণ গর্ভের ভেতর সেই প্রথম ভ্রূণ । যেমন ট্রেনের কামরায় যারা পরে উঠে দরজার কাছে দাঁড়ায় তারাই আগে প্ল্যাটফর্মে নামে।

    এবার একটু গলা চড়িয়েছেন শ্যামানন্দ মহারাজ।

    শ্রীবাস্তব হেসে ফেললেন। জানতে চাইলেন ওই উদ্ভট কিন্তু চতুর থিওরিটা রাজসাহাবের মাথায় কে ঢুকিয়েছিল?

    -- ওঁর কনিষ্ঠ পুত্র, যে বিজ্ঞানের মেধাবী ছাত্র, কলেজে পড়তে বঙ্গাল গিয়েছিল।

    -- আর এই ভুলটি শোধরানোর জন্যে রাজাসাহেবের কানে ফুসমন্তর কে দিয়েছিল?

    -- আমি; কুলপুরোহিত হয়ে এমন অশাস্ত্রীয় নিয়মবিরুদ্ধ কাজ হতে দিই কী করে?

    কুমারসাহেব যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়েছেন। একবার বলার চেষ্টা করলেন যে পুরনো কাসুন্দি ঘেঁটে কী লাভ? গালগল্প ছেড়ে কাজের কথা হোক। যুবরাজ সাহেবের হত্যার সাথে এসবের কী সম্পর্ক?

    কিন্তু কোসলে ছাড়ার পাত্র নন।

    -- আছে বইকি! যুবরাজ হবার স্বপ্ন দেখা তরুণ মেধাবী ছাত্রটি শান্তিনিকেতনে এক অধ্যাপকের দুই মেয়েকে একই সঙ্গে যুবরাণী হবার স্বপ্ন দেখায়, তাদের আঙুলে আঙটি পরিয়ে দেয়।

    -- হতে পারে না। এসব মিথ্যে কথা। এসব আমার ছেলে তেজেন্দ্রপ্রতাপকে বঞ্চিত করার চক্রান্ত!

    চেরা ফ্যাসফেসে অস্বাভাবিক গলায় চেঁচিয়ে উঠেছেন ইন্দ্রকুমারী বা দেবেন্দ্রকুমারী।

    শিপ্রা উঠে গিয়ে ভিজিটর্স রুমে অপেক্ষায় বসে থাকা দুই দিদিকে সঙ্গে করে নিয়ে আসে। তাদের দেখামাত্র ইন্দ্রকুমারী কেউটে সাপের ফণা তুলে হিসহিসিয়ে ওঠেন।

    -- শুনেছি দশ বছর আগে তোমরা রাজবাড়িতে এসেছিলে। কোলে বাচ্চা নিয়ে। আমি তখনও এ বাড়িতে বিয়ে হয়ে আসি নি। তোমরা যদি সেদিন সফল হতে আমার এ’বাড়িতে জায়গা হত না। ভাগ্যিস তোমাদের তখন খেদিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন আবার নতুন কী প্ল্যান? জেনে রেখ, এখন আমার ছেলে তেজেন্দ্রপ্রতাপ হবে এই বংশের উত্তরাধিকারী। তোমার ছেলের কোন লীগ্যাল স্ট্যাটাস নেই।

    কুন্দনন্দিনী ঝাঁঝিয়ে ওঠেন।

    -- স্টপ দিস শ্যারাড। আমরা এখানে নিমন্ত্রিত হয়ে এসেছি। চিঠি ও টিকিট কে পাঠিয়েছে জিজ্ঞেস কর তোমার পাশে যে বসে আছে তাকে। আর আমার দিদির ছেলে তোমার ছেলের চেয়ে বয়সে বড়, আগে জন্মেছে তাই জ্যেষ্ঠপুত্র -- কি, ঠিক বলছি তো?

    প্রশ্নটা যার দিকে ছুঁড়ে দেয়া হোল তিনি জবাব না দিয়ে শুধু তাকিয়ে রইলেন।

    -- আস্পদ্দা তো কম নয়! কার না কার বাচ্চা নিয়ে এসে বোম্বাগড়ের সিংহাসনের উত্তরাধিকার চাওয়া?

    -- এক মিনিট!

    ছিলে ছেঁড়া ধনুকের মত শৈবলিনীর দৃপ্তভঙ্গী। মাপা পায়ে এগিয়ে গেলেন রাণীসাহেবার কাছে। মেলে ধরলেন নিজের হাতের আঙুল যার অনামিকায় দেখা যাচ্ছে একটি আঙটি, তাতে ছোট্ট করে কোন চিহ্ন মুদ্রিত।

    -- দেখতে পাচ্ছ? এই একই আঙটি তোমার আঙুলে, কিন্তু অনেক পরে পেয়েছ। আমাকে এই আঙটি পরানো হয়েছিল কবিগুরুর আশ্রমে, কোপাই নদীর তীরে। আমাদের গান্ধর্ব বিবাহ হয়েছিল। এই বিবাহ স্মৃতিশাস্ত্রে সিদ্ধ। কিন্তু তুমি? যুবরাজের সঙ্গে তোমার প্রথামত ডিভোর্স হয়নি। আইনের চোখে আজও তুমি যুবরাজের বিধবা। তোমার সন্তান তাই অবৈধ, জারজ। সে কী করে রাজবংশের উত্তরাধিকারী হবে?

    ইন্দ্রকুমারী পাগল পাগল চোখে কুমারসাহেবের দিকে তাকান। কুমারসাহেব যেন জেগে উঠলেন।

    -- মিথ্যে কথা। ডাহা মিথ্যে। দশ বছর আগে আমার দাদার কাছে এসেছিল বাচ্চার পিতৃত্বের দাবি জানাতে, আর আজ ছোটভাই? বাঃ! ঠগ, জোচ্চোর মেয়েছেলে!

    -- আচ্ছা! আমি ঠগ, তুমি সাধুপুরুষ? বেশ, paternity test হয়ে যাক, দেখা যাবে কে ঠগ! আছে সে সাহস!

    ইশারা পেয়ে শিপ্রা দুই বোনকে আবার ভিজিটর্স রুমে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।

    ভেঙে পড়েছেন রাণীসাহেবা ইন্দ্রকুমারী। দুহাতে মুখ ঢেকে ফেলেছেন। কান্নায় ফুলে ফুলে উঠছে পিঠ। সবাই অপেক্ষা করতে থাকে।

    মিনিট দশ কেটে যায় ।

    কোসলে সাহেবের সংকেত পেয়ে শিপ্রা উঠে যায় রাণীসাহেবার কাছে। পেছনে দাঁড়িয়ে পিঠে হাত রাখে। খাদে গলা নামিয়ে বলে -- আর চুপ করে থেকে লাভ নেই। সব খুলে বলুন। বুক হালকা হবে। আপনি কোন পাপ করেন নি। কোন অন্যায় করেননি। সব মা নিজের বাচ্চার ভালো চায়। বলে ফেলুন।

    কান্নাভেজা গলায় থেমে থেমে ইন্দ্রকুমারী বলতে থাকেন।

    ‘আমি বিয়ের অল্পদিন পরেই বুঝতে পারি আমার স্বামী ঠিক স্বাভাবিক নন। এক বছরের মাথায় ডাক্তার দেখাই। পরীক্ষা হয়, জানতে পারি যে উনি ইম্পোটেন্ট। ডিভোর্স চাই, কিন্তু ওঁরা রাজবংশের সম্মানের কথা ভেবে রাজি হন নি। বরং সেপারেশন এবং মাসোহারার কথা কাগজপত্রে দেখিয়ে ছোট ভাইয়ের সঙ্গে ঘটা করে বিয়ে দেওয়া হোল। আমি রইলাম একই বাড়িতে কিন্তু অন্য মহলে, যুবরাজকে পুরোপুরি এড়িয়ে।

    আমার ছেলে হল -- তেজেন্দ্রপ্রতাপ। ঘটনাচক্রে বিয়ের আট মাসের মাথায়। আবার স্বপ্ন দেখলাম, আমার ছেলে একদিন উত্তরাধিকারী হবে, রাজবংশের। কিন্তু একদিন উনি বললেন দুই গোল্ড ডিগার বোনের কথা, বেহায়া নির্লজ্জ। আমার আগের স্বামীর কাছে নাকি কোলে বাচ্চা নিয়ে হাজির হয়ে গেছল। আমি তো জানি যে যুবরাজ সাহেব সন্তানের পিতা হতে পারেন না। কুমারসাহেব কিন্তু ভয় পাচ্ছিলেন দুই বোনের থেকে। বড় বোন ছত্তিশগড়েরই রাজধানীতে চাকরি করছে, সরকারি কলেজে। তার মানে অন্ততঃ গ্রেড টু গেজেটেড অফিসার। কাল কোন লফড়া না বাঁধায়! ওদের শিক্ষা দিতে হবে।

    প্ল্যান ছিল আমার একটি গয়না ওদের ব্যাগে ঢুকিয়ে চুরির চার্জে গ্রেফতার করিয়ে দেওয়া। এসব হলে সরকারি চাকরি যাবে। আমাদের সিংহাসনের দিকে তাকাতে ভুলে যাবে। তাই ওদের ডেকে এনে গেস্টহাউসে রাখা। শান্তিরাম কোন কারণে আমার স্বামীকে ভয় পেত। ও রাজি হোল। মেয়েছেলে দুটোর কামরার তালা বদলে দিল। ডুপ্লিকেট চাবি ওর পকেটে। ওরা যখন ছিন্নমস্তা দেবীর মন্দিরে গিয়ে দেবী মাহাত্ম্য শুনতে থাকবে, সেই সময় শান্তিরাম গিয়ে ওদের কামরা খুলে হ্যান্ডব্যাগে সোনার হার ও একজোড়া বালা রেখে আসবে। ঠগ মেয়েছেলেদের উচিত শিক্ষা হবে ভেবে রাজি হলাম।

    কিন্তু একটা অন্য ঘটনা ঘটে গেল।

    কিছুদিন ধরেই আমার আগের স্বামী যুবরাজ সাহেব খবর পাঠাচ্ছিলেন যে আমি যেন আবার ওঁর কাছে ফিরে যাই। উনি নাকি চিকিৎসা করিয়ে আবার স্বাভাবিক পুরুষ হয়ে গেছেন। আমাদের ডিভোর্স হয়নি। চাইলেই ওনার কাছে ফিরে যেতে পারি। এমনকি এটাও বললেন যে সম্ভবতঃ তেজেন্দ্রপ্রতাপ ওনারই সন্তান। উনি পিতৃত্বের পরীক্ষা দিতে রাজি। বুঝলাম মাথাটা একেবারে গেছে। ওনাকে আরও এড়িয়ে চলতে লাগলাম। ২৭ তারিখ রাতে পুজোর জন্যে তৈরি হচ্ছি -- উনি শান্তিরামকে দিয়ে আমাকে ডেকে পাঠালেন। বললেন, আমি যেন ওঁর সঙ্গে পুজোয় বসি। আমি যে যুবরাণী। আমার ঘেন্না হোল। মুখ দিয়ে বেরিয়ে গেল — ইম্পোটেন্ট!

    উনি দু’হাতে আমার গলা টিপ ধরলেন। মরেই যেতাম, শান্তিরাম ছাড়াবার চেষ্টা করেও পারছে না। তারপর যা হল সেটা বুঝতেই পারছেন। তখন কুমারসাহেব প্ল্যান করলেন। শান্তিরাম মোবাইল থেকে মেসেজ পাঠিয়ে ওদের ডেকে আনল আর মাথায় পাগড়ি বেঁধে একজনের ব্যাগ হাতিয়ে নিয়ে ভেতরে রক্তমাখা ছোরা গুঁজে দিল। এবার আপনারা যা ভাল বোঝেন।

    এই আশ্চর্য কাহিনী শুনে খানিকক্ষণ সবাই চুপ। তাহলে শান্তিরামই আসল ঘাতক? তবে ওকে কী করে শাস্তি দেয়া যায়? দীঘিতে একটা কাটা হাত মাত্র পাওয়া গেছে। কিন্তু কুমীরে চিবোনো ওই হাত থেকে কি নিশ্চিত করে বলা সম্ভব যে ওটা শান্তিরামের?

    শ্রীবাস্তব স্যার যেন সবার নীরব প্রশ্নটি বুঝতে পেরেছেন। বললেন - ছ’ আঙুল দেখে সৌরভ এবং অন্যেরা শনাক্ত করেছে যে ওই কাটা হাতটি শান্তিরামের। আর হল ভিসেরা রিপোর্ট। কুমীরের অসংখ্য ধারালো দাঁত, কিন্তু বেশিরভাগই কাটিং টুথ, নট ফিট ফর চিউয়িং। ফলে ওর অন্ত্রে এবং পাকস্থলীতে যে হিউম্যান রেসিডিউ পাওয়া গেছে তার ল্যাব অ্যানালিসিস চলছে।

    সবাই কি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন?

    কিন্তু কোসলে স্যার নিমপাতা মুখ করে ইন্দ্রকুমারীকে বললেন - আপনার গল্পে একটা জিনিস আমার অবাক লাগছে। সেই সময় কুমারসাহেব কোথায় ছিলেন? কুমারসাহেবের এজাহার অনুযায়ী উনিই শান্তিরামকে বলেছিলেন — দাদাকে বল, পূজোর সময় হয়ে গেছে, তৈরি হতে। কিন্তু আপনি বলছেন - যুবরাজ শান্তিরামকে দিয়ে আপনাকে ডেকে পাঠিয়েছেন। তখন আপনি একাই গেলেন? কুমারসাহেবকে সঙ্গে না নিয়ে? আপনি না ওনাকে এড়িয়ে চলতেন? শান্তিরাম ওর ডায়েরিতে লিখেছে - আপনি যুবরাজের অসুস্থতার কথা শুনেও দেখতে যান নি। উনি ডাকলেও নয়। আপনি নিজেই বলছেন ওনার মাথাটা একেবারে গেছে। তারপরও উনি ডাকতেই আপনি চলে গেলেন? অমাবস্যার রাত, মশালের আলো। একা গেলেন?

    -- তুমি বলতে কী চাও কোসলে? রাণীসাহেবা মিথ্যে কথা বলছে?

    ডাক্তার মেহতার গলায় অবিশ্বাস ও বিরক্তির মিশেল।

    -- না না; আমি আসলে বিকল্প সম্ভাবনাগুলোকে নেড়েচেড়ে দেখছিলাম।

    ধরুন, গল্পটা এরকমও তো হতে পারে। মানে প্রায় উনি যেমন বলেছেন। খালি দু’জন পাত্রের পজিশন বদলে যাবে, এই আর কি!

    রাণীসাহেবা ও কুমার সাহেব একসঙ্গেই যুবরাজের কামরায় গেছলেন সেজেগুজে। যুবরাজ জিদ করতে লাগলেন যে ইন্দ্রকুমারীকে ফের দেবেন্দ্রকুমারী হতে হবে। পুজোয় যুবরাজের সঙ্গে একসাথে বসতে হবে। তারপর বাকিটা উনি যেমন বলেছিলেন তাই হল, শুধু ছোরাটা বিছানার বাঁদিকের ছোট টেবিল থেকে তুলে নিলেন কুমারসাহেব বীরেন্দ্রপ্রতাপ। শান্তিরাম নয়, ও তো ছিল খাটের অন্য পাশে, সরবত ফলের প্লেট নিয়ে।

    -- রটন স্টোরি ! ডিভয়েড অফ লজিক! ভুলে যাচ্ছেন যে মেরেছে সে বাঁ-হাতি। আমি নই।

    -- উঁহু, ওটা ডিপেন্ড করে হত্যাকারী আঘাতের মূহুর্তে কোন পজিশনে দাঁড়িয়ে ছিল তার উপর। আপনি যেদিকে ছিলেন তার ডান দিকে আপনার দাদা। বডি যেভাবে পড়েছিল সেটা দেখলেই বোঝা যায়। ফটো এবং ডায়াগ্রাম এই ফাইলেই রয়েছে।

    -- আমি কী করে আমার দাদাকে হত্যা করব? শান্তিরাম ছিল মাওবাদী অ্যাকশন স্কোয়াডের লোক। মানুষ মারা ওদের কাছে জলভাত। আপনি বলছেন আমি দাদাকে মেরেছি?

    -- হ্যাঁ, অনেকদিন ধরেই মারছেন; ওষুধের নাম করে -- শান্তিরামকে দিয়ে যুবরাজের খাবারের সঙ্গে থ্যালিয়াম সালফেট খুব মাইক্রো ডোজে মিশিয়ে। শান্তিরাম পরের দিকে বুঝতে পেরেছিল, তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। আর সেদিনের ঘটনাটি অবশ্যই ‘সাডন প্রোভোকেশন’ বা ‘রাইট টু সেলফ ডিফেন্সে’র আওতায় পড়বে — এসব আপনি জানেন।

    শান্তিরামের ডায়েরি দেখলেই বোঝা যায় যে পূজারীজির কথা ঠিক, ও যুবরাজ সাহেবকে মেরে ফেলতে পারে না। ওর মাওবাদী রেকর্ড আছে সেটা জানার পর থেকে আপনি ওকে ব্ল্যাকমেল করে চলেছেন। ‘সাডেন প্রোভোকেশন’ এবং ‘রাণী সাহেবার’ প্রাণরক্ষার গল্প আপনার তৈরি। সবচেয়ে বড় প্রমাণ ইন্দ্রকুমারী নিজে। একবার ওঁর দিকে তাকিয়ে দেখুন। কোন গল্পটা সত্যি, ম্যাডাম?

    সবাই ফিরে তাকিয়েছে ইন্দ্রকুমারীর দিকে, মাথা নিচু করে বসে থাকা মহিলাটি হাতের মুঠো খুলছেন আর বন্ধ করছেন।

    প্যাসেজ থেকে আরও পুলিশ এবং একজন ইন্সপেক্টর এসে বীরেন্দ্রপ্রতাপকে ঘিরে ফেলে।

    বীরেন্দ্রপ্রতাপ এখনও উদ্ধত।

    - এসপি সাহেব, আপনি আমায় দাদার খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করছেন? প্রমাণ করতে পারবেন তো? সবটাই তো আন্দাজ আর hearsay evidence!

    - Not at all, ইন্দ্রকুমারী এখন গিয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে শপথ নিয়ে যে এজাহার দেবেন তা হবে eye witness এর বয়ান, আদৌ hearsay evidence নয়। তাছাড়া আপনি ভুল করছেন। আপাততঃ আপনাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে শান্তিরাম ওঁরাও ওরফে বি রামপ্রসাদ রাওকে হত্যার অভিযোগে। গত ৭ই এপ্রিল মাঝরাতে একটা গাড়ি এসে দীঘির পাড়ে দাঁড়ায়। দু’জন লোক তার ডিকি থেকে একটা হাত-পা বাঁধা অচেতন দেহ বের করে ওই ঘড়িয়াল দীঘিতে চ্যাংদোলা করে ফেলে দেয়। কিন্তু সেই সময় একটা গাছের আড়ালে পেচ্ছাপ করতে থাকা একজন গোটা ব্যাপারটা দেখতে পায়। শুক্লপক্ষের একাদশী। সে লোক দুজনকে চিনতে পারে এবং গোটা ব্যাপারটা বুঝে অসুস্থ হয়ে পরে। তার ভয় আপনারা, মানে আপনি ও আপনাদের টিম্বার মিলের বর্তমান ম্যানেজার কলেশরাম, ওকে দেখে ফেলেছিলেন। প্রাণের ভয়ে ও মন্দিরে পুজারী মহারাজের কাছে সাময়িক আশ্রয় নেয়। এখন বিলাসপুরে আমাদের প্রটেক্টিভ কাস্টডিতে আছে। অবশ্য আপনারা ওকে না পেয়ে থানায় বুড়ার থানায় ‘নিখোঁজ’ বলে ডায়েরি করিয়েছেন। হ্যাঁ, সেই রাজবাড়ির চৌকিদার পুসওরাম এখন আমাদের সাক্ষী। আর কলেশরামকে গতকাল রাতে শাহডোল পুলিশ আপনাদের টিম্বার মিল থেকে গ্রেফতার করেছে। ও বয়ান দিতে রাজি।

    উপসংহার ১৪ই এপ্রিল, দুপুরবেলা

    কালকে অনেকগুলো ঘটনা ঘটে গেছে।

    এক, সেই ভুঁড়িওলা সেশন্স কোর্টের বিচারক পুলিশের রিপোর্টের ভিত্তিতে শৈবলিনী ও কুন্দনন্দিনীকে বোম্বাগড়ের যুবরাজ বীরেন্দ্রপাল সমরপ্রতাপ সিংকে ঠান্ডা মাথায় হত্যার অভিযোগ থেকে বেকসুর খালাস করে দিয়েছেন।

    দুই, ইন্দ্রকুমারী ওরফে দেবেন্দ্রকুমারী আপাততঃ বিচারাধীন বন্দী হিসেবে জেল কাস্টডিতে রয়েছেন। রাজসাক্ষী হবেন এবং জামিন পেয়ে যাবেন। সমঝোতা হয়েছে যে বর্তমানে বোম্বাগড় এস্টেটের উত্তরাধিকারী হবেন ওঁর পাঁচ বছরের নাবালক পুত্র কুমার তেজেন্দ্রপ্রতাপ পিতা (স্বর্গবাসী) বীরেন্দ্রপাল সমরপ্রতাপ সিং। তবে রাজকুমার যতদিন সাবালক না হন, ততদিন রাজমাতা দেবেন্দ্রকুমারী অছি হিসেবে এস্টেটের দেখা শুনো করবেন। এর দলিল তৈরি করছেন পরিহার অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস। একটি ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করা হচ্ছে। তাতে সসস্য তাতে রাজমাতা ছাড়া আরও তিনজন সদস্য; ডক্টর প্রাণলাল মেহতা, দিলীপরাজ সিং পরিহার এবং শ্যামানন্দ পূজারী।

    তিন, দুই দিদি গতকাল রাত্তিরের ট্রেন ধরে রায়পুর ফিরে গেছেন। তারপর শৈবলিনী আরো এক মাস ছুটি বাড়িয়ে চলে যাবেন আসানসোলে, বোনের কাছে এবং নিজের ছেলে নরেন্দ্রের কাছে। তবে ওরা ঠিক করেছেন যে নরেন্দ্রকে ওর ছোটবেলায় কোনদিন কোন রাজবাড়ির ধারে কাছে নিয়ে যাবেন না। ইটাচূণা, বর্ধমান, কাশিমবাজার – কোনটাই না। কারণ ডিএনএ তে রয়েছে রাজরক্ত, বলা তো যায় না!

    ====== (সমাপ্ত) ======
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    | | | | | | | | | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮
  • ধারাবাহিক | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ১৯৮৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৩:৪১497905
  • যাক অনেকটাই মিলে গেছে আমার আন্দাজের সাথে। শুধু ঐ ইন্দ্র দেবেন্দ্র কুমারী রিলেটেড ট্যুইস্টটা ছাড়া। 
    সব মিলিয়ে ভালই। :-)
  • বিপ্লব রহমান | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৩:৫৬497906
  • হ্যাপি এন্ডিং হলেও জমজমাট রহস্য রচনা! ব্রাভো 
  • :|: | 174.255.***.*** | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৬:৩৪497913
  • ও কিছু করার নাই। শুধু রাজরক্ত না খুনীর রক্তও বটে। কোনও রাজবাড়ীর ধারেকাছে না নিয়ে গেলেও, যথা সময়ে পরিচয় প্রকাশ করবেই। শরদিন্দুর "রক্তের দাগ" পশ্য। নামটাও তো বীরেন্দ্র তেজেন্দ্রর মতোই নরেন্দ্র। অথচ শান্তিনিকেতনের সংস্কৃত অধ্যাপকের দৌহিত্র বা ইংরিজি সাহিত্যের অধ্যাপিকার বোনপোর নামটা একটু অন্যরকম হতেই পারতো। কিন্রু হলো না। সম্ভবই না! সৃষ্টি ​কর্তা (পান ইন্টেনডেড) তাকে ওই ​​​​​​​ভাবেই ​​​​​​​গড়েছেন। 
    সত্যিই খুব জমাটি রকম ভালো হয়েছে। অনেক অভিনন্দন! 
  • kk | 68.184.***.*** | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২০:৩৭497920
  • বেশ বেশ। কিন্তু সৌরভের ইনক্রিমেন্ট হলো কি না?
  • Bappaditya Das | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২১:৩১497921
  • খাসা হয়েছে, কিন্তু ইনক্রিমেন্টের কি হলো?
  • Ranjan Roy | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২০:১৭497973
  • সবাইকে অনেক ধন্যবাদ, নিয়মিত ফীডব্যাক ও উৎসাহ দিয়ে আমার নার্ভাসনেস দুর করার জন্য ।
  • কৌশিক ঘোষ | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৩:২৩498727
  • আজ রাস্তায় একটা দেড়মাসের কুকুরের বাচ্চার এ্যাক্সিডেন্ট হয়ে সামনের ডানপায়ের কাঁধের কাছের জয়েন্ট খুলে গেছে। সন্ধে থেকে তাকে নিয়ে দুজনে লড়লাম। রাত এগারোটা থেকে একটা পর্যন্ত সার্জন নিজে হাজির ছিলেন, স‍্যালাইন ইত‍্যাদি চললো।
    তারপরে এতোক্ষণ লাগলো রাজরক্তের দাগ শেষ করতে।
    অবলা জীবের বাচ্চাটার কষ্ট দেখা যায় না। বলতে পারেন আপনার একটা সলিড ধন‍্যবাদ প্রাপ্য, কারণ এতোক্ষণ আপনি আমার মাথা থেকে কুকুরের বাচ্চাটাকে সরিয়ে দিয়েছিলেন লেখার গুণে।
  • Ranjan Roy | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৭:২৫498871
  • কৌশিক
    আপনি যা করেছেন তার সঙ্গে অপ্রত্যক্ষ ভাবে যুক্ত হতে পেরে ভাল লাগছে। 
    আমার স্ত্রী  ও ঠিক এইরকমই করেন।
    একবার এক পথকুকুরের   পেটের উপর দিয়ে মোটর সাইকেল চলে যাওয়ায় উনি নিজের হাতে নাড়িভুঁড়ি ওর পেটের মধ্যে ভরে রিকশা করে ওকে ভেটেরিনারি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে অপারেশন করিয়ে সাতদিন নিজের কাছে রাখলেন। কারণ কুকুরটি অস্বস্তি হওয়ায় দাঁত দিয়ে সেলাই খুলে ফেলছিল।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন