আমরা কিছু গণসংগঠনের লোকজন, কিছু ব্যক্তি মানুষ, যারা নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলে নেই বা আছি, সবাই মিলে একটা খোলা মঞ্চ বানানো জরুরি বলে মনে করেছি, মনে করেছি যে আসন্ন নির্বাচনের সময়ে মানুষকে কিছু কথা বলা দরকার। আমরা মনে করি যে সংসদীয় গণতন্ত্রের হাজার অসারতা থাকার পরেও নির্বাচন এমন একটা সময়, যে সময় মানুষ রাজনৈতিক কথা শোনার, বোঝার চেষ্টাতে কিঞ্চিৎ বেশি জোর দেন। এই সময়টাতে আপনি অনায়াসে বেগুনকোঁদর বা বেনাচাপড়াতে একটা মাইক নিয়ে চলে যেতেই পারেন, হাটে মাঠে ঘাটে বাজারে দাঁড়িয়ে আপনার রাজনৈতিক বক্তব্য রাখতেই পারেন, মানুষ শুনবে। নির্বাচনকে যখন ক্রমশ এক ওয়ান ওয়ে কমিউনিকেশনে নিয়ে যাবার চেষ্টা করা হচ্ছে, যখন কার পকেটে কটা ভোট, কোন নেতা ভাঙালে জয় সুনিশ্চিত হবে, এমনটা করার চেষ্টা চলছে, তখন নির্বাচনকে রাজনৈতিক আলোচনার আসর বানানোর চেষ্টা করাটা দরকার, আমরা সেটাই করছি। এক লাইনে বলতে গেলে, আমরা আর এস এস - বিজেপিকে অন্য আর পাঁচটা সংসদীয় দলের চেয়ে অনেক বেশি বিপজ্জনক বলে মনে করি, তাই এ নির্বাচনে আমাদের স্লোগান নো ভোট টু বিজেপি দিয়েই আমাদের রাজনৈতিক আলোচনার সূত্রপাত করার চেষ্টা করছি। হ্যাঁ সূত্রপাত। কারণ সেই খেই ধরেই আসছে নাগরিকত্ব বিলের বিরোধিতা, কৃষি আইনের বিরোধিতা, শিক্ষা স্বাস্থ্য কর্পোরেটের হাতে তুলে দেবার বিরোধিতা, মানবাধিকার ভঙ্গের বিরোধিতা ইত্যাদি।
একথা বলার সঙ্গে সঙ্গে, আক্রমণ সমালোচনা এসেছে বিভিন্ন ধার থেকে, এসেছে আমাদের অভিন্নহৃদয় বন্ধুদের কাছ থেকে, যাঁদের লড়াইকে আমরা সম্মান করি, যাঁদের আত্মত্যাগকে আমরা সন্মান করি। আক্রমণ স্বাভাবিকভাবেই এসেছে সেখান থেকে যাঁরা নির্বাচনকে কেবলমাত্র সরকারে যাবার রাস্তা বলে মনে করেন, সেই বামেদের কাছ থেকে, আরো সোজা করে বললে সিপিএম-এর কাছ থেকে, যাঁদের উন্নয়নের মডেলের সঙ্গে আর পাঁচটা সংসদীয় দলের উন্নয়নের চিন্তার সঙ্গে কোনও তফাত নেই। অবশ্যই প্রত্যাশামতনই দিলু ঘোষ, সায়ন্তন বসুরা, আর এস এস - বিজেপি র নেতাদের তীব্র প্রতিক্রিয়া এসেছে, আমরা আনন্দিত, যাঁদের আমরা আক্রমণ করতে চাইছি, তাঁরা নিজেদের আক্রান্ত বলে মনে করছেন।
বাম রাজনীতির যে অংশ নির্বাচন প্রক্রিয়ায় আসতে নারাজ, তাঁদের সঙ্গে এই রণকৌশলগত পার্থক্য থেকেই যাচ্ছে, তাঁরাও এই নির্বাচনের সময়েই SAY NO TO BJP বলছেন, তা তাঁরা বলুন। আমরা NO VOTE TO BJP বলছি, আমরা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি না, তাঁরাও নিচ্ছেন না, আমরা একটি বিশেষ দলের, তাদের ফ্যাসিস্ত আদর্শের বিরুদ্ধে কথা বলছি, তাঁরাও বলছেন। এই পর্যন্ত একসঙ্গে। পরের বিতর্ক থাকুক না, পরে বুঝে নেব। আমরা প্রকাশ্যে আমাদের স্বজনদের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে যাব না। এমন কি তাঁদের মঞ্চে দাঁড়িয়ে SAY NO TO BJP বলতেও আমার কোনও আপত্তি নেই।
আর এস এস বিজেপি বা তাদের পেটোয়া সংবাদ মাধ্যম রেগে গেছে, গায়ে লেগেছে। মমতা বিরোধীরাও একটা স্লোগানের ভিত্তিতে জড়ো হচ্ছেন, যা তাঁদের বিরুদ্ধে যাবে, তাঁদের বিরুদ্ধ প্রতিক্রিয়ায় আমরা খুশি। আমরা তো চাই ফ্যাসিস্ত দলটি নির্বাচনের প্রক্রিয়াকে কাজে লাগিয়ে যেভাবে সাংবিধানিক সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করছে, তা আটকাতে। কেমন ভাবে আটকাব? কেবল এই নির্বাচনের সময়ে দুটো কথা বলে, মিছিল করে আর পোস্টার দিয়ে? না, কখনই না। আমরা সমমনোভাবাপন্নরা তো রাস্তাতে আছিই, এন আর সি, সি এ এ নিয়ে, কৃষি আইন নিয়ে, শ্রম বিল নিয়ে, মানবাধিকার নিয়ে, স্বাস্থ্য, শিক্ষার মৌলিক অধিকার নিয়ে। এবার নির্বাচনকেও আমরা কাজে লাগানোর চেষ্টা করছি, যে দেশে ৮৫% মানুষ নিয়মিত ভোট দেন, ৫/৬ ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেন, রান্না বান্না সেরে, সবথেকে ভাল শাড়িটি পরে গ্রামের মহিলারা যখন বুথের সামনে দাঁড়ান, তখন তাদের এই অধিকার প্রয়োগকে হুউউউউস করে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। সেই কারণেই আমরা নির্বাচনের আগে যখন বলছি নো ভোট টু বিজেপি, তখন বিজেপির নেতারা দৃশ্যতই বিচলিত, আমরা খুশি।
তৃণমূল ক্ষমতায় আছে, ক্ষমতার ভাগ চাই, দখল চাই, সেটাই তাদের কে বিজেপির বিপরীতে দাঁড় করিয়েছে, বিজেপির চাই ৭০% হিন্দু ভোট, কাজেই তৃণমূল চায় ৩০% মুসলমান ভোট। ৭০% পুরোটা তো আর বিজেপি পাবে না, অতএব ছিটকে আসা ১৫-১৮% হলেই আবার মসনদ। মধ্যে প্রচুর ডাইরেক্ট ট্রান্সফার, ডোল বিতরণ, সুবিধে প্রাপ্তদের দুয়ারে সরকার, পাড়ায় সরকার। তাঁরা অনেক কিছুর মত এই সহজ সত্যটা বোঝেন যে বিজেপি ভোট কম পেলে তাঁদের লাভ। তাই আমাদের ডাকে তাদের উল্লাস দেখে কে! এবং নাকি তাঁদের সমর্থকরা ঝান্ডা ফেলে আমাদের মিছিলেও নেমে পড়বেন, এক মন্ত্রী বললেন। খামখেয়ালি, স্বৈরাচারী, দুর্নীতিগ্রস্ত এক দলের আমরা বিরোধী, তাদের মানুষজন আমাদের মিছিলে নামবেন, এমন আশা আমরা করি না, মাথাপিছু দক্ষিণা এবং ডিমভাতের জোগান দিয়ে ভিড় আমরা চাই না, দেবার ক্ষমতাও নেই। ওঁরা সংবাদমাধ্যমে নিজেদের দিকে ঝোল টানছেন বটে কিন্তু বিলক্ষণ জানেন যে আমরা তাদের বিরোধী। বিশেষ করে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের চূড়ান্ত অগণতান্ত্রিক ভূমিকা আমাদের প্রত্যেকের মনে আছে। অন্য দল ভেঙে তৃণমূলে যোগদান করানোর কথাও আমরা জানি, বিরোধিতা করি। তাই আমাদের মহাকরণে ডেকে ফিশ ফ্রাইয়ের প্রোপজাল দেওয়া হয় না, আমাদের ওপর পুলিশি আক্রমণ হয়, এই মুহূর্তেই আমাদের মঞ্চ থেকে যাঁরা নো ভোট টু বিজেপি বলছেন তাঁদের মধ্যে চারজন ইউএপিএ-র আসামী, দেশদ্রোহে অভিযুক্ত, আপাতত জামিনে মুক্ত। এ রেকর্ড সিপিএম-এরও নেই।
এবার শেষপাতে সিপিএম, অভিযোগ দুটো, বক্তব্য একটা। অভিযোগ এক, আমরা নাকি আদতে তৃণমূলকে সুবিধে করে দেবার জন্য এই প্রচারে নেমেছি। অভিযোগ দুই, ফ্যাসিবাদ কে রুখতে হলে তৃণমূল, বিজেপিকে হারাতে হবে। বক্তব্য একটাই অষ্টম বামফ্রন্ট সরকার নয়, আপাতত বাম ও গণতান্ত্রিক সরকার গড়ে তুলুন।
তাহলে আসুন একটু তা নিয়েই আলোচনা করা যাক। আমরা বলছি বিজেপিকে ভোট দেবেন না, কাদের লাভ? সারদা বিতর্ক তুঙ্গে, নারদার হাতে গরম ভিডিও বের হয়েছে, মানুষ ভোট দিয়েছেন ২০১৬ তে বিধান সভায়, তৃণমূলের ভোট ৪৪.৯১%, কংগ্রেসের ১২.২৫%, বামফ্রন্টের ১৯.৭৫%, বিজেপির ১০.১৬%। ২০১১ তে হিসেব টা কেমন ছিল? তৃণমূল ৩৮.৯৩%, কংগ্রেস (তৃণমূলের সঙ্গে জোটে ছিল) ৯.০৯%, বামফ্রন্ট ৩০.৮%, বিজেপি ৪.১৪%। তার মানে ২০১১-তে বামফ্রন্ট যত ভোট পেয়েছিল, ২০১৬-তে তার অনেকটা ভোট (প্রায় ১০%) কমে, বিজেপির ভোট বাড়ে, ৬%, তৃণমূলের ভোট বাড়ে ৬%। এরপর ২০১৯ তৃণমূল ৪৩.৩%, ২০১৪ র লোকসভা থেকে সামান্য বাড়লেও, ২০১৬ বিধানসভার থেকে দেড় শতাংশ ভোট কমেছে। বিজেপি ৪০.৭%, মানে ৩০% বৃদ্ধি। বামফ্রন্ট ৬.৩৩% মানে ২০১৬ র থেকে ১৩% কম। এই ভোটের বাড়া কমার হিসেব সাদা চোখে বলে দেয় তৃণমূল তার ক্ষমতায় থাকার কারণেই হোক, ডাইরেক্ট ট্রান্সফারের সুবিধে দেওয়ার জন্যই হোক, তাদের ভোট ব্যাংক কমবেশি অক্ষুণ্ণ রাখতে পেরেছে, কিছু ভোট গেছে, কিছু ভোট এসেওছে। কিন্তু বামফ্রন্ট বা সিপিএমের বিরাট ভোট বেরিয়ে গিয়েছে, এবং তা গিয়েছে বিজেপিতে, নাহলে বিজেপির অমন ভোট বৃদ্ধিকে যুক্তি দিয়ে বোঝানো যাবে না। সিপিএমের সেই বন্ধুরা যদি আবার ফিরে আসেন, সিপিএম কি বিধানসভায় কিঞ্চিৎ বেশি ভালো ফল করবে না? তা ঐ বিপথগামী বন্ধুরা ফিরবেন কিসে? তাঁদের সামনে গিয়ে যদি বলা যায়, বিজেপি এক ফ্যাসিস্ত শক্তি, বিজেপির সমস্ত মিথ্যে ন্যারেটিভগুলো যদি তুলে ধরা যায়, তাহলে তাঁরা ফিরবেন না? ফিরলে কাদের লাভ?
সংসদীয় হিসেবের বাইরে গিয়ে আর একটা হিসেব হল, বিজেপি ফ্যাসিস্ত শক্তি, তার বিরুদ্ধে যে কোনও প্রচার, যে কোনও আন্দোলন যে সমাজ অগ্রগতির সাযুজ্য, তা নিশ্চই আলাদা করে বলতে হবে না। লিখতে গিয়ে এই কঠিন জারগনের আশ্রয় নিয়েই ফেললাম, আসুন আর একটু খোলসা করে বোঝানো যাক। ধরুন কংগ্রেস শিবসেনার সরকার, কাল যদি একটা ভোটের জন্য পড়ে যাবার উপক্রম হয়, তাহলে মহারাষ্ট্রের সাকুল্যে একজন সিপিএম বিধায়ক কাকে ভোট দেবেন? কংগ্রেস-শিবসেনার পক্ষেই তো। আবার ৩৭০ ধারার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে, কাশ্মীরে এই ফ্যাসিস্ত সরকারের দাঁত নখের সামনে দাঁড়িয়ে পিডিপির মেহেবুবা মুফতির সঙ্গে বসেও গুপকার ডিক্লারেশনে সই করা যায়, যে মেহেবুবা মুফতি কদিন আগেই সিপিএমের ভাষায় আপাদমস্তক দুর্নীতিগ্রস্ত, বিজেপির শরিক দল ছিল। কিন্তু আমরা বলছি গুপকার ডিক্লারেশন কাশ্মীরের মানুষের লড়াইয়েরই প্রতিচ্ছবি।
সিপিএমের কিছু মানুষ আবার মনে করেন, বিজেপিকে হারাতে হলে তৃণমূলকেও হারাতে হবে, কাদের আগে হারাতে হবে তাই নিয়ে হযবরল-এর কাক্কেশ্বর কুচকুচে আর ব্যাকরণ সিং এর হিসেব চলছে। আর দুজনকে পরাস্ত করার মানে হল, মাত্র ২০১৯-এ ৮৩% ভোটকে চ্যালেঞ্জ করা, নেহাত উন্মাদ না হলে এটাও কেউ বলবে না। সব মিলিয়ে তাদের এক বুঝভুম্বুল অবস্থা, তার মধ্যে আবার অধীর চৌধুরী সোনার বাংলার সোনার ছেলে হবার জন্য লেনিনের মত হাত বাড়িয়ে আঙুল উঁচিয়ে ছবি ছাপিয়েছেন।
ইচ্ছায় অনিচ্ছায়, ফিসফিস প্রচারে যাদের ভোটব্যাঙ্কের সবচেয় বেশি ভোট গিয়েছে বিজেপিতে, আশা করা গিয়েছিল তাঁরা আমাদের এ-হেন প্রচারকে প্রকাশ্যে সমর্থন না জানালেও বিরোধিতা করবেন না। কিন্তু করছেন, করছেন কারণ চুন খেয়ে গাল পুড়েছে। ওঁরা জাতীয় মঞ্চে এমনকি তৃণমূলের সঙ্গে থাকছেন, বহু ক্ষেত্রে, বহু সময়ে। তাঁরা বিএসপিকে জোটে নিয়েছেন, পিডিপিকে জোটে নিয়েছেন, চন্দ্রবাবু নাইডুর সঙ্গে কথা বলতে আপত্তি নেই, সমস্যা এ রাজ্যে, এবং মমতাকে নিয়ে, কারণটা কি রাজনৈতিক?
সমস্যা সম্ভবত সিপিএমের দৃষ্টিভঙ্গিতেই লুকিয়ে আছে। কদিন আগে একটা মিম, সিপিএমের লোকজন হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুকে ছড়িয়েছে, কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নকে কোনও এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন, কেরালার কোনও এক জায়গায় বিজেপি মিউনিসিপালিটির এক আধটা আসন জিতেছে, কী ভাবছেন বিজয়ন? তিনি নাকি বলেছেন, ঐ এলাকার মানুষের শিক্ষাগত মান বাড়ানোর ব্যাপারটা আমরা চিন্তা করছি। বিজেপির মত এক ফ্যাসিস্ত দল, কেরালায় সামান্য হলেও সংগঠন বাড়াচ্ছে কারণ মানুষ অশিক্ষিত, মানুষের বোধ বুদ্ধি নেই, মানুষ ভুল করছেন। এই ঔদ্ধত্য কোথা থেকে আসে? মানুষ ভুল করে বিজেপিকে ভোট দিয়েছে, মানুষের ভুলে মমতা ক্ষমতায় এসেছেন, এই যে উদ্ধত চিন্তা ভাবনা, সেই অবস্থান থেকেই সিপিএম আমাদের বিরোধিতা করছে।
আমাদের জবাব, সিপিএম সহ বাম দলগুলো ফ্যাসিস্ত বিরোধী মোর্চার অন্যতম শক্তি, তারা কোনও দিনও এই ফ্যাসিস্তদের সঙ্গে হাত মেলাবে না, এ আমাদের বিশ্বাস। কেবল মাত্র ফ্যাসিস্ত বিরোধিতার মঞ্চে আমরা তাদের সঙ্গে এক মঞ্চে বসতেও রাজি আছি, কারণ ঐ পর্যন্ত আমরা এক মত। তার পরের লড়াই ওঁরা লড়ুন, ফ্যাসিস্ত আর এস এস -বিজেপি কে হারানোর শুভেচ্ছা রইল।
আমাদের ফ্যাসিবাদ বিরোধিতা কেবল নির্বাচনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, আমরা রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি চাই, তাঁদের কেউ কেউ এমনকি সিপিএম আমলেও গ্রেপ্তার হয়েছেন, তৃণমূল আমলে তো বটেই। সংসদীয় রাজনীতির আঙিনায় প্রত্যেক দল মানবাধিকার ভঙ্গের অপরাধে অপরাধঈ। আমরা মানবাধিকারের লড়াইকে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই হিসেবেই মনে করি। আমরা মনে করি আর এস এস – বিজেপি দেশের আর পাঁচটা দল নয়, যাদের প্রায় প্রত্যেকের মধ্যেই, অগণতান্ত্রিক, মানবাধিকার বিরোধী কাজ করার ঝোঁক আছে, যারা জনগণের স্বার্থ বিরোধী কাজো করেন, কিন্তু তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ফ্যাসিবাদী দর্শন দিয়ে পরিচালিত নয়। আর এস এস – বিজেপির মূল মন্ত্রই ফ্যাসিবাদ, তারা হিটলারের এক প্রকৃত উত্তরসূরি। আমাদের ফ্যাসিবাদ বিরোধিতা এক মুক্ত স্বাধীন গণতান্ত্রিক সমাজের লক্ষ্যে, ঠিক সেইখানে আমরা আরএসএস – বিজেপি কেই মূল শত্রু বলে চিহ্নিত করছি, সোচ্চারে বলছি NO VOTE TO BJP.
চিটফান্ড প্রোডিউসারের টাকায় পরের পর সিনেমামেকার তৃণমুলী কলতলা টিভির প্রোগাম প্রোডিউসার জ্ঞান দিচ্ছে বাম ও অনান্য অবিজেপি দলের লোকজনকে কি করতে হবে
পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক অবস্থা যে সত্যিই খারাপ এর চেয়ে ভালো উদাহরণ কিই বা হতে পারে
Serious আলোচনা
কেরালার মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন সাহেব বিজেপিকে ভোট দেওয়ায় জন্য ভবিষ্যতে তাঁর রাজ্যের একটি অঞ্চলের সুশিক্ষিত, বোধবুদ্ধি সম্পন্ন, সঠিক কাজ করা স্থানীয় মানুষজনের শিিক্ষার মান বাড়ানোর কথা বলে যদি 'ঔদ্ধত্য' দেখিয়ে থাকেন তবে অনিকেতবাবুরা, এ রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে এ রাজ্যের সুশিক্ষিত, রাজনৈতিক বোধবুদ্ধি ও চেতনা সম্পন্ন মানুষের বিবেচনাবোধের ওপর ভরসা নাা রেখেে একটি মার্কা মারা ধর্মীয় ফ্যাসিবাদী দলেকে বিশেষভাবে ভোট না দেওয়ার আবেদন জানিয়ে, একপ্রকারে এ রাাজ্যেে ভোটদাাতাদের রাজনৈতিক বোধবুদ্ধির পরিপক্কতা কে খাটো করে দেখার 'ঔদ্ধত্য' দেখাচ্ছেন না?
গোটা টা পড়ে যা বোঝা গেল, টপিক টার নাম ও প্রস্তাবিত স্লোগানের নাম "নো ভোট টু সিপিএম" হলে ঠিকঠাক হত। দশবছর আগে হলে হয়ত সত্যি প্রাসঙ্গিক হত। তবে এখন যেটা আপনাদের ভাবা উচিত তা হল ২৯৪ টা আসনে আপনাদের মাননীয়া প্রার্থী দিতে পারবেন তো? না পারলে আপনারা সুশীল সমাজ থেকে একটু দাঁড়িয়ে পড়বেন প্লিজ। হাজার হোক ভাতা বিভীষণ বিভূষণ কত কি দেন উনি !
বাজে লেখা।দিদির প্ৰসাদ পাওয়ায় অতিব্যায়ামের পিছন পক্কগিরি
এত দুর্বল ও খারাপ পোলিটিকাল লেখা সম্প্রতি পড়িনি।
একটি আদ্যোপান্ত হাস্যকৌতুক
বিজেপিকে ভোট নয় বললেই সিপিএম রেগে যাচ্ছে দেখছি। হুম।
বিজেপিকে হারাতে সিপিএমকে সাহায্য নিতে হয় না ।মাঠের মধ্যেই লড়ছে। মমতার উচ্ছিষ্ট খাওয়া বুদ্ধিজীবীদের সাহায্য নিতে হয়না । নিজেরাই নিজেদের মতো করে লড়ছে ।বিদেশে বসে নাকি কান্না কাঁদতে হয় না
হায়দ্রাবাদ থেকে খিস্তি খেউড় করলেই যথেষ্ট। অবিশ্যি ক্যালি থেকে খেউড়ে শিবু দোহার দিলে তাতে ক্রিমিগুলোর নাচতে অসুবিস্তে নেইকো।
আজকাল পত্রিকায় ২০১১ র আগে যখন বুদ্ধজিবিরা লাইন দিয়ে রামফ্রন্টকে ভোট দিতে ডাকত তখন এই হায়দ্রাবাদি ক্রিমির চক্ষু দিয়ে আনন্দাশ্রু গড়াত গো ও।
ব্যক্তিগত আক্রমণ না করে বিষয় নিয়ে কথা বললে হয় না?
পথেঘাটে লড়ছে---এটা শুনতে ভাল। কিন্ত তিনটে শ্রম বিরোধী আইনের বিরুদ্ধ কৃষকদের মত পথে নামা কোথায়? পেট্রোলের দাম নিয়ে আন্দোলন কোথায়?
2019শে বামের ভোট কেন রামে গেছল সেটা নিয়েও ভাবনা দরকার।
সিপিএমের জনদমর্থন এখন সাতে এসে ঠেকেছে এবং সে নিয়ে বিশেষ হেলদোল আছে বলেও মনে হচ্ছে না। শয়নে স্বপনে শুধু একটাই চিন্তা- মমতাকে ক্ষমতা থেকে সরানো এবং এরজন্য যদি হিটলার সদৃশ কোন শয়তান এসেও ক্ষমতার দখল নেয়, 'সেও ভি আচ্ছা'। যে কোন মূল্যে মমতাকে সরাও এবং তার জন্য কয়েক দশক ক্ষমতা থেকে দূরে থাকতেও আপত্তি নেই- এমনই মহান ত্যাগের ভাবনা এদের। কিন্তু মমতার প্রতি এহেন অন্ধবিদ্বেষ কি এদের আরও সর্বনাশের দিকে ঠেলে দেবে না? ক্রমাগত ভুল ভাবনা এদেরকে আরও বেশি করে জনবিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছে এবং অনেক বেশি দাম দিয়ে এর মূল্য চোকাতে হবে ভবিষ্যতে। এই ঘোর কাটাতে প্রয়োজন শুভবুদ্ধির ও যুক্তিগ্রাহ্য ভাবনার, তেমন সম্ভাবনা কিন্তু বেশ ক্ষীণ।
ওমা ! দাদা !
আপনি আবার কবে পাল্টি খেলেন গো ?
সেই ' এগারো থেকেইতো আপনি ঘাসফুল অনুরাগী।
নন্দনবাড়িতে আপনার নিজস্ব আপিসকক্ষ, মাণনীয়ার সঙ্গে মিটিং, পরামর্শপ্রদান, ইত্যাদি, ইত্যাদি।
পেছিয়ে পড়ছি খুব, আফশোস !!
কোন খবরই রাখিনা।
ওদিকে, আপনার আরেক ফিল্মিসখা, রক্তলাল থেকে মূলনীল হয়ে, কামিয়েটামিয়ে এখন আবার ঘোরগেরুয়া হচ্ছেন যে !
আপনার ও কী সেই কেস ?