বাবরির পরে ভাবা যায়নি, নিজেকে ধর্মনিরপেক্ষ পরিচয় দেওয়া একটি রাষ্ট্র তার থেকেও কলঙ্কজনক অধ্যায়ে প্রবেশ করতে পারে কোনদিন। কিন্তু বিগত ছয় বছর দেখিয়ে দিয়েছে কোন নীচতাকেই আর চূড়ান্ত ভাবার জায়গায় আমরা নেই
"অথচ রামশিলান্যাসের ঠিক একদিন আগেই নতুন করে করোনা সংক্রমণের নিরিখে বিশ্বের সমস্ত দেশকে পেছনে ফেলে দিয়েছে ভারত। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বয়ানে ৩ আগস্ট সারা দিনরাত, ২৪ ঘণ্টায় এ দেশে কোভিড আক্রান্ত হয়েছে মোট ৫২ হাজার ৯৭২ জন মানুষ।"
হনুমানজীর দুঃশাসন দূর হোক! সব মানুষ সমান অধিকারে বাঁচুক
প্রতিভার বক্তব্য স্বচ্ছ , যা বলতে চেয়েছে পাঠকের কাছে যুক্তিসঙ্গত ভাবে উপস্থাপন করেছে ।আমি পাঠক হিসেবে যা বলতে চাই যে বাল্মীকির রামচন্দ্র উপমহাদেশের তথা বৃহত্তর ভারতের এক প্রিয় মহাকাব্যিক নায়ক ।ভারতের সর্বত্র আছে রামনাম চিহ্নিত জনপদ, ব্যক্তিনামে রাম অতি প্রতিষ্ঠিত ।কৃত্তিবাস, তুলসীদাস তাঁকে ধর্ম জাতি নির্বিশেষে ভারতীয়দের প্রিয় করে তুলেছেন, একটা রাজনৈতিক দল নিজেদের স্বার্থে তাঁকে ব্যবহার করবে কেন? আমরাই বা রামচন্দ্রকে বিজেপির হাতিয়ার হতে দেবো কেন?
ভারতবর্ষের ইতিহাসে আরো একটি কালো দিন, কলঙ্কময় দিন৷ অবশ্য এই ঘৃণ্য দলের কাছ থেকে এর বেশী কিছু আশা করা যায়না৷ তবে সামগ্রিকভাবে দেশটা ভেঙে চুরমার হয়ে যাচ্ছে এদের হাতে৷ মানুষ যখন বুঝবে তখন হয়তো অনেক দেরী হয়ে যাবে!
এপারে বাংলাদেশে থাকি। তবু শিবাংশুর প্রতিটি কথা মনে দাগ কেটে গেল
অনুমান ছিলই। তবু কোথায় যেন একটু আশাও ছিল, এতটা সাহস পাবেনা। আজ পুরোপুরি হতাশ।
প্রতিভাকে ধন্যবাদ।
আরে কারুর বাংলা ভাষা উঠে গেলে প্রবলেম নেই তো কারুর রাম মন্দির তৈরি হলে প্রবলেম নেই। এই তো কথা। কষ্ট পাবেন না।
এর পর মথুরা তারপর কাশি বিশ্বনাথ তারপর আরো অজানা মন্দির যেগুলি ভেঙে মসজিদ তৈরী হয়েছে। দরকার কি আছে ধর্মীনিরপেক্ষতার। ওটা তো ভোট ভিক্ষার মন্ত্র। আর কিছু দুর্বল এর মন্ত্র যারা অন্য রাষ্ট্র থেকে ধর্মের নাম উদ্বাস্তু হয়ে ভারতীয় ভূমিতে রয়েছে। ২০১৪ এর আগে তো ধর্ম নিরপেক্ষ সরকার ছিল। তখন কি কাশ্মীর পাথর ছোড়েনি ? নাকি পাকিস্তান জঙ্গি পাঠায়নি ? নাকি ঢাকার মাটি ভারত বিরোধী কাজে ব্যবহার হয়নি ? তুর্কির হাগিয়া সোফিয়া নিয়ে কটি মুসলিম দেশ দুঃখ প্রকাশ করেছে ? ধর্ম নিরপেক্ষতা আজ টাকা রোজগারের অস্ত্র। এই অস্ত্র ব্যবহার করে যতদিন গদিতে বসে রোজগার করে নেওয়া যায়। পশ্চিমবঙ্গে দেখি বাংলাদেশ থেকে উদ্বাস্তু হয়ে আসা হিন্দুরাই ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে বেশি জ্ঞান মারে। কেন কে জানে ?
দেবুবাবু, ধর্ম নিরপেক্ষতা যদি টাকা রোজগারের অস্ত্র হয়, আপনি তবে চ্যাঁচাচ্ছেন কেন? আপনার কি টাকার দরকার নেই ?
নাকি ফকির আদমি, ঝোলা লেকে চল পড়েঙ্গে?
এতসব দেখে আমার একটা জিনিস মনে পরে যাচ্ছে | আজথেকে প্রায় বছর কুড়ি আগে বরখা দত্ত তখন সবে ক্যারিয়ার শুরু করেছেন , তো বরখা ফারুক আব্দুল্লাহর ইন্টারভিউ নিচ্ছিলেন কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে | সেখানে আমার পরিষ্কার মনে আছে যে ফারুক দ্বিজাতি তত্ব এর বিরোধিতা করে বলেছিলেন যে ১৯৭১ প্রমান করে দিয়েছে যে দ্বিজাতি তত্ব সম্পূর্ণ ভ্রান্ত এবং তার বাবা শেইখ আব্দুল্লাহ এই কারণেই ১৯৪৭-৪৮ এ ভারতীয় ধর্মনিরপেক্ষতাকেই বিশ্বাস করে ঠিক প্রমাণিত হয়েছেন | বর্তমানে ঘটনা হলো সেই ফারুক এখন সপরিবারে মোটামুটি গৃহবন্দী | কিন্তু এখন এটা সত্য যে পাকিস্তান ছাড়া সত্যি কাশ্মীর নিয়ে বলার মতো সারা পৃথিবীতে আর কেউ নেই | ফারুক কি এখন মনে মনে নিজের বাবা শেইখ আব্দুল্লাহকে গালি দিচ্ছেন ১৯৪৭-৪৮ এ ভারতীয় ধর্মনিরপেক্ষতাকে বিশ্বাস করার জন্য ? সত্যি সেলুকাস ইতিহাস বড়োই বিচিত্র |
আপনাদের কি মনে হয় যে শেইখ আব্দুল্লাহ আসলে ভুল করেছিলেন ১৯৪৭-৪৮ সালে ? দ্বিতীয়ত কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতিতে ১৯৭১ কি দ্বিজাতি তত্ত্ব কে সত্যি সত্যি ভুল প্রমাণিত করেছিল এটা কি বলা যাবে ?
গুরুচন্ডালির বন্ধুরা কি বলেন আপনারা ?