তরাসে বিভীষণ হনুমানরে টাইনা নিয়া যায় নিরালায়- জামুই; এই হালারপুতে তো এখন আমারেই চিপায় ফালায়া দিলো। আমি জনে জনে কানমন্ত্র দিছি যে পরের বৌ টাইনা আনা অন্যায়। আর সেই অন্যায় যে করে সে আমার সাক্ষাৎ বড়ো ভাই হইলেও আমি তার বিপক্ষে আছি; শুধু সেই কারণেই আমি সীতা উদ্ধারে রামের পক্ষ নিয়া রাবণের বিপক্ষে গেছি। এখন হুমুন্দির পুতে কিনা নিজের বৌরে কয়; তুমি যারে ইচ্ছা তারে হেঙ্গা করো গিয়া। আমি তোমার লাইগা যুদ্ধ করি নাই; যুদ্ধ করছি মোর বাপের সম্মানের খাতিরে। তোমারে আর ঘরে তুইলা নিতে পারব না আমি…
হনুমানের হাত চাইপা ধরে বিভীষণ- একটা বিহিত করো জামুই। এমনিতেই লোকজন আমারে বেইমান ডাকতেছে। এর উপর রাম যদি সীতারে এইখানে ফালায়া যায় তবে লঙ্কার মাইনসে কিলায়া ভর্তা বানাইয়া ফেলব আমারে। তারা বলবে সিংহাসনের লোভেই বিদেশি আইনা ভাইরে মারছি আমি…
আর আরেকটা কথা; মনে হয় আমি তার কথার পুরা অর্থ বুঝি নাই। সে যদি সীতারে নিতে না চায়; তবে সে কী চায়? বৌ না থাকলে রাবণ মারার গৌরব রাখার লাইগাও তো একটা রাজ্য লাগব তার। কিন্তু তার নিজের তো কোনো রাজ্য নাই; তবে কি সে লঙ্কার রাজা হইতেও চায়?
ধীরে ধীরে মুখ খোলে হনুমান- খালি আপনেই না কাগু; তার নিজের ভাই লক্ষ্মণও চোদনা বইনা গেছে রামের কথায়। তবে লঙ্কার সিংহাসন নিয়া আপনের দুশ্চিন্তার কিছু নাই। তাগো দুই ভাই বাদ্দিলে এইখানে যত সৈনিক আছে তারা হয় আপনের না হয় আমার লোক। এই দিকে লালচ করলে বিচি গাইলা দেওয়া মোটেই সমস্যা হবে না…
তবে কথা হইল; সীতারে বৌর মর্যাদা দিয়া সাথে নিয়াই রামরে লঙ্কা ছাড়তে হবে। সেইটা না হইলে সুগ্রীবও নিজের ভাই মারার ছোটলোকি লুকাইতে পারবে না। আমিও পইড়া যাব প্যাচে…
বেচইন হইয়া উঠে বিভীষণ- উপায় কী জামুই। উপায় কও। এখন সেই বেটারে এইসব বুঝাইতে যাইব কেডা?
হনুমান কয়- কেউ কিছু বোঝানো লাগবে না। সে যাতে তার বুঝমতো পায় সেই ব্যবস্থাই করব…
- কেমনে কী করবা একটু খুইলা কও। বড়োই বেচইন লাগতেছে আমার…
বিভীষণরে থামায়া হনুমান কয়- যেইসব বামুন প্রচার দিতেছিল যে আপনে ধর্মের পক্ষে আর রাবণমামু ধর্মহীন; তারা কি এখনো আপনের লগে আছে?
- আছে আছে। অবশ্যই আছে। আমি রাজা হইবার পর রাবণপক্ষের বামুনরাও আইসা ভিড়তেছে আমার দিকে। কও কী করা লাগবে?
- ধর্ম শপথ কইরা ওদের সাক্ষী দেওয়া লাগবে…
- অবশ্য দিবে। একশোবার দিবে। কও কী সাক্ষী দিতে হবে তাদের?
-অগ্নি পরীক্ষা পাশের সাক্ষী…
-কী? অগ্নি পরীক্ষা? অগ্নি পরীক্ষা কেডা দিব?
হনুমান মুচকি হাইসা কয়- রামের বৌ সীতা দিব। সে সতী কি সতী না সেইটা পরীক্ষা হবে তারে আগুনের উপর দিয়া হাঁটায়া। শত শত বামুনের সামনে সে আগুনের উপর দিয়া হাইটা যাবে। কিন্তু পুড়বে না। তাতে প্রমাণ হবে সে সতী। রাবণ তারে ছুঁয় নাই…
বিভীষণ খ্যাক খ্যাক কইরা উঠে- তোমার মাথা এক্কেবারে গেছে জামুই। আগুনে পোড়ে না এমন মানুষ আছে নাকি? যেইসব অলৌকিক অগ্নি পরীক্ষার কথা শোনো সেইগুলা সব কাহিনী। সকলেই শুনছে কিন্তু কেউ দেখেও নাই; করেও নাই কোনোদিন…
হনুমান বিরক্ত হয়- দেখতে বলতেছে কেডা? আমিতো শুনাইবার কাহিনীই বানাব। একখান অলৌকিক ঘটনা তৈয়ার করব। আপনের বামুনেরা ধর্মশপথ কইরা বলবে তারা নিজের চোক্ষে দেখছে সেই ঘটনা। সকলে কাহিনী শুনবে ধার্মিকগো মুখে আর নিজের চোখে গিয়া দেখবে অগ্নিকুণ্ডের নিভন্ত ছাই…
হনুমান একটু থাইমা পরিকল্পনা আরো বিস্তারিত করে- সরমা কাকীরে দিয়া সীতারে কিছু পড়াইতে হবে। তিনারে দিয়া সীতারে বুঝান যে রামের বৌর সম্মান নিয়া লঙ্কা ছাড়তে হইলে তারে আমাগো লগে তাল মিলাইতে হবে…
নিজের বৌর কথা শুইনা চনমন কইরা উঠে বিভীষণ- ধইরা নেও সীতারে বোঝানোর কাম শ্যাষ। তোমার শাশুড়ির উপরে ভরসা রাখতে পারো তুমি। আর তাছাড়া সীতাও তারে ভরসা করে। একমাত্র সরমার ভরসাতেই বারবার রাবণের বিবাহ প্রস্তাব ফিরায়া দিছে সীতা। কারণ তিনিই তারে অশোকবনে গিয়া সংবাদ দিতেন যে তারে উদ্ধার করতে রাম-লক্ষ্মণ আসতেছে। নাইলে কবেই হয়ত রাবণরে বিবাহ কইরা ফেলত সে…
আর কোনো কাম নাই ভাইবা বিভীষণ পা বাড়াইতে গেলে হনুমান আটকায়- কাগু। যেইসব বামুনেরা রাবণ মামুর জীবনী গাইত তারা কই?
- কোথাও হয়ত লুকায়া চাপায়া আছে। ক্যান? লাগবে?
হনুমান কয়- লাগবে। সবগুলারেই লাগবে…
বিভীষণের কাছে এইটা ছোট কাম মনে হয়। সে কয়- কোনো সমস্যা নাই। সবগুলারে ধইরা আনতে বলতেছি। তা তাগো কামটা কী হবে?
হনুমান হাসে- ওরা আগে যেই কাম করত সেইটাই করবে; মহাশক্তিধর মহারাজা রাবণের জীবনী বয়ান…
বিভীষণের অপমান লাগে। এখন সে রাজা। রাবণের লগে হনুমানের খাতির বেশি আছিল; সত্য। রাবণ গুণবান মানুষ আছিল তাও সত্য। কিন্তু এখন তো সে নাই। তাইলে এখন জেন্দা রাজা বিভীষণের জীবনী মাহাত্ম বাদ্দিয়া রাবণের জীবনী ক্যান? সে বিরক্তি না লুকায়াই জিগায়- এখন রাবণের জীবনী দিয়া কী কাম জামুই?
হনুমান কয়- কাম আছে কাগু। রাবণ মামুর জীবনীতে একটা অভিশাপের কাহিনী জোড়া দিতে হবে। বলতে হবে- কোনো এক বড়ো দেবতার শাপে রাবণ অশোকবনে সীতারে ছুইতে সাহস করে নাই। অগ্নী পরীক্ষার পরে এইটা ছড়ায়া দিলে সীতার সতীত্বের পক্ষে তা হবে ডবল টেক্কা…
খুশিতে লাফায়া উঠে বিভীষণ- তোমার বিদ্যাবুদ্ধি দেইখা তো রীতিমতো পেন্নাম করতে ইচ্ছা করতেছে আমার…
হনুমান কয়- বাতাস দিয়েন না কাগু। আপনে জ্ঞানবিদ্যা পুছলে দশ দখখান বিদ্যায় বিশারদ নিজের ভাই রাবণরে মারতেন না আপনে। তয় যদি খুশি হন; তবে আমার যে পোলাপানগুলা আপনের লাইগা যুদ্ধ করছে; তাগোরে খুশি কইরা দিয়েন। গরিব মানুষ; দুইটা পয়সার লাইগা মারামারি করতে আসছে…
খোঁচা গায়ে না মাইখা বিভীষণ কয়- অবশ্যই অবশ্যই। সবাইরে খুশি কইরা দিমু আমি। যারা মারা গেছে তাগো পরিবারের লাইগাও টেকা পয়সা পাঠাব। এইটা তোমারে বলতে হবে না জামুই। তয় ভুয়া অগ্নী পরীক্ষা দিয়া রাম-লক্ষ্মণরে কেমনে বুঝ দিবা তুমি?
হনুমান কয়- লক্ষ্মণ বিরক্ত আছে রামের উপর। সীতারে ফালায়া যাওয়া সে সমর্থন করতে পারে নাই। আমার ধারণা সে আমাগো লগে থাকব। আর রামও উপস্থিত থাকব অগ্নী পরীক্ষার সময়…
চিন্তায় ভাঁজ পড়ে বিভীষণের কপালে- রামরে উপস্থিত রাইখা তুমি আগুনের ভিতর থাইকা জ্যান্ত সীতা বাইর করবা কেমনে?
হনুমান ঠাঠা কইরা হাসে- রামে ধোঁয়া দেখব কাগু; আর বিশ্বাস করব চাক্ষুস সাক্ষী বামুনগো কাহিনী বয়ান…
- কিন্তু নিজের চোখে না দেখলে বামুনগো কথায় কি বিশ্বাস যাইব সে?
হনুমান বিভীষণের চোখে চোখ রাখে- কাগুমামা। আপনের মতো ভাই খেদায়া নিজে রাজা হইবার শখ তারো আছে। ধর্মশপথ করা বামুনগো কথা অবিশ্বাস কইরা অভিশাপের ভাগ নিতে চাইব না সে। বামুনগো অভিশাপ নিয়া বাড়ি ফিরলে বশিষ্ঠরে দিয়া সীমান্তেই তারে ঠেকাবে ভরত। …তবে পরীক্ষা শুরুর আগেই আপনের বামুনগো বড়ো বড়ো ঘরানা আর অভিশাপ টভিশাপের কাহিনী তারে একটু শোনায়া দিয়েন…
তা হবে তা হবে বইলা হনুমানের সব নির্দেশ মাইনা নিয়া বিভীষণ আমতা আমতা করে- জামুই। একটা অনুরোধ…
- হ। কন…
মুখে মিঠাই লাগায় বিভীষণ- এইটা সত্য যে তুমি পয়লা আমাগো এক ভাগনিরে বিবাহ করায় আমি তোমার মামা শ্বশুর। আবার এর পরে তুমি বিবাহ করছ আমাগো আরেক ভাতিজিরে। সেই সূত্রে আমি তোমার চাচাশ্বশুর। তো দুইটা মিলায়া তুমি আমারে মামা কিংবা কাগু যেকোনোটা ডাকতেই পারো। তয় অনুরোধ আমারে তুমি কাগুই ডাইক…
হনুমান কয়- ক্যান মামা?
বিভীষণ দাঁত বিজলায়া হাঁসে- রাবণরে মামা ডাইকা যে বাঁশটা দিছ তুমি; তোমার মুখে মামা শুনলেই আমার ডর লাগে…
হনুমান কয়- বাঁশ আমি দিছি? রাবণের হোলে গাঙ বানায়া নৌকা চালাইতেছেন আপনে আর আমারে কন আমি তারে বাঁশ দিছি। আমি তো পয়লা দিনই চুপেচাপে সীতারে নিয়া ভাইগা যাইতে পারতাম; তাতেই রামের কাছে সুগ্রীবের যে প্রতিশ্রতি তা পুরণ হইত। কিন্তু আপনেই না কইলেন- এইটা ধর্ম-অধর্মের বিষয়; এর সুরাহা প্রকাশ্যেই হওয়া উচিত। আপনের লাইগা মামি শাশুড়ির চুলের মুঠা পর্যন্ত ধইরা টানতে হইল আমার। এখন আপনেই আমারে কন আমি বাঁশ দিছি রাবণরে। আপনে আসলেই একটা বেইমান…
বিভীষণ হনুমানরে জড়ায়া ধরে- মাথামুথা ঠিক নাই জামুই। কী কইতে কী বইলা দিছি; মাফ কইরা দিও। তোমার যা ইচ্ছা ডাইক। এখন আমি যাই। তুমি যেইভাবে বললা সেইমতো গিয়া কাজগুলা নামাই…
বিভীষণরে কামে পাঠায়া হনুমান গিয়া হাজির হয় লক্ষ্মণের ডেরায়- কি মিয়া? কী ঠিক করলা? তোমরা যে দুই ভাই সৎ মায়ের কয়েদখানা থাইকা বুইড়া বাপরে বাচাইতে পারে নাই; তারা বাড়ি গিয়া বাপের বংশে রাবণমারা গৌরব যোগ করবা? নাকি চুরি যাওয়া ঘরের বৌ উদ্ধার কইরা নিয়া গিয়া বেটা মানুষের সাধারণ ইজ্জতটা রক্ষা করবা?
লক্ষ্মণ দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে- কিছুই বুঝতেছি না আমি। ভাইজান যা কইলেন সে বিষয়ে আগে আমারে কিছুই কন নাই। অতদিন তো মনে হইত ভাবীর লাইগা কানতে কানতে তিনি মইরাই যাবেন। কিন্তু এখন কি না বলতেছেন তারেই তিনি ঘরে নিবেন না…
হনুমান কয়- নেওয়ানোর ব্যবস্থা করতে আছি। আইসো আমার লগে। বংশের মানুষ হিসাবে ঘরের বৌর সতীত্ব পরীক্ষার চিতাটা তোমার হাত দিয়াই তবে জ্বালাই…
দ্দারুন লাগলো, কিন্তু হনুমানের বিয়ের ব্যাপারটায় খটকা আছে, পরশুরামে পড়েছিলাম ব্যাটা বিয়ে করেনি আর সীতা অমরত্বের বর দিয়েছিলো যাতে পূর্বপুরুষের জল পেতে অসুবিধে না হয়।
স্যাটায়ারে রইসুদ্দীনের পুনর্ভব হা হা আনে, মাহবুব লীলেন তৈরী করে না।
ভাল থাকুন
@বিপ্লব
আমি কারোকেই চিনিনা
নেহাতই অজ্ঞতাবশত প্রশ্ন করেছিলাম
:(
বুঝভুম্বুল,
বুঝতে ভুল হলো কী? ওপরের মন্তব্য মূল লেখার পাঠ প্রতিক্রিয়া। করো মন্তব্যের প্রতিমন্তব্য নয়।
শুভেচ্ছা
@বিপ্লব
আরে, একদমই ভুল বোঝাবুঝি, সরি
@ দ
এইসব অলৌকিকত্মের লৌকিক কৌশলগুলা বাইর করতে জান বাইরাইয়া যাইতেছে। এর লগে আছে বিভিন্ন বামুন ঘরানার বিরোধ
@ বুঝভুম্বুল
হনুমানের চিরকুমারত্ব ব্যাপক প্রচলিত। আবার একাধিক বিয়ের কাহিনীও আছে। আমি হনুমানরে চিরকুমার ভাবার মতো কোনো জোরালো যুক্তি পাই নাই
@ বিপ্লব রহমান
মাহবুব লীলেনের আর তৈরি হইবার সুযোগ নাই। করোনায় কট খাইয়া সমাপ্ত হইবার রিস্কে আছে। অবশেষে বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষার লাইগা আপনেরা থাকবেন...
পুরো সহজিয়া কতদিনে পাব?
পুরো সহজিয়া কতদিনে পাব?
অভাজনের মহাভারত পড়ার পর থেকেই অপেক্ষায় আছি রামায়ণের জন্য! অপেক্ষা কবে শেষ হবে!!
"হনুমান কয়- বাঁশ আমি দিছি? রাবণের হোলে গাঙ বানায়া নৌকা চালাইতেছেন আপনে আর আমারে কন আমি তারে বাঁশ দিছি।"
মাহবুব লীলেন,
জ্বি জনাব, ইহা হয় একটি উচ্চ মার্গীয় সবুজ বাঘ, রাইসুদ্দিন উচ্চ মার্গ। অশিক্ষিত নাদানদের সমালোচনাই মাত্রই ভিক্টিম।
উজান গাংগের নাইয়া, আশাকরি আগামীতে হা হা হা দিয়ে খাতায় নাম লেখাবো।
রাজায় কইছেন ইয়ের ভাই! :ডি
অসম্ভব ভাল লেখা। " রাবণের হোলে গাঙ বানায়া নৌকা চালাইতেছেন আপনে " এই লাইনটা জাস্ট ফাটাফাটি। গুরুতে অসংখ্য মিডিওকার রিপিটেটিভ সমাজ সচেতনতা মূলক হ্যাজ লেখাপত্তরের মধ্যে এটি পড়ে দারুণ লাগল। লেখকের চেয়েও সম্পাদক কে বেশি উৎসাহ দি ই এরকম লেখা আরও প্রকাশের জন্য!
"রাবণের হোলে গাঙ বানায়া নৌকা চালাইতেছেন আপনে "..
গুরুর ব্যানার হোক! লোগোতে পেঁঁচার পরিবর্তে এই রকম "
একিছ্য।
@ রৌহিন
@ Muhammad Sadequzzaman Sharif
আশা করি পূর্ণ খসড়াটা এই বছর শেষ হবে। তারপরে যদি দেখি মোটামুটি চলার মতো তয় ছাপায়া দিব
@ বিপ্লব রহমান
আপনে অন্যদের উপর আপনের গোস্বা আমার উপর ঝাড়েন ক্যান? আমার লেখা পইড়া আপনে যদি হা হা দেন তাতেও আমি খুশি। এই কষান দিনে অন্তত একজনের হাসাইতে পারা কম কথা না
@ নীপা
ধন্যবাদ
মাহবুব লীলেন,
গোষ্মা পাইলেন কই? ভালবাসাই তো দিলাম, গাঙ ধইরা আগায়া যান। এই নেন আপনের হা হা হা…
নিজের পোস্টের বাইরে গুরুতে অন্যের পোস্টে এই প্রথম উঁকি দিতে দেইখা আমোদিত হইলাম। কোষ্ঠ করোনা কাল
@ দ
দক্ষিণী রামায়ণ/সীতায়ন পড়ছি বেশ কয়েকটা। প্রচুর প্রেম-ভালোবাসা আর আবেগে ভরপুর। কিন্তু সীতারে আমার কাছে কান্দুনে নারী মনে হয় নাই। কঠিন শক্ত আর ব্যক্তিত্বওয়ালা মানুষ। পোয়াতি অবস্থায় তারে ফালায়া দিবার সময়ও তার কান্নার কারণ খুইজা পাই নাই আমি। যে খসড়াটা করতেছি তাতে আস্তা কাহিনীতে সীতা মাত্র একবার কান্দে; আত্মহত্যার আগে
০২
আপনে যে হাহা দিছেন তাও মাত্র খেয়াল করলাম। আমিতো কমেনেটর অংশ হিসাবেই দেখছি। এখন দেখি আমি হাহা গুনছি কি না তার পরীক্ষা নিতেছেন
ঈর্ষা মানবিক গুণ। আর সৈয়দ হকের লেখা ঈষা নাটকটা আমার অতি পছন্দের পাঠ্যগুলার ভিতর একটা। আর অ্যাপ্রিসিয়েশানের লাইগা ধন্যবাদ।
ভালো লাগলো। এ অন্য আরেক ভাবে পড়া।
পুরো রামায়ণটাই এই ধারাবাহিকতায় পড়তে ইচ্ছা রইলো।
এইটা হেব্বি লাগল