এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • রানি ও কলতান - ৯

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৬ মার্চ ২০২৫ | ৭০ বার পঠিত
  • | | | | | | | | | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬
    ( ৯ )

    পরদিন সকাল প্রায় নটার সময় প্রকাশ শ্রীবাস্তবকে ফোনে ধরল কলতান।
    প্রকাশের গলা শোনা গেল ওদিক থেকে।
    --- ' হ্যাঁ বলুন মিস্টার গুপ্ত ... কিছু খবর আছে ? খুব রেস্টলেস অবস্থায় আছি এতদিন ধরে ... কাজ টাজও ঠিকমতো করতে পারছি না ... কি বলব ... আসলে সহদেবদের জন্য খুব কষ্ট লাগে ... '
    --- ' হ্যাঁ প্রকাশজি ... আমি থেমে নেই ... চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি ...'
    --- ' সে তো আমরা জানি ... আপনার ওপর আমাদের পুরা ভরসা আছে ... '
    --- ' আর বেশি সময় নেব না প্রকাশজি। কিন্তু এখন আপনার একটু হেল্প লাগবে। আপনার কোঅপারেশান পেলে কেসটা খুব তাড়াতাড়ি এগোতে পারবে ... '
    --- ' শিওর শিওর .... আপনার কি লাগবে বলুন না ... আমার দিক থেকে ফুল কোঅপারেশান পাবেন কলতানবাবু ... ওয়াদা করছি ... '
    --- ' থ্যাঙ্ক ইউ প্রকাশবাবু। ব্যাপার হচ্ছে, আমি আপনাকে আগেও বলেছিলাম, আপনাদের বাড়ি মাহির-এ গিয়ে আমি ক'দিন থাকতে চাই ... ইনভেস্টিগেশানের জন্যই। আর কিছু না ... '
    --- ' শিওর শিওর ... কবে আসবেন বলুন না ... আমি আপনার থাকার অ্যারেঞ্জমেন্ট করে রাখব ... '
    --- ' যদি কাল সকালে যাই, অসুবিধা হবে ... '
    --- ' না না ... কোন অসুবিধা নাই... কোন অসুবিধা নাই... চলে আসুন। কাল সকালের দিকে ... আমি বাড়িতে থাকব ... মোস্ট ওয়েলকাম ... '
    --- ' ঠিক আছে। এটাই ঠিক রইল তা'লে ... কাল দেখা হবে ... '
    --- ' ওকে স্যার ... একটা কথা। বলছি যে, সেদিন কি বাবার সঙ্গে আপনার কথা হয়েছিল ? ওই যে মোবাইল নাম্বারটা দিলাম ... '
    --- ' ও হ্যাঁ হ্যাঁ ... ফোন করেছিলাম ... কি কথা যেন হল ... এখন ঠিক মনে পড়ছে না ...মাথায় নানারকম চিন্তা থাকে তো ... আচ্ছা মনে পড়লে আপনার ওখানে গিয়ে কাল বলব ... '
    --- ' না না ... সেরকম কোন ব্যাপার নেই যে বলতেই হবে ... ডোন্ট মাইন্ড ... এমনি বললাম আর কি ... ঠিক আছে কাল আসুন, কথা হবে
    ... রাখলাম ... '
    --- ' হুঁ হুঁ ... '

    কলতানের মনে হল, একটা বড় কাজ করা বাকি।
    এটা জানতে হবে 8964******* নম্বরের সিমটা কার নামে ... প্রকাশ শ্রীবাস্তব না গজেন্দ্রনাথ শ্রীবাস্তব। কলতান তমাল ঘোষকে আর একবার ফোন করল। ওর জানাশোনা একজন ভয়েস অ্যানালিস্ট ফরেন্সিক এক্সপার্ট আছে। শিখর বসুরায় না কি যেন নাম।

    মাহিরে পৌঁছে কলতান আগে সহদেবের সঙ্গে গিয়ে দেখা করল। সহদেব বাগানের এক জায়গায় কোদাল দিয়ে মাটি আলগা করছিল। ওখানে হয়ত কোন গাছের বীজ ফেলা হবে। শোক তাপ যতই আসুক জীবন থেমে থাকে না।
    কলতানকে আসতে দেখে সহদেব কোদাল রেখে হাসিমুখে তাকিয়ে রইল।
    কলতান কাছে এসে বলল, ' কি সহদেব কেমন আছ ? '
    --- ' এই বেঁচে আছি বাবু। মনে কি আর শান্তি আছে। আপনার দিকেই তাকিয়ে বসে আছি আমরা ... '
    সহদেবের বউ মানুকে দেখা যাচ্ছে না। তিন্নি ঘরের বাইরে একপায়ে লাফিয়ে লাফিয়ে এক্কা দোক্কা খেলছে।
    কলতান জিজ্ঞাসা করল, ' তোমার বউ কোথায় গেল ? '
    --- ' তিনতলায় গেছে রান্না করতে .... '
    --- ' ও ... সুরেশজির ওখানে ? '
    --- ' হ্যাঁ। মার শরীর ভাল নেই ... '
    --- ' হমম্ ... '
    --- ' প্রকাশবাবুর ওখানে গেছিলেন নাকি ? উনি তো আজ বাহির হননি ... '
    --- ' না যাব। তোমাদের এখানে দুদিন থাকব জান তো ? '
    --- ' সত্যি বাবু ? '
    --- ' হ্যাঁ ... এই নাও ... '
    --- ' এটা কি বাবু ? '
    --- ' দেড়হাজার টাকা রাখ। কাল দুপুরে তোমার এখানে খাওয়া দাওয়া হবে বাগানে টেবিল পেতে। বলেছিলাম না একদিন তোমার বউয়ের হাতের রান্না খাব ... দেখি কেমন রান্না করে ... প্রকাশবাবুকেও বলব। সুজিতবাবুকেও বলার ইচ্ছে আছে। তুমি এক কাজ কর ... নীতিনকেও বল খাবার জন্য। ও তো তোমার খুব বন্ধু ... সবাই মিলে খেলে বেশ ভাল লাগে ... শুধু মুরগির ঝোল আর ভাত ... সঙ্গে আর যদি কিছু করতে চাও করতে পার। আচ্ছা আরও তিনশ টাকা রাখ ... '
    সহদেব কিছুটা ইতস্তত করে বিনয়ের সঙ্গে টাকাটা নিল।
    --- ' ঠিক আছে ... মানুকে বলব ... ও পারবে ঠিক ... কি ভাগ্যি আমাদের ... ' সহদেব বলল।
    --- ' তোমার ছোট মেয়ে আজ প্রকাশজির ওখানে কাজে যায়নি ? '
    --- ' হ্যাঁ ... যাবে একটু পরে ... '
    --- ' আচ্ছা ঠিক আছে। আমি তাহলে প্রকাশের ঘরে যাই ... '
    --- ' হ্যাঁ বাবু ... যান ... '

    প্রকাশ বলল, ' আসুন আসুন ... আপনার জন্যই ওয়েট করছিলাম। আজ আর বড়বাজারে যাইনি। পাশের ঘরে আপনার থাকার অ্যারেঞ্জমেন্ট করে রেখেছি ... কোন অসুবিধে হবে না। অ্যাটাচড ওয়াশরুম আছে ... '
    --- ' ঠিক আছে ঠিক আছে, ওসব নিয়ে ভাববেন না। আমি যে কোন জায়গাতেই অ্যাডজাস্ট করে নিতে পারি। বলছিলাম যে, কাল দুপুরে সহদেবের বউয়ের রান্না খাবার একটা ব্যবস্থা করেছি বাগানের একপাশে টেবিল পেতে। শুনলাম ও খুব ভাল রান্না করে। আপনিও আসুন। আপনার বন্ধু মিস্টার বর্ধনকেও বলুন না। সবাই মিলে একটা পিকনিক মতো আর কি ... আপনাদের বাগানটাও পিকনিক স্পটের মতোই। ভেরি নাইস স্পট ... '
    --- ' হ্যাঁ, আপনার এই প্ল্যানটার কথা সহদেব কাল বলছিল। আর কেউ আসবে নাকি ? না এমনি জিজ্ঞেস করছি ... ' প্রকাশ বলে।
    --- ' না আর কে আছে ... বেশি লোক না বাড়ানোই ভাল। মেনি এ কুক স্পয়েল দা ডিনার ... ও হ্যাঁ ... ভুলে গিয়েছিলাম ... নীতিনকেও বলতে বলেছি। সহদেবের সঙ্গে ইন্টিমেসি আছে ... বলতে গেলে ওর জন্যই তো বডিটার খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল ... '
    প্রকাশের মুখে বিরক্তির একটা হাল্কা রেখা ফুটে উঠে মিলিয়ে গেল।
    --- ' নীতিন টিতিনকে আবার কেন ... সুজিত বাবু যদি আসে ... এইসব ফালতু লোক ... যাকগে ঠিক যখন হয়ে গেছে ... '
    --- ' চিন্তা করবেন না। আপনার কোন অসুবিধে হবে না ... আই উইল টেক কেয়ার ... ' কলতান বলল।
    --- ' না না ... এঃহে ... তা বলছি না ... আপনি কিছু মনে করলেন নাকি ? সরি সরি ... '
    ---' এটা মনে করবার মতো কোন বিষয়ই নয়। আরও অনেক বিষয় আছে মাথা ঘামাবার মতো ...'
    কলতান নির্বিকার স্বরে বলল।
    --- ' কারেক্ট কারেক্ট ... ', প্রকাশ মাথা নাড়তে থাকে।
    কলতান হঠাৎ বলল, ' সেদিন ফোনে আপনার বাবার সঙ্গে কথা বলে খুব ভাল লাগল। কি অমায়িক কথাবার্তা। খুব অ্যাফেকশনেট ফাদার ... '
    প্রকাশ কলতানের মুখের দিকে তাকিয়ে রইল খানিকক্ষণ। তারপর তার মুখে এক চিলতে হাসি ফুটে উঠল।
    বলল, ' ও আচ্ছা ... যাক, শুনে ভাল লাগল। রিলিফ পেলাম। আমি বেশ চিন্তায় ছিলাম, কারণ বাবা একটু মুডি লোক। কখন কিরকম বিহেভ করেন তার ঠিক নেই। যাক, আপনার কোন বিটার এক্সপিরিয়েন্স হয়নি জেনে নিশ্চিন্ত হলাম। তা, বাবার সঙ্গে কি কথা হল ... মানে কিছু জানতে চাইছিল নাকি ? '
    --- ' না, ওনার সঙ্গে এই কেসটা নিয়ে কোন কথা হয়নি। তবে কথা বলে মনে হল উনি এখানকার এই ক্রাইমটার কথা জানেন। তবে এটা যে আপনাদের বাগানের মালির মেয়ের ঘটনা সেটা মনে হয় উনি জানেন না। তেমন মিডিয়া কভারেজ তো হয়নি। উনি একদিন ওনার কাছে যেতে বললেন ... বাড়িতে। আমার সঙ্গে কথা বলে হয়ত ওনার ভাল লেগেছে। ভেরি অ্যাফেকশনেট ... '
    প্রকাশ ভ্রু ওপরে তুলে বলল, ' তাই নাকি ...
    আচ্ছা ! বাবা তো কাউকে এরকম অফার দেয় না। আপনি তাহলে ভাগ্যবান বলতে হবে স্যার ... হাঃ হাঃ ... '
    --- ' ভাগ্যবান ? তা হবে হয়ত ... ভাগ্যের সাহায্য না পেলে সামনে এগনো মুশ্কিল... আর এটাও একটা ভাগ্যের ব্যাপার যে উনি আপনার কথাই বললেন ... '
    --- ' আমার কথা মানে ? কি ... কি বলল ? '
    --- না ... মানে, আপনাকে বলতে বললেন আমাকে ওনার কাছে নিয়ে যাবার জন্য। কবে যাবার সুবিধে হবে আপনার। আমি এ সপ্তাহের মধ্যেই ওনার সঙ্গে দেখা করতে ভীষণ আগ্রহী। বড় অমায়িক মানুষ। একটু অহঙ্কার নেই। উনি মনে হল, আপনার ম্যারিটাল লাইফ নিয়ে বেশ চিন্তিত ... আমি একজন প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটর জেনে মনে হয় এই প্রবলেমটা নিয়ে ডিসকাস করতে আগ্রহী হলেন। সে যাক, তা'লে কবে যাবেন আমাকে নিয়ে ? '
    প্রকাশ এই সময়ে বেশ চঞ্চল হয়ে উঠল।
    --- ' আমার ম্যারিটাল লাইফের প্রবলেম মানে ? আমার তো কোন প্রবলেম নেই। আমার ওয়াইফ কানপুরে আছে তার বাবার অসুস্থতার জন্য। সুস্থ হয়ে গেলেই ফিরে আসবে ... এসব আবার কি কথা ... আজব তো ! ' প্রকাশ বেশ উত্তেজিত হয়ে ওঠে প্রথমটা। পরে অবশ্য সামলে নেয়।
    --- তা তো কিছু বলতে পারব না ... উনি যা বললেন আমি সেটাই জানালাম। আমি কি করে বলব বলুন ... ওনার আর একটা কথা শুনে আমি খুব অবাক হয়ে গেলাম। বললেন, আপনার শ্বশুরবাড়ি নাকি ভবানীপুরে। আপনার ওয়াইফ নাকি ওখানেই আছেন দুটো বাচ্চা নিয়ে। এ কথাটায় অবশ্য আমি কোন গুরুত্ব দিইনি। মনে হয় অন্য কোন ব্যাপারের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেছেন।
    বয়েস হয়েছে তো আফটার অল ... '
    --- ' হুঁ হুঁ ... বুঝতেই তো পারছেন ... ' প্রকাশ দু হাত উল্টে বলল।
    কলতান আবার বলল, ' জাস্ট আউট অফ কিউরিওসিটি জিজ্ঞেস করছি। আপনার পিতাজি বললেন, ' আপনার শ্বশুরের নাম গিরিধারিলাল ভার্মা। আচ্ছা ... উনি কি বিল্ডিং প্রমোটার ? না মানে, আমি দু তিন বছর আগে গিরিধারিলালজির একটা কেস সলভ করেছিলাম। তিনিও প্রমোটার ছিলেন। আমি জানতে চাইছি আপনার শ্বশুর সেই গিরিধারিলাল কিনা ... '
    --- ' সেটা আমি কি করে বলব ? বয়েস হলে মানুষ কত উল্টোপাল্টাই না বকে ... ' প্রকাশ গম্ভীর মুখে বসে থাকল।
    --- ' এগ্জ্যাক্টলি ... এগ্জ্যাক্টলি ... আই এগ্রি ... ওসব বাদ দিন। আমাকে তাহলে কবে আপনার বাবা গজেন্দ্রনাথজির কাছে নিয়ে যাবেন ? '
    --- ' যাব যাব ... কথা যখন হয়েছে ... জানাব আপনাকে ... '
    --- ' ঠিক আছে, জানাবেন ... এ সপ্তাহের মধ্যে কিন্তু হ্যাঁ ... '
    --- ' নিশ্চয়ই... এ সপ্তাহের মধ্যেই ... তাতে কোন সন্দেহ নেই ... চা খাবেন নাকি স্যার ? '
    --- ' খেতে পারি। অল টাইম ইজ টি টাইম ... দুধ চা না লিকার ?'
    --- ' আমরা দুধ চা-ই খাই। আপনি যদি ... ' প্রকাশ বলে।
    --- ' না না ... আমিও দুধ চা-ই খাব। আপনি এক কাজ করুন, লিকারটা একটা পটে আনুন। দুধ আর চিনি আলাদা পটে ... আমি মিক্স করে নেব ... '
    --- ' ওকে স্যার, তাই আনছি ... বসুন একটু ...', বলে প্রকাশ ভিতরে গেল। বোধহয় নিজেই চা বানাতে গেল। বাড়িতে লোকজন রাখেনি। হয়ত ঝুট ঝামেলা পছন্দ করে না তাই। এইসময়ে কলতান দেখল তিন্নি এসে বারান্দা ঝাঁট দিতে আরম্ভ করেছে। কলতান ভাবল মেয়েটার সঙ্গে একটু আলাদা করে কথা বলার দরকার। এখানে সেটা হবে না। কাল এক ফাঁকে দেখা যাবে।
    প্রকাশ দু কাপ লিকার বানিয়ে নিয়ে এল। ঘন দুধ একটা আলাদা পাত্রে। দু কাপ চা তৈরি করে নিয়ে কলতান একটা চুমুক দিয়ে বলল, ' বাঃ ... পারফেক্ট লিকার বানান তো আপনি। আবার রান্নাও করতে পারেন। সে জন্যই বোধহয় আপনার মিসেস নিশ্চিন্তে আছেন ... হাঃ হাঃ ... '
    --- ' যা বলেছেন ... কি আর বলব ... এই তো আপনার জন্যও ডাল,ভাজা, বেগন ভর্তা আর মাছের ঝাল রান্না করলাম ... '
    --- ' ও বাবা, বেগন ভর্তা... মাছের ঝাল ! আপনি তো ওস্তাদ লোক দেখছি। আমি তো এসব কিছুই পারি না ...'
    --- ' কি আর করা যাবে ... উপায় কি ? তাছাড়া আমিও তো খাব ... '
    --- ' হমম্ ... মান্ডবীও তো ভাল রান্না করে। ওই তো আপনার রান্নাটা ... '
    --- ' না না ... কি দরকার আছে ... বাড়িতে একা আছি, কে কি বলবে ... মান্ডবীর অ্যাট্রাকটিভ ফিগার ... আমার বদনামকে খুব ভয় ... আমি কোন সাতে পাঁচে নেই ... '
    --- ' সেটা অবশ্য ঠিক .... বদনাম বড় খারাপ জিনিস ... গায়ে লেগে গেলে সে দাগ সারা জীবনে তোলা যায় না ... '
    কলতান আর প্রকাশ দুজনেই চা খেতে লাগল। চা খাওয়া শেষ হলে টেবিলের ওপর থেকে তিন্নি চায়ের কাপ প্লেটগুলো নিয়ে গেল ভাবলেশহীন মুখে। কলতান সোফায় হেলান দিয়ে আরাম করে বসল এক পায়ের ওপর আর এক পা রেখে।
    প্রকাশ বলল, ' এখন চান করবেন, না পরে ? '
    --- ' না না ... আমি চান টান করেই এসেছি ... চলুন, আপনাদের বাড়ির কম্পাউন্ডটা একটু ঘুরে দেখি ... '
    --- ' এখানে এই বাগানটা ছাড়া দেখার আর কি আছে ? পিছন দিকে একটা গুদাম ঘর আছে এই ... '
    --- ' চলুন না তাই দেখি ... কোথায় কি খুঁজে পাওয়া যায় কে বলতে পারে ... '
    --- ' ঠিক আছে বলছেন যখন চলুন ... অতিথি নারায়ণ ... আমার দিক থেকে হসপিটালিটির কোন কমই পাবেন না ... চলুন ... '

    ( ক্রমশ )

    ******
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    | | | | | | | | | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক প্রতিক্রিয়া দিন