এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • শবে বরাত ১৪৪৬ হিজরি! 

    কিংবদন্তি লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১৬১ বার পঠিত
  • গতকাল ছিল শবে বরাত। দিন দিন শবে বরাতের জৌলুস হারিয়েছে এই বাংলায়। এখন প্রায় সবার মুখে শুনি এইটা বেদাত, এইটা করা যাবে না, করলে পয়েন্ট কাটা যাবে ইত্যাদি ইত্যাদি। অথচ আমি যদি আমার ছোটবেলার দিকে তাকাই তাহলে দেখব কী অসাধারণ একটা সময়ই না ছিল এইটা। স্মৃতিচারণ করব না আজকে। আজকে আমরা ঠিক কোথায় হেরে গেছি, ঠিক কোথায় হেরে যাচ্ছি এইটাই একটু বলব। 

    আমরা ছোটবেলায় শবে বরাতের সন্ধ্যায় গোসল করতাম। গোসলের পানির সাথে সোয়াব বা পয়েন্টের সম্পর্ক আছে মনে করতাম। গোসল করে মাগরিব পরেই দে ছুট! আজকে রাতে বাহিরে থাকার সার্টিফিকেট পাওয়া গেছে, আজকে যতক্ষণ ইচ্ছা ততক্ষণ বাহিরে থাকা যাবে। বন্ধুরা মিলে এ মসজিদ থেকে ওই মসজিদ, নামাজ, তোবারক খাওয়া, ঘুরা ফেরা এই চলত। বাড়ি বাড়িতে নানান পদ তৈরি হত। শাবান মাসের চাঁদ উঠার পর থেকেই শুরু হত রুটি তাওয়া নামের এক প্রথা। চালের রুটি আর হালুয়া! হুজুর ডেকে মিলাদ পড়ান হত, রুটি হালুয়া খাওয়া হবে  শুধু? পোলাও মাংসও হত। আমরা এই কয়দিন আশেপাশের প্রতিবেশী, আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে এক বেলা করে খাওয়ার দাওয়াত অবধারিত ভাবেই পেতাম। এই সব এখন গল্প, কেউ বিশ্বাসই করবে না হয়ত। 

    ভাঙ্গনের শুরু হল কবে? ঠিক কবে জানি না। তবে একদিনের কথা মনে আছে আমার। কোন এক শবে বরাতে আমাদের এলাকার মসজিদে একজন কোথা থেকে জানি আসছিলেন, তার হাতে একটা লিফটলেট ধরণের কিছু। কী লেখা? শবে বরাত পালন করা হারাম, নিষিদ্ধ, বেদাত! জীবনে প্রথম শুনেছিলাম এই কথা সেদিন। ওই লোকের কপালে সেদিন গণপিটুনির জুটছিল প্রায়। আমার মনে আছে সেদিন তিনি মানুষের তীব্র প্রতিবাদে টিকতে না পেরে আপনেরা পড়ে দেখেন, এইখানে সব লেখা আছে বলে পড়িমরি করে স্যান্ডেল পায়ে দৌড়ে চলে গেছিলেন মসজিদ থেকে। আজকে ভিন্ন চিত্র, শবে বরাত পালন করছে কেউ এইটাই উল্টো যেন অপরাধ! ধর্ম পালন করি আর না করি, কেউ শবে বরাত পালন করছে, তাকে কটাক্ষ করতে ছাড়ি না আমরা! 

    ওই সময় যারা কাজ শুরু করেছিল এইসবের বিরুদ্ধে তারা আজকে ফসল ঘরে তুলছে। আজকে যা হচ্ছে তার বীজ সেই সময়ই রোপণ হয়েছিল এই বাংলায়। আমরাই আলো বাতাস দিয়ে আজকের দিনে এনে ফেলেছি। 
    বাঙালি মুসলিম সংস্কৃতির সাথে শবে বরাত খুব ঘনিষ্ঠ ভাবে জড়িত ছিল। বাঙালি মুসলিমরা ধীরে ধীরে সরে গেছে এই সব থেকে। এতে সমস্যা কী? সমস্যা শবে বরাত পালন করা না করায় না। সমস্যা যাদের কথায় বাতিল করে দেওয়া হল একটা সংস্কৃতি তাদের নিয়ে। বাঙালি মুসলিম সমাজে এক সময় সবই ছিল। নাচ গান, আঁকাসহ শিল্পের সব মাধ্যমেই বিচরণ ছিল সবার। গর্ব করত মা বাবারা যে মেয়ে স্কুলের নাচের অনুষ্ঠানে নাচছে, পুরস্কার পেয়েছে, গান গেয়ে প্রথম হয়েছে, ছবি এঁকে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। এইটা খুব সাধারণ দৃশ্য ছিল আমাদের এখানে। সকাল সন্ধ্যায় গান রেওয়াজ করছে, এইটা আমরা অস্বাভাবিক বলে ধরে নিতাম না। খুব সাধাসিধে স্কুল শিক্ষক, পার্ট টাইম তবলা বাজায়, গান শেখায় এইটা আমাদের চোখের সামনেই দেখছি। কেউ প্রশ্ন তুলেনি। কতগুলো একাডেমী ছিল! শিল্পকলা একাডেমী, পাতাবাহার খেলাঘর আসর, শিশু একাডেমী ইত্যাদি তো জাতীয় পর্যায়ের প্রতিষ্ঠান, এলাকাভিত্তিকও অনেক ছিল। এই সব একাডেমীতে গুমগুম করত সন্ধ্যায়, রাতে, বিভিন্ন জাতীয় দিবসের সময়। শিল্পের সব ক্ষেত্রেই পরিবার থেকে উৎসাহ দেওয়া হত, টাকা খরচ করত, মানসিক তৃপ্তি পেত। স্কুল কলেজে বিশেষ সম্মান জুটত। শিক্ষকরা আলাদা খাতির করত। এই জায়গাটা আর নাই, সংকুচিত হয়ে গেছে। 

    আগেও একটা শ্রেণি ছিল, যারা এই সবকে অপরাধ মনে করত, পাপ মনে করত। কিন্তু তারা ছিল নেহায়েত অপ্রতুল! আমরা একটু করুণার চোখেই দেখতাম তাদের। ওই সব বাড়ির বাচ্চারাও যেন অসহায় হয়ে তাকিয়ে থাকত আমাদের ডিয়ে যারা নানান কিছু করে করে বড় হয়েছি। মুরুব্বিরা বোরকা পরত, আমার আ পরত, নানু পরত, বড় খালা পড়ে। আর কাওকে দেখিনি বোরকা পরতে। ধীরে ধীরে বাতাস বদল হতে থাকল। শাড়ি পরলে পেট দেখা যায়, এইটা সহি ইসলামিক পোশাক না! বহু আগে প্রথম শুনেছিলাম এই কথা। কোন পোশাক সহি ইসলামি পোশাক? সালওয়ার কামিজ! পাকিস্তানি সালওয়ার কামিজ! আমার মা, নানুরা কোনদিন এই জিনিস পরে নাই, শাড়ি পরেই শেষ নিঃশ্বাস ছেড়েছেন তাঁরা। কিন্তু এখন যে দিকে চোখ যায় সেদিকেই বোরকা আর সালওয়ার কামিজ, শাড়ি হচ্ছে হিন্দুদের পোশাক! 

    হারলাম কই? হারছি এখানেই। ধীরেধীরে আমাদের মাঝে পাপপুণ্যের চিন্তা ঢুকানো হয়েছে। পোশাকে ঢুকেছে, সংস্কৃতিতে ঢুকেছে। যারা সংখ্যায় অল্প ছিল তারা এখন কর্তৃত্বের ছড়ি ঘুরাচ্ছে সমাজে। এখন আর কেউ সন্তানকে নাচ শেখাতে পাঠায় না, আঁকতে পাঠায় না, গান শেখানর চেষ্টাও করে না। যে মধ্যবিত্ত মুসলিম সমাজ ছিল রাষ্ট্রের শক্তি সেই সমাজ এখন একটা অথর্ব অকেজো বোঝার মতো হয়ে গেছে। দায় দিবেন কাকে? নিজেদের ঘাড়েই এসে যাবে এই দায়! কে না দায়ী? সবাই দায়ী আজকের দিনের জন্য। কিন্তু আমাদের দায় আর যারা শিল্পচর্চার শীর্ষে বসে থাকাদের দায় তো এক হবে না। 

    দেশের যারা শিল্প সাহিত্যের শিরোমণি, তাদের প্রায় সবাই নিজেদেরকে না হয় সন্তানদেরকে খুব যত্ন করে দেশের বাহিরে নিয়ে গেছেন। একজন বুদ্ধিজীবী পাওয়া যাবে কি না সন্দেহ যাদের সন্তান দেশের স্কুলে পড়ছে, বাংলায় পড়ছে! নাটক সিনেমার খুব দুর্দান্ত শিল্পী, পাড়ি জমিয়েছেন আমেরিকায়! দুই দশক আগের একজন অভিনয় শিল্পীর নাম কেউ বলতে পারবে যে বা যারা দেশের বাহিরে চলে যায়নি? প্রথিতযশা এমন একজন? সংস্কৃতি আকাশ থেকে নেমে এসে টিকে যাবে? যাদের দেখে মানুষ অনুপ্রাণিত হয় তাদেরকেই তো আপনি সংস্কৃতির এই আন্দোলনে পাশে পাবেন না, কে থাকবে আর? আজকে আমরা বাংলা সংস্কৃতি নিয়ে চিল্লাফাল্লা করছি, সত্য হচ্ছে এই ধরা চলতে থাকলে একজনও পাবেন না আপনি পয়লা বৈশাখে! মঙ্গল শোভা যাত্রা? হাহ! 

    এই বিষ আমাদের মাঝে খুব চমৎকার করে প্রবেশ করেছে। ধর্ম এখন প্রধান স্তম্ভ। আর এখানেই এসে যায় রাজনীতির প্রসঙ্গ। ধর্ম নিয়ে রাজনীতি! কী কুৎসিত খেলাটাই না খেলা হয়েছে আমাদেরকে নিয়ে। দেশে মসজিদ মাদ্রাসা উপচে পড়ছে, এর মধ্যে আওয়ামীলীগ সরকার ৫০০ মসজিদ বানিয়েছে, কয় হাজার মাদ্রাসা তৈরি হয়েছে এই কয় বছরে তার হিসাব নাই আমার কাছে, তবে তা দেড় দুই হাজারের কম না এইটা আমি নিশ্চিত। আজকে এই মসজিদ থেকে, এই মাদ্রাসা থেকেই শেখ হাসিনা পতনের ডাক আসছে! আজকে ৩২ নাম্বার ভাঙতে ভাঙতে এক মাদ্রাসার ছাত্র কুৎসিত ভাষায় বলছে সে কেন আসছে ৩২ নাম্বার ভাঙতে! আজকে মাদ্রাসার ছাত্র প্রকাশ্যে বলছে তার কানে কানে ফেরেশতা এসে বলে গেছে ৩২ নাম্বার বাড়ি ভাঙলে প্রতিটা হাতুড়ির বাড়ির বিনিময়ে ১০ টা করে নেকি পাবে! ওই যে পয়েন্ট কামাই! তরতর করে বেহেশতে চলে যাবে সবাই! 

    এগুলা একদিনে হয়নি। অথচ সবাই দেখেও না দেখার ভান করে গেছে। আপনারা যারা জানেন না, ভিন্ন ধর্মের মানুষ তাদের জন্য বলছি, বাংলাদেশ থেকে শবে বরাত উঠে গেছে প্রায়! এই দেশে এখন মিলাদ পড়ান হয় না! তবে এই দেশে ইজতেমার অধিকার নিয়ে মারামারি হয়, লাশ পড়ে দেদারসে! এতে ধর্মের কোন অবমাননা হয় না! 

    আমাদের যেদিন থেকে ধর্মানুভুতি খুব স্পর্শকাতর হল সেদিন থেকেই সর্বনাশের শুরু। সত্য হচ্ছে ধর্মীয় অনুভূতিতে কখন যে কার কীভাবে আঘাত লাগবে তা কেউই জানে না। আল্লা ছাড়া আর কেউ জানে না যে কখন কিসে কার ধর্মানুভুতিতে আঘাত লেগে যাবে! এই যে আল্লা লিখছি আল্লাহ্‌ লেখি নাই, এইটার জন্যও একজন আমাকে ফেসবুকে চার্জ করে বসেছিল, কেন এমন লিখলাম! মোট কথা বাঁচার উপায় নাই। 

    আপনি গল্প লিখবেন, সিনেমা বানাবেন একজন ভণ্ডকে নিয়ে, যে নামাজ পড়ে ঘুষ খায়, মাগিবাজি করে, পারবেন না! নামাজ পড়ে কেউ ঘুষ খাচ্ছে? হতেই পারে না। অথচ টিকিত কালোবাজারির প্রধানকে ধরা হল যখন তখন দেখা গেল তার কপালে কালো দাগ, নামাজ পড়তে পড়তে দাগ করে ফেলেছে কপালে! প্রশ্ন পত্র ফাঁসের জন্য ধরা হল, কী সুন্দর নুরানি চেহারা, সুন্দর দাঁড়ি টুপি পরা আল্লার বান্দা! কিন্তু আপনি এগুলা লিখতে পারবেন না, সাহিত্যে আনতে পারবেন না, সিনেমা বানাইতে পারবেন না, গল্প লিখতে পারবেন না। লিখলে, বানালে ঠিক কারো না কারো অনুভূতিতে আঘাত লেগে যাবে, তারপরের দায়িত্ব পরাক্রমশালী শেখ হাসিনা সরকারও নিতে পারেনি আর এই নড়বড়ে ধ্বজভঙ্গ সরকার নিবে এমন আশা আর কইরেন না! 

    অনুভূতি এক আজব জিনিস, বিশেষ করে বাঙালি মুসলমানের অনুভূতি! ওয়াজে নানান মিথ্যা কথা গলা ফাটিয়ে বলছে, যা ইচ্ছা তাই বলছে, কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগবে না। আপনি ওইটা নিয়ে লিখবেন, আপনি ওই ওয়াজকারিকে মিথ্যাবাদী বলে সম্বোধন করবেন দেখবেন ঠিক এই মহান সমাজের কারো না কারো অনুভূতিতে আঘাত লেগে গেছে! কই যাবেন এদের নিয়ে? বাঙালি মধ্যবিত্ত মুসলিমদের নিয়ে লেখক মোজাফফর হোসেন বেশ কিছুদিন আগে একটা ফেসবুক পোস্ট করেছিলেন, কিছু অংশ দিচ্ছি এখানে, - "ইসলামধর্মে ওহাবি বা কট্টরপন্থিরা ধর্মীয় সংস্কৃতিকে কিভাবে ছেঁটে ফেলছে দেখুন: একবার আমি এক ছোটগল্পে মিলাদ দেওয়ার কথা বললাম, আমার পরিচিত আহলে হাদিসের আমির বলল, এটা শরিয়তে নেই। একবার আমি মুসলমানদের মাজার সংস্কৃতি নিয়ে লিখলাম, বলল এটা বেদাত, আমার পাপ হবে। এমনকি সবেবরাতে হালুয়ারুটি খাওয়া গর্হিত কাজ বলে আমার গল্পে পরিবর্তনের দাবি ওঠে। সুফিদের নিয়ে লিখেও শুনতে হয়েছে আমি শিরক করাকে প্রশ্রয় দিচ্ছি। মাজার সংস্কৃতির পক্ষে তো লেখাই যাবে না। শুধু নামাজ পড়া, রোজা আর কুরবানি দেওয়া দিয়ে সাহিত্য হয় না। তাছাড়া এখানেও সমস্যা আছে, আমি একটা গল্পে ১২তাকবিরের নামাজের কথা লিখলাম, হানাফিরা ক্ষেপে গেলেন। তারা ৬ তকবিরে ঈদের নামাজ পড়েন। আবার মোনাজাতের কথা লিখলে জামাতুল মুসলিমিন আপত্তি করলেন, সহি হাদিসে নাকি মোনাজাত নামাজের অংশ না। সিনেমায় বিয়েতে 'কবুল' বলা যাবে না বলেও আদালটে সম্প্রতি রিট করা হয়েছে।"  

    যাদের এই সংস্কৃতির আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ছিল তারা নিজেদের আখের গুছিয়ে নিয়েছে। যারা পড়ে রয়েছে এই পোড়া দেশে তারা যুদ্ধ করার জন্য রসদ পাচ্ছে না। কোন উত্তরসূরি তৈরি হচ্ছে না, আপনে আমাতেই শেষ হবে এই সব। এর থেকে পরিত্রাণের উপায়? নাই! আপাতত ডুবতেই হবে শুধু। ডুবতে ডুবতে সামনে কোনদিন হয়ত আবার সাঁতার শিখবে মানুষ। হয়ত মগজে ঢুকবে এইটা বাঁচার রাস্তা না। হয়ত মানুষ নিজেই বুঝবে কোনটা আলো আর কোনটা অন্ধকার।  

    ডুবেই আছি, নতুন কিছু ডুবার খবর দেই। 

    হুমকির মুখে স্থগিত ঢাকা মহানগর নাট্যোৎসব! 

    সারাদেশে বেশ কয়েক জায়গায় বসন্ত উৎসব বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। 

    টাইঙ্গাইলে লালন উৎসব বন্ধ করে দিয়েছে হেফাজত। পরে শর্ত সাপেক্ষে অনুমতি দিয়েছে, শর্ত হচ্ছে কোন গান গাওয়া যাবে আর কোন গান গাওয়া যাবে না! 

    প্রধান উপদেষ্টার সাথে আজকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা দেখা করেছে, ইসলামি দল গুলো নতুন যে সংবিধান আনা হচ্ছে তাতে যে বহুতবাদের কথা বলা হয়েছে তা বাদ দিতে বলেছে। একত্ববাদের বাংলাদেশ, এইখানে কোন বহুতবাদ চলবে না! 

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১৬১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • aranya | 2601:84:4600:5410:2586:f18f:91b2:***:*** | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৪:০১541154
  • দুঃসময় ☹️ 
  • . | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৭:০০541155
  • যারা শিল্পকে নিষিদ্ধ করতে পারে, তারা কী?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন