এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • আয়নামহল! 

    কিংবদন্তি লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ২৩৮ বার পঠিত
  • আজকে বাংলাদেশে আলোচিত ঘটনা হচ্ছে দুইটা, এক ইউনুস সরকার আয়নাঘর সফর করেছে। দ্বিতীয়টা হচ্ছে জাতিসংঘ জুলাই আগস্ট নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। পুরো প্রতিবেদন পড়ি নাই, পত্রিকায় কাটছাঁট, যে যার যার মত করে মতামত প্রকাশ করছে, ওইটাই পড়লাম। মনে হল এই প্রসঙ্গে দুইটা কথা বলে রাখি না হলে এই ভাবনাটা হারিয়ে যাবে আমার। 

    আয়নাঘর বেশ ঘটা করে দেখানো হল। আশ্চর্য হলেও সত্য যে কোন দেশি মিডিয়াকে আমন্ত্রণ জানানো হয় নাই। কেন, কে জানে! যে ছবি গুলো প্রকাশ করা হয়েছে তা নিয়ে কেউ যদি সন্দেহ প্রকাশ করে তাহলে তাকে খুব একটা দোষ দেওয়া যাবে না। যদি সরকার এতদিন সততার সাথে কাজ করত, যদি আমরা দেখতাম সরকার প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে চাচ্ছে না, যদি দেখতাম সরকার নিরপেক্ষ আচারন করছে তাহলে ছয় মাস পরে হলেও মানতাম যে যা দেখাচ্ছে তা সত্য, কোন মিথ্যাচার করা হচ্ছে না, কোন আজগুবি কাণ্ড খাওয়াচ্ছে না কেউ। কিন্তু তেমন বলার সুযোগ রেখেছে কি? 

    প্রথম থেকেই ডক্টর ইউনুসের আচারন ছিল দানবের মতো পিষে ফেলার। এর জন্য তিনি ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা যা করার তাই করছে, যখন মনে হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে দাঁড়াতে হবে তখন তাই দাঁড়িয়েছে, যখন মনে হয়েছে পক্ষে যেতে হবে তাই গেছে, কোন দ্বিধা করে নাই, কোন লজ্জা শরমের কথা ভাবে নাই। কট্টর মৌলবাদকে প্রশ্রয় দিতে হইছে, দিছে, জামাত, শিবির পাকিস্তানের সমস্ত প্রেতাত্মাকে সমর্থন দিতে হয়েছে, দিছে, ভারতের সাথে গায়ে গা লাগিয়ে ঝগড়া বাধাতে হয়েছে, বাধিয়েছে, জঙ্গিদের মুক্তি দিতে হয়েছে, দিছে, হিজবুত তাহরিরের মতো শক্তিকে মুক্ত করতে হয়েছে, করেছে! এমন নানা কাজ করে গেছে শুধু মাত্র একটা দলকে পিষে মেরে ফেলার জন্য। তারপরে আজকে আপনি কয়টা ঘর দেখিয়ে বলছেন এই যে এইটাই আয়নামহল! আমরা জি, আপনি নোবেলম্যান, যা কবেন তাই ঠিক বলে মেনে যামু! 

    জাতিসংঘের প্রতিবেদনে ১৪০০ মানুষ মারা গেছে বলে প্রকাশ করেছে। সবাই শিউরে উঠছে। আমি উঠি নাই। সংখ্যাটা তো এমনই। মৃত্যু যে হয়েছে এইটা তো অস্বীকার করার উপায় নাই। প্রতিবেদনে কতখানি সত্য উঠে এসেছে এইটাই হচ্ছে প্রশ্ন। কতখানি স্বাধীন ভাবে কাজ করতে পেরেছে প্রতিনিধি দল? আমার জানা নাই। স্বাধীন ভাবে কাজ করতে পেরেছে কি না এইটা নিয়ে সন্দেহ আসল এক সাংবাদিকের ফেসবুক পোস্ট দেখে। সঞ্জয় দে নামের এই সাংবাদিক আগে সমকালে ছিলেন, কালের কণ্ঠে ছিলেন, বিডিনিউজ২৪ ছিলেন। এখন কই আছেন জানি না। তিনি লিখেছেন - " জাতিসংঘের রিপোর্ট যত পড়ছি, তত চমক লাগছে। এমনই মহা শক্তিধর এক বিশ্বসংস্থা- যাদের দেখা করার অনুরোধে পাত্তা দেয়নি জামায়াত ও ছাত্রশিবির। সেনাবাহিনী, ডিজিএফআইয়ের সঙ্গেও তারা কথা বলার সুযোগ পায়নি। এমনকি লিখিত প্রতিবেদন চেয়েও পায়নি।
    আর কারাগারে আটক সাবেক আইজিপির সঙ্গে কথা বলার সুযোগ চাইলে অন্তর্বর্তী সরকার বলে দিয়েছে- 'হবে না'। শেষপর্যন্ত তারা বিভিন্ন বাহিনীর এমন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছে, যারা কেউ ওই সময়ে বাহিনীর নীতিনির্ধারক পর্যায়ে ছিলেন না। একমাত্র সে সময়ের বিজিবি চিফ কথা বলে কিছুটা মান বাঁচিয়েছেন। এসব আবার রিপোর্টে উল্লেখও করা হয়েছে!!" 

    এইটা পড়ে প্রতিবেদনে তেমন কিছু লেখা আছে কি না একটু দেখলাম। আসলেই এইটা সত্য! সেই সময়ের কারো সাথেই কথা বলতে পারে নাই প্রতিনিধি দল। 

    আচ্ছা, তারপরেও তো সব আর মিথ্যা হয়ে যায়নি। আমার প্রশ্ন এইটা নিয়ে না। আমার প্রশ্ন হচ্ছে সময়কাল নিয়ে। জাতিসংঘ তার প্রতিবেদনের যে সময়কালের কথা লিখেছে তা ৫ তারিখে থেমে যায়নি, ৫ আগস্ট পরিবর্তী সময়ের হিসাবও আছে। কিন্তু যথারীতি যত উঁচু গলায় ৫ আগস্ট পূর্ববর্তী মৃত্যু নিয়ে সবাই সরব সেই গলার স্বর শোনা যাচ্ছে না পরবর্তী সময়ের হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে। শোনা যাচ্ছে না জুলাইয়ে আন্দোলন জিইয়ে রাখার জন্য যে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে সেই ব্যাপারে। আমরা এখন জানি আরও বাড়তি কিছু তথ্য। এখন আমরা সরাসরি ক্যামেরায় বলতে দেখেছি আন্দোলনের কর্মীদের যে তারা পুলিশ না মারলে আন্দোলন জমত না, তারা সরকারি স্থাপনায় আক্রমণ না করলে আন্দোলন হত না! এই সত্য গুলো এখন আমরা জানি। তাই দুম করেই ৫ আগস্টের আগের সব দায় আওয়ামীলীগের ঘাড়ে ফেলে দেওয়াটা সুবিচার হবে না সম্ভবত। 

    এখন যখন একটু দূর থেকে দেখি ঘটনা প্রবাহ তখন দেখি সবই হয়েছে চেইন রিয়েকশনে। এখন মনে হবে এত এত মানুষ মেরে ফেলল! কিন্তু সবই হয়েছে চেইন রিয়েকশনে। একটু একটু এগিয়ে গেছে, একটার পরে একটা ঘটে গেছে, প্রশাসন আক্রান্ত হয়েছে, পুলিশ আক্রান্ত হয়েছে, রুখে দাঁড়িয়েছে, লাশ পড়ছে, লাশ পড়ছে দেখে আরও মানুষ বিক্ষিপ্ত হইছে, আরও বেশি করে নেমে আরও ম্যাসাকার করেছে, আরও লাশ পড়েছে! সরকার পতন আন্দোলন প্রথম থেকেই ছিল, সুনিপুণ পরিকল্পনা ছিল। আপনি কী দিয়ে ফেরাবেন এই চেইন রিয়েকশনকে? এখন আর মনে হয় না শেখ হাসিনা অমন বক্তব্য না দিলে কিছু হত। এইটাই হওয়ার ছিল, কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের মতো, সবাই আগেই মরে বসে আছে! কিছুই করার ছিল না সম্ভবত। 

    দায় নাই আওয়ামীলীগের? অবশ্যই আছে, শতভাগ আছে। এই দায় থেকে কীভাবে মুক্তি লাভ করবে এইটা আমার ছোট মাথায় ধরে না। ধরার দরকারও নাই। এইটা তাদের দল তারাই চিন্তা করুক। আমি যা দেখি, যা ভাবি তাই লেখার চেষ্টা করে যাই। আমার পর্যবেক্ষণ বলে ৫ আগস্টের আগের সমস্ত মৃত্যুর দায় সরকারকে একক ভাবে দিয়ে বাকি যে অন্যায় গুলো হয়েছে তা থেকে ওই অপরাধীরা কোনমতেই দায়মুক্তি পেতে পারে না। যদি সব একক দায় দিয়ে দেওয়া হয় তাহলে অন্য অপরাধীরা সহজেই দায় মুক্তি পেয়ে যায়। যেই হোক, অপরাধ করলে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। তেমনই ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়েরও মৃত্যুর দায়ও তাদেরকেই নিতে হবে যারা তখন এই সব কাণ্ড করেছে। তখন তো দেশে আওয়ামীলীগের নাম নিশানা ছিল না, আক্রান্ত সকল, আক্ষরিক অর্থেই সকল মানুষ ছিল আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। এদের মৃত্যুর দায় কার এইটা কেউ প্রকাশ করবে না? সংখ্যালঘুদের ওপরে যে আক্রমণ হয়েছে তা প্রতিবেদনে আসছে। কিন্তু এইটা নিয়েও কারো চ্যাতভ্যাত নাই! ধুর, মালুদের ওপরে তো এগুলা হয়েই আসছে, নতুন কী? তাই এখন পর্যন্ত ঠিক কোন ছাতার কারণে চিন্ময় প্রভু জেলে তাই আমরা জানি না! 

    আয়নামহল, জাতিসংঘের প্রতিবেদন সব এমন সময় এসে হাজির হল যে আমার মনে দুই একটা প্রশ্ন এসেই গেল। কখন আসল এই সব? যখন এই সরকারের ভাবমূর্তি তলানিতে, নাই বললেই চলে। যে উৎসাহ নিয়ে আয়নাঘর পরিদর্শনে যাওয়া হল সেই উৎসাহ কই ছিল যখন ওবায়দুল কাদের, কামালরা পালিয়ে গেল? কাদেরকে ধরলে সম্ভবত আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরাও দুই হাত তুলে দোয়া করত! দুই একটা পিচকি নেতা ছাড়া সবাই নাই হয়ে গেল অথচ আজকে ঘটা করে আয়না দেখাচ্ছে জাতিকে? আচ্ছা, আয়নাঘরে আওয়ামীলীগের নেতারা গিয়ে অত্যাচার করত? ধরে বন্দি করে রাখত? না। কারা করত? প্রতিরক্ষা বিভাগের নানা গোয়েন্দা বাহিনী। এইসব গোয়েন্দা বাহিনীর কেউ আটক হয়েছে? না, এদের কোন উচ্চপদস্থ অফিসারকে আটক করা হয়েছে? না। কেন? এই প্রশ্নের উত্তর নাই। যারা কাণ্ড গুলো করল তাদের না ধরে বিচার না করে কেন আয়নাঘর নিয়ে মাতামাতি? এই ঘর থাকলেই কী সত্য হলেই কী না হলেই কী?

    আয়নাঘরের মতো জিনিস এমন কোন ইউনিক কিছু না, নানান দেশে এমন বন্দিশালা আছে। আমেরিকার কাছে সম্ভবত দুনিয়ার সবচেয়ে বড় আয়নামহল আছে, গুয়ানতানামো বে! সব দেশেই এমন কিছু জায়গা আছে। আমি এইটা বলে আয়নামহলের বৈধতা দাবি করছি না। সরকারেরা এমন অনেক কিছুই করে টিকে থাকার জন্য। আওয়ামীলীগ আমলেও তাই হয়েছে। সব সেইন্ট, ফেরেশতারা তো দেশ চালায় নাই। শান্তির পায়রা দেশ চালাচ্ছে, আমরা কি নিশ্চিত তার শাসন আমলেও কোন আয়নাঘরে কেউ ডুকরে কাঁদছে না? আপনেরা নিশ্চিত হতে পারলে জানায়েন, আমি নিশ্চিত না। 

    আবার আসি সময়টা নিয়ে। এমন সময়ের জন্যই জমিয়ে রাখা হয়েছিল আয়নামহল? এক ধাক্কায় মানুষের মনে চলে এসেছে জুলাই আগস্ট বিভীষিকা। লেজেগোবরে একটা সরকারের সব ব্যর্থতা এখন আয়নামহল দিয়ে ধুয়ে যাবে? আমরা এখন, আজকে টাঙ্গাইলে যে লালন সংঘের অনুষ্ঠান বাতিল করে দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম, এইটা নিয়ে কথা বলতে পারব না? বললে আয়নাঘর গল্প শোনাবে কেউ? বইমেলায় আক্রমণের প্রতিবাদ করলে জাতিসংঘের প্রতিবেদন মুখে ছুঁড়ে মারা হবে? এইটা ভালো মজা হল না? তুরুপের তাস হাতে জমিয়ে রেখেছিল ইউনুস সাহেব? কথা হচ্ছে এই সব করে রক্ষা হবে কী? আর ১৬/১৭ দিন আছে রোজার। চিন্তা করলেই গায়ে কাটা দিচ্ছে যে এই রোজায় মানুষের কি দশা হবে! এখনই সয়াবিন তেল বাজার থেকে উধাও। বড় বোতল পাওয়া যাচ্ছে না, পাঁচ লিটার তেলের বোতল নাই! দুই এক লিটার কিনলে দাম বেশি পরে দেখে পাঁচ লিটারের প্রতি মানুষের আগ্রহ বেশি। ওইটা বাজার থেকে নাই। কালোবাজারিদের কাজ সন্দেহ নাই। কিন্তু এইটা ফেরানোর দায়িত্ব কার? কে দেখাশোনা করবে? সরকার ব্যস্ত সদলবলে আয়নামহল ঘুরতে। 

    দেশ জুড়ে ডেবিল হান্ট নামের অপারেশন চলে। যখন শুরু হয় আমি ভাবলাম এইটা কি বিএনপি নেতা কর্মীদের চাপে রাখার জন্য না কি? কারণ এখন আর আওয়ামীলীগ কই পাব? একদম নিচের দিকে টুকটাক করে খাওয়া নেতাকর্মী ছাড়া আওয়ামীলীগের কেউ আছে এখন? যেহেতু বিএনপির লোকজনই চাঁদাবাজি করছে এখন তাই তাদেরকে চাপে রাখার জন্যই এই অপারেশন। কিন্তু না। আমার ধারনা ভুল। সমন্বয়ক নামের যে প্রাণীরা দেশজুড়ে বিচরণ করেছে তারা নিজেদের পছন্দ মতো কোন বাড়িতে হানা দিচ্ছে, সাথে যাচ্ছে সেনাবাহিনী! হাস্যকর হলেও এইটাই সত্য। এগুলা করে কতদূর যাবেন সাহেব? 

    কিছু কাণ্ড হয়ে গেলে আর কিছু করার থাকে না। ২৪ সালের কথা যেমন আজ থেকে পঞ্চাশ বছর পরে মানুষ মনে রাখবে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের হঠকারী কাণ্ডের জন্য, মানুষের মৃত্যুর দায়ের জন্য। তেমনই মানুষ কোনদিনই ভুলবে না একজন শান্তিতে নোবেল পাওয়া ব্যক্তি ক্ষমতায় থাকতে দেশে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি গুড়িয়ে দেওয়া হইছে। ভবিষ্যৎ আর কিছুই মনে রাখবে না, মনে রাখবে শুধু ইউনুস সরকারের আমলেই এই ঘটনা ঘটেছে। এই কালি গায়ে মেখেছেন এই মহান নেতা, এর থেকে মুক্তি নাই আর।  
       

    আদম নিক্ষিপ্ত হয়েছিলো সিংহল দ্বীপে।
    ইভ খোরাসানে।
    আর ইবলিশ ঢাকায়।

    -ইমতিয়াজ মাহমুদ
     
     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ২৩৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • aranya | 2601:84:4600:5410:5143:36a2:6802:***:*** | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৮:০০541084
  • পড়ছি 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে প্রতিক্রিয়া দিন