সেদিন সন্ধেবেলায় সবে চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে টিভির পর্দায় চোখ রেখেছি, হঠাৎ কলিং বেল বেজে উঠলো। কাপটা টেবিলের ওপর নামিয়ে সদর দরজার সামনে গিয়ে দাঁড়াতেই দেখি দরজার সামনে বাপি দাঁড়িয়ে আছে। চাবি এনে দরজা খুলতে খুলতেই প্রশ্ন করি – “ কী ব্যাপার বাপি ? হঠাৎ এমন সময়ে?” ম্লান হেসে বাপি উত্তর দেয় – “এই তোমার কাছে এলাম একটু পরামর্শের জন্য।” পরামর্শ? তাও আবার আমার মতো এক অচল গাড়ির গাড়োয়ানের কাছে?” “তুমি হলে মাস্টারমশাই মানুষ, তোমার সঙ্গে কথায় আমি পেরে উঠবো না।” – বেশ বিনয় করে কথাটা বলে বাপি। এই অবসরে আমার স্ত্রী বাপির জন্যও এক পেয়ালা চা এনে হাজির করেছেন। সেই কাপে ঠোঁট ঠেকিয়ে বাপি বলে, –“সামনের পরবের ছুটিতে বাড়ির সবাই মিলে একটু বেড়াতে যাবো বলে ঠিক করেছি।” বাপি মনের কথা সবটা বলে উঠতে পারে না, আমার গিন্নি উচ্ছ্বসিত হয়ে বলে ওঠেন, – “ বাহ্! এতো খুব ভালো কথা। যা ,যা, ঘুরে আয়। আমিতো তোর কাকুকে বলে বলে হয়রান হয়ে গেলাম। কতদিন বাড়ির বাইরে যাওয়া হয়না। তাই কোথায় যাবি ঠিক করলি? পাহাড় না সমুদ্র?” এক নাগাড়ে এতো কথা শুনে বাপিতো একরকম নাজেহাল। আমতা আমতা করে বাপি বলে,-- “এখনো তা ঠিক করে উঠতে পারিনি কাকিমা। মেয়েটা এবার মাধ্যমিক পাশ করেছে ওর দাবি তাই সবার আগে। ওর ইচ্ছে এবার পাহাড় দেখতে যাবে, অন্যদিকে ওর মায়ের ইচ্ছে সমুদ্র দেখতে যাবে। আমি তো ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না। কোথায় যাব। এই উৎসবের সময় এলেই আমার বুক , মাথা সব ধরফর করতে শুরু করে। একেতো পরবের জন্য কেনাকাটার খরচ,তার ওপর এই বেড়াতে যাওয়ার খরচ! সামলাবো কী করে,তা ভেবেই আমার ঘুম উড়েছে। কাকু, আমায় একটা উপায় বাতলে দাও দেখি।”
উৎসব এগিয়ে এলেই যেন সঙ্গে করে নিয়ে আসে একরাশ উদ্বেগ। এমন সমস্যা শুধু বাপির একলার নয়, গোটা দুনিয়া জুড়েই বাপির মতো উৎসব উৎকন্ঠা পীড়িত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। উৎসব বা ছুটিছাটার দিন এগিয়ে এলেই মন জুড়ে ভিড় জমায় উদ্বেগের কালো মেঘ। আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি যে দিন দিন জীবন যাপনের জন্য খরচের মাত্রা বেড়ে চলেছে। একটা নির্দিষ্ট যাপন স্তরকে (standard of living) বজায় রাখতে রীতিমতো হিমসিম খাচ্ছে সাধারণ রোজগেরে মানুষজন। আয় স্তর ও দাম স্তরের মধ্যে কোনো সামঞ্জস্য থাকছে না। আয় স্তর এক জায়গায় থমকে থাকলেও মূল্য স্তর সবকিছুকে ছাপিয়ে তরতরিয়ে বাড়ছে। এই অবস্থায় উৎসবের বাড়তি খরচ বহন করার সামর্থ্য অনেকেরই নেই।
আমাদের বাপির কথাই ধরা যাক। তার সঙ্গে আমাদের পরিচয় প্রায় দেড় দশকের। জীবিকা সূত্রে ওর পরিচয় একজন মাছ বিক্রেতা হিসেবে। সাইকেলের পেছনে ঝুড়ি বেঁধে তাতে মাছ নিয়ে পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে ঘুরে মাছ বিক্রি করে। আগে এক খাতা তৈরির কারখানায় কাজ করতো বিকেল বিকেল, দুটো বাড়তি আয়ের ব্যবস্থা ছিল। মহামারীর সময় সেই কাজটি হাতছাড়া হয়ে যায়। ফলে দুটো পয়সা আমদানির রাস্তা বন্ধ। এখন এই মাছ বিক্রির ওপরেই সবটা নির্ভর করে। কোভিড সংক্রমণের সময় সারা দুনিয়া জুড়েই এক গভীর অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। এই সময় বহু মানুষ কর্মচ্যুত হয়।বাড়ে পারিবারিক সংকট। সেই পর্ব পার হয়ে এলেও ঐ সময়ের গভীর ক্ষতগুলোকে এখনও কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি। ফলে অতিরিক্ত খরচের সময় বা উৎসব আনন্দের সময় এগিয়ে এলেই বাপির মতো খুব সাধারণ মানুষের কাছে তা ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। একবার পৃথিবীর অন্যান্য দেশের খবরাখবর জেনে নেওয়া যাক এই অবসরে। আসলে আমাদের দেশে এমন সব বিষয় নিয়ে ভাবনাচিন্তা খুব একটা হয় বলে মনে হয় না।
পশ্চিমের দেশগুলোতে সাধারণভাবে নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে উৎসবকালীন বর্ধিত খরচের চাপকে ঘিরে যে অনিশ্চয়তা বোধ তৈরি হয় তা Holiday poverty নামে পরিচিত। এরফলে আসন্ন উৎসব বা ছুটির সময়ের খরচ নিয়ে একটা মানসিক চাপের মুখে পড়তে হয় ভূক্ত ভোগীদের। সমীক্ষায় দেখা গেছে যে ইউরোপীয় দেশগুলোতে এমন পরিবারের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান। শুধু এদেশে নয় , উৎসবকাল সমাগত হলে পৃথিবীর সর্বত্রই মানুষের জীবন আনন্দে ভরে ওঠে। তবে এই পরিস্থিতিতে কিছু মানুষের মন অতিরিক্ত খরচের কথা ভেবে ভারাক্রান্ত হয়ে পড়ে। এমনিতেই বিপুল অর্থনৈতিক সমস্যার মধ্যে কাজ করতে হয় মানুষকে, তার ওপর ছুটি বা উৎসবের বাড়তি খরচের চাপ নতুন এক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দেয় মানুষকে।
এই মুহূর্তে এই সমস্যার আঁচে সবচেয়ে বেশি বিব্রত হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলো। ইউরোপীয়ান ট্রেড ইউনিয়ন কনফেডারেশনের সমীক্ষা সূত্রে জানা গেছে যে ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে প্রায় ২ মিলিয়ন মানুষ ছুটি কাটাতে কোথাও যেতে পারেনি স্রেফ আর্থিক সমস্যার কারণে। ঘরে বসেই ছুটি কাটাতে তাঁরা বাধ্য হয়েছে। ইউরোপীয় সমাজের প্রবল অর্থনৈতিক বৈষম্যের কারণে একদল মানুষ যেমন একদিকে তাঁদের বাক্সপ্যাটরা গুছিয়ে বাইরে যাবার জন্য তাল ঠুকেছে, অন্যদিকে বাকিরা ছুটি কাটাতে বিদেশের কোথাও তো ছাড় দেশের ভেতরেও কোথাও সপরিবারে ঘুরে আসার মতো অর্থের সংস্থান করতে পারেনি। আর্থিক সমস্যা তীব্রতর হওয়ায় ২০২৩ সালে এমন মানুষের সংখ্যা আরও বেড়েছে।
এমন মানসিক অবস্থা যে মোটেই একজন মানুষের পক্ষে বিশেষ করে একজন শিল্প শ্রমিকের জন্য ভালো নয় তা স্বীকার করে নিয়েছেন ETUC র সাধারণ সম্পাদক Esther Lynch. তাঁর মতে, এমন এক মানসিক চাপের মধ্যে থাকা সাধারণ মানুষ তথা উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত থাকা একজন শ্রমিকের পক্ষে মোটেই সুখকর নয়। এতে তাঁদের উৎপাদনশীলতা কমে যায়। ছুটির সময় সপরিবারে ঘুরে আসার পর তাঁদের শরীর ও মন তরতাজা থাকে। এরফলে সে কাজ করে প্রভূত আনন্দ পায়, তাঁর কাজের প্রতি আগ্রহ বাড়ে। লাভবান হয় দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রক্রিয়া। এখন তা সম্ভব হচ্ছে না। এর প্রভাব পড়ছে আমাদের অর্থনীতি ও সামাজিক - সাংস্কৃতিক যাপনের ওপর।”
Lynch আরও বলেন যে ছুটি বা অবসর যাপন কোনো বিলাস নয় , এটি একজন মানুষের অধিকার। ছুটি কাটাতে গিয়ে একজন মানুষ তাঁর পরিবারের সঙ্গে নিজের আত্মিক বন্ধনকে নিবিড় থেকে নিবিড়তর ভাবে উপলব্ধি করতে পারে। একটানা কাজের যান্ত্রিকতা থেকে মুক্ত হয় সে। মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে। ছেলেমেয়েরা নতুন অভিজ্ঞতা লাভ করে। এইসব আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়াটা সামাজিকভাবে ক্ষতিকর।
তবে এই সমস্যার প্রকৃতি সবদেশে সমান নয়। সমীক্ষায় দেখা গেছে যে ফ্রান্সের হাল সবথেকে উদ্বেগজনক। সেই দেশের প্রায় ৫ মিলিয়ন মানুষ গ্রীষ্মকালীন ছুটি কাটাতে ঘরের বাইরে কোথাও যাবার মতো অবস্থায় নেই। উপহারের জন্য কেনাকাটার ইচ্ছেটাকেও ছেঁটে কেটে রাখতে বাধ্য হয়েছে তারা।
আয়ারল্যান্ডের মানুষও এই বিষয়ে ফ্রান্সেরই অনুগামী। ২০২১- ২২ সালের মধ্যবর্তী সময়ে এই দেশের ১৪.৮% কর্মীমানুষ আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে উৎসবকালীন আনন্দযাপন থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখতে বাধ্য হয়েছে। প্রসঙ্গত বলা যায় যে এই সংখ্যাটা পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় প্রায় ৪% বেশি। সমীক্ষা সূত্রে জানা গেছে যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১৩ টি দেশের শ্রমজীবী মানুষ এই সমস্যায় আক্রান্ত। এই দেশের প্রভাবিত মানুষের সংখ্যা ইউনিয়নের গড় অবস্থার ( ১৪.৬ %) থেকেও খারাপ। এই তালিকায় সবথেকে নিচে ঠাঁই পেয়েছে রোমানিয়া, যেখানে ৩৬% মানুষ অর্থনৈতিক অস্বাচ্ছন্দের শিকার।
এই সব কথা জেনে সেই পুরনো প্রবাদের কথাই মনে এলো - যাহা চকচক করে,তাহাই সোনা নয়। ইউরোপীয় দেশগুলোতে তথাকথিত শিল্পায়ন শুরু হয়েছে ভারতের থেকে ঢের আগে। সেই পালে ভর করেই ঝাঁ চকচকে ব্যবস্থাপনার যথেচ্ছ স্থাপনা। আজ সেই হাওয়ার গতি সম্পূর্ণ ভিন্ন দিকে। তাই বিশ্ব মন্দার শিকার এই দেশগুলো। ভোগের পর্ব শেষ হয়ে এখন দুর্ভোগের পর্ব শুরু হয়েছে। আর এই পর্বের প্রথম আহুতি দিতে হচ্ছে শ্রমজীবী মেহনতি মানুষদের।
ইউরোপীয় কমিশনের রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে যে ইউরোপীয় শ্রমিকদের ৫০% ই মনে করে যে কর্মক্ষেত্রে মানসিক উদ্বেগ এক সাধারণ বিষয়। এটাকে কাটিয়েই উৎপাদন চালু রাখা, শারীরিক নিরাপত্তা ও মানসিক ভারসাম্য বজায় রাখা এক কঠিন চ্যালেঞ্জ। এসবের কথা মাথায় রেখেই তাঁদের কাজ করতে হয়। যদিও ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের তরফে এই অবস্থার পরিবর্তনের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে। বলা হয়েছে কাজের ক্ষেত্রে মানসিক চাপ কমাতে হবে যাতে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই মানসিক ভারসাম্য বজায় থাকে।
এতো সব সমস্যার মধ্যে থাকা সত্ত্বেও Eurostat এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর ৬২ শতাংশ মানুষ ২০২২ সালে অন্তত একবার দেশের বাইরে অথবা দেশের ভেতরেই কোথাও না কোথাও ঘুরতে গেছেন। এটা অনেক অন্ধকারের মধ্যেও সামান্য আশার আলো বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।
প্রশ্ন উঠতে পারে যে শ্রমিকদের বেড়াতে যাওয়া বা উৎসবের সময় বাড়তি খরচের চাপ সামলানোর সামর্থ্যের মতো বিষয়কে এতো গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করার কারণ কী? আসলে শিল্পোন্নত দেশগুলোর জাতীয় আয়ের সিংহভাগই আসে শিল্পক্ষেত্রের আয়ের সূত্র থেকে। এই ক্ষেত্রের সমৃদ্ধি নির্ভর করে সাধারণ শ্রমিকদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার
ওপর। ভ্রমণ এই সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। তাই এতো সমীক্ষা আর গবেষণা।
এই গবেষণা থেকেই জানা গেছে যে ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে জার্মানরা আন্তর্জাতিক ভ্রমণের পেছনে সবচেয়ে বেশি অর্থ ( ৮৫.২ বিলিয়ন ইউরো) খরচ করে, এরপরেই স্থান ফরাসিদের । তাঁরা খরচ করে ৩৯.২ বিলিয়ন ইউরো। বাকিরা অনেক পেছনে। আসলে খরচের এই হিসাবটাকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম প্রধান একটি সূচক হিসেবে মান্যতা দেওয়া হয়। তাঁদের বিচারে কোথাও বেড়াতে গিয়ে একজন এক সপ্তাহে কতটা অর্থ খরচ করতে পারেন তার হিসেব থেকে বোঝা যায় যে ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত কোনো দেশ বস্তুগত ও সামাজিক দিক থেকে কতটা ওপরের দিকে আছে।
এর পাশাপাশি দেখা হয় আপৎকালীন পরিস্থিতিতে একজন নাগরিক কতটা অতিরিক্ত খরচের চাপ সামলানোর ক্ষমতা রাখেন, নিজের ব্যবহারের জন্য গাড়ি আছে কিনা, তাঁর বাড়িটি কতটা সাজানো গোছানো – এ সবই একজন ব্যক্তির আর্থিক স্বচ্ছলতা পরিমাপের গ্রাহ্য মাপকাঠি। এইসব সূচকের কথা মাথায় রেখেই সাধারণ মানুষকে তাঁর সম্পদের আয়োজন করতে হয়। কে না জানে ভোগবাদী দর্শনে এসব অর্জন করাকেই মোক্ষ লাভের উপায় বলে মনে করে, মান্যতা দেয়।
ইউরোপীয় দেশগুলোতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি থমকে গেছে। বাড়ছে জীবন যাপনের খরচ। বাড়ি ঘরের ভাড়া সাধারণ নাগরিকদের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাচ্ছে। বাজার প্রসারের সুযোগ অনেকটাই কমে এসেছে, ফলে চাপ বাড়ছে আভ্যন্তরীণ অর্থনীতির ওপর। এমনই অবস্থা অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের। মানুষ বাধ্য হয়ে দেশান্তরী হচ্ছে। ঋণ করেও অবস্থা সামলাতে পারছেন না অনেকেই। সর্বত্রই বাড়ছে হতাশা। এর শেষ কোথায় তা এখনও পর্যন্ত আমাদের জানা নেই । ভারতের অর্থনীতি নাকি এক ঘুমন্ত দৈত্য! জেগে উঠলে অনেককেই গিলে ফেলবে। বড়ো বড়ো কথার ফানুস উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের অভিজ্ঞতা হয়তো অন্য কথা বলে।
আজ শেষ করবো বাপি বৃত্তান্ত দিয়েই। বাপি শেষ পর্যন্ত সপরিবারে ঘুরে এসেছে। বাজার থেকে কিছু টাকা অবশ্য ধার করতে হয়েছে। সে হোক । ঋণ করে ঘী খাবার কথাতো কোন্ কালেই বলা হয়েছে।আর সুখের জন্য এটুকু তো করতেই হবে। তাইনা?