এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

  • ফোবিয়া, নোমোফোবিয়া এবং চলতি সময়

    সোমনাথ মুখোপাধ্যায়
    আলোচনা | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৮২৬ বার পঠিত | রেটিং ৫ (২ জন)

  • ইংরেজিতে ব্যবহৃত ফোবিয়া শব্দটি এসেছে গ্রীক শব্দ Phobos থেকে,যার সাধারণ অর্থ হলো ভয়। ভয়ের বিপরীতে কি ভালোবাসা শব্দটির অবস্থান? হয়তো হবে। কিন্তু এই দুই অতি পরিচিত শব্দ অর্থগতভাবে অভিধানের দুই মেরুতে অবস্থান করলেও তাদের মধ্যে কিন্তু কার্যকারণ সূত্রে গভীর সম্প্রীতি রয়েছে। কী! ভাবছেন তো? আদা আর কাঁচকলা কোথায়, কীভাবে মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়? ভাবুন, ভাবুন। সবাই মন দিয়ে ভাবুন। আমি বরং ততক্ষণে গঙ্গাধরের বাড়ি থেকে ঘুরে আসি। কী একটা জরুরি সমস্যায় পড়ে আমার সঙ্গে কথা বলতে চাইছে। নিশ্চয়ই মোবাইল ফোনে কথা বলে সমস্যা মেটার নয়। আমারও মন একটু ঘুরে আসতে চাইছে।

    গঙ্গাধর চৌবে। আমার স্কুল বেলার সাথী। গঙ্গাধররা কয়েক পুরুষ ধরে উন্নয়নের গুঁতো খেয়ে শশব্যস্ত হয়ে বেড়ে ওঠা আমাদের এই মফস্বল শহরে বাস করে। গঙ্গাধরের ঠাকুরদার বাবা সৌভাগ্যের সন্ধানে উত্তরপ্রদেশের জৌনপুর থেকে এসেছিলেন কলকাত্তায়। তখন অবশ্য এই তল্লাটের চেহারা বিলকুল আলাদা ছিল। সেই থেকেই ওঁরা এখানে।
    যাইহোক, টুকটুক করে হেঁটে গঙ্গার বাড়ি গিয়ে পৌঁছলাম। ও যেন আমার অপেক্ষায়‌ই ছিল। আমি পৌঁছতেই খুব স্বস্তিতে আমাকে হাত ধরে ঘরে নিয়ে বসাল। সত্যি বলতে কি,আমি একটু অবাকই হলাম, কেননা ওঁর বাড়িতে তো আমি প্রথম যাচ্ছিনা! দু দণ্ড পার হতে না হতেই কৌশল্যা, মানে গঙ্গাধরের ধরম পত্নী,এক গেলাস ঘোলের শরবত এনে হাজির করলো। গেলাসে আলতো চুমুক চড়িয়ে বলি– কিরে! এতো জরুরি তলব কেন? সমস্যা কী?

    এরপর, হিন্দি বাঙলা ইংরেজি মিলিয়ে মিশিয়ে ও এবং ওর পরিবারের সদস্যরা যা বললো তার মর্মার্থ হলো –
    বেশ কয়েক বছর পর গঙ্গাধর সপরিবারে ওঁর দেশের বাড়িতে যাবে বলে ঠিক করেছে। ওখানে ওঁর মা এবং অন্যান্য ভাইয়েরা আছে। গঙ্গাধর আর কৌশল্যা ভাবী একপায়ে খাড়া যাবার জন্য, কিন্তু ওঁদের দুই ছেলেমেয়ে , লালন আর শালিনী, একদম বেঁকে বসেছে। কেন? ওদের বক্তব্য, জৌনপুর থেকে অনেক দূরে ওদের গ্রাম। সেখানে এখনো ইলেক্ট্রিসিটি নাকি পৌঁছয় নি, ফলে ওরা ওদের মোবাইল ফোনে চার্জ দিতে পারবে না। বোকার মতো থাকতে হবে ওদের। গোটা বিশ্বের থেকে ওরা বিলকুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।
    “We can't live without our mobs. Leave us here. We will manage everything in our own way. You need not to worry at all.”

    ছেলেমেয়েকে বলে বোঝাতে না পেরে গঙ্গাধর অনন্যোপায় হয়ে আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে সালিশি করার জন্য । সবার কথা শুনে আমার মনে হলো এতো সেই ভালোবাসা আর ভয়ের যুগলবন্দি। এই সময়ের তরুণ প্রজন্মের কাছে মোবাইল ফোনের কোনো বিকল্প নেই। এইটি ওদের নয়নের মণি। এই ফোন ওদের নাগালের বাইরে চলে যাবে, একথা ওরা ভাবতেই পারেনা। তাই একে নিয়ে একটা ভয় বা ফোবিয়া অহর্নিশ ঘিরে থাকে ওদের। আধুনিক শব্দ ভাণ্ডারে তাই ঠাঁই পেয়েছে নতুন এক শব্দবন্ধ নোমোফোবিয়া (Nomophobia ) বা মোবাইল হারানোর আতঙ্ক। আমাদের আজকের আলোচনা এই নতুন ফোবিয়াকে নিয়েই ।

    নোমোফোবিয়া শব্দটির প্রচলন খুব বেশি দিনের নয়। ২০০৮ সালে বৃটেনের গবেষণা সংস্থার Gov You এর সৌজন্যে ইংরেজি ‘no mobile phobia’ শব্দবন্ধটিকে কেটে ছেঁটে এই শব্দটিকে তৈরি করা হয়েছে হাতের মুঠোয় সচল মোবাইল ফোন না থাকার ভয় এবং উদ্বেগকে বোঝাবার জন্য।

    হালফিল সময়ে খবর কাগজ খুললেই দেখা যায় মোবাইল ফোন না থাকার ফলে অথবা অতি ব্যবহারের আসক্তি থেকে ছেলে মেয়েদের দূরে সরে থাকার জন্য বকাঝকা করা হলেই, কি ভাবে তারা আত্মহননের পথ বেছে নিচ্ছে কোনো রকম চিন্তা না করেই। ডিজিটাল মাধ্যমের ওপর ক্রমশই আমাদের নির্ভরতা বাড়ছে। জীবন হয়ে উঠেছে অ্যাপস নির্ভর। আর সেই অবকাশে আমাদের, বিশেষ করে অল্পবয়সীদের, মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। শয়নে স্বপনে জাগরণে আজ মুঠো বন্দি এই উপকরণটি হয়ে উঠেছে সর্বক্ষণের সঙ্গী। আর এই কারণেই মোবাইল ফোনকে ঘিরে বাড়ছে তীব্র আসক্তি।

    এই ফোবিয়ার বিষয়টিকে ইতোমধ্যেই তুলনা করা হয়েছে ভয়ঙ্কর ড্রাগ আসক্তির সঙ্গে। মনোবিদ তথা মনোচিকিৎসকদের মতে, লাগামছাড়া ভাবে মোবাইল ফোনের ব্যবহার, ব্যবহারকারীদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর উদ্বেগজনকভাবে ছাপ ফেলছে যার থেকে বের হয়ে আসার কোনো উপায় এই মুহূর্তে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মনোচিকিৎসকদের মতে, মোবাইল ফোনের সঙ্গে ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন করার ফলে নোমোফোবিয়ার দাপট বাড়ছে দ্রুত গতিতে। পড়াশোনার সুবিধা হবে বলে বিভিন্ন সরকারের তরফ থেকে ছাত্রছাত্রীদের মোবাইল ফোন দেবার ব্যবস্থা করা হলো। দুদিন এই বাটন, সেই বাটন খট্ খট্ করে একটু ধাতস্থ হতেই শুরু হলো বিশ্ব দর্শনের পর্ব। ব‌ইপত্র সব আড়ালে চলে গেল, কেবল টিকে রইলো প্রবল মোবাইল আসক্তি বা নোমোফোবিয়া। মনোচিকিৎসকদের মতে, হাতের মুঠোয় ফোনটিকে পেয়ে আমরা সবাই ভাবতে শুরু করেছি যে এর জোরে আমরা দুনিয়াটাকে কব্জা করে ফেলেছি। এই কপট দুনিয়াদারির ভাবনা থেকেই আমাদের মধ্যে বাসা বাঁধতে শুরু করেছে নিরাপত্তাহীনতা, অপরিমেয় উৎকণ্ঠা ও উদ্বেগ, আত্মমূল্যায়নের অক্ষমতা, মানসিক বিভ্রান্তি ও দোদুল্যমানতা, সকলের সঙ্গে মিলেমিশে থাকার অসামর্থ্য, আবেগকে সম্বরণ করতে না পারার মতো জটিল মানসিক সমস্যার। বিষয়টি এতোটাই জটিল হয়ে উঠেছে যে পশ্চিমা দেশগুলোতে নোমোফোবিয়াকে এক গভীর অসুখ বলে চিহ্নিত করা শুরু হয়েছে। দুশ্চিন্তার বিষয় এই যে, আমাদের দেশেও মোবাইল ফোনের আসক্তি বাড়ছে, সেই সঙ্গে বাড়ছে
    নোমোফোবিয়া আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা।

    ছোট শিশুর কাছ থেকে মা একটু আড়াল হলে সে যেমন উদ্বেগাকুল হয়ে কান্নাকাটি জুড়ে দেয়, মোবাইল ফোন ছাড়া এখন অনেকের তেমন‌ই অবস্থা। হাতের মুঠোয় ধরা মোবাইল ফোন নাড়াচাড়া করা ছাড়া এই জীবন যেন অচল।

    বছর কয়েক আগে বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী মাননীয়া আশা ভোঁসলে জী একটি অনুষ্ঠানে যোগদান করতে গিয়েছিলেন সম্ভবত গুয়াহাটিতে। অনুষ্ঠানের পর্ব সাঙ্গ করে বিকেলের দিকের বিমানেই মুম্বাই ফিরে যাবেন বলে বিমান বন্দরে এসে হাজির। এই এক‌ই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আরও যেসব নামীদামী শিল্পীরা গিয়েছিলেন তাঁরাও ঐ বিমানেই ফিরবেন মুম্বাইতে। বিমান বন্দরে পরস্পর দেখা হয়ে যায় সবার সঙ্গে। আশা জী মনে মনে ভাবলেন - যাক্ সময়টা ভালো কাটবে সবার সঙ্গে গল্পগুজব করে। কিন্তু হা হতোস্মি! আশা জী হৃদয়ের কথা বলিতে ব্যাকুল, অথচ অন্য সবাই ব্যস্ত মোবাইল ফোনের সঙ্গে নীরব কথালাপে। আশা জীর মতো ব্যক্তিত্বকেও সেদিন আশাহত হতে হলো সহযাত্রীদের নোমোফোবিক মানসিকতার জন্য। এমন অভিজ্ঞতা আমাদের সকলেরই।

    ছোট্ট কিছু পরিসংখ্যান পেশ করি। মার্কিন গবেষকদের সমীক্ষায় উঠে এসেছে কিছু চিন্তনীয় তথ্য। গবেষকেরা জানিয়েছেন যে,

    ●পরিণত বয়সের ৬৬ শতাংশ মানুষ এই মুহূর্তে নোমোফোবিক।
    ●প্রতি ৩ জনের মধ্যে ২ জন শোবার সময় মাথার পাশে মোবাইল ফোন রেখে শোন।
    ●প্রতি ৫ জনের মধ্যে ১ জন পায়ে জুতো না পড়েই নিঃসংকোচে বাইরে বেরিয়ে যেতে পারেন কিন্তু সঙ্গে মোবাইল ফোন না নিয়ে এক পা ও বাইরে যাবেন না।

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানুষজনের ওপর এই সমীক্ষা করা হলেও অন্য অনেক দেশের অবস্থার খুব বেশি হেরফের হবে বলে মনে হয় না। সম্প্রতি বৃটিশ যুক্তরাজ্যের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে হাইস্কুল ও কলেজ পড়ুয়াদের মধ্যে মোবাইল ফোন ব্যবহার করার আসক্তির মাত্রা সর্বাধিক । সমীক্ষা সূত্রে জানা গেছে যে -

    ●যুক্তরাজ্যের ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের মধ্যে ৬০ শতাংশ তরুণ প্রজন্মের মানুষ মোবাইল ফোন ছাড়া হলেই গভীর উদ্বেগের শিকার হন।
    ●২৫ থেকে ৩৪ বছর বয়সীদের মধ্যে ৬০ শতাংশ মানুষ মনে করেন যে মোবাইল ফোন ছাড়া তাদের এক বিচ্ছিন্ন জীবন যাপন করতে হবে। ফোন না থাকলে তাঁদের গভীর বিপন্নতা বোধ গ্রাস করে।
    ●৫৫ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে ৩৪ শতাংশ মানুষ মনে করেন যে মোবাইল ফোন ছাড়া থাকতে হলে তাঁরা নিজেদের অসহায়, অবলম্বনহীন মনে করেন।
    ●বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবার আশঙ্কা পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে অধিকতর কার্যকর হয় । সমীক্ষা বলছে ৫২ শতাংশ মহিলা মনে করেন যে মোবাইল ছাড়া তাঁরা তাঁদের পরিবারের সদস্য ও প্রিয়জনদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন না। এই ভাবনা তাঁদের কুঁড়ে কুঁড়ে খায়। অন্যদিকে একই আশঙ্কায় ভূক্তভোগী পুরুষের সংখ্যা ৪৮ শতাংশ।

    বছর কয়েক আগের এই সমীক্ষা স্পষ্টতই প্রমাণ করে যে নতুন প্রযুক্তি কীভাবে আমাদের দৈনন্দিন জীবন যাপন প্রক্রিয়ায় গভীর প্রভাব বিস্তার করেছে। মানুষ নতুন নতুন প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে তাঁর জীবন যাপনকে আরও সহজ সুবিধাজনক করে তুলতে চাইবে এটাই স্বাভাবিক, কিন্তু তা করতে গিয়ে সে নিজেই প্রযুক্তির জালে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে যাবে,এটাও নিশ্চয়ই অভিপ্রেত নয়। দুর্ভাগ্য , ঠিক তেমনি ঘটছে বহমান সময়ে। আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য আজ এই ডিজিটাল দুনিয়ায় বিপন্ন। একের পর এক সমীক্ষায় এমন তথ্যই উঠে আসছে।

    গবেষক Caglar Yildirim তাঁর গবেষণার মধ্য দিয়ে এ কালের স্মার্টফোন বিচ্ছিন্ন মানুষের মানসিক বিভ্রান্তির ক্ষেত্রকে চারটি ভাগে ভাগ করেছেন। গবেষণার প্রয়োজনে তিনি একটি প্রশ্নমালা তৈরি করে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করেন। Caglar Yildirim এর মতে একজন মানুষ ফোন ব্যবহার করতে না পারলে বা তেমন আশঙ্কায় আশঙ্কিত হন এই ভেবে যে মোবাইল ফোন না থাকলে –

    ●তিনি অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন না, নিঃসঙ্গ হয়ে যাবেন।
    ● তিনি নিজেকে অন্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন বলে মনে করেন,
    ●তিনি মোবাইল ফোন থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে অপারগ হন, ফলে তিনি অন্যদের থেকে পিছিয়ে যাবেন,
    ●তিনি নিজেকে একজন বঞ্চিত মানুষ হিসেবে ভাবতে শুরু করেন।

    আসলে একালে মোবাইল ফোন ক্রমশই আমাদের ব্যক্তিমানুষের প্রতিরূপ হয়ে উঠেছে। মোবাইল ফোনের আড়ালে চলে যাচ্ছে আমাদের সমস্ত একান্ত অনুভব, অনুভূতি। বয়স্ক মানুষদের মধ্যেও মোবাইল ফোনকে ঘিরে এক আশ্চর্য বোধ কাজ করছে – “দেখো, আমিও এখন ডিজিটালাইজড।” এই বোধ আমাদের আত্মপরিচয়ের স্বাতন্ত্র্যকে একটু একটু করে কোণঠাসা করে ফেলছে, এক‌ই ধরনের যান্ত্রিক অভ্যাসের অনুবর্তী হয়ে পড়ছি আমরা সবাই।

    আপনি কি নোমোফোবিক?

    একালে সকলেই মোবাইল ফোন ব্যবহারে আসক্ত হয়ে পড়েছি কখনও হয়তো প্রয়োজনে, আবার কখনও সমাজ পরিসরে নিতান্তই ভেসে থাকার তাগিদে। অনেক অর্থহীন কথা আর ঘটনার জালে জড়িয়ে পড়ছে আমাদের মন ও শরীর। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তুলে ধরা হচ্ছে এমন অনেক কাণ্ডকারখানার বৃত্তান্ত যা জনপরিসরে প্রকাশ করার কথা ভাবাই যেতো না মাত্র কিছুকাল আগেও। মোবাইল ফোনের সূত্রে এই সব করতে গিয়ে আমাদের মধ্যে অনেকেই জ্ঞানত বা অজ্ঞানত নোমোফোবিক হয়ে পড়ছি।

    মনোচিকিৎসকদের মতে মোবাইল থেকে দূরে থাকার আশঙ্কায় আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য গভীরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ঠিক কোন কোন সিম্পটম বা লক্ষণ দেখা দিলে আমরা বুঝতে পারবো যে মানুষটি নোমোফোবিক । আসুন এক নজরে দেখে নিই। এগুলো জানা হয়তো খুব জরুরি কেননা আমাদের ঘরে ঘরে এখন এমন আতঙ্কিত মানুষজনের বসবাস। চিকিৎসকদের মতে এই ফোবিয়ায় আক্রান্ত মানুষের –

    ●শ্বাসপ্রশ্বাসের স্বাভাবিক গতিতে পরিবর্তন নজরে পড়বে। কখনও তার গতি বা হার অনেকটাই বেড়ে যাবে , আবার কখনও হয়তো নেমে আসবে একজন সুস্থ মানুষের স্বাভাবিক শ্বাস গতির নিচে।
    ●প্রাথমিক পর্যায়ে দুই হাতে কাঁপুনি দেখা দেয়। যত নোমোফোবিয়ার প্রকোপ বাড়বে ততই কম্পনের প্রভাব সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়বে।
    ●শরীরে খুব বেশি পরিমাণে ঘাম হবে।
    ●সাধারণ সংবেদন অনেকটাই কমে যায়।সে ঠিক করতে পারে না ফোন নিয়ে তার আহলে কী করা উচিত। বিচারবুদ্ধির ওপর প্রভাব পড়ার ফলে তার যথাযথ সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা লোপ পায়।
    ●শরীরে ট্যাকিকার্ডিয়াক সমস্যা দেখা দেয় অর্থাৎ হৃদস্পন্দনের গতি অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যায়।

    মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। সবসময় মন গভীর উদ্বেগ ও উৎকন্ঠায় ভরে থাকে বলে আচরণগত গভীর সমস্যা দেখা দেয়।

    বাড়ির কিশোর কিশোরীদের মধ্যেও নোমোফোবিয়ার আতঙ্ক ক্রমশ প্রকট হতে থাকে। মুশকিল হলো এইসব আচরণগত সমস্যা অনেক সময়ই অভিভাবকদের নজর এড়িয়ে যায়। বয়ঃসন্ধিকালের ছেলেমেয়েরা অত্যন্ত আবেগপ্রবণ হয়ে থাকে। আজকাল ছোটদের জীবন‌ও প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি করে ডিজিটালাইজড হয়ে উঠেছে। সমস্ত পরিষেবা একালে অ্যাপস নির্ভর। এরফলে অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়ছে মোবাইল ফোনের সঙ্গে সময় কাটানো। ফল নোমোফোবিক হয়ে ওঠা। সমীক্ষা সূত্রে জানা গেছে যে খুব সামান্য সংখ্যক শিক্ষার্থী পড়াশোনার জন্য মোবাইল ব্যবহার করে। সমস্যা গহীন। এখন হয়তো সমস্যার চূড়াটুকুই শুধুমাত্র আমাদের নজরে পড়েছে। সমস্যার জট আরও জটিল হয়ে ওঠার আগে সমাধানের সম্ভাব্য উপায়গুলো জেনে নিই আমরা।

    মোহমুক্তির উপায়?

    সমস্যা ক্রমবর্ধমান। মনোস্বাস্থ্যবিদরা তাই আমাদের মোবাইল মোহ থেকে নিজেদের মুক্ত করার জন্য কয়েকটি উপায়ের কথা জানিয়েছেন। নোমোফোবিয়া থেকে মুক্তি পেতে হলে সবার প্রথমে যা করতে হবে তা হলো এই সমস্যা আদৌ আমাদের মনে বাসা বেঁধেছে কিনা তা যাচাই করে নিতে হবে। এই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেলেই পরবর্তীতে কতগুলো নতুন জীবন শৈলীর শিক্ষা মেনে চলতে হবে। এই উপায়গুলো হলো –

    ডিজিটাল ডিটক্স
    দিনের মধ্যে কখন মোবাইল ফোনের সঙ্গে সময় কাটাবো এবং কতটা সময় মোবাইল থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখবো তা আগাম নির্দিষ্ট করে নিতে হবে। ধীরে ধীরে মোবাইল ফ্রি সময়ের সবার ক্ষেত্রে এই সময়টা এক হবে তা হয়তো নয়। তবে উত্তরোত্তর এই ফ্রি টাইমের দৈর্ঘ্য বাড়াতে হবে।

    নিজের সঙ্গে থাকা
    শুনতে একটু অদ্ভুত লাগলেও বাস্তবে এটাই নির্মম সত্যি যে যত সময় আমরা মোবাইলে মন মজিয়ে রাখি তত সময় আমরা আর আমায় থাকিনা। ভার্চুয়াল জগত ছেড়ে নিজের কাজের জগতে প্রবেশ করতে হবে যেখানে মোবাইল ফোনের ব্যবহার জরুরি নয়।

    ব্যবহারের সীমানা
    কোনো কোনো কাজের সময় মোবাইল দূরে সরিয়ে রাখতে হবে। যেমন খাবার সময়,কার‌ও সঙ্গে আলাপকালে এবং অবশ্যই বিশ্রাম নেবার সময়।

    সামনাসামনি কথা বলার অভ্যাস
    পরিবার পরিজনদের সঙ্গে, বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে মুখোমুখি কথা বলুন। এরফলে ভার্চুয়াল জগতের হাতছানি কমবে।

    সামাজিক অনুষ্ঠানে মোবাইল বর্জন
    কোনো সামাজিক বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গেলে মোবাইল সঙ্গে নেবেন না।

    এগুলো কোনো নির্দেশিকা নয় । গবেষকেরা জানিয়েছেন সমস্যা আরও বেড়ে যাবার আগে কিছু বিধিনিষেধের মধ্যে ঢুকে পড়াই হবে এই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা থেকে নিজেকে মুক্ত করার সবথেকে জোরালোতম উপায়। নিজের ভালো আমরা সকলেই চাই। খালি কখনও কখনও চোখ বুজে সমস্যাকে এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করি। নোমোফোবিকরা কেউই গ্রহান্তরের জীব নয়, তাঁরা সকলেই রক্ত মাংসের মানুষ। তাই মোবাইল ফোনের থেকে তাঁদের দূরে সরিয়ে রাখার দায়িত্ব হয়তো আমাদের‌ই। মনে রাখবেন হাত থেকে মোবাইল ফোন সরে গেলে আমরা কেউই শক্তিহীন হয়ে যাবনা। একথা ঠিক যে কালের নিয়মেই আমাদের দৈনন্দিন জীবনে মোবাইল ফোন অনেকটাই প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে কিন্তু অপরিহার্য নয়। বিশিষ্ট নেশামুক্তি চিকিৎসক ও থেরাপিস্ট Paul Hokemeyer বলেছেন – “আমাদের যে সমস্ত মানুষের সঙ্গে বা বন্ধুদের সঙ্গে আজ আর তেমন যোগাযোগ নেই তাঁদের সঙ্গে আমরা যেমন নির্লিপ্ত আচরণ করি , মোবাইলের সঙ্গে ও তেমনটাই করা হোক। ভুলে যাওয়া বন্ধুদের মতো মোবাইলকেও আমরা একসময় ভুলে যাব, ঠিক সেভাবেই যেভাবে তাঁদের অনেককেই ভুলে গেছি।”


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৮২৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Kaushik Guha | 2401:4900:3145:a070:5527:afa4:9e51:***:*** | ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৭:২২540061
  • Darun. Abar notun kichu sikhlam. 
  • শর্মিষ্ঠা লাহিড়ী। | 2405:201:8016:6b:45da:7627:c83f:***:*** | ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৮:০০540062
  • মোবাইল নামক বস্তুটিকে  সত্যি ই এক সময়  মনে হয় যত বিড়ম্বনা র কারন।তাও বস্তু টির  আকর্ষন কেনো জানিনা অস্বীকার করা যায়না। তবে লেখার মাধ্যমে যেভাবে আমাদের চোখ কান খোলা র চেষ্টা লেখক করেছেন তাকেও সন্মান জানিয়ে যথেচ্ছ ব্যবহারে রাশ টানা উচিত।
  • প্রসূন | 103.***.*** | ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৮:১৭540063
  • 'Gov You' পুরো কথাটি ব্র্যাকেটে লিখে দিলে ভালো হত। এইসকল জেনজি শব্দাবলী সকলের চেনাজানা নয়। সমস্যা ও প্রতিকার হয়তো বড়ো সংখ্যক উপভোক্তার জন্য যথাযথ। অস্ট্রেলীয় সরকার শিশু-কিশোরদের মোবাইল ফোন ব্যবহারে বিধিনিষেধ আরোপ করার চিন্তাভাবনা করছে বলেই জানা। কিন্তু এক্ষেত্রে যা জানার, বিশেষত এদেশে, গত দু-দশকে যাপন পদ্ধতি যেখানে বদলে গিয়েছে আমূল যেখানে চিরপরিচিত রীতিনীতি দিয়ে আর সবকিছুকে ব্যাখ্যা করা যাচ্ছে না তখন যার রুজিরোজগার মোবাইল ফোনভিত্তিক সে কী করবে? ইন্টারনেট পার্সোনালিটিদের কথা না হয় ছেড়েই দিলাম। এবং সেই রুজিরোজগারের প্রয়াসের কারণে সে হয়তো  একটা সময়ের পর প্রতিষ্ঠিত, সেলেব্রিটি হয়ে পড়েছে; তার নিজের চব্বিশ ঘণ্টা মোবাইল ফোনের সঙ্গে না থাকলেও চলে। ভাড়া করা লোকজন আছে সে সব সামাল দেওয়ার জন্য। কিন্তু তাঁকে বা তাঁদের দেখে উদ্বুদ্ধ হওয়া নিজেকে সেই জায়গায় ভাবতে অভ্যস্ত যে জন-মন তাকে এসব নীতিকথা বলে তো সুবিধে কিছু হওয়ার নেই। চোখের সামনে চব্বিশ ঘণ্টা যে জনমানস দেখতে পাচ্ছে, অজ গাঁয়ের দেহাতি কেউ কিংবা ঝাঁ-চকচকে শহুরে কেউ তার ক্রিয়াকাণ্ডের কারণেই হয়ে পড়েছে ইন্টারনেট সেনশেসন। মাস গেলে যার লাখ টাকা আমদানি। সেই প্রতিষ্ঠিতের খ্যাতিকে 'মেইনটেইন' করতে হলেও যে ভয়ানক মগজমারি করতে হয়—রাতারাতি খ্যাতির আশায় থাকা জনমানস সে নিয়ে হয়তো অতটা ভাবে না। যতটা ভাবে নিজের খ্যাতির কথা। 
  • কৌতূহলী | 115.187.***.*** | ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৮:২১540064
  • খুব দরকারি আর প্রাসঙ্গিক লেখা। 
    আমি নিজেও এই পরিস্থিতিতে ছিলাম কোভিডের সময়। ২০১৯ থেকে ২০২১। 
    তারপর ২০২২ থেকে এই সমস্যা ধীরে ধীরে কাটিয়ে উঠেছি। কীভাবে বলছি।
    একটা ছোট নন স্মার্ট ফোন আমার আছে। অফিসিয়াল সব জায়গায় সেই ফোন নং দিয়ে রাখি। ওটা সবসময় অন থাকে।
    স্মার্ট ফোনটা দুদিন অন্তর অন করি। বাকি সময় অফ থাকে। ফলে লিমিটেড টাইম ফোন ব্যবহার করি , বাকি সময় অফ থাকায় ঘাঁটার ইচ্ছেটাও থাকে না।
    হোয়াটসআপ ওয়েব ইউজ করি ,মেল হোয়াটসআপ ল্যাপটপেই খুলি । আর ল্যাপটপে মোবাইলের মত এডিকশন হয় না। ফেসবুক শুধু স্মার্টফোনেই খুলি , দুদিন অন্তর। ওটা ল্যাপটপে খুলি না।
    ফলে মোবাইল সংলগ্নতা অনেক কমাতে পেরেছি।
  • পৌলমী | 2405:201:8000:b11b:1081:7494:e321:***:*** | ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ ২১:০৫540065
  •  ওরে মোবাইল,
    তোরে দেখলে যে মন মজে, ছাড়তে হলে বুকে বাজে । কী করবো এবার ?? লেখাটি পড়ার পরে বেশ কিছুক্ষণ থম মেরে বসেছিলাম ভবিষ্যতের কথা ভেবে। কৌতুহলীর প্রস্তাবগুলো নিয়ে জোর চর্চা চলুক। লেখককেও ডেকে নেওয়া যেতে পারে।
  • সৌমেন রায় | 202.142.***.*** | ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৭:০৭540069
  • একদম জ্বলন্ত সমস্যা।যন্ত্রটি সব ওলট পালট করে দিচ্ছে।
    লেখক সর্বদাই আমাদের বর্তমানের সমস্যা গুলির কড়া নেড়ে সতর্ক করে দিচ্ছেন।
  • সৌমেন রায় | 202.142.***.*** | ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৭:০৯540070
  • মনে হচ্ছে আমিও নোমোফোবিক হয়ে গেছি
  • উন্মেষ | 103.24.***.*** | ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ ১১:৪২540076
  • এই সময়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে লিখেছেন। এই অদৃশ্য মহামারীr শিকার আমরা সবাই হয়ে পড়ছি। খুব ভালো তথ্যবহুল লেখা।
  • DrSourav Misra | 2409:40e1:3084:be2b:fcfe:261d:2326:***:*** | ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ১২:২১540088
  • Khub valo hoyeche dada. Hope it reaches the people addicted to smartphones, through smartphones ❤️‍
  • অভ্রদীপ | 2409:40e0:37:8d44:acb5:eff:fef4:***:*** | ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৭:৫০540098
  • এটা বিশ্বব্যাপী সমস্যা। বিশেষ করে আজকালকার সমস্ত সিস্টেমই এতো বেশি ডিজিটালাইজড হয়ে গেছে, যে স্মার্টফোন ছাড়া চলাই দুষ্কর। লোকাল ট্রেনের টিকিট কাটা থেকে ব্যাঙ্কিং, সরকারি কাজ, সবই। কয়েক বছর আগে, সস্তা ইন্টারনেট আসার আগে, মোবাইল আসক্তির প্রধান অঙ্গ ছিলো গেম খেলা। ফলে আসক্তিটা খানিকটা সীমাবদ্ধ ছিলো কমবয়সীদের মধ্যে। আমার ধারণা সস্তা ইন্টারনেট আসার পর গেম খেলার প্রবণতা অনেক কমেছে। বরং, নানান কাজ আর তথ্য সংগ্রহ, পাশাপাশি বিবিধ সামাজিক মাধ্যমে ছোটো ভিডিও অনন্ত প্রবাহ গ্রাস করছে বয়স্ক মানুষদের। আর সামাজিক মাধ্যমগুলো তো আছেই সকলের জন্য। এখন দেখি, নতুন বাপ মায়েরা বাচ্চা কান্নাকাটি করলেই হাতে মোবাইল ধরিয়ে দেয়, ফোনে কার্টুন চালিয়ে দেয়। এভাবে শৈশব থেকেই মোবাইল আসক্তির জন্ম হচ্ছে। তার ফল এটাই। নোমোফোবিক বাবা মায়ের সন্তান নোমোফোবিকই তো তৈরি হবে। এও যেন এক জিনগত রোগের তুল্য বংশগত ডিজিটাল রোগ! নিরাময়ের যে পথগুলো লিখেছেন সেগুলো খুব সত্যি। ওগুলো ছাড়া কোনো মুক্তি নাই এই সমস্যা থেকে। প্রযুক্তিগত ভাবে তো আর পিছিয়ে যাওয়া চলে না। এই সমস্যাটা খুবই নতুন। একে ভালো করে অনুধাবন করে, এর থেকে বেরিয়ে আসতে আরও দুটো প্রজন্ম লেগেই যাবে। কিন্তু ততদিনে আরও না জানি কী কী প্রযুক্তি হয়ে যাবে, যা শুরু হয়েছে চারিদিকে! হয়তো সকলেই তখন চশমার মধ্যেই ডিজিটাল স্ক্রিন দেখবে!
  • #:+ | 2405:201:8000:b11b:a5e1:e270:b2d5:***:*** | ২০ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৩:০০540229
  • খুব সুন্দর একটি লেখা। গভীর বিষয়গত ভাবনা। প্রাঞ্জল উপস্থাপনের জন্য লেখককে ধন্যবাদ।
  • পলি মুখার্জি | 2409:4060:e90:7f8f:b774:bca6:6721:***:*** | ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৪:৪৬540300
  • লেখাটি পড়ার পর থেকেই নিজেকে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে চলেছি। Paul Hokemeyer এর কথাকটি মাথায় ঘুরছে।
  • সুদীপ্ত বর্মন | 116.193.***.*** | ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ১০:৫৯540311
  • আমার কাছে একজন জানতে চেয়েছিল যে তাঁর ছেলে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে ,কিন্তু ফোন ছাড়া থাকতেই পারেনা। ছেলেটি নিজেও বুঝতে পারছে যে এতে ওর পড়াশুনার খুব ক্ষতি হচ্ছে। একজন মনোবিদের সাথে দেখা করতে বলি। শুনেছি কগনিটিভ বিহেভিয়ার থেরাপি ও এক্সপোজার থেরাপি করে এখন ছেলেটি ভালো আছে। 

    এটা পড়ে দারূন লাগল 
  • অঞ্জনা মুখোপাধ্যায় | 2405:201:8000:b11b:1510:b4fe:8720:***:*** | ১৪ জানুয়ারি ২০২৫ ১৭:৩৬540654
  • এরে ধরতে গেলে বাজে,এরে ছিঁড়তে গেলে লাগে। খুব প্রয়োজন ছাড়া মোবাইল ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। এতো দরকারি বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য লেখককে অনেক ধন্যবাদ জানাই।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন