এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  স্বাস্থ্য

  • ব্রেনখেকো অ্যামিবার প্রাদুর্ভাব কি পশ্চিমবঙ্গেও?

    ডঃ সুস্মিতা ঘোষ
    আলোচনা | স্বাস্থ্য | ০৩ অক্টোবর ২০২৫ | ১১৫ বার পঠিত


  • গত দু সপ্তাহ একটা খবর ক্রমাগত হেডলাইন হয়ে আসছে। প্রথমে কেরালায় ব্রেনখেকো অ্যামিবার প্রাদুর্ভাব হয়েছে অনেকের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। সাম্প্রতিকতম আতঙ্ক হল কলকাতায় নাকি এই রোগের কয়েকটা কেস "হানা দিয়েছে"।

    খবরের কাগজ, বা তাদের টিভি এবং বৈদ্যুতিন চ্যানেলের একটাই কাজ আতঙ্ক ছড়ানো। আজকালকার সাংবাদিকরা তো পড়াশোনাও করে না। সাথে সুগ্রীব দোসর হয়েছে গুগল, এবং চ্যাটজিপিটি ইত্যাদি এআই অ্যাসিস্ট্যান্টরা। তারা খবর তৈরি করে, এবং তারপর তারা যে বাংলায় সে খবর পরিবেশনা করে, তাতে সত্য, তথ্য, বিজ্ঞান খুব কম থাকে, কিন্তু আতঙ্কটা রয়েই যায়। এই আতঙ্ক তাড়ানোর একমাত্র উপায় হল সঠিক বিজ্ঞান সম্মত তথ্য পরিবেশন করা।

    ব্রেনখেকো অ্যামিবা জিনিসটা কি ?
    নাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে, এই ছোঁয়াচে রোগ সৃষ্টিকারী বস্তুটি জীবাণু অর্থাৎ ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস নয়, এক ধরণের অ্যামিবা - যেটি প্রোটোজোয়া অর্থাৎ আদ্যপ্রাণী গোত্রে পড়ে। যে অ্যামিবাটি এই ব্রেন খেকো রোগটি ছড়ায়, তার গালভরা বৈজ্ঞানিক নামটা, অর্থাৎ Naegleria Fowleri (উচ্চারণ নেইগ্লেরিয়া ফাউলেরি /নাইগ্লিরিয়া ফাউলেরাই) সব খবরের কাগজের দৌলতে নিশ্চয়ই নজরে পড়েছে, কিন্তু এই নামটা জেনে তেমন কিছু লাভ হবে না। যেটা বোঝা প্রয়োজন , সেটা হল, আদ্যপ্রাণীরা কিন্তু বিবর্তনের নিরিখে ব্যাকটেরিয়ার চেয়ে মানুষের অনেক কাছাকাছি। কাজেই বেশিরভাগ অ্যান্টিবায়োটিক এদের ওপর কাজ করবে না এবং এদেরকে মারতে যে ওষুধ ব্যবহার করা হয় সেগুলো কিন্তু মানুষের পক্ষে যথেষ্ট ক্ষতিকর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পন্ন হতে পারে।

    "ব্রেনখেকো" নাম দেওয়া হয়েছে , কারণ এই অ্যামিবার সংক্রমণে যে রোগটি হয়, তার নাম (Primary Amoebic Meningoencephalitis, PAM) : শেষ শব্দটি অর্থাৎ Meningoencephalitis মানে হল মস্তিষ্কের প্রদাহ। এই রোগ শুরু হয় প্রবল জ্বর ও মাথাব্যথা দিয়ে, সাথে ঘাড় শক্ত হয়ে যায়, খিঁচুনি থাকতে পারে, বিভ্রমের সাথে সাথে অসংলগ্ন আচরণ দেখা যায়, রোগী অজ্ঞান হয়ে যায় বারে বারে। শেষে কোমায় পৌঁছে মৃত্যু ডেকে আনে। পুরো রোগটাই খুব তাড়াতাড়ি বেড়ে যায় - প্রথম লক্ষণ দেখা দেওয়া থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে মৃত্যু হতে পারে।

    তাহলে কি চিকিৎসা নেই?
    অতটা আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। চিকিৎসা যে কারণে কিছুদিন আগে পর্যন্ত তেমন কিছু ছিল না, তার কারণ এই রোগটি অত্যন্ত বিরল। সব চেয়ে বেশি কেস এ পর্যন্ত পাওয়া গেছে আমেরিকায়, তাও এত বছর ধরে মাত্র ১৬১। বছরে গড়ে সাত আটটা। এত কম কেস হলে বিশেষ ভাবে এই রোগের চিকিৎসার গবেষণার জন্য কে টাকা ঢালবে ? এই রোগের মৃত্যুহার ছিল ৯৫%, তার একটা কারণ হল তাড়াতাড়ি রোগ নির্ণয় করতে না পারা। বেশির ভাগ কেসই বিক্ষিপ্ত, একই হাসপাতালে কখনো দুটো কেস এসেছে কিনা সন্দেহ। কাজেই ডাক্তারদের সাধারণতঃ মাথাতেই আসেনা যে এরকম কোন রোগ নিয়ে রোগী এসেছে। প্রথমেই মনে করা হয় ব্যাক্টেরিয়াল বা ভাইরাল মেনিনজাইটিস হয়েছে। সেই হিসেবে চিকিৎসা শুরু করা হয়। কিন্তু অ্যামিবা তো আর এই সব ওষুধে সাড়া দেবে না !



    আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের পরেই এই রোগের সংখ্যা বেশি পাকিস্তানে, কিন্তু সবই প্রায় করাচিতে। আমাদের দেশে বেশিরভাগ কেস কেরালা অথবা তামিলনাড়ুতে। গত দু-তিন বছর কেস বেড়েছে। এ বছর তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি, এখনো পর্যন্ত ৬৯। তবে সুখবর হলো আমাদের দেশে গত কয়েক বছরে কেস বাড়ছে বলে এদিকে নজরও দেওয়া হয়েছে। এত কম কেস বলে নির্ণয় করার দ্রুত টেস্ট ই ছিল না আগে। কয়েক বছর আগে পর্যন্ত যত কেস রিপোর্ট করা হয়েছে, সবই মৃত্যুর পরে পরীক্ষা অর্থাৎ autopsy করে। এখন কিন্তু আমাদের দেশেই রোগীর এখন স্নায়ু -মস্তিষ্কের রস অর্থাৎ cerebrospinal fluid কে অণুবীক্ষণের তলায় দেখে তার মধ্যে সংক্রমণ আছে কিনা দেখে বলা সম্ভব যে কোনো হাসপাতালে। তাছাড়া সূক্ষ্ম ও জোরালো পিসিআর এর মতটেস্ট দ্বারা নির্ণয় ও সম্ভব। সঠিক এবং দ্রুত নির্ণয়ের সাথে সাথে নানা রকম এন্টিবায়োটিক, এবং স্টেরয়েড ব্যবহার করে মৃত্যুহার কমিয়ে ২৭% এ আনা গেছে। এই ৬৯ এর মধ্যে ১৯ জনকে বাঁচাতে পারা যায়নি।

    পশ্চিমবঙ্গের কি ব্রেনখেকো অসুখ হচ্ছে ?
    ২০১৫ থেকে পশ্চিমবঙ্গে এই রোগের কিছু রিপোর্ট পাওয়া গেছে। ২০২২ থেকে এখন পর্যন্ত মাত্র ষোলোটা কেসের রিপোর্ট আছে। কলকাতার ট্রপিক্যাল মেডিসিন এবং বেলেঘাটার ছোঁয়াচে রোগের হাসপাতাল এবং তার সংলগ্ন গবেষণাগার এ সম্বন্ধে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল। এখন টেস্ট এবং চিকিৎসা দুটোই হয়। সর্বশেষ কেস হলো গতবছরের, এ বছরে নয়, যেটা জনপ্রিয় খবরের কাগজগুলি ভুল প্রচার করছে। তবে হ্যাঁ, যে রোগটির কোথাওই ঠিক করে নির্ণয় এখনো সম্ভব হয় না, সেখানে আরো যে এরকম কেস হয়নি এমন কথা হলফ করে বলা যায় না। দূষিত জলের তো এখানে অভাব নেই।

    Prevention is better than cure
    এই বাক্যটির কেন যে আজও একটা সঠিক বাংলা রূপান্তর হল না ! যাই হোক PAM থেকে বাঁচার সব চেয়ে ভালো উপায় হল এই অ্যামিবাকে এড়িয়ে চলা। তার জন্যে আগে জানতে এবং বুঝতে হবে এই অ্যামিবা কোথায় কোথায় থাকে এবং কি ভাবে রোগ সৃষ্টি করে।

    এই অ্যামিবাকে জলে, স্থলে, বাতাসে সর্বত্র পাওয়া গেছে। এদের জীবন চক্রে তিনটে রূপ, কিন্তু সব অ্যামিবাকেই তিন রূপের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে, তার কোনো মানে নেই। জীবনের বেশিরভাগ সময় তারা মিষ্টি জল এবং সেটা যদি নোংরা জল হয় তো আরো ভালো - সেখান থেকে ব্যাকটেরিয়া , শ্যাওলা ইত্যাদি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র জীব ধরে ধরে খেয়ে দিব্যি বেঁচে বর্তে থাকে। এদের জীবনকালের এই অংশটাকে trophozoite বলে। দিব্যি বংশ বৃদ্ধিও করে দু ভাগ হয়ে হয়ে, যাকে বলে binary fission, এবং এই পদ্ধতি অযৌন (asexual) অর্থাৎ মিলন ছাড়াই ঘটে। এদের বেঁচে বর্তে থাকতে মানুষ বা অন্য কোনো প্রাণীকে সেই ভাবে প্রয়োজন নেই। এরা গরম ভালোবাসে। উষ্ণপ্রস্রবণেও এদেরকে দেখতে পাওয়া যায়। আর ক্রান্তীয় বা বিষুব অঞ্চলে এদেরকে বেশি পাওয়া যায়।

    বেশিরভাগ এককোষী প্রাণীদের টিকে থাকা এবং ছড়ানোর একটা কৌশল হল প্রতিকূল পরিস্থিতি এলেই নিজেকে একটা শক্ত খোলায় লুকিয়ে ফেলে ঘাপটি মেরে পড়ে থাকা। সেই অবস্থাটাকে বলে “সিস্ট”, নেইগ্লেরিয়া ফাউলেরিও তার ব্যতিক্রম নয়। এদের কাছে প্রতিকূল পরিবেশ মানে ঠান্ডা এবং শুকনো আবহাওয়া। সেই সময়ে তারা সিস্ট এর খোলায় থাকে। যখন খাবার কমে এসেছে, তখন এরা চায় অন্য কোথাও চলে যেতে। তার জন্য তাদের পায়ের দরকার হয়। এই অবতারটির নাম flagellate - flagella (ফ্লাজেলা) হল শুঁড়ের মত - এই শুঁড় আটকে তারা অন্য প্রাণীর গায়ে চেপে এখান ওখান যেতে পারে।



    আগেই বলেছি এই অ্যামিবার জীবনযাপনে মানুষের তেমন কোন প্রয়োজন নেই। কখনো সখনো হঠাৎ মানুষের নাকের মধ্যে ঢুকে পড়লে নাকের ভেতরের যে পাতলা চামড়া অর্থাৎ মিউকোসা (mucosa) থাকে তার মধ্যে ঢুকে সে সোজা olfactory nerve (অর্থাৎ যে স্নায়ু গুলো ঘ্রাণে সাহায্য করে) বেয়ে সোজা মস্তিষ্কে চলে যায়। আর তারপরেই শুরু হয় PAM অসুখ।



    তার মানে কি দাঁড়ালো, নাকে এই অ্যামিবাকে ঢুকতে না দেওয়া মানেই ব্রেনখেকো অসুখের থেকে পরিত্রাণ?
    এতদিন পর্যন্ত যত কেস পাওয়া গেছে ব্রেনখেকো অসুখের, তাদের মধ্যে বেশ কিছু লোক "জলনেতি" অর্থাৎ জল দিয়ে নাক ধোয়ার যে আয়ুর্বেদিক পদ্ধতি, সেই প্রথার অভ্যেস করেছে বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে শুধু দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু বা কেরালা অধিবাসী নয়, আমেরিকার অধিবাসীও আছে গোটা কয়েক। জলনেতির সঙ্গে PAM এর সম্পর্ক জানার পর এখন অনেক জায়গাতেই পরিশ্রুত জল ব্যবহার করা হয়। কিন্তু দূষিত জল তো খানা, ডোবা, পুকুরে সর্বত্র। এসব ব্যাপারে তো আমাদের দেশের বদনাম আছেই। আমেরিকাতেও কিন্তু এরকম দূষিত জল আছে যেখানে লোকে সাধ করে সাঁতার কাটতে যায় এবং তাদের মধ্যে কেউ কেউ PAM এ আক্রান্ত হয়। আমেরিকাতে সব সময় কলের জলকে আলাদা করে পরিশোধন করা হয় না। দূষিত কলের জল থেকে এই রোগ হয়েছে এমন রিপোর্ট আছে। কেরালায় গত তিন বছর পর পর এই রোগের খুব বেশি প্রাদুর্ভাগ হঠাৎ দেখা যাওয়াতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে অনেক। দেখা গেছে সব কটি কেসই খানা, ডোবা, পুকুরের দূষিত জলের স্নান করার ফল। ক্লোরিন এই অ্যামিবাকে মেরে ফেলে। কাজেই পানীয় জলের ক্লোরিন থাকলে বা সুইমিংপুলের যথেষ্ট ক্লোরিন দিলে সেখান থেকে এই অ্যামিবা আসতে পারে না। কেরালার প্রচুর জায়গায় কুয়োতে ব্লিচিং পাউডার ইত্যাদির মাধ্যমে ক্লোরিন দেওয়া শুরু হয়েছে। সব পুকুরে ক্লোরিন দেওয়া সম্ভব নয় কারণ সেখানে মাছের চাষ হয়। আর পানীয় জল ফিল্টার করা হলেও তাতে এই অ্যামিবা থাকতে পারেনা, কারণ এদের সাইজ ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের চেয়ে অনেক বড়।

    গুজবে কান দেবেন না
    সোশ্যাল মিডিয়াতে পাওয়া খবরে যেমন বিশ্বাসযোগ্যতা অভাব আছে তেমনি গত কয়েক বছরের এক নতুন উৎপাত হয়েছে ট্রোলিং। ডাক্তার যদি বলে থাকেন "কেরালা তে এরকম ব্রেনখেকো অসুখ হচ্ছে নোংরা জল থেকে, নোংরা জলে ডুব দেবেন না", এবার সেই ডাক্তারকে ব্যক্তিগত আক্রমণ থেকে "কেরালা তে মাংসাশী লোক থাকে তারা অন্যায় করে বলে নানা রকম রোগ হয়" এইরকম ট্রোলিং আসল বিপদকে তাড়ানোর বদলে আরো বাড়িয়ে দেয়। স্বচ্ছ ভাবনা বৈজ্ঞানিক ভাবনা ভাবতে শিখুন, রোগ দূরে থাকবে। নোংরা পুকুরের জলে ডুবে স্নান করার দরকার কি? বরং বালতিতে জল তুলে সেই জলে ক্লোরিন দিয়ে তবে স্নান করুন। নোংরা পুকুরের জলে অ্যামিবা নিশ্চয়ই আছে, না হয় নাক বন্ধ করে ডুব দিলেন, কিন্তু বাকি অন্য সব জীবাণু এবং ভাইরাস? নোংরা নদীর জলেও তারা যথেষ্ট পরিমাণে আছে। ধর্মীয় কুসংস্কার মানবেন না নিজের শরীর বুঝবেন, সেটা বুঝে দেখুন।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ০৩ অক্টোবর ২০২৫ | ১১৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই মতামত দিন