এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • m-pox: এক নতুন বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সমস্যা

    Somnath mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১১৩ বার পঠিত
  • m-pox : এক নতুন বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সমস্যা

    এই মুহূর্তে পৃথিবীর সামনে এক নতুন রোগ সংক্রমণের আশঙ্কা। WHO তাদের সাম্প্রতিক অ্যাডভাইসারি সূত্রে আমাদের সতর্ক থাকতে পরামর্শ দিয়েছে সম্ভাব্য monkey pox বা mpox নিয়ে। আফ্রিকার মাটি ছেড়ে এই রোগটি এখন পাড়ি জমিয়েছে অন্য মহাদেশের মাটিতে। আমাদের ঘরের পাশের প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানে এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন এমন তিনজনকে সনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। সুদূর সুইডেনেও এখনও পর্যন্ত একজনের শরীরে mpox এর সংক্রমণের খবর মিলেছে। এই মুহূর্তে ভারতেও হামলার তোড়জোড় শুরু করেছে mpox । ব্যাঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে ভারতে আগতদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পাশাপাশি ২১ দিনের জন্য নিভৃতাবাসে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতির গুরুত্ব আঁচ করেই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে WHO এর পক্ষ থেকে নতুন করে অ্যাডভাইসারি জারি করা হয়েছে।

    পক্স বা বসন্ত রোগ সম্পর্কে আমাদের সকলেরই কমবেশি ধারণা আছে। বঙ্গে থেকে অঙ্গে বসন্তের চর্মপট কখনো চেপে বসেনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া সত্যিই বোধহয় দুর্লভ। প্রধানত মানুষজন বসন্ত বাতাসে ভেসে আসা ভাইরাসের আক্রমণের শিকার হন বলেই হয়তো রোগটির অমন নামকরণ। গ্রাম বাংলায় অবশ্য এই রোগটি মায়ের দয়া নামেই পরিচিত।
    পক্সের যে বিশেষ ধরনটি নিয়ে সদ্য সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে সেই mpox সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার আগে পক্স রোগটি বিষয়ে কিছু সাধারণ কথা জেনে নিই।

    একদম গোড়াতেই জানিয়েছি যে এই রোগটি হলো একটি ভাইরাস ঘটিত সংক্রামক ব্যাধি যা মানুষ ও পশু উভয় শ্রেণির প্রাণিকেই আক্রমণ করে । এর ফলে প্রধানত আমাদের ত্বক বা চামড়া এবং মিউকাস মেমব্রেনের অংশ আক্রান্ত হয়ে থাকে।

    পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই পক্সের প্রাদুর্ভাব দেখা যায় তবে সব ক্ষেত্রেই এক‌ই ধরনের ভাইরাস দায়ি থাকে তেমনটা কিন্তু নয়। কোথাও Avipoxvirus সংক্রমণের প্রধান হেতু হলে অন্যদের পেছনে হয়তো সক্রিয় থাকে Leporipoxvirus, Orthopoxvirus অথবা Parapoxvirus.

    পক্স রোগের সংক্রমণের পেছনে পশুদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। পশুদের থেকেই পরবর্তীতে মানুষের শরীরে তা ছড়িয়ে পড়ে, যেমন sheep pox, horse pox, fowl pox, cow pox, goat pox এবং swine pox । দীর্ঘ তালিকা থেকে এটা স্পষ্ট যে বিভিন্ন ধরনের প্রাণির এই রোগটিকে ছড়িয়ে দেবার ক্ষমতা রয়েছে । তবে ঠিক কীভাবে রোগটি এক শরীর থেকে অন্য শরীরে ছড়িয়ে পড়বে তা নির্ভর করে ভাইরাসের নিজস্ব চরিত্রের ওপর। কিছু ভাইরাস প্রত্যক্ষ শরীরী সম্পর্কের মাধ্যমে বিস্তার লাভ করে, আবার অন্যদিকে শ্বাসবায়ু গ্রহণের দরুণ অথবা পোকামাকড়ের দংশনের মাধ্যমেও এই রোগটি ছড়াতে পারে।

    উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যে Cow pox এবং প্রচ্ছন্ন গাই বসন্ত (pseudo cowpox) দেখা যায় গরুর বাটে এবং এখান থেকেই তা স্পর্শ সংযোগের ফলে মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। পক্সের বিশেষ কোনো শ্রেণি অন্যান্যগুলোর তুলনায় গুরুতর প্রকৃতির হয় ; swine pox যা শূকরের থেকে ছড়িয়ে পড়ে তা সাধারণত খুব প্রাণঘাতী হয়না। Sheep pox এবং goat pox প্রাণিদের ক্ষেত্রে প্রায়শই মারাত্মক হয়ে ওঠে।

    একটা সময় গুটি বসন্ত রোগের প্রকোপ গোটা দুনিয়া জুড়েই মারাত্মক আকার ধারণ করেছিল। সপ্তদশ শতকের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত এই প্রবণতা বজায় ছিল। পরবর্তী সময়ে ইংল্যান্ডের বিশিষ্ট চিকিৎসক ও গবেষক ড: এড‌ওয়ার্ড জেনার এই রোগের প্রতিষেধক টিকা আবিষ্কার করেন ,যার ফলে ব্যাপক টিকাকরণ কর্মসূচির মাধ্যমে এই রোগটিকে নির্মূল করা সম্ভব হয়। ১৯৭৯ সালে WHO এই রোগটি পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছে বলে ঘোষণা করে।

    এবার আসা যাক মাঙ্কি পক্স বা mpox প্রসঙ্গে। এই মুহূর্তে এই রোগটি নতুন করে উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠলেও ১৯৫৮ সালে প্রথম এই রোগটিকে আলাদা করে চিহ্নিত করা হয় গবেষণাগারে বাঁদর নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করার সূত্রে। একেবারে শুরুতে বাঁদরের দেহেই এইটি সীমাবদ্ধ থাকলেও পরবর্তীতে ১৯৭০ সালে মিউটেশনের মাধ্যমে মানুষের শরীরেও ছড়িয়ে পড়ে। বিজ্ঞানীদের মতে এটি একটি zoonotic সংক্রমণের উদাহরণ। আফ্রিকার কঙ্গোতে mpox এর প্রাদুর্ভাব প্রথম লক্ষ করা যায়। এবারেও সম্ভবত কঙ্গো থেকেই রোগটি ক্রমশ ছড়িয়ে পড়েছে বলে স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীদের অনুমান। আফ্রিকা মহাদেশের মাটিতে বহু প্রাণঘাতী ভাইরাস পাওয়া যায়। mpox virus সেই তালিকায় নতুন সংযোজন।

    WHO র বিজ্ঞানীদের মতে পক্সের অন্যান্য শ্রেণিগুলোর তুলনায় mpox অনেক বেশি আক্রমণাত্মক। মাত্র দুই বছর আগে ২০২২এর মে মাসের ২১ তারিখে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে ঐ বছরই ইউরোপ আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়া মহাদেশে এই রোগের প্রাদুর্ভাব হয়েছিল। ঐ একই বছরের আগস্ট মাসে ইন্দোনেশিয়ায় মাঙ্কি পক্সের ব্যাপক সংক্রমণ দেখা যায়। বহু সংখ্যক মানুষ এই সমস্যায় আক্রান্ত হয়। একটা সময় অবশ্য মনে করা হতো যে mpox একান্তই একটি ক্রান্তীয় অঞ্চলের রোগ। সে সময় এই কথাও বলা হয়েছে যে এই রোগটি নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোর মানুষের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আক্রমণ করবে। ফলে স্বাস্থ্যহানি ঘটবে বহু মানুষের। পরবর্তীতে অবশ্য দেখা গেছে যে সম্পন্ন ইউরোপীয় দেশগুলোতে যেমন জার্মানি স্পেন বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশের মানুষের মধ্যেও এই রোগটি ছড়িয়ে পড়ছে। আসলে এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাতায়াতের সূত্রে সংস্পর্শে আসার কারণেই মাঙ্কি পক্সের ব্যাপক সংক্রমণ ঘটে। পাশাপাশি এই রোগটি সম্পর্কে মানুষের সচেতনতাও অত্যন্ত কম।

    বিজ্ঞানীদের মতে মাঙ্কি পক্সের দুটি বিশেষ প্রকার রয়েছে। একটি, যা Clade 1.নামে পরিচিত তার মূলত মধ্য আফ্রিকার দেশগুলোতে যেমন – অ্যাঙ্গোলা, ক্যামেরুন, মধ্য আফ্রিকান
    প্রজাতন্ত্র , চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র, গ্যাবন প্রভৃতি দেশে দাপট দেখায়। আর Clad 2 নামে পরিচিত দ্বিতীয় শ্রেণির পক্সের ব্যাপক প্রভাব দেখা যায় পশ্চিম আফ্রিকার অন্তর্গত ১৬ টি দেশে যেমন বেনিন, বুর্কিনা ফাসো, গাম্বিয়া, ঘানা, নাইজেরিয়া, নাইজার, লাইবেরিয়া, মালি,মরিটানিয়া, সেনেগাল প্রভৃতি। ২০২২ সালে এই রোগের প্রাদুর্ভাব হয়েছিল Clad 2b নামের একটি পশ্চিম আফ্রিকার শ্রেণির থেকে। সাম্প্রতিক সংক্রমণের পেছনে কোনো নতুন শ্রেণির ভূমিকা আছে কিনা তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।

    মাঙ্কি পক্সের প্রাথমিক সিম্পটম বা লক্ষণ চিহ্নগুলোর সঙ্গে সাধারণ পক্সের সিম্পটমের বিশেষ কোনো ফারাক নেই। ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করার কয়েক দিন বা কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই শরীরে লক্ষণ চিহ্নগুলোর দেখা মেলে। এগুলো হলো –

    জ্বর

    একেবারে শুরুতে শরীরের তাপমাত্রা সামান্য বেড়ে যায়। পরবর্তীতে তাপমাত্রা আরও বাড়তে থাকে।

    শরীর জুড়ে rash বের হয়।

    একদম শুরুতে শরীরে ছোট ছোট গুটি দেখা যায়। প্রথম অবস্থায় এগুলো সমান থাকে। এক বা দু দিনের মধ্যেই সেগুলো অনেকটাই বড়ো হয়ে যায়। এগুলোর ভেতরে পুঁজ জমা হতে থাকে। এগুলো শুকিয়ে যাবার সময় চামড়া থেকে খসে পড়ে। রোগীর শরীরে মাঙ্কি পক্স সংক্রমণের দেখা পাবার পর প্রায় দুই থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে এমনটা হয়ে থাকে। এই রোগে আক্রান্ত মানুষের মুখে, মুখগহ্বরে, হাতে,পায়ে, শিশ্নে, মহিলাদের যোনিতে এবং পায়ুপথেও এই গুটিকার আক্রমণ দেখা যায়। প্রদাহ যুক্ত এই গুটিকার কারণে রোগী ক্রমশ নিস্তেজ হয়ে পড়ে, বিশেষ করে শিশুদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

    লিম্ফ নোডগুলো লাল হয়ে ফুলে যায়।

    শরীরে ঠাণ্ডা বোধহয়।

    মাথা ধরা, মাসল পেইন বা পেশির ব্যথা।

    প্রবল ক্লান্তি বোধ হ‌য় । নড়াচড়ার সামর্থ্য থাকে না।

    তবে এই রোগে আক্রান্ত সবার শরীরে সমস্ত উপসর্গ দেখা যায় না। সিম্পটমগুলোর অন্যতর রূপ‌ও দেখা যায়, যেমন – শরীরে কেবলমাত্র rash দেখা দিতে পারে।

    সিম্পটমগুলো অনেকটাই ফ্লু সিম্পটমের মতোও হতে দেখা যায়। কার‌ও শরীরে rash নাও দেখা দিতে পারে।

    শরীর জুড়ে গুটি বার না হয়ে কারো কারো শরীরে একটি বা দুটি বড়ো গুটি দেখা দিতে পারে।

    কোনো ব্যক্তির শরীরে মাঙ্কি পক্সের ভাইরাস বাসা বাঁধলেও অনেক সময় তা আক্রান্তের নজর এড়িয়ে যায়। শরীরে এই রোগের লক্ষণ পরিপূর্ণভাবে প্রকাশ না পেলেও তার পক্ষে সংক্রমণ ছড়িয়ে দেওয়া মোটেই অসম্ভব নয়। যেহেতু এই রোগটি প্রধানত রোগীর শারীরিক সংস্পর্শে আসার ফলেই অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে, সেহেতু সবসময় এমন ব্যক্তির থেকে দূরে সরে থাকতে হবে। প্রাণিদের মধ্যেও এই রোগটি দেখা যায়, তাই গরু, ছাগল, মুরগি ইত্যাদি গৃহপালিত পশু পাখিদের থেকে দূরে সরে থাকতে হবে।

    এক মানুষ থেকে অন্য মানুষের মধ্যে ছড়ানোর ক্ষেত্রে শরীরের কোনো অংশের ঘা, পাঁচড়া,লালা, থুতু এগুলোও খুব গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি কাউকে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে ধরা, চুম্বন বিনিময় কিংবা যৌন সম্পর্ক স্থাপন করার ফলেও এই রোগটি বিস্তার লাভ করে। এছাড়াও আক্রান্ত মানুষের জামা কাপড়, বিছানা ইত্যাদি থেকেও মাঙ্কি পক্সের ব্যাপক সংক্রমণ ঘটে।
    পৃথিবীর দরিদ্র বা অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর পরিবারের সদস্যদের মধ্যে এখনও সচেতনতার অভাব রয়েছে, ফলে একজনের থেকে অন্যজনের মধ্যে দ্রুত এই রোগটি ছড়িয়ে পড়ে মহামারীর চেহারা নেয়।

    মাঙ্কি পক্স বা mpox এর ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে কতগুলো বিধি নিয়ম অবশ্যই মনে রাখতে হবে।

    ১. কার‌ও শরীরে rash বের হলেই সতর্ক হোন। এমন মানুষের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন।

    ২.আক্রান্ত মানুষের ব্যবহৃত জামা কাপড়,চাদর, কম্বল ইত্যাদি ব্যবহার করা চলবে না। এগুলো থেকে দূরে থাকুন।

    ৩.আক্রান্ত রোগীকে অন্যান্য সুস্থ মানুষদের থেকে আলাদা করে দিন।

    ৪.কোনোভাবে আক্রান্ত মানুষের সংস্পর্শে এসে গেলে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে খুব ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে। নিয়মিত স্যানিটাইজার ব্যবহার করা উচিত।

    ৫. যে সব পশু পাখিদের মধ্যে এই রোগের সংক্রমণ ঘটে তাদের থেকে সবাইকে দূরে সরিয়ে রাখতে হবে।

    কিছুকিছু small pox vaccine এক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায়। তবে এই বিষয়ে উপযুক্ত পরামর্শ নিতে হবে। যেহেতু mpox এর কোনো কার্যকর প্রতিষেধক নেই সেই কারণে নিজেদের সচেতন থাকতে হবে আরও বেশি বেশি করে। অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। মনে রাখবেন সচেতন ও সাবধান হ‌ওয়াই এর একমাত্র প্রতিষেধক ।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সৌমেন রায় | 2409:40e1:8:425a:8000::***:*** | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৯:২৪538074
  • একদম সমসাময়িক বিপদের ব্যাপারে সতর্ক করে দেওয়ার জন্য  অশেষ ধন্যবাদ।
    জেনারের টিকা আবিষ্কারের গল্পটি শোনালে বেশ হতো। 
    ইতি - গল্প কাঙাল
  • পলি মুখার্জি | 2405:201:8000:b1a1:d524:3b03:9a4f:***:*** | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:৫৮538112
  • WHO সতর্কবার্তা জারি করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত ভাবেই উদ্বেগের। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই অন্তত এই মুহূর্তে। লেখক আমাদের সচেতন হতে বলেছেন। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন