পশ্চিমবঙ্গের বামেদের (এদের সঙ্গে বামপন্থার কোনো যোগ নেই) ভণ্ডামি নিয়ে আলোচনা করলেন সরিৎ চট্টোপাধ্যায়।গুরুর পাতায় এদের অনেককেই দেখা যায়! এরা রামমোহন-বিদ্যাসাগরের পিণ্ডি চটকায়, বঙ্কিম-বিবেকানন্দের শ্রাদ্ধ করে! মহাকাব্যে হিংসা খুঁজে পায়! দুর্গাপূজাকে বাঙালীর লজ্জা বলে প্রচার করে! কুমারীপূজা নিয়ে কান্নাকাটি করে! শিবরাত্রি নিয়ে নোংরা লেখা নামায়! কথায় কথায় মনুসংহিতা নিয়ে নাচানাচি করে কিন্তু শরিয়তী আইন চায়! রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ, ইসকন নিয়ে এদের খুব সমস্যা হয় কিন্তু আব্বাসকে প্রলেতারিয়েত নেতা বলে প্রচার করে! আব্বাসের হুমকিকে সাবঅল্টার্ন রাজনীতি বলে, মুসলিম জাতির অধিকারের আন্দোলন বলে চালাতে চায়!
সারা পৃথিবীর সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে, কিন্তু বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের সময় চুপ থাকে! তখন সেটা অন্যদেশের ব্যাপার হয়ে যায়!
--------------------------------------------------------------------
পূর্ব পাকিস্তান, অধুনা বাংলাদেশে যে গত ৭৭ বছর ধরে হিন্দু জেনোসাইড চলছে, এ কথা বাংলার বামেরা ছাড়া আর কেউ ডিনাই করে না।
এমনকী বাংলাদেশ নিজেও করে না।
এই বাম জিও পলিটিক্স গত পঞ্চাশ বছরে বাংলাদেশের মৌলবাদী মুসলিম জনতা ও সরকারের বিরুদ্ধে একটি বারও কোনও প্রতিবেদন, বার্তা, অবস্থান বা প্রতিবাদ জানায়নি, এবং কোনও বামমনস্ক মানুষকে তেমন কিছু করতেও দেয়নি।
প্রকারান্তে বর্তমান তৃণমূল সরকারও সেই নীতিই চালিয়ে যাচ্ছে।
এদের সঙ্গে জড়িয়ে আছে কিছু তস্কর, জঙ্গি, প্রকাশক, পরিচালক ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান।
এই ভারতবিরোধী চক্রান্তে এরা অ্যাক্টিভলি ইনভল্ভ। ভারত সরকারকে হয়ত দেশের বাইরে ও ভেতরে, দুই জায়গাতেই এই চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে।
কিন্তু হিন্দু হৃদয়সম্রাট সেরকম কিছু করবেন বলে মনে হয় না। কারণ ২৪১-এর পর ৫৬ ইঞ্চি এখন ৩২ হয়ে গেছে।
তাই এই জেনোসাইড খুব তাড়াতাড়ি থামবে না।
ভুগবে এদেশের মানুষও। পশ্চিমবঙ্গে ইতিমধ্যেই ভুগছে।
মন্দের ভালো বাবু অমর্ত্য সেনের কথা অনুযায়ী আমরা হয়ত পশ্চিমবঙ্গেও আবার নতুন করে ভূমি সংস্কার হতে দেখব। আশা করাই যায় যে অত বড় অর্থনীতিবিদ যা বলেছেন, সবার মঙ্গলের জন্যই বলেছেন।