এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • Meticulously Designed...! 

    কিংবদন্তি লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৩৮৭ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • এখন আলোচনার বিষয়বস্তু পরিবর্তন হয়ে গেছে। একের পর এক শিবির কর্মীর আত্মপ্রকাশ হচ্ছে আর সাধারণ মানুষ স্তম্ভিত হয়ে যাচ্ছে। কেউ বলছে আমাদের আবেগ নিয়ে খেলেছে শিবির, কেউ প্রশ্ন করছে ঠিকই করেছে, এমন না করলে কী স্বৈরচারী সরকারের পতন হত? অনেক তারকা যারা সরাসরি আন্দোলনে যোগ দিয়েছিল তারা নিশ্চুপ হয়ে গেছেন। সায়ানকে দেখলাম একটা দীর্ঘ ভিডিওতে তাঁকে এখন যে গালিগালাজ করা হচ্ছে তার প্রতিবাদে একটা কবিতা পাঠ করতে, কিন্তু কী থেকে কী হল তা নিয়ে কিছু বলেছেন বলে মনে পড়ছে না। 

    আসলেই তো এই প্রশ্নটা জরুরি প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এইটা কী মেনে নেওয়ার মতো? এমন একটা আন্দোলন, যাকে গণ অভ্যুত্থান বলা হচ্ছে, এখন দেখা যাচ্ছে তা সরাসরি স্বাধীনতা বিরোধী একটা চক্রের খুব সুনিপুণ পরিকল্পনার অংশ, এটাকে মেনে নেওয়া যায়? না কি মেনে নিব আমরা এই বলে যে এমন একটা পরিকল্পনা করা হইছিল বলেই শেখ হাসিনাকে গদি চ্যুত করা করা গেছে, না হলে কোনদিন তা সম্ভব হবে এমন স্বপ্নও কেউ দেখে নাই কিছু দিন আগে। কোনটা জরুরি বেশি? 

    এইটা বুঝার জন্য একটু ঠাণ্ডা মাথায় ভাবতে হবে। জুলাই ম্যাসাকারের জন্য সরকারের দায় নাই? একশ ভাগ আছে, এইটা নিয়ে কোন সন্দেহ নাই। এখন আপনে যদি শুধু থাপড় দেওয়া দেখে বিচার করেন আর কেন থাপড় মারা হল তা চিন্তা না করেন তাহলে বিচার হবে ভিন্ন, আর যদি ভাবেন কেন কেউ একজন থাপড় মারল আরেকজনের গালে, কারণটা কী তাহলে হিসাব হবে ভিন্ন। আমি এই প্রসঙ্গ এনেছি বলে ভাবার দরকার নাই যে আমি জুলাই ম্যাসাকার সমর্থন করছি, আমি কী কেন কীভাবে এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছি শুধু। 

    শিবির বা জামাতের যে বিশাল পরিকল্পনার গল্প আমরা শুনছি এখন, তাদের যে নেতা কর্মীদের পরিচয় বের হচ্ছে, তারা যেসব কথাবার্তা বলছেন মিডিয়ার সামনে তা দেখে আমার মতো মানুষের ভয় পাওয়া স্বাভাবিক। আমি এই ভয়টাই পেয়েছি পুরো জুলাই আন্দোলন জুড়ে। সাধারণ আন্দোলনে এমন দৃশ্য দেখা যায় না, এমন কিছু ঘটেও নাই, যা এই আন্দোলন জুড়ে হচ্ছিল। যারা শিবিরের কার্যক্রম সম্পর্কে জানত, যারা শিবিরকে কাছ থেকে দেখেছে তারা আমাকে শুরুতেই বলছিল যে ভাই, এগুলা শিবিরের কাজ! আমিও তাই মনে করতাম কিন্তু নিশ্চিত ছিলাম না। কারণ দেখছি স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন, সবাই শিবির? এখন দেখা যাচ্ছে সবাই শিবির হওয়ার দরকার নাই, শুধু বিশাল ভেড়ার পালকে চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার মতো কিছু হলেই চলে! যদিও আমরা এখনও জানি না ঠিক কতজন শিবির এমন আত্মপরিচয় লুকিয়ে কাজ করে গেছে। শুধু মাথার কয়েকজনের পরিচয় জানা গেছে। কর্মীদের সংখ্যা কত, তাদের ভূমিকা ইত্যাদি জানা যায়নি, জানা যাবেও না সম্ভবত। 

    আজকে একটা ভিডিও দেখলাম, তাতে দেখা যাচ্ছে ডক্টর ইউনুস তার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমকে ক্লিনটন ফাউন্ডেশনের এক অনুষ্ঠানে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন এই আন্দোলনের মাস্টার মাইন্ড হিসেবে। সেখানে তিনি বলেন, "He (Mahfuz) is known as Subedar  behind the whole revolution, he denied repeatedly it’s not me many others …but now we recognise that there brain behind the whole thing … it’s amazing meticulously designed thing…it’s not just suddenly came it’s not like that…very well designed … even the leadership pattern …people don’t know who is the leader…you can’t catch one and say it’s over…it’s not over" 

    যারা জানার তারা জানত। ডক্টর ইউনুস নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেলেও ভালো করতেন, যে তিনিও জানতেন বৃহৎ এক পরিকল্পনা করা হচ্ছে সরকার পতনের। তাহলে হয়ত পুরোটা বলা হত, সত্য বলা হত। যাই হোক এগুলা এখন দিনের আলোর মতো সত্য, কেউ স্বীকার করুক আর নাই করুক। 

    যে প্রশ্ন দিয়ে শুরু করে ছিলাম, শিবির বা জামাত পরিচালিত এই আন্দোলনের ফলে যে সরকারের পতন তাকে গণ অভ্যুত্থান বলা যাবে কি না। এবং এতে দায় সরকারের কতটা? লাশের দায় তো নিতেই হবে। কিন্তু লাশ হওয়ার জন্যই যদি আসে? যদি পরিকল্পনাই থাকে আত্মঘাতী? যে কট্টর পন্থিদের কথা বলা হচ্ছে তাদের দ্বারা এইটা খুব অসম্ভব? একশ মরে যাব, দুইশ মরে যাব দেখে কীভাবে সরকার টিকে থাকে, এমন যদি আসল পরিকল্পনা হয়ে থাকে? আপনি কী করে টিকে থাকবেন? আর এমন লাশ পড়লে মানুষ মেনে নিবে না, রাস্তায় নামবেই, আর এটাই তো চাওয়া ছিল, ওইটাই পাওয়া হয়েছে, তাই না? 

    ডক্টর ইউনুসের বক্তব্যটা আবার খেয়াল করে দেখুন, তিনি একেবারে সুনির্দিষ্ট করে বলেছেন যে এইটা সুনিপুণ পরিকল্পনার অংশ। বলেছেন কে নেতা তাও খুব চাতুরটার সাথে লুকিয়ে রাখা হয়েছে, একজন ধরা পড়লে আরেকজন তার জায়গা নিয়েছে। এই যে কর্ম পদ্ধতি এগুলা আমরা ইসলামিক কট্টর পন্থিদের মাঝে আগেও দেখেছি। বিশেষ করে মাহফুজ আলম, যাকে সন্দেহ করা হয় হিজবুত তাহরীরের সাথে সম্পর্ক আছে তার, তখন আরও পরিষ্কার হয় না? ওদের দ্বারাই তো সম্ভব। হোলি আর্টিজেনের মতো কাণ্ড যারা ঘটাতে পারে তাদের পক্ষে সম্ভব কী? এক্সট্রিমিস্ট সবাই যে এক হয়নি তা আমি আপনি কী নিশ্চিত? আমরা জানি কি যে সমস্ত ইসলামিক এক্সট্রিমিস্ট্ররা এক হয়েই এমন একটা কাণ্ড ঘটিয়েছে? আমরা জানি না। 

    দায়ের আলাপে যাচ্ছি। তার আগে নোবেল জয়ীকে নিয়ে একটু বলি। লোকটাকে মহৎ, মহানুভব, বট বৃক্ষের মতো মনে করে অনেকেই। তিনি কেন নিচু মনের কাজ করবেন? তিনি কেন দেশ বিরোধী কিছু করবেন এমন বিশ্বাস অনেকেরই আছে। আমিও মেনে নিতে দ্বিধা করি বারবার যে তিনি আসলেই দেশ বিরোধী কিছু করবেন। কিন্তু এই কয়দিনে আমার বিশ্বাস টুকরোটুকরো হয়ে গেছে কয়েকবার করে। তার কথা গুলো খেয়াল করে দেখুন আবার। তিনি তিনি গর্ব করে যাকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন তিনি নিশ্চয়ই জানেন এই ছেলে সোজা ছেলে না, কেউ বলে শিবির, কেউ বলে হিজবুত তাহরীরের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে তার। এইটা তো বাস্তব সম্মত না যে একটা ছেলে খুব দুর্দান্ত পরিকল্পনা করেই আওয়ামীলীগের মতো শক্তিশালী একটা দলকে দেশ ছাড়া করে ছাড়ল। এইটা তো সম্ভব না। তো এই যে মাস্টার মাইন্ড তিনি নিশ্চয়ই কোন দলের আদর্শে বিশ্বাস করেন। অনেকেই যেমন বললাম বিশ্বাস করে হিজবুত তাহরীরের সাথে বা শিবিরের সাথে তার যোগাযোগ ছিল বা তিনি তাদেরি কর্মী বা নেতা। এই যদি হয় তার পরিচয় তাহলে একজন দেশ ভক্ত, দেশপ্রেমিক নাগরিক কী করে এই ছেলেকে নিজের সহকারী নিয়োগ দেয়, তাকে বিশ্ব দরবারে গর্ব করে পরিচয় করিয়ে দেয়? তার কী জানা নাই জামাত কী? শিবির কী? হিজবুত তাহরীর কী? তিনি সত্যই বিশ্বাস করেন শুধু মাত্র পরিকল্পনা করেই সরকার ফেলে দিয়েছে মাহফুজ আলম? যে জেনে বুঝে এমন একটা কাজ করল তাকে আমরা কী নামে ডাকব? যে নিজের স্বার্থে বা একটা দলের স্বার্থে, এমন কট্টর ইসলামিক দল গুলোর সাথে হাত মিলাতে দ্বিধা করলেন না! তিনি জামাত তো জামাত, গোলাম আজম বেঁচে থাকলে তার কোলে গিয়ে উঠতেও দ্বিধা করতেন বলে মনে হয় না। 

    আওয়ামীলীগের দায় অস্বীকার করার উপায় নাই। এমন একটা বিশাল পরিকল্পনা হচ্ছে এইটা তারা জানে না এইটা হচ্ছে সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা। লাশ ফেলার দায় তো আছে। আত্মঘাতী হয়ে যাচ্ছে কিছু মানুষ এগুলা বুঝা উচিত ছিল না? অন্য কেউ, কোন কোন সোর্স থেকে গুলি করে মানুষ মারছে এইটা বুঝা দরকার ছিল না? সেই অনুযায়ী কাজ করা দরকার ছিল না? তা না করে সেই আগের ফর্মুলায় সব ডাণ্ডা মেরে ঠাণ্ডা করে দিব বলে সমাধান করতে গেছে। ফলাফল চোখের সামনে! 

    কেউ কেউ বলবেন যে আওয়ামীলীগ যেমন করে বসে ছিল তাদের নামাতে এমন কিছুই দরকার ছিল। তা যদি সত্য হয় তাহলে এতদিন হল না কেন? কেন এমন লম্বা সময় ধরে মানুষ রাস্তায় নামল না? মানুষ এত এত অত্যাচারে শিকার হচ্ছিল, মানুষের রাস্তায় নামার কথা না? ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে, মানুষ পাত্তাও দেয় নাই। বিএনপি ডেকে ডেকে হয়রান হয়েছে, গণ মানুষ নামে নাই। কেন? কারণ গণ মানুষের কাছে মনে হয়েছে যেমন চলছে তেমন চলাই ভালো, এরচেয়ে ভালো আর কেউ চালাইতে পারবে না। নানান অপকর্ম সত্ত্বেও দেশের অর্থনীতিকে একটা পর্যায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে, অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে। দুর্নীতি হয়েছে, যখন চোখের সামনে আসছে তখন ধরা হয়েছে, ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। বিকল্প নাই বলে যে মতবাদ চালু ছিল তা এমনে এমনেই না। তার কিছু সার ছিল। এত খুঁজে, এত আয়োজন করে সবচেয়ে যোগ্য যে বিকল্প হাজির করা হল তার অবস্থা কেমন তা আমরা প্রতিনিয়ত দেখছি না? বিকল্প নাই তাহলে খুব ভুল কি বলা হয়েছে? 

    কোন হিসাবে কোন যুক্তিতে দাগি সব আসামিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে? কার বুদ্ধি? এইটা কোন বৃহৎ পরিকল্পনার অংশ? এইটা একদিন কেউ আমাদেরকে নিশ্চয়ই জানিয়ে যাবেন। চট্টগ্রামের ডুলাহাজরায় যে সেনা অফিসার ডাকাত ধরতে গিয়ে মারা গেছেন,  বলা হচ্ছে এই ডাকাতরা ৫ আগস্টর পরে জামিনে মুক্ত হয়েছে। বেলাল হোসেন নামের এই ডাকাত বেশিদিন আগে না, ২ জুলাই ধরা পরে। নয়টা মামলা আছে তার নামে। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যক্রম, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, জমি দখল, ঘের দখলসহ বিভিন্ন অপরাধে মামলা রয়েছে।২৪ সেপ্টেম্বর তাকে ধরা হয়েছে। কেউ জিজ্ঞাস করবে না তাকে ছাড়া হয়েছিল কেন? 
    ডক্টর ইউনুস লাফ দিয়ে যে রংপুর গিয়ে আবু সাইদের বাড়ি চলে গিয়েছিলেন ক্ষমতা পাওয়া মাত্র, তিনি এই শহীদ সেনা অফিসারের বাড়ি যাবেন? তার পরিবারকে বুঝিয়ে বলবেন এই সব দাগি ডাকাতদের ছাড়ার মহৎ পরিকল্পনাটা? আমরাও জানতাম এমন একটা কাজের আসল কারণ! 

    আমরা দায় দিব আওয়ামীলীগকে, শেখ হাসিনাকে। কিন্তু একবার এই পরিবর্তিত সময়ে, মানে যখন সব পরিষ্কার হয়েছে যে এইটা একটা পরিকল্পিত আন্দোলনের ফসল তখন আমরা একবারও শেখ হাসিনা আগে কী বলে গেছে তা শুনব না? তার এই কথা গুলো যদি সত্য হয়, বাকি গুলোও কেন সত্য হবে না ভাবছি আমরা? তিনি বলে আসছিলেন জামাত শিবিরের তাণ্ডব এগুলো, আমরা বিশ্বাস করি নাই। এখন দেখা যাচ্ছে এগুলা সত্য, প্রধান উপদেষ্টা নিজেই দুনিয়ার কাছে তা বলে বেড়াচ্ছেন। তাহলে একটু চিন্তাশীল যদি কেউ হয়ে থাকি আমরা, আমরা কি বাকি কথা গুলো এখন আবার দ্বিতীয়বার শুনব না? আবার নতুন করে চিন্তা করব না? তিনি আর কি বলছেন? চট্টগ্রামের কিছু অংশ, মায়ানমার নিয়ে একটা খ্রিস্টান রাষ্ট্র বানানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে, বঙ্গোপসাগরে একটা ঘাটি তৈরি করা হবে, এইটা বৃহৎ পরিকল্পনা, এমনই তিনি বলেছিলেন। আমরা তখন এগুলাকে খুব একটা পাত্তা দেই নাই। এখনও পাত্তা দিব না? 

    আমরা অবশ্যই আওয়ামীলীগকে দায় দিব। কিন্তু যারা আজকে প্রকাশ্যে ঘোষণা দিচ্ছে এইটা একটা দুর্দান্ত পরিকল্পনার ফসল তখন আমরা কেন তাদেরকেও দায় দিব না? যে ছেলে গুলো হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে তাদেরকে কি কেউ গিয়ে বলবে যে তারা আসলে দাবার গুটি ছিল, বৃহৎ পরিকল্পনার অংশ ছিল? এতগুলো মানুষের জীবন গেল, কেউ তাদের পরিবারকে গিয়ে বলবে স্বৈরাচার পতনের জন্য আপনার  সন্তানের লাশটা আমাদের প্রয়োজন ছিল? এমন একটা ঘোষণার পরে কেন এই আন্দোলনের পরিকল্পনাকারীদেরকে প্রশ্নের আওতায় আনা হবে না? কেন জিজ্ঞাসা করা হবে না যে তারা কতদূর পর্যন্ত পরিকল্পনা করেছিল? যদিও এখন উত্তর হবে আমরা জীবন দিয়ে দেওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে থাকব এমন পরিকল্পনা করেছিলাম, শেখ হাসিনা একের পর এক হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে গেছে, সরকার পতন হয়ে গেছে! 

    আসল খবর জানি না। যে ইউনুস সাহেব বিশ্ব দরবারে হাসতে হাসতে যা বলেছে সেই আলোকেই বললাম এগুলা। আজকে দেখলাম ছাত্রদলের বেশ কিছু নেতা তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইউনুস সাহেবের এই ঘোষণার। তারা বলছে আমরা সব কিছু করলাম, তারেক জিয়া টাকা দিল, ঢাকা অচল করে দিলাম আমরা, যখন সব ছাত্ররা পিছিয়ে  গেল তখন আমরা ভুয়া আইডি কার্ড বানিয়ে রাস্তায় নামলাম আর আজকে দুনিয়ার সামনে বলা হচ্ছে মাস্টার মাইন্ড হচ্ছে মাহফুজ আলম! এই হচ্ছে অবস্থা! আর একে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন বলা হচ্ছে, গণ অভ্যুত্থান বলা হচ্ছে। হয় এগুলা সত্য, এরাই সব করেছে, মানুষ মারার প্লান করেছে, মরেছে নিজেরাও, মরিয়া হয়ে সরকার পতনের চেষ্টা করেছে আর না হয় জনগণ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে রাস্তায় নেমে সরকারের পতন ঘটিয়েছে। যদি সব তারাই করে তাহলে সাধারণ মানুষ যারা মারা গেছে, আহত হয়েছে তাদের সাথে চরম বেইমানি করা হল না? প্রকারন্তে বলা হল না তোমরা কিছুই কর নাই, আমরাই সব করছি! অলরেডি দুইপক্ষ হাজির সব কৃতিত্ব নেওয়ার, তাহলে সাধারণ জনগণ কী করল? ভেড়ার পালের ভূমিকা?  

    এত কিছুর পরেও এইটা সত্য যে হত্যাযজ্ঞের দায় আওয়ামীলীগকে নিতে হবে। এত গুলা লাশ যে কারণেই হোক, যেভাবেই হোক, যেহেতু তাদের সরকার ছিল তাই দায় তাদেরকে নিতে হবে। নিজেদের ব্যর্থতা শিকার করতে হবে, ভুল গুলোকে বুঝতে হবে, তারপরেই যদি সামনে আগানোর পরিকল্পনা করা যায়। এ ছাড়া উত্তরণের অন্য কোন পথ নাই। সামনে কঠিন সময় আসছে। ডক্টর ইউনুস দানব হয়ে আওয়ামীলীগকে শেষ করে দেওয়ার জন্য সম্ভবত এমন কোন পথ নাই যা তিনি চেষ্টা করবেন না। আইন উপদেষ্টা খালেদ মহিউদ্দিনের অনুষ্ঠানে বলছে আওয়ামীলীগকে নিয়ে কী করা হবে তা এখনও কিছু চূড়ান্ত হয়নি, সংগঠনকে বিচার তারা করতে চান না, নিবন্ধন বাতিল এমন কিছু ভাবা হচ্ছে ইত্যাদি! এদের সাথে টক্কর দিয়ে সামনের রাজনীতির পথ খুঁজতে হবে আওয়ামীলীগকে। 

    আচ্ছা, ৫ আগস্টের আগের সব মৃত্যুর দায় যদি আওয়ামীলীগকে নিতে হয়, যা নিতেই হবে তাদেরকে, ৫ তারিখের পরের মৃত্যু গুলোর দায় কেন ইউনুস সরকার নিবে না? ৫ আগস্টের আগে যতজন মারা গিয়েছে তারপরে ততজন বা তারচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বাংলাদেশে, সেই দায় কেন ডক্টর ইউনুস নিবে না? 
     
    [img]
     
     


     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৩৮৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • প্রীতম টিকাদার | 2001:268:c299:f50d:286e:58fd:9932:***:*** | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৬:৪৬538100
  • শরীফ ভাই, আপনি ৫ আগস্টের পর থেকেই আপনার এলাকার এবং দেশের অনেক বাস্তব ঘটনা সম্পর্কে লিখে বোঝাতে চেয়েছেন যে দেশ আসলে খুব একটা ভালো নেই এবং ভালো পথে এগুচ্ছেও না। আপনার এ ধারণার সাথে আমিও একমত।
    কিন্তু এখন আপনি আন্দোলন বিষয়ে যা লিখছেন সেটাকে সত্যর চাইতে কন্সপিরেসি থিওরি বলেই মনে হচ্ছে। এটা হলো একটা অভূতপূর্ব ঘটনা যখন ঘটে যায় তখন অনেকগুলো সম্ভাবনার মধ্য থেকে শুধু নিজের মন যেগুলোকে সত্যি হিসাবে জানলে সুখ পায় শুধু সেগুলোকে একটার পর একটা সাজিয়ে ঘটনাটাকে ব্যাখ্যা করা, এবং একবার শুরু আর শেষটা জোড়া লেগে গেলে তারপর আর মাঝের অসংগতিগুলোকে পাত্তা না দেয়া।

    যেমন, প্রথমত আমার মনে হয় গত একটা লেখায় আপনি যে ইংগিত করতে চাইলেন যে আবু সায়ীদকে শিবির জামাত কর্মীরাই খুন করেছে, সে বিষয়ে আপনার ক্ষমা চাওয়া উচিত। আপনি প্রমাণ হিসাবে শুধু প্রথম তদন্তের রিপোর্টটা দিলেন। এমন একটা রিপোর্ট যেখানে পুলিশের কোনও রকম সংশ্রবকে অস্বীকার করা হয়েছিল এবং আসামী হিসাবে গ্রেফতার করা হয়েছিল একটা বারো-তের বছর বয়সী ছেলেকে যার আসলে ঘটনাস্থলে থাকার কথাই না। আর বাংলাদেশ বা ভারতে পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট যে কতোটা উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়, সেটার উদাহরণ হিসাবে কয়েক বছর আগে আইআইটি খড়গপুরে হওয়া একটা নির্মম খুনকে সামান্য আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার ঘটনাটা আপনিও গুরুচন্ডালিতে পড়েছেন আশা করি। তার ওপর এখন দ্বিতীয় পোস্ট-মর্টেমের রিপোর্ট বের হয়েছে যেখানে বলা হয়েছে আবু সায়ীদ ছররা গুলির থেকে হওয়া ইন্টার্নাল ব্লিডিংয়ের কারণেই মারা গেছে। পুলিশ হয়তো ঠিক খুন করার জন্যই গুলি করে নি। কিন্তু আবু সায়ীদের শরীর গুলিতেই ঝাঝরা হয়েছে আর তাকে ওখান থেকে চ্যাংদোলা করেই সরাতে হয়েছে। তার মৃত্যু ঠিক ওখানেই হতে পারতো। এটা বিবেচনা না করে যারা গুলি চালিয়েছে তারা খুনি ছাড়া আর কিছুই না।

    দ্বিতীয়ত আজ আপনি যে ইংগিত করছেন, মাহফুজ আলম হয় শিবির নেতা না হয় ইসলামী জেহাদী, আর আন্দোলনে মারা যাওয়া কয়েকশো মানুষ ছিল শিবির কর্মী যারা আসলে পরিকল্পিতভাবে আত্মঘাতী হয়েছে, এ ধারণাটাকেও আপনার অন্য দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার চেষ্টা করা উচিত মনে হয়। আন্দোলনে জামাত শিবির, বিএনপির কর্মীরা সক্রিয় ছিল অবশ্যই। আবু সায়ীদও শিবিরের কর্মী ছিল। কিন্তু তারা কেন আন্দোলনে থাকবে না? শেষ পর্যন্ত তারা তো বাংলাদেশেরই মানুষ। আন্দোলন করাটা তাদের রাজনৈতিক অধিকার। তাদের সেই অধিকার যারা কেড়ে নিতে চেয়েছে, তাদের ওপর নির্বিচারে, বিবেকহীন হয়ে গুলি চালিয়েছে, সেই সরকার একটা স্বৈরাচারী সরকারই ছিল। সে সরকারের পতন শুধু জামাত শিবির আর বিএনপি না, দেশের সিংহভাগ মানুষ চেয়েছে বলেই সম্ভব হয়েছে। এই কথাটা আমি আমার চারপাশের অনেক নিরীহ লোককে স্বতঃস্ফুর্তভাবে আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করতে দেখেছি বলেই বলতে পারছি। ঘটনাটাকে শুধু "২ জন ফ্যাসিস্ট + ২৮ জন আম-জনতা = ৩০ জন ফ্যাসিস্ট" এই সমীকরণ দিয়ে ব্যাখ্যা করা সম্ভব না।
    আসলে এই আন্দোলন আমাকে গুরুচন্ডালিতে পড়া একটা কথাই নিজের সম্পর্কে ভাবতে শিখিয়েছে - আমরা আসলে পোশাক দেখে লাশ চিনি। দুটো খুনের মধ্যে পার্থক্য করি। কিন্তু সত্যটা হলো আইনের শাসন টুকরো টুকরো করে প্রতিষ্ঠা হয় না। দেশে হয় সবাই নিরাপদ, না হয় কেউ নিরাপদ না।
    যারা আন্দোলন করেছে তাদের বেশিরভাগই ভাবে নি সরকার পতনের পর দেশ সত্যিই আরও খারাপ দিকে যাবে। কিন্তু তারা যে মনে মনে সব সময় এক ধরণের অনিরাপত্তা আর অসহায়ত্বের অনুভূতি নিয়ে এই সময়টা পার করেছে আর সেটা যে আওয়ামী সরকারের অহংকারী, অদূরদর্শী, স্বৈরাচারী সিদ্ধান্তের কারণেই সৃষ্টি হয়েছে সেটাও একটা সত্যি। সুতরাং সেই অসহায়ত্বের অনুভূতি থেকে দু-দন্ডের মুক্তির জন্য তারা সেই মুহূর্তে আওয়ামী সরকারের পতনকেই জরুরি বলে মনে করেছে। দিন শেষে মানুষের অন্তরের অকুস্থল থেকে প্রকাশিত হওয়া এমন আকুতিকেই আমার জাতীয়তাবোধ বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মতো বিমূর্ত ধারণার থেকেও চিরন্তন, মানবিক আর মহিমাময় বলেই মনে হয়।
  • কিংবদন্তি | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:৫০538105
  • প্রীতম টিকাদার, আপনি এই লেখাটা আর কিছুদিন আগে করলে আমি হয়ত অন্য কিছু বলতাম, নিজের মধ্যে খুঁজে দেখতাম আমি একপেশে কোন কথা লিখছি কি না। কিন্তু এখন পরিস্থিতি পরিবর্তন হয়ে গেছে। যখন প্রধান উপদেষ্টা হাসতে হাসতে সবাইকে জানায় এই আন্দোলন সুচারু ভাবে সুপরিকল্পিত ছিল তখন আর কোন ব্যাখ্যা থাকে না। আমার পছন্দের একজন লেখক নাম হচ্ছে নাঈম হোসেন ফারুকী, বিজ্ঞান বিষয়ে কিছু মজার বই আছে উনার, এ ছাড়া সমাজের নানা কুসংস্কার নিয়ে কাজ করেন। কোথাও ভূত প্রেত আছে শুনলে সেখানে চলে যান, রাত কাটান ইত্যাদি। তার পরিচয় দিলাম এইটা বুঝাইতে যে তিনি একটু ঘিলু রাখেন, একেবারে ফেলনা কেউ না। তিনি পুরো সময় আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন। ইউনুস সাহেবের ঘোষণার পরে তিনি একটা উদাহরণ দিয়েছেন, উদাহরণটা পড়লে হয়ত বুঝতে পারবেন আসলে কি হইছে এখানে! - 
     
    "আমি যাচ্ছিলাম একটা মুড়ির টিনের বাসে৷ রাস্তায় আর কোনো বাস নেই, বিকল্প একটা রিকশা। একদিন বাসে আগুন লেগে গেলো, কিছু যাত্রী পুড়ে মরল - আমরা বুঝলাম বিকল্প থাক না থাক বাস থেকে নামা ছাড়া উপায়ই নাই। যা থাকে কপালে - ভেবে বাস থেকে নামলাম। এই পর্যন্ত ওকে ছিল। এই অবস্থায় এলো মাস্টারমাইন্ড। সে দাবি করলো, সে ইচ্ছা করেই বাসে আগুন লাগিয়ে দেয়, যাতে করে কিছু যাত্রী পুড়ে মরে, আর বাকিরা বাস থেকে নামতে বাধ্য হয়! তার ওপর, রিকশা মালিক সমিতির চেয়ারম্যানের সাথে তার নিয়মিত ওঠাবসা!!!" 
     
    শুনন, ম্যাসাকার হোক তবুও সরকার ক্ষমতায় থাক আর ম্যাসাকার হোক তবুও সরকারের পতন হোক এই দুই চিন্তা হচ্ছে ভয়ংকর চিন্তা। যারা এখনও, ইউনুস সাহেবের স্বীকৃতির পরেও যারা বলছেন ঠিকই আছে, সরকার পতন জরুরি ছিল তারা হচ্ছেন সেই সব মানুষ যারা মনে করছে ম্যাসাকার হোক, গণহত্যা হোক , মানুষ মরুক তবুও সরকারের পতন হোক! এইটা যে অসুস্থ চিন্তা এইটা কে এখন এদেরকে বুঝাবে? আমাদের তো জবানই বন্ধ! 
  • :-) | 2405:8100:8000:5ca1::2e7:***:*** | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:৩০538106
  • গুরু নামের ছাগুনিকটার নতুন ফেক প্রীতম টিকাদার।
  • aranya | 2600:1000:b108:68bc:8d90:a468:369b:***:*** | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০২:৪৭538123
  • ফারুকী ভাল লিখেছেন 
  • প্রীতম টিকাদার | 2001:268:c28c:e76b:25f5:a0a7:1472:***:*** | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৭:৩৯538126
  • বিস্তারিত কমেন্ট লেখার জন্য ধন্যবাদ, শরীফ ভাই।
    দুঃখিত যে তখন আপনার লেখার শেষ অংশ পর্যন্ত পড়া হয় নি। আমার দ্বিতীয় পয়েন্টে আমি এটাই বলতে চেয়েছি।

    "এত কিছুর পরেও এইটা সত্য যে হত্যাযজ্ঞের দায় আওয়ামীলীগকে নিতে হবে। এত গুলা লাশ যে কারণেই হোক, যেভাবেই হোক, যেহেতু তাদের সরকার ছিল তাই দায় তাদেরকে নিতে হবে। নিজেদের ব্যর্থতা শিকার করতে হবে, ভুল গুলোকে বুঝতে হবে, তারপরেই যদি সামনে আগানোর পরিকল্পনা করা যায়। এ ছাড়া উত্তরণের অন্য কোন পথ নাই।"

    তবে আপনিও জানেন যে বিজয়ীরা ইতিহাস লেখে। সুতরাং এখন যেহেতু সরকার পরিবর্তন হয়ে গেছে, তখন বিএনপি নেতারা দাবি করতে পারেন যে আন্দোলন তারেক জিয়ার নেতৃত্বে হয়েছে, জামাত-শিবির দাবি করতে পারে যে সমন্বয়কদের সিংহভাগ ছিল তাদের কর্মী, সেনাপ্রধান দাবি করতে পারেন যে তার কর্মকর্তারা যে সরকারের পক্ষ নিয়ে বিভিন্ন অগণতান্ত্রিক, দমনমূলক কাজে যুক্ত ছিল সে বিষয়ে তিনি কিছুই জানতেন না, আর বর্তমানে আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগ নেতারা একসময় প্রকাশ্যে বিএনপিতে যোগ দিয়ে এটা দাবি করতে পারেন যে তারা শুরু থেকেই নীতিগতভাবে আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন। এখন সত্যিই কি ঘটেছিল তা হয়তো পঞ্চাশ বছর পর সিআইএ-র কোনও ডিক্লাসিফাইড ডকুমেন্ট থেকে জানা যাবে অথবা কখনোই জানা যাবে না। মোদ্দাকথা আমি তখন পর্যন্ত সবাইকেই বেনিফিট অব দ্য ডাউট দিতে চাই।

    লাশের স্তুপ পার হয়ে সরকার পরিবর্তন হওয়াটা কখনোই কাম্য ছিল না। কিন্তু যারা একবার শুধু মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকেই আন্দোলনের পক্ষ নিয়ে রাস্তায় নেমেছিল, আওয়ামী সরকারই তাদের জন্য ঘরে ফেরার রাস্তাটা বন্ধ করে দিয়েছিলো। কথায় বলে, অনেক মানুষ পাশের বাড়িতে লাগা আগুনে ভুট্টা পুড়িয়ে খাওয়ার সুযোগ খোঁজেন। বিএনপি-জামাতও সেটা করতে চাইবে তা দুঃখজনক হলেও বাংলাদেশের সমাজে স্বাভাবিক। কিন্তু তাদেরকে সেটা করার সুযোগ করে দেয়ার দায় আওয়ামী লীগের ওপরই বর্তায়।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন