এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  উপন্যাস

  • প্রেম দেহ মন - পর্ব ৮  

    Sukdeb Chatterjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | উপন্যাস | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২১৯ বার পঠিত
  • প্রেম দেহ মন - পর্ব ৮ 

    সুরভী

    সেদিন বাইরের  ঘরে বসে “আমার বাড়ি”র খরচাপাতির হিসেব করছি এমন সময় বুলি ওর এক বান্ধবীকে সঙ্গে  নিয়ে ঘরে ঢুকল। মেয়েটিকে চিনি, আগেও এক আধবার আমার বাড়িতে এসেছে।  আমার এই ভাইঝিটিকে আমি খুব ভালবাসি। অবশ্য ব্যাপারটা একতরফা একেবারেই নয়। পিসিটা একা থাকে বলে ও নিয়ম করে আসে, খবর নেয়,‌ কিছু দরকার হলে এনে দেয়। শুধু তাই নয় আমার আর আমার পুশ্যিদের জন্যে নিখরচায় ডাক্তারের ব্যবস্থাও করেছে।  অমিত ডাক্তার বাবু  প্রায় প্রতি সপ্তায় একবার এসে সকলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে যায়। মেয়েটার পছন্দ ভাল।
    --পিসি তোমার সাথে একটু কথা আছে।
    আমি হেসে বললাম, “একটু কেন পুরোটাই বল। তা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই বলবি না বসবি?”
    ওর বান্ধবীকে ইশারায় বসতে বললাম। বুলিও একটা চেয়ার টেনে এনে আমার পাশটায় এসে বসে কি জন্য এসেছে তা বলতে শুরু করল। সব শোনার পর আমার মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল। সঙ্গের বান্ধবীটি  হঠাৎ চেয়ার থেকে  উঠে এসে আমার পা জড়িয়ে ধরে কাতরভাবে আমার কাছে আশ্রয় চাইল। কথা বলতে বলতে হাউ হাউ করে কাঁদতে শুরু করল। ওর সমস্যার কথা শুনে বড় মায়া হল, বুকে টেনে নিয়ে  আশ্বস্ত করলাম।
    ওকে বললাম—তুমি এখানেই থাকবে।  এখন থেকে এটাই তোমার বাড়ি। বুলির সাথে গিয়ে একটা ছোট কাজ করে এস। তুমি যে এখানে  থাকবে তা থানায় জানিয়ে দাও, আর ইচ্ছে হলে  কেন থাকবে সেটাও জানিও। তা না হলে পরে  সমস্যায় পড়তে হতে পারে। মেয়েটা আমার কথামত থানায় গিয়ে সমস্ত তথ্য লিপিবদ্ধ করিয়ে এল। সেই থেকে বিদিশা এ বাড়িরই একজন। আমার বাড়িতে কাজের লোকেরা আছে, কয়েকজন অনাথ শিশু আর কিশোর আছে, তাদের নিয়ে সময় কেটে যেত।  কিন্তু বিদিশা আসার পর থেকে আমি যেন একটা মনের মত সাথীকে পেলাম, যে  ধীরে ধীরে নিজের গুণে জায়গা করে নিল আমার  মনের মণিকোঠায়, হয়ে উঠল আমার সন্তান।  আমি নিঃসন্তান হয়েও সন্তান সুখ কি জিনিস ও আসার পরে অনুভব করতে পেরেছি।
    একা মায়ের পক্ষে সন্তানকে মানুষ করা এখনও আমাদের সমাজে খুব কঠিন। মা ও সন্তানকে প্রায়ই মুখোমুখি হতে হয় নানা অস্বস্তিকর প্রশ্নের। বিদিশার মত এমন নরম প্রকৃতির মেয়ের এই বলিষ্ঠ সিদ্ধান্ত নেওয়াটা আমার কাছে খুব অস্বাভাবিক ঠেকেছিল। তবে আমি ওর ওই সিদ্ধান্তকে মনে প্রাণে সমর্থন করেছিলাম। আমার পাশের ঘরটাতে ওর থাকার ব্যবস্থা করেছিলাম। সামান্য একটু থাকতে দেওয়ার জন্য কতবার কতভাবে যে কৃতজ্ঞতা জানাত তা বলার নয়। শেষে একদিন বকা দিয়ে বললাম—আমি তোমার মায়ের মতন। মা আর সন্তানের মাঝে কৃতজ্ঞতার কোন জায়গা নেই। তুমি যদি আমাকে মায়ের মত ভাব তাহলে আর কখনও এই ধরণের কথা বলবে না।
    তারপর আর কোনোদিন বলেনি। এখানে আসার কিছুদিন পর থেকে ‘আমার বাড়ি’ র দেখাশোনার যাবতীয় কাজকর্ম ওই করতে শুরু করল।  অল্প সময়ের মধ্যেই বিদিশা আশ্রমের ছেলেগুলোর  অতি আপনার জন হয়ে উঠল। এমনকি  গোকুল আর সন্ধ্যার  মুখেও  সারাদিন বিদিশা দিদির কথা। আমাদের আশ্রমের ওটা তৃতীয় ব্যাচ। আগের ছেলেগুলো চলে গেলেও  যোগাযোগ রাখে। মাঝে মাঝে আসে,  খোঁজখবর নেয়। যেখানে তারা শৈশব আর কৈশোর কাটিয়ে জীবনে টিকে থাকার মত শক্তি সঞ্চয় করেছে সেই জায়গাটার প্রতি এখনও তাদের টান আছে দেখলে ভাল লাগে। ওই ছেলেগুলোকেও বিদিশা আশ্রমের নানা কাজে যুক্ত করে নিয়েছে আর ওরাও তাতে খুব খুশি। 
    একদিন দেখি বিদিশা  নিজের ঘরে চুপচাপ শুয়ে রয়্বেছে। মাথায় হাত বুলিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, “কিরে, মন খারাপ লাগছে?” ততদিনে ও আমাকে তুমি আর  আমি ওকে তুই আর বলতে শুরু করেছি।
    বলল- না পিসি, শরীরটা কেমন আনচান করছে।
    কথা বলতে বলতেই উঠে গিয়ে বমি করল।  মুখে চোখে জল দিয়ে আবার বিছানায় এসে বসল।
    বললাম—ঘাবড়াস না, এখন এইরকম মাঝে মাঝে হবে। একটু  সাবধানে চলাফেরা করবি, আর  সময়ে খাওয়া দাওয়া করবি। কোন ডাক্তার কে কি দেখিয়েছিস?
    ও ঘাড় নাড়ল। এই সময় নিয়মিত চেক্আপ করান দরকার তাই আমার পরিচিত গাইনি ডঃ জয়ন্ত ঘোষের  সাথে যোগাযোগ করে দেখাবার ব্যবস্থা করলাম। ডঃ ঘোষের নার্সিংহোম আমার বাড়ির কাছেই, ডেলিভারির সময় যেতে কোন সমস্যা হবে না।  আর অমিতও আমাদের এখানে এলে ওকে একবার দেখে যায়। ওর স্কুলটা আমার বাড়ি থেকে একটু দূরে। ও যখন পড়াতে যেত  আমি খুব চিন্তায় থাকতাম।
    একদিন ডেকে বললাম—আর এক আধ মাস পর থেকে তোর আর স্কুলে যাওয়া চলবে না। ছ মাস তো মেটারনিটি লিভ সব যায়গায় আছে, তুইও নিবি। আর যদি ছুটি না দেয় তাহলে দরকার নেই অমন চাকরি করার, ছেড়ে দে। আমার বাপু বড় চিন্তা হয়।
    বিদিশা সব শুনে হাসতে হাসতে বলল—পিসি মিছিমিছি চিন্তা করে মাথা খারাপ কোরো না। জয়িতাদি  ভাল মানুষ আর আমাকে খুব ভালবাসেন। ঊনি সব জানার পর আমাকে আগেই বলে দিয়েছেন যে আর কয়েক মাস গিয়ে তারপর ছ মাস মেটারনিটি লিভ নিতে। তারপর বাচ্চা একটু বড় না হওয়া পর্যন্ত ছুটিতে থাকতে, উনি সব ব্যবস্থা করে দেবেন। আসলে স্কুলটার  তো ওনারাই মালিক ফলে কোন চিন্তা নেই গো আমার ভালো পিসি, বুঝলে। আর পাঁচজনে যাতে পাঁচকথা না বলতে পারে  সেইজন্য আমার রেজিস্ট্রি করে বিয়ের একটা গল্প উনি কিছুদিনের মধ্যে স্কুলের সকলকে  বলে দেবেন। এই মিথ্যেটায় আমার একেবারেই সায় ছিল না কারণ একটা মিথ্যেকে ঠেকা দিতে গিয়ে ভবিষ্যতে হাজারটা মিথ্যে বলতে হবে। কিন্তু কি করব, মানুষটা এত ভালবাসে, এত উপকার করে, মন না চাইলেও সিদ্ধান্তটা মানতে হল।  
    বিদিশা আমার এখানে আসার কয়েক মাস বাদে হঠাৎ একদিন তন্ময় ফোন করল। জানিনা কার কাছ থেকে আমার নম্বর জোগাড় করেছে। নিজের অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য  স্বীকার করে অনুরোধ করল একবারটি যদি বিদিশার সাথে কথা বলিয়ে দিতে পারি। বলল বিদিশারা যেদিন গিয়েছিল তার কিছুদিন বাদেই ও ওদের বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে গিয়ে এক মেস বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে।   সেদিন বাবার সামনে কিছু বলতে না পারলেও আজ প্রয়োজন পড়লে  ও সারা পৃথিবীর বিরুদ্ধে গিয়েও বিদিশাকে বিয়ে করতে চায়। আমি ওকে বললাম যে বিদিশার সাথে কথা না বলে এই ব্যাপারে আমার পক্ষে কিছু বলা সম্ভব নয়।
    বিদিশাকে ব্যাপারটা জানাতে ও বলল—পিসি অনেক দেরী হয়ে গেছে। ঝড় ঝাপ্টা সামলে অনেকটা পথ চলে এসেছি তো এখন আর ফেরা সম্ভব নয়।
    বললাম— ছেলেটা আপনজনদের ছেড়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেছে। অনুতাপে দগ্ধাচ্ছে।  ঠান্ডা মাথায় একটু ভাব তারপর সিদ্ধান্ত নিস। তবে তুই যে সিদ্ধান্তই নিস না কেন আমি তোর পাশে আছি।
    আমাকে জড়িয়ে ধরে বলল—এই তো আমার ভাল পিসি। পিসি, তন্ময়ের বাবা আমার সাথে যে খারাপ ব্যবহার  করেছে তা আমি গায়েই মাখতাম না যদি তন্ময় আমার পাশে থাকত। ওর বাবার কাছে আমার সমস্যাটা উটকো ঝামেলা,  তাই ঝামেলা ঘাড় থেকে সত্ত্বর নামানর জন্যে উনি ওনার স্বভাব সুলভ ছোটলোকমি করেছেন। কিন্তু এতদিন  ভালবাসার সম্পর্কে লিপ্ত থাকার পরেও তন্ময় আমার সাথে দুবার প্রবঞ্চনা করেছে। প্রথমবার ভালবাসার দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে আমাকে নিজের বাড়িতে ডেকে এনে আমার ইচ্ছের বিরুদ্ধে গিয়ে জবরদস্তি আমার শরীরটাকে ভোগ করেছে। দ্বিতীয়বার, আমার গর্ভস্থ সন্তানকে সামাজিক স্বীকৃতি দেওয়ার কথা উঠতেই মেরুদণ্ডহীন কাপুরুষের  মত কুঁকড়ে গিয়েছে। দুটোই ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। ভাবতে পার, একজন প্রেমিক তার প্রেমিকাকে ধর্ষণ করছে। এই ঘৃণ্য কাজের পরে ভালবাসার আর কোন অস্তিত্ব থাকে না। তবু বাচ্চা পেটে  আসার ব্যাপারটা নিশ্চিত হতে ওর কাছে অনুরোধ করেছিলাম বিয়ে করে দায় দায়িত্বটা শেয়ার করার জন্যে। মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল।  তুমি বল পিসি এরপর সেই মানুষের সাথে ঘর বাঁধা  যায়! তোমায় আর একটা অনুরোধ পিসি, ও আমার সাথে দেখা করতে চাইলে তুমি প্লিজ না করে দিও। বলে দিও যে আমি দেখা করতে চাই না।
    এরপর আর কোন কথা চলে না। 
    তন্ময় এর পরেও অনেকবার আমায় ফোন করেছে, প্রথম  দিকে দেখা করতে বা  কথা বলতে চাইত। বিদিশার কঠোর অবস্থানের কথা জানার পর ওই অনুরোধ আর করেনি তবে ওর শরীর স্বাস্থ্যের নিয়মিত খবর নিত।
    বুলি আমার কাছে  মাঝে মাঝে আসত, বন্ধু আসায় যাতায়াত আরো বেড়ে গেল।  বিদিশার বাড়ি থেকে ওর বোন মায়া প্রায়ই দিদিকে দেখতে আসত। মেয়েটি বেশ, অনেকটা বুলির মত, খুব কথা বলে। কোন  কোন দিন গল্প করতে করতে রাতে এখানে থেকেও  গেছে। ওর বাবা ছুটিছাটার দিনে আসতেন, মেয়ের জন্য  কিছু না কিছু সঙ্গে আনতেন।  মা একদিনই  এসেছিলেন, আর দেখিনি। বুঝতে পারি, মেয়ে ওনার  আচরণের জন্য বাড়ি ছেড়েছে তাই আসতে সঙ্কোচ হয়। আর ওর স্কুলের বড়দিদি জয়িতা সরকার কয়েকবার এসেছেন দেখা করতে। ঊনিও বিদিশাকে খুব ভালবাসেন। আসলে এই মেয়ের এমনই মিস্টি স্বভাব যে ওর সংস্পর্শে এলে ওকে ভালবাসতেই হবে।   এর মাঝে একদিন তন্ময় আমার কাছে এসেছিল। বিদিশা তখন স্কুলে। কাতরভাবে বলল, “পিসি একটা অনুরোধ করছি,  সন্তানের বাবার যায়গায় বিদিশাকে দয়া করে আমার নামটা দিতে বলবেন। স্বামীর নাম ছাড়া বিদিশা নিজেকে সামলে নিতে  পারলেও বাবার নাম ছাড়া সন্তান তার জীবনে প্রতি পদে হোঁচট খাবে। যত বড় হবে, যত বুঝতে শিখবে, সমস্যা তত বাড়বে। আমাদের সমাজ এখোনো ততটা এগোয়নি। এই ব্যাপারে ওকে জেদ করতে বারণ করবেন। আপনাকে তো ভালবাসে, আপনি একটু জোর করলে ও না করবে না। ব্যাস আর আমার কিছু চাওয়ার নেই।”
    কথাটা  তন্ময় একদম সঠিক বলেছে। আমাদের মধ্যবিত্ত সমাজে পিতৃ পরিচয় এখনো অনেকটাই বাধ্যতামূলক। পরে যদি কখোনো অস্বীকার করে তাই তন্ময়কে দিয়ে একটা স্ট্যাম্প পেপারে বিষয়টা  লিখিয়ে নিয়ে যথা সময়ে ব্যবহারের জন্য আমার গোপন আস্তানায় যত্ন করে  রেখে  দিয়েছিলাম।

    অমিতাভ চলে যাওয়ার পর একাকীত্বের যন্ত্রণায় অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলাম। কিছুই ভাল লাগত না। আশ্রমের ছেলেগুলোকে নিয়ে সময় কাটিয়ে চেষ্টা করতাম মানসিক শান্তি পেতে। কিছুটা সময় ভুলে থাকতাম, কিন্তু রাতে বা  কোন সময় একা থাকলেই হারিয়ে যাওয়া সব কিছু মনটাকে গ্রাস করে ফেলত। প্রথম প্রথম বেঁচে থাকাটাই কেমন যেন অর্থহীন হয়ে  পড়েছিল। ধীরে ধীরে সময়ের সাথে সাথে একটু একটু করে খানিকটা সামলে উঠেছিলাম।  কিন্তু  মেয়েটা আসার পর থেকে ক্রমশ সব কিছু যেন বদলে  গেল। জীবনটা  আর বোঝা মনে হত না, প্রতিদিন তাকে  নানাভাবে, নতুনভাবে,  উপভোগ করতাম।  মনে হত পৃথিবীতে আমার জন্য বরাদ্দ সময়  একটু বেশি  হলে ভালই হয়। আসলে লোভ, ভালবাসার লোভ। সন্তানস্নেহে  সিক্ত  মন আরো কিছু চাইত । মনে তখন নাতি/ নাতনিকে  বুকেতে জড়িয়ে  ধরে খেলা করার লোভ হাতছানি দিচ্ছে।

    (চলবে)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২১৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন