এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  স্মৃতিকথা

  • অঙ্কে যত শূন্য পেলে

    প্রবুদ্ধ বাগচী লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | স্মৃতিকথা | ০৪ নভেম্বর ২০২৩ | ৭৮৩ বার পঠিত | রেটিং ৫ (২ জন)
  • অঙ্কে যত শূন্য পেলে
    প্রবুদ্ধ বাগচী

    পর্ব ১

    এই রচনার শিরোনাম আসলে ধার করা। আমাদের অকালপ্রয়াত কবিবন্ধু পিনাকী ঠাকুরের একটি কাব্যগ্রন্থের নাম এই একই। তবে কবিতার বাইরে এই প্রতিবেদন আসলে অঙ্কের সঙ্গে আমার আলো-আঁধারি সম্পর্কের একটা ব্যক্তিগত লুকোচুরির পটচিত্র। আর পাঁচজনের যে তাতে কিছু যায় আসে না তা আমি জানি। কিন্তু সেই প্রাথমিক স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ স্তর অবধি গণিতের সঙ্গে আমার ঘর ও ঘরণী বাঁধার চেষ্টা । এতবছর পরে, প্রায় অর্ধশতক পেরিয়ে এসে দেখছি দুটোই শেষ অবধি ভেসে গেছে কালিন্দির ঘোলা জলে। বিসর্জনের আগে তো রচিত হয় এক নির্মাণ, ওই কাঠামো তৈরি না-হলে কোন প্রতিমাকে জলে ফেলতাম আমরা ? কেমন করে তৈরি হত আমাদের বিষাদগাথা, আমাদের রোদন, আমাদের অশ্রুনদীর সুদূর পার? গণিতের সঙ্গে এই যে আমার বাল্যপ্রেম শেষ পর্যন্ত দাম্পত্যের চৌকাঠে হুমড়ি খেয়ে পড়ল, এই বিপর্যয়ের দায় আসলে কার, এখন মাঝে মাঝে অলস দ্বিপ্রহরে সেইসব কথাগুলো ভাবি । ভেবে যে খুব কূল পাই তা নয়, তবু মনে মনে ফাল্গুনী রচনার জন্যও তো কিছু ফুল-বেলপাতা চাই। এইসব এলোমেলো কথা আসলে সেই ফুল-বেলপাতার এক বেঢপ ঝুড়ি, যার অনেক পাতাতেই আর ক্লোরোফিলের সবুজ নেই, বিষণ্ণ ফুলগুলির ওপর বিছিয়ে আছে এক নিস্তেজনার মখমল। গণিতের সঙ্গে আমার যোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে প্রায় তিন দশক আগে, দৈনন্দিনে গণিতচর্চা আমার পেশা বা জীবিকা নয় আর। কোনোদিনই কি ছিল? এই না-থাকা, বরং বলা ভাল এই না-হয়ে ওঠারই একটা এবড়োখেবড়ো প্রেক্ষাপট এই লেখা। আবারও বলি, এই লেখা একদমই নৈর্ব্যক্তিক নয়, তেমনটা হয়ে ওঠার কোনো ভান ও ভনিতা সচেতনভাবেই এখানে মুছে দেওয়া হয়েছে। আসলে এক অবাক বালকের চেতনায় কীভাবে ছেয়ে এসেছিল অঙ্কের প্রেম আর কীভাবেই ঘটে গেল তার ‘প্যারাডাইস লস্ট’ – এই কাহিনি সেই শোচনার শব্দলিপি। এর মধ্যে কারোর দিকে তর্জনী তোলার অভিপ্রায় নেই, যা আছে তা এক স্বপ্নভাঙা শোকের ব্যালাড।

    আমাদের ছেলেবেলায় প্রাথমিক স্তরে ক্লাস ফোরের পর স্কুলের বাৎসরিক পরীক্ষা ছাড়াও হত একটা ‘বৃত্তি পরীক্ষা’ — কারা সেই পরীক্ষা নিতেন আমি জানি না, তবে ক্লাস ফোরে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে বাড়িতে সচেতন করে দেওয়া হত ওই বৃত্তি পরীক্ষার ব্যাপারে। মনে হয় এর জন্য কিছু বাড়তি প্রস্তুতির ব্যাপার ছিল। যতদূর মনে পড়ে, ক্লাস ফোরে মূল জোর দেওয়া হত বুনিয়াদি গণিত আর অল্প ইংরিজির ওপর, সঙ্গে কিছু সাধারণ জ্ঞান ( অধুনা জি কে)। আমাদের যে-কোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ভিত্তিই হল অঙ্ক আর ইংরিজির জ্ঞানের যাচাই। সম্ভবত সেই ‘বৃত্তি পরীক্ষা’-ও তার ব্যতিক্রম ছিল না। ফলে ক্লাসের সিলেবাসের বাইরে কিছু বাড়তি পড়াশোনা করানোর চেষ্টা আমার অভিভাবকরা করেছিলেন। সেই ‘বৃত্তি পরীক্ষা’ র সহায়তার জন্য পাওয়া যেত ‘ছাত্রবন্ধু’ নামের এক বই, তাতে থাকত বিগত বছরগুলির প্রশ্ন ও উত্তর। পরে খেয়াল করে দেখেছি সবস্তরের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্যই এই ধরনের গাইড বই পাওয়া যায় আর তাদের বিক্রিও বেশ ঈর্ষণীয় রকমের ভাল। ক্লাস ফোরে ঠিক কী ধরনের অঙ্ক শিখেছিলাম তা আর স্মৃতি থেকে উদ্ধার করার অবস্থায় নেই, তবে নিশ্চয়ই যোগ বিয়োগ গুণ ভাগ করতে পারতাম — যাকে বলে সরল পাটিগণিত। তবে ছয়ের সঙ্গে সাত যোগ করলে ঘরে বসে তিন আর হাতে থাকে এক — এই রীতিনীতি জানতাম কি? অথবা ওপরে যদি থাকে পাঁচ আর তার নিচে থাকে আট, তাহলে আসলে সেই বিয়োগ করতে গেলে ওই পাঁচের আগে ভেবে নিতে হয় একটা এক, অর্থাৎ পনেরো — এগুলো কি কঠিনতর অঙ্ক ছিল সেদিন? আজ তার হদিশ পাওয়া মুশকিল। তবে গুণ ব্যাপারটা যে আসলে পর পর যোগ করে যাওয়া আর ভাগ মানে ধারাবাহিক বিয়োগের এক পদ্ধতি, সম্ভবত এইটুকু আমাদের শেখানো হয়েছিল। অনেক পরে যখন সেট থিওরিতে ‘অপারেশন’ ব্যাপারটা শিখব ( অবশ্যই এটা ছুরি-কাঁচির সার্জিকাল অপারেশন নয়) তখন জানা যাবে আসলে যোগ আর বিয়োগ দুটিই মৌলিক ‘অপারেশন’ —- তার থেকেই গুণ-ভাগ ব্যাখ্যা করা যায়। সেইসব পরের কথা।

    তবে এটা মনে আছে, ওই প্রাথমিক স্তরে যখন ক্লাস ফোরে পড়ি, আমার মস্ত ভাঁড়ার ছিল একটা পিজবোর্ডের বাক্স। ওই বাক্সে জমিয়ে রাখতাম আমার বালকবেলার সব অকিঞ্চিৎকর সঞ্চয়। তার মধ্যে ছিল টুকরো টুকরো কাগজের একেকটা নম্বর লেখা স্লিপ। ‘এ ফোর’ সাইজের কোনো কাগজের কথা আমরা তখন শুনিনি, আমরা জানতাম ফুলস্কেপ কাগজের কথা আর সেই একটা ফুলস্কেপ কাগজকে আট বা ষোল টুকরো করলে পাওয়া যেত আটটা বা ষোলটা কাগজের স্লিপ — তাতে নম্বর লিখে রেখে রেখে কী যে খেলা হত, অনেক চেষ্টা করেও আজ মনে করতে পারছি না। এই কথাও তখন মনে উদয় হয়নি, কেন একটা চৌকো কাগজকে দুই বা দুইয়ের গুণিতক অংশেই কেবল সমানভাবে ভাগ করা যায়, কেন তিন, সাত, এগারো বা তেরোটি সমান অংশ পাওয়া চলে না — প্রাইম নাম্বারের তত্ত্ব তখন কোন আলোকবর্ষ দূরে ! তবে দূর স্মৃতির ভেতর ভাসছে এক বাদামি রঙের পিজবোর্ডের বাক্স, তার ভিতর জমা হওয়া হাজিবাজি জিনিস — এক হাবাগোবা বালক কেবলই চায় ওই পরম সম্পদটুকুকে তার খেলাধুলোর সঙ্গী করতে। আর অভিভাবকরা বলেন, আরও মন দিতে হবে পড়ায় — এটা ক্লাস ফোর, সামনেই ‘বৃত্তি পরীক্ষা’ — স্কুলের নাম রাখতে হবে সেখানে। কীই বা আমাদের স্কুল আর তার কীই বা তার নাম !



    প্রাইমারিতে ক্লাস ফোরে তো অঙ্ক করাতেন বোধ হয় দুজন — নিছক স্মৃতিবিভ্রম না ঘটলে তাঁরা নমিতাদি আর অণিমাদি, প্রথমজন খুব নরম আর পরের জন রাগী, মারধোরও দিতেন।তখনও মনে করতেন এবং এখনও অনেক শিক্ষক মনে করেন পড়ুয়াদের পিটুনি না দিলে শিক্ষার ষোলোকলা পূর্ণ হয় না — তার ওপর আবার অঙ্কের মতো সাবজেক্ট! গণিতের বুনিয়াদি রস তা যে তাঁদের থেকে উপভোগ করতে শিখেছি এটা বলতে পারি না। তাছাড়া, আবহমান কাল থেকেই তো গণিতকে ঠাউরানো হয়েছে ‘সুন্দরবনের মানুষখেকো বাঘ’ হিসেবে — শিক্ষক বা শিক্ষার্থীদের কাছে এই তার জুজুমি। এমনই সে শার্দূল যে কেবলই লকলকে খিদে নিয়ে ওঁত পেতে থাকে পড়ুয়াকে চিবিয়ে খাবে বলে, আমরা তার বিরুদ্ধে আয়ুধ টিপ করি, জানি না কীভাবে সেই শার্দূলসুন্দরীকেও প্রেমে ও আশ্লেষে বশ মানানো যায়। আমাদের বেশিরভাগ শিক্ষকদের একমাত্র লক্ষ্য কীভাবে জটিল কঠিন করে অঙ্কের ছুঁচোবাজি ছাত্রের পরীক্ষার প্রশ্নে ঢুকিয়ে দেওয়া যায় আর খাবি খাওয়ানো যায় তাকে । আমাদের গল্পে উপন্যাসে ফিল্মে সমস্ত গণিতশিক্ষকই মস্ত রাগী, গোমড়ামুখো আর মারকুটে যাদের একমাত্র অভীপ্সা আরও আরও ভয়ের আগুনে ঘিরে ফেলা যায় তার ছাত্রদেরে সমস্ত চৈতন্য। গণিতের প্রশ্ন যেন বা সাতের দশকের ওয়েস্ট ইন্ডিজ পেস ব্যাটারির সামনে নড়বড়ে ও থরহরি কম্পমান ভারতীয় ব্যাটিং লাইন। গণিত আজও আমাদের কাছে সেই পরজায়া, যার ঘনিষ্ঠ আদর পেতে গেলেই সমাজ-সংসার ঢোক গিলতে থাকে বারবার। কীভাবে, কীভাবে উত্তাপ নেওয়া যায় সেই তন্বী নারীর? কেউ শেখায়নি আমাদের, বলেনি কাছে যাও, কাছে যাও — তার ইশারা দিয়েই ভেদ করো তাকে, তার ছুড়ে দেওয়া শরীরী বিভঙ্গ দিয়েই মাত করে দাও তাকে। তাকে জড়াও, তাকে পান করো, প্রবিষ্ট হও।

    এই অস্পষ্ট ভয় আর বৃত্তি পরীক্ষার আসন্ন সূচি নিয়ে কেটে যেতে থাকে আমার প্রাথমিকের দিনগুলি। ভয় মানে আরও কঠিন অঙ্কের পরীক্ষার প্রস্তুতি। স্কুলের সিলেবাসের থেকে বেশি। স্কুলের বাৎসরিক পরীক্ষার পরে যে অগাধ ছুটির প্রান্তর মিলত, আমাদের ক্লাস ফোর যেন তার ব্যতিক্রম। আরও কিছুদিন অপেক্ষা, আরও অনুশীলন। হয়তো আরও কঠিন অঙ্ক যা স্কুলে শেখায়নি। দিন গড়ায় আর ওই বাদামি পিজবোর্ডের বাক্স আরও নাগালের বাইরে চলে যায় আমার। তার ভিতরে শুয়ে থাকা সংখ্যাগুলোর বয়স বাড়ে ধুলোয়, আবর্জনায়। কিন্তু আমার ভাল লাগে ওই সাধারণ জ্ঞানের বই, তার পাতায় পাতায় কত অজানা দেশের নাম, কত অজানা জনপদের ছবি, কত বিখ্যাত বইয়ের খতিয়ান। কোন দেশের রাজধানী কোন শহর, কোন দেশের মুদ্রার কী নাম, কোন বিজ্ঞানী কী কী আবিষ্কার করেছেন, দুনিয়ার অষ্টম আশ্চর্য আসলে কী কী — এইসব বিচিত্র খবর আর ছবি। এর মধ্যে অঙ্ক নেই কেন? কারণ তার জন্য প্রাণন নেই, অঙ্কের দিদিমণিদের মধ্যে নেই সেই ভরিয়ে তুলবার অনুশীলন অথবা আমিই কি দূরে সরে যাচ্ছিলাম তার থেকে?

    মনে হয় না। কারণ অনেক ভেবে দেখছি এর থেকে আরও উঁচু স্তরে আমার সঙ্গে গণিতের গড়ে উঠছে গভীর এক সখ্য, প্রথম প্রেমে পড়ার মতোই তীব্র তার সংরাগ। সেই আবছায়া অশরীরীকে যেন কিছুটা ছুঁতে পারছি আমি। যেই একটা নতুন অধ্যায়ের পাঠ বুঝে গেলাম, অমনি করে ফেললাম তার অনুশীলনীর অঙ্ক, প্রায় বেশিরভাগটাই। কেউ যেন এসে ঠোঁট রাখল আমার কোমল গালে। দুয়েকটা পারলাম না বটে, কিন্তু চেষ্টা-ভাবনা চলল, আর সেই কুয়াশাসুন্দরী যেন কানে কানে বলে গেল — ভাবো ভাবো, ভাবা প্র্যাক্টিস করো। আসলে ইঙ্গিত দিল, ওই না-পারাটুকু পেরোলেই পেয়ে যাবে আমায় — আমার খোলা প্রান্তর আর বিভাজিকাসমেত! এইভাবেই একদিন এসে গেল বৃত্তি পরীক্ষা আর পেরিয়েও গেল সেই দিনগুলি। টাকার অঙ্কে কী বৃত্তি পেয়েছিলাম জানি না, তবে বাড়িতে শুনলাম, আমি নাকি বৃত্তি পেয়েছি। কিন্তু তার থেকেও বড় কথা ওই বাদামি পিজবোর্ডের বাক্স ততদিনে আবার চলে এসেছে আমার নাগালে, ওই শুয়ে থাকা সংখ্যাগুলো সমেত।

    (চলবে)
    পরবর্তী পর্ব ১৮ নভেম্বর
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ০৪ নভেম্বর ২০২৩ | ৭৮৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে প্রতিক্রিয়া দিন