এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  টুকরো খাবার

  • দুয়ারে কুকুর

    Samaresh Mukherjee লেখকের গ্রাহক হোন
    টুকরো খাবার | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৭০১ বার পঠিত
  • কলকাতা‌য় বেহালা‌ চৌরাস্তা থেকে কিছু দুরে একটি বড় আবাসন আছে। কেতার লিঙ্গোতে - গেটেড কমিউনিটি। সেখানে আমাদের একটি ফ্ল্যাট আছে। ২০১৬তে কেনা ইস্তক নিয়মিত থাকা হয়নি। এক দু বছর অন্তর মাসখানেকের জন‍্য গিয়ে থেকে আসি। একদম না গেলে হয়তো হল থেকে ঝেঁটিয়ে তাড়ানো ভবিষ্যতের ভূতেদের কেউ এসে আমাদের খালি বাসায় বাসা বাঁধতে পারে।

    সেই আবাসনের বাসিন্দাদের মধ‍্যে গোটা তিরিশেক হোয়া গ্ৰুপ আছে। একদা পাড়ায় মোড়ে মোড়ে শিবুদা, বিশুদার চায়ের দোকানের মতো হাজার চারেক বাসিন্দা‌র বড় আবাসনে‌ও যে পারছে একটা হোয়া গ্ৰুপ খুলে ফেলছে। তারপর তথায় চলছে এন্তার ভাটলিং।

    আমি মাত্র দুটি গ্ৰুপে আছি। তার একটি মেডিক্যাল হেল্পলাইন - সেখানে আবার কেবল রুটিন কেসে ডাক্তার বদ‍্যির হদিশ পেতে বা গেল-গেল সিচুয়েশনে SOS মেসেজ পোষ্ট করা যায়। কেল্লা ফতে হয়ে গেলে ডেথ সার্টিফিকেট, ডেড বডি ফ্রীজার, বডি ব‌ওয়া গাড়ি- ইত্যাদি‌র খোঁজ‌ও করা যায়। মানে LIC'র ট‍্যাগলাইনের মতো কেস আর কি - জিন্দেগী কা সাথ ভী - জিন্দেগী কা বাদ ভীতো ঐসব সিরিয়া‌স বিষয়ে‌র মাঝে সামান্য‌তম ফাজলামি‌র ফুচকা‌ পরিবেশন‌ও নৈব নৈব চ‍। অথচ কথায় বলে Smile is the best panacea for many ailments. প্রাণ খুলে হাসলে মুখের‌ই গোটা চল্লিশেক পেশীর ব‍্যায়াম হয়, অন‍্য কোথাও আরো কতো হয় কে জানে। ফুসফুসে বেশী বায়ু যায়, রক্ত সঞ্চালনায় সহায়ক হয় হাসি। তবু আঠারোজন এ্যাডমিন ২৪x৭ বাজের দৃষ্টি‌তে গ্ৰুপে তাকিয়ে থাকেন। ভুল করেও কেউ "গেল গেল বলো সবে" - এর বাইরে অন‍্য কিছু পোষ্ট করলেই কেউ না কেউ তুরন্ত উড়িয়ে দেবেন।

    দ্বিতীয় যে গ্ৰুপে আছি, চরিত্র‌বৈশিষ্ট্যে সেটি গুরুচণ্ডা৯র মতো। কোনো ডিজিটাল ড্রেসকোড নেই - কোট প‍্যান্টুল, পাজামা পাঞ্জাবী, লুঙ্গি ফতুয়া সব চলে। তাই বেশ কমফি ফিল হয় ওখানে। তবে মাইল্ড ননভেজ আইটেম‌ও নট এ্যালাউড। কেননা অনেক বয়স্ক সাত্ত্বিক মানুষ আছেন ওখানে। কোনোভাবেই যাতে তাদের চিত্তচাঞ্চল‍্য না হয় সেটা খেয়াল রাখা অলিখিত বিধি।

    গুরুচন্ডা৯ কর্তৃক প্রকাশিত, মলয়বাবু‌র "অরূপ তোমার এঁটোকাঁটা" নভলেটের ওপর গুরুচণ্ডা‌৯তে পোষ্টিত অনামিকা বন্দোপাধ্যায়ের বিশদ বিশ্লেষণ গোছের আইটেম ওখানে ছাড়লে, আবাসনের কিছু সাত্ত্বিক পাবলিক হয়তো হিক্কা তুলে অক্কা পেয়ে, দুনিয়া না হোক, গ্ৰুপ ছেড়ে চলে যেতে পারে‌ন। এছাড়া ওখানে সব চলে। তাই ওতে আছি। দুরে থাকি, ঐ গ্ৰুপের আলোচনা থেকে ওখানে কী চলছে তার একটু হদিশ পাওয়া যায়।

    একদিন সকালে উঠে দেখি সেই গ্ৰুপে উপ-সভাপতি মহাশয় শচীন‌বাবু পোষ্টেছেন : সিকিউরিটি সিস্টেমের কি অবস্থা !একটা সিকিউরিটি গার্ড পাঁচটা ব্লক দেখছে আর স্ট্রিট ডগ রাস্তা থেকে এসে ব্লকের সিঁড়ি দিয়ে উঠে তিনতলার ফ্ল্যাটে ঢুকে যাচ্ছে !!

    বোঝা গেল উপ-সভাপতি মহাশয় বেজায় উষ্মায়িত। তবে কারণটা যে কুকুরের রাস্তা থেকে আসা‌র জন‍্য নয় সেটা বোঝা যায়, কারণ স্ট্রীট ডগ যে জলপরী‌র মতো সাগর থেকে উঠে আসবে না - সেটা উনি‌ও জানেন। কুকুর কেন সিঁড়ি দিয়ে উঠবে? হয়তো কারণ সেটাও নয়। কারণ তিনি‌ও বোঝেন কুকুর বাটন টিপে লিফটে করে উঠবে না। তাহলে উষ্মা‌র কারণ হতে পারে - প্রহরীর দুরে থাকা, 1:5 রেশিওতে পাহারা, কুকুরের ফ্ল‍্যাটের ভিতরে চলে আসা ইত‍্যকার বিষয়। ব‍্যাপারটা সিরিয়া‌স।

    তবে সিরিয়া‌স বিষয়ে‌ও ফচকেমি করা আমার পুরোনো ব‍্যামো। আমার বিশ্বাস এর ফলে অন‍্য আরো কিছু ব‍্যামো দুরে থাকে - যেমন কবি‌র গানে আছে না "না চাহিলে যারে পাওয়া যায়" - অর্থাৎ না চাইলে‌ও একটা বয়সের পর রক্তে অতিরিক্ত শর্করার যোগান - যা কম করতে, করতে হয় নানা কসরৎ, খেতে হয় ঔষধ, গুণতে হয় মূল‍্য। অথবা ৬৫ - ৭০ পেরোলে, রামগড়ুর মার্কা স্বভাবের দৌলতে, প্রায়শই জিরাফ হয়ে থাকার প্রবনতা‌য়, হয়তো না চাইলে‌ও আ্যালজাইমার‌কাকু এসে করতে পারে‌ন বিজয়ার কোলাকুলি।

    তাই আমি উপ-সভাপতি‌র পোষ্টে‌র ওপরেও করে ফেললুম একটু ফচকেমি। আমি ঐ আবাসন গ্ৰুপে মূলতঃ নীরব দর্শক। ওখানে পোষ্টিত অধিকাংশ নেট পিওনের পসরায় একটু চোখ বুলিয়ে‌ই উড়িয়ে দি। ভালো মনে হলে পুরো পড়ি। নিজে কদাচিৎ কিছু পোষ্ট করি, কচিৎ মন্তব্য করি অন‍্যের পোষ্টে। এটা তেমন লাগলো। তাই করলুম দীর্ঘ মন্তব্য - আমার যা বদভ্যাস:

    "মনে হয় এটা সোসাইটির ব‍্যয় সংকোচন প্রোগ্ৰামের অঙ্গ - তাই প্রহরী দুরে/বাইরে - পথ সারমেয় কাছে/ভিতরে - মানে ফোকটে "দুয়ারে ডগি" - থুরি - "দুয়ারে প্রহরী" প্রকল্প। তবে কিছু খেতে দিলে, দুর ছাই আপদ বালাই না করলে, কুকুর হতে পারে মানুষের থেকেও আকর্ষণীয় নীরব সঙ্গী, বিশ্বস্ত প্রহরী।"

    শচীনবাবু‌র পোষ্ট‌টা দেখে ফচকেমির শখ কেন হোলো কে জানে। এখনো মাঝেমধ‍্যে মাথায় ফচকেমি কিলবিল করে, যতদিন না ওতেও GST'র মতো SST লাগু হচ্ছে - মানে Satire Suppression Tax. তবে নব ন‍্যায় সংহিতা বিল পাশ হতে এখন গণমাধ্যমে জনপ্রতিনিধি‌দের নিয়ে স‍্যাটায়ার করতে গিয়ে একটু ভুলভাল হয়ে গেলে ভুলভাল কেসে ভেতরে ঢুকে যাওয়ার চান্স‌ও আছে। সুতরাং - রসিক সাবধান!

    গত বর্ষায় - শচীনবাবু‌র‌ পোষ্টিত ভিডিও‌তে‌ই দেখেছি‌লাম "দুয়ারে মাছ" কেস। ভেঙে বলি। Live the Life Best ট‍্যাগলাইনের সোসাইটির ভিতরে দুদিনের টানা বৃষ্টিতে রাস্তায় এক হাঁটু জল। শচীন‌বাবু‌র ইনফ্লুয়েন্স আছে। কোত্থেকে Inflated Rubber Boat এনে তাতে বারমুডা পরে সোসাইটির মধ‍্যে বন‍্যাপ্রায় পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে বেরিয়ে‌ছেন‍। ওনার ঘনিষ্ঠ মহলের কেউ ভিডিও নিচ্ছে।

    তখনই ভিডিও‌তে দেখা গেল ন‍্যাজ নেড়ে নেড়ে এক সুখী রুই বা কাতলা দম্পতি সাঁতার কাটছে কেন্দ্রীয় উদ‍্যানের পাশে মেন রাস্তায় জমা জলে। ক্রমশ, ভবিষ্যতে, একদিনের ভারী বর্ষাতেই হয়তো সোসাইটির মধ‍্যে তিনদিন গোড়ালি থেকে হাঁটু অবধি জলে ডোবা রাস্তা‌য় চলার জন‍্য তৈরি থাকতে হবে। বন‍্যা‌য় ডুবে যাওয়া‌র ভয় আমাদের নেই। কারণ আমাদের ফেলাট আট তলায়। অতদুর জল উঠবে না।

    আবহাওয়া বিজ্ঞানীদের মতে ২০৩৫ নাগাদ‌ হয়তো কলকাতা‌র কিছু নীচু অংশের রাস্তা‌ঘাটে বারোমাস‌ই জমে থাকবে এক থেকে দু-ফুট জল। অতি বরষা নয়, বিশ্ব‌উষ্ণায়নের ফলে মেরু অঞ্চলের বরফ গলে মহাসাগরের জলতল বৃদ্ধি পেয়ে এটা ঘটতে পারে। এখন চতুর্দিকে টোটোর মতো - তখন হয়তো জোলো রাস্তায় চলবে ছোট ছোট "বোটো" - বেকার ছেলে‌রা বোটো চালাবে। ফুলুরি ইকোনমির মতো তাতেও প্রভূত কর্মসংস্থান হবে। এখন থেকে সেদিনের নেট প্র‍্যাকটিস হতে থাকলে মন্দ হয় না।

    কমিউনিটি কমিউনিকেশনের জন‍্য আমাদের সোসাইটি My Gate এ্যাপে যুক্ত। বছর দুয়েক বাদে যদি ওখানে পাকাপাকি থাকতে যাই তাহলে My Gate এ্যাপে আবেদন করবো - My Door-এর বাইরে একটা স্ট্রীট ডগ পোষার অনুমতি দেওয়া হ‌উক। লোকে যেখানে শ‍্যূ-র‍্যাক রাখে - সেখানে একটা ডগি বেড পাতবো। দিনে সে বাইরে ঘুরবে। রাতে যখন মোবাইলে মগ্ন একটি প্রহরী পাঁচটা ব্লকে পাহারার নামে ধাষ্টামো করবে, সে ওখানে এসে শোবে। কেউ আসা যাওয়া করলে কিছু বলবে না। কেবল আমাদেরদরজায় উঁকিঝুঁকি মারলে আওয়াজ দেবে।

    একটু ট্রেনিং দিলে‌ই হয়তো সে বুঝে যাবে - কখন আ‌ওয়াজ দেওয়া উচিত, আর কখন জিরাফ হয়ে থাকাই বাঞ্ছনীয়। কারণ সে সোসাইটির মধ‍্যে চারপায়ে চলাফেরা করলেও কিছু দুপেয়ে অর্বাচীন ফ্ল‍্যাট‌ ওনারদের মতো নয় - হাউসকিপিং স্টাফ রোজ সকালে প্রতিটি ফ্ল‍্যাটের দরজা‌য় এসে গারবেজ নিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও - যারা কখনো ওপর থেকে একতলা‌র টেরাসে বা রাস্তায় ধরাস করে জঞ্জাল ফ‍্যালে। ব‍্যাঙ্কোয়েট হলে জন্মদিন বা বিয়ের অনুষ্ঠান করে চারপাশে কচড়া ছড়িয়ে চলে যায়। তার জন‍্য আবার My Gate-এ নোটিশ পড়ে। কী লজ্জা - কী লজ্জা!!

    সহবৎ নামক বস্তুটা আছে কুকুরের মজ্জা‌য় - তাই মানুষের জন‍্য‌ই নোটিশ দিতে হয়। তবে এ্যাপে নোটিশ পড়লে‌ও তা পড়ে চেষ্টা করে‌ও অনেকে তার মর্মার্থ রপ্ত পারে না।

    পুনশ্চঃ- আমার প্রস্তাবিত "দুয়ারে কুকুর" আইডিয়াটা একদম ঢপের নয়। তাহলে প্রেক্ষিতটা বলি।

    কর্ণাটকের মনিপালে চার একর জমিতে পাঁচটা ব্লকের 400 ফ্ল‍্যাটে‌র যে বড় কমপ্লেক্সে ছয় বছর ছিলাম সেখানে সিকিউরিটি বেশ ভালো। চতুর্দিকে, আনাচেকানাচে CCTV ক‍্যামেরা লাগানো। করোনা‌-কাল থেকে আমাজন বা ফুড ডেলিভারি এজেন্ট‌দের ডোর ডেলিভারি বন্ধ। মেন গেটের কাছে ডেলিভারি কিয়স্কে আইটেম দিয়ে যায়। বাসিন্দাদের ওখান থেকে নিজ নিজ আইটেম কলেক্ট করতে হয়। ফলে বেগানা লোক ফ্ল‍্যাটে চলে আসার সম্ভাবনা কম।

    তবু আমাদের সাততলা‌য় পাশের ফ্ল‍্যাটে‌র দরজার সামনে পাপোষের ওপর প্রায়শই এসে বসে থাকতো এক বিল্লু রাণী - মানে "দুয়ারে বিড়াল" কেস আর কি। ওরা সিকিউরিটি‌র তোয়াক্কা করেনা। ওদের জন‍্য তেমন সিকিউরিটি থ্রেট‌ও নেই। আমি তার নাম দিয়েছিলাম কিউট ক‍্যাটরিনা। ঐ ফ্ল্যাটে‌র বাসিন্দা ছিলেন বয়স্ক বাবা ও তাঁর বিবাহিতা কন‍্যা। সে ওখানে কস্তুরবা হাসপাতালে গবেষণায় রত। পিতা মার্জার প্রেমী। তাই ক‍্যাটরিনা ওনার কাছে খেতে পেতো ক‍্যাট বড়ি। আমাদের কাছে দুধ। সেই আশাতেই সাত তলায় আসতো সে।

    সোসাইটির সামনে শপিং এলাকায় বড় পাবলিক পার্কিং‌য়ে ঘুরে বেড়াতো কয়েকটি কুকুর। তারা ওখান‌কার নিয়মিত বাসিন্দা। অতীব ভদ্র তারা। তাদের মধ‍্যে এক প্রকৃতি‌প্রেমিকা মাঝে মাঝে তার ছ‍্যানাস & পোনাস নিয়ে চলে আসতেন সোসাইটির ভিতরে। তাকে কেউ কিছু বলতো না। তিনি চলে যেতেন পিছনে ড্রাইভ‌ওয়েতে - ওখানে দাঁড়িয়ে কিঞ্চিৎ দিগন্ত বিস্তারিত সবুজের সমারোহ অবলোকন করে তিনি আবার ফিরে যেতেন।

    কুকুরের কালার ভিশন মানুষের মতো উন্নত, মানে Trichromatic নয়, তাই অসংখ্য বর্ণালী তারা দেখতে পায় না। কুকুরের কালার ভিশন Dichromatic তাই নীল, হলুদ পরিস্কার‌ভাবে এবং ধূসর ও খয়েরি‌র কিছু শেড তারা দেখতে পায়। তাই দিগন্ত বিস্তারিত সবুজ হয়তো সে নীলাভ হিসেবেই দেখতো।

    সোসাইটির শপিং কমপ্লেক্সে একটি মুদীর দোকানের সুন্দরী যুবতী মালকিন মিস ক‍্যারলের সাথে আমার আলাপ হয়েছিল। ভারি মিষ্টি স্বভাব তার। ক‍্যারল তাদের কখনো খেতে দিতেন। দোকানের বাইরে একটি চ‍্যাপটা গামলা রেখে দিতেন। তাতে ঐ কুকুর দলের একজন নিয়মিত এসে কুকুর-কুণ্ডুলী হয়ে শুয়ে থাকতো রাতে। মনিপালে এইসব দেখে শুনে আর কলকাতার আবাসন গ্ৰুপে শচীনবাবু‌র পোষ্ট ‌পড়ে‌ই ভবিষ্যতে My Gate-এ "দুয়ারে কুকুর" প্রস্তাব বিবেচনা করে দেখা‌র জন‍্য আবেদন করার কথা মনে এসেছিল।


    প্রকৃতি‌প্রেমিকা সারমেয়


    পাপোষে বিড়াল


    গামলায় কুকুর
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • টুকরো খাবার | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৭০১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ranjan Roy | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২:১৮523927
  • বেড়ে।
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:1786:4d43:9fad:***:*** | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২:৫১523928
  • আশা করব কোন নাগাল্যান্ডবাসী এই পোস্ট পড়বেন না। নইলে গামলায় কুকুর দেখে মাথায় অন্য আইডিয়া এলে সমূহ বিপদ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন