সেহের রুপাকে ছেড়ে কিছুতেই আসবে না, যখন মোরসালিন জোর করে কোলে তুলল, এমন কান্না জুড়ল! সিড়ির ধাপগুলি যখন পেরুচ্ছিল, মুখের উপর ক্ষুদে কিছু ব্রাশ এমন তান্ডব চালালো যে মোরসালিনের শুকনো মুখটা লাল ছোপে ভরে গেল। বৈদ্যুতিক বাতির অনুজ্ব্বল হলুদ যখন সেখানে অপার্থিব দ্যুতি ছড়াচ্ছিল, বাইরে কনে দেখা আলো তখন সাজিয়ে দিয়েছে সাঁঝের আকাশ, তার কাজল কালো চোখের নীচে নানান রংয়ের পসরা, কোমল করে মাখানো।
এক পর্যায়ে হার মেনে নিতে হল, ব্রাশগুলি শক্তি সঞ্চয় করে চোখ পর্যন্ত এসে পড়েছিল। কিন্তু দরজায় ফেলে রেখে হাঁটা দিতেই চিৎকারের উদ্দেশ্য ও বিধেয় দুটোই পালটে ফেলল সেহের, এবার তার কন্ঠে ‘নানুর বাসা, নানুর বাসা…।’ মায়ের শরীর খারাপ দেখেছিল দুপুরে, না হলে এরূপ বাচ্চা টানাটানির ভিতর সে থাকে না। ঘরে ঢোকেনি আর, সিড়িতেই অপেক্ষা করতে থাকে সাংসারিক চাকুরির এক অতি আবশ্যক দায় মাথায় নিয়ে। সেহেরকে ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে মুখের উপর থেকে সদ্য জন্ম নেয়া আঠালো চিহ্নগুলো তুলে ফেলতে। কয়েকটি মিনিট কেটে যাওয়ার পর যখন পাউডারে মাখামাখি হয়ে প্রজাপতি ফ্রক পরা সেহের চৌকাঠে পা রাখলো, তার পেছনে গাড়ি-বাড়ি-কিং-কুইন-প্রিন্স-প্রিন্সেসের মস্ত একটি সংসার কাঁধে পোরা রুপাকেও চোখে পড়ল…আর সঙ্গে সঙ্গে মোরসালিনের প্রবল হুংকারে কেঁপে উঠল সিড়ির হাতলগুলো, “তুই ক্যান? ”
কাঁচা পাটের একটা ভুসভুস গন্ধ চেতনার রন্ধ্রে রন্ধ্রে অচেনা বিস্বাদ জাগাতে শুরু করে মোরসালিনের…তারই মাঝে কার্বন প্রিন্ট করা মুখে যত্নে গড়া চোখ দুটি প্রথমে পেখম মেলে, তারপর প্রবল বাণ নিক্ষেপ করে, “আমি কি করতাম! আমারে হেইতে তো ছাড়ে না!” বিষ্ময়ে হতবাক মোরসালিনের মুখ দিয়ে কথা সরে না…মেয়েটার কন্ঠে এক প্রকার কৌতুক মেশানো ছিল, আর তা আবিষ্কারের পর থেকে সে কেবল ক্ষুদ্ধ থেকে অধিকতর ক্ষুদ্ধ হতে পারে, আর কিছু করার থাকে না… একটা চাপা অসহায়ত্ব তাকে এতটা দুর্বল করে দেয় যে পা চালাতে কষ্ট হয়!
নানুর বাসায় ঢুকে সেহেরের পাগলামি উত্তরোত্তর বাড়তে থাকে, বিচিত্র সব অপারেশানে একের পর এক নামতে থাকে সে, নানুর আলমারিতে অ্যামবুশ তার মধ্যে একটি। নীচতলার কাপড়চোপড়ে বেশ কিছুটা সময় নিঃশব্দে ডুবে থেকে যখন সে অ্যাকশনে ঝাঁপিয়ে পড়তে প্রস্তুত, তখন তার করতলে চিকচিক করতে দেখা যায় পুরনো রং চটা খোলসের একটি অর্ধমৃত মেকাপ বক্স… কাচ ও ক্যামিক্যালের গুড়োয় মাখামাখি হওয়ার আশংকায় দ্রুত বাক্সটি ছিনিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয় রুপাকে…কিন্তু সেহেরের তুলতুলে মুঠোর পূর্ণাংগ দখল নেয়ার আগেই মৃতপ্রায় বাক্সটি ঝুরঝুর ছড়িয়ে পড়ে মেঝেয়।
বাক্সটির প্রবল আর্তনাদে রওশান আরা হকচকিয়ে বিছানা ছেড়ে উঠে বসেন, তারপর নাতিকে মেকাপ বক্সের ভাঙা টুকরোগুলোর মাঝে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ভয়ে সাদা হয়ে যান …এদিকে ঘরের বাসিন্দারা গোল হয়ে দাঁড়িয়ে যায় টান টান উত্তেজনা নিয়ে, অবশেষে দুর্ঘটনা স্থল থেকে বিপদজনক গুড়োগুলোকে সতর্কতার সাথে সরিয়ে ফেলে সেহেরকে অক্ষত উদ্ধার করতে সক্ষম হয় রুপা এবং বাসিন্দারা স্বস্তির সুবাতাস ছড়াতে থাকে প্রাণভরে। কিন্তু আকাশ কালো মেঘে আস্তে আস্তে ঢেকে যাচ্ছিল, একটা গুমোট হাওয়া হঠাৎ উপরে উঠে গিয়ে ঘন ঘোর বর্ষা হয়ে নেমে আসে, নানা-নানু-মামার কোলে ঘুরতে ঘুরতে সেই বৃষ্টির আওয়াজ এক সময় ঘর থেকে বেরিয়ে রাস্তার হর্নের সাথে ফিউশন করতে থাকে - ‘আমার মেকাপ বক্স চাই, মেকাপ বক্স, মেকাপ…!’ তড়িৎস্পৃষ্ট মাকে বাঁচাতে বিদ্যুতচালিত হয়ে বাজারে ছুটে মোরসালিন, সারা রাত অভুক্ত থাকবে তার এই এতটুকুন নাতনি – যতই ভাবছিলেন, আতঙ্কে মূর্ছা যাচ্ছিলেন রওশান আরা।
এত রাতে দোকানের ঝাঁপি বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় শত ভাগ, কিন্তু পারিবারিক চাকরিগুলো চিরকালই নীতিমালা বর্জিত। দূর থেকে স্বপ্নের বাতিগুলো নিভু নিভু করে জ্বলছিল, সারা ঢাকা ছেয়ে ফেলেছে এই বাজার, ছুটির দিন বলেই হয়ত এখনো খুলে রেখেছে, যদিও গ্রাহকস্রোতে ভাটার টান। ঢুকতেই এক সুবেশী সুন্দরী বিক্রয়কর্মি তার পিছু নিল, ভ্রুক্ষেপ না করে মোরসালিন চোখের কার্সর ঘোরাতে ঘোরাতে কসমেটিক্স সেকশানে পৌঁছে গেল। তীব্র ঝাঁঝালো গন্ধটা বিক্রয়কর্মী নাকি সেলফে সাজানো মেকাপ বাক্সটা থেকে আসছিল, তার জন্য খানিক মাথা ঘামিয়ে সে আবার পণ্য দেখায় মন দিল। মনোহর মেকাপ বক্সে ম ম করছিল চারপাশ। তরুণী বিক্রয়কর্মিটি খেয়াল করল, মান নিয়ন্ত্রন দফতরের স্যারটির মত সদ্য আগত তরুণ ক্রেতা বাক্সগুলি ছুঁইয়েই রেখে দিচ্ছে, ভেতরটা আর খুলে দেখছে না। অথচ অনেকের কাছে কতই না সাধের এই শেডগুলো, প্রবল বায়ুর তোড়ে খুলে যায় ইন্দ্রিয়ের কপাটগুলো একে একে, চলতে থাকে আলোছায়ার নিবিড় সংবেদন।
এক সময় ঝটিকা অভিযানটি সম্পন্ন করে প্রদর্শনীতে থাকা বাক্সগুলোর থেকে কম দামী কিছু মিলবে কিনা জানতে মোরসালিন তরুণীটির দিকে প্রথমবারের মত ভাল করে তাকায়- গোলাপী ফাউন্ডেশান উপচে উপচে পড়ছিল তার রক্তে-মাংসে-গাত্রে। বেশ আড়ষ্ট হয়ে পড়ে সে, আর অনেকটা গায়ে পড়ে অকারণে একটা ব্যাখ্যা জুড়ে দেয়ার চেষ্টা করে, ‘ইয়ে…মানে…বাচ্চাদের জন্য …কিছুক্ষণ খেলেটেলে তো নষ্ট করে ফেলবে, তাই বেশী দামিটা…?’ সেলস গার্ল যেন সব বুঝতে পারে, তার ভীষন মায়া পড়ে যায় ক্রেতাটির উপর। বাণিজ্যিক চাকরি নীতিভ্রষ্টা হতে কসুর করে না এক পারিবারিক চাকরির অমোঘ টানে…অতি সস্তা একটি মেকাপ বক্স যেটি খেলতে খেলতে নষ্ট করে ফেলা যাবে, তার একটি বিকল্প উৎসের নাম চুপি চুপি বলে দেয় সে।
স্বপ্ন থেকে খানিকটা দক্ষিনে একটা একতলা মার্কেট বাস করে, নিম্নবিত্ত মানুষ সেখানে মাথা গুঁজে সদাইপাতি করে। ফুল-পাতা বসানো লাল-সবুজ সিল্কের স্বল্পদৈর্ঘ্য আচলখানা কোমরে গুঁজে যখন তারা ঘরকন্নার যাবতীয় পণ্য বগলদাবা করতে থাকে, তখন ঘামের নোনা কান্না কপাল ঘাড় বেয়ে মাটিতে পড়ার আগেই স্নোপাউডারের বাষ্পের সাথে বিক্রিয়া করতে থাকে। তার মাঝে পড়ে মোরসালিন যখন পথ হারিয়ে ফেলতে থাকে, একটি কড়া গন্ধ, অনেকটা সোদা মাটির মত, মুহুর্মুহু আক্রমন শানাতে থাকে তার নাসারন্ধ্রে, মস্তিষ্কে! দুয়ার ঝাঁপটাতে ঝাঁপটাতে এক সময় তার সামনে ভাসতে থাকে একটি কাচের কৌটো, গায়ের কাগজে মোড়া ‘কোহিনুরের তিব্বত স্নো’!
মায়ের হাতটি শক্ত করে ধরে রেখেছিল মোরসালিন, যখন খেতের আল দিয়ে মাটির ঢেলা অতিক্রম করতে করতে শেফালিদের দ্বীপে এগুচ্ছিল। এক চিলতে কুৎকুৎ কোর্টে দাঁড়িয়ে কাকে যেন ‘চুরামি’ করার জন্য সমানে শাসাচ্ছিল শেফালি, একজন সঙ্গীর ইশারায় তাদের দিকে চোখ পড়তেই দিল ভো দৌড়, ওকে না পেলেও বিছানায় শায়িত প্যারালাইজড পিতাকে পেয়ে গেলেন রওশান আরা - শেফালির মায়ের মতে, সেই-ই নাকি বাঁধ সেধেছে, ‘মাইয়া ডাঙর হইসে, পরের বাড়িতে আর কাম করবার…।’ পার্স থেকে দুইটা পাঁচশ টাকার নোট বের করতে করতে কড়া চোখে তাকালো রওশান আরা, ‘তোমার মাইয়ার মুখের দিক চাইয়া দেহ একবার…যখন নিয়া গেছিলাম তখন কি ছিল, মনে কইরা দেহ!’
শেষমেষ, গার্জেনরা শেফালিকে শেষবারের জন্য তার মায়ের হাতে তুলে দেয়, আর শেফালির কড়া স্বাদের স্নোটায় ভাগ বসাতে পারবে বলে মোরসালিনও খুশিতে নেচে উঠে, উৎসাহ-উত্তেজনা-ঔৎসুক্য ফেরার পথকে ক্রমশ দূরবর্তী করে তুলতে থাকে… একসময় চেপে রাখতে না পেরে বলে উঠে ‘শেফালি, তোর কি খুব কান্না পাচ্ছে?’ কড়া ধমক লাগায় শেফালি, ‘আমারে শেফালি বুজি কইয়া ডাকবা, আগে কইছি না!’ মোরসালিন গায়ে মাখে না, শেফালিবুজির হাত ধরে পথ চলতে শুরু করে। এক সময় পথের দড়িটা গুটাতে গুটাতে মোরসালিন ফিরে আসে স্বপ্ন আউটলেট… হতভম্ব সেলস গার্লের দিকে তাকিয়ে রহস্যমাখা কণ্ঠে বলে, ‘নাহ, আপনি বরং দামী একটা মেকাপ বক্স বেছে দিন আমায়।’
এদিকে সংবাদ পাওয়া মাত্র সেহেরের মা দৌড়ে এসেছিল মায়ের বাসায়, মেয়েকে ভুলিয়ে ভালিয়ে ঘুম পাড়ানোর প্রাণান্ত চেষ্টা করতে থাকে। মার্কেট যেন খোলা না পায়, এমন প্রার্থনাকে মাটি করে দিয়ে মেকাপ বক্সটা নিয়ে যখন হাজির হয় তার ভাই, হার্টবিট বেড়ে যায় তার…সেহেরের বাবার একদম পছন্দ না, তাছাড়া সেহের যদি খেয়ে ফেলে, একটুও বিশ্বাস নেই বজ্জাত মেয়েটিকে! একবার মাত্র খুলেছিল বাক্সটা সেহের, ভেতরের বাহারি আয়না এবং কয়েক তলার শেড দেখে সে ভুবনজয়ী হাসি উপহার দিয়েছিল মামাকে তখন… তারপর থেকেই বুকের মধ্যে চেপে রেখেছে বাক্সটা… আর খুলেও দেখছে না, মা যেন ছিনিয়ে নিতে না পারে, তার জন্য বাক্সটা আগলে আছে অতন্দ্র প্রহরীর মত, কথা-বার্তা-লাফানো-ঝাঁপানো সব বন্ধ করে দিয়েছে। উপায়ন্তর না দেখে সমঝোতায় আসতে বাধ্য হয় সেহেরের মা, মেয়েকে মেকাপ দিয়ে সাজিয়ে দিতে শুরু করে ভাইয়ের উপর রাগ ঝাড়তে ঝাড়তে, ‘মাথাটা গেছে, এত ছোট বাচ্চার জন্য এমন দামী মেকাপবক্স কেউ কেনে?’ মোরসালিন অবশ্য এসব কানে তুলছিল না, বোনের ব্যাপার স্যাপার ভালই জানা আছে তার, সে বরং পুরো মনোযোগ ঢেলে দিল ছোট্র সেহেরের দিকে যে ক্রমশ বার্বি ডল হচ্ছিল! রুপান্তরদৃশ্যটা মোরসালিনকে যেন কেমন আনমনা করে দিল, পৌঁছে দিল অন্য কোন জগতে!
‘মা, ওকে ডলের মত লাগছে না?’ … পরদিন হইচই-এর নতুন মুভিটা দেখার ফাঁকে হঠাৎ কাপড়গুলো যথেষ্ট শুকিয়েছে কিনা তা দেখার জন্য বারান্দায় এসে দেখতে পেল - আগের দিন যেভাবে সাজিয়ে দিয়েছিল, বারান্দার এক কোনে বসে ঠিক সেইভাবে তার মেয়ে রুপাকে সাজিয়ে দিচ্ছিল…মাকে দেখে ঘাবড়াল না, বরং রুপার মুখে রুজ মাখার কাজটা চালিয়ে যেতে যেতে প্রশ্নটা করল, চোখে-মুখে তার স্বীকৃতির কোমল আকুতি! এই টেনশানটাও হয়েছিল, ওদের সাথেই কাটায় সারা দিন, সব সময় চোখে চোখে রাখা সম্ভব? মেকাপ বক্সটা শুরু থেকেই অশান্তি নিয়ে এসেছে, সেহেরের হাত ছোঁ মেরে ছিনিয়ে নেয়ার পর যখন বারান্দার ফাঁক দিয়ে ছুড়ে ফেলে দিতে যাচ্ছিল, তখন দামটা চোখে পড়ল - প্রাইস ট্যাগটা এখনো উঠানো হয়নি, দোকান থেকেই তো উঠিয়ে দেয়, কোন এক আধিভৌতিক কারণে রয়ে গেছে! অসমাপ্ত সাজ নিয়ে রুপা তখনো বারান্দার কোণে জড়োসড়ো হয়ে বসে ছিল, পরিস্থিতির আকষ্মিকতা ও বিরূপতা তাকে সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত করে দিয়েছে মনে হয়, আর সেই অবস্থাতেই তার কোলে বাক্সটা সজোরে নিক্ষেপ করে মেয়েকে নিয়ে প্রায় হাঁপাতে হাঁপাতে ঘরে ঢোকে সেহেরের মা।
সেদিন বিকেলে মোরসালিন ফের উপস্থিত হল সেহেরদের বাসায়। রওশান আরা অস্থির হয়ে গেছেন নাতনির জন্য, গতকালের সেই গায়ে হিম ধরানো, হাড় কাঁপানো কান্না ভুলতে পারেননি। সেহেরকে যখন তার মা সাজিয়ে-গুছিয়ে দিচ্ছিল, ড্রইং রুমে একটি এন্টারটেইন ম্যাগাজিনে চোখ ডুবিয়ে দিয়েছিল মোরসালিন। কিচ্ছুক্ষণের মধ্যে উষ্ণ একটা বাষ্প ম্যাগাজিনের মনোহর পাতা থেকে চোখ তুলতে বাধ্য করল মোরসালিনকে … গৃহকর্ত্রীর নির্দেশে চা নিয়ে সামনে দাঁড়িয়ে রুপা… তন্ময় হয়ে তাকিয়ে থাকে মোরসালিন… রুপার চোখের পাতাটা ঢেকে দিয়েছে এক ঘোর কৃষ্ণগহবর, ব্রাশের কারুকাজে নিখুঁত করে আঁকা জলরেখা, সেখানে থেকে বেরুনোর সাধ্য নেই কারো।
আগেরদিন বেশ বকেছিল, চায়ে চুমুক দিতে দিতে মিহি স্বরের সুতোয় গেথে আলতো করে বল্ল মোরসালিন, ‘চা টা মারাত্মক হয়েছে রে!’ এদিকে তীব্র ঝাঁঝালো একটা গন্ধ নাকের মধ্যে ঝড়ো হাওয়া বইয়ে দিতে থাকে! পৃথিবীর সমান একটি বিশাল মেকাপ বক্স তাকে গ্রাস করতে থাকে ক্রমশ!
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।