এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  সমাজ

  • শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃতর নারীভাবনা এবং কিছু সরলমতি জিজ্ঞাসা­­­­­­­­­­­­­­­­ 

    Sandipan Majumder লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | সমাজ | ০১ ডিসেম্বর ২০২২ | ৩৪৩২ বার পঠিত | রেটিং ৪ (২ জন)
  • উত্তরে থাকো মৌন
    কেন তুমি ভাবো
    এ আকুতি শুধু যৌন? (উত্তরে থাকো মৌন : বিষ্ণু দে)

    [ এই লেখা রামকৃষ্ণ কথামৃতের ভক্তদের জন্য নয়। তাঁরা দয়া করে এই লেখাটি পড়বেন না। কারণ এই লেখা সমাজবিজ্ঞানের দৃষ্টিভঙ্গী থেকে উৎসারিত। সেই একই কারণে এই লেখা রামকৃষ্ণ দর্শনের প্রতি অকারণ বিদ্বেষবশত কোনো কুৎসামূলক লেখাও নয়। কারণ বর্তমান লেখক মনে করেন যে রামকৃষ্ণদেবের মত সরলহৃদয়, সুরসিক, তত্বজ্ঞানী এবং বিরাট ব্যক্তিত্বের অধিকারী ধর্মপ্রচারক বাংলায় চৈতন্যদেবের পর খুব বেশি আসেন নি। বিশেষত পরধর্ম সহিষ্ণুতার ক্ষেত্রে তাঁর বক্তব্য বাংলার মাটি থেকে উঠে আসা ঔদার্যের পরাকাষ্ঠা। তবে রামকৃষ্ণদেবের ‘কামিনীকাঞ্চন ত্যাগ’ তত্ব নিয়ে আমার বহু প্রশ্ন চিরকাল ছিল। সময়ের সঙ্গে সেই সংশয়ের অবসান তো হয়ই নি, আরো বেড়েছে বরং। এখন ভক্তকুলের কাছে এই প্রশ্নের উত্তর চাওয়া বৃথা। কারণ রে রে করে তেড়ে আসা ছাড়া বা অধিকারীভেদের কথা বলে প্রশ্নের পথ বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া তাঁদের কাছে যুক্তিসমৃদ্ধ তর্ক কিছু পাই নি। তাই এক অর্থে এই লেখা শুধুমাত্র সেই মানুষদের জন্য, যাঁরা আমার মত সাধারণ, অতি সাধারণ জিজ্ঞাসু। ]

    শ্রীরামকৃষ্ণর কথায় “কামিনী-কাঞ্চনই মায়া। ওর ভিতর অনেকদিন থাকলে হুঁশ চলে যায় — মনে হয় বেশ আছি।’’ (শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত, অখণ্ড সংস্করণ, উদবোধন কার্যালয়, ২০১৬, পৃষ্ঠা ৭৪)।

    প্রথমেই মাথায় রাখতে হবে কামিনী শব্দটি। বাংলায় নারীকে বোঝানোর জন্য যত শব্দ আছে তার মধ্যে সবচেয়ে যৌন অনুষঙ্গ সম্বলিত দুটি শব্দ হচ্ছে কামিনী আর রমণী। দ্বিতীয় শব্দটি সরাসরি রমণ বা যৌনকর্ম থেকে উদ্ভুত, প্রথম শব্দটি কামনা থেকে। অর্থাৎ কামিনী শব্দটি সরাসরি নারীর একটি ‘Sexed Identity’ তৈরী করে।

    এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে কামিনীর প্রতি কাম কার জন্মায়? পুরুষমানুষেরই তো (সমকামী হলে নারীদেরও জন্মাতে পারে কিন্তু সে প্রসঙ্গে আমি যাচ্ছি না এখন)? তাহলে নারীরা ঈশ্বরলাভের ইচ্ছা হলে কী করবেন (রামকৃষ্ণ মিশনের নারী ভক্তের সংখ্যা তো নেহাত কম নয়)? কারণ একসঙ্গে কামিনী-কাঞ্চন বললেও কামিনীই যে দোষের উৎস, মূল কারণ সেটা রামকৃষ্ণদেব স্পষ্ট করেই বলেছেন, “কামিনী-কাঞ্চনে জীবকে বদ্ধ করে। জীবের স্বাধীনতা যায়। কামিনী থেকেই কাঞ্চনের দরকার। তার জন্য পরের দাসত্ব। স্বাধীনতা চলে যায়। তোমার মনের মত কাজ করতে পার না।’’

    আসলে ‘সংসার করা’ বা বিবাহ নামক প্রতিষ্ঠানটিকে এই সরল যুক্তির কারণেই রামকৃষ্ণদেব সন্দেহ করতেন। সামাজিক ইতিহাস দিয়ে এই বিষয়টিকে ব্যখ্যা করার চেষ্টা ঐতিহাসিক সুমিত সরকার করেছিলেন তাঁর ‘কলিযুগ, চাকরি ও ভক্তি’ নামক প্রবন্ধে (Writing Social History, OUP, Page 282)।

    স্বামী যদি ঈশ্বরসাধনায় মগ্ন হয়ে সাংসারিক কর্তব্যে অবহেলা করে সেক্ষেত্রে স্ত্রীর অনুযোগ করারও অধিকার নেই।
    মণি (শ্রীরামকৃষ্ণের প্রতি) ­­-- স্ত্রী যদি বলে, আমায় দেখছ না, আমি আত্মহত্যা করব; তাহলে কি হবে?
    শ্রীরামকৃষ্ণ (গম্ভীর স্বরে) — অমন স্ত্রী ত্যাগ করবে, যে ঈশ্বরের পথে বিঘ্ন করে। আত্মহত্যাই করুক আর যাই করুক। যে ঈশ্বরের পথে বিঘ্ন দেয়, সে অবিদ্যা স্ত্রী। (২০১৬, ঐ, পৃঃ ৭৪)
    রামকৃষ্ণদেব বলেন নি যে স্ত্রী যদি ঈশ্বরলাভের ইচ্ছায় সংসার বা স্বামীপুত্রকে অবহেলা করে, মীরাবাইএর মত, সেক্ষেত্রে কী হবে। তাই বলে রামকৃষ্ণদেব কী নারীদের ঘৃণা করতে বলছেন?

    একজন ভক্ত – মহাশয়! মেয়েমানুষকে কি ঘৃণা করব?
    শ্রীরামকৃষ্ণ — যিনি ঈশ্বরলাভ করেছেন তিনি কামিনীকে আর অন্য চোখে দেখেন না যে ভয় হবে। তিনি ঠিক দেখেন যে মেয়েরা মা ব্রহ্মময়ীর অংশ, আর মা বলে তাই সকলকে পূজা করেন। (২০১৬, ঐ, পৃঃ ১১৮)

    এখন তাহলে দাঁড়াল যে নারীর দুটি রূপ, প্রথম যে রূপটি সর্বসাধারণ্যে, এমনকি সাধুসন্তদেরও বিবেচ্য সেটা কামিনী রূপ। এই রূপ থেকে ‘ভয়’ পাওয়ার আছে। সাধুসন্তদের তো আরো বিশেষ করে আছে যেটা রামকৃষ্ণ কথামৃত জুড়েই পাওয়া যায়। তাহলে কোটিকে গোটিক পরমহংসপ্রতিম মানুষ, যিনি ঈশ্বরলাভ করেছেন, তিনিই একমাত্র নারীকে কামিনী রূপে না দেখে মা ব্রহ্মময়ীর অংশ রূপে দেখতে পারেন। তবে সেই দশায় কয়জন পৌঁছোতে পারেন সে ব্যাপারে আমাদের সন্দেহ স্বয়ং রামকৃষ্ণদেব তৈরী করে দিয়েছেন —
    শ্রীরামকৃষ্ণ — স্ত্রীলোক গায়ে ঠেকলে অসুখ হয়, যেখানে ঠেকে সেখানটা ঝনঝন করে, যেন শিঙি মাছের কাঁটা বিঁধলো। (২০১৬, ঐ, পৃঃ ১০৫০)।

    এবার যেটা বিবেচ্য হওয়া উচিত, অর্থাৎ মেয়েরা কোন পরিচিতিতে বাঁচবে তারা নিজেরাই সেটা ঠিক করবে। অন্তত ২০২২ সালে, সেটাই হওয়া উচিত। তারা যে অন্তত কামিনী এবং ব্রহ্মময়ীর অংশ (অন্যত্র ভগবতীর অংশ বলে উল্লিখিত) – শুধু এই দুটি পরিচয়েই বাঁচবে না সেটা নিশ্চিত। তার আর কিছু কারণ যদি নাও থাকে, সিম্পলি সেভাবে বাঁচা সম্ভব নয় বলে, উচিত নয় বলে।

    কামিনী বর্জনের উদ্দেশ্য হল কাম বর্জন। ভক্তের লক্ষণ হিসেবে রামকৃষ্ণদেব বলছেন, “ঠিক ভক্ত জিতেন্দ্রিয় হয়,কামজয়ী হয়। গোপীদের কাম হত না’’ (২০১৬, ঐ, পৃঃ ২১৩)। উনি অন্যত্র বলছেন, “যত স্ত্রীলোক, সকলে শক্তিরূপা। সেই আদ্যাশক্তিই স্ত্রী হয়ে, স্ত্রীরূপ ধরে রয়েছেন’’ (পৃঃ ৩২৪)। রামকৃষ্ণদেব মাতৃভাবকেই শুদ্ধভাব বলতেন। অথচ দেখা যাচ্ছে যে স্ত্রীলোক সম্পর্কে আতঙ্ক থেকে তিনি নিজেও মুক্ত ছিলেন না। তাই এই মাতৃভাব কামভাবের বিরুদ্ধে তাঁর স্বরচিত বর্ম বলেই মনে হয়। তাই মাতৃভাব সত্বেও তিনি মেয়েমানুষ সম্পর্কে বলেন “ভগবতীর অংশ। কিন্তু পুরুষের পক্ষে — সাধুর পক্ষে — ভক্তের পক্ষে – ত্যাজ্য ’’ (পৃঃ ৬২৩)। সকলের কাছেই যদি ত্যাজ্য হতে হয় তাহলে ভগবতীর অংশ হয়ে বেচারীদের লাভ কী সে প্রশ্ন উঠতে পারে।

    এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে বিপরীত লিঙ্গের প্রতি কামনা কম থাকা বা না থাকা মানেই কাম কম থাকা নয়, যেমন সমকামীদের ব্যাপারটা। ঈশ্বরলাভের প্রশ্নটি আমার অধিকারের বাইরে, কিন্তু মানুষ হিসেবে উৎকর্ষ লাভের জন্য বিপরীত লিঙ্গের প্রতি কাম বেশি বা কম থাকাতে কি কিছু নির্ভর করে? এমনকি অনেক মানুষ পৃথিবীতে আছেন যাঁরা এমনিতে সুস্থ, স্বাভাবিক কিন্তু কামপ্রবৃত্তি প্রায় নেই। ইংল্যাণ্ড, আমেরিকা এবং কানাডাতে এই মানুষেরা সামনে আসছেন এবং তাঁরা ‘The Asexual Visibility and Education Network (AVEN)’ গড়ে তুলেছেন। ওঁদের ওয়েবসাইটে স্পষ্ট লেখা রয়েছে ‘অযৌনতা কোনো রোগ নয়। এর সমাধান বা চিকিৎসা খোঁজার কোনো দরকার নেই’ (Against Health, Zonathan M Metzel and Anna Kirkland, Editors, Page 157)। সুস্থ, স্বাভাবিক মানুষের যৌনপ্রাচুর্য থাকতেই হবে, আমেরিকান সংস্কৃতি এবং বাণিজ্যিক চিকিৎসাশাস্ত্র যেটা শেখাতে চেষ্টা করে সেই পরিচিত ধারাপাত উলটে দিয়ে এরা শেখান মানুষের যৌনতার বহুবর্ণিলতাকে। আমরা যাকে যৌন কামনা বলি তার অনুপস্থিতিও সেই বর্ণালির মধ্যেই পড়ে, কোনো অস্বাভাবিকতার তকমা ছাড়াই। এর সঙ্গে ভালো মানুষ হয়ে ওঠার, নৈতিকতার কোনো সম্পর্ক নেই। ঈশ্বরলাভের প্রচেষ্টার সম্পর্ক আছে কিনা সেটা ভক্তরা ভাল বলতে পারবেন, তবে এই সরলমতি প্রশ্নগুলির মধ্যে তার উত্তর নিশ্চয়ই লুকিয়ে নেই।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ০১ ডিসেম্বর ২০২২ | ৩৪৩২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • :) | 185.22.***.*** | ০২ ডিসেম্বর ২০২২ ২২:৩২514336
  • বিবেকানন্দ যখন শ্রীম আর সারদানন্দকে নানাবিধ গুপি করতে বলছিলেন (সশরীরে বা স্বপ্নাদেশে) এলবো কি সেখানে ছিল? না কোথাও পরেছে? মানে এগুলো ক্রুসিফিকশন না ক্রুসিফ্যাক্ট?
  • হতাশ | 103.76.***.*** | ০২ ডিসেম্বর ২০২২ ২২:৩৫514337
  • পৃথিবীর সমস্ত বই সমস্ত দর্শন সমস্ত ধর্ম সামগ্রিক সভ্যতার ইতিহাসই ভালো-খারাপ / সৎ-অসৎ / পাপ-পূণ্য / লোভী-নির্লোভ এই ডাইকোটমি মেনেই চলে। কোনটা প্রেফার্ড সেটাও ডিফাইনড। অসৎ থেকে সৎ-এ যেতে হবে, তমসো মা জ্যোতির্গময়ো ইত্যাদি প্রভৃতি। ধূসরতার মধ্যেও কালচে ধূসর থেকে সাদাটে ধূসরের দিকে এগিয়ে যাওয়ার নামই সভ্যতা। সোয়া-শ বছর আগের কথামৃতই বা ভগবতী / কামিনী  ডাইকোটমির বাইরে যাবে কেন? মানে, যাবার এক্সপেক্টেশনই বা কে করেছিল?
    কথা সেটা নয়। কথা হল ডাইকোটমিটা আছে নিজেই বলেছ। কামিনীকে গালি দেওয়া হয়েছে ভগবতীকে পুজো করতে চাওয়া হয়েছে সেটাও বলেছ। অথচ কনক্লুড করতে গিয়ে শুধু জেনারেলাইজড "নারী"বিদ্বেষই দেখতে পাচ্ছ, কামিনীবিদ্বেষ থাকলে ভগবতীপুজো বৈধ নয় বলছ - এটা তোমার চয়েজ হতে পারে, কিন্তু লেখাটার যুক্তিবিন্যাসকে স্পষ্টই নষ্ট করছে - এটাই বলার ছিল। "নারীবিদ্বেষ" কয়েনেজটা ব্যবহার করতে পা-পারলেই গোটা লেখাটা অর্থহীন হয়। তাই নারীর প্রতি শ্রদ্ধাটা পুজোটা সবাইকে মা-হিসেবে দেখাটা দেখেও এড়িয়ে যাচ্ছ শুধু বিদ্বেষটা দেখবে বলেই।
     
    বাইবেল জুড়ে পাপীকে গালি দেওয়া হয়েছে অর্থাৎ মানুষকে গালি দেওয়া হয়েছে তাহলে বাইবেলে সৎ পূণ্যবান মানুষের জন্য করা সব প্রশংসাবাক্য ইনভ্যালিড হয়ে যায় - এইরকম দাঁড়াচ্ছে না? লজিকের ফ্ল-টা কি এতই দুর্বোধ্য।
     
    সমস্যাটা কোথায় ? "কামিনী" শব্দটা "নারী" শব্দের একটা প্রতিশব্দ হিসেবে ব্যবহৃত হয় বলেই কি এটা মেনে নিতে সমস্যা হচ্ছে যে রাকৃ যখন "কামিনী" বলছেন তখন তিনি ইন-জেনারেল "নারী"ক নয় "অবিদ্যা-নারী" মিন করছেন? নাকি তাতে যে লেখাটার যুক্তিকাঠামো পুরোটাই ধুলিস্যাৎ হয়ে যায় সেটা বুঝতে পারছ?
  • এলেবেলে | ০২ ডিসেম্বর ২০২২ ২২:৫৫514338
  • তাই তো বলি, গুরুতে রামকেষ্ট নিয়ে আলোচনা হবে অথচ কিস্যু না বোঝা ছাগলের তৃতীয় সন্তানেরা নাপাতে আসবে না - এমনটা হয়েছে নাকি! শ্রীম গুপি করেছে এটাও ফ্যাক্ট (গোপাল রায়) আর সেই গুপিকে বিবু সাট্টিফি দিয়েছে সেই চিঠি প্রথমেই দিয়েছি। কিন্তু বিবু শ্রীমকে সেই গুপি করার নির্দেশ দিয়েছিল, এমনটা বলা হয়নি। নাও, এবারে আট্টু নাপিয়ে নাও। 
  • Sandipan Majumder | ০২ ডিসেম্বর ২০২২ ২২:৫৫514339
  • সবাইকে মা হিসেবে দেখা বিদ্বেষ না হোক, অ্যাবনরমালিটি তো বটেই। সেটার প্রশংসা  করবো বলছো? কামিনী নারীর  প্রতিশব্দ। বেশ ' নারীকাঞ্চন ত্যাগ ' ই মানলাম। কথামৃত জুড়ে  স্বাভাবিক নারীর কথা নেই তো। সবই কেমন অস্পৃশ্য টাইপের। রবীন্দ্রনাথের মিসোজিনি বের করতে গেলে ছেঁকে ছুঁকে বের করতে হবে। রামকৃষ্ণের ক্ষেত্রে উল্টো। মিসোজিনি নেই এমন বাক্য বের করতে গেলে একই পরিশ্রম করতে হবে।
  • এলেবেলে | ০২ ডিসেম্বর ২০২২ ২৩:০৩514340
  • সবাইকে মা হিসেবে দেখার জন্য যদি সবচেয়ে বেশি কারও বারোটা বেজে গিয়ে থাকে তো তিনি সংঘজননী সারদা। সুমিত সরকার এ বিষয়ে লিখেছেন --- মন্দির-প্রাঙ্গণের পরিত্যক্ত কোণায় ছোট্ট অন্ধকারময় ঘরে তাঁর জীবনটা কাটত রামকৃষ্ণ ও সর্বক্ষণ আসতে থাকা ভক্তদের জন্য বিরতিহীন খাবার তৈরি করেই; রাত্রি নামার অপেক্ষায় থাকতে হত নদীর ধারে শৌচকৃত্য সম্পন্ন করার জন্য - কেননা মহিলাদের জন্য কোনো শৌচাগারের কথা কেউ ভাবেনি।
     
    রামকৃষ্ণের জীবদ্দশায় যিনি মা হতে পারেননি, তিনিই রামকৃষ্ণের মৃত্যুর পরে তাঁর লিগ্যাসি বহনের চাপে কিংবা অছিলায় পরিণত হলেন শ্রীশ্রীমা হিসেবে। তো অ্যাদ্দিন তাঁর সন্তানেরা তাঁর জন্য কোন বাঙিটি ফাটিয়েছিলেন?
  • হতাশ | 103.76.***.*** | ০২ ডিসেম্বর ২০২২ ২৩:০৪514341
  • এই সাইটেই আছে --- 
     
    "কামিনীকাঞ্চন ত্যাগ করতে বলেছেন ঠাকুর। অথচ কিনা এক নারী তাঁর গুরু!
    তার মানে নারীর মধ্যে যে কামিনী যে তামসী তাকে ত্যাগ করবে। যে যোগিনী, যে মহিমাময়ী মাতৃস্বরূপিনী তাকেই গ্রহণ করবে। অভিনন্দন করবে।"

    - "পরমপুরুষ শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ " - অচিন্ত্যলুমার সেনগুপ্ত প্রথম খন্ড ১১৩ পাতা
     
    আসলে গুরুতে এই নিয়ে এতবার এত নির্মোহ ব হয়ে গেছে যে নতুন কথা আর কিছু বলার থাকেনা।
  • এই রে | 2405:8100:8000:5ca1::11:***:*** | ০২ ডিসেম্বর ২০২২ ২৩:০৪514342
  • হতাশ কি সিরিয়াসলি আশা করছে যুক্তি দিয়ে গুরুদের রামকৃষ্ণ বিদ্বেষ ঘোচাতে পারবে? অভিজ্ঞতা কি বলে?
  • এলেবেলে | ০২ ডিসেম্বর ২০২২ ২৩:০৭514343
  • লো, কল্লো বাত! রেফ হচ্ছে শ্রীমর চেয়েও এক কাঠি সরেস গুপিবাজ ঠাকুর তোমায় কে চিনত!!
  • cb | 104.244.***.*** | ০২ ডিসেম্বর ২০২২ ২৩:২০514344
  • কি আজাইর‍্যা তর্ক, মাথামুণ্ডু নাই। আপনাদের যদি নারীসঙ্গ করে ঈশ্বরলাভ করাটা সহজ মনে হয়, তাই করুন গে। কথামৃতকে পাত্তা দিচ্ছেনই বা কেন? ৯০ ডিগ্রিকে কেন সমকোণ বলা হয়েছে এই লিয়ে চিল্লিয়ে ইউক্লিডের বাপান্ত করে কি হব্যা, অল্টার্নেট জিওমেট্রি নামায়ে দিন।
  • Sandipan Majumder | ০২ ডিসেম্বর ২০২২ ২৩:২৪514345
  • বাঃ, অচিন্ত্যবাবু দারুণ  বুঝিয়েছেন তো। অভাবনীয় তত্ত্ব। তা, ব্যাপারটা এক নারীর মধ্যে দুই সত্তা (কামিনী/তামসী) আর যোগিনী থাকে, এরকম বলেছেন? নাকি কেউ শুধুই কামিনী, কেউ শুধুই যোগিনী বলেছেন? দ্বিতীয়টা হলে অসুবিধা নেই। প্রথমটা হলে প্রোবলেমেটিক।
  • Sandipan Majumder | ০২ ডিসেম্বর ২০২২ ২৩:২৭514347
  • *cb কথাটা নারীসঙ্গ করা নিয়ে নয়, নারীবিদ্বেষের চাষ করা নিয়ে হচ্ছে।
  • Sandipan Majumder | ০২ ডিসেম্বর ২০২২ ২৩:২৯514348
  • @এলেবেলে, গোপাল রায়ের প্রসঙ্গ তো এসেছে। আপনি একটু আলোকপাত করুন।
  • a | 2405:8100:8000:5ca1::16:***:*** | ০২ ডিসেম্বর ২০২২ ২৩:৩৫514349
  • উনি কামিনীকাঞ্চন ত্যাগ করতে বলেছেন। আপনি কামিনীকাঞ্চন আলিঙ্গন করতে বলুন। বিদ্বেষের অ্যান্টিডোট, রজনীশ মডেল। যথেষ্ট ফলোয়ার পেলে একদিন আপনাকে নিয়েও কোথাও আলোচনা হবে।
  • সারদা | 2405:8100:8000:5ca1::31:***:*** | ০২ ডিসেম্বর ২০২২ ২৩:৫০514350
  • সত্যি বাবারা, সেদিন আমার নরেন মোদি থাকলে নির্মল ভারত চালিয়ে আমাদের জন্য পায়খানা বানিয়ে দিত। তোমরা বড় বুঝদার ছেলে।
  • বোস্টম | 2402:3a80:1cd2:f259:378:5634:1232:***:*** | ০৩ ডিসেম্বর ২০২২ ০০:১২514352
  • রাকৃ র নারী বিদ্বেষ, নাস্তিকের ধর্মে বিদ্বেষ, ভেজু দের কচি পাঁঠার ঝোলে বিদ্বেষ আর এলেবেলে বিবু, বিদু আর রাকৃ তে বিদ্বেষ.. এগুলোতো জানা কথা।
    এলের বই এর কাটতি কিন্তু বাংলা দেশে খুব ভালো।
     বিবু, একটা মাত্র পায়খানা করে দিলে, বিদ্বেষ সব ধুয়ে মুছে যেতো।
  • হতাশ | 103.76.***.*** | ০৩ ডিসেম্বর ২০২২ ০০:১৬514353
  • এটাও এই সাইটেই আছে।
    "
    এখানে তো কামিনী- কাঞ্চনকে কাম-কাঞ্চন বলেই ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।

    Ramakrishna taught that kamini-kanchana is an obstacle to God-realization. Kamini-kanchan literally translates to "woman and gold." Partha Chatterjee wrote that figure of a woman stands for concepts or entities that have "little do do with women in actuality" and "the figure of woman-and-gold signified the enemy with: that part of one's own self which was susceptible to the temptations of ever-unreliable worldly success." Carl T. Jackson interprets kamini-kanchana to refer to the idea of sex and the idea of money as delusions which prevent people from realizing God. Jeffrey Kripal translates the phrase as "lover-and-gold" and associates it with Ramakrishna's alleged disgust for women as lovers. Kripal's translation is disputed by Swami Tyagananda, who argues this to be a "linguistic misconstruction." Ramakrishna also cautioned his women disciples against purusa-kanchana ("man and gold") and Tyagananda writes that Ramakrishna used Kamini-Kanchana as "cautionary words" instructing his disciples to conquer the "lust inside the mind."

    পুরুষ কাঞ্চনের কথা এখানেও বলেছে। 
    "
     
    নারী-বিদ্বেষ একটি অযৌক্তিক উদ্দেশ্যমূলক কয়েনেজ।  গৌরী-মা কে দেওয়া উপদেশ এর কথাও এই সাইটেই আছে। 
     
    যাই হোক, টইয়ের নাম দেখে কনফুজ না হয়ে নিচের টইগুলো দেখে নেওয়া যেতে পারে, এই বিষয়েই কথা চালিয়ে যেতে চাইলে।
     
     
    আর কাম-কাঞ্চনের রেফারেন্স এইখানে 
     
    গুন্নাইট
  • এলেবেলে | ০৩ ডিসেম্বর ২০২২ ০০:২০514354
  • সবার আগে বলি কথামৃত রামকৃষ্ণের জীবনের শেষ সাড়ে চার বছরের মধ্যে মাত্র ১৮৬ দিনের কথা। মিশনের চতুর প্রচারের সহায়তায় তাই এখন রামকৃষ্ণের সর্বাধিক প্রামাণ্য জীবনী হিসেবে প্রচলিত। এবং গোটা বইটাই অসংখ্য গুলতাপ্পিতে ভরপুর।
     
    গোপালচন্দ্র রায় এ বিষয়ে যা যা লিখেছেন তা এইরকম ---
    ১. রামচন্দ্র দত্ত, স্বামী সারদানন্দ, অক্ষয়কুমার সেন ও শ্রীম ( মহেন্দ্র গুপ্ত ) রামকৃষ্ণের এই চারজন পার্ষদভক্তই এঁদের রামকৃষ্ণ সম্বন্ধীয় নিজ নিজ গ্রন্থে লিখেছেন কলকাতার বেনেটোলা-নিবাসী ডেপুটি ম্যাজিষ্ট্রেট অধরলাল সেনের বাড়িতে রামকৃষ্ণের সঙ্গে বঙ্কিমচন্দ্রের দেখা হয়েছিল। রাম দত্তই সর্বপ্রথম তাঁর বইয়ে মাত্র দুটি ছোট্ট বাক্যে ঐ সাক্ষাতের কথাটি লিখেছিলেন। সারদানন্দ রাম দত্তের ঐ লেখাটি নিয়ে তাতে নিজের একটু মন্তব্য জুড়ে সেটিকে বাড়ান। কিন্তু 'মনে ময়লা’ধারী, ‘বিদ্যাবুদ্ধিহীন' অক্ষয় সেনই প্রথম রাম দত্ত বর্ণিত রামকৃষ্ণ-বঙ্কিমচন্দ্রের ঐ সাক্ষাতের কথার উপর নিজের কল্পনা জুড়ে ব্যাপারটাকে নোংরা করে তোলেন । শেষে শ্রীম এঁদের সকলেরই লেখা নিয়ে তাতে নিজের অবাধ কল্পনা মিশিয়ে ঐ সাক্ষাৎকারের কথাটিকে সেই নোংরা তো বটেই, তাছাড়া আরও জটিল করে তাঁর বইয়ে ২৬ পাতা ধরে লিখেছেন
     
    ২. শ্রীম তাঁর বইয়ের পৃষ্ঠা বাড়াবার জন্য রাম দত্ত এবং সারদানন্দের বই থেকেও রামকৃষ্ণ-বঙ্কিমচন্দ্র প্রসঙ্গের কথাগুলি নিয়েছেন এবং নিজের দেওয়া অনেক কাহিনী রচনা করেছেন
     
    ৩.  শ্রীম নিজেই বলেছেন- রামকৃষ্ণের কাছে বসে যে সব শুনেছেন, পরে সে সব লিখেছেন। সঙ্গে সঙ্গে কাছে বসে লেখেন নি। শ্রীমর বইয়ে ৩০।৪০ পৃষ্ঠা করে লেখা। রামকৃষ্ণের এক এক সময়ের দীর্ঘ আলোচনা বা কথাবার্তা সঙ্গে সঙ্গে না লিখে পরে লিখলে, তাতে যে শ্রীমর নিজের অনেক কথাই ঢুকবে, তা বলাই বাহুল্য। কেন না শ্রীম এমন শ্রুতিধর ছিলেন না যে, পরে ঐ অত কথা লিখবার সময় তিনি স্মৃতি থেকে হুবহু সেই কথাগুলোই লিখেছিলেন।
    দ্বিতীয়তঃ‘লিপিবদ্ধ থাকাতে যে ভুলের সম্ভাবনা' এই কথা বলে শ্রীম নিজেই স্বীকার করেছেন, তাঁর ডায়রির লেখাতেও ভুল ছিল
     
    ৪. শ্রীম শুধু যে একই দিনের এক এক সময়ের ঘটনা এক এক গ্রন্থে দিয়েছেন, তা নয়, তিনি একই দিনের একই সময়ের ঘটনার কিছুটা এক ভাগে, আবার কিছুটা অন্যভাগে, এমনও করেছেন। যেমন১৯-১২-৮৩ তারিখে বেলা ১টার সময়ের রামকৃষ্ণের কথা (কামিনী কাঞ্চন ত্যাগ ও সমাধি সম্বন্ধে) শ্রীম তাঁর বইয়ের চতুর্থ ভাগে (৭ম খণ্ড, ৫ম পরিচ্ছেদ) লিখেছেন, আবার ঐদিন ঐ বেলা ৯টার সময়েরই ঐ একই ব্যক্তির সহিত কথা (জ্ঞান ও ভক্তি সম্বন্ধে) শ্রীম বহু বৎসর পরে প্রকাশিত তাঁর পঞ্চম ভাগে লিখেছেন (১২শ খণ্ড, ৩য় পরিচ্ছেদ)।
    শ্রীমর এইরূপ লিখন পদ্ধতি দেখে এইটাই মনে হওয়া স্বাভাবিক যে, তিনি তাঁর বইয়ের বিক্রি দেখে বইয়ের [পৃষ্ঠা] সংখ্যা বাড়াবার জন্যই পরে পরে এক এক দিনের বা এক এক সময়ের ঘটনা ঐ ভাবে চিন্তা করে করে লিখেছেন। এরূপ লেখা যে খুব কষ্টকর তা মোটেই নয়। কেননা, রামকৃষ্ণের কথা বা উপদেশাবলীর সঙ্গে যিনি কিছুটা পরিচিত তাঁর পক্ষে রামকৃষ্ণের কথা নিয়ে এই ভাবে 
    ফেনিয়ে লেখা খুব কষ্টসাধ্য নয়। এরূপ ক্ষেত্রে রামকৃষ্ণের কথা বা উপদেশাবলীর পুনরাবৃত্তি হওয়া স্বাভাবিক। শ্রীমর কথামৃতে তাই-ই হয়েছে। সম্বন্ধে শ্রীমর পক্ষ থেকে হয়ত যুক্তি হবে যে, রামকৃষ্ণ একই কথা বা উপদেশ পুনরাবৃত্তি করতেন বলে, তাঁর বইয়েও তাই পুনরাবৃত্তি হয়েছে। কিন্তু, শ্রীম একই দিনের ঘটনার কিছুটা একভাগে, আবার কিছুটা বহু বৎসর পরে প্রকাশিত অপরভাগে লিখলেন কেন? এতেই তো মনে হতে পারে, পরে তিনি তাঁর গ্রন্থের এই অপর ভাগটি রচনা করবার জন্যই আগের দিনের লেখার জের টেনে বাড়িয়ে এই ভাগ রচনা করেছেন। এবং এরূপ সন্দেহ বা অনুমান করা খুবই স্বাভাবিক।
  • কামিনীকাঞ্চন | 185.22.***.*** | ০৩ ডিসেম্বর ২০২২ ০০:২৪514355
  • যে উক্তির প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবারের টুইট, সেটি গত সপ্তাহে সোমবার টুইটারে লিখেছিলেন তথাগত। ধারাবাহিক কয়েকটি টুইটে জানিয়েছিলেন, বিজেপি-কে ‘অর্থ এবং নারীচক্র থেকে টেনে বের করে আনা আবশ্যক।’ তথাগত-র সেই টুইটে অস্বস্তিতে পড়ে বিজেপি। তথাগত অবশ্য জানিয়েছিলেন, দলের নতুন সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্ব দল আবার এগোতে পারে। 
  • এলেবেলে | ০৩ ডিসেম্বর ২০২২ ০০:৪৩514357
  • হতাশের থেকে এটা প্রত্যাশিত নয়। আর্কাইভে থাকা বইয়ের জন্য ঘুরিয়ে গ্রন্থাগারের নাক দেখাতে হবে কেন!
     
    বাবা বোস্টম, গান্ধী আর রামমোহন বিদ্বেষটা বাকি থেকে গেছে! তো সেই গান্ধীর কিয়দংশও এবারে বইতে ঢুকছে। খানিক কেত্তন গাও বাবা। রামমহনের সাম্প্রতিকতম খবরটা আর দিলাম না। শ্রীখোলটি ফেটে যেতে পারে!
  • পার্থ | 2405:8100:8000:5ca1::46:***:*** | ০৩ ডিসেম্বর ২০২২ ০৭:৪১514359
  • আমিই তো কামিনীকাঞ্চনপ্রেমী। ভাই সন্দীপন, এলেবেলে, বুকে আয় কুম্ভমেলার ভাইরা আমার। জামিনটা কবে করাবি বাপ?
  • Sandipan Majumder | ০৩ ডিসেম্বর ২০২২ ০৭:৫১514360
  • বাঃ,টইয়ের রেফারেন্সগুলো দিয়ে ভালো  করলে। তবে lust and gold, এই গুলো বেসিকালি কভার আপ যেটা রামকৃষ্ণ  কথামৃতের ইংরেজি  অনুবাদ থেকে শুরু হয়েছিলো।  উদ্দেশ্য  পরিষ্কার। যাকগে। এই নিয়ে আর না। 
  • Raj | 2405:8100:8000:5ca1::c7:***:*** | ০৩ ডিসেম্বর ২০২২ ১০:২৮514362
  • "If there is not warmth in his feelings about a woman, the place which he assigns her in the kingdom of God is far higher than any which the passions of men might reach. Our good hermit thinks that any extended scale of devotion or communion is impossible so long as there is lust to distract or a woman to seduce the heart from the way of heaven. Every devotee should be absolutely proof against any influence of the kind. In that the mind being free from every sort of distancing influence, may proceed uninterruptedly to its earnest search of the Almighty."
     
    কয়েন দিকি পণ্ডিতগণ এটি কবেকার কভার আপ? ল্যাহাপড়ার দৌড়ডা দেহি।
  • সন্তোষ বন্দোপাধ্যায় | 2401:4900:1042:36e7:0:29:8d46:***:*** | ০৬ ডিসেম্বর ২০২২ ১৮:২৩514425
  • দুর শালা !! ভন্ডামী যতো সব !!
  • দীপ | 2402:3a80:1968:1396:578:5634:1232:***:*** | ১৩ জুলাই ২০২৪ ১২:৪৭534595
  • "সবাইকে মা হিসেবে দেখার জন্য যদি সবচেয়ে বেশি কারও বারোটা বেজে গিয়ে থাকে তো তিনি সংঘজননী সারদা। সুমিত সরকার এ বিষয়ে লিখেছেন --- মন্দির-প্রাঙ্গণের পরিত্যক্ত কোণায় ছোট্ট অন্ধকারময় ঘরে তাঁর জীবনটা কাটত রামকৃষ্ণ ও সর্বক্ষণ আসতে থাকা ভক্তদের জন্য বিরতিহীন খাবার তৈরি করেই; রাত্রি নামার অপেক্ষায় থাকতে হত নদীর ধারে শৌচকৃত্য সম্পন্ন করার জন্য - কেননা মহিলাদের জন্য কোনো শৌচাগারের কথা কেউ ভাবেনি।"
     
    -মহাপণ্ডিত এলেবেলে।
  • দীপ | 2402:3a80:1968:1396:578:5634:1232:***:*** | ১৩ জুলাই ২০২৪ ১২:৫৮534597
  • সে তো বটেই। রামকৃষ্ণ তো কোটিপতি ব্যবসায়ী ছিলো, পাঁচটা বাংলো বাড়ি আর পঞ্চাশটা চাকর ছিলো! তাসত্ত্বেও সারদাদেবীকে নহবতে রাখা হয়েছিলো! 
    ওরে পাঁঠা, রামকৃষ্ণ ছিলো দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের পূজারী বামুন। প্রথমে মাইনে ছিলো পাঁচ টাকা, পরে মাইনে বেড়ে সাত টাকা হয়েছিলো। আর এই সাত টাকা মাইনের পুরুত তখনকার দিনে দুশো টাকা খরচা করে তার স্ত্রীকে গয়না গড়িয়ে দিয়েছিলো! 
    আর প্রথমে একবার সারদাদেবীর জন্য একটি মন্দির থেকে কিছু দূরে একটা চালাঘর বানিয়ে দেওয়া হয়েছিলো। পরে রামকৃষ্ণ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁর সেবার জন্য সারদাদেবী নহবতে চলে আসেন।
    ওহে শ্রীমৎ পাঁঠানন্দ, একটু যে ব‌ইপত্র ঘাঁটতে হবে!
  • Prabhas Sen | ১৩ জুলাই ২০২৪ ১৫:২৩534606
  • শ্রীরামকৃষ্ণ যে কাম কাঞ্চন ত্যাগের কথা বলেছেন তা প্রধানত ঈশ্বর লাভেচ্ছু দের প্রতি। গৃহীদের বলেছেন সংযমী হতে। 
  • দীপ | 42.***.*** | ১৩ জুলাই ২০২৪ ২০:৫১534628
  • মহাপণ্ডিত এলেবেলে মহোদয় একের পর এক ভুল কথা লিখেছেন। এ অবশ্য নতুন কিছু নয়, এরকম অসংখ্য ইচ্ছাকৃত ভুল তথ্য পরিবেশন এর আগেও একাধিক লেখায় করেছেন। বিদ্যাসাগরের শ্রাদ্ধ করেছেন।
     
    কথামৃত কোনো জীবনী নয়, এটি দিনপঞ্জী। শ্রীম রামকৃষ্ণের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও আরো বেশ কিছু অভিজ্ঞতা লিপিবদ্ধ করেছেন।
    অন্যদিকে রামচন্দ্র দত্ত, সারদানন্দ জীবনী রচনা করেছেন। সারদানন্দ রচিত জীবনী লীলাপ্রসঙ্গ গবেষকদের কাছে অন্যতম প্রামাণ্য জীবনী রূপে স্বীকৃত।  কথামৃত ও লীলাপ্রসঙ্গ গবেষকদের কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। 
    রামচন্দ্র দত্তের ব‌ইতে বেশকিছু অলৌকিক ঘটনা লিপিবদ্ধ করা হয়। বিবেকানন্দ ঐসব নিয়ে আলোচনা পছন্দ করেননি। সেজন্য তিনি রামচন্দ্র দত্তকে অনুরোধ করেন রামদা যেন তাঁর ব‌ইতে তাঁকে নিয়ে কোনো আলোচনা না করেন। একটু ব‌ইপত্র ঘাঁটলেই এসব তথ্য পাওয়া যায়!
    কথামৃত মূলত গৃহী শিষ্যদের সঙ্গে আলোচনা। সন্ন্যাসী শিষ্য ও গৃহী শিষ্যদের সঙ্গে আলোচনায় তফাৎ আছে। শ্রীম নিজেও প্রথমদিকে রামকৃষ্ণ মিশনের সেবামূলক কর্ম মেনে নিতে পারেননি। অবশেষে ১৯১২ সালে সারদাদেবীর কথায় তিনি মেনে নেন।
     
    রামকৃষ্ণ তাঁর শিষ্যদের রুচি অনুযায়ী বিভিন্ন কথা বলেছেন। এগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন সারদানন্দ, অখণ্ডানন্দ। 
  • ar | 71.174.***.*** | ১৩ জুলাই ২০২৪ ২৩:৪২534638
  • "রামকৃষ্ণ তাঁর শিষ্যদের রুচি অনুযায়ী বিভিন্ন কথা বলেছেন। এগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন সারদানন্দ, অখণ্ডানন্দ। "

    স্বামী অখণ্ডানন্দের লেখাটার/আলোচনার সূত্র দেবেন।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন